Ajker Patrika

নাঙ্গলকোটে ১১ মাসে ৩ বার আ.লীগের কমিটি বদল, বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৩, ২১: ২১
নাঙ্গলকোটে ১১ মাসে ৩ বার আ.লীগের কমিটি বদল, বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে চলছে ভাঙা-গড়ার খেলা। গত ১১ মাসে এ উপজেলায় তিনবার কমিটি পরিবর্তন করা হয়েছে। এ নিয়ে চলছে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ। এদিকে কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জেলা সভাপতি ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং সাবেক রেলমন্ত্রী ও জেলা সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হককে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

অন্যদিকে নির্বাচনের আগে কমিটি ভাঙা-গড়া চলতে থাকলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। 

স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নাঙ্গলকোট হাইস্কুল মাঠে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কোনো কমিটি ঘোষণা না দিয়ে ১১ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন কালুকে সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

পরবর্তীকালে ২০২৩ সালের ২৬ মার্চ পূর্বের কমিটিকে বাতিল করে অধ্যক্ষ আবু ইউছুফকে সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য আবু বকর ছিদ্দিক আবুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ ২ নভেম্বর ওই কমিটিও বাতিল করে রফিকুল হোসেন চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক ও অধ্যক্ষ ছাদেক হোসেন ভূঁইয়াকে সদস্যসচিব করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সভাপতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব। 

এদিকে ২ নভেম্বরের আহ্বায়ক কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক রেলপথমন্ত্রী মজিবুল হক মুজিব এমপিকে নোটিশ লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগ সদ্য বিদায়ী কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাশেমের পক্ষে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল। ১১ মাসের মধ্যে ৩টি কমিটি গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী হওয়ায় এ নোটিশ পাঠানো হয় বলে লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়। 

এ ছাড়া লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়, পুনরায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ ও সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক আবুর কমিটি পুনর্বহাল না করলে, জেলা সভাপতি ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক রেলপথমন্ত্রী মজিবুল হক মজিবের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ফৌজদারি/রিভিশন মামলা করা হবে। 

লিগ্যাল নোটিশ প্রদানকারী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইব্রাহিম জুয়েল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সবেমাত্র লিগ্যাল নোটিশ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে প্রদান করেছি। আগামী এক মাসের মধ্যে এক নোটিশের জবাব দিতে হবে।’ 

কমিটি গঠনের বৈধতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র মোতাবেক যেকোনো উপজেলা কমিটি ৭১ সদস্যবিশিষ্ট হয়। নাঙ্গলকোটের সদ্য ঘোষিত আওয়ামী লীগের কমিটি ১২৭ সদস্যবিশিষ্ট, যা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অঙ্গীকারনামা ২-এর ‘খ’ ধারায়-১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ২৫ অনুচ্ছেদ মোতাবেক ৩৯ ধারা অনুযায়ী নাঙ্গলকোটের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিটি অবৈধ।’ 

এদিকে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে দেখা গেছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা। 

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট তৃণমূল আওয়ামী লীগের কর্মী সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেভাবে নাঙ্গলকোট আওয়ামী লীগের কমিটি ভাঙা-গড়ার খেলা চলছে, এতে এ উপজেলা আওয়ামী লীগ দুভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। সাধারণ কর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এর প্রভাব আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পড়বে।’ 

কমিটি ভাঙা-গড়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব-বিভক্তি প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। দুই ভাগে বিভক্তি হয়ে নেতৃবৃন্দ পরস্পরের নিন্দা করছেন। 

এ বিষয়ে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী নাঙ্গলকোট আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে যেভাবে ভাঙা-গড়ার খেলায় মেতে উঠেছেন, তার ফলাফল ভালো হবে না। সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে নাঙ্গলকোটের কমিটি তিনি বিলুপ্ত করেছেন। গত ১১ মাসে তিনবার কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর প্রভাব আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পড়ার আশঙ্কা করছি।’ 
 
সদ্য ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক রফিকুল হোসেন চেয়ারম্যান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গঠনতন্ত্র মেনেই জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন। এতে দলীয় গঠনতন্ত্র লঙ্ঘিত হয়নি।’ 

তবে এ ব্যাপারে জেলা কমিটির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক গণমাধ্যমকে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যৌনকর্মীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ, কুয়াকাটায় জামায়াত নেতা বহিষ্কার

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
বহিষ্কার করা জামায়াত নেতা আ. হালিম। ছবি: সংগৃহীত
বহিষ্কার করা জামায়াত নেতা আ. হালিম। ছবি: সংগৃহীত

নিজের বাড়িতে যৌনকর্মীদের (পতিতা) আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে কুয়াকাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আ. হালিমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা মো. শহীদুল ইসলাম।

জামায়াত নেতারা বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিশেষ রোকন বৈঠক আহ্বান করা হয়। বৈঠকে উত্থাপিত অভিযোগ ও প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিষয়টি জামায়াতে ইসলামীর নীতিমালা ও আদর্শ পরিপন্থী। তাই সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আ. হালিমকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম মন্নান, লতাচাপলী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির রাসেল মুসুল্লি, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আল আমিন মৃধা, যুব জামায়াতের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সিকদার এবং জামায়াতের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সেক্রেটারি শাহাবুদ্দিন ফরাজি।

কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম মন্নান বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শভিত্তিক সংগঠন। এখানে ব্যক্তির চেয়ে সংগঠনের আদর্শ ও নৈতিকতা গুরুত্বপূর্ণ। কোনো নেতার বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠলে তা দলীয়ভাবে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। সংগঠনের সুনাম ও আদর্শ রক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘একটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষ রোকন বৈঠক ডেকে কুয়াকাটা পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী করতে হলে অবশ্যই সাংগঠনিক নিয়মকানুন ও দলীয় নীতিমালা মেনে চলতে হয়।’

তবে অভিযুক্ত মো. আ. হালিম তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বাসায় ছয়টি পরিবার ভাড়া থাকে। এর মধ্যে একটি বাসা মা-মেয়ে পরিচয়ে চারজন নারী দুই মাস আগে ভাড়া নেন। তাঁরা কোথায় কী কাজ করেন, তা আমার জানার বিষয় নয়। আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি শিগগির সংবাদ সম্মেলন করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দলবদলেও রক্ষা পেলেন না ছাত্রলীগ নেতা, ডিবির হাতে আটক

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০১
মোহাম্মদ শাহীন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ শাহীন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপিতে যোগদানের এক দিন পার না হতেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কুমিল্লা উত্তর জেলার সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহীন মিয়াকে (৩৪) আটক করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলার ১ নম্বর বড়শালঘর ইউনিয়নের সৈয়দপুর বাজারে তাঁর নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘শাহীন ফার্মেসি’ থেকে ডিবি ও থানা-পুলিশের যৌথ অভিযানে তাঁকে আটক করা হয়।

মোহাম্মদ শাহীন মিয়া বড়শালঘর গ্রামের মৃত শহিদ মেম্বারের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এবং কুমিল্লা-৪ দেবিদ্বার আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের আস্থাভাজন ছিলেন।

এর আগে গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার পৌর এলাকার গুনাইঘরে ‘শহীদ জিয়া মিলনায়তনে’ আনুষ্ঠানিকভাবে শালঘর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের দুই শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, টানা চারবারের সাবেক এমপি ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সির হাতে তাঁরা বিএনপির পতাকা তুলে দেন। যোগদানকারীদের মধ্যে মোহাম্মদ শাহীন মিয়াও ছিলেন।

ওই যোগদান কার্যক্রম সম্পন্ন হয় আওয়ামী লীগের বড়শালঘর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম জারু চেয়ারম্যানের নির্দেশে এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ইউপি সদস্য আলম হাজারীর নেতৃত্বে। যোগদানকারীরা সবাই সাবেক আওয়ামী লীগ এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের সমর্থক ছিলেন।

এ বিষয়ে সদ্য বিএনপিতে যোগদানকারী ইউপি সদস্য আলম হাজারী বলেন, ‘শাহীনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। কেন তাঁকে আটক করা হলো, সেটিও আমরা জানি না।’

কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রেজভিউল আহসান মুন্সি বলেন, ‘মোহাম্মদ শাহীন মিয়া আমাদের পুরোনো কর্মী। বিগত সরকারের আমলে নিরাপত্তার কারণে তিনি ভিন্নভাবে চলাফেরা করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।’

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার শাহীন মিয়াকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনি বর্তমানে ছুটিতে আছেন। অভিযানে থাকা ওসি (তদন্ত) মঈনুদ্দিনের কাছ থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।

মঈনুদ্দিন বলেন, ‘শাহীনকে ডিবি পুলিশ আটক করেছে। কোন মামলায় তাঁকে আটক দেখানো হয়েছে, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানানো হবে।’

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, গ্রেপ্তারের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎আরমানিটোলায় বহুতল ভবনে আগুন‎, ৪০ মিনিট পর নিয়ন্ত্রণে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫৯
বাবুবাজার এলাকায় হাজী টাওয়ার নামের ১৪ তলা ভবনের ষষ্ঠ তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ছবি: ফায়ার সার্ভিস
বাবুবাজার এলাকায় হাজী টাওয়ার নামের ১৪ তলা ভবনের ষষ্ঠ তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ছবি: ফায়ার সার্ভিস

‎রাজধানীর আরমানিটোলার বাবুবাজার এলাকায় হাজী টাওয়ার নামের ১৪ তলা ভবনের ষষ্ঠতলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। সকাল ৭টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে আজ সকালে খুদে বার্তায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়।

‎‎ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পাওয়া যায়। খবর পাওয়ার মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে, অর্থাৎ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

বাবুবাজার এলাকায় হাজী টাওয়ার নামের ১৪ তলা ভবনের ষষ্ঠ তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ছবি: ফায়ার সার্ভিস
বাবুবাজার এলাকায় হাজী টাওয়ার নামের ১৪ তলা ভবনের ষষ্ঠ তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ছবি: ফায়ার সার্ভিস

হাজী টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সদরঘাট ফায়ার স্টেশন থেকে ২টি, সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশন থেকে ৫টি এবং সূত্রাপুর ফায়ার স্টেশন থেকে ২টিসহ মোট ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে। পরে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।‎

তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্দোষ আওয়ামী লীগসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করার দাবি বিএনপি নেতার

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪১
গতকাল দুপুরে নেছারাবাদে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা মো. মইনুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল দুপুরে নেছারাবাদে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা মো. মইনুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

নেছারাবাদে নির্দোষ ও নিরপরাধ আওয়ামী লীগ সমর্থকসহ সাধারণ জনগণকে হয়রানি না করার জন্য পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা মো. মইনুল হাসান। গতকাল সোমবার দুপুরে নেছারাবাদ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই দাবি জানান। জেলা প্রশাসকের সফর উপলক্ষে নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ হলরুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মো. আবু সাঈদ। সভাপতিত্ব করেন নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত দত্ত। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নেছারাবাদ-কাউখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাবিহা মেহবুবা, নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান।

সভায় স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মইনুল হাসান বলেন, ‘নেছারাবাদ উপজেলায় যেন কোনো নির্দোষ ও নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা না হয়। গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন বা হয়রানি বন্ধ করতে হবে।’ প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী আহমেদ সোহেল মঞ্জুর সুমনও ইতিপূর্বে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে একই ধরনের অনুরোধ জানিয়েছেন।’ পাশাপাশি ধর্মকে অপব্যবহার করে নেছারাবাদে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি যেন না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে একই সভায় বক্তব্য দেন জামায়াত নেতা মো. গোলাম আযম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অতীতে ডিবি পুলিশের মাধ্যমে নির্দোষ কিছু মানুষকে ধরে গ্রেপ্তার-বাণিজ্য করা হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার দাবি জানান তিনি।

নেছারাবাদ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রায়হান মাহমুদের সঞ্চালনায় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন, নেছারাবাদ সেনাক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন আল আরাফ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসেন জয় প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত