Ajker Patrika

সোহেল চৌধুরী হত্যার পরিকল্পনাকারী আশীষ কানাডা পালাতে চেয়েছিলেন: র‍্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ মে ২০২৪, ১১: ৪৮
সোহেল চৌধুরী হত্যার পরিকল্পনাকারী আশীষ কানাডা পালাতে চেয়েছিলেন: র‍্যাব

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে কানাডায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন আশীষ রায় চৌধুরী। কিন্তু তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলেছিলেন আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়ে তিনি যেন চলে যান। আর এর আগে গ্রেপ্তার হবেন না বলেও তাঁরা আশ্বাস দেন। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

র‍্যাব জানিয়েছে, আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে উচিত শিক্ষা দিতেই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি এই হত্যার পরিকল্পনাকারীদের একজন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কারণসহ সোহেল হত্যায় সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন তিনি।

আল মঈন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আশীষ জানান ১৯৯৬ সালে বনানীর আবেদীন টাওয়ারে আশীষ ও আসাদুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলামের যৌথ মালিকানায় ট্রাম্পস নামের একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ হতো। একপর্যায়ে ক্লাবটি আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ও গ্যাংলিডারদের একটি বিশেষ আখড়ায় পরিণত হয়। সেখানে সবচেয়ে বেশি যাতায়াত ছিল আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের। তিনি মূলত ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের চক্রগুলোর সঙ্গে মিটিং করতে এই ক্লাবে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সেই সুবাদে বান্টি ও আশীষের সঙ্গে আজিজ মোহাম্মদের সখ্য তৈরি হয়। এই তিনজন ক্লাব ব্যবহার করে ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।

র‍্যাব বলছে, ক্লাবের পাশে ছিল বনানী জামে মসজিদ। সোহেল চৌধুরী মসজিদ কমিটিকে সঙ্গে নিয়ে ক্লাবের অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধে বারবার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। মসজিদ কমিটিকে সঙ্গে নিয়ে সোহেল চৌধুরী প্রতিবাদও করেন। ক্লাবটি বন্ধের চেষ্টা করায় বান্টি, আশীষ, আজিজ, তৎকালীন শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনের চক্ষুঃশূলে পরিণত হন সোহেল চৌধুরী। ১৯৯৮ সালের ২৪ জুলাই আজিজের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর তর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আজিজ ক্ষুব্ধ হয়ে সোহেলের ওপর প্রতিশোধ নিতে বান্টি ও আশীষকে অনুরোধ জানান।

র‍্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘আশীষ ও বান্টি সোহেল চৌধুরীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তখন তাঁরা এই দায়িত্ব দেন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনকে। ইমন এ প্রস্তাবে রাজি হন। পরে ইমন এ হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করেন।’

র‍্যাব বলছে, ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। যার মামলা নম্বর ৫৯। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ৯ জনের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ২০০১ সালের ৩০ নভেম্বর মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে মামলা বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই মামলার ১ নং আসামি আদনান সিদ্দিকী দুই বছর পর হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। পরে হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট পুনরায় আরেকটি রায় দেন। এ রায়ে আগের জারি করা রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। প্রত্যাহার করা হয় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ। 

সর্বশেষ চলতি বছরের গত ২৮ মার্চ আদালত অনুপস্থিতির কারণে ছয় পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেন। এরও এক মাস পর পরোয়ানার কপি সংগ্রহ করে র‍্যাব। 

প্রসঙ্গত, গতকাল রাতে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত পলাতক আসামি আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে রাজধানীর গুলশানের এক বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় জলদস্যুদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ৫

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৬
সংঘর্ষে নিহত কয়েকজন। ছবি: সংগৃহীত
সংঘর্ষে নিহত কয়েকজন। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর হাতিয়ায় জাগলার চর দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার জাগলার চরে এ সংঘর্ষ হয়।

নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আর চারজনের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তিনি নিহত ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা জানাতে পারেননি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক মাস ধরে হাতিয়ার পশ্চিম পাশে জাগলার চর দখল নিয়ে জলদস্যুদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে। আজকে দখল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে উভয় পক্ষের অনেকে আহত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দীপু দাসের পরিবারের পাশে শহীদুল আলমসহ ১৮ মানবাধিকারকর্মী

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
দীপু দাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন শহীদুল আলমসহ মানবাধিকারকর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দীপু দাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন শহীদুল আলমসহ মানবাধিকারকর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নিহত দীপু চন্দ্র দাসের (২৮) পরিবারের সঙ্গে দেখা করে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা। এ সময় তাঁরা পরিবারটির প্রতি সমবেদনা জানিয়ে রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১টায় ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়াকান্দা গ্রামের দীপু দাসের বাড়িতে যায় মো. শহীদুল আলমসহ ১৮ সদস্যের মানবাধিকারকর্মীর একটি প্রতিনিধিদল।

মানবাধিকারকর্মীরা দীপু চন্দ্র দাসের স্ত্রী মেঘনা রানীর সঙ্গে কথা বলে পরিবারের আর্থিক অবস্থাসহ অন্যান্য বিষয়ের খোঁজখবর নেন। পরে পরিবারটির যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মানবাধিকারকর্মী শহীদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ, মর্মাহত, দুঃখিত। অপবাদ দিয়ে বিনা প্রমাণে একটা মানুষকে শুধু হত‍্যা করা হলো না, লাশকে পোড়ানো হলো, অসম্মান করা হলো। এটা আমাদের জন‍্য অত‍্যন্ত বেদনাদায়ক। আমরা এসেছি ন‍্যায়বিচারের আশায়। আমরা ন্যায়বিচার আদায় করে ছাড়ব। সমাজের কাছে এবং সরকারের কাছে দাবি, শুধু ন্যায়বিচার না, বরং এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে ব্যবস্থা নেওয়া। সত‍্যিকার অর্থে আমরা যেন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ দেখে যেতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, দীপু চন্দ্র দাসের পরিবার ও সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তবে আমরা এই পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকব।’

প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, লেখক ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাবেক সদস্য ফিরোজ আহমেদ, মানবাধিকারকর্মী দীপায়ন খীসা, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ প্রমুখ। এ ছাড়া জাতীয় আইন সহায়তা কেন্দ্র ব্লাস্ট, এএলআরডি ও মানবাধিকার সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

১৮ ডিসেম্বর রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ভালুকায় দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। নিহত দীপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি গত দুই বছর ধরে ভালুকার জামিরদিয়া পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কোম্পানিতে কাজ করছিলেন। এই হত্যার ঘটনায় নিহত দীপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস ১৯ ডিসেম্বর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় র‍্যাব-পুলিশের সদস্যরা ইতিমধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মৌলভীবাজারে ডেভিল হান্ট ফেজ-২ অভিযানে গ্রেপ্তার ৫১

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ নামে বিশেষ অভিযানে মৌলভীবাজারে গত সাত দিনে ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়।

জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর অভিযানের অংশ হিসেবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ওরফে দাঁতভাঙা কবিরকে ফের ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

৭ দিনের রিমান্ড শেষে বিকেলে কবিরকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৬ ডিসেম্বর কবিরকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

কবির পটুয়াখালী সদরের টিটকাটা এলাকার মৃত মোজাফফরের ছেলে। তিনি রাজধানীর আদাবর থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নবোদয় হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করতেন। গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি একটি রিকশায় করে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুই জনের একজন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়।

হাদি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হলে গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।

গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

এ মামলায় ফয়সাল করিমের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু এবং বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাকে গ্রেপ্তারের পর দুই দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। তাঁরা এখনো পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছেন। প্রধান আসামি ফয়সালকে ভারতে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমও দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে রয়েছেন।

ফয়সালকে রেন্ট এ কারের মাইক্রোবাসে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার নুরুজ্জামান কারাগারে রয়েছেন। ফয়সালের বাবা হুমায়ুন কবির ও মা হাসি বেগম ফয়সালকে পালাতে সহযোগিতার কথা স্বীকার করে গত ১৭ ডিসেম্বর আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত