নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের ওপারে সরকারি বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে বিরাজমান সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা গত চার দিন বন্ধ ছিল। আজ সোমবার ভোর থেকে আবার গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। সীমান্তের এপারে ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা মর্টার শেল ও গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই আজ সকালের দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমদ ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও বিজিবির সীমান্ত চৌকিতে (বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট-বিওপি) যান। তিনি বিজিবির কর্মকর্তা ও জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন।
ঘুমধুমে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে প্রায় দুই মাস ধরে সশস্ত্র সংঘর্ষ চলছে। গোলাগুলি, মাইন ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণে এপারের মাটিও কেঁপে উঠছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মানুষ। এর মধ্যে সীমান্তের ওপারের মাইন বিস্ফোরণে ঘুমধুমের স্থানীয় এক বাসিন্দার পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তের শূন্য রেখায় (নো ম্যানস ল্যান্ড) অবস্থান নেওয়া প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এরই মধ্যে মর্টার শেল বিস্ফোরণে দুই রোহিঙ্গা নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এসব ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে একাধিকবার প্রতিবাদ জানিয়েছে। তবে প্রায় দুই মাস ধরে এই সংঘাত চললেও আজ সোমবারই প্রথম সীমান্ত পরিদর্শন করলেন বিজিবি প্রধান।
গত চার দিন সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণ বন্ধ ছিল। মাঝে মধ্যে দু-একটি গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেও হঠাৎ করে আজ ভোর থেকে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে বিভিন্ন পয়েন্টে তুমুল গোলাগুলি শুরু হয়। এপারে ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকা কেঁপে ওঠে। লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা এ তথ্য জানান।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আজ বেলা ১১টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমদ। তিনি কক্সবাজার থেকে ঘুমধুমে পৌঁছান। এরপর তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, তুইঙ্গাঝিরি এবং রেজুপাড়া সীমান্ত পর্যবেক্ষণ চৌকি (বিওপি) পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে বিজিবির মহাপরিচালক রেজু সীমান্ত চৌকি এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিজিবি প্রধান বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যদিও সীমান্তের ওপারে সে দেশের অভ্যন্তরে তাদের সমস্যা, সুতরাং সেটি তারাই বুঝবে। তবে বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের সেনারা সীমান্তে যুদ্ধবিমানের টহল ও মর্টারশেলের গোলা এসে পড়া নিয়ে বাংলাদেশ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে।’
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে বাহিনীর মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া গুলি, হেলিকপ্টার বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশসহ সীমান্তের প্রত্যেকটি হিসাব বিজিবির কাছে রয়েছে। মর্টারশেল নিক্ষেপ, আকাশসীমা লঙ্ঘনসহ প্রত্যেকটি ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘তাঁরা যতবারই সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করেছেন ততবারই বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়েছে, আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা পতাকা বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে এ পতাকা বৈঠক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
অপর প্রশ্নের জবাবে বিজিবি প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর এই এলাকা পরিদর্শনের মূল লক্ষ্য হলো এখানকার পরিস্থিতিতে বিজিবি সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি করা। তাঁদের খোঁজখবর নেওয়া।
সীমান্ত পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন—অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএমএম খাইরুল কবির, কক্সবাজারের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজম উস সাকিবসহ বিজিবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এদিকে ঘুমধুমের ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলার রাইট বিজিপি (মিয়ানমার সীমান্ত বাহিনী) ক্যাম্প ও তাদের বিওপি থেকে আর্টিলারি বোমা ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ পায় এপারের লোকজন।
ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত টেকনাফের হোয়াইক্যং, উলুবনিয়া, বালুখালী, লম্বাবিল উনছিপ্রাং ও নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই চলেছে। গুলি ও মর্টারের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে ওই সব এলাকা। এতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত আর টেকনাফ সীমান্তে আবারও নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বজ্রপাতের মতো গোলার বিকট শব্দে গভীর রাতে অনেকেরই ঘুম ভেঙে যায় বলে জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি ও টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী মীর আহমদ বলেন, ভোরে ওপার থেকে বিকট শব্দে এপারে তাঁদের ঘুম ভাঙে। মনে হচ্ছিল যেন ভূমিকম্প! তুমব্রু বাজার জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম ও কয়েকজন মুসল্লি জানান, ওপারে বিস্ফোরণের কারণে ফজরের নামাজের সময় তাঁদের ভয় হচ্ছিল।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার অভ্যন্তরে মর্টারশেল, গোলাগুলির শব্দ আর সীমান্ত ঘেঁষে যুদ্ধবিমানের আনাগোনা দেখা গেলে সীমান্তবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে বিস্ফোরিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ সরকার এর প্রতিবাদ জানায়। সম্প্রতি সীমান্তে গোলাগুলি অনেকটা বন্ধ ছিল। তবে গতকাল রোববার দিবাগত গভীর রাতে আবার বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় সীমান্তবাসীর।
ভোরে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে ফের ভারী অস্ত্রের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ঝুঁকি এড়াতে এপারের লোকজনকে সীমান্তের কাছে না যাওয়ার জন্য বিজিবি থেকে বলা হচ্ছে বলে জানান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর।
হোয়াইক্যং বালুখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আল আযাদ বলেন, ‘এতদিন ধরে শুনে আসছি তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ভোর রাত থেকে আমাদের এলাকায় ভয়ংকর শব্দে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।’
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, ভয়ংকর শব্দে এলাকার লোকজন ভীতসন্ত্রস্ত।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে মিয়ানমার সেনা বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে সে দেশের বিদ্রোহী গ্রুপের সংঘর্ষ চলছে। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে নো ম্যান্স ল্যান্ড ও বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে পড়ছে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার। স্থলমাইন ও মর্টারশেল বিস্ফোরণে এপারে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের ওপারে সরকারি বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে বিরাজমান সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা গত চার দিন বন্ধ ছিল। আজ সোমবার ভোর থেকে আবার গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। সীমান্তের এপারে ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা মর্টার শেল ও গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই আজ সকালের দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমদ ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও বিজিবির সীমান্ত চৌকিতে (বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট-বিওপি) যান। তিনি বিজিবির কর্মকর্তা ও জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন।
ঘুমধুমে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে প্রায় দুই মাস ধরে সশস্ত্র সংঘর্ষ চলছে। গোলাগুলি, মাইন ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণে এপারের মাটিও কেঁপে উঠছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মানুষ। এর মধ্যে সীমান্তের ওপারের মাইন বিস্ফোরণে ঘুমধুমের স্থানীয় এক বাসিন্দার পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তের শূন্য রেখায় (নো ম্যানস ল্যান্ড) অবস্থান নেওয়া প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এরই মধ্যে মর্টার শেল বিস্ফোরণে দুই রোহিঙ্গা নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এসব ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে একাধিকবার প্রতিবাদ জানিয়েছে। তবে প্রায় দুই মাস ধরে এই সংঘাত চললেও আজ সোমবারই প্রথম সীমান্ত পরিদর্শন করলেন বিজিবি প্রধান।
গত চার দিন সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণ বন্ধ ছিল। মাঝে মধ্যে দু-একটি গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেও হঠাৎ করে আজ ভোর থেকে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে বিভিন্ন পয়েন্টে তুমুল গোলাগুলি শুরু হয়। এপারে ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকা কেঁপে ওঠে। লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা এ তথ্য জানান।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আজ বেলা ১১টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমদ। তিনি কক্সবাজার থেকে ঘুমধুমে পৌঁছান। এরপর তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, তুইঙ্গাঝিরি এবং রেজুপাড়া সীমান্ত পর্যবেক্ষণ চৌকি (বিওপি) পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে বিজিবির মহাপরিচালক রেজু সীমান্ত চৌকি এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিজিবি প্রধান বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যদিও সীমান্তের ওপারে সে দেশের অভ্যন্তরে তাদের সমস্যা, সুতরাং সেটি তারাই বুঝবে। তবে বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের সেনারা সীমান্তে যুদ্ধবিমানের টহল ও মর্টারশেলের গোলা এসে পড়া নিয়ে বাংলাদেশ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে।’
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে বাহিনীর মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া গুলি, হেলিকপ্টার বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশসহ সীমান্তের প্রত্যেকটি হিসাব বিজিবির কাছে রয়েছে। মর্টারশেল নিক্ষেপ, আকাশসীমা লঙ্ঘনসহ প্রত্যেকটি ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘তাঁরা যতবারই সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করেছেন ততবারই বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়েছে, আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা পতাকা বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে এ পতাকা বৈঠক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
অপর প্রশ্নের জবাবে বিজিবি প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর এই এলাকা পরিদর্শনের মূল লক্ষ্য হলো এখানকার পরিস্থিতিতে বিজিবি সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি করা। তাঁদের খোঁজখবর নেওয়া।
সীমান্ত পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন—অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএমএম খাইরুল কবির, কক্সবাজারের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজম উস সাকিবসহ বিজিবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এদিকে ঘুমধুমের ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলার রাইট বিজিপি (মিয়ানমার সীমান্ত বাহিনী) ক্যাম্প ও তাদের বিওপি থেকে আর্টিলারি বোমা ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ পায় এপারের লোকজন।
ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত টেকনাফের হোয়াইক্যং, উলুবনিয়া, বালুখালী, লম্বাবিল উনছিপ্রাং ও নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই চলেছে। গুলি ও মর্টারের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে ওই সব এলাকা। এতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত আর টেকনাফ সীমান্তে আবারও নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বজ্রপাতের মতো গোলার বিকট শব্দে গভীর রাতে অনেকেরই ঘুম ভেঙে যায় বলে জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি ও টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী মীর আহমদ বলেন, ভোরে ওপার থেকে বিকট শব্দে এপারে তাঁদের ঘুম ভাঙে। মনে হচ্ছিল যেন ভূমিকম্প! তুমব্রু বাজার জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম ও কয়েকজন মুসল্লি জানান, ওপারে বিস্ফোরণের কারণে ফজরের নামাজের সময় তাঁদের ভয় হচ্ছিল।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার অভ্যন্তরে মর্টারশেল, গোলাগুলির শব্দ আর সীমান্ত ঘেঁষে যুদ্ধবিমানের আনাগোনা দেখা গেলে সীমান্তবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে বিস্ফোরিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ সরকার এর প্রতিবাদ জানায়। সম্প্রতি সীমান্তে গোলাগুলি অনেকটা বন্ধ ছিল। তবে গতকাল রোববার দিবাগত গভীর রাতে আবার বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় সীমান্তবাসীর।
ভোরে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে ফের ভারী অস্ত্রের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ঝুঁকি এড়াতে এপারের লোকজনকে সীমান্তের কাছে না যাওয়ার জন্য বিজিবি থেকে বলা হচ্ছে বলে জানান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর।
হোয়াইক্যং বালুখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আল আযাদ বলেন, ‘এতদিন ধরে শুনে আসছি তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ভোর রাত থেকে আমাদের এলাকায় ভয়ংকর শব্দে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।’
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, ভয়ংকর শব্দে এলাকার লোকজন ভীতসন্ত্রস্ত।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে মিয়ানমার সেনা বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে সে দেশের বিদ্রোহী গ্রুপের সংঘর্ষ চলছে। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে নো ম্যান্স ল্যান্ড ও বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে পড়ছে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার। স্থলমাইন ও মর্টারশেল বিস্ফোরণে এপারে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।

মো. আক্তারুজ্জামান জানান, গত বছর চার বিঘা জমিতে লাউ চাষ করে প্রায় ১৮ লাখ টাকা বিক্রি করেছিলেন। চলতি বছর জমির পরিমাণ বাড়িয়ে পাঁচ বিঘা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছরও ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা বিক্রির আশা করছি।’
৩ মিনিট আগে
তীব্র শীতে নাকাল যশোরের জনজীবন। টানা দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার পর রোববার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সারা দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন
১ ঘণ্টা আগে
যশোরের মনিরামপুরে পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে শরিফুল ইসলাম (৫৫) নামে এক জামায়াত নেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন কামরুজ্জামান নামে মোটরসাইকেলের অপর আরোহী। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোর-চুকনগর সড়কের মনিরামপুর সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
দুর্গম চরাঞ্চলে নতুন শিক্ষক নিয়োগ পেলেও যাতায়াত ও আবাসন সমস্যা দেখিয়ে অনেকেই বেশি দিন সেখানে থাকতে চান না। অল্প সময়ের মধ্যেই নানা সুপারিশে তাঁরা সুবিধাজনক এলাকায় বদলি হয়ে যান। প্রতিবছর শিক্ষক নিয়োগ হলেও দুর্গম চরাঞ্চলে শিক্ষক ধরে রাখার জন্য কার্যকর নীতিমালা বা প্রণোদনা না থাকায় সংকটটি বছরের পর বছর..
২ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

গাজীপুরের শ্রীপুরে বসতবাড়ির চারপাশে পাঁচ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের লাউ চাষ করে সফলতার নজির গড়েছেন আক্তার-মর্জিনা দম্পতি। বাড়ির আঙিনা ও পুকুরপাড়জুড়ে মাচায় ঝুলছে শীতকালীন সারি সারি লাউ। সমন্বিত কৃষি খামারের মাধ্যমে তাঁরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।
মো. আক্তারুজ্জামান ও মর্জিনা আক্তার উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের বাসিন্দা। চার মেয়েকে নিয়ে তাঁদের সংসার। কৃষিকাজই এখন তাঁদের আয়ের প্রধান উৎস।
নিজেদের সফলতার গল্প বলতে গিয়ে মর্জিনা আক্তার বলেন, ২০২২ সাল থেকে তিনি বাড়ির আশপাশে লাউসহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ শুরু করেন। ২০২৩ সালে চাষের পরিধি বাড়ান। এতে ভালো ফলন পাওয়ায় চলতি বছর আশপাশের পাঁচ বিঘা জমি লিজ নিয়ে হাইব্রিড জাতের লাউ চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে লাউ বিক্রি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার লাউ বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি। এই আয় দিয়েই আমার সন্তানদের পড়াশোনা ও সংসার চলছে।’
মো. আক্তারুজ্জামান জানান, গত বছর চার বিঘা জমিতে লাউ চাষ করে প্রায় ১৮ লাখ টাকা বিক্রি করেছিলেন। চলতি বছর জমির পরিমাণ বাড়িয়ে পাঁচ বিঘা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছরও ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা বিক্রির আশা করছি।’
সরেজমিন লাউবাগান ঘুরে দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত। কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে আক্রান্ত লাউ ও শুকনো পাতা কেটে ফেলছেন। পাশাপাশি নিয়মিত জৈব সার ব্যবহার করছেন। বসতবাড়ির চারপাশ ও পুকুরের পাশে মাচায় ঝুলে আছে শত শত লাউ।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২০ শতাংশ জমিতে লাউ চাষের একটি প্রদর্শনী পেয়েছিলেন আক্তার-মর্জিনা দম্পতি। এতে উৎসাহিত হয়ে তাঁরা আরও পাঁচ বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছেন এবং বাম্পার ফলন পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এই দম্পতি এরই মধ্যে স্বাবলম্বী হয়েছেন। ভবিষ্যতেও যাতে এই চাষাবাদ ধরে রাখতে পারেন, সে জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’

গাজীপুরের শ্রীপুরে বসতবাড়ির চারপাশে পাঁচ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের লাউ চাষ করে সফলতার নজির গড়েছেন আক্তার-মর্জিনা দম্পতি। বাড়ির আঙিনা ও পুকুরপাড়জুড়ে মাচায় ঝুলছে শীতকালীন সারি সারি লাউ। সমন্বিত কৃষি খামারের মাধ্যমে তাঁরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।
মো. আক্তারুজ্জামান ও মর্জিনা আক্তার উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের বাসিন্দা। চার মেয়েকে নিয়ে তাঁদের সংসার। কৃষিকাজই এখন তাঁদের আয়ের প্রধান উৎস।
নিজেদের সফলতার গল্প বলতে গিয়ে মর্জিনা আক্তার বলেন, ২০২২ সাল থেকে তিনি বাড়ির আশপাশে লাউসহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ শুরু করেন। ২০২৩ সালে চাষের পরিধি বাড়ান। এতে ভালো ফলন পাওয়ায় চলতি বছর আশপাশের পাঁচ বিঘা জমি লিজ নিয়ে হাইব্রিড জাতের লাউ চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে লাউ বিক্রি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার লাউ বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি। এই আয় দিয়েই আমার সন্তানদের পড়াশোনা ও সংসার চলছে।’
মো. আক্তারুজ্জামান জানান, গত বছর চার বিঘা জমিতে লাউ চাষ করে প্রায় ১৮ লাখ টাকা বিক্রি করেছিলেন। চলতি বছর জমির পরিমাণ বাড়িয়ে পাঁচ বিঘা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছরও ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা বিক্রির আশা করছি।’
সরেজমিন লাউবাগান ঘুরে দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত। কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে আক্রান্ত লাউ ও শুকনো পাতা কেটে ফেলছেন। পাশাপাশি নিয়মিত জৈব সার ব্যবহার করছেন। বসতবাড়ির চারপাশ ও পুকুরের পাশে মাচায় ঝুলে আছে শত শত লাউ।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২০ শতাংশ জমিতে লাউ চাষের একটি প্রদর্শনী পেয়েছিলেন আক্তার-মর্জিনা দম্পতি। এতে উৎসাহিত হয়ে তাঁরা আরও পাঁচ বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছেন এবং বাম্পার ফলন পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এই দম্পতি এরই মধ্যে স্বাবলম্বী হয়েছেন। ভবিষ্যতেও যাতে এই চাষাবাদ ধরে রাখতে পারেন, সে জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’

গত দশ দিন সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণ প্রায় বন্ধ ছিল। মাঝে মধ্যে দু-একটি গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেও হঠাৎ করে আজ ভোর থেকে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে বিভিন্ন পয়েন্টে তুমুল গোলাগুলি শুরু হয়। এপারে ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকা কেঁপে ওঠে। লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা এ তথ্য জানান।
১০ অক্টোবর ২০২২
তীব্র শীতে নাকাল যশোরের জনজীবন। টানা দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার পর রোববার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সারা দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন
১ ঘণ্টা আগে
যশোরের মনিরামপুরে পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে শরিফুল ইসলাম (৫৫) নামে এক জামায়াত নেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন কামরুজ্জামান নামে মোটরসাইকেলের অপর আরোহী। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোর-চুকনগর সড়কের মনিরামপুর সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
দুর্গম চরাঞ্চলে নতুন শিক্ষক নিয়োগ পেলেও যাতায়াত ও আবাসন সমস্যা দেখিয়ে অনেকেই বেশি দিন সেখানে থাকতে চান না। অল্প সময়ের মধ্যেই নানা সুপারিশে তাঁরা সুবিধাজনক এলাকায় বদলি হয়ে যান। প্রতিবছর শিক্ষক নিয়োগ হলেও দুর্গম চরাঞ্চলে শিক্ষক ধরে রাখার জন্য কার্যকর নীতিমালা বা প্রণোদনা না থাকায় সংকটটি বছরের পর বছর..
২ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

তীব্র শীতে নাকাল যশোরের জনজীবন। টানা দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার পর রোববার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সারা দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন।
যশোর বিমানবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও শুক্রবার ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা ওই দুই দিনই ছিল দেশের সর্বনিম্ন। সূর্যের দেখা না যাওয়ায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র বলে জানিয়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ।
চার দিন ধরে চলা শৈত্যপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনমজুর, কৃষিশ্রমিক, ভ্যানচালক ও অন্যান্য খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর থেকেই জেলার আকাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন ও মেঘে ঢাকা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। মোটা জ্যাকেট ও মাফলারে শরীর ঢেকে জবুথবু অবস্থায় মানুষজনকে চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেকে ঠান্ডার কারণে ঘর থেকে বের হয়নি। আর বের হলেও কাজ পাচ্ছেন না অনেক শ্রমজীবী মানুষ। শহরে মানুষের চলাচলও তুলনামূলক কম।
শহরের দড়াটানা এলাকায় রিকশাচালক আমিরুল বলেন, ‘কুয়াশা আর উত্তরের বাতাসের কারণে শহরে লোকজন কম, যাত্রীও মিলছে না। শীতের জন্য রিকশায় কেউ উঠতে চায় না। তবুও জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন ঘর ছেড়ে বের হতে হচ্ছে।’

এদিকে ফুটপাতের দোকানগুলোতে গরম কাপড়ের বেচাকেনা বেড়েছে। শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালেও রোগীর চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা ঠান্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
জেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে জেলায় রবি ফসল, বোরো ধানের বীজতলা এবং মৌচাষিদের মধু সংগ্রহে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। জেলার আট উপজেলার মাঠে সরিষা, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফসল ও বোরো ধানের বীজতলা রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় কৃষকদের ফসল সুরক্ষায় আগাম সতর্কতা ও করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত ফসলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন, যাতে কোনো ক্ষতি হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’

তীব্র শীতে নাকাল যশোরের জনজীবন। টানা দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার পর রোববার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সারা দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন।
যশোর বিমানবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও শুক্রবার ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা ওই দুই দিনই ছিল দেশের সর্বনিম্ন। সূর্যের দেখা না যাওয়ায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র বলে জানিয়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ।
চার দিন ধরে চলা শৈত্যপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনমজুর, কৃষিশ্রমিক, ভ্যানচালক ও অন্যান্য খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর থেকেই জেলার আকাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন ও মেঘে ঢাকা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। মোটা জ্যাকেট ও মাফলারে শরীর ঢেকে জবুথবু অবস্থায় মানুষজনকে চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেকে ঠান্ডার কারণে ঘর থেকে বের হয়নি। আর বের হলেও কাজ পাচ্ছেন না অনেক শ্রমজীবী মানুষ। শহরে মানুষের চলাচলও তুলনামূলক কম।
শহরের দড়াটানা এলাকায় রিকশাচালক আমিরুল বলেন, ‘কুয়াশা আর উত্তরের বাতাসের কারণে শহরে লোকজন কম, যাত্রীও মিলছে না। শীতের জন্য রিকশায় কেউ উঠতে চায় না। তবুও জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন ঘর ছেড়ে বের হতে হচ্ছে।’

এদিকে ফুটপাতের দোকানগুলোতে গরম কাপড়ের বেচাকেনা বেড়েছে। শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালেও রোগীর চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা ঠান্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
জেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে জেলায় রবি ফসল, বোরো ধানের বীজতলা এবং মৌচাষিদের মধু সংগ্রহে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। জেলার আট উপজেলার মাঠে সরিষা, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফসল ও বোরো ধানের বীজতলা রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় কৃষকদের ফসল সুরক্ষায় আগাম সতর্কতা ও করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত ফসলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন, যাতে কোনো ক্ষতি হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’

গত দশ দিন সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণ প্রায় বন্ধ ছিল। মাঝে মধ্যে দু-একটি গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেও হঠাৎ করে আজ ভোর থেকে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে বিভিন্ন পয়েন্টে তুমুল গোলাগুলি শুরু হয়। এপারে ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকা কেঁপে ওঠে। লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা এ তথ্য জানান।
১০ অক্টোবর ২০২২
মো. আক্তারুজ্জামান জানান, গত বছর চার বিঘা জমিতে লাউ চাষ করে প্রায় ১৮ লাখ টাকা বিক্রি করেছিলেন। চলতি বছর জমির পরিমাণ বাড়িয়ে পাঁচ বিঘা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছরও ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা বিক্রির আশা করছি।’
৩ মিনিট আগে
যশোরের মনিরামপুরে পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে শরিফুল ইসলাম (৫৫) নামে এক জামায়াত নেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন কামরুজ্জামান নামে মোটরসাইকেলের অপর আরোহী। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোর-চুকনগর সড়কের মনিরামপুর সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
দুর্গম চরাঞ্চলে নতুন শিক্ষক নিয়োগ পেলেও যাতায়াত ও আবাসন সমস্যা দেখিয়ে অনেকেই বেশি দিন সেখানে থাকতে চান না। অল্প সময়ের মধ্যেই নানা সুপারিশে তাঁরা সুবিধাজনক এলাকায় বদলি হয়ে যান। প্রতিবছর শিক্ষক নিয়োগ হলেও দুর্গম চরাঞ্চলে শিক্ষক ধরে রাখার জন্য কার্যকর নীতিমালা বা প্রণোদনা না থাকায় সংকটটি বছরের পর বছর..
২ ঘণ্টা আগেমনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের মনিরামপুরে পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে শরিফুল ইসলাম (৫৫) নামে এক জামায়াত নেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন কামরুজ্জামান নামে মোটরসাইকেলের অপর আরোহী। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোর-চুকনগর সড়কের মনিরামপুর সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মনিরামপুর থানার ওসি রজিউল্লাহ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা আছে।
নিহত শরিফুল ইসলাম উপজেলার হানুয়ার গ্রামের মাওলানা আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি মনিরামপুর উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য ও উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি। রাজগঞ্জ বাজারে তাঁর হোমিও চিকিৎসাকেন্দ্র রয়েছে।
আহত কামরুজ্জামান হানুয়ার গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে। তিনি মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশ জানায়, শরিফুল ইসলাম ও কামরুজ্জামান উপজেলার জালঝাড়া জামায়াতে ইসলামীর অফিস থেকে মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁরা মনিরামপুর সরকারি কলেজের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা পিকআপ ধাক্কা দিলে দুজনে ছিটকে পড়ে বুকে ও মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শরিফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেহেদী হাসান বলেন, ‘হাসপাতালে আনার পর আমরা শরিফুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। আহত অপরজন চিকিৎসাধীন।’

যশোরের মনিরামপুরে পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে শরিফুল ইসলাম (৫৫) নামে এক জামায়াত নেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন কামরুজ্জামান নামে মোটরসাইকেলের অপর আরোহী। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোর-চুকনগর সড়কের মনিরামপুর সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মনিরামপুর থানার ওসি রজিউল্লাহ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা আছে।
নিহত শরিফুল ইসলাম উপজেলার হানুয়ার গ্রামের মাওলানা আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি মনিরামপুর উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য ও উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি। রাজগঞ্জ বাজারে তাঁর হোমিও চিকিৎসাকেন্দ্র রয়েছে।
আহত কামরুজ্জামান হানুয়ার গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে। তিনি মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশ জানায়, শরিফুল ইসলাম ও কামরুজ্জামান উপজেলার জালঝাড়া জামায়াতে ইসলামীর অফিস থেকে মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁরা মনিরামপুর সরকারি কলেজের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা পিকআপ ধাক্কা দিলে দুজনে ছিটকে পড়ে বুকে ও মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শরিফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেহেদী হাসান বলেন, ‘হাসপাতালে আনার পর আমরা শরিফুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। আহত অপরজন চিকিৎসাধীন।’

গত দশ দিন সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণ প্রায় বন্ধ ছিল। মাঝে মধ্যে দু-একটি গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেও হঠাৎ করে আজ ভোর থেকে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে বিভিন্ন পয়েন্টে তুমুল গোলাগুলি শুরু হয়। এপারে ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকা কেঁপে ওঠে। লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা এ তথ্য জানান।
১০ অক্টোবর ২০২২
মো. আক্তারুজ্জামান জানান, গত বছর চার বিঘা জমিতে লাউ চাষ করে প্রায় ১৮ লাখ টাকা বিক্রি করেছিলেন। চলতি বছর জমির পরিমাণ বাড়িয়ে পাঁচ বিঘা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছরও ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা বিক্রির আশা করছি।’
৩ মিনিট আগে
তীব্র শীতে নাকাল যশোরের জনজীবন। টানা দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার পর রোববার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সারা দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন
১ ঘণ্টা আগে
দুর্গম চরাঞ্চলে নতুন শিক্ষক নিয়োগ পেলেও যাতায়াত ও আবাসন সমস্যা দেখিয়ে অনেকেই বেশি দিন সেখানে থাকতে চান না। অল্প সময়ের মধ্যেই নানা সুপারিশে তাঁরা সুবিধাজনক এলাকায় বদলি হয়ে যান। প্রতিবছর শিক্ষক নিয়োগ হলেও দুর্গম চরাঞ্চলে শিক্ষক ধরে রাখার জন্য কার্যকর নীতিমালা বা প্রণোদনা না থাকায় সংকটটি বছরের পর বছর..
২ ঘণ্টা আগেতামীম আদনান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া)

নতুন বছর মানেই নতুন বইয়ের উচ্ছ্বাস। আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই বছরের প্রথম দিনে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মার চরের ২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছাবে নতুন বই। ঝকঝকে বইয়ের গন্ধে মুখর হবে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। তবে সেই আনন্দের মাঝেই দীর্ঘদিনের তীব্র শিক্ষকসংকট চরের শিশুদের শিক্ষাজীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের পদ্মার চরের ২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুমোদিত শিক্ষক পদ ১৫০টি। বর্তমানে সেখানে কর্মরত আছেন মাত্র ৮৫ জন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ৬৫টি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যালয় সূত্র জানায়, দুর্গম চরাঞ্চলে নতুন শিক্ষক নিয়োগ পেলেও যাতায়াত ও আবাসন সমস্যা দেখিয়ে অনেকেই বেশি দিন সেখানে থাকতে চান না। অল্প সময়ের মধ্যেই নানা সুপারিশে তাঁরা সুবিধাজনক এলাকায় বদলি হয়ে যান। প্রতিবছর শিক্ষক নিয়োগ হলেও দুর্গম চরাঞ্চলে শিক্ষক ধরে রাখার জন্য কার্যকর নীতিমালা বা প্রণোদনা না থাকায় সংকটটি বছরের পর বছর রয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিন চরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলো ঘুরে দেখা গেছে, অনেক স্কুলে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছয়টি শ্রেণির বিপরীতে মাত্র দুই থেকে তিনজন শিক্ষক রয়েছেন। কোথাও আবার একজন শিক্ষকই পুরো বিদ্যালয়ের পাঠদান সামলাচ্ছেন। এক শিক্ষকের পক্ষে একসঙ্গে একাধিক শ্রেণিতে পাঠদান কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি কর্মরত শিক্ষকদের একটি বড় অংশ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করায় দাপ্তরিক কাজেই তাঁদের বেশির ভাগ সময় ব্যয় হচ্ছে।

চিলমারী ইউনিয়নের খারিজাথাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের প্রায়ই উপজেলা শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। দুর্গম চরাঞ্চল পাড়ি দিয়ে যাওয়া-আসাতেই পুরো দিন শেষ হয়ে যায়। ফলে ওই দিনগুলোতে অনেক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যত বন্ধ থাকে।’
চর থেকে উপজেলা সদরে একজন শিক্ষকের যাতায়াতে গড়ে চার ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। এতে খরচ হয় প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। বর্ষা মৌসুমে নৌকাই একমাত্র ভরসা, আর শুষ্ক মৌসুমে মোটরসাইকেলে চলাচল করতে হয়। নারী শিক্ষকদের জন্য এই যাতায়াত আরও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে।
পূর্ব খারিজাথাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পারভিনা আক্তার জানান, তিনি ১৮ বছর ধরে চরাঞ্চলে শিক্ষকতা করছেন। বর্তমানে তাঁর বিদ্যালয়ে ৩৬৫ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে পাঠদান করছেন মাত্র তিনজন শিক্ষক। প্রতিটি শ্রেণিতে গড়ে ৬০ থেকে ৬৫ জন শিক্ষার্থী। তিনি দাপ্তরিক কাজে বাইরে থাকলে মাত্র দুজন শিক্ষক দিয়ে পুরো বিদ্যালয়ের পাঠদান চালাতে হয়। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের কী শিক্ষা দিচ্ছি—সেটাই বড় প্রশ্ন। বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান আসেনি।’
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সোনাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, শিক্ষক কম থাকায় অনেক সময় ক্লাস হয় না। তার ভাষ্য, ‘আমরা স্কুলে গিয়ে বসে থাকি। আবার অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একসঙ্গে বসানো হয়।’
অভিভাবকদের অভিযোগ আরও তীব্র। আব্দুর রাজ্জাক নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমাদের সন্তানের হাতে নতুন বই আছে, কিন্তু মাথার ওপর শিক্ষক নেই। শহরের স্কুলে যেখানে শিক্ষক ভরপুর, সেখানে চরের শিশুদের জন্য কেন স্থায়ী ব্যবস্থা নেই।’
চরের অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষকসংকটের কারণে তাঁদের সন্তানেরা শহরের শিক্ষার্থীদের তুলনায় পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে। নিয়মিত পাঠদান না হওয়ায় শিক্ষার মান দুর্বল হচ্ছে। তবুও অনেক শিক্ষার্থী একের পর এক শ্রেণি পেরিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে গিয়ে পড়ালেখাই ছেড়ে দিচ্ছে।
দৌলতপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘নতুন শিক্ষক এলেও তারা নানা অজুহাতে চরাঞ্চলে থাকতে চান না। বিভিন্ন সুপারিশে সুবিধাজনক এলাকায় চলে যান। জানুয়ারিতে নতুন শিক্ষক নিয়োগের কথা রয়েছে। আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি। নতুন শিক্ষক পেলে কিছুটা হলেও সংকট কাটবে বলে আশা করছি।’
তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, চরের দায়িত্বে থাকা অনেক শিক্ষক স্বেচ্ছায় সুবিধাজনক স্থানে বদলির আবেদন করেছেন। নতুন শিক্ষক নিয়োগের পর তাঁরা সেখান থেকে চলে আসবেন। ফলে সংকট দ্রুত কাটার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, দৌলতপুর উপজেলায় মোট ২১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮২টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। এ ছাড়া ১ হাজার ১৬৬টি সহকারী শিক্ষক পদের বিপরীতে ১৩২টি পদ শূন্য রয়েছে, যার সিংহভাগই পদ্মার চরাঞ্চলে। চলতি বছরে উপজেলায় প্রায় ৪০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষার্থী নতুন বই পাবে।
নতুন বইয়ের আনন্দের মাঝেই শিক্ষকসংকটের এই দীর্ঘশ্বাস পদ্মার চরের হাজারো শিশুর শিক্ষা ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে—এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।

নতুন বছর মানেই নতুন বইয়ের উচ্ছ্বাস। আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই বছরের প্রথম দিনে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মার চরের ২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছাবে নতুন বই। ঝকঝকে বইয়ের গন্ধে মুখর হবে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। তবে সেই আনন্দের মাঝেই দীর্ঘদিনের তীব্র শিক্ষকসংকট চরের শিশুদের শিক্ষাজীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের পদ্মার চরের ২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুমোদিত শিক্ষক পদ ১৫০টি। বর্তমানে সেখানে কর্মরত আছেন মাত্র ৮৫ জন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ৬৫টি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যালয় সূত্র জানায়, দুর্গম চরাঞ্চলে নতুন শিক্ষক নিয়োগ পেলেও যাতায়াত ও আবাসন সমস্যা দেখিয়ে অনেকেই বেশি দিন সেখানে থাকতে চান না। অল্প সময়ের মধ্যেই নানা সুপারিশে তাঁরা সুবিধাজনক এলাকায় বদলি হয়ে যান। প্রতিবছর শিক্ষক নিয়োগ হলেও দুর্গম চরাঞ্চলে শিক্ষক ধরে রাখার জন্য কার্যকর নীতিমালা বা প্রণোদনা না থাকায় সংকটটি বছরের পর বছর রয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিন চরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলো ঘুরে দেখা গেছে, অনেক স্কুলে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছয়টি শ্রেণির বিপরীতে মাত্র দুই থেকে তিনজন শিক্ষক রয়েছেন। কোথাও আবার একজন শিক্ষকই পুরো বিদ্যালয়ের পাঠদান সামলাচ্ছেন। এক শিক্ষকের পক্ষে একসঙ্গে একাধিক শ্রেণিতে পাঠদান কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি কর্মরত শিক্ষকদের একটি বড় অংশ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করায় দাপ্তরিক কাজেই তাঁদের বেশির ভাগ সময় ব্যয় হচ্ছে।

চিলমারী ইউনিয়নের খারিজাথাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের প্রায়ই উপজেলা শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। দুর্গম চরাঞ্চল পাড়ি দিয়ে যাওয়া-আসাতেই পুরো দিন শেষ হয়ে যায়। ফলে ওই দিনগুলোতে অনেক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যত বন্ধ থাকে।’
চর থেকে উপজেলা সদরে একজন শিক্ষকের যাতায়াতে গড়ে চার ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। এতে খরচ হয় প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। বর্ষা মৌসুমে নৌকাই একমাত্র ভরসা, আর শুষ্ক মৌসুমে মোটরসাইকেলে চলাচল করতে হয়। নারী শিক্ষকদের জন্য এই যাতায়াত আরও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে।
পূর্ব খারিজাথাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পারভিনা আক্তার জানান, তিনি ১৮ বছর ধরে চরাঞ্চলে শিক্ষকতা করছেন। বর্তমানে তাঁর বিদ্যালয়ে ৩৬৫ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে পাঠদান করছেন মাত্র তিনজন শিক্ষক। প্রতিটি শ্রেণিতে গড়ে ৬০ থেকে ৬৫ জন শিক্ষার্থী। তিনি দাপ্তরিক কাজে বাইরে থাকলে মাত্র দুজন শিক্ষক দিয়ে পুরো বিদ্যালয়ের পাঠদান চালাতে হয়। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের কী শিক্ষা দিচ্ছি—সেটাই বড় প্রশ্ন। বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান আসেনি।’
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সোনাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, শিক্ষক কম থাকায় অনেক সময় ক্লাস হয় না। তার ভাষ্য, ‘আমরা স্কুলে গিয়ে বসে থাকি। আবার অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একসঙ্গে বসানো হয়।’
অভিভাবকদের অভিযোগ আরও তীব্র। আব্দুর রাজ্জাক নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমাদের সন্তানের হাতে নতুন বই আছে, কিন্তু মাথার ওপর শিক্ষক নেই। শহরের স্কুলে যেখানে শিক্ষক ভরপুর, সেখানে চরের শিশুদের জন্য কেন স্থায়ী ব্যবস্থা নেই।’
চরের অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষকসংকটের কারণে তাঁদের সন্তানেরা শহরের শিক্ষার্থীদের তুলনায় পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে। নিয়মিত পাঠদান না হওয়ায় শিক্ষার মান দুর্বল হচ্ছে। তবুও অনেক শিক্ষার্থী একের পর এক শ্রেণি পেরিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে গিয়ে পড়ালেখাই ছেড়ে দিচ্ছে।
দৌলতপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘নতুন শিক্ষক এলেও তারা নানা অজুহাতে চরাঞ্চলে থাকতে চান না। বিভিন্ন সুপারিশে সুবিধাজনক এলাকায় চলে যান। জানুয়ারিতে নতুন শিক্ষক নিয়োগের কথা রয়েছে। আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি। নতুন শিক্ষক পেলে কিছুটা হলেও সংকট কাটবে বলে আশা করছি।’
তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, চরের দায়িত্বে থাকা অনেক শিক্ষক স্বেচ্ছায় সুবিধাজনক স্থানে বদলির আবেদন করেছেন। নতুন শিক্ষক নিয়োগের পর তাঁরা সেখান থেকে চলে আসবেন। ফলে সংকট দ্রুত কাটার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, দৌলতপুর উপজেলায় মোট ২১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮২টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। এ ছাড়া ১ হাজার ১৬৬টি সহকারী শিক্ষক পদের বিপরীতে ১৩২টি পদ শূন্য রয়েছে, যার সিংহভাগই পদ্মার চরাঞ্চলে। চলতি বছরে উপজেলায় প্রায় ৪০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষার্থী নতুন বই পাবে।
নতুন বইয়ের আনন্দের মাঝেই শিক্ষকসংকটের এই দীর্ঘশ্বাস পদ্মার চরের হাজারো শিশুর শিক্ষা ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে—এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।

গত দশ দিন সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণ প্রায় বন্ধ ছিল। মাঝে মধ্যে দু-একটি গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেও হঠাৎ করে আজ ভোর থেকে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে বিভিন্ন পয়েন্টে তুমুল গোলাগুলি শুরু হয়। এপারে ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকা কেঁপে ওঠে। লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা এ তথ্য জানান।
১০ অক্টোবর ২০২২
মো. আক্তারুজ্জামান জানান, গত বছর চার বিঘা জমিতে লাউ চাষ করে প্রায় ১৮ লাখ টাকা বিক্রি করেছিলেন। চলতি বছর জমির পরিমাণ বাড়িয়ে পাঁচ বিঘা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছরও ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা বিক্রির আশা করছি।’
৩ মিনিট আগে
তীব্র শীতে নাকাল যশোরের জনজীবন। টানা দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার পর রোববার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সারা দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন
১ ঘণ্টা আগে
যশোরের মনিরামপুরে পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে শরিফুল ইসলাম (৫৫) নামে এক জামায়াত নেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন কামরুজ্জামান নামে মোটরসাইকেলের অপর আরোহী। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোর-চুকনগর সড়কের মনিরামপুর সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে