Ajker Patrika

ছাত্রদলের বিরুদ্ধে কুবির শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভাঙচুরের অভিযোগ 

কুবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ আগস্ট ২০২৪, ০০: ১৯
ছাত্রদলের বিরুদ্ধে কুবির শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভাঙচুরের অভিযোগ 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলের নামফলক, পোড়ামাটির ফলকসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) অঙ্গসংগঠন ছাত্রদলের বিরুদ্ধে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ ব্যাপারটি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানিয়েছেন। 

আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। 

এর আগে হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা গত ৩ আগস্ট প্রতিবাদস্বরূপ শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘সুনীতি-শান্তি হল’ নামকরণ করে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মূল ফটকে থাকা শেখ হাসিনার নামফলকটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। মূল ফটকের দুই পাশে থাকা পোড়ামাটির ফলকে থাকা শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার মুখচ্ছবিটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া উদ্বোধনী স্মারকটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ‘সন্ধ্যায় কয়েকজন লোক হলের গেটে আসে। তারা’ কে বলেরে জিয়া নাই, জিয়া সারা বাংলায়’, ‘আমরা সবাই জিয়ার সেনা, ভয় করি না বুলেট বোমা’, ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও লও লও সালাম’, ‘জয় জিয়া, জয় তারেক’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দিতে থাকেন। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা হলের নামফলকটি দেখে তাঁরা সেটি ভাঙতে যায়। পরে এটি ভেঙে তাঁরা ভেতরে থাকা হাসিনা ম্যুরাল ভাঙতে উদ্যত হয়। সে সময় গেট বন্ধ করে দিলে তাঁরা গেটের বাম পাশে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের পোড়ামাটির ফলকটি ভেঙে ফেলে।  

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলের নামফলক, পোড়ামাটির ফলকসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা মূল ফটকে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য জানান, ‘কিছু লোকজন গেটে ভাঙচুর করতে শুরু করে। পরবর্তীতে তারা ভেতরে প্রবেশ করতে নিলে আমি গেট বন্ধ করে দেই, পরে তাঁরা ম্যুরাল ভেঙে চলে যাবেন বলেছিলেন, তবে আমি তাঁদের বলি, এটা শিক্ষার্থীদের হল, শিক্ষার্থীরা বুঝবে। তখন তাঁরা কিছুক্ষণ থেকে চলে যায়। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে চলে যান।’ 

এই বিষয়ে শেখ হাসিনা হলের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ফারিয়া আক্তার ভূঁইয়া বলেন, ‘বাইরে থেকে কেউ এসে আমাদের হলে হামলা করছে। এতে আমরা শিক্ষার্থীরা একপ্রকার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের হলে বর্তমানে কোনো প্রশাসনিক কেউ নেই, এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’ 

এই বিষয়ে শেখ হাসিনা হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী মুনিরা আক্তার বলেন, ‘হল যেহেতু শিক্ষার্থীদের, নেমপ্লেট ভাঙার মতো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে সেটা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আসার কথা ছিল। এখানে তৃতীয় এক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর দেখা দিয়েছে, যারা নিজেদের দলের ক্ষমতা দেখানোর নিমিত্তে এই সব কাজ করছে। হলের মেয়েরা অনুপস্থিত থাকা অবস্থায় এরূপ কর্মকাণ্ড পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার রূপ নিতে পারে। তাই প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এরূপ দল বা রাজনৈতিক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অতি দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’ 

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ দাবি করেছেন, ছাত্রদলের বা বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ এই ভাঙচুর করেনি, বরং ছাত্রলীগের দুষ্কৃতকারীরা এই কাজ করে ছাত্রদলের নাম খারাপ করতে চাচ্ছে। 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলের নামফলক, পোড়ামাটির ফলকসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা মোস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশনেতা তারেক জিয়ার আহ্বান অনুযায়ী, কোনোপ্রকার ভাঙচুর বা সহিংসতা করব না। আমরা এ রকম কোনো কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত নেই, আমরা আমাদের নেতার আহ্বানে শান্তিপূর্ণভাবে সকল কর্মসূচি পালন করছি। তবে কিছু দুষ্কৃতকারী ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের নাম নিয়ে ভাঙচুর করছে এবং আমাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দূরত্ব সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।’ 

এই বিষয় হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মেহের নিগার বলেন, ‘আমরা প্রশাসন ঘটনাটি নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা করেছি। শিক্ষার্থীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা তাঁদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি, প্রয়োজনে রাতের মাঝেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করব।’ 

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর দেশ ছাড়লে স্থানীয় লোকজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি, নামফলক ও ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম মুছে যায়। সর্বশেষ তিন দিনের চেষ্টায় ৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়। তবে সর্বশেষ ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে ছাত্রদল জড়িত নয় বলে জানান সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আনিস আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আনিস আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

সিনিয়র সাংবাদিক ও টকশোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।

আনিস আলমগীরকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না— এ বিষয়ে জানতে আজ রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানাব। তাঁর সঙ্গে এখনো কথা বলিনি, আমি ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলব, তারপর বিস্তারিত বলতে পারব।’

এর আগে, রাত ৮টার আগে ধানমন্ডির একটি জিম থেকে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি সদস্যরা গিয়ে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি (রাত ৯ টা) ডিবি কার্যালয়ে ছিলেন।

সাংবাদিক আনিস আলমগীর দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে টেলিভিশন টকশোতে নানা বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে দ্বন্দ্ব, ভাড়াটে খুনি দিয়ে হকারকে হত্যা

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নগরের মেরিনার্স রোডের ইয়াকুবনগর লইট্টাঘাটা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিনু বৈদ্যর ছেলে রুবেল বৈদ্য (৩১) ও পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মালিয়ারার রতন নাথের ছেলে রাজু নাথ (৩৮)।

গত ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার কাছে লালদীঘি মোড়ে সাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন ইসমাইল। পুলিশ প্রথমে ঘটনাটি ছিনতাই হিসেবে ধারণা করে। পরে তদন্তে পরিকল্পিত হত্যার তথ্য পায়। পুলিশের হাতে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবককে হত্যায় অংশ নিতে দেখা গেছে।

এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে নিহত ইসমাইলের স্ত্রী নাহিদা আক্তারের করা মামলায় পুলিশ মনির হোসেন ওরফে নয়ন নামের একজনকে গ্রেপ্তার দেখায়।

সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফুটপাতের দোকান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মূলত ভাড়াটে খুনি দিয়ে মো. ইসমাইলকে হত্যা করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা সরাসরি যে তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য ছিল, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। খুনে ব্যবহৃত টিপ ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ইসমাইলের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি মনির হোসেন নামের যাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তাঁকে আমরা প্রথমেই গ্রেপ্তার করি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের অন্যতম আসামি তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

গ্রেপ্তার তিনজন মূলত ভাড়াটে খুনি হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের মধ্যে রাজুর বিরুদ্ধে তিনটি ও রুবেল বৈদ্যর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। ডাকাতি, দস্যুতা ও খুনের অভিযোগে এসব মামলা হয়েছিল।

আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের সঙ্গে ফুটপাতের দোকান নিয়ে যাঁর সঙ্গে বিরোধ ছিল, মূলত তিনিই খুনিদের ভাড়া করেছিলেন। ওই ব্যক্তিসহ আরও দুজনের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখন তাঁদের নাম প্রকাশ করছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুদানে হামলা: নিহত শান্তিরক্ষী শামীমের বাড়িতে কান্নার রোল

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
শামীম রেজা। ছবি: সংগৃহীত
শামীম রেজা। ছবি: সংগৃহীত

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।

নিহত শামীম রেজা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে।

শোকে আচ্ছন্ন শামীমের পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা
শোকে আচ্ছন্ন শামীমের পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা

শামীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কান্না-আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরা শামীমের বাবা, ভাইকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শামীমের মা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।

শামীমের চাচা আনিস জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম সবার বড়। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন তিনি। গত ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে গিয়েছিলেন।

শামীমের ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘গতকাল টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকেই আমরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার সে বাড়িতে ভিডিও কলে কথা বলেছিল।’

বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা। ’

স্থানীয় মাসুদ, শাহজাহান, মাহবুব বিশ্বাস বলেন, ‘এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শামীমের পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। শামীম ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর পরিবার এখন কীভাবে চলবে? আমরা এলাকাবাসী দাবি জানাই, শামীমের লাশ যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনে। সেই সঙ্গে শামীমের ছোট ভাই সোহানকে যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় সরকার।’

কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত শামীমের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। মরদেহ আসার বিষয়ে এখন পর্যন্ত যেটা জানতে পেরেছি, আগামী ১৭ তারিখে আসবে। তবে এখনো নিশ্চিত না। আশা করি, আগামীকাল সঠিক তথ্য জানতে পারব।’

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শামীমসহ ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, বিকেলে শহীদ অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে যান। এ সময় ওয়াশরুমের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে যায়।

পুলিশের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট অডিটরিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ওই ভবনে মানুষের তেমন চলাচল ছিল না।

এদিকে লাশ উদ্ধারের পর মমতা খাতুন নামে এক নারী ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া লাশটি তাঁর বাবার। তিনি জানান, তাঁর বাবা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লাশটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত