কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক আব্দুল কাদির মিয়ার বিরুদ্ধে খাজনা খারিজ করে দেওয়ার জন্য ঘুষের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা নেওয়ার সময় গোপনে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে আলোচনা চলছে স্থানীয়দের মধ্যে।
তবে অফিস সহায়ক আব্দুল কাদির মিয়া ঘুষের টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আব্দুল কাদির মিয়া তাঁর দপ্তরে বসে প্রকাশ্যে সেবা নিতে আসা ভোলা মিয়ার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা গুনে নিচ্ছেন। ভোলা মিয়া বলছেন, ‘সব খারিজ সমান নয়। গরিব মানুষ কাজটা করে দিয়ে দেন।’ প্রত্যুত্তরে আব্দুল কাদির বলেন, ‘কথা ছিল ছয় হাজার টাকা দিবেন। কম দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে পরে হলেও দিতে হবে। একটা কাজ করে কিছু টাকা পাওয়া না গেলে চলে না।’ এরপর টাকাগুলো গুনে পকেটে ভরেন আব্দুল কাদির। চলে যাওয়ার সময় ভোলা মিয়া আবারও বলেন, ‘আপনি আরও এক হাজার টাকার আবদার করেছেন, একটা বিহিত (ব্যবস্থা) হবে। আপনি কাজটা করে রাখেন।’
আব্দুল কাদির মিয়া সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ কচুরি গ্রামের বাসিন্দা। সরেজমিন তাঁর এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি যে বাসায় বসবাস করেন সেটি তাঁর স্ত্রীর ভাইদের দেওয়া সম্পত্তি। ওই সম্পত্তিতে একটি হাফ বিল্ডিং বাসা করে কাদির মিয়া এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা বসবাস করেন।
স্থানীয়রা বলছেন, বিলাসবহুল জীবনযাপন কাদির মিয়া করেন না। তবে তাঁর সন্তানদের তিনি ঢাকায় পড়াশোনা করাচ্ছেন। তবে ঢাকায় তাঁর বাড়ি রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তারা।
সরেজমিন মাইজখাপন ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। কেউ বলছেন, সরকারি ফি দিয়েও সেবাগ্রহীতাদের আব্দুল কাদিরকে বাড়তি টাকা দিতে হয়। তা না হলে মাসের পর মাস ফাইল পড়ে থাকে ভূমি অফিসে। আবার কেউ বলছেন, সেবা নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট।
ইউনিয়ন ভূমি অফিস সূত্র জানা যায়, এই অফিসে মাসে সর্বোচ্চ ১৫-২০টি খাজনা খারিজ হয়ে থাকে। ঘটনাটি আনুমানিক পাঁচ মাস আগের। মাইজখাপন ইউনিয়নের অনেক বাসিন্দারাই খাজনা খারিজ করতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার হয়, তা বোঝেন না। তাই তাঁরা সহযোগিতা চান। সহযোগিতা করতে না চাইলেও তাঁদের পীড়াপীড়িতে অনেক সময় প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে সহযোগিতা করতে হয়।
এ বিষয়ে নুরুল ইসলাম ও ফুল মিয়া নামের দুজন ভুক্তভোগী জানান, যে জায়গা খারিজ করতে তিন হাজার টাকা লাগে, সেখানে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া ২৪ শতাংশ জমির খারিজের জন্য ২৩ হাজার টাকা চেয়েছেন কাদির। পরে খারিজ না করে চলে যান তাঁরা।
অন্যদিকে মাইজখাপন ইউনিয়নের চন্দ্রাবতী মন্দিরের পুরোহিত অর্জুন চক্রবর্তী ও মাইজখাপন ইউনিয়নের নীলগঞ্জ বাজারের মিষ্টির ব্যবসায়ী মো. হারিছ মিয়া জানান, তাঁরা অনলাইনে আবেদন করে খাজনা খারিজ করে ফেলেছেন। ভূমি অফিসে গিয়ে কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার হননি তাঁরা। ভোগান্তির শিকার হলে অভিযোগ দেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে বলেও তাঁরা উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অফিস সহায়ক আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, ‘আমি ভূমি অফিসের সামান্য একজন স্টাফ। গ্রামের সাধারণ মানুষ খাজনা খারিজের জন্য আমাদের কাছে আসে। যদিও এখন অনলাইনে আবেদন করে খাজনা খারিজ নিতে হয়, কিন্তু গ্রামের মানুষ এসব না বোঝার কারণে আমাকে সহযোগিতার অনুরোধ করে।’
কাদির মিয়া আরও বলেন, ‘ভিডিওতে যে অভিযোগ আসছে, ওই ব্যক্তি একজন লোক নিয়ে আনুমানিক পাঁচ মাস আগে আমার কাছে আসে তার খারিজসহ বকেয়া খাজনা পরিশোধের জন্য। যদিও এটা আমার কাজ না, তবু পরিচিত হিসেবে আমাকে অনুরোধ করে। আমি শুরুতে না করলেও ওনার পীড়াপীড়িতে আমি রাজি হয়েছিলাম। কম্পিউটারে একটা খারিজের আবেদন ফি, পরচা ওঠানোর ফি, ডিসিআর ফি এবং জমির খাজনা বাবদ একটা আনুমানিক হিসাব তাঁকে বলেছিলাম।’
আব্দুল কাদির আরও বলেন, ‘উনি কেবল খাজনা খারিজের আবেদনসহ সরকারি যে ফি সেটিই আমাকে দিয়েছেন। বাড়তি কোনো টাকা দেন নাই বা আমি নেই নাই। এবং উনি খাজনা খারিজ পাঁচ মাস আগেই নিয়ে গেছেন। অভিযোগ থাকলে আরও আগেই তিনি সেটা করতে পারতেন। কয়েক দিন আগে ওনার (ভোলা মিয়া) সাথে থাকা লোকটা আরও কয়েকজনের সাথে বেশ কয়েকটা অন্যায় কাজের তদবিরে আমাদের অফিসে আসে। সে আমাকে সহযোগিতার জন্য প্রথমে অনুরোধ করে এবং পরে চাপ দিতে থাকে। অন্যায় কাজ হওয়ায় আমি রাজি না হওয়ায় তার মোবাইলে থাকা পাঁচ মাস আগের সেই ভিডিও আমাকে দেখিয়ে টাকা দাবি করে, নাইলে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি যেহেতু অন্যায় করি নাই, এ জন্য আপস করি নাই। তবে আমাকে বিপদে না ফেলার অনুরোধ করেছিলাম। এখন এ বিষয়ে আমাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শোকজ করেছেন, আমি বিধি মোতাবেক জবাব দেব।’
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ঘুষ দেওয়া বা নেওয়া দুটোই অপরাধ। সরকার ভূমি সেবাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনার জন্য ভূমি-সংক্রান্ত প্রায় সকল সেবা অনলাইন করেছে। মানুষ এখন ঘরে বসেই অনলাইনে নামজারি ও ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ-সংক্রান্ত সকল সেবা নিতে পারেন। ভূমি সেবা-সংক্রান্ত সকল সেবা এখন অনলাইনে এসি ল্যান্ড, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার থেকে ভূমিসচিব পর্যন্ত মনিটর করেন। সুতরাং, ভূমিসেবা প্রদানে হয়রানি করার কোনো সুযোগ নাই। কেউ করলে অভিযোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাকিবুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আলোচিত বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তকে শোকজ করে তিন দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা ও জবাব চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মাইজখাপন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকেও ব্যাখ্যাসহ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অভিযুক্ত মূলত একজন অফিস সহায়ক, নামজারি সেবা বা ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সঙ্গে জড়িত হওয়ার এখতিয়ার বা সুযোগ তাঁর নেই। শোকজের জবাব অনুসারে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লেখা হবে। এমনিতে মৌখিকভাবে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রোববার ব্যাখ্যাসহ তদন্ত প্রতিবেদন ও অফিস সহায়ক আব্দুল কাদিরের জবাব অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক আব্দুল কাদির মিয়ার বিরুদ্ধে খাজনা খারিজ করে দেওয়ার জন্য ঘুষের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা নেওয়ার সময় গোপনে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে আলোচনা চলছে স্থানীয়দের মধ্যে।
তবে অফিস সহায়ক আব্দুল কাদির মিয়া ঘুষের টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আব্দুল কাদির মিয়া তাঁর দপ্তরে বসে প্রকাশ্যে সেবা নিতে আসা ভোলা মিয়ার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা গুনে নিচ্ছেন। ভোলা মিয়া বলছেন, ‘সব খারিজ সমান নয়। গরিব মানুষ কাজটা করে দিয়ে দেন।’ প্রত্যুত্তরে আব্দুল কাদির বলেন, ‘কথা ছিল ছয় হাজার টাকা দিবেন। কম দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে পরে হলেও দিতে হবে। একটা কাজ করে কিছু টাকা পাওয়া না গেলে চলে না।’ এরপর টাকাগুলো গুনে পকেটে ভরেন আব্দুল কাদির। চলে যাওয়ার সময় ভোলা মিয়া আবারও বলেন, ‘আপনি আরও এক হাজার টাকার আবদার করেছেন, একটা বিহিত (ব্যবস্থা) হবে। আপনি কাজটা করে রাখেন।’
আব্দুল কাদির মিয়া সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ কচুরি গ্রামের বাসিন্দা। সরেজমিন তাঁর এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি যে বাসায় বসবাস করেন সেটি তাঁর স্ত্রীর ভাইদের দেওয়া সম্পত্তি। ওই সম্পত্তিতে একটি হাফ বিল্ডিং বাসা করে কাদির মিয়া এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা বসবাস করেন।
স্থানীয়রা বলছেন, বিলাসবহুল জীবনযাপন কাদির মিয়া করেন না। তবে তাঁর সন্তানদের তিনি ঢাকায় পড়াশোনা করাচ্ছেন। তবে ঢাকায় তাঁর বাড়ি রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তারা।
সরেজমিন মাইজখাপন ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। কেউ বলছেন, সরকারি ফি দিয়েও সেবাগ্রহীতাদের আব্দুল কাদিরকে বাড়তি টাকা দিতে হয়। তা না হলে মাসের পর মাস ফাইল পড়ে থাকে ভূমি অফিসে। আবার কেউ বলছেন, সেবা নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট।
ইউনিয়ন ভূমি অফিস সূত্র জানা যায়, এই অফিসে মাসে সর্বোচ্চ ১৫-২০টি খাজনা খারিজ হয়ে থাকে। ঘটনাটি আনুমানিক পাঁচ মাস আগের। মাইজখাপন ইউনিয়নের অনেক বাসিন্দারাই খাজনা খারিজ করতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার হয়, তা বোঝেন না। তাই তাঁরা সহযোগিতা চান। সহযোগিতা করতে না চাইলেও তাঁদের পীড়াপীড়িতে অনেক সময় প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে সহযোগিতা করতে হয়।
এ বিষয়ে নুরুল ইসলাম ও ফুল মিয়া নামের দুজন ভুক্তভোগী জানান, যে জায়গা খারিজ করতে তিন হাজার টাকা লাগে, সেখানে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া ২৪ শতাংশ জমির খারিজের জন্য ২৩ হাজার টাকা চেয়েছেন কাদির। পরে খারিজ না করে চলে যান তাঁরা।
অন্যদিকে মাইজখাপন ইউনিয়নের চন্দ্রাবতী মন্দিরের পুরোহিত অর্জুন চক্রবর্তী ও মাইজখাপন ইউনিয়নের নীলগঞ্জ বাজারের মিষ্টির ব্যবসায়ী মো. হারিছ মিয়া জানান, তাঁরা অনলাইনে আবেদন করে খাজনা খারিজ করে ফেলেছেন। ভূমি অফিসে গিয়ে কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার হননি তাঁরা। ভোগান্তির শিকার হলে অভিযোগ দেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে বলেও তাঁরা উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অফিস সহায়ক আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, ‘আমি ভূমি অফিসের সামান্য একজন স্টাফ। গ্রামের সাধারণ মানুষ খাজনা খারিজের জন্য আমাদের কাছে আসে। যদিও এখন অনলাইনে আবেদন করে খাজনা খারিজ নিতে হয়, কিন্তু গ্রামের মানুষ এসব না বোঝার কারণে আমাকে সহযোগিতার অনুরোধ করে।’
কাদির মিয়া আরও বলেন, ‘ভিডিওতে যে অভিযোগ আসছে, ওই ব্যক্তি একজন লোক নিয়ে আনুমানিক পাঁচ মাস আগে আমার কাছে আসে তার খারিজসহ বকেয়া খাজনা পরিশোধের জন্য। যদিও এটা আমার কাজ না, তবু পরিচিত হিসেবে আমাকে অনুরোধ করে। আমি শুরুতে না করলেও ওনার পীড়াপীড়িতে আমি রাজি হয়েছিলাম। কম্পিউটারে একটা খারিজের আবেদন ফি, পরচা ওঠানোর ফি, ডিসিআর ফি এবং জমির খাজনা বাবদ একটা আনুমানিক হিসাব তাঁকে বলেছিলাম।’
আব্দুল কাদির আরও বলেন, ‘উনি কেবল খাজনা খারিজের আবেদনসহ সরকারি যে ফি সেটিই আমাকে দিয়েছেন। বাড়তি কোনো টাকা দেন নাই বা আমি নেই নাই। এবং উনি খাজনা খারিজ পাঁচ মাস আগেই নিয়ে গেছেন। অভিযোগ থাকলে আরও আগেই তিনি সেটা করতে পারতেন। কয়েক দিন আগে ওনার (ভোলা মিয়া) সাথে থাকা লোকটা আরও কয়েকজনের সাথে বেশ কয়েকটা অন্যায় কাজের তদবিরে আমাদের অফিসে আসে। সে আমাকে সহযোগিতার জন্য প্রথমে অনুরোধ করে এবং পরে চাপ দিতে থাকে। অন্যায় কাজ হওয়ায় আমি রাজি না হওয়ায় তার মোবাইলে থাকা পাঁচ মাস আগের সেই ভিডিও আমাকে দেখিয়ে টাকা দাবি করে, নাইলে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি যেহেতু অন্যায় করি নাই, এ জন্য আপস করি নাই। তবে আমাকে বিপদে না ফেলার অনুরোধ করেছিলাম। এখন এ বিষয়ে আমাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শোকজ করেছেন, আমি বিধি মোতাবেক জবাব দেব।’
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ঘুষ দেওয়া বা নেওয়া দুটোই অপরাধ। সরকার ভূমি সেবাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনার জন্য ভূমি-সংক্রান্ত প্রায় সকল সেবা অনলাইন করেছে। মানুষ এখন ঘরে বসেই অনলাইনে নামজারি ও ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ-সংক্রান্ত সকল সেবা নিতে পারেন। ভূমি সেবা-সংক্রান্ত সকল সেবা এখন অনলাইনে এসি ল্যান্ড, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার থেকে ভূমিসচিব পর্যন্ত মনিটর করেন। সুতরাং, ভূমিসেবা প্রদানে হয়রানি করার কোনো সুযোগ নাই। কেউ করলে অভিযোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাকিবুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আলোচিত বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তকে শোকজ করে তিন দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা ও জবাব চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মাইজখাপন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকেও ব্যাখ্যাসহ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অভিযুক্ত মূলত একজন অফিস সহায়ক, নামজারি সেবা বা ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সঙ্গে জড়িত হওয়ার এখতিয়ার বা সুযোগ তাঁর নেই। শোকজের জবাব অনুসারে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লেখা হবে। এমনিতে মৌখিকভাবে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রোববার ব্যাখ্যাসহ তদন্ত প্রতিবেদন ও অফিস সহায়ক আব্দুল কাদিরের জবাব অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
৮ মিনিট আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
১ ঘণ্টা আগেবাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন। মৃতের বড় ভাই মো. বাহাদুর হোসেন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাহাদুর হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার জানাজায় শরিক হতে নিরব হোসেন তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় যান। জানাজার সময় অতিরিক্ত মানুষের ভিড়ের চাপে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলেও ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, কর্মজীবনে মো. নিরব হোসেন ১৯৯৮ সাল থেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় দৈনিক জনকণ্ঠে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চব্বিশের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নিরব হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরে সরকারিভাবে চিকিৎসার জন্য তাঁকে থাইল্যান্ড পাঠানো হয় এবং চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন। মৃতের বড় ভাই মো. বাহাদুর হোসেন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাহাদুর হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার জানাজায় শরিক হতে নিরব হোসেন তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় যান। জানাজার সময় অতিরিক্ত মানুষের ভিড়ের চাপে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলেও ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, কর্মজীবনে মো. নিরব হোসেন ১৯৯৮ সাল থেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় দৈনিক জনকণ্ঠে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চব্বিশের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নিরব হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরে সরকারিভাবে চিকিৎসার জন্য তাঁকে থাইল্যান্ড পাঠানো হয় এবং চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক আব্দুল কাদির মিয়ার বিরুদ্ধে খাজনা খারিজ করে দেওয়ার জন্য ঘুষের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা নেওয়ার সময় গোপনে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে আলোচনা চলছে স্থানীয়দের মধ্যে...
৩০ মার্চ ২০২৪
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

‘আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না’—ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আব্দুল খালেকের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে চাহিদামতো ঘুষের টাকা না পেয়ে ওই প্রকৌশলীকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে এমন কথা বলতে শোনা গেছে।
৩১ সেকেন্ডের ভিডিওটি গোপনে তাঁর কার্যালয় থেকে ধারণ করা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয় স্থানীয় সাংবাদিক নিজাম নকিবের ‘নগদ খবর’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে।
জানতে চাইলে নিজাম নকিব জানান, গত মঙ্গলবার এক ব্যক্তি তাঁকে ভিডিওটি পাঠিয়েছেন এবং এটি আজকে ধারণ করা বলে জানান তিনি। তবে ওই ব্যক্তি নিজের নাম ইমতিয়াজ আসিফ বললেও অন্য পরিচয় গোপন রাখেন।
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।

এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার, রাখেন এইটা স্যার, বিলের ফাইল ছাড়ার সময় ৪৫ হাজার টাকা নিলেনই আপনি আমার কাছ থেকে। রাখেন স্যার, তিন হাজার টাকা রাখেন, পাঁচ হাজার টাকা নাই।’
পরে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি সই করব, তারপর ইউএনও সই করবে। আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না।’
ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বদমাশ ভিডিওটি করেছে। আমি তাকে চিনিও না, জানিও না। আন্দাজে কী কয় কী হয়, যা পারে করুক। এগুলো নিয়ে এখন আর কিছু বলার নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরাজ শারবীন বলেন, ‘ভিডিওটি পূর্বের, আমি দেখেছি। এ ছাড়া আমি নতুন এসেছি। এসব বিষয়ে তাদের ডিপার্টমেন্ট (এলজিইডি) থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না’—ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আব্দুল খালেকের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে চাহিদামতো ঘুষের টাকা না পেয়ে ওই প্রকৌশলীকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে এমন কথা বলতে শোনা গেছে।
৩১ সেকেন্ডের ভিডিওটি গোপনে তাঁর কার্যালয় থেকে ধারণ করা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয় স্থানীয় সাংবাদিক নিজাম নকিবের ‘নগদ খবর’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে।
জানতে চাইলে নিজাম নকিব জানান, গত মঙ্গলবার এক ব্যক্তি তাঁকে ভিডিওটি পাঠিয়েছেন এবং এটি আজকে ধারণ করা বলে জানান তিনি। তবে ওই ব্যক্তি নিজের নাম ইমতিয়াজ আসিফ বললেও অন্য পরিচয় গোপন রাখেন।
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।

এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার, রাখেন এইটা স্যার, বিলের ফাইল ছাড়ার সময় ৪৫ হাজার টাকা নিলেনই আপনি আমার কাছ থেকে। রাখেন স্যার, তিন হাজার টাকা রাখেন, পাঁচ হাজার টাকা নাই।’
পরে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি সই করব, তারপর ইউএনও সই করবে। আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না।’
ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বদমাশ ভিডিওটি করেছে। আমি তাকে চিনিও না, জানিও না। আন্দাজে কী কয় কী হয়, যা পারে করুক। এগুলো নিয়ে এখন আর কিছু বলার নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরাজ শারবীন বলেন, ‘ভিডিওটি পূর্বের, আমি দেখেছি। এ ছাড়া আমি নতুন এসেছি। এসব বিষয়ে তাদের ডিপার্টমেন্ট (এলজিইডি) থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক আব্দুল কাদির মিয়ার বিরুদ্ধে খাজনা খারিজ করে দেওয়ার জন্য ঘুষের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা নেওয়ার সময় গোপনে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে আলোচনা চলছে স্থানীয়দের মধ্যে...
৩০ মার্চ ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
১ ঘণ্টা আগেকর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়। আজ বুধবার দুপুরে খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই শিশুদের বাবা দাবি করে আনোয়ারার ইউএনও ও থানার ওসির সঙ্গে দেখা করেন। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশে দুই শিশুর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রশাসন।
এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের মাজারগেট এলাকা থেকে আয়শা (৪) ও মোরশেদ (২) নামের শিশু দুটিকে উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রাখেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মহিম উদ্দিন। গত সোমবার সারা দিন আনোয়ারা থানা ও উপজেলা প্রশাসন ওই শিশুদের পরিবার ও অভিভাবকদের তথ্য পেতে চেষ্টা করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই শিশুকে নিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে যান আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার। জেলা প্রশাসক তাদের চিকিৎসা ও যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেন। পরে দুই শিশুর মধ্যে আয়শাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ মোরশেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ দুপুরে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিশুদের বাবা খোরশেদ। বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী।
পুলিশের হেফাজতে থাকা খোরশেদ আলমের বরাতে পুলিশ জানায়, খোরশেদ পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। পাশাপাশি বাঁশখালীর একটি ভাঙারির দোকানেও কাজ করেন। খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার মহামনি এলাকায় তাঁর বাড়ি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাঁশখালীর মিয়ার বাজার লস্করপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্ত্রীর বাড়ি সাতকানিয়া। ৫-৬ মাস আগে তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যান। স্ত্রী তাঁর ছোট প্রতিবন্ধী শিশুটিকে দিয়ে ভিক্ষা করাতেন। এটা নিয়েও স্বামী-স্ত্রীর একাধিকবার ঝগড়া হয়েছিল।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিশু দুটিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ারা থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আনোয়ারা থানার শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা শিশু আইন-২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে সম্পর্কে ৫ জানুয়ারির মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের আদেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে আনোয়ারা থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শিশুদের বাবার খোঁজ পেয়েছি। বিস্তারিত জানার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আদালত জানতে চেয়েছেন শিশুদের ব্যাপারে আমরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি।’
ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, সড়কের পাশে পাওয়া দুই শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তাদের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বড় শিশুকে আশ্রয়দানকারী মহিম উদ্দিনের হেফাজতে রাখা হয়। তিনি বলেন, আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং প্রশাসন স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করছে।

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়। আজ বুধবার দুপুরে খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই শিশুদের বাবা দাবি করে আনোয়ারার ইউএনও ও থানার ওসির সঙ্গে দেখা করেন। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশে দুই শিশুর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রশাসন।
এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের মাজারগেট এলাকা থেকে আয়শা (৪) ও মোরশেদ (২) নামের শিশু দুটিকে উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রাখেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মহিম উদ্দিন। গত সোমবার সারা দিন আনোয়ারা থানা ও উপজেলা প্রশাসন ওই শিশুদের পরিবার ও অভিভাবকদের তথ্য পেতে চেষ্টা করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই শিশুকে নিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে যান আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার। জেলা প্রশাসক তাদের চিকিৎসা ও যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেন। পরে দুই শিশুর মধ্যে আয়শাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ মোরশেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ দুপুরে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিশুদের বাবা খোরশেদ। বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী।
পুলিশের হেফাজতে থাকা খোরশেদ আলমের বরাতে পুলিশ জানায়, খোরশেদ পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। পাশাপাশি বাঁশখালীর একটি ভাঙারির দোকানেও কাজ করেন। খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার মহামনি এলাকায় তাঁর বাড়ি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাঁশখালীর মিয়ার বাজার লস্করপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্ত্রীর বাড়ি সাতকানিয়া। ৫-৬ মাস আগে তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যান। স্ত্রী তাঁর ছোট প্রতিবন্ধী শিশুটিকে দিয়ে ভিক্ষা করাতেন। এটা নিয়েও স্বামী-স্ত্রীর একাধিকবার ঝগড়া হয়েছিল।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিশু দুটিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ারা থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আনোয়ারা থানার শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা শিশু আইন-২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে সম্পর্কে ৫ জানুয়ারির মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের আদেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে আনোয়ারা থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শিশুদের বাবার খোঁজ পেয়েছি। বিস্তারিত জানার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আদালত জানতে চেয়েছেন শিশুদের ব্যাপারে আমরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি।’
ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, সড়কের পাশে পাওয়া দুই শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তাদের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বড় শিশুকে আশ্রয়দানকারী মহিম উদ্দিনের হেফাজতে রাখা হয়। তিনি বলেন, আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং প্রশাসন স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করছে।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক আব্দুল কাদির মিয়ার বিরুদ্ধে খাজনা খারিজ করে দেওয়ার জন্য ঘুষের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা নেওয়ার সময় গোপনে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে আলোচনা চলছে স্থানীয়দের মধ্যে...
৩০ মার্চ ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
৮ মিনিট আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামা অনুযায়ী, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৪ টাকা। তাঁর বার্ষিক আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা। এর বিপরীতে তিনি ৪৫ হাজার ৪২৫ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন।
হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ৪৩ হাজার ২৫০ টাকা। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে তাঁর জমা রয়েছে ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ টাকা। পেশা হিসেবে তিনি নিজেকে পরামর্শক উল্লেখ করেছেন।
এ ছাড়া বন্ড, ঋণপত্র এবং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁর ৩ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে।
হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নামে কোনো জমি, বাড়ি কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। তবে তাঁর পরিবারের মোট ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তাঁর স্ত্রী পেশায় একজন চিকিৎসক। সর্বশেষ আয়কর বিবরণী অনুযায়ী, তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৩ টাকা।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মালিকানায় রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার বৈদ্যুতিকসামগ্রী এবং ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র। তবে তাঁর বা তাঁর পরিবারের নামে কোনো যানবাহন বা ব্যক্তিগত গাড়ি নেই।
হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর আয়ের প্রধান উৎস ব্যবসা ও পরামর্শক পেশা। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ২ হাজার ৮৩০ টাকা এবং পরামর্শক পেশা থেকে আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে তাঁর আয় রয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।
নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামা অনুযায়ী, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৪ টাকা। তাঁর বার্ষিক আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা। এর বিপরীতে তিনি ৪৫ হাজার ৪২৫ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন।
হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ৪৩ হাজার ২৫০ টাকা। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে তাঁর জমা রয়েছে ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ টাকা। পেশা হিসেবে তিনি নিজেকে পরামর্শক উল্লেখ করেছেন।
এ ছাড়া বন্ড, ঋণপত্র এবং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁর ৩ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে।
হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নামে কোনো জমি, বাড়ি কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। তবে তাঁর পরিবারের মোট ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তাঁর স্ত্রী পেশায় একজন চিকিৎসক। সর্বশেষ আয়কর বিবরণী অনুযায়ী, তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৩ টাকা।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মালিকানায় রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার বৈদ্যুতিকসামগ্রী এবং ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র। তবে তাঁর বা তাঁর পরিবারের নামে কোনো যানবাহন বা ব্যক্তিগত গাড়ি নেই।
হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর আয়ের প্রধান উৎস ব্যবসা ও পরামর্শক পেশা। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ২ হাজার ৮৩০ টাকা এবং পরামর্শক পেশা থেকে আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে তাঁর আয় রয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক আব্দুল কাদির মিয়ার বিরুদ্ধে খাজনা খারিজ করে দেওয়ার জন্য ঘুষের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা নেওয়ার সময় গোপনে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে আলোচনা চলছে স্থানীয়দের মধ্যে...
৩০ মার্চ ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
৮ মিনিট আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
১ ঘণ্টা আগে