Ajker Patrika

সাতকানিয়ায় নিহত জামায়াত কর্মীর লাশের পাশে ব্রাজিলের তৈরি অত্যাধুনিক পিস্তল

  • পুলিশ ঘটনাস্থলে নেজামের মরদেহের পাশ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করে।
  • ব্রাজিলের তৈরি পিস্তলের ম্যাগাজিন খালি ছিল। ঘটনাস্থলে ৬টি গুলির খোসা পাওয়া যায়।
সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম 
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৫, ০০: ০১
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দুই জামায়াত কর্মীকে গণপিটুনিতে মারার ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তলটি নগর পুলিশের। ‘তরাস’ নামে ব্রাজিলের তৈরি এই পিস্তলি আধা স্বয়ংক্রিয়। এটা ব্যবহার করত নগর পুলিশ। গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নগরের থানাগুলোতে তাণ্ডব চালানোর সময় পিস্তলটি লুট হয় বলে পুলিশের ধারণা।

এর আগে গত সোমবার রাত ১০টায় সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ১৫-২০ জনের একটি দলকে ঘিরে ধরে পিটুনি দেন স্থানীয় লোকজন। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই জামায়াত কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজনের মরদেহের পাশে বিদেশি এই পিস্তল পড়ে ছিল। সেটি জব্দ করে পুলিশ। এ সময় সেখানে কয়েকটি গুলির খোসাও পাওয়া যায়।

গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের মধ্যমকাঞ্চনা এলাকার নেজাম উদ্দিন (৪৬) এবং একই ইউনিয়নের গুরগুরি এলাকার আবু ছালেক (৩৮)। দুজনই জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে নেজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১০টির বেশি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে সাতকানিয়া থানা-পুলিশ।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা নেজাম উদ্দিন ও তাঁর সহযোগীরা এলাকায় ফিরে আসেন। এর পর থেকে নেজাম ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ করে আসছেন স্থানীয় লোকজন।

কয়েক মাস ধরে মধ্যমকাঞ্চনার ‘নিয়ন্ত্রক’ আরেক জামায়াত কর্মীর সঙ্গে নেজামের বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়। দুজনই একে অপরের বিরুদ্ধে গুলিবর্ষণ ও হামলার অভিযোগ এনে স্থানীয় থানায় অভিযোগও করেন।

ঘটনার পর পুলিশের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গণপিটুনি ও ধারালো বস্তুর আঘাতে দুজন মারা যান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর নেজাম উদ্দিনের মরদেহের পাশ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করে। ‘তরাস’ ব্র্যান্ডের ব্রাজিলের তৈরি এই পিস্তলের ম্যাগাজিন খালি ছিল। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৬টি গুলির খোসাও পাওয়া যায়।

পিস্তলটি কে বা কারা ব্যবহার করেছিল, তা জানাতে পারেনি পুলিশ।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, সোমবার তারাবি নামাজের পর রাত ৯টার দিকে ৯টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ১টি মোটরসাইকেলে করে অন্তত ২০ জন অস্ত্রধারীকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় জামায়াত কর্মী নেজাম উদ্দিন এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় যান। এ সময় স্থানীয় লোকজন ডাকাত সন্দেহে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত আসছে, ডাকাত আসছে’ বলে ঘোষণা দেন। একপর্যায়ে এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে নেজাম ও তাঁর সহযোগীদের ঘিরে ফেলেন। এ সময় নেজামের সহযোগীরা জনতাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে নেজাম উদ্দিন, তাঁর সহযোগী আবু ছালেহসহ কয়েকজনকে ধরে ফেলেন এলাকার লোকজন। তখন পিটুনিতে দুজন মারা যান।

স্থানীয় লোকজন জানান, ঘটনার সময় অর্ধশতাধিক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এবং বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট নগরের ৮টি থানা ও ৮টি ফাঁড়িতে তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় থানা ও ফাঁড়িগুলো থেকে পাঁচ শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ১২ হাজারটি গুলি লুট হয়। এগুলো মধ্যে ৩০০টি বিদেশি পিস্তল রয়েছে। এসব আগ্নেয়াস্ত্রের বেশির ভাগ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহতের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি বিদেশি। ধারণা করা হচ্ছে, গত ৫ আগস্ট কোনো থানা থেকে লুট হয়ে অস্ত্রটি এই যুবকদের হাতে এসেছে।

পুলিশ বলছে, সন্ত্রাসী চক্রের মাধ্যমে থানা থেকে লুটের অস্ত্রটি উপজেলা সাতকানিয়ায় সন্ত্রাসীদের কাছে পৌঁছায়।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহমুদা বেগম বলেন, ৫ আগস্ট সিএমপির থানাগুলোতে তাণ্ডব চালানোর সময় অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্রের সঙ্গে তরাস ব্র্যান্ডের এই বিদেশি পিস্তলও লুট হয়েছিল।

গণপিটুনিতে নিহত এক জামায়াত কর্মীর মরদেহের পাশ থেকে থানা থেকে লুট হওয়া পিস্তল পাওয়া নিয়ে নানা আলোচনাও চলছে।

এদিকে গত মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাতকানিয়ার কাঞ্চনা ইউনিয়নের ফুলতলায় আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে দুজনের লাশ দাফন করা হয়।

ওই ঘটনায় গতকাল বুধবার রাত পৌনে ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানান সাতকানিয়া থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম।

সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের বিবৃতি

গণপিটুনিতে নিহত নেজাম ও আবু ছালেকের মৃত্যুকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ দাবি করে সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলে, ‘এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রাম বহু আগে থেকেই সন্ত্রাসকবলিত। এওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী নজরুল ইসলাম ওরফে মানিক চেয়ারম্যান ছনখোলা গ্রামের পাহাড়, পাহাড়ি গাছ ও ইটভাটাগুলো নিয়ন্ত্রণে নিতে একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতনের পর নজরুল আত্মগোপন করলেও তাঁর বাহিনী রয়ে গেছে। তাঁর ভাই হারুন ও মমতাজের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এই সন্ত্রাসীরা এখনো নানা অপকর্মে জড়িত।

সোমবার রাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে জামায়াত কর্মী নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেককে বিচারের কথা বলে ডেকে নেওয়া হয়। পরে মাইকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে গণপিটুনির নামে চেয়ারম্যান মানিকের নির্দেশে তাঁর ভাইদের পরিকল্পনায় কুপিয়ে দুজনকে জঘন্যতম কায়দায় হত্যা করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫৪
রংপুরে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রংপুরে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’

আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাঁকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে এক দিনে, সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কী আসছে রিঅ্যাকশন।’

তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এ রকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তারেক সাহেব কখন আসবেন, এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্র্যাফট নিয়ে। সে ক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে।’

আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি, সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

এ ছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সব ক্ষেত্রে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।

এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবার রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এ ছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তাঁর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাঠে পড়ে ছিল মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।

নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।

থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।

ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত