শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

কারখানা বিক্রির গুজব ও বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংদীঘি গ্রামের কাওরানবাজার এলাকায় এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, আজ উপজেলার সিংদীঘি গ্রামের কাওরানবাজার এলাকার উসমান গ্রুপের টুপাজ ড্রসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা সকাল থেকে কাজ করছিল। হঠাৎ বেলা ৩টার দিকে কারখানা বিক্রির গুজব রটে। কিছু বুঝে ওঠার আগে শ্রমিকেরা কারখানা থেকে বেরিয়ে সড়কে অবস্থান নেন এবং মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
কারখানার শ্রমিক নাজমা আক্তার বলেন, ‘ছয় বছর যাবৎ এই কারখানায় কাজ করছি। হঠাৎ করেই কারখানা বিক্রির খবর শুনতে পাই। যে কারখানা সঙ্গে আমাদের সবকিছু, সে কারখানা হঠাৎ করে কর্তৃপক্ষ বিক্রি করে দিল। আমাদের না জানিয়ে কারখানার মেশিনারি বের করে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ৩ মাস ১৩ দিনের বেসিক বেতন পরিশোধ না করে। আমাদের না জানিয়ে হঠাৎ করে কারখানা বিক্রি করে দিছে। এই কারখানা আমাদের আজ রাস্তায় নামিয়ে দিল।’
মদিনা আক্তার নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে কারখানায় কাজ করছি। হঠাৎ করে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি মেশিনে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করছে আর যন্ত্রপাতি গাড়ি ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সব শ্রমিক প্রতিবাদ করে রাস্তায় নেমে আসি। কারখানার দুই হাজার শ্রমিকের পরিবারের আহার জোগায় এই কারখানা। হঠাৎ করে আমাদের না জানিয়ে কারখানা বিক্রি করে দিচ্ছে। কারখানা বিক্রি করে দিলে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করে কারখানার মালামাল নিয়ে যাওয়া, এটা কেমন। আমরা আমাদের চলতি মাসের বেতন-ভাতা ও বেসিক-বেতন না পাওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়ব না।’

শ্রমিক মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রথমে বুঝতে পারিনি। যখন দেখলাম গাড়ি ভর্তি করে মেশিন, যন্ত্রপাতি নিয়ে যাচ্ছে তখন আমরা বুঝে বাধা দিই। সড়কে অবস্থা নিয়েছি ন্যায্য দাবি আদায় করতে। আমাদের সামনে ঈদ, হঠাৎ করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের শ্রমিকদের পথে বসা ছাড়া বিকল্প নেই। আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিলে রাস্তা ছেড়ে দেব।’
এ বিষয়ে কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. রাসেল আহমেদ বলেন, ‘কারখানা বিক্রির বিষয়ে আমি বলতে পারব না। হঠাৎ করেই কারখানার শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমে পড়ে। চলতি মাসের বেতন ছাড়া কোনো বেতন বকেয়া নেই। বিকল যন্ত্রপাতি, মেশিনগুলো সরানো হচ্ছে। শ্রমিকদের অনেক অনুরোধ করলেও ওরা আমাদের কথা না মেনে রাস্তায় চলে যায়। শ্রমিকদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক স্বপন কুমার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধ করে রাখার কারণে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।

কারখানা বিক্রির গুজব ও বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংদীঘি গ্রামের কাওরানবাজার এলাকায় এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, আজ উপজেলার সিংদীঘি গ্রামের কাওরানবাজার এলাকার উসমান গ্রুপের টুপাজ ড্রসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা সকাল থেকে কাজ করছিল। হঠাৎ বেলা ৩টার দিকে কারখানা বিক্রির গুজব রটে। কিছু বুঝে ওঠার আগে শ্রমিকেরা কারখানা থেকে বেরিয়ে সড়কে অবস্থান নেন এবং মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
কারখানার শ্রমিক নাজমা আক্তার বলেন, ‘ছয় বছর যাবৎ এই কারখানায় কাজ করছি। হঠাৎ করেই কারখানা বিক্রির খবর শুনতে পাই। যে কারখানা সঙ্গে আমাদের সবকিছু, সে কারখানা হঠাৎ করে কর্তৃপক্ষ বিক্রি করে দিল। আমাদের না জানিয়ে কারখানার মেশিনারি বের করে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ৩ মাস ১৩ দিনের বেসিক বেতন পরিশোধ না করে। আমাদের না জানিয়ে হঠাৎ করে কারখানা বিক্রি করে দিছে। এই কারখানা আমাদের আজ রাস্তায় নামিয়ে দিল।’
মদিনা আক্তার নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে কারখানায় কাজ করছি। হঠাৎ করে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি মেশিনে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করছে আর যন্ত্রপাতি গাড়ি ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সব শ্রমিক প্রতিবাদ করে রাস্তায় নেমে আসি। কারখানার দুই হাজার শ্রমিকের পরিবারের আহার জোগায় এই কারখানা। হঠাৎ করে আমাদের না জানিয়ে কারখানা বিক্রি করে দিচ্ছে। কারখানা বিক্রি করে দিলে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করে কারখানার মালামাল নিয়ে যাওয়া, এটা কেমন। আমরা আমাদের চলতি মাসের বেতন-ভাতা ও বেসিক-বেতন না পাওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়ব না।’

শ্রমিক মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রথমে বুঝতে পারিনি। যখন দেখলাম গাড়ি ভর্তি করে মেশিন, যন্ত্রপাতি নিয়ে যাচ্ছে তখন আমরা বুঝে বাধা দিই। সড়কে অবস্থা নিয়েছি ন্যায্য দাবি আদায় করতে। আমাদের সামনে ঈদ, হঠাৎ করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের শ্রমিকদের পথে বসা ছাড়া বিকল্প নেই। আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিলে রাস্তা ছেড়ে দেব।’
এ বিষয়ে কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. রাসেল আহমেদ বলেন, ‘কারখানা বিক্রির বিষয়ে আমি বলতে পারব না। হঠাৎ করেই কারখানার শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমে পড়ে। চলতি মাসের বেতন ছাড়া কোনো বেতন বকেয়া নেই। বিকল যন্ত্রপাতি, মেশিনগুলো সরানো হচ্ছে। শ্রমিকদের অনেক অনুরোধ করলেও ওরা আমাদের কথা না মেনে রাস্তায় চলে যায়। শ্রমিকদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক স্বপন কুমার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধ করে রাখার কারণে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৬ ঘণ্টা আগে