নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ২৫ বছর আগের দায়ের করা মামলায় অনেক সাক্ষী হাজির হননি। মামলার বাদী ছাড়া অন্য যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা প্রকৃত সত্য আড়াল করে গেছেন।
আদালত পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা কেউ সাক্ষ্য দিতে হাজির হননি। একজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও দুজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটদেরও পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় সঠিক বিচার সম্ভব নয়। তারপরও ঘটনার পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য বিবেচনা করে রায় দেওয়া হলো।
জনপ্রিয় একজন চিত্রনায়কের এভাবে খুন হওয়া এবং সেই বিচার এত বিলম্বিত হওয়া দুঃখজনক। মামলার নথি গায়েব, মামলার কেস ডকেট গায়েব এসব ঘটনা দুঃখজনক—আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়।
আদালত বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আসামি আদনান সিদ্দিকী আটক হয়েছিলেন এ কথা অস্বীকার করা যাবে না এবং এটা প্রমাণিত। তাঁর জবানবন্দি থেকে ও অন্যান্য সাক্ষীদের থেকে প্রমাণ হয় ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক বান্টি ইসলাম ঘটনার সময় ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার আগে সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও বান্টি ইসলামের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল সেটাও প্রমাণিত। কাজেই হত্যা পরিকল্পনা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনজন জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো। অন্য ছয়জনের বিষয়ে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হলো।
গত ২৯ এপ্রিল যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল রায়ের তারিখ ধার্য করেন। এর আগে গত ১৯ মার্চ যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়। এরও আগে গত ২৮ জানুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর তৎকালীন বিচারক এম আলী আহমেদ। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তারিখ ধার্য করেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
সাক্ষ্য গ্রহণ
এই মামলায় বিভিন্ন সময়ে ১০ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার অভিযোগ পত্রে ৩৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল।
এই মামলায় ১২ জন সাক্ষী মারা গেছেন যে কারণে তাঁরা সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি। বাকি সাক্ষীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। মামলার নথি থেকে জানা গেছে, মামলায় চারজন তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষী ছিলেন। চারজনই মারা গেছেন বলে প্রতিবেদন এসেছে। তৎকালীন দুজন ম্যাজিস্ট্রেটকে বারবার সমন সত্ত্বেও তারা হাজির হননি।
নথি গায়েব
দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার নথি গায়েব হয়েছিল। ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। নথি খুঁজে বের করার দাবিতে রিট আবেদন হয়। পরে নথি পাওয়া যায়। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এই মামলার কেস ডকেট (সিডি) খুঁজে না পাওয়ায় আরও কয়েক মাস কেটে যায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করতে। শেষ পর্যন্ত কেস ডকেট ছাড়াই সাক্ষ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন ট্রাইব্যুনাল।
যেভাবে নথি গায়েব হয়
আসামিদের মধ্যে আদনান সিদ্দিকুর ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে মামলা বাতিলের দাবিতে রিট (নম্বর: ৭০৫৩ / ২০০৩) করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট প্রথমে তিন মাসের জন্য নিম্ন আদালতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম স্থগিত করেন। পরে ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন আদালত। সেই সঙ্গে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। দীর্ঘদিন হাইকোর্ট রিট আবেদনের ওপর শুনানি ঝুলে থাকার পর ২০১৫ সালে শুনানি হয়। শুনানি শেষে ওই রুল খারিজ করে রায় দেন বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীস্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ। ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলার স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করা হয়। ছয় পাতার পূর্ণাঙ্গ রায় স্বাক্ষর শেষে আদালত থেকে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয় ২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। শাখা থেকে ওই নথি বিচারিক আদালতে পাঠানোর জন্য প্রক্রিয়া করতে ৫ অক্টোবর দেওয়া হয় টাইপ রাইটার মাহফুজুর রহমানের কাছে। কাজ শেষ করে ১৮ অক্টোবর তা আবারও শাখায় ফেরত দেন মাহফুজ। যেখানে লেখা রয়েছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ পাঠানো হলো। কিন্তু নথি আর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ফেরত যায়নি হাইকোর্ট থেকে। পরে আজকের পত্রিকায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর একপর্যায়ে মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এ হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
সেই রাতে যা ঘটেছিল ট্রাম্পস ক্লাবে
নায়ক সোহেল আহমেদ চৌধুরী ওরফে সোহেল চৌধুরীর বয়স যখন ৩৫ তখন তিনি খুন হন সন্ত্রাসীদের হাতে। ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাত ২টার দিকে তাঁকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাদের গুলিতে সোহেল চৌধুরীর বন্ধু আবুল কালাম আজাদ (৩৫) এবং ট্রাম্পস ক্লাবের কর্মচারী নিরব (২৫) ও দাইয়ান (৩৫) আহত হন। গুলির ঘটনার পরপরই জনতা আদনান সিদ্দিকী নামের এক সন্ত্রাসীকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। গুলির শব্দে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ট্রাম্পস ক্লাবে থাকা ২০০ জনের মতো নারী-পুরুষ পালিয়ে যায়। তারা ড্যান্স পার্টিতে অংশ নিয়েছিল। ওই সময় বনানী-গুলশান এলাকার কেব্ল ব্যবসা ও ট্রাম্পস ক্লাবকে কেন্দ্র করে মালিকপক্ষের সঙ্গে সোহেলের বিরোধ চরমে উঠেছিল। ঘটনার দিন রাত ৯টায় সোহেল চৌধুরী বনানীর বাসা থেকে বের হন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন শহীদ, আবুল কালাম আজাদ, হেলাল ও হাফিজ নামে চার বন্ধু। বাসা থেকে বের হয়ে তাঁরা একটি রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খান।
এরপর রাত ২টার দিকে সোহেল চৌধুরী বন্ধুদের নিয়ে বাসায় ফেরেন। কিছুক্ষণ পর বন্ধুরা মিলে ট্রাম্পস ক্লাবে যেতে থাকেন। সোহেলের বাসা থেকে ট্রাম্পস ক্লাবের দূরত্ব ২৫-৩০ গজের মতো। তাঁরা হেঁটে ক্লাবের সামনে যান। ক্লাবের নিচতলার কলাপসিবল গেটের কাছে দুই যুবক তাঁদের গতিরোধ করে। এক যুবক আবুল কালামের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ায়। এরই একপর্যায়ে এক যুবক রিভলবার বের করে কালামের পেটে দুটি গুলি করে। মুহূর্তেই সন্ত্রাসীরা সোহেল চৌধুরীর বুকে গুলি করতে শুরু করে। সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই দিন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবের ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। সোহেল চৌধুরীর বাবা তারেক আহমেদ চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। সোহেল চৌধুরী মা-বাবার সঙ্গে বনানীর বাসায় থাকতেন। তাঁর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী অন্যত্র থাকতেন। বনানীর ইকবাল টাওয়ারের পাশে ছিল ট্রাম্পস ক্লাব। ক্লাবে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার অভিযোগ ছিল। সপ্তাহে এক দিন পার্টির অনুমোদন থাকলেও প্রতিদিন রাতেই জলসা বসত সেখানে। সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের সময় তাঁর দুই স্ত্রী থাকার বিষয়টি প্রকাশ পায়। তাঁদের একজন স্মৃতি, অন্যজন তুলি। দুজনকেই ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দুজনই সোহেল চৌধুরীকে স্বামী হিসেবে দাবি করেছিলেন। ওই সময় সোহেলের মা সাংবাদিকদের কাছে দুই বউয়ের বিষয় অস্বীকার করেন। সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করে পাঁচ-ছয় সন্ত্রাসী প্রাইভেট কারে পালিয়ে যায়। আদনান সিদ্দিকী পালাতে না পেরে পাশের একটি ভবনে লুকাতে চেষ্টা করে। এ সময় ট্রাম্পস ক্লাবের কর্মীরা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর আদনান সিদ্দিকী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। তাতে সে উল্লেখ করে, হত্যাকাণ্ডের আগে এক শিল্পপতির ফোন পেয়ে ঢাকা ক্লাব থেকে ঘটনাস্থলে যায়। সে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্পস ক্লাবে আসা-যাওয়া ছিল তাঁর। যাতায়াতের কারণেই ক্লাবের একাধিক সদস্যের সঙ্গে পরিচয় হয়। ঘটনার রাতে কয়েকজন ক্লাব সদস্যের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। আর ওই কারণেই স্টাফরা তাঁকে ধরিয়ে দেয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর বন্ধু নিরবসহ আটজন জড়িত ছিল বলে সে ওই সময় স্বীকার করে। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে বিশিষ্ট শিল্পপতি আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক ব্যবসায়ী বান্টি ইসলাম, আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তরিক সাইদ মামুন, আদনান সিদ্দিকী, ফারুক আব্বাসী, সানজিদুল হাসান ওরফে ইমন, মো. সেলিম খান ও হারুনুর রশীদ ওরফে লিটন ওরফে লেদার লিটনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
আসামি আদনানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
এই মামলার আসামি আদনান সিদ্দিকী ঘটনাস্থল থেকে জনতার হাতে আটক হন। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করার পর তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাসহ কারা কারা জড়িত ছিলেন সে বিষয়ে বলেছিলেন। আসামি বান্টি ইসলাম ও আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের পরিকল্পনায় এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় বলে তিনি স্বীকারোক্তিতে বলেন। আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন, মামুন ও বোতল চৌধুরী জড়িত থাকার কথাও জানান। এই মামলায় দুজন সাক্ষীও ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়ে আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও বান্টি ইসলামের জড়িত থাকার কথা বলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাদিয়া আফরিন শিল্পী আজকের পত্রিকাকে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের হাজির করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে অনেক আসামি খালাস পেয়েছেন। তারপরও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীদের সাজা হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ খুশি।
আরও পড়ুন:

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ২৫ বছর আগের দায়ের করা মামলায় অনেক সাক্ষী হাজির হননি। মামলার বাদী ছাড়া অন্য যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা প্রকৃত সত্য আড়াল করে গেছেন।
আদালত পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা কেউ সাক্ষ্য দিতে হাজির হননি। একজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও দুজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটদেরও পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় সঠিক বিচার সম্ভব নয়। তারপরও ঘটনার পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য বিবেচনা করে রায় দেওয়া হলো।
জনপ্রিয় একজন চিত্রনায়কের এভাবে খুন হওয়া এবং সেই বিচার এত বিলম্বিত হওয়া দুঃখজনক। মামলার নথি গায়েব, মামলার কেস ডকেট গায়েব এসব ঘটনা দুঃখজনক—আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়।
আদালত বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আসামি আদনান সিদ্দিকী আটক হয়েছিলেন এ কথা অস্বীকার করা যাবে না এবং এটা প্রমাণিত। তাঁর জবানবন্দি থেকে ও অন্যান্য সাক্ষীদের থেকে প্রমাণ হয় ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক বান্টি ইসলাম ঘটনার সময় ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার আগে সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও বান্টি ইসলামের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল সেটাও প্রমাণিত। কাজেই হত্যা পরিকল্পনা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনজন জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো। অন্য ছয়জনের বিষয়ে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হলো।
গত ২৯ এপ্রিল যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল রায়ের তারিখ ধার্য করেন। এর আগে গত ১৯ মার্চ যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়। এরও আগে গত ২৮ জানুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর তৎকালীন বিচারক এম আলী আহমেদ। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তারিখ ধার্য করেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
সাক্ষ্য গ্রহণ
এই মামলায় বিভিন্ন সময়ে ১০ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার অভিযোগ পত্রে ৩৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল।
এই মামলায় ১২ জন সাক্ষী মারা গেছেন যে কারণে তাঁরা সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি। বাকি সাক্ষীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। মামলার নথি থেকে জানা গেছে, মামলায় চারজন তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষী ছিলেন। চারজনই মারা গেছেন বলে প্রতিবেদন এসেছে। তৎকালীন দুজন ম্যাজিস্ট্রেটকে বারবার সমন সত্ত্বেও তারা হাজির হননি।
নথি গায়েব
দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার নথি গায়েব হয়েছিল। ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। নথি খুঁজে বের করার দাবিতে রিট আবেদন হয়। পরে নথি পাওয়া যায়। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এই মামলার কেস ডকেট (সিডি) খুঁজে না পাওয়ায় আরও কয়েক মাস কেটে যায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করতে। শেষ পর্যন্ত কেস ডকেট ছাড়াই সাক্ষ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন ট্রাইব্যুনাল।
যেভাবে নথি গায়েব হয়
আসামিদের মধ্যে আদনান সিদ্দিকুর ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে মামলা বাতিলের দাবিতে রিট (নম্বর: ৭০৫৩ / ২০০৩) করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট প্রথমে তিন মাসের জন্য নিম্ন আদালতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম স্থগিত করেন। পরে ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন আদালত। সেই সঙ্গে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। দীর্ঘদিন হাইকোর্ট রিট আবেদনের ওপর শুনানি ঝুলে থাকার পর ২০১৫ সালে শুনানি হয়। শুনানি শেষে ওই রুল খারিজ করে রায় দেন বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীস্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ। ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলার স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করা হয়। ছয় পাতার পূর্ণাঙ্গ রায় স্বাক্ষর শেষে আদালত থেকে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয় ২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। শাখা থেকে ওই নথি বিচারিক আদালতে পাঠানোর জন্য প্রক্রিয়া করতে ৫ অক্টোবর দেওয়া হয় টাইপ রাইটার মাহফুজুর রহমানের কাছে। কাজ শেষ করে ১৮ অক্টোবর তা আবারও শাখায় ফেরত দেন মাহফুজ। যেখানে লেখা রয়েছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ পাঠানো হলো। কিন্তু নথি আর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ফেরত যায়নি হাইকোর্ট থেকে। পরে আজকের পত্রিকায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর একপর্যায়ে মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এ হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
সেই রাতে যা ঘটেছিল ট্রাম্পস ক্লাবে
নায়ক সোহেল আহমেদ চৌধুরী ওরফে সোহেল চৌধুরীর বয়স যখন ৩৫ তখন তিনি খুন হন সন্ত্রাসীদের হাতে। ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাত ২টার দিকে তাঁকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাদের গুলিতে সোহেল চৌধুরীর বন্ধু আবুল কালাম আজাদ (৩৫) এবং ট্রাম্পস ক্লাবের কর্মচারী নিরব (২৫) ও দাইয়ান (৩৫) আহত হন। গুলির ঘটনার পরপরই জনতা আদনান সিদ্দিকী নামের এক সন্ত্রাসীকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। গুলির শব্দে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ট্রাম্পস ক্লাবে থাকা ২০০ জনের মতো নারী-পুরুষ পালিয়ে যায়। তারা ড্যান্স পার্টিতে অংশ নিয়েছিল। ওই সময় বনানী-গুলশান এলাকার কেব্ল ব্যবসা ও ট্রাম্পস ক্লাবকে কেন্দ্র করে মালিকপক্ষের সঙ্গে সোহেলের বিরোধ চরমে উঠেছিল। ঘটনার দিন রাত ৯টায় সোহেল চৌধুরী বনানীর বাসা থেকে বের হন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন শহীদ, আবুল কালাম আজাদ, হেলাল ও হাফিজ নামে চার বন্ধু। বাসা থেকে বের হয়ে তাঁরা একটি রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খান।
এরপর রাত ২টার দিকে সোহেল চৌধুরী বন্ধুদের নিয়ে বাসায় ফেরেন। কিছুক্ষণ পর বন্ধুরা মিলে ট্রাম্পস ক্লাবে যেতে থাকেন। সোহেলের বাসা থেকে ট্রাম্পস ক্লাবের দূরত্ব ২৫-৩০ গজের মতো। তাঁরা হেঁটে ক্লাবের সামনে যান। ক্লাবের নিচতলার কলাপসিবল গেটের কাছে দুই যুবক তাঁদের গতিরোধ করে। এক যুবক আবুল কালামের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ায়। এরই একপর্যায়ে এক যুবক রিভলবার বের করে কালামের পেটে দুটি গুলি করে। মুহূর্তেই সন্ত্রাসীরা সোহেল চৌধুরীর বুকে গুলি করতে শুরু করে। সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই দিন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবের ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। সোহেল চৌধুরীর বাবা তারেক আহমেদ চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। সোহেল চৌধুরী মা-বাবার সঙ্গে বনানীর বাসায় থাকতেন। তাঁর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী অন্যত্র থাকতেন। বনানীর ইকবাল টাওয়ারের পাশে ছিল ট্রাম্পস ক্লাব। ক্লাবে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার অভিযোগ ছিল। সপ্তাহে এক দিন পার্টির অনুমোদন থাকলেও প্রতিদিন রাতেই জলসা বসত সেখানে। সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের সময় তাঁর দুই স্ত্রী থাকার বিষয়টি প্রকাশ পায়। তাঁদের একজন স্মৃতি, অন্যজন তুলি। দুজনকেই ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দুজনই সোহেল চৌধুরীকে স্বামী হিসেবে দাবি করেছিলেন। ওই সময় সোহেলের মা সাংবাদিকদের কাছে দুই বউয়ের বিষয় অস্বীকার করেন। সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করে পাঁচ-ছয় সন্ত্রাসী প্রাইভেট কারে পালিয়ে যায়। আদনান সিদ্দিকী পালাতে না পেরে পাশের একটি ভবনে লুকাতে চেষ্টা করে। এ সময় ট্রাম্পস ক্লাবের কর্মীরা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর আদনান সিদ্দিকী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। তাতে সে উল্লেখ করে, হত্যাকাণ্ডের আগে এক শিল্পপতির ফোন পেয়ে ঢাকা ক্লাব থেকে ঘটনাস্থলে যায়। সে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্পস ক্লাবে আসা-যাওয়া ছিল তাঁর। যাতায়াতের কারণেই ক্লাবের একাধিক সদস্যের সঙ্গে পরিচয় হয়। ঘটনার রাতে কয়েকজন ক্লাব সদস্যের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। আর ওই কারণেই স্টাফরা তাঁকে ধরিয়ে দেয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর বন্ধু নিরবসহ আটজন জড়িত ছিল বলে সে ওই সময় স্বীকার করে। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে বিশিষ্ট শিল্পপতি আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক ব্যবসায়ী বান্টি ইসলাম, আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তরিক সাইদ মামুন, আদনান সিদ্দিকী, ফারুক আব্বাসী, সানজিদুল হাসান ওরফে ইমন, মো. সেলিম খান ও হারুনুর রশীদ ওরফে লিটন ওরফে লেদার লিটনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
আসামি আদনানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
এই মামলার আসামি আদনান সিদ্দিকী ঘটনাস্থল থেকে জনতার হাতে আটক হন। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করার পর তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাসহ কারা কারা জড়িত ছিলেন সে বিষয়ে বলেছিলেন। আসামি বান্টি ইসলাম ও আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের পরিকল্পনায় এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় বলে তিনি স্বীকারোক্তিতে বলেন। আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন, মামুন ও বোতল চৌধুরী জড়িত থাকার কথাও জানান। এই মামলায় দুজন সাক্ষীও ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়ে আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও বান্টি ইসলামের জড়িত থাকার কথা বলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাদিয়া আফরিন শিল্পী আজকের পত্রিকাকে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের হাজির করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে অনেক আসামি খালাস পেয়েছেন। তারপরও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীদের সাজা হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ খুশি।
আরও পড়ুন:

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
৪০ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
৬ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলার সদস্যসচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনদুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলার সদস্যসচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনদুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ২৫ বছর আগের দায়ের করা মামলায় অনেক সাক্ষী হাজির হননি। মামলার বাদী ছাড়া অন্য যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা প্রকৃত সত্য আড়াল করে গেছেন
০৯ মে ২০২৪
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
৬ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেআবুল কাসেম, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ২৫ বছর আগের দায়ের করা মামলায় অনেক সাক্ষী হাজির হননি। মামলার বাদী ছাড়া অন্য যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা প্রকৃত সত্য আড়াল করে গেছেন
০৯ মে ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
৪০ মিনিট আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
৬ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেআরিফ রহমান, ঝালকাঠি

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নড়বড়ে ও ভাঙাচোরা ওই সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী, নারী, শিশু ও হাসপাতালে আসা রোগীরা।
উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুপ্তি কনস্ট্রাকশন এবং কবির ট্রেডার্স যৌথভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়। সেতুটি নির্মাণে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মে মাসে শুরু হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুর নকশা পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ জন্য মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রায় ছয় মাস আগে মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণকাজ খুঁটি পর্যন্তই আটকে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিকেরা জেলহাজতে থাকা এবং তাঁদের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত রয়েছে। এ কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রকল্প প্রকৌশলী মিলন ঘরামি ও ব্যবস্থাপক মো. বাহাদুর হাওলাদার জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ পুনরায় শুরু করা হবে এবং তিন থেকে চার মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।
প্রকল্পের অগ্রিম কোনো বিল তোলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অগ্রিম কোনো বিল তোলেনি। তবে কাজের বেশ কয়েকটি মেমো তাঁদের কাছে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ধোপাবাড়ির খাল অনেক প্রশস্ত। এ জন্য স্থানীয়দের কাছে এটি নদী হিসেবে পরিচিত। খালটি বিষখালী নদীর সঙ্গে যুক্ত। খালের ওপর দীর্ঘদিন ধরে একটি কাঠের সেতু রয়েছে। এটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। নড়বড়ে হওয়ায় পথচারীরাও অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। সেতুটি শুধু আমুয়া ইউনিয়নের নয়, বরং পুরো কাঁঠালিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম। সেতুটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপজেলার একমাত্র আমুয়া হাসপাতাল, আমুয়া বন্দর ও তিনটি বড় বাজার। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সেতু ব্যবহার করছে, যার মধ্যে শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ী, নারী ও শিশু রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলশিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়ে কাঠের সেতু পার হয়। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে গিয়ে পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
আমুয়ার জনপ্রতিনিধি নকিরুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি আমাদের এলাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বছরের পর বছর কাজ বন্ধ হয়ে আছে।’
শেখ ফজিলাতুন্নেছা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভাঙাচোরা কাঠের সেতু দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত কাজ শেষ করা প্রয়োজন।’
কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নিয়মিত তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় কাজ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঝালকাঠির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নড়বড়ে ও ভাঙাচোরা ওই সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী, নারী, শিশু ও হাসপাতালে আসা রোগীরা।
উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুপ্তি কনস্ট্রাকশন এবং কবির ট্রেডার্স যৌথভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়। সেতুটি নির্মাণে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মে মাসে শুরু হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুর নকশা পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ জন্য মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রায় ছয় মাস আগে মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণকাজ খুঁটি পর্যন্তই আটকে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিকেরা জেলহাজতে থাকা এবং তাঁদের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত রয়েছে। এ কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রকল্প প্রকৌশলী মিলন ঘরামি ও ব্যবস্থাপক মো. বাহাদুর হাওলাদার জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ পুনরায় শুরু করা হবে এবং তিন থেকে চার মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।
প্রকল্পের অগ্রিম কোনো বিল তোলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অগ্রিম কোনো বিল তোলেনি। তবে কাজের বেশ কয়েকটি মেমো তাঁদের কাছে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ধোপাবাড়ির খাল অনেক প্রশস্ত। এ জন্য স্থানীয়দের কাছে এটি নদী হিসেবে পরিচিত। খালটি বিষখালী নদীর সঙ্গে যুক্ত। খালের ওপর দীর্ঘদিন ধরে একটি কাঠের সেতু রয়েছে। এটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। নড়বড়ে হওয়ায় পথচারীরাও অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। সেতুটি শুধু আমুয়া ইউনিয়নের নয়, বরং পুরো কাঁঠালিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম। সেতুটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপজেলার একমাত্র আমুয়া হাসপাতাল, আমুয়া বন্দর ও তিনটি বড় বাজার। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সেতু ব্যবহার করছে, যার মধ্যে শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ী, নারী ও শিশু রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলশিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়ে কাঠের সেতু পার হয়। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে গিয়ে পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
আমুয়ার জনপ্রতিনিধি নকিরুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি আমাদের এলাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বছরের পর বছর কাজ বন্ধ হয়ে আছে।’
শেখ ফজিলাতুন্নেছা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভাঙাচোরা কাঠের সেতু দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত কাজ শেষ করা প্রয়োজন।’
কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নিয়মিত তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় কাজ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঝালকাঠির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ২৫ বছর আগের দায়ের করা মামলায় অনেক সাক্ষী হাজির হননি। মামলার বাদী ছাড়া অন্য যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা প্রকৃত সত্য আড়াল করে গেছেন
০৯ মে ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
৪০ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেনান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
হাবিবুর রহমান বাচ্চু মুশুল্লি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি তারের ঘাট বাজার পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
সরেজমিনে দেখা যায়, তারের ঘাট বাজারে নরসুন্দা নদীর ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সেতু রয়েছে। সেতুর পশ্চিম পাশে নদীর উপরে নির্মাণ হচ্ছে পাকা ভবন। সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে হাবিবুর রহমান বাচ্চুর ছেলে মো. ফয়সাল ছবি তোলার কারণ জানতে যান। এ সময় তিনি দাবি করেন, নদীর ওপর কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে না। নিজেদের জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক এমপি তুহিনের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন হাবিবুর রহমান বাচ্চু। অবৈধভাবে পাথর ব্যবসার পাশাপাশি দখল করেছেন সরকারি জায়গা। ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। তবে সরকার পতনের পর ভোল বদলে ফেলেন।
নদীর জায়গায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই জমি আমার নিজস্ব সম্পত্তি। নদীর পাড়ের ভেতরে আমার আরও প্রায় ৫০ ফুট জমি আছে।’ তবে মুশুল্লি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নির্মাণাধীন স্থাপনাটি কোনো ব্যক্তিগত জমিতে নয়। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে পড়ে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বিজয় চন্দ্র বসাক বলেন, ‘সড়ক ও সেতুর দুই পাশে সওজের নিজস্ব জমি রয়েছে। সওজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।’
নান্দাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জান্নাত বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপাতত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
হাবিবুর রহমান বাচ্চু মুশুল্লি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি তারের ঘাট বাজার পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
সরেজমিনে দেখা যায়, তারের ঘাট বাজারে নরসুন্দা নদীর ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সেতু রয়েছে। সেতুর পশ্চিম পাশে নদীর উপরে নির্মাণ হচ্ছে পাকা ভবন। সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে হাবিবুর রহমান বাচ্চুর ছেলে মো. ফয়সাল ছবি তোলার কারণ জানতে যান। এ সময় তিনি দাবি করেন, নদীর ওপর কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে না। নিজেদের জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক এমপি তুহিনের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন হাবিবুর রহমান বাচ্চু। অবৈধভাবে পাথর ব্যবসার পাশাপাশি দখল করেছেন সরকারি জায়গা। ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। তবে সরকার পতনের পর ভোল বদলে ফেলেন।
নদীর জায়গায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই জমি আমার নিজস্ব সম্পত্তি। নদীর পাড়ের ভেতরে আমার আরও প্রায় ৫০ ফুট জমি আছে।’ তবে মুশুল্লি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নির্মাণাধীন স্থাপনাটি কোনো ব্যক্তিগত জমিতে নয়। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে পড়ে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বিজয় চন্দ্র বসাক বলেন, ‘সড়ক ও সেতুর দুই পাশে সওজের নিজস্ব জমি রয়েছে। সওজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।’
নান্দাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জান্নাত বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপাতত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ২৫ বছর আগের দায়ের করা মামলায় অনেক সাক্ষী হাজির হননি। মামলার বাদী ছাড়া অন্য যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা প্রকৃত সত্য আড়াল করে গেছেন
০৯ মে ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
৪০ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
৬ ঘণ্টা আগে