Ajker Patrika

চৌদ্দগ্রামে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ: হাসপাতাল-দোকানপাট ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩, ১৮: ২০
চৌদ্দগ্রামে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ: হাসপাতাল-দোকানপাট ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ

জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সমাবেশ করাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার চৌদ্দগ্রাম বাজারের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। 

সংঘর্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের কার্যালয়, তাঁর সমর্থকদের সভামঞ্চসহ বেশ কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় পাশে তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে কুমিল্লা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেলা ১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকি ও জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চৌদ্দগ্রামে গণজমায়েত ও সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করেন সংসদ সদস্যে অনুসারীরা। একই সময় পার্শ্ববর্তী স্থানে সংসদ সদস্যের বিরোধী পক্ষও সমাবেশের ডাক দেয়। এই নিয়ে তিন দিন ধরে উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। 

আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৯টার দিকে সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের অনুসারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জড়ো হতে থাকেন। একই সময় সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মিজানের নেতৃত্বে বিরোধী নেতা-কর্মীরাও পার্শ্ববর্তী হায়দার শপিং কমপ্লেক্সের সামনে জড়ো হলে সংঘর্ষ শুরু হয়। 

একপর্যায়ে সংঘর্ষটি পুরো চৌদ্দগ্রাম বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংসদ অনুসারীদের মঞ্চ ও সংসদ সদস্যের স্থানীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান ও দুটি হাসপাতাল ভাঙচুর করা হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে উভয়ে দিকে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। 

চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষএ সময় বিরোধী পক্ষের একটি মিছিল উপজেলা পরিষদ থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করলে সংঘর্ষটি আরও তীব্র হয়ে উঠে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করা হয় ও তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। 

মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের নেতা মিজানুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শ্রম ও জনশক্তি উপকমিটির সদস্য এম তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম, জেলা যুবলীগ নেতা ও শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জালাল মজুমদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা এসএএম শাহীন মজুমদার প্রমুখ। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, সংঘর্ষে আহত হয়ে সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন বাতিসা ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম ফরহাদ, যুবলীগ নেতা আবুল হাশেম মজুমদার, লিমন চৌধুরী, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এনাম, শ্রমিক লীগ নেতা হানিফ, পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনসুর আজাদ, যুবলীগ নেতা ফরাশউদ্দিন রিপন, পৌর এলাকার গোমারবাড়ী গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন (২০), নোয়াপাড়ার শাহাদাত হোসেন (২৫), বৈদ্দেরখীল এলাকার শাহীন (১৬), একই গ্রামের এনামুল হক (৩৩), গোমারবাড়ীর আরাফাত সানি (২০), সেনেরখীল গ্রামের সাকিল (৩০), বাতিসার পাড়াগ্রামের সজীব (২১), লক্ষ্মীপুর গ্রামের মনির হোসেন (৩৭), হানিফ (৩৩), পৌর এলকার কমলপুর গ্রামের সামির হোসেন (২৩), রামরায় গ্রামের জুয়েল (২৬) পাঁচরা গ্রামের মিশু (২২) ও গোমারবাড়ী গ্রামের জাহিদ (২৩) সহ প্রায় ২৫ জন। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য এবং প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে এমপি সাহেবের লোকজন হামলা করে। এতে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়।’ 

চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষঅন্যদিকে সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ বাবুল বলেন, ‘ওরা আমাদের মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করেছে। জামায়াত-বিএনপির এজেন্টরা এই কাজ করেছে।’

 
কুমিল্লা জেলা পুলিশের (চৌদ্দগ্রাম–নাঙ্গলকোট সার্কেল) এএসপি মো. জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজকে (মঙ্গলবার) দু’পক্ষেরই পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। সকালে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে উভয় পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় পক্ষেরই ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ঘটনায় কিছু কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বন্ধুদের সঙ্গে বান্দরবান যাওয়ার পথে প্রাণ গেল যুবকের

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
দুর্ঘটনায় আহত একজনকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনায় আহত একজনকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মিনি ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে ইব্রাহিম (৪১) নামের এক মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সালাউদ্দিন নামের মোটরসাইকেলের আরেক আরোহী।

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে কালিকাপুর ইউনিয়ন মিরশ্বানী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোফায়েল আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ইব্রাহিম ঢাকার ডেমরার সারুলিয়া এলাকার ডগার পশ্চিম পাড়ার আবু তালেবের ছেলে। নিহত ব্যক্তির বন্ধু সোহেল জানান, ছয়টি মোটরসাইকেলে ঢাকার ডেমরা থেকে আট বন্ধু বান্দরবানে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন। উপজেলার মিরশ্বানী এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব দিক থেকে আসা একটি মিনি ড্রাম ট্রাক মহাসড়কে উঠতে গেলে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ইব্রাহিম ও সালাউদ্দিন গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে ইব্রাহিমের মৃত্যু হয়। আহত সালাউদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রবিউল হক বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোটরসাইকেলচালকের মৃত্যু হয়। আহত আরেকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার এসআই তোফায়েল আহমেদ জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। মহাসড়কের অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পিরোজপুরে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

পিরোজপুর প্রতিনিধি
শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাইদুল ইসলাম কিসমত, পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম তানভীর আহম্মেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সমন্বয়ক আলামিন হোসেন প্রমুখ।

জেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সড়ক বিভাগ, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পিরোজপুর প্রেসক্লাবসহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সকাল ৯টায় জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। আজ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে জেলা প্রশাসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিজয় দিবস উদ্‌যাপনে মুছে ফেলা হলো জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
স্মৃতিস্তম্ভে চুনকাম করায় গ্রাফিতিগুলো মুছে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্মৃতিস্তম্ভে চুনকাম করায় গ্রাফিতিগুলো মুছে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্‌যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।

সারা দেশের মতো চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে যোগ দেন ফুলপুরের শিক্ষার্থীরাও। রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন তাঁরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম নামের এক কৃষক শহীদ হন।

আন্দোলনের শক্তি সঞ্চার করতে ফুলপুর গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে ‘পানি লাগবে কারও পানি, স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনব, এক সাঈদ লোকান্তরে লক্ষ সাঈদ ঘরে ঘরে’ এমন নানা উক্তি লেখেন শিক্ষার্থীরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে লেখা এসব উক্তি মুছে ফেলায় ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জুলাই যোদ্ধা সামাদ খান নাঈম বলেন, ‘দু-তিন দিন ধরে দেখছি, আমাদের অঙ্কিত গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে। কারা এ কাজটি করেছে জানি না; তবে তা খুব খারাপ হয়েছে। এটা আশা করিনি। আমরা আন্দোলনের ফাঁকে ফাঁকে এগুলো এঁকেছিলাম। এখন ইচ্ছে করলেই তা আঁকা সম্ভব নয়।’

এ বিষয়ে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, জুলাই আন্দোলনের কোনো গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়নি। তবে প্যানা পোস্টার ছিল, সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে। উপজেলা শহরের গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে কোনো গ্রাফিতি ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। পরে রাত ১২টার দিকে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অঙ্কিত গ্রাফিতি ফ্যাকাশে ও বিবর্ণ হয়ে স্থানীয় জুলাই যোদ্ধা ও ছাত্র প্রতিনিধিদের পরামর্শক্রমে নতুনভাবে গ্রাফিতি অঙ্কনের উদ্দেশ্যে চুন দিয়ে সাদা করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর এই গ্রাফিতি ছাত্র-ছাত্রী ও জুলাই যোদ্ধাদের সমন্বয়ে নতুন করে আঁকা হবে বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন। এ নিয়ে কাউকে বিভ্রান্তি না ছড়াতে অনুরোধ জানায় উপজেলা প্রশাসন।

ময়মনসিংহ সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘কোনো কিছু মুছে দিয়ে লিখে দেওয়া প্রকৃত চেতনাকে ধারণ করে না। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিজেদের অঙ্কিত লেখার মাধ্যমে সাহস সঞ্চার করেছিলেন। তাই ইতিহাস মুছে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য উন্মুক্ত স্মৃতিসৌধের ফটক, আশপাশের সড়কে যান চলাচল শুরু

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভিন্ন সংগঠন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভিন্ন সংগঠন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর আগে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে ভোররাত থেকে আশপাশ এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ।

এদিকে মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিয়মিত পোশাকের বাইরে সাদাপোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে তারা।

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘যাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাঁদের স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদাপোশাকে ৪ হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।’

এর আগে গতকাল ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-আশুলিয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী, বাইপাইল পয়েন্টে ডাইভারশন চলবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সকল যানবাহনের চালককে অনুরোধ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার গাড়িবহর স্মৃতিসৌধ থেকে সকাল ৭টা ৫ মিনিটের দিকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্মৃতিসৌধ-সংলগ্ন সড়কে যান চলাচলের অনুমতি দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত