আল-আমিন রাজু, নারায়ণগঞ্জ থেকে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন আজ। প্রচারণার শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি শেষ। প্রতিটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে প্রার্থী ও ভোটারদের সহযোগিতা চাইলেন ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার।
মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি ভালো। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে কার্যক্রম ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রগুলোতে চলছে মক ভোট। এ ছাড়া ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য কাজ করছি। প্রচারণার আজই শেষ দিন। আগামীকাল ভোটের মালামাল কেন্দ্রে চলে যাবে। ভোটগ্রহণে আমাদের প্রস্তুতি শেষ। আশা করছি এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নারায়ণগঞ্জবাসী, প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতায় নির্বাচন শেষ করা সম্ভব হবে।’
বহিরাগতদের উপস্থিত রয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম। এ বিষয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা আছেন, তাঁদের ভাষ্যমতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। বহিরাগত এখানে এসে থাকার সুযোগ নেই। বরং বিভিন্ন সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং নির্বাচনী কর্মকর্তারা বিভিন্ন রেস্ট হাউস, সার্কিট হাউস ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা থাকছেন।’
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘১৯২টি কেন্দ্রকেই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় বিশেষ ও অতিরিক্ত ফোর্স চাওয়া হয়েছে। কমিশন সেটা বিবেচনা করছে। অনুমোদন দিলেই তারা চলে আসবে।’
২৭টি ওয়ার্ডের জন্য সমপরিমাণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এ ছাড়া পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স ২৭টি, যেখানে একজন সহকারী পরিদর্শকের নেতৃত্বে পাঁচজন পুলিশ সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া চারজন নারী ও আটজন পুরুষ আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি পুরো সিটি করপোরেশন এলাকাজুড়ে ৬৪টি মোবাইল টিম থাকবে। নির্বাচন চলাকালে পুরো সিটি করপোরেশনে নিরাপত্তায় ১৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন রাখা হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও ৬ প্লাটুন বিজিবি চাওয়া হয়েছে। তবে এখনো পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া র্যাবের টহল টিম সাতটি ও চেকপোস্ট থাকবে ছয়টি।
প্রধান দুই প্রার্থী সহিংসতার আশঙ্কা করছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘সহিংসতা ঘটলে তো বড় দুই প্রার্থীই ঘটাবেন। তাঁরা যদি আইনি বিষয়গুলো মেনে চলেন, নির্বাচন কমিশনের বিষয়গুলো যদি মেনে চলেন, তাহলে আর সহিংসতার ঘটনার আশঙ্কা থাকে না। আমি সব প্রার্থীর প্রতি অনুরোধ করব, নিজের কাজে সচেতন হবেন, আইনের প্রতি সহনশীল হবেন।’
প্রার্থীদের সহিংসতার আশঙ্কায় কতটা কেন্দ্রমুখী হবেন ভোটাররা জানতে চাইলে এই নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের ভোটারদের মাঝে ইভিএম প্রচারণায় সাড়া পেয়েছি। আজ মক ভোটিং কার্যক্রম চলছে। সেখানেও অনেক মানুষের উপস্থিতি ছিল। আশা করছি ভোটদানের নিশ্চয়তা তারা পাচ্ছে। আশা করি ভোটাররা কেন্দ্রে আসবে। অতীতে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে কোনো সহিংসতা ঘটেনি। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে ইউপি নির্বাচন হয়েছিল, যা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। ভোটাররা তাদের সেই অভিজ্ঞতার আলোকে ভোট দিতে আসবে। এটাতে আমরা আশাহত হব না। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়।’
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না, জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং শুরু থেকে ছিল। এখনো আছে। ভোটের দিন পর্যন্ত এমন অবস্থা বজায় থাকবে।’
ইভিএমে কারিগরি ত্রুটির বিষয়ে মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘প্রথম দিকে একটু সমস্যা হয়েছিল। বেশ কিছু ত্রুটি ছিল। কিন্তু এখন সেই সমস্যা নেই। ভোটার যাঁরা আসছেন কেন্দ্রে, তাঁরা এখন বুঝে গেছেন। এখন সহজ পদ্ধতি হিসেবে ইভিএমকে উল্লেখ করছেন ভোটাররা। পাশাপাশি আমাদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা অনেকটা দক্ষ হয়ে উঠেছেন ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে। আশা করছি এখন সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারব। ভোটের পরে দ্রুত সময়ে আমরা ভোট গণনা করে ফল ঘোষণা করতে পারব। আশা করছি সবার সহযোগিতায় আমরা একটি সুষ্ঠু ও আইনানুগ ভোটগ্রহণ করতে পারব।’
আরও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন আজ। প্রচারণার শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি শেষ। প্রতিটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে প্রার্থী ও ভোটারদের সহযোগিতা চাইলেন ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার।
মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি ভালো। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে কার্যক্রম ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রগুলোতে চলছে মক ভোট। এ ছাড়া ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য কাজ করছি। প্রচারণার আজই শেষ দিন। আগামীকাল ভোটের মালামাল কেন্দ্রে চলে যাবে। ভোটগ্রহণে আমাদের প্রস্তুতি শেষ। আশা করছি এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নারায়ণগঞ্জবাসী, প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতায় নির্বাচন শেষ করা সম্ভব হবে।’
বহিরাগতদের উপস্থিত রয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম। এ বিষয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা আছেন, তাঁদের ভাষ্যমতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। বহিরাগত এখানে এসে থাকার সুযোগ নেই। বরং বিভিন্ন সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং নির্বাচনী কর্মকর্তারা বিভিন্ন রেস্ট হাউস, সার্কিট হাউস ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা থাকছেন।’
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘১৯২টি কেন্দ্রকেই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় বিশেষ ও অতিরিক্ত ফোর্স চাওয়া হয়েছে। কমিশন সেটা বিবেচনা করছে। অনুমোদন দিলেই তারা চলে আসবে।’
২৭টি ওয়ার্ডের জন্য সমপরিমাণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এ ছাড়া পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স ২৭টি, যেখানে একজন সহকারী পরিদর্শকের নেতৃত্বে পাঁচজন পুলিশ সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া চারজন নারী ও আটজন পুরুষ আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি পুরো সিটি করপোরেশন এলাকাজুড়ে ৬৪টি মোবাইল টিম থাকবে। নির্বাচন চলাকালে পুরো সিটি করপোরেশনে নিরাপত্তায় ১৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন রাখা হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও ৬ প্লাটুন বিজিবি চাওয়া হয়েছে। তবে এখনো পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া র্যাবের টহল টিম সাতটি ও চেকপোস্ট থাকবে ছয়টি।
প্রধান দুই প্রার্থী সহিংসতার আশঙ্কা করছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘সহিংসতা ঘটলে তো বড় দুই প্রার্থীই ঘটাবেন। তাঁরা যদি আইনি বিষয়গুলো মেনে চলেন, নির্বাচন কমিশনের বিষয়গুলো যদি মেনে চলেন, তাহলে আর সহিংসতার ঘটনার আশঙ্কা থাকে না। আমি সব প্রার্থীর প্রতি অনুরোধ করব, নিজের কাজে সচেতন হবেন, আইনের প্রতি সহনশীল হবেন।’
প্রার্থীদের সহিংসতার আশঙ্কায় কতটা কেন্দ্রমুখী হবেন ভোটাররা জানতে চাইলে এই নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের ভোটারদের মাঝে ইভিএম প্রচারণায় সাড়া পেয়েছি। আজ মক ভোটিং কার্যক্রম চলছে। সেখানেও অনেক মানুষের উপস্থিতি ছিল। আশা করছি ভোটদানের নিশ্চয়তা তারা পাচ্ছে। আশা করি ভোটাররা কেন্দ্রে আসবে। অতীতে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে কোনো সহিংসতা ঘটেনি। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে ইউপি নির্বাচন হয়েছিল, যা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। ভোটাররা তাদের সেই অভিজ্ঞতার আলোকে ভোট দিতে আসবে। এটাতে আমরা আশাহত হব না। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়।’
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না, জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং শুরু থেকে ছিল। এখনো আছে। ভোটের দিন পর্যন্ত এমন অবস্থা বজায় থাকবে।’
ইভিএমে কারিগরি ত্রুটির বিষয়ে মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘প্রথম দিকে একটু সমস্যা হয়েছিল। বেশ কিছু ত্রুটি ছিল। কিন্তু এখন সেই সমস্যা নেই। ভোটার যাঁরা আসছেন কেন্দ্রে, তাঁরা এখন বুঝে গেছেন। এখন সহজ পদ্ধতি হিসেবে ইভিএমকে উল্লেখ করছেন ভোটাররা। পাশাপাশি আমাদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা অনেকটা দক্ষ হয়ে উঠেছেন ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে। আশা করছি এখন সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারব। ভোটের পরে দ্রুত সময়ে আমরা ভোট গণনা করে ফল ঘোষণা করতে পারব। আশা করছি সবার সহযোগিতায় আমরা একটি সুষ্ঠু ও আইনানুগ ভোটগ্রহণ করতে পারব।’
আরও পড়ুন:

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা।
৩৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
৩৭ মিনিট আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৩ ঘণ্টা আগে