Ajker Patrika

সরকারি বাড়ি থেকে সাবেক আমলাকে উচ্ছেদ করতে গিয়ে ফিরে এল গণপূর্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১: ৫৯
সরকারি বাড়ি থেকে সাবেক আমলাকে উচ্ছেদ করতে গিয়ে ফিরে এল গণপূর্ত

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি সরকারি বাড়ি থেকে এক সাবেক অতিরিক্ত সচিবকে উচ্ছেদ করতে গিয়ে ফিরে এসেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার বাড়িটি অবৈধ দখল মুক্ত করতে গেলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ওই আমলার অনুরোধে তাঁকে বাড়িটিতে আপাতত থাকার জন্য অনুমতি দিয়েছেন। তাই উচ্ছেদ না করেই অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ফিরে আসেন। 

গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অভিযোগ, বরাদ্দ বাতিল হওয়ার পরও অবৈধভাবে প্রায় ছয় বছর ধরে ওই বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. আশরাফুল ইসলাম। 

গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারি সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসানের নেতৃত্বে একটি দল এলিফ্যান্ট রোডের ৩৩১ নম্বর বাড়িটিতে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে একটি পুলিশের দলও ছিল। তবে তাদের উচ্ছেদ না করেই দুপুরে চলে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। 

সরজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালের মোড় ধরে ইস্টার্ন মল্লিকার দিকে এগোলেই বামপাশের একটি গলির ভেতরে ৩৩১ নম্বরের দোতলা বাড়িটি। পুরনো এই বাড়ির প্রধান ফটকে ছোট্ট একটি সাইনবোর্ড ঝুলছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (অব.), ৩৩১, এলিফ্যান্ডরোড, ঢাকা।’ 

বাড়িটির সামনে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, ভবনের ভেতরে নারীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন গণপূর্তের কর্মকর্তারা। তাদের বাসা থেকে বের হতে বললে, ওই নারীরা গণপূর্তের কর্মকর্তাদের বলেন, বাসায় পুরুষরা কেউ নেই, তাঁরা আসলে তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এর মধ্যে আশরাফুল ইসলাম বাসা থেকে বের হয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসানের সঙ্গে কথা বলেন। 

কয়েকজন শ্রমিক বাড়ি থেকে আসবাবপত্র বের করে বাড়ির সামনের খালি জায়গায় রাখেন। ছবি: আজকের পত্রিকাএ সময় আশরাফুল ইসলাম উচ্ছেদের কারণ জানতে চান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে বুঝিয়ে বলার পরও তিনি বাসা না ছাড়ার জন্য অনড় থাকেন। এরপর আশরাফুল ইসলাম তাঁর এক ছেলেকে নিয়ে সচিবালয় যান। এদিকে কয়েকজন শ্রমিক বাড়ি থেকে আসবাবপত্র বের করে বাড়ির সামনের খালি জায়গায় রাখেন, এ সময় বাড়িটিতে আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী ও গৃহপরিচারিকা ছিলেন। 

প্রায় ঘণ্টাখানেক পর আশরাফুল ইসলাম বাসায় ফিরে আসেন। তিনি এসে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসানকে একটি কাগজ দেখান। এরপর উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। গণপূর্তের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা চলে যান। 

পরবর্তীতে আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদে আসার পর তিনি দ্রুত সচিবালয়ে যান। সেখানে গিয়ে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। মন্ত্রীর কাছে তিনি বাড়িটি ছাড়ার জন্য এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করেন। মন্ত্রী তাকে আগামী ইদুল ফিতর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে আশরাফুল ইসলামের আবেদনে সিল ও স্বাক্ষর করে দিয়েছেন। সেই আবেদনটি আশরাফুল ইসলাম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখান। 

অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কোনো নোটিশ দেওয়া ছাড়াই তাঁরা উচ্ছেদ করতে আসছিল। আমি মন্ত্রীর কাছে বিষয়টি বলেছি, তিনি আমাকে আগামী ঈদ পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।’ 

আশরাফুল ইসলাম অবসর গ্রহণের আগে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীন সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক ছিলেন। তিনি একসময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য বাসা বরাদ্দ দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন তিনি নিজের নামেও ওই বাড়িটি বরাদ্দ নেন। তিনি ২০১৭ সালের ৮ জুন অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে যান। তবে তাকে ফের দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর তিনি অবসরে যান। নিয়ম অনুযায়ী অবসরের পর তার সরকারি বাসভবনে থাকার সুযোগ নেই। তবে তারপরও তিনি থাকছেন। 

এ বিষয়ে আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তো সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বাড়িতে থাকছি না, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাই এই বাড়িটিতে থাকছি, বাড়িটি আমাকে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সররকারের সর্বোচ্চ মহলে আবেদন করেছি। আশা করছি, বরাদ্দ পাব। কারণ ঢাকাতে আমার কোনো থাকার জায়গা নেই। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই বাড়িটি আমি পেতেই পারি।’ 

এদিকে, উচ্ছেদ না করে ফিরে আসার বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসান বলেন, ‘আশরাফুল ইসলামকে মানবিক কারণে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত মন্ত্রী সময় দিয়েছেন। ঈদের এক সপ্তাহ পর তিনি স্বেচ্ছায় বাড়িটি ছেড়ে দেবেন, তা না হলে, আমরা তাঁকে উচ্ছেদ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত