Ajker Patrika

ফরিদপুর-৩: ভোটারদের ভয় দেখাতে কেন্দ্রে আগুন

আমানুর রহমান রনি, ফরিদপুর থেকে
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০১: ১৪
ফরিদপুর-৩: ভোটারদের ভয় দেখাতে কেন্দ্রে আগুন

প্রচার শুরুর পর থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটেছে বেশ কয়েকটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা। এমন আতঙ্কের পরিবেশে আজ ভোট হবে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে। 

একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর সদর আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটাররা বলছেন, মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক এবং ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের মধ্যে। সহিংসতার ঘটনায়ও বেশি জড়াচ্ছেন এই দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা। এ কে আজাদের অভিযোগ, তাঁর ভোটব্যাংক এলাকায় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ঠেকানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে নাশকতা করছেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক। আর পুলিশ জানিয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবকিছু করছে তারা। 

৪ জানুয়ারি রাতে ১৪টি স্থানে নৌকা প্রতীকের প্রচার ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জায়গাগুলো হলো পূর্ব খাবাসপুরের মোড়, চরকমলাপুর, চৌরঙ্গী মোড়, লক্ষ্মীপুর স্টেশন সংলগ্ন, ডিক্রিরচর ইউনিয়ন ক্যাম্প, মুন্সিরডাঙ্গী, পালডাঙ্গী, অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চাটামবাজার, মাদবর বাজার, কানাইপুর ইউনিয়নের খাসকান্দির রনকাইল, উরুকান্দা, নালার মোড়, কানাইপুর বাজারের সাহাপাড়া ও নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের কাইয়ুম উদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী। অনুসন্ধানে জানা গেছে, যেসব ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছে, সেগুলো এ কে আজাদের ভোটব্যাংক এলাকা হিসেবে পরিচিত। সেখানেই বেছে বেছে আগুন দিয়ে ভীতি ছড়ানো হয়েছে। 

পূর্ব খাবাসপুরের মোড়ে আগুন দেওয়ার সময় স্থানীয়রা এক তরুণকে পেট্রলসহ হাতেনাতে আটক করে। পরে জানা যায়, তিনি নৌকা প্রতীকের সমর্থক। ওই দিন রাতেই তাঁকে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়। 

এ বিষয়ে এ কে আজাদ বলেন, ‘শামীম হকের কর্মী-সমর্থকেরা নিজেদের ক্যাম্পে আগুন দিয়ে আমার সমর্থকদের দোষ দিয়েছেন। এরপর আবার আমার কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। তাঁদের বাড়িতে না থাকতে নির্দেশ দিচ্ছেন। এ রকম হলে ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।’

ফরিদপুরের পুরোনো সন্ত্রাসীরা শামীম হকের সঙ্গে প্রচারে নেমেছে দাবি করে আজাদ বলেন, ‘ফরিদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর মোবারক খলিফা একাধিক মামলার আসামি। এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী। মোবারক উচ্চ আদালতে জামিন চেয়েও জামিন পায়নি। এখন এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ রকম অনেক সন্ত্রাসী তার সঙ্গে রয়েছে।’ 

তবে এ কে আজাদের তোলা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন শামীম হক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ কে আজাদ আমার নামে বানিয়ে বানিয়ে কথা ছড়াচ্ছেন। আমার সঙ্গে কোনো সন্ত্রাসী নেই। সন্ত্রাসী তাঁর সঙ্গে রয়েছে। তাঁকে এলাকার মানুষ কেউ চেনে না। আমার জনপ্রিয়তা দেখে গুজব ছড়াচ্ছেন।’ 

এদিকে নৌকা ও ঈগলের কর্মীদের মধ্যে সহিংস লড়াইয়ে আতঙ্কে আছেন সাধারণ ভোটাররা। জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার বাড়িতে সাতজন ভোটার আছে। আমি সকালে ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ বুঝব, যদি মনে করি শান্তিপূর্ণ, তাহলে ভোটকেন্দ্রে যাব। আর যদি মনে হয় ঝামেলা হতে পারে, তাহলে ভোটকেন্দ্রে যাব না।’ 

ভোটের দিন পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আসছে। আমরা সবার কথাই শুনছি। ইতিমধ্যে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাশকতা ও হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষ অন্তত ১০টি মামলা করেছে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

ফরিদপুরের পুরোনো সন্ত্রাসীরা শামীম হকের সঙ্গে প্রচারে নেমেছে দাবি করে আজাদ বলেন, ‘ফরিদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর মোবারক খলিফা একাধিক মামলার আসামি। এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী। মোবারক উচ্চ আদালতে জামিন চেয়েও জামিন পায়নি। এখন এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ রকম অনেক সন্ত্রাসী তার সঙ্গে রয়েছে।’ 

তবে এ কে আজাদের তোলা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন শামীম হক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ কে আজাদ আমার নামে বানিয়ে বানিয়ে কথা ছড়াচ্ছেন। আমার সঙ্গে কোনো সন্ত্রাসী নেই। সন্ত্রাসী তাঁর সঙ্গে রয়েছে। তাঁকে এলাকার মানুষ কেউ চেনে না। আমার জনপ্রিয়তা দেখে গুজব ছড়াচ্ছেন।’ 

এদিকে নৌকা ও ঈগলের কর্মীদের মধ্যে সহিংস লড়াইয়ে আতঙ্কে আছেন সাধারণ ভোটাররা। জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার বাড়িতে সাতজন ভোটার আছে। আমি সকালে ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ বুঝব, যদি মনে করি শান্তিপূর্ণ, তাহলে ভোটকেন্দ্রে যাব। আর যদি মনে হয় ঝামেলা হতে পারে, তাহলে ভোটকেন্দ্রে যাব না।’ 

ভোটের দিন পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আসছে। আমরা সবার কথাই শুনছি। ইতিমধ্যে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাশকতা ও হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষ অন্তত ১০টি মামলা করেছে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীর রামপুরায় অটোরিকশার ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর রামপুরা ডিআইটি রোডে সিএনজি চালিত অটোরিকশার ধাক্কায় এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। তাঁর নাম-পরিচয় জানাতে না পারলেও পুলিশের ধারণা, ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৭০ বছর।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রামপুরার ডিআইটি রোড বেটারলাইফ হাসপাতালের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান পথচারীরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মারা যান তিনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সফিকুল ইসলাম খান। তিনি জানান, মৃত ব্যক্তির নাম-পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। অটোরিকশাটিকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দৌলতপুরে বাঁশবাগানে পড়ে ছিল কলেজছাত্রের লাশ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩৪
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সিয়াম হোসেন (১৭) নামের এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হওয়ার পর আজ মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি বাঁশবাগানে তার লাশ পাওয়া যায়।

সিয়াম দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মধুগাড়ি এলাকার বাসিন্দা। সে গোয়ালগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম সিপুল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে মধুগাড়ি এলাকার শেহালা উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের একটি বাঁশবাগানে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। পরে দৌলতপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

মৃত শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি সিয়াম। পরে আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী মিলে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, সকালে এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহে দৃশ্যমান কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গয়েশ্বর চন্দ্রের আসনে বিএনপির বিদ্রোহী তিন বড় নেতাসহ ১৬ প্রার্থী, শক্ত লড়াইয়ের আভাস

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফাইল ছবি

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে গতকাল সোমবার ঢাকা-৩ সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আসন হিসেবে পরিচিত এই আসনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ মোট ১৬ জন এদিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এতে নির্বাচনী মাঠে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে এই আসনে শক্ত লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে, সে আভাসই মিলেছে।

এদিন ঢাকা-২ ও ঢাকা-৩ আসনে ধানের শীষ, দাঁড়িপাল্লা ও হাতপাখা প্রতীকে একজন করে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। পাশাপাশি গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, গণসংহতি আন্দোলন এবং একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের দৌড়ে যুক্ত হন।

গতকাল বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ওমর ফারুকের কাছে তাঁর মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই দিনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহীনুর ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সুলতান আহমেদ খানও মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এদিন ঢাকা-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া বিএনপির একাধিক বিদ্রোহী নেতা ও সমর্থকের উপস্থিতি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিএনপির তিনজন বড় নেতা ও তিনজন সমর্থক রয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও অবিভক্ত কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী নাজিমউদ্দীন মাস্টার, জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল কবির পল এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেত আলী বাবু। তাঁদের মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল কবির পল অনেক দিন ধরে ঢাকা-৩ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপ করেছেন। শেষ পর্যন্ত দল গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কেই মনোনয়ন দেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন।

এ ছাড়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিএনপির সমর্থকদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়েও এলাকায় কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাজ্জাত হোসেন, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি পাভেল মোল্লার মা পারুল মোল্লাসহ আরও কয়েকজন। বিএনপি নেতাদের একটি অংশের দাবি, কৌশলগত কারণেই এসব প্রার্থীকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনী মাঠে রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া একই আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী সাজ্জাদ আল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মোহাম্মদ জাফর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী বাচ্চু ভূঁইয়া, গণফোরামের প্রার্থী মোহাম্মদ রওশন ইয়াজদানি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বেলাল হোসেন, মো. ফারুক, মো. সাজ্জাদ ও মো. শোয়েব মাহমুদ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্রভাবে বিএনপির একাধিক প্রভাবশালী নেতা ও সমর্থকের অংশগ্রহণে ঢাকা-৩ আসনের নির্বাচনী সমীকরণ শুরুতেই জটিল হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী দলের পাশাপাশি বিএনপির ভেতরের এই বহুমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জন্য এবারের নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে এভারকেয়ারের সামনে ভিড়, পুলিশের ব্যারিকেড

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এভারকেয়ারের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে বেষ্টনী দিয়ে রেখেছে পুলিশ। এছাড়া র‍্যাব ও বিজিবিসহ আরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে শেষবারের মতো এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নানান পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ছুটে এসেছেন এক পলক দেখতে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে শতশত মানুষ ভিড় জমতে দেখা গেছে। কেউ কেউ তাঁদের নেত্রীকে একপলক দেখার জন্য এসেছেন, কেউ কেউ ভালোবাসার টানে ছুটে এসেছেন।

ঢাকায় থাকা দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রায় সবাই ইতিমধ্যে হাসপাতালের ভেতরে অবস্থান করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত