Ajker Patrika

চট্টগ্রামে সার কারখানায় আগুন, ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক ও কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২২, ১৯: ৪৩
চট্টগ্রামে সার কারখানায় আগুন, ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন বন্ধ

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রাঙ্গাদিয়ায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) নামের একটি সার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ফলে সিইউএফএলের ইউরিয়া সার ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ঘটনা সরেজমিনে দেখতে বিসিআইসির মেইনটেন্যান্স বিভাগের জিএম সুদিপ্ত মজুমদারকে পাঠানো হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের লিপারমারে প্রাইমারি রিফরমারি ওয়েস্টেজ ব্রয়লারে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। 

সিইউএফএল ফায়ার এন্ড সেফটি বিভাগ সূত্র জানায়, সকাল ৯টার দিকে কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টে গ্যাস ক্যাটে ছিদ্র হয়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে সিইউএফএল ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সিইউএফএলে আগুনের খবর পাওয়ার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় কাফকো, আনোয়ারা, চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট গুলো। 

তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে ফায়ার এন্ড সেফটি বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আব্দুর রব এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে জানতে সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জিএম (এডমিন) জিএমসহ (বাণিজ্য) কর্মকর্তাদের একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি। 

এদিকে সিইউএফএলের অতিরিক্ত প্রধান রসায়নবিদ ও বিভাগীয় প্রধান (অপারেশন) প্রদীপ কুমার নাথ বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ক্ষয়ক্ষতি কী পরিমাণ হয়েছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বর্তমানে কারখানায় সার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’ 

সিইউএফএলে একটি সূত্র জানায়, সিইউএফএলের অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের লিপারমারে প্রাইমারি রিফরমারি ওয়েস্টেজ ব্রয়লারে অগ্নিকাণ্ডের দায়িত্বরতদের দায়িত্বে গাফিলতির কারণে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা ছিলেন না বলে জানা যায়। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিইউএফএলের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টে গ্যাস ক্যাটে এক হাজার ডিগ্রি তাপমাত্রায় থাকে। এ সময় আগুন লাগলে পানি দিয়ে নেভানোর নিয়ম নেই। পানি দিলে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। আজ কারখানায় আগুন নেভানোর সময় পানি দেওয়ায় আগুন আরও দাউ দাউ করে উঠে বিস্ফোরণ হয়।’ 

অবশ্য সিইউএফএলের ফায়ার এন্ড সেফটি বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আব্দুর রব দাবি করেন, ‘এখানে আমাদের একটি শাখা রয়েছে। তবে ইউরোপ আমেরিকার মতো ব্যবস্থা আমাদের নেই।’ 

এই কর্মকর্তা আরও জানান, এ কারখানায় প্রতিদিন গড়ে ১১০০-১২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হয়। দেশীয় বাজার থেকে প্রতি টন ২২ হাজার টাকায় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকায় প্রতি মেট্রিক টন সার কেনা হয়। এ ছাড়া সিইউএফএলের অ্যামোনিয়া প্ল্যান্ট থেকে প্রতিদিন ৬০০ মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন করা হয়। প্রতিদিন উৎপাদিত অ্যামোনিয়া ৭০ হাজার টাকা করে টন বিক্রি করে রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠান। 

সিইউএফএলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিসিআইসির পরিচালক (বাণিজ্য) কাজী সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিইউএফএলের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সরেজমিনে দেখতে বিসিআইসির মেইনটেন্যান্স বিভাগের জিএম সুদিপ্ত মজুমদারকে পাঠানো হচ্ছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
আজ সকালে ভালুকা উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ভালুকা উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় একটি কারখানার শ্রমিককে বাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় পিএ নিট কম্পোজিট লিমিটেডের সামনে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, গাজীপুর এলাকা থেকে কারখানার নিজস্ব বাসে করে শ্রমিকেরা ভালুকায় আসার পথে সৌখিন পরিবহনের একটি বাস শ্রমিকবাহী বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের সঙ্গে সৌখিন পরিবহনের চালকের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে আমিনুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক সৌখিন পরিবহনের বাসে উঠে চালকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়ান। পরে তাঁকে ওই বাসের মধ্যে আটক রেখে বাসটি ময়মনসিংহের দিকে চলে যায় বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকেরা।

এর প্রতিবাদে কারখানার শ্রমিকেরা প্রায় এক ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে শ্রমিকেরা সৌখিন পরিবহনের কয়েকটি বাস আটকে রেখে অন্য যানবাহন ছেড়ে দেন।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘এক শ্রমিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সৌখিন পরিবহনের বাসগুলো আটকে রাখা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতির আক্রমণ থেকে সুরক্ষায় কাপ্তাই বন বিভাগের সতর্কতামূলক কার্যক্রম

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে বন্য হাতির চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে কাপ্তাই বন বিভাগ। সম্প্রতি ওই সড়কে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে বন্য হাতির আক্রমণে ঝর্ণা চাকমা ও সবিতা চাকমা নামে দুই নারী নিহত হন। এই ঘটনার পর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সড়কটিতে হাতির চলাচল বাড়তে থাকে।

কাপ্তাই বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে সোলার ফেন্সিং কার্যকর করা হয়েছে। পাশাপাশি সোলার ফেন্সিংয়ের আওতার বাইরে থাকা কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন ও সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে।

ওমর ফারুক স্বাধীন আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশনায় হাতি চলাচলের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ও রোডমার্কিং করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাপ্তাই রেঞ্জের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের বন্য হাতির চলাচল সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দৌলতপুরে সূর্যের দেখা নেই, বাড়ছে শীতের তীব্রতা

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
সকালে রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা খুব কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। ছবি: আজকের পত্রিকা
সকালে রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা খুব কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় গতকাল শনিবার থেকে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা না থাকলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।

তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাব পড়েছে হাটবাজারেও। অধিকাংশ বাজারে দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে সকাল ১০টার পর। পেটের তাগিদে অনেকেই ঘরের বাইরে বের হলেও কাজ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন। অপর দিকে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

দৌলতপুর উপজেলায় নিজস্ব আবহাওয়া অফিস না থাকায় জেলার কুমারখালী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই আবহাওয়া আরও এক দিন, অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। রোববার কুষ্টিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দিনমজুর মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঠান্ডা ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে আজ কাজে যেতে পারিনি। তা ছাড়া আমার ঠান্ডাজনিত রোগ আছে, তাই বাইরে বের হওয়াও কষ্টকর।’

উপজেলার মথুরাপুর বাজারের অটোরিকশাচালক মামুন হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে মানুষের আনাগোনা কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। শীতের কারণে যাতায়াত কমে গেছে, আয়ও আগের তুলনায় অনেক কম।’

কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, ঘন কুয়াশা না থাকলেও মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারণে দু-এক দিন এমন আবহাওয়া থাকতে পারে। তবে দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিলতে পারে এবং মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়া আরও উন্নত হবে।

এদিকে শীতের প্রভাবে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ জ্বর, সর্দি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, শীত থেকে বাঁচতে সবাইকে গরম পোশাক পরতে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের সব সময় গরম পোশাকে রাখতে এবং গরম খাবার খাওয়াতে বলা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মধুপুরে পরিবহনের ধাক্কায় পথচারী নিহত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জলছত্র এলাকায় পরিবহনের ধাক্কায় আবু হানিফা আলী (৫৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের জলছত্র (ধরদরিয়া) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবু হানিফা আলী বেরিবাইদ ইউনিয়নের চুনিয়া দিগলবাইদ এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে জলছত্র বাজার মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় শেষে তিনি রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাঁকে সজোরে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে অরনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

অরনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বিমল চন্দ পাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

বিমল চন্দ পাইন জানান, ঘাতক পরিবহন শনাক্ত ও চালককে আটক করার জন্য তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত