কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে সম্পদে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। প্রার্থীদের মধ্যে ফৌজদারি মামলায় শীর্ষে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হওয়া নিজাম উদ্দিন কায়সার। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক জানিয়েছেন পেশায় ঠিকাদার হলেও তাঁর কাছে কোনো নগদ টাকা নেই। প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন কুসিক নির্বাচনের ছয় মেয়র পদপ্রার্থী হলফনামা জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন—বিএনপিপন্থী মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার, আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত রাশেদুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল ও মাসুদ পারভেজ খান ইমরান।
নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ; জন্ম ১৯৫৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। ২০০১ সালের একটি হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ায় তিনি বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত নন। পেশায় ঠিকাদার হলেও তাঁর কাছে কোনো নগদ টাকা নেই। নিজের আয়ের উৎস হিসেবে তিনি কৃষি খাত, বাড়ি ও দোকান ভাড়া, ব্যবসাকে দেখান। এই খাতগুলো থেকে তাঁর মোট বার্ষিক আয় ২২ লাখ ২১ হাজার ৮০০ টাকা দেখানো হয়েছে।
হলফনামায় রিফাত পরিবারের সদস্য ও অন্য উৎস থেকে বার্ষিক ৭ লাখ টাকার বেশি আয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা এবং স্ত্রীর স্বর্ণালংকার, পোস্টাল ও বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রে ৭৮ লাখ টাকার বেশি জমা থাকা এবং একটি কোটি টাকার জিপ গাড়িসহ দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ঢাকা ও কুমিল্লায় একটি করে দুটি ফ্ল্যাটের কথা উল্লেখ করলেও জানিয়েছেন, তাঁর কাছে কোনো নগদ অর্থ নেই।
মনিরুল হক সাক্কু কুসিকের দুবারের মেয়র। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। জন্ম ১৯৬২ সালের ১১ ডিসেম্বর। তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমানে দুদক ও আয়কর আইনের দুটি মামলা বিচারাধীন। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে থাকা হত্যাসহ ফৌজদারি ও অন্যান্য আইনে করা ১০টি মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি বা খালাস পেয়েছেন।
বিএনপিপন্থী এ মেয়র পদপ্রার্থীর সম্পদ গত পাঁচ বছরে অনেকটা বেড়েছে। হলফনামায় উল্লিখিত তথ্যমতে, ২০১৭ সালে হলফনামায় সাক্কুর নিজ নামে নগদ ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩০৬ টাকার কথা বলা ছিল। এবার নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯২ টাকায়। স্ত্রীর নামে ২০১৭ সালে ছিল ৫৫ লাখ ৮৬ হাজার ৫২৩ টাকা, যা এবার হয়েছে ৯৯ লাখ ১৩ হাজার ৮২১ টাকা। এ বছরের তথ্যে তার বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য খাতে আয় দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ৮ হাজার টাকা। এ খাতে নির্ভরশীলদের কাছ থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৬৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩৬ টাকা। ব্যবসা খাতে নির্ভরশীলদের আয় বছরে ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। তিনি মেয়র হিসেবে বার্ষিক সম্মানী ভাতা পেয়েছেন ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কোম্পানিতে নিজের ও স্ত্রীর নামে জমার পরিমাণ ১ কোটি টাকার বেশি। যানবাহনের মধ্যে আছে নিজের নামে একটি ল্যান্ডক্রুজার জিপ ও স্ত্রীর নামে একটি জিপ গাড়ি।
এ ছাড়া ২০ একর কৃষি জমি ও ১৪৬ শতকের একটি পুকুর, নাল জমি ১০৪ শতক, স্ত্রীর নামে ১ দশমিক ২৩ একর জমি, নিজের নামে রাজধানী ঢাকায় পৃথক পাঁচটিসহ কুমিল্লার বজ্রপুর এলাকায় মোটি ৪১ শতক জমির কথা উল্লেখ করা হয়েছে স্থাবর সম্পত্তির তালিকায়। স্ত্রীর নামে কুমিল্লা ও রাজধানীতে থাকা ফ্ল্যাট ও দোকান এবং ভবন মিলিয়ে যে সম্পদের হিসাব তিনি দিয়েছেন, তাতে এবারের কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে সম্পদশালী।
সাক্কু সম্পদে এগিয়ে থাকলে আরেক বিএনপিপন্থী প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার এগিয়ে আছেন মামলা সংখ্যায়। তিনি স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র পদে প্রার্থী হয়েছেন। নিজাম উদ্দিন কায়সারের জন্ম ১৯৮২ সালের ৩১ অক্টোবর। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিকম। তাঁর বিরুদ্ধে বিচারাধীন ফৌজদারি মামলা রয়েছে আটটি। আর খালাস পেয়েছেন চারটি মামলা থেকে। দ্রুতবিচার আইনের একটি মামলার কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। বার্ষিক আয়ের উৎস দেখানো হয়েছে, চাকরি থেকে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর অন্যান্য উৎস থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ৬২৭ টাকা। নগদ আছে ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫ টাকা। ব্যাংকে জমার পরিমাণ ৩ লাখ ২ হাজার ৪৯৭ টাকা। বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানি থেকে আয় ৪০ হাজার টাকা। নিজের ৩০ তোলা ও স্ত্রীর ২০ তোলা স্বর্ণ আছে।
এবারের নির্বাচনে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান মেয়র পদপ্রার্থী হয়েছেন। হলফনামায় তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএসএস পাসের কথা উল্লেখ করেছেন। হলফনামা অনুসারে, তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৬ ও ২০১৯ সালের পৃথক দুটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন। তিনি অতীতে দুটি ফৌজদারি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। এ ছাড়া একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজার আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত আছে। কৃষি, ব্যবসা ও অন্যান্য খাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকার বেশি। আর তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ টাকা আছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৪২ টাকা, ব্যাংকে জমা ৩ লাখ ১৭ হাজার ২৫৮ টাকা। স্ত্রী নামে নগদ ও ব্যাংকে আছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যানবাহনের মধ্যে আছে নিজের একটি জিপ, স্ত্রীর একটি ব্যক্তিগত গাড়ি।
কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে - এখানে ক্লিক করুন
অন্য দুই প্রার্থীর মধ্যে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি তাঁর জন্ম। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। নগদ টাকা আছে ৫০ হাজার, আর ব্যাংকে আছে ২ লাখ ৪২৮ টাকা। অকৃষি জমি আছে ৮ দশমিক ২৫ শতক। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল জানিয়েছেন, ১৯৫৮ সালের ২১ জুন জন্ম নেওয়া বাবুলের ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নগদ টাকা আছে ৩ লাখ ৫০ হাজার। আর ব্যাংকে আছে ৫ হাজার টাকা। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা আছে।
কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে সম্পদে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। প্রার্থীদের মধ্যে ফৌজদারি মামলায় শীর্ষে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হওয়া নিজাম উদ্দিন কায়সার। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক জানিয়েছেন পেশায় ঠিকাদার হলেও তাঁর কাছে কোনো নগদ টাকা নেই। প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন কুসিক নির্বাচনের ছয় মেয়র পদপ্রার্থী হলফনামা জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন—বিএনপিপন্থী মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার, আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত রাশেদুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল ও মাসুদ পারভেজ খান ইমরান।
নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ; জন্ম ১৯৫৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। ২০০১ সালের একটি হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ায় তিনি বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত নন। পেশায় ঠিকাদার হলেও তাঁর কাছে কোনো নগদ টাকা নেই। নিজের আয়ের উৎস হিসেবে তিনি কৃষি খাত, বাড়ি ও দোকান ভাড়া, ব্যবসাকে দেখান। এই খাতগুলো থেকে তাঁর মোট বার্ষিক আয় ২২ লাখ ২১ হাজার ৮০০ টাকা দেখানো হয়েছে।
হলফনামায় রিফাত পরিবারের সদস্য ও অন্য উৎস থেকে বার্ষিক ৭ লাখ টাকার বেশি আয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা এবং স্ত্রীর স্বর্ণালংকার, পোস্টাল ও বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রে ৭৮ লাখ টাকার বেশি জমা থাকা এবং একটি কোটি টাকার জিপ গাড়িসহ দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ঢাকা ও কুমিল্লায় একটি করে দুটি ফ্ল্যাটের কথা উল্লেখ করলেও জানিয়েছেন, তাঁর কাছে কোনো নগদ অর্থ নেই।
মনিরুল হক সাক্কু কুসিকের দুবারের মেয়র। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। জন্ম ১৯৬২ সালের ১১ ডিসেম্বর। তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমানে দুদক ও আয়কর আইনের দুটি মামলা বিচারাধীন। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে থাকা হত্যাসহ ফৌজদারি ও অন্যান্য আইনে করা ১০টি মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি বা খালাস পেয়েছেন।
বিএনপিপন্থী এ মেয়র পদপ্রার্থীর সম্পদ গত পাঁচ বছরে অনেকটা বেড়েছে। হলফনামায় উল্লিখিত তথ্যমতে, ২০১৭ সালে হলফনামায় সাক্কুর নিজ নামে নগদ ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩০৬ টাকার কথা বলা ছিল। এবার নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯২ টাকায়। স্ত্রীর নামে ২০১৭ সালে ছিল ৫৫ লাখ ৮৬ হাজার ৫২৩ টাকা, যা এবার হয়েছে ৯৯ লাখ ১৩ হাজার ৮২১ টাকা। এ বছরের তথ্যে তার বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য খাতে আয় দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ৮ হাজার টাকা। এ খাতে নির্ভরশীলদের কাছ থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৬৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩৬ টাকা। ব্যবসা খাতে নির্ভরশীলদের আয় বছরে ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। তিনি মেয়র হিসেবে বার্ষিক সম্মানী ভাতা পেয়েছেন ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কোম্পানিতে নিজের ও স্ত্রীর নামে জমার পরিমাণ ১ কোটি টাকার বেশি। যানবাহনের মধ্যে আছে নিজের নামে একটি ল্যান্ডক্রুজার জিপ ও স্ত্রীর নামে একটি জিপ গাড়ি।
এ ছাড়া ২০ একর কৃষি জমি ও ১৪৬ শতকের একটি পুকুর, নাল জমি ১০৪ শতক, স্ত্রীর নামে ১ দশমিক ২৩ একর জমি, নিজের নামে রাজধানী ঢাকায় পৃথক পাঁচটিসহ কুমিল্লার বজ্রপুর এলাকায় মোটি ৪১ শতক জমির কথা উল্লেখ করা হয়েছে স্থাবর সম্পত্তির তালিকায়। স্ত্রীর নামে কুমিল্লা ও রাজধানীতে থাকা ফ্ল্যাট ও দোকান এবং ভবন মিলিয়ে যে সম্পদের হিসাব তিনি দিয়েছেন, তাতে এবারের কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে সম্পদশালী।
সাক্কু সম্পদে এগিয়ে থাকলে আরেক বিএনপিপন্থী প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার এগিয়ে আছেন মামলা সংখ্যায়। তিনি স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র পদে প্রার্থী হয়েছেন। নিজাম উদ্দিন কায়সারের জন্ম ১৯৮২ সালের ৩১ অক্টোবর। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিকম। তাঁর বিরুদ্ধে বিচারাধীন ফৌজদারি মামলা রয়েছে আটটি। আর খালাস পেয়েছেন চারটি মামলা থেকে। দ্রুতবিচার আইনের একটি মামলার কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। বার্ষিক আয়ের উৎস দেখানো হয়েছে, চাকরি থেকে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর অন্যান্য উৎস থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ৬২৭ টাকা। নগদ আছে ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫ টাকা। ব্যাংকে জমার পরিমাণ ৩ লাখ ২ হাজার ৪৯৭ টাকা। বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানি থেকে আয় ৪০ হাজার টাকা। নিজের ৩০ তোলা ও স্ত্রীর ২০ তোলা স্বর্ণ আছে।
এবারের নির্বাচনে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান মেয়র পদপ্রার্থী হয়েছেন। হলফনামায় তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএসএস পাসের কথা উল্লেখ করেছেন। হলফনামা অনুসারে, তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৬ ও ২০১৯ সালের পৃথক দুটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন। তিনি অতীতে দুটি ফৌজদারি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। এ ছাড়া একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজার আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত আছে। কৃষি, ব্যবসা ও অন্যান্য খাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকার বেশি। আর তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ টাকা আছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৪২ টাকা, ব্যাংকে জমা ৩ লাখ ১৭ হাজার ২৫৮ টাকা। স্ত্রী নামে নগদ ও ব্যাংকে আছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যানবাহনের মধ্যে আছে নিজের একটি জিপ, স্ত্রীর একটি ব্যক্তিগত গাড়ি।
কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে - এখানে ক্লিক করুন
অন্য দুই প্রার্থীর মধ্যে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি তাঁর জন্ম। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। নগদ টাকা আছে ৫০ হাজার, আর ব্যাংকে আছে ২ লাখ ৪২৮ টাকা। অকৃষি জমি আছে ৮ দশমিক ২৫ শতক। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল জানিয়েছেন, ১৯৫৮ সালের ২১ জুন জন্ম নেওয়া বাবুলের ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নগদ টাকা আছে ৩ লাখ ৫০ হাজার। আর ব্যাংকে আছে ৫ হাজার টাকা। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা আছে।
কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে সম্পদে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। প্রার্থীদের মধ্যে ফৌজদারি মামলায় শীর্ষে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হওয়া নিজাম উদ্দিন কায়সার। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক জানিয়েছেন পেশায় ঠিকাদার হলেও তাঁর কাছে কোনো নগদ টাকা নেই। প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন কুসিক নির্বাচনের ছয় মেয়র পদপ্রার্থী হলফনামা জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন—বিএনপিপন্থী মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার, আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত রাশেদুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল ও মাসুদ পারভেজ খান ইমরান।
নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ; জন্ম ১৯৫৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। ২০০১ সালের একটি হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ায় তিনি বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত নন। পেশায় ঠিকাদার হলেও তাঁর কাছে কোনো নগদ টাকা নেই। নিজের আয়ের উৎস হিসেবে তিনি কৃষি খাত, বাড়ি ও দোকান ভাড়া, ব্যবসাকে দেখান। এই খাতগুলো থেকে তাঁর মোট বার্ষিক আয় ২২ লাখ ২১ হাজার ৮০০ টাকা দেখানো হয়েছে।
হলফনামায় রিফাত পরিবারের সদস্য ও অন্য উৎস থেকে বার্ষিক ৭ লাখ টাকার বেশি আয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা এবং স্ত্রীর স্বর্ণালংকার, পোস্টাল ও বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রে ৭৮ লাখ টাকার বেশি জমা থাকা এবং একটি কোটি টাকার জিপ গাড়িসহ দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ঢাকা ও কুমিল্লায় একটি করে দুটি ফ্ল্যাটের কথা উল্লেখ করলেও জানিয়েছেন, তাঁর কাছে কোনো নগদ অর্থ নেই।
মনিরুল হক সাক্কু কুসিকের দুবারের মেয়র। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। জন্ম ১৯৬২ সালের ১১ ডিসেম্বর। তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমানে দুদক ও আয়কর আইনের দুটি মামলা বিচারাধীন। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে থাকা হত্যাসহ ফৌজদারি ও অন্যান্য আইনে করা ১০টি মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি বা খালাস পেয়েছেন।
বিএনপিপন্থী এ মেয়র পদপ্রার্থীর সম্পদ গত পাঁচ বছরে অনেকটা বেড়েছে। হলফনামায় উল্লিখিত তথ্যমতে, ২০১৭ সালে হলফনামায় সাক্কুর নিজ নামে নগদ ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩০৬ টাকার কথা বলা ছিল। এবার নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯২ টাকায়। স্ত্রীর নামে ২০১৭ সালে ছিল ৫৫ লাখ ৮৬ হাজার ৫২৩ টাকা, যা এবার হয়েছে ৯৯ লাখ ১৩ হাজার ৮২১ টাকা। এ বছরের তথ্যে তার বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য খাতে আয় দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ৮ হাজার টাকা। এ খাতে নির্ভরশীলদের কাছ থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৬৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩৬ টাকা। ব্যবসা খাতে নির্ভরশীলদের আয় বছরে ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। তিনি মেয়র হিসেবে বার্ষিক সম্মানী ভাতা পেয়েছেন ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কোম্পানিতে নিজের ও স্ত্রীর নামে জমার পরিমাণ ১ কোটি টাকার বেশি। যানবাহনের মধ্যে আছে নিজের নামে একটি ল্যান্ডক্রুজার জিপ ও স্ত্রীর নামে একটি জিপ গাড়ি।
এ ছাড়া ২০ একর কৃষি জমি ও ১৪৬ শতকের একটি পুকুর, নাল জমি ১০৪ শতক, স্ত্রীর নামে ১ দশমিক ২৩ একর জমি, নিজের নামে রাজধানী ঢাকায় পৃথক পাঁচটিসহ কুমিল্লার বজ্রপুর এলাকায় মোটি ৪১ শতক জমির কথা উল্লেখ করা হয়েছে স্থাবর সম্পত্তির তালিকায়। স্ত্রীর নামে কুমিল্লা ও রাজধানীতে থাকা ফ্ল্যাট ও দোকান এবং ভবন মিলিয়ে যে সম্পদের হিসাব তিনি দিয়েছেন, তাতে এবারের কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে সম্পদশালী।
সাক্কু সম্পদে এগিয়ে থাকলে আরেক বিএনপিপন্থী প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার এগিয়ে আছেন মামলা সংখ্যায়। তিনি স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র পদে প্রার্থী হয়েছেন। নিজাম উদ্দিন কায়সারের জন্ম ১৯৮২ সালের ৩১ অক্টোবর। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিকম। তাঁর বিরুদ্ধে বিচারাধীন ফৌজদারি মামলা রয়েছে আটটি। আর খালাস পেয়েছেন চারটি মামলা থেকে। দ্রুতবিচার আইনের একটি মামলার কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। বার্ষিক আয়ের উৎস দেখানো হয়েছে, চাকরি থেকে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর অন্যান্য উৎস থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ৬২৭ টাকা। নগদ আছে ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫ টাকা। ব্যাংকে জমার পরিমাণ ৩ লাখ ২ হাজার ৪৯৭ টাকা। বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানি থেকে আয় ৪০ হাজার টাকা। নিজের ৩০ তোলা ও স্ত্রীর ২০ তোলা স্বর্ণ আছে।
এবারের নির্বাচনে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান মেয়র পদপ্রার্থী হয়েছেন। হলফনামায় তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএসএস পাসের কথা উল্লেখ করেছেন। হলফনামা অনুসারে, তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৬ ও ২০১৯ সালের পৃথক দুটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন। তিনি অতীতে দুটি ফৌজদারি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। এ ছাড়া একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজার আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত আছে। কৃষি, ব্যবসা ও অন্যান্য খাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকার বেশি। আর তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ টাকা আছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৪২ টাকা, ব্যাংকে জমা ৩ লাখ ১৭ হাজার ২৫৮ টাকা। স্ত্রী নামে নগদ ও ব্যাংকে আছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যানবাহনের মধ্যে আছে নিজের একটি জিপ, স্ত্রীর একটি ব্যক্তিগত গাড়ি।
কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে - এখানে ক্লিক করুন
অন্য দুই প্রার্থীর মধ্যে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি তাঁর জন্ম। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। নগদ টাকা আছে ৫০ হাজার, আর ব্যাংকে আছে ২ লাখ ৪২৮ টাকা। অকৃষি জমি আছে ৮ দশমিক ২৫ শতক। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল জানিয়েছেন, ১৯৫৮ সালের ২১ জুন জন্ম নেওয়া বাবুলের ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নগদ টাকা আছে ৩ লাখ ৫০ হাজার। আর ব্যাংকে আছে ৫ হাজার টাকা। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা আছে।
কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে সম্পদে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। প্রার্থীদের মধ্যে ফৌজদারি মামলায় শীর্ষে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হওয়া নিজাম উদ্দিন কায়সার। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক জানিয়েছেন পেশায় ঠিকাদার হলেও তাঁর কাছে কোনো নগদ টাকা নেই। প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন কুসিক নির্বাচনের ছয় মেয়র পদপ্রার্থী হলফনামা জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন—বিএনপিপন্থী মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার, আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত রাশেদুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল ও মাসুদ পারভেজ খান ইমরান।
নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ; জন্ম ১৯৫৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। ২০০১ সালের একটি হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ায় তিনি বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত নন। পেশায় ঠিকাদার হলেও তাঁর কাছে কোনো নগদ টাকা নেই। নিজের আয়ের উৎস হিসেবে তিনি কৃষি খাত, বাড়ি ও দোকান ভাড়া, ব্যবসাকে দেখান। এই খাতগুলো থেকে তাঁর মোট বার্ষিক আয় ২২ লাখ ২১ হাজার ৮০০ টাকা দেখানো হয়েছে।
হলফনামায় রিফাত পরিবারের সদস্য ও অন্য উৎস থেকে বার্ষিক ৭ লাখ টাকার বেশি আয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা এবং স্ত্রীর স্বর্ণালংকার, পোস্টাল ও বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রে ৭৮ লাখ টাকার বেশি জমা থাকা এবং একটি কোটি টাকার জিপ গাড়িসহ দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ঢাকা ও কুমিল্লায় একটি করে দুটি ফ্ল্যাটের কথা উল্লেখ করলেও জানিয়েছেন, তাঁর কাছে কোনো নগদ অর্থ নেই।
মনিরুল হক সাক্কু কুসিকের দুবারের মেয়র। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। জন্ম ১৯৬২ সালের ১১ ডিসেম্বর। তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমানে দুদক ও আয়কর আইনের দুটি মামলা বিচারাধীন। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে থাকা হত্যাসহ ফৌজদারি ও অন্যান্য আইনে করা ১০টি মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি বা খালাস পেয়েছেন।
বিএনপিপন্থী এ মেয়র পদপ্রার্থীর সম্পদ গত পাঁচ বছরে অনেকটা বেড়েছে। হলফনামায় উল্লিখিত তথ্যমতে, ২০১৭ সালে হলফনামায় সাক্কুর নিজ নামে নগদ ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩০৬ টাকার কথা বলা ছিল। এবার নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯২ টাকায়। স্ত্রীর নামে ২০১৭ সালে ছিল ৫৫ লাখ ৮৬ হাজার ৫২৩ টাকা, যা এবার হয়েছে ৯৯ লাখ ১৩ হাজার ৮২১ টাকা। এ বছরের তথ্যে তার বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য খাতে আয় দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ৮ হাজার টাকা। এ খাতে নির্ভরশীলদের কাছ থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৬৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩৬ টাকা। ব্যবসা খাতে নির্ভরশীলদের আয় বছরে ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। তিনি মেয়র হিসেবে বার্ষিক সম্মানী ভাতা পেয়েছেন ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কোম্পানিতে নিজের ও স্ত্রীর নামে জমার পরিমাণ ১ কোটি টাকার বেশি। যানবাহনের মধ্যে আছে নিজের নামে একটি ল্যান্ডক্রুজার জিপ ও স্ত্রীর নামে একটি জিপ গাড়ি।
এ ছাড়া ২০ একর কৃষি জমি ও ১৪৬ শতকের একটি পুকুর, নাল জমি ১০৪ শতক, স্ত্রীর নামে ১ দশমিক ২৩ একর জমি, নিজের নামে রাজধানী ঢাকায় পৃথক পাঁচটিসহ কুমিল্লার বজ্রপুর এলাকায় মোটি ৪১ শতক জমির কথা উল্লেখ করা হয়েছে স্থাবর সম্পত্তির তালিকায়। স্ত্রীর নামে কুমিল্লা ও রাজধানীতে থাকা ফ্ল্যাট ও দোকান এবং ভবন মিলিয়ে যে সম্পদের হিসাব তিনি দিয়েছেন, তাতে এবারের কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে সম্পদশালী।
সাক্কু সম্পদে এগিয়ে থাকলে আরেক বিএনপিপন্থী প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার এগিয়ে আছেন মামলা সংখ্যায়। তিনি স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র পদে প্রার্থী হয়েছেন। নিজাম উদ্দিন কায়সারের জন্ম ১৯৮২ সালের ৩১ অক্টোবর। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিকম। তাঁর বিরুদ্ধে বিচারাধীন ফৌজদারি মামলা রয়েছে আটটি। আর খালাস পেয়েছেন চারটি মামলা থেকে। দ্রুতবিচার আইনের একটি মামলার কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। বার্ষিক আয়ের উৎস দেখানো হয়েছে, চাকরি থেকে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর অন্যান্য উৎস থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ৬২৭ টাকা। নগদ আছে ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫ টাকা। ব্যাংকে জমার পরিমাণ ৩ লাখ ২ হাজার ৪৯৭ টাকা। বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানি থেকে আয় ৪০ হাজার টাকা। নিজের ৩০ তোলা ও স্ত্রীর ২০ তোলা স্বর্ণ আছে।
এবারের নির্বাচনে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান মেয়র পদপ্রার্থী হয়েছেন। হলফনামায় তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বিএসএস পাসের কথা উল্লেখ করেছেন। হলফনামা অনুসারে, তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৬ ও ২০১৯ সালের পৃথক দুটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন। তিনি অতীতে দুটি ফৌজদারি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। এ ছাড়া একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজার আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত আছে। কৃষি, ব্যবসা ও অন্যান্য খাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকার বেশি। আর তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ টাকা আছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৪২ টাকা, ব্যাংকে জমা ৩ লাখ ১৭ হাজার ২৫৮ টাকা। স্ত্রী নামে নগদ ও ব্যাংকে আছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যানবাহনের মধ্যে আছে নিজের একটি জিপ, স্ত্রীর একটি ব্যক্তিগত গাড়ি।
কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে - এখানে ক্লিক করুন
অন্য দুই প্রার্থীর মধ্যে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি তাঁর জন্ম। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। নগদ টাকা আছে ৫০ হাজার, আর ব্যাংকে আছে ২ লাখ ৪২৮ টাকা। অকৃষি জমি আছে ৮ দশমিক ২৫ শতক। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল জানিয়েছেন, ১৯৫৮ সালের ২১ জুন জন্ম নেওয়া বাবুলের ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নগদ টাকা আছে ৩ লাখ ৫০ হাজার। আর ব্যাংকে আছে ৫ হাজার টাকা। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা আছে।
কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:

খুলনা ওয়াসার ৪৪ হাজার ১১ জন গ্রাহক। এর মধ্যে ১০ হাজার গ্রাহকই পানির বিলের একটি পয়সাও পরিশোধ করেননি। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সব মিলিয়ে সংস্থাটির বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।
১৫ মিনিট আগে
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগেকাজী শামিম আহমেদ, খুলনা

খুলনা ওয়াসার ৪৪ হাজার ১১ জন গ্রাহক। এর মধ্যে ১০ হাজার গ্রাহকই পানির বিলের একটি পয়সাও পরিশোধ করেননি। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সব মিলিয়ে সংস্থাটির বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। অভিযোগ উঠেছে, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঘুষ নিয়ে ফিরে আসেন। ফলে বকেয়া বিল আদায় করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৪ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় আলোচনা হয়। এ সময় বিল পরিশোধে গ্রাহকদের সতর্ক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো বকেয়া আদায়ে কার্যকরী পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছে চরম দ্বন্দ্ব। এ সুযোগটি নিচ্ছেন সাধারণ কর্মচারীরা। তাঁরা কর্মকর্তাদের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কাজ ফাঁকি দেওয়াসহ নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন। কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা কর্মকর্তাদের আদেশ-নির্দেশও মানছেন না।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, কিছু গ্রাহক বিল কিস্তি করে নিয়ে গেলেও সেই কিস্তি পরিশোধ করেন না। অনেকের নাম-ঠিকানা ভুয়া থাকায় তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গ্রাহকসংখ্যার অর্ধেকের বেশিই বিল পরিশোধ করেন না। অনাদায়ি গ্রাহকের অধিকাংশ উচ্চবিত্ত। এ ছাড়া বয়রা মহিলা হোস্টেল, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে বড় অঙ্কের বিল বকেয়া রয়েছে।
একাধিক সূত্র জানায়, ওয়াসার রাজস্ব বিভাগের গঠিত আদায়কারী টিমের সদস্য ও বিল প্রদানকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন। একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছে দেড় লাখ থেকে ২ লাখের বেশি টাকা বকেয়া রয়েছে। প্রতি মাসে এসব প্রতিষ্ঠানে নোটিশ পাঠানো হলেও তারা আদায়কারীদের ৩-৪ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে।
ওয়াসা কর্তৃপক্ষ প্রতিটি গ্রাহকের বাসাবাড়িতে মিটার রিডিং এবং বিল পৌঁছে দেওয়ার জন্য আউটসোর্সিং ঠিকাদার নিয়োগ করেছে। তাঁদের পেছনে প্রতি মাসে খরচ হচ্ছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। অথচ এরা ঠিকমতো বিল পৌঁছান না। আবার তিন-চার মাসের বিল একসঙ্গে পাঠিয়ে ঘুষ-বাণিজ্য করেন, এই অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ‘আমির সুলতান’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প কর্মকর্তা সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, ‘আগে দুর্নীতি হতো কি না জানি না। তবে এখন ডিজিটাল হওয়ায় সেই সুযোগ নেই। আমাদের কাজ হচ্ছে প্রতিটি গ্রাহকের মিটারের ছবি তুলে অনলাইনে এন্ট্রি দেওয়া এবং প্রতি মাসে পানির বিল গ্রাহকদের হাতে পৌঁছানো। আর এ কাজের জন্য চারজন সুপারভাইজারসহ ৩৪ জন কর্মী কাজ করছে।’
প্রকল্প কর্মকর্তা স্বীকার করে বলেন, ‘অনেক সময় অফিস থেকে আদায়কারীরা গেলে গ্রাহকেরা মাঝেমধ্যে আমাদের ফোন দেন। এটা কোনো অন্যায় নয়। আমাদের প্রতিষ্ঠান বিল আদায় করে না, কাজেই আমরা কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই।’
দুর্নীতির বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে ওয়াসার বাণিজ্য ব্যবস্থাপক খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘বকেয়া আদায়ে নিয়মিত মাইকিং, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, নোটিশ প্রদান এবং বাড়ি বাড়ি লোক পাঠানো হয়। গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার দু-একটি অভিযোগ পাওয়া গেলেও তা প্রমাণিত হয়নি।’
খাদেমুল আরও বলেন, ‘ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ বকেয়া ২ লাখের বেশি নয়। বকেয়া অনাদায়ির সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে ব্যক্তি পর্যায়ে গ্রাহকেরা গভীর নলকূপ স্থাপন করছে। এ ক্ষেত্রে ওয়াসার অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজনবোধ করছে না। গভীর নলকূপে মাসে খরচ হচ্ছে মাত্র ৪০০ টাকা। আর ওয়াসাকে দিতে হয় ৪ হাজার টাকা। সে কারণে কিছু গ্রাহক এখন অনুমোদন ছাড়াই গভীর নলকূপ বসাচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওয়াসা।’
ওয়াসার পরিচালক শেখ দিদারুল আলম বলেন, ৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ওয়াসার বোর্ড সভায় বিষয়টি তোলা হয়েছিল। সেখানে আউটসোর্সিং ঠিকাদার পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। অনেকেই পানির বিল দেয় না। বিল পরিশোধের জন্য সতর্ক করতে বলা হয়েছে।

খুলনা ওয়াসার ৪৪ হাজার ১১ জন গ্রাহক। এর মধ্যে ১০ হাজার গ্রাহকই পানির বিলের একটি পয়সাও পরিশোধ করেননি। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সব মিলিয়ে সংস্থাটির বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। অভিযোগ উঠেছে, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঘুষ নিয়ে ফিরে আসেন। ফলে বকেয়া বিল আদায় করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৪ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় আলোচনা হয়। এ সময় বিল পরিশোধে গ্রাহকদের সতর্ক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো বকেয়া আদায়ে কার্যকরী পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছে চরম দ্বন্দ্ব। এ সুযোগটি নিচ্ছেন সাধারণ কর্মচারীরা। তাঁরা কর্মকর্তাদের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কাজ ফাঁকি দেওয়াসহ নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন। কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা কর্মকর্তাদের আদেশ-নির্দেশও মানছেন না।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, কিছু গ্রাহক বিল কিস্তি করে নিয়ে গেলেও সেই কিস্তি পরিশোধ করেন না। অনেকের নাম-ঠিকানা ভুয়া থাকায় তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গ্রাহকসংখ্যার অর্ধেকের বেশিই বিল পরিশোধ করেন না। অনাদায়ি গ্রাহকের অধিকাংশ উচ্চবিত্ত। এ ছাড়া বয়রা মহিলা হোস্টেল, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে বড় অঙ্কের বিল বকেয়া রয়েছে।
একাধিক সূত্র জানায়, ওয়াসার রাজস্ব বিভাগের গঠিত আদায়কারী টিমের সদস্য ও বিল প্রদানকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন। একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছে দেড় লাখ থেকে ২ লাখের বেশি টাকা বকেয়া রয়েছে। প্রতি মাসে এসব প্রতিষ্ঠানে নোটিশ পাঠানো হলেও তারা আদায়কারীদের ৩-৪ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে।
ওয়াসা কর্তৃপক্ষ প্রতিটি গ্রাহকের বাসাবাড়িতে মিটার রিডিং এবং বিল পৌঁছে দেওয়ার জন্য আউটসোর্সিং ঠিকাদার নিয়োগ করেছে। তাঁদের পেছনে প্রতি মাসে খরচ হচ্ছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। অথচ এরা ঠিকমতো বিল পৌঁছান না। আবার তিন-চার মাসের বিল একসঙ্গে পাঠিয়ে ঘুষ-বাণিজ্য করেন, এই অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ‘আমির সুলতান’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প কর্মকর্তা সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, ‘আগে দুর্নীতি হতো কি না জানি না। তবে এখন ডিজিটাল হওয়ায় সেই সুযোগ নেই। আমাদের কাজ হচ্ছে প্রতিটি গ্রাহকের মিটারের ছবি তুলে অনলাইনে এন্ট্রি দেওয়া এবং প্রতি মাসে পানির বিল গ্রাহকদের হাতে পৌঁছানো। আর এ কাজের জন্য চারজন সুপারভাইজারসহ ৩৪ জন কর্মী কাজ করছে।’
প্রকল্প কর্মকর্তা স্বীকার করে বলেন, ‘অনেক সময় অফিস থেকে আদায়কারীরা গেলে গ্রাহকেরা মাঝেমধ্যে আমাদের ফোন দেন। এটা কোনো অন্যায় নয়। আমাদের প্রতিষ্ঠান বিল আদায় করে না, কাজেই আমরা কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই।’
দুর্নীতির বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে ওয়াসার বাণিজ্য ব্যবস্থাপক খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘বকেয়া আদায়ে নিয়মিত মাইকিং, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, নোটিশ প্রদান এবং বাড়ি বাড়ি লোক পাঠানো হয়। গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার দু-একটি অভিযোগ পাওয়া গেলেও তা প্রমাণিত হয়নি।’
খাদেমুল আরও বলেন, ‘ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ বকেয়া ২ লাখের বেশি নয়। বকেয়া অনাদায়ির সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে ব্যক্তি পর্যায়ে গ্রাহকেরা গভীর নলকূপ স্থাপন করছে। এ ক্ষেত্রে ওয়াসার অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজনবোধ করছে না। গভীর নলকূপে মাসে খরচ হচ্ছে মাত্র ৪০০ টাকা। আর ওয়াসাকে দিতে হয় ৪ হাজার টাকা। সে কারণে কিছু গ্রাহক এখন অনুমোদন ছাড়াই গভীর নলকূপ বসাচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওয়াসা।’
ওয়াসার পরিচালক শেখ দিদারুল আলম বলেন, ৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ওয়াসার বোর্ড সভায় বিষয়টি তোলা হয়েছিল। সেখানে আউটসোর্সিং ঠিকাদার পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। অনেকেই পানির বিল দেয় না। বিল পরিশোধের জন্য সতর্ক করতে বলা হয়েছে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে সম্পদে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। প্রার্থীদের মধ্যে ফৌজদারি মামলায় শীর্ষে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হওয়া নিজাম উদ্দিন কায়সার। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক জানিয়েছেন প
২০ মে ২০২২
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগেসহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কেটে অবাধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই একটি সংঘবদ্ধ মাটিখেকো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবৈধ কার্যক্রম চললেও শীত শুরু হলেই ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নে তৎপরতা সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কার্যকর তদারকির অভাবে চলতি মৌসুমে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য কয়েক গুণ বেড়েছে। দিন-রাত শ্রমিক ও ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষিজমির উৎপাদনক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়ছে। অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা কৃষিজমি থেকে টপসয়েল কেটে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের শেরপুর, কেশবপুর ও ঋষিপাড়া এলাকা থেকে নিয়মিত মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি ট্রাক্টর টপসয়েল ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে পরে তা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এই মাটিখেকো চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় প্রকাশ্যে কিছু বলা কঠিন। সরকার পরিবর্তন হলেও প্রভাবশালীরা থেকে যায়।’
অভিযোগের বিষয়ে কামাল মিয়া বলেন, ‘আমরা যে জমি থেকে মাটি কাটি, তা মালিকের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। যদি আইনি কোনো বাধা থাকে, তাহলে আর এসব কাজ করব না।’
আরেক অভিযুক্ত মন্নর মিয়া বলেন, ‘এই মৌসুমে মাত্র দুই দিন মাটি কেটেছি। এখন আর কাটছি না। যে গাড়ি এনেছিলাম, সেটিও ফেরত পাঠিয়েছি। এ বছর আর মাটি কাটব না।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়টি শুনেছি। যারা এ কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কেটে অবাধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই একটি সংঘবদ্ধ মাটিখেকো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবৈধ কার্যক্রম চললেও শীত শুরু হলেই ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নে তৎপরতা সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কার্যকর তদারকির অভাবে চলতি মৌসুমে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য কয়েক গুণ বেড়েছে। দিন-রাত শ্রমিক ও ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষিজমির উৎপাদনক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়ছে। অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা কৃষিজমি থেকে টপসয়েল কেটে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের শেরপুর, কেশবপুর ও ঋষিপাড়া এলাকা থেকে নিয়মিত মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি ট্রাক্টর টপসয়েল ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে পরে তা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এই মাটিখেকো চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় প্রকাশ্যে কিছু বলা কঠিন। সরকার পরিবর্তন হলেও প্রভাবশালীরা থেকে যায়।’
অভিযোগের বিষয়ে কামাল মিয়া বলেন, ‘আমরা যে জমি থেকে মাটি কাটি, তা মালিকের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। যদি আইনি কোনো বাধা থাকে, তাহলে আর এসব কাজ করব না।’
আরেক অভিযুক্ত মন্নর মিয়া বলেন, ‘এই মৌসুমে মাত্র দুই দিন মাটি কেটেছি। এখন আর কাটছি না। যে গাড়ি এনেছিলাম, সেটিও ফেরত পাঠিয়েছি। এ বছর আর মাটি কাটব না।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়টি শুনেছি। যারা এ কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে সম্পদে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। প্রার্থীদের মধ্যে ফৌজদারি মামলায় শীর্ষে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হওয়া নিজাম উদ্দিন কায়সার। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক জানিয়েছেন প
২০ মে ২০২২
খুলনা ওয়াসার ৪৪ হাজার ১১ জন গ্রাহক। এর মধ্যে ১০ হাজার গ্রাহকই পানির বিলের একটি পয়সাও পরিশোধ করেননি। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সব মিলিয়ে সংস্থাটির বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।
১৫ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি একই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি। ছিলেন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এর আগে সোমনাথ দে জাতীয় পার্টি করতেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২২ সালে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি ৩নং সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে’ কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং অপর একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন সোমনাথ দে। জেল থেকে বেরিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে ২০ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন কপিল ও সোমনাথ।
এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় শরণখোলার বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদ ফেসবুকে সোমনাথ দের ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, ধানের শীষে ভোট দিন।’ পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘সাথে জাতীয় পার্টির স্লোগান যুক্ত করে দিন।’
গত শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসন দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন দল করে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরে অন্য দলের কেউ এসে মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এটি কীভাবে মেনে নেবে বলেন। তাঁরা দুজনই সুবিধাবাদী এবং শেখ হেলালের নিকটতম অনুসারী ছিলেন।’
তবে বাগেরহাট-১ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এটিই আমার প্রথম রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।’ আর বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ায় যাঁরা চাঁদাবাজ, জুলুমকারী, নির্যাতন করে, তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা আমাকে সাদরে বরণ করেছেন। আমি জাতীয় পার্টি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছি, ৫ আগস্টের পর জেল খেটেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়, দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনীত করেছেন।’

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি একই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি। ছিলেন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এর আগে সোমনাথ দে জাতীয় পার্টি করতেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২২ সালে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি ৩নং সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে’ কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং অপর একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন সোমনাথ দে। জেল থেকে বেরিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে ২০ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন কপিল ও সোমনাথ।
এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় শরণখোলার বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদ ফেসবুকে সোমনাথ দের ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, ধানের শীষে ভোট দিন।’ পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘সাথে জাতীয় পার্টির স্লোগান যুক্ত করে দিন।’
গত শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসন দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন দল করে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরে অন্য দলের কেউ এসে মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এটি কীভাবে মেনে নেবে বলেন। তাঁরা দুজনই সুবিধাবাদী এবং শেখ হেলালের নিকটতম অনুসারী ছিলেন।’
তবে বাগেরহাট-১ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এটিই আমার প্রথম রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।’ আর বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ায় যাঁরা চাঁদাবাজ, জুলুমকারী, নির্যাতন করে, তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা আমাকে সাদরে বরণ করেছেন। আমি জাতীয় পার্টি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছি, ৫ আগস্টের পর জেল খেটেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়, দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনীত করেছেন।’

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে সম্পদে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। প্রার্থীদের মধ্যে ফৌজদারি মামলায় শীর্ষে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হওয়া নিজাম উদ্দিন কায়সার। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক জানিয়েছেন প
২০ মে ২০২২
খুলনা ওয়াসার ৪৪ হাজার ১১ জন গ্রাহক। এর মধ্যে ১০ হাজার গ্রাহকই পানির বিলের একটি পয়সাও পরিশোধ করেননি। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সব মিলিয়ে সংস্থাটির বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।
১৫ মিনিট আগে
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে সম্পদে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। প্রার্থীদের মধ্যে ফৌজদারি মামলায় শীর্ষে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হওয়া নিজাম উদ্দিন কায়সার। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক জানিয়েছেন প
২০ মে ২০২২
খুলনা ওয়াসার ৪৪ হাজার ১১ জন গ্রাহক। এর মধ্যে ১০ হাজার গ্রাহকই পানির বিলের একটি পয়সাও পরিশোধ করেননি। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সব মিলিয়ে সংস্থাটির বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।
১৫ মিনিট আগে
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
১ ঘণ্টা আগে