নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বনানী কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত হয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় রনোর মরদেহ শমরিতা হাসপাতাল থেকে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সিপিবির সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সিপিবির বিভিন্ন গণসংগঠন ও জেলার নেতা–কর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, ‘ষাটের দশকের উজ্জ্বল নক্ষত্ররা একে একে চলে যাচ্ছেন। ষাটের দশকের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান এ মুক্তিযুদ্ধে হায়দার আকবর খান রনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। রনো যে মার্ক্সবাদে বিশ্বাস করতেন, মানুষের জন্য মুক্ত বিশ্ব গড়ার সেই লড়াই আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।’
পল্টনে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শোক র্যালি করে হায়দার আকবর খানের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়। শহীদ মিনারে দুপুর ১১টা ২০ মিনিটে রনোকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংস্কৃতি ফ্রন্ট, গণজাগরণ মঞ্চ, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ রনোর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘তিনি জাতির একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান ছিলেন। তিনি আজীবন এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য সংগ্রাম করেছেন।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তাঁর চলে যাওয়া বাংলাদেশের আদর্শবাদী রাজনীতিতে বিশাল শূন্যতা তৈরি করল। তিনি যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি তা দেখে যেতে পারেননি। আমাদের রাজনীতিতে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে তা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিত।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘রনো ভাই থাকলে বামপন্থীদের মাঝে ঐক্যের ধারাটা তৈরির ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হতো।’
বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া বলেন, ‘জাতীয় রাজনীতির সকল সংকটময় মুহূর্তে রনো দেশের কৃষক-শ্রমিক তথা গণমানুষের পাশে ছিলেন।’
নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘আদর্শবাদী মানুষেরা রাজনীতি থেকে চলে যাচ্ছেন। রনোর মতো মানুষেরা আমাদের রাজনীতিতে আদর্শ হয়ে থাকুক।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘তিনি রাজনীতির সঙ্গে আজীবন জ্ঞানের চর্চা করেছেন। তিনি তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার স্থল। তার জন্ম মৃত্যুর চেয়ে বড় ঘটনা। তিনি তার লেখা, আদর্শের মধ্য দিয়ে আজীবন আমাদের মধ্যে থাকবেন।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা রনোর প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে পারব যদি সকল বামপন্থী, প্রগতিশীল শক্তি রাজপথে আদর্শিক ঐক্য গড়ে তুলতে পারি।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘স্বাধীনতার পূর্বে তো বটেই, স্বাধীনতার পরেও গত ৫৩ বছর ধরে মানুষের মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে কাজ করে গেছেন।’
সিপিবির সাবেক সভাপতি ও স্কুল জীবন থেকেই হায়দার আকবর খান রনোর ঘনিষ্ঠ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘রনো প্রত্যেকটি সংকটময় সময়ে জনগণের পক্ষে লড়াই করেছেন। আদর্শকে তিনি কোনো দিন ছেড়ে দেননি। বিভাজন দূর করে ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক-শ্রেণির লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে থাকবেন তিনি।’
শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব শেষে হায়দার আকবর খানের কন্যা রানা সুলতানা বলেন, ‘কমরেডদের মৃত্যু নেই। আমার বাবা আজীবন সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন, মেহনতি মানুষের মুক্তির স্বপ্ন নিয়েই তিনি এত দিন বেঁচে ছিলেন। মানুষের জৈবিক মৃত্যু হয়, কিন্তু তিনি তার চিন্তা, লেখা, আদর্শের মধ্য দিয়ে আজীবন বেঁচে থাকবেন।’ এ সময় তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রনোর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে বেলা পৌনে দুইটার দিকে বনানী কবরস্থানের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিকেল ৪টায় বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত হন রনো।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায় রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক হায়দার আকবর খান রনো। শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা (টাইপ-২ রেসপিরেটরি ফেইল্যুর) নিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
রনো ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট কলকাতায় নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৬০ সালে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছাত্রজীবন শেষে যুক্ত হয়েছিলেন শ্রমিক আন্দোলনে। ১৯৭১ সালে কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের পূর্ব বাংলা সমন্বয় কমিটি গঠন করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে।
স্বাধীনতার পর রনো ও তার সহকর্মীরা মিলে ১৯৭৩ সালে গঠন করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (লেনিনবাদী)। পরে ১৯৭৯ সালে দলের নাম পরিবর্তন করা রাখা হয় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
২০০৯ সালে ওয়ার্কার্স পার্টি ছেড়ে আবারও সিপিবিতে যোগ দেন রনো। ২০১২ সালে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন তিনি। সর্বশেষ ছিলেন দলের উপদেষ্টার দায়িত্বে। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ২৫টি বই লিখেছেন।

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বনানী কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত হয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় রনোর মরদেহ শমরিতা হাসপাতাল থেকে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সিপিবির সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সিপিবির বিভিন্ন গণসংগঠন ও জেলার নেতা–কর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, ‘ষাটের দশকের উজ্জ্বল নক্ষত্ররা একে একে চলে যাচ্ছেন। ষাটের দশকের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান এ মুক্তিযুদ্ধে হায়দার আকবর খান রনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। রনো যে মার্ক্সবাদে বিশ্বাস করতেন, মানুষের জন্য মুক্ত বিশ্ব গড়ার সেই লড়াই আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।’
পল্টনে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শোক র্যালি করে হায়দার আকবর খানের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়। শহীদ মিনারে দুপুর ১১টা ২০ মিনিটে রনোকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংস্কৃতি ফ্রন্ট, গণজাগরণ মঞ্চ, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ রনোর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘তিনি জাতির একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান ছিলেন। তিনি আজীবন এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য সংগ্রাম করেছেন।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তাঁর চলে যাওয়া বাংলাদেশের আদর্শবাদী রাজনীতিতে বিশাল শূন্যতা তৈরি করল। তিনি যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি তা দেখে যেতে পারেননি। আমাদের রাজনীতিতে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে তা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিত।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘রনো ভাই থাকলে বামপন্থীদের মাঝে ঐক্যের ধারাটা তৈরির ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হতো।’
বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া বলেন, ‘জাতীয় রাজনীতির সকল সংকটময় মুহূর্তে রনো দেশের কৃষক-শ্রমিক তথা গণমানুষের পাশে ছিলেন।’
নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘আদর্শবাদী মানুষেরা রাজনীতি থেকে চলে যাচ্ছেন। রনোর মতো মানুষেরা আমাদের রাজনীতিতে আদর্শ হয়ে থাকুক।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘তিনি রাজনীতির সঙ্গে আজীবন জ্ঞানের চর্চা করেছেন। তিনি তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার স্থল। তার জন্ম মৃত্যুর চেয়ে বড় ঘটনা। তিনি তার লেখা, আদর্শের মধ্য দিয়ে আজীবন আমাদের মধ্যে থাকবেন।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা রনোর প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে পারব যদি সকল বামপন্থী, প্রগতিশীল শক্তি রাজপথে আদর্শিক ঐক্য গড়ে তুলতে পারি।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘স্বাধীনতার পূর্বে তো বটেই, স্বাধীনতার পরেও গত ৫৩ বছর ধরে মানুষের মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে কাজ করে গেছেন।’
সিপিবির সাবেক সভাপতি ও স্কুল জীবন থেকেই হায়দার আকবর খান রনোর ঘনিষ্ঠ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘রনো প্রত্যেকটি সংকটময় সময়ে জনগণের পক্ষে লড়াই করেছেন। আদর্শকে তিনি কোনো দিন ছেড়ে দেননি। বিভাজন দূর করে ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক-শ্রেণির লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে থাকবেন তিনি।’
শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব শেষে হায়দার আকবর খানের কন্যা রানা সুলতানা বলেন, ‘কমরেডদের মৃত্যু নেই। আমার বাবা আজীবন সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন, মেহনতি মানুষের মুক্তির স্বপ্ন নিয়েই তিনি এত দিন বেঁচে ছিলেন। মানুষের জৈবিক মৃত্যু হয়, কিন্তু তিনি তার চিন্তা, লেখা, আদর্শের মধ্য দিয়ে আজীবন বেঁচে থাকবেন।’ এ সময় তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রনোর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে বেলা পৌনে দুইটার দিকে বনানী কবরস্থানের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিকেল ৪টায় বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত হন রনো।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায় রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক হায়দার আকবর খান রনো। শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা (টাইপ-২ রেসপিরেটরি ফেইল্যুর) নিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
রনো ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট কলকাতায় নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৬০ সালে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছাত্রজীবন শেষে যুক্ত হয়েছিলেন শ্রমিক আন্দোলনে। ১৯৭১ সালে কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের পূর্ব বাংলা সমন্বয় কমিটি গঠন করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে।
স্বাধীনতার পর রনো ও তার সহকর্মীরা মিলে ১৯৭৩ সালে গঠন করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (লেনিনবাদী)। পরে ১৯৭৯ সালে দলের নাম পরিবর্তন করা রাখা হয় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
২০০৯ সালে ওয়ার্কার্স পার্টি ছেড়ে আবারও সিপিবিতে যোগ দেন রনো। ২০১২ সালে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন তিনি। সর্বশেষ ছিলেন দলের উপদেষ্টার দায়িত্বে। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ২৫টি বই লিখেছেন।

এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘কতিপয় রাজনৈতিক দল মিলে তাদের মার্কাগুলো (প্রতীক) বিলুপ্ত করে দিয়ে আবার একটি দলে একীভূত হচ্ছে। একটি আসনের জন্য যাঁরা নিজের দলকে বিলুপ্ত করে দিচ্ছেন, আপনারা নিজেদের দলের প্রতি অন্যায় করছেন। আমরা চেয়েছিলাম এটি ব্যালট বিপ্লব, কিন্তু কিছু
১১ মিনিট আগে
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
২১ মিনিট আগে
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই
২৪ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেফেনী প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘কতিপয় রাজনৈতিক দল মিলে তাদের মার্কাগুলো (প্রতীক) বিলুপ্ত করে দিয়ে আবার একটি দলে একীভূত হচ্ছে। একটি আসনের জন্য যাঁরা নিজের দলকে বিলুপ্ত করে দিচ্ছেন, আপনারা নিজেদের দলের প্রতি অন্যায় করছেন। আমরা চেয়েছিলাম, এটি ব্যালট বিপ্লব, কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল এখন বুলেট বিপ্লবের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জন্য সবাইকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ইনসাফের পক্ষে লড়ে যেতে হবে।’
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ফেনী জেলা শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট আয়োজিত ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে শোক ও সংহতি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাসনাত এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘গত দেড় বছর চাঁদাবাজ-দুর্নীতিবাজরা ট্রেলার দেখিয়েছে, পিকচার আভি বাকি হ্যায়। পিকচার দেখবেন নির্বাচনের পর। আগামীর ভোট হোক সংস্কারের পক্ষে, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ও ন্যায়ের পক্ষে।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অধিকাংশই পরবর্তীতে কে বা কারা ক্ষমতায় আসতে পারে, সেই দলগুলোর পা চাটার জন্য আবার গুলশান-পল্টনে লাইন দেওয়া শুরু করেছে। দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষিত আগামীর নির্বাচন ঘিরে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ভারতে বসে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করা হচ্ছে। নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ আম্পায়ারের ভূমিকা রাখে প্রশাসন ও পুলিশ। কিন্তু আমরা দেখেছি, গত তিনটি নির্বাচনে প্রশাসন ও পুলিশ আম্পায়ার বা রেফারি না নিয়ে তারা নিজেরাই খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। যেটির খেসারত জাতিকে দিতে হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দিতে হবে।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘দলের প্রতি বায়াসড পুলিশ দিয়ে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। যারা এ কাজ করবে, তাদের পরিণতি বেনজীর, ওসি প্রদীপের মতো হবে। আমরা গুলির মুখ থেকে ফিরে আসা। আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আপনারা যারা নির্বাচন ম্যানিপুলেট করার চিন্তা করছেন, কোনো কারণে এমনটি হলে এ তরুণ প্রজন্ম বসে থাকবে না।’
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান ও ফেনী-২ আসনে দলীয় প্রার্থী মজিবুর রহমান মঞ্জু। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, এবি পার্টির সহসাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী শাহ আলম বাদল, এনসিপির জেলা কমিটির আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম সৈকত। এবি পার্টি ফেনী জেলা কমিটির আহ্বায়ক মাস্টার আহছান উল্ল্যাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে সঞ্চালনা করেন এনসিপির জেলা কমিটির সদস্যসচিব শাহ ওয়ালী উল্লাহ মানিক ও এবি পার্টির সদস্যসচিব অধ্যাপক ফজলুল হক।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘কতিপয় রাজনৈতিক দল মিলে তাদের মার্কাগুলো (প্রতীক) বিলুপ্ত করে দিয়ে আবার একটি দলে একীভূত হচ্ছে। একটি আসনের জন্য যাঁরা নিজের দলকে বিলুপ্ত করে দিচ্ছেন, আপনারা নিজেদের দলের প্রতি অন্যায় করছেন। আমরা চেয়েছিলাম, এটি ব্যালট বিপ্লব, কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল এখন বুলেট বিপ্লবের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জন্য সবাইকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ইনসাফের পক্ষে লড়ে যেতে হবে।’
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ফেনী জেলা শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট আয়োজিত ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে শোক ও সংহতি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাসনাত এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘গত দেড় বছর চাঁদাবাজ-দুর্নীতিবাজরা ট্রেলার দেখিয়েছে, পিকচার আভি বাকি হ্যায়। পিকচার দেখবেন নির্বাচনের পর। আগামীর ভোট হোক সংস্কারের পক্ষে, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ও ন্যায়ের পক্ষে।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অধিকাংশই পরবর্তীতে কে বা কারা ক্ষমতায় আসতে পারে, সেই দলগুলোর পা চাটার জন্য আবার গুলশান-পল্টনে লাইন দেওয়া শুরু করেছে। দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষিত আগামীর নির্বাচন ঘিরে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ভারতে বসে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করা হচ্ছে। নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ আম্পায়ারের ভূমিকা রাখে প্রশাসন ও পুলিশ। কিন্তু আমরা দেখেছি, গত তিনটি নির্বাচনে প্রশাসন ও পুলিশ আম্পায়ার বা রেফারি না নিয়ে তারা নিজেরাই খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। যেটির খেসারত জাতিকে দিতে হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দিতে হবে।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘দলের প্রতি বায়াসড পুলিশ দিয়ে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। যারা এ কাজ করবে, তাদের পরিণতি বেনজীর, ওসি প্রদীপের মতো হবে। আমরা গুলির মুখ থেকে ফিরে আসা। আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আপনারা যারা নির্বাচন ম্যানিপুলেট করার চিন্তা করছেন, কোনো কারণে এমনটি হলে এ তরুণ প্রজন্ম বসে থাকবে না।’
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান ও ফেনী-২ আসনে দলীয় প্রার্থী মজিবুর রহমান মঞ্জু। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, এবি পার্টির সহসাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী শাহ আলম বাদল, এনসিপির জেলা কমিটির আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম সৈকত। এবি পার্টি ফেনী জেলা কমিটির আহ্বায়ক মাস্টার আহছান উল্ল্যাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে সঞ্চালনা করেন এনসিপির জেলা কমিটির সদস্যসচিব শাহ ওয়ালী উল্লাহ মানিক ও এবি পার্টির সদস্যসচিব অধ্যাপক ফজলুল হক।

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বনানী কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত হয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো।
১৩ মে ২০২৪
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
২১ মিনিট আগে
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই
২৪ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ডিএমপির হাতে সবশেষ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. জাকির হোসেন শান্ত (২৯), মো. স্বপন মন্ডল (৩০) ও নিয়াজ মাহমুদ ফারহান (২১)।
আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি।
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যারা হামলা করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল, সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকদের পুড়িয়ে হত্যা করা। শহীদ হাদির (ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র) হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার দৃঢ়সংকল্প ছিল তাদের।’
গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে।
পরে হামলাকারীরা ফার্মগেটে গিয়ে ডেইলি স্টার ভবন ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০ থেকে ৪৫০ জনকে আসামি করে গত রোববার মামলা করেন প্রথম আলোর হেড অব সিকিউরিটি মেজর অবসরপ্রাপ্ত মো. সাজ্জাদুল কবির। পরদিন পত্রিকাটির হেড অব অপারেশন মিজানুর রহমানও বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।
দুই মামলায় অভিযোগ করা হয়, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট করে।
এতে প্রথম আলোর ৩২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। ডেইলি স্টারের ক্ষতির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারা ছাড়াও উভয় মামলায় দণ্ডবিধি, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারাও যোগ করা হয়।

দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ডিএমপির হাতে সবশেষ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. জাকির হোসেন শান্ত (২৯), মো. স্বপন মন্ডল (৩০) ও নিয়াজ মাহমুদ ফারহান (২১)।
আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি।
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যারা হামলা করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল, সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকদের পুড়িয়ে হত্যা করা। শহীদ হাদির (ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র) হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার দৃঢ়সংকল্প ছিল তাদের।’
গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে।
পরে হামলাকারীরা ফার্মগেটে গিয়ে ডেইলি স্টার ভবন ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০ থেকে ৪৫০ জনকে আসামি করে গত রোববার মামলা করেন প্রথম আলোর হেড অব সিকিউরিটি মেজর অবসরপ্রাপ্ত মো. সাজ্জাদুল কবির। পরদিন পত্রিকাটির হেড অব অপারেশন মিজানুর রহমানও বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।
দুই মামলায় অভিযোগ করা হয়, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট করে।
এতে প্রথম আলোর ৩২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। ডেইলি স্টারের ক্ষতির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারা ছাড়াও উভয় মামলায় দণ্ডবিধি, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারাও যোগ করা হয়।

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বনানী কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত হয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো।
১৩ মে ২০২৪
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘কতিপয় রাজনৈতিক দল মিলে তাদের মার্কাগুলো (প্রতীক) বিলুপ্ত করে দিয়ে আবার একটি দলে একীভূত হচ্ছে। একটি আসনের জন্য যাঁরা নিজের দলকে বিলুপ্ত করে দিচ্ছেন, আপনারা নিজেদের দলের প্রতি অন্যায় করছেন। আমরা চেয়েছিলাম এটি ব্যালট বিপ্লব, কিন্তু কিছু
১১ মিনিট আগে
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই
২৪ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় আটজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও কনস্টেবল মেহেদী হাসান।
ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেন বলেন, বেতনা নদীর খনন করা মাটি নেহালপুর ও পাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে লুটপাট করে আসছিল একটি মহল। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরের এক ঠিকাদার নেহালপুর এলাকার বেতনা নদীর ওই মাটি কিনেছেন বলে পুলিশ জানতে পারে। বুধবার ভোরে পুলিশ মাটি কাটতে বাধা দেয়। এ সময় এসআই সোহরাবের ওপর চড়াও হন কেসমত ও তার সহযোগীরা।
একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে তিনি ট্রলিভর্তি মাটিসহ কেসমতকে ধরে ফাঁড়িতে আটকে রাখেন। ফাঁড়িতে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে কেসমতের ভাই রহমত, স্ত্রী শাহানারা ও ভাতিজা বাবুরালীসহ ৩০-৩৫ জন ফাঁড়িতে হামলা চালান। তারা কেসমতকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও সিপাহী মেহেদী হাসান বাধা দেন। হামলাকারীরা তাঁদের পিটিয়ে জখম করে কেসমতকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত দুই পুলিশ সদস্যকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে কেসমত হোসেন স্বীকার করেন পুলিশের নিষেধ অমান্য করে তিনি সকালে বেতনার মাটি কাটছিলেন। কেসমত বলেন, আমাকে ধরে আনার পর আর কখনো মাটি কাটবেন না বলার পরও ফাঁড়ির কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন আমাকে মারধর করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় কেসমতসহ আটজনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন মামলা করেছেন।’

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় আটজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও কনস্টেবল মেহেদী হাসান।
ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেন বলেন, বেতনা নদীর খনন করা মাটি নেহালপুর ও পাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে লুটপাট করে আসছিল একটি মহল। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরের এক ঠিকাদার নেহালপুর এলাকার বেতনা নদীর ওই মাটি কিনেছেন বলে পুলিশ জানতে পারে। বুধবার ভোরে পুলিশ মাটি কাটতে বাধা দেয়। এ সময় এসআই সোহরাবের ওপর চড়াও হন কেসমত ও তার সহযোগীরা।
একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে তিনি ট্রলিভর্তি মাটিসহ কেসমতকে ধরে ফাঁড়িতে আটকে রাখেন। ফাঁড়িতে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে কেসমতের ভাই রহমত, স্ত্রী শাহানারা ও ভাতিজা বাবুরালীসহ ৩০-৩৫ জন ফাঁড়িতে হামলা চালান। তারা কেসমতকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও সিপাহী মেহেদী হাসান বাধা দেন। হামলাকারীরা তাঁদের পিটিয়ে জখম করে কেসমতকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত দুই পুলিশ সদস্যকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে কেসমত হোসেন স্বীকার করেন পুলিশের নিষেধ অমান্য করে তিনি সকালে বেতনার মাটি কাটছিলেন। কেসমত বলেন, আমাকে ধরে আনার পর আর কখনো মাটি কাটবেন না বলার পরও ফাঁড়ির কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন আমাকে মারধর করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় কেসমতসহ আটজনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন মামলা করেছেন।’

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বনানী কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত হয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো।
১৩ মে ২০২৪
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘কতিপয় রাজনৈতিক দল মিলে তাদের মার্কাগুলো (প্রতীক) বিলুপ্ত করে দিয়ে আবার একটি দলে একীভূত হচ্ছে। একটি আসনের জন্য যাঁরা নিজের দলকে বিলুপ্ত করে দিচ্ছেন, আপনারা নিজেদের দলের প্রতি অন্যায় করছেন। আমরা চেয়েছিলাম এটি ব্যালট বিপ্লব, কিন্তু কিছু
১১ মিনিট আগে
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
২১ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
দলীয় সূত্র জানা গেছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের ডামি নির্বাচনে ঈগল প্রতীকে অংশ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিজ টুটুল এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালত আসামির অন্তবর্তীকালীন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলি বর্ষণের অভিযোগে মো. আমীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি গত ১৫ এপ্রিল ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর চলতি বছরের ২৩ জুন আদালতের নির্দেশে ফুলপুর থানা পুলিশ মামলাটি এফআইআরভুক্ত করেন। এ ঘটনার পর থেকে মামলার আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার এজাহারে বাদী দাবি করেন- ঘটনার দিন ফুলপুর পৌর এলাকায় শাহ শহীদ সারোয়ারের নেতৃত্বে মামলার আসামিরা বিস্ফোরণ দ্রব্যাদি এবং আগ্নেয়াস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। এতে আমি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হই।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
দলীয় সূত্র জানা গেছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের ডামি নির্বাচনে ঈগল প্রতীকে অংশ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিজ টুটুল এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালত আসামির অন্তবর্তীকালীন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলি বর্ষণের অভিযোগে মো. আমীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি গত ১৫ এপ্রিল ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর চলতি বছরের ২৩ জুন আদালতের নির্দেশে ফুলপুর থানা পুলিশ মামলাটি এফআইআরভুক্ত করেন। এ ঘটনার পর থেকে মামলার আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার এজাহারে বাদী দাবি করেন- ঘটনার দিন ফুলপুর পৌর এলাকায় শাহ শহীদ সারোয়ারের নেতৃত্বে মামলার আসামিরা বিস্ফোরণ দ্রব্যাদি এবং আগ্নেয়াস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। এতে আমি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হই।

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বনানী কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত হয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো।
১৩ মে ২০২৪
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘কতিপয় রাজনৈতিক দল মিলে তাদের মার্কাগুলো (প্রতীক) বিলুপ্ত করে দিয়ে আবার একটি দলে একীভূত হচ্ছে। একটি আসনের জন্য যাঁরা নিজের দলকে বিলুপ্ত করে দিচ্ছেন, আপনারা নিজেদের দলের প্রতি অন্যায় করছেন। আমরা চেয়েছিলাম এটি ব্যালট বিপ্লব, কিন্তু কিছু
১১ মিনিট আগে
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
২১ মিনিট আগে
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই
২৪ মিনিট আগে