মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক পাকা স্থাপনা গড়ে তুলছেন। সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে নদী মোহনার নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যেন দখলের মচ্ছব চলছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার সামনে দিয়ে তিন-চার শ গজ এগোলেই কস্তুরাঘাট। গত কয়েক মাসে কস্তুরাঘাট এলাকায় নদীবন্দরের জন্য নির্ধারিত জমিও দখল হয়ে গেছে। নৌবন্দরের ৩০০ একর জায়গাজুড়ে এখন পাকা দালান ও স্থাপনা।
কক্সবাজার শহরের সঙ্গে নদীর ওপারের খুরুশকূলের সংযোগ স্থাপনের জন্য দুই বছর আগে ৫৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু ও সড়ক তৈরি করা হয়েছে কস্তুরাঘাটে। সেতুটিতে উঠতেই বাঁ পাশে নৌবন্দরের জমি, ডান পাশে কক্সবাজার পৌরসভার বর্জ্য ফেলার ভাগাড়। এই ভাগাড় থেকে পূর্ব দিকে শহরের মাঝিরঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নতুন সড়ক তৈরি করা হয়েছে। এই সেতু ও সড়ক তৈরির পর স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীতীরের জমি দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছেন। এ জন্য ভুয়া কাগজপত্র বানানোর অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২০১৩ সাল থেকে বাঁকখালীর পাড়ে পৌরসভার বর্জ্য ফেলা শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে ভাগাড়টিই দখলের চাবিকাঠি হয়ে ওঠে।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন কস্তুরাঘাট সেতুর দুই পাশের চার শতাধিক পাকা-আধা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দেয়। দখলমুক্ত করা হয় নৌবন্দরের জমি। কিন্তু দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা জমি দখলে গত ৫ আগস্টের পর আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে দখলদার চক্র। দখলদারেরা এরই মধ্যে নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত হাজারো স্থাপনা গড়ে তুলেছে।
স্থানীয় টেকপাড়ার বাসিন্দা আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে প্রভাবশালী নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বিস্তীর্ণ প্যারাবন কেটে নদীতীরের জমি দখল করা হয়েছে। আবার এসব নদী দখলদারদের অন্যতম হাতিয়ার আদালতের নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু কথা হলো, জমির মালিকানা যদি সঠিক থাকে তাহলে কেন আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিতে হবে। এতে বোঝা যায় কাগজপত্রগুলো সবই ভুয়া!’
নদীতীরের জমি দখল করে দালান ও স্থাপনা তৈরি হচ্ছে বলে স্বীকার করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, ‘কেউ কেউ এসব স্থাপনা ব্যক্তিগত জমিতে করা হচ্ছে দাবি করে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হয়। এর মধ্যে কাগজপত্র দেখে নদীতীরের অবৈধ দখল উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
উপকূল রক্ষার প্রহরী উজাড়
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড় থেকে সৃষ্ট বাঁকখালী নদী রামুর ওপর দিয়ে কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ হয়ে আঁকাবাঁকা পথে মিশেছে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেলে। সেই নদীর তীরে এক যুগ আগে গড়ে তোলা হয়েছিল প্যারাবন। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো সামুদ্রিক দুর্যোগ থেকে উপকূলকে বাঁচাতে এ বনাঞ্চল প্রহরীর ভূমিকায় ছিল। ক্রমান্বয়ে প্যারাবন উজাড় করে সেই জমিতে খননযন্ত্র দিয়ে নদী থেকে মাটি তুলে রাতারাতি ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভরাট করা জমিতে টিনের ঘের দিয়ে প্লট আলাদা করা। তীরের জমি দখল করে স্থাপনা গড়ায় নদীর গতিপথ সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মীরা জানান, ২০২১ সাল থেকে এই প্যারাবনের লক্ষাধিক বাইন ও কেওড়াগাছ উজাড় করা হয়েছে। এতে অন্তত ২০০ প্রজাতির পাখির আবাসস্থলসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে অন্তত ৪০০ একর প্যারাবন এবং নৌবন্দরের জমি দখল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় বাঁকখালী নদীর তীর দখল হচ্ছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ১৬ এপ্রিল এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর তাঁরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) জমির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২১ সাল থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাঁচটি মামলা দেওয়া হয়েছে। সব মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি দখলের ঘটনায় কয়েকজন দখলদারের বিরুদ্ধে নোটিশ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামী রোববার (২৭ এপ্রিল) তাঁর কার্যালয়ে শুনানি রয়েছে।
তালিকা হলেও দখলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
২০২০ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ১৩০ জন দখলদারের নতুন তালিকা করেছিল। ওই তালিকায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানসহ প্রভাবশালী রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আইনজীবীর নাম রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তি কস্তুরাঘাটে বাঁকখালীর তীর দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করেছেন। কিন্তু তাঁরা নিজেদের নামে কোনো সাইনবোর্ড লাগাননি কিংবা অন্য কোনোভাবে নাম ব্যবহার করেননি। পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা জেলা প্রশাসন দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
বাঁকখালী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া জরুরি বলে মনে করেন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে জেনেই কিছু ব্যক্তি জোয়ার-ভাটা এলাকায় ভুয়া কাগজ বানিয়ে নদীর তীরের জমির মালিকানা দাবি করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা মতে, নদীর জমি উদ্ধারে একটি জরিপ প্রক্রিয়া চলছে। শিগগির এ জরিপ শেষ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাঁকখালী নদীর দখল-দূষণ পর্যবেক্ষণে আসছেন। বিকেলে নৌবন্দরের জমির সীমানা পিলার নির্ধারণ এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকে বসবেন দুই উপদেষ্টা।

কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক পাকা স্থাপনা গড়ে তুলছেন। সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে নদী মোহনার নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যেন দখলের মচ্ছব চলছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার সামনে দিয়ে তিন-চার শ গজ এগোলেই কস্তুরাঘাট। গত কয়েক মাসে কস্তুরাঘাট এলাকায় নদীবন্দরের জন্য নির্ধারিত জমিও দখল হয়ে গেছে। নৌবন্দরের ৩০০ একর জায়গাজুড়ে এখন পাকা দালান ও স্থাপনা।
কক্সবাজার শহরের সঙ্গে নদীর ওপারের খুরুশকূলের সংযোগ স্থাপনের জন্য দুই বছর আগে ৫৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু ও সড়ক তৈরি করা হয়েছে কস্তুরাঘাটে। সেতুটিতে উঠতেই বাঁ পাশে নৌবন্দরের জমি, ডান পাশে কক্সবাজার পৌরসভার বর্জ্য ফেলার ভাগাড়। এই ভাগাড় থেকে পূর্ব দিকে শহরের মাঝিরঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নতুন সড়ক তৈরি করা হয়েছে। এই সেতু ও সড়ক তৈরির পর স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীতীরের জমি দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছেন। এ জন্য ভুয়া কাগজপত্র বানানোর অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২০১৩ সাল থেকে বাঁকখালীর পাড়ে পৌরসভার বর্জ্য ফেলা শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে ভাগাড়টিই দখলের চাবিকাঠি হয়ে ওঠে।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন কস্তুরাঘাট সেতুর দুই পাশের চার শতাধিক পাকা-আধা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দেয়। দখলমুক্ত করা হয় নৌবন্দরের জমি। কিন্তু দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা জমি দখলে গত ৫ আগস্টের পর আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে দখলদার চক্র। দখলদারেরা এরই মধ্যে নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত হাজারো স্থাপনা গড়ে তুলেছে।
স্থানীয় টেকপাড়ার বাসিন্দা আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে প্রভাবশালী নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বিস্তীর্ণ প্যারাবন কেটে নদীতীরের জমি দখল করা হয়েছে। আবার এসব নদী দখলদারদের অন্যতম হাতিয়ার আদালতের নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু কথা হলো, জমির মালিকানা যদি সঠিক থাকে তাহলে কেন আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিতে হবে। এতে বোঝা যায় কাগজপত্রগুলো সবই ভুয়া!’
নদীতীরের জমি দখল করে দালান ও স্থাপনা তৈরি হচ্ছে বলে স্বীকার করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, ‘কেউ কেউ এসব স্থাপনা ব্যক্তিগত জমিতে করা হচ্ছে দাবি করে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হয়। এর মধ্যে কাগজপত্র দেখে নদীতীরের অবৈধ দখল উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
উপকূল রক্ষার প্রহরী উজাড়
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড় থেকে সৃষ্ট বাঁকখালী নদী রামুর ওপর দিয়ে কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ হয়ে আঁকাবাঁকা পথে মিশেছে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেলে। সেই নদীর তীরে এক যুগ আগে গড়ে তোলা হয়েছিল প্যারাবন। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো সামুদ্রিক দুর্যোগ থেকে উপকূলকে বাঁচাতে এ বনাঞ্চল প্রহরীর ভূমিকায় ছিল। ক্রমান্বয়ে প্যারাবন উজাড় করে সেই জমিতে খননযন্ত্র দিয়ে নদী থেকে মাটি তুলে রাতারাতি ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভরাট করা জমিতে টিনের ঘের দিয়ে প্লট আলাদা করা। তীরের জমি দখল করে স্থাপনা গড়ায় নদীর গতিপথ সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মীরা জানান, ২০২১ সাল থেকে এই প্যারাবনের লক্ষাধিক বাইন ও কেওড়াগাছ উজাড় করা হয়েছে। এতে অন্তত ২০০ প্রজাতির পাখির আবাসস্থলসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে অন্তত ৪০০ একর প্যারাবন এবং নৌবন্দরের জমি দখল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় বাঁকখালী নদীর তীর দখল হচ্ছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ১৬ এপ্রিল এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর তাঁরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) জমির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২১ সাল থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাঁচটি মামলা দেওয়া হয়েছে। সব মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি দখলের ঘটনায় কয়েকজন দখলদারের বিরুদ্ধে নোটিশ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামী রোববার (২৭ এপ্রিল) তাঁর কার্যালয়ে শুনানি রয়েছে।
তালিকা হলেও দখলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
২০২০ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ১৩০ জন দখলদারের নতুন তালিকা করেছিল। ওই তালিকায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানসহ প্রভাবশালী রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আইনজীবীর নাম রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তি কস্তুরাঘাটে বাঁকখালীর তীর দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করেছেন। কিন্তু তাঁরা নিজেদের নামে কোনো সাইনবোর্ড লাগাননি কিংবা অন্য কোনোভাবে নাম ব্যবহার করেননি। পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা জেলা প্রশাসন দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
বাঁকখালী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া জরুরি বলে মনে করেন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে জেনেই কিছু ব্যক্তি জোয়ার-ভাটা এলাকায় ভুয়া কাগজ বানিয়ে নদীর তীরের জমির মালিকানা দাবি করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা মতে, নদীর জমি উদ্ধারে একটি জরিপ প্রক্রিয়া চলছে। শিগগির এ জরিপ শেষ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাঁকখালী নদীর দখল-দূষণ পর্যবেক্ষণে আসছেন। বিকেলে নৌবন্দরের জমির সীমানা পিলার নির্ধারণ এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকে বসবেন দুই উপদেষ্টা।
মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক পাকা স্থাপনা গড়ে তুলছেন। সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে নদী মোহনার নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যেন দখলের মচ্ছব চলছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার সামনে দিয়ে তিন-চার শ গজ এগোলেই কস্তুরাঘাট। গত কয়েক মাসে কস্তুরাঘাট এলাকায় নদীবন্দরের জন্য নির্ধারিত জমিও দখল হয়ে গেছে। নৌবন্দরের ৩০০ একর জায়গাজুড়ে এখন পাকা দালান ও স্থাপনা।
কক্সবাজার শহরের সঙ্গে নদীর ওপারের খুরুশকূলের সংযোগ স্থাপনের জন্য দুই বছর আগে ৫৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু ও সড়ক তৈরি করা হয়েছে কস্তুরাঘাটে। সেতুটিতে উঠতেই বাঁ পাশে নৌবন্দরের জমি, ডান পাশে কক্সবাজার পৌরসভার বর্জ্য ফেলার ভাগাড়। এই ভাগাড় থেকে পূর্ব দিকে শহরের মাঝিরঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নতুন সড়ক তৈরি করা হয়েছে। এই সেতু ও সড়ক তৈরির পর স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীতীরের জমি দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছেন। এ জন্য ভুয়া কাগজপত্র বানানোর অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২০১৩ সাল থেকে বাঁকখালীর পাড়ে পৌরসভার বর্জ্য ফেলা শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে ভাগাড়টিই দখলের চাবিকাঠি হয়ে ওঠে।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন কস্তুরাঘাট সেতুর দুই পাশের চার শতাধিক পাকা-আধা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দেয়। দখলমুক্ত করা হয় নৌবন্দরের জমি। কিন্তু দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা জমি দখলে গত ৫ আগস্টের পর আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে দখলদার চক্র। দখলদারেরা এরই মধ্যে নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত হাজারো স্থাপনা গড়ে তুলেছে।
স্থানীয় টেকপাড়ার বাসিন্দা আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে প্রভাবশালী নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বিস্তীর্ণ প্যারাবন কেটে নদীতীরের জমি দখল করা হয়েছে। আবার এসব নদী দখলদারদের অন্যতম হাতিয়ার আদালতের নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু কথা হলো, জমির মালিকানা যদি সঠিক থাকে তাহলে কেন আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিতে হবে। এতে বোঝা যায় কাগজপত্রগুলো সবই ভুয়া!’
নদীতীরের জমি দখল করে দালান ও স্থাপনা তৈরি হচ্ছে বলে স্বীকার করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, ‘কেউ কেউ এসব স্থাপনা ব্যক্তিগত জমিতে করা হচ্ছে দাবি করে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হয়। এর মধ্যে কাগজপত্র দেখে নদীতীরের অবৈধ দখল উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
উপকূল রক্ষার প্রহরী উজাড়
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড় থেকে সৃষ্ট বাঁকখালী নদী রামুর ওপর দিয়ে কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ হয়ে আঁকাবাঁকা পথে মিশেছে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেলে। সেই নদীর তীরে এক যুগ আগে গড়ে তোলা হয়েছিল প্যারাবন। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো সামুদ্রিক দুর্যোগ থেকে উপকূলকে বাঁচাতে এ বনাঞ্চল প্রহরীর ভূমিকায় ছিল। ক্রমান্বয়ে প্যারাবন উজাড় করে সেই জমিতে খননযন্ত্র দিয়ে নদী থেকে মাটি তুলে রাতারাতি ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভরাট করা জমিতে টিনের ঘের দিয়ে প্লট আলাদা করা। তীরের জমি দখল করে স্থাপনা গড়ায় নদীর গতিপথ সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মীরা জানান, ২০২১ সাল থেকে এই প্যারাবনের লক্ষাধিক বাইন ও কেওড়াগাছ উজাড় করা হয়েছে। এতে অন্তত ২০০ প্রজাতির পাখির আবাসস্থলসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে অন্তত ৪০০ একর প্যারাবন এবং নৌবন্দরের জমি দখল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় বাঁকখালী নদীর তীর দখল হচ্ছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ১৬ এপ্রিল এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর তাঁরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) জমির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২১ সাল থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাঁচটি মামলা দেওয়া হয়েছে। সব মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি দখলের ঘটনায় কয়েকজন দখলদারের বিরুদ্ধে নোটিশ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামী রোববার (২৭ এপ্রিল) তাঁর কার্যালয়ে শুনানি রয়েছে।
তালিকা হলেও দখলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
২০২০ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ১৩০ জন দখলদারের নতুন তালিকা করেছিল। ওই তালিকায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানসহ প্রভাবশালী রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আইনজীবীর নাম রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তি কস্তুরাঘাটে বাঁকখালীর তীর দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করেছেন। কিন্তু তাঁরা নিজেদের নামে কোনো সাইনবোর্ড লাগাননি কিংবা অন্য কোনোভাবে নাম ব্যবহার করেননি। পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা জেলা প্রশাসন দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
বাঁকখালী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া জরুরি বলে মনে করেন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে জেনেই কিছু ব্যক্তি জোয়ার-ভাটা এলাকায় ভুয়া কাগজ বানিয়ে নদীর তীরের জমির মালিকানা দাবি করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা মতে, নদীর জমি উদ্ধারে একটি জরিপ প্রক্রিয়া চলছে। শিগগির এ জরিপ শেষ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাঁকখালী নদীর দখল-দূষণ পর্যবেক্ষণে আসছেন। বিকেলে নৌবন্দরের জমির সীমানা পিলার নির্ধারণ এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকে বসবেন দুই উপদেষ্টা।

কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক পাকা স্থাপনা গড়ে তুলছেন। সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে নদী মোহনার নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যেন দখলের মচ্ছব চলছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার সামনে দিয়ে তিন-চার শ গজ এগোলেই কস্তুরাঘাট। গত কয়েক মাসে কস্তুরাঘাট এলাকায় নদীবন্দরের জন্য নির্ধারিত জমিও দখল হয়ে গেছে। নৌবন্দরের ৩০০ একর জায়গাজুড়ে এখন পাকা দালান ও স্থাপনা।
কক্সবাজার শহরের সঙ্গে নদীর ওপারের খুরুশকূলের সংযোগ স্থাপনের জন্য দুই বছর আগে ৫৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু ও সড়ক তৈরি করা হয়েছে কস্তুরাঘাটে। সেতুটিতে উঠতেই বাঁ পাশে নৌবন্দরের জমি, ডান পাশে কক্সবাজার পৌরসভার বর্জ্য ফেলার ভাগাড়। এই ভাগাড় থেকে পূর্ব দিকে শহরের মাঝিরঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নতুন সড়ক তৈরি করা হয়েছে। এই সেতু ও সড়ক তৈরির পর স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীতীরের জমি দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছেন। এ জন্য ভুয়া কাগজপত্র বানানোর অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২০১৩ সাল থেকে বাঁকখালীর পাড়ে পৌরসভার বর্জ্য ফেলা শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে ভাগাড়টিই দখলের চাবিকাঠি হয়ে ওঠে।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন কস্তুরাঘাট সেতুর দুই পাশের চার শতাধিক পাকা-আধা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দেয়। দখলমুক্ত করা হয় নৌবন্দরের জমি। কিন্তু দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা জমি দখলে গত ৫ আগস্টের পর আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে দখলদার চক্র। দখলদারেরা এরই মধ্যে নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত হাজারো স্থাপনা গড়ে তুলেছে।
স্থানীয় টেকপাড়ার বাসিন্দা আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে প্রভাবশালী নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বিস্তীর্ণ প্যারাবন কেটে নদীতীরের জমি দখল করা হয়েছে। আবার এসব নদী দখলদারদের অন্যতম হাতিয়ার আদালতের নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু কথা হলো, জমির মালিকানা যদি সঠিক থাকে তাহলে কেন আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিতে হবে। এতে বোঝা যায় কাগজপত্রগুলো সবই ভুয়া!’
নদীতীরের জমি দখল করে দালান ও স্থাপনা তৈরি হচ্ছে বলে স্বীকার করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, ‘কেউ কেউ এসব স্থাপনা ব্যক্তিগত জমিতে করা হচ্ছে দাবি করে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হয়। এর মধ্যে কাগজপত্র দেখে নদীতীরের অবৈধ দখল উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
উপকূল রক্ষার প্রহরী উজাড়
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড় থেকে সৃষ্ট বাঁকখালী নদী রামুর ওপর দিয়ে কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ হয়ে আঁকাবাঁকা পথে মিশেছে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেলে। সেই নদীর তীরে এক যুগ আগে গড়ে তোলা হয়েছিল প্যারাবন। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো সামুদ্রিক দুর্যোগ থেকে উপকূলকে বাঁচাতে এ বনাঞ্চল প্রহরীর ভূমিকায় ছিল। ক্রমান্বয়ে প্যারাবন উজাড় করে সেই জমিতে খননযন্ত্র দিয়ে নদী থেকে মাটি তুলে রাতারাতি ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভরাট করা জমিতে টিনের ঘের দিয়ে প্লট আলাদা করা। তীরের জমি দখল করে স্থাপনা গড়ায় নদীর গতিপথ সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মীরা জানান, ২০২১ সাল থেকে এই প্যারাবনের লক্ষাধিক বাইন ও কেওড়াগাছ উজাড় করা হয়েছে। এতে অন্তত ২০০ প্রজাতির পাখির আবাসস্থলসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে অন্তত ৪০০ একর প্যারাবন এবং নৌবন্দরের জমি দখল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় বাঁকখালী নদীর তীর দখল হচ্ছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ১৬ এপ্রিল এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর তাঁরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) জমির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২১ সাল থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাঁচটি মামলা দেওয়া হয়েছে। সব মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি দখলের ঘটনায় কয়েকজন দখলদারের বিরুদ্ধে নোটিশ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামী রোববার (২৭ এপ্রিল) তাঁর কার্যালয়ে শুনানি রয়েছে।
তালিকা হলেও দখলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
২০২০ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ১৩০ জন দখলদারের নতুন তালিকা করেছিল। ওই তালিকায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানসহ প্রভাবশালী রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আইনজীবীর নাম রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তি কস্তুরাঘাটে বাঁকখালীর তীর দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করেছেন। কিন্তু তাঁরা নিজেদের নামে কোনো সাইনবোর্ড লাগাননি কিংবা অন্য কোনোভাবে নাম ব্যবহার করেননি। পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা জেলা প্রশাসন দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
বাঁকখালী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া জরুরি বলে মনে করেন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে জেনেই কিছু ব্যক্তি জোয়ার-ভাটা এলাকায় ভুয়া কাগজ বানিয়ে নদীর তীরের জমির মালিকানা দাবি করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা মতে, নদীর জমি উদ্ধারে একটি জরিপ প্রক্রিয়া চলছে। শিগগির এ জরিপ শেষ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাঁকখালী নদীর দখল-দূষণ পর্যবেক্ষণে আসছেন। বিকেলে নৌবন্দরের জমির সীমানা পিলার নির্ধারণ এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকে বসবেন দুই উপদেষ্টা।

নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগর রেলস্টেশন থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সান্তাহার জিআরপি পুলিশকে সংবাদ দেওয়া হয়।
১৪ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় তিনটি বসতঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ঘরগুলোর বাসিন্দারা বেড়া ভেঙে বাইরে বের হয়ে রক্ষা পান। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে রাউজান পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঢেউয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ শনিবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
৪৩ মিনিট আগে
মানবতাবিরোধী ও খুন-গুম হত্যা মামলায় কারাবন্দী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল যুবক এই হামলা করে। তবে তারা ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘আমি জানি না, বাপের মতো বেটিরও কপালে “স্বতন্ত্র” (প্রার্থী) আছে কি না? বাপ স্বতন্ত্র (প্রার্থী ছিলেন), বেটিও স্বতন্ত্র কি না, সময়ই এর উত্তর দেবে।’
১ ঘণ্টা আগেনলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগর রেলস্টেশন থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সান্তাহার জিআরপি পুলিশকে সংবাদ দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, মাধনগর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে একজন মধ্যবয়সী নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। প্রথমে স্থানীয়রা মনে করেন ওই নারী কোনো কারণে অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে রয়েছেন। পরে অনেক সময় কোনো নড়াচড়া না করায় তাঁদের মধ্যে সন্দেহ হলে তাঁরা ওই নারীকে ডেকে তোলার চেষ্টা করেও পারেননি। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে নিশ্চিত হন ওই নারী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সান্তাহার জিআরপি পুলিশ।
সান্তাহার জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, তাঁরা মাধনগর রেলস্টেশনের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখানে একটি টিম পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। মরদেহের পরিচয় শনাক্তের জন্য কাজ করছে পুলিশ।

নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগর রেলস্টেশন থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সান্তাহার জিআরপি পুলিশকে সংবাদ দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, মাধনগর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে একজন মধ্যবয়সী নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। প্রথমে স্থানীয়রা মনে করেন ওই নারী কোনো কারণে অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে রয়েছেন। পরে অনেক সময় কোনো নড়াচড়া না করায় তাঁদের মধ্যে সন্দেহ হলে তাঁরা ওই নারীকে ডেকে তোলার চেষ্টা করেও পারেননি। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে নিশ্চিত হন ওই নারী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সান্তাহার জিআরপি পুলিশ।
সান্তাহার জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, তাঁরা মাধনগর রেলস্টেশনের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখানে একটি টিম পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। মরদেহের পরিচয় শনাক্তের জন্য কাজ করছে পুলিশ।

কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক...
২৪ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় তিনটি বসতঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ঘরগুলোর বাসিন্দারা বেড়া ভেঙে বাইরে বের হয়ে রক্ষা পান। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে রাউজান পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঢেউয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ শনিবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
৪৩ মিনিট আগে
মানবতাবিরোধী ও খুন-গুম হত্যা মামলায় কারাবন্দী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল যুবক এই হামলা করে। তবে তারা ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘আমি জানি না, বাপের মতো বেটিরও কপালে “স্বতন্ত্র” (প্রার্থী) আছে কি না? বাপ স্বতন্ত্র (প্রার্থী ছিলেন), বেটিও স্বতন্ত্র কি না, সময়ই এর উত্তর দেবে।’
১ ঘণ্টা আগেরাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় তিনটি বসতঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ঘরগুলোর বাসিন্দারা বেড়া ভেঙে বাইরে বের হয়ে রক্ষা পান।
গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে রাউজান পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঢেউয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ শনিবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অভিযোগ, শুক্রবার রাতে প্রথমে বিমল তালুকদার নামের এক ব্যক্তির ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় বিমল আগুনের শিখা দেখে ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ পান। পরে ঘরের বেড়া ভেঙে প্রাণে রক্ষা পান। তবে আগুনে তাঁর ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
একই সময় বিমলের বসতঘরের পাশে অমল তালুকদারের ঘরের দরজাও বাইরে থেকে বন্ধ করে একটি প্যান্টে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। তাঁর ঘরের কয়েক শ ফুট দূরত্বে বাবুল দাশ নামে এক ব্যক্তির ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। টের পেয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বাইরে থেকে দরজা বন্ধ পেয়ে টিন কেটে বের হন ওই পরিবারের সদস্যরা। এ সময় লিটন দাশ নামের এক ব্যক্তি আহত হন।
খবর পেয়ে আজ শনিবার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান কাজলের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাঁরা দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সিরাজুল ইসলামসহ একটি দল। এ সময় সিরাজুল ইসলাম অপরাধীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় তিনটি বসতঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ঘরগুলোর বাসিন্দারা বেড়া ভেঙে বাইরে বের হয়ে রক্ষা পান।
গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে রাউজান পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঢেউয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ শনিবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অভিযোগ, শুক্রবার রাতে প্রথমে বিমল তালুকদার নামের এক ব্যক্তির ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় বিমল আগুনের শিখা দেখে ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ পান। পরে ঘরের বেড়া ভেঙে প্রাণে রক্ষা পান। তবে আগুনে তাঁর ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
একই সময় বিমলের বসতঘরের পাশে অমল তালুকদারের ঘরের দরজাও বাইরে থেকে বন্ধ করে একটি প্যান্টে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। তাঁর ঘরের কয়েক শ ফুট দূরত্বে বাবুল দাশ নামে এক ব্যক্তির ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। টের পেয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বাইরে থেকে দরজা বন্ধ পেয়ে টিন কেটে বের হন ওই পরিবারের সদস্যরা। এ সময় লিটন দাশ নামের এক ব্যক্তি আহত হন।
খবর পেয়ে আজ শনিবার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান কাজলের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাঁরা দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সিরাজুল ইসলামসহ একটি দল। এ সময় সিরাজুল ইসলাম অপরাধীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক...
২৪ এপ্রিল ২০২৫
নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগর রেলস্টেশন থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সান্তাহার জিআরপি পুলিশকে সংবাদ দেওয়া হয়।
১৪ মিনিট আগে
মানবতাবিরোধী ও খুন-গুম হত্যা মামলায় কারাবন্দী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল যুবক এই হামলা করে। তবে তারা ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘আমি জানি না, বাপের মতো বেটিরও কপালে “স্বতন্ত্র” (প্রার্থী) আছে কি না? বাপ স্বতন্ত্র (প্রার্থী ছিলেন), বেটিও স্বতন্ত্র কি না, সময়ই এর উত্তর দেবে।’
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

মানবতাবিরোধী ও খুন-গুম হত্যা মামলায় কারাবন্দী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল যুবক এই হামলা করে। তবে তারা ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বিএম কলেজের অদূরে জিয়াউলের পৈতৃক নিবাস। সীমানা প্রাচীরঘেরা বাড়িতে তাঁর বাবার পুরোনো ভবন ছাড়াও ভাই-বোনদের যৌথ একটি বহুতল ভবন রয়েছে। এ বাড়িতে আগে থাকতেন জিয়াউল আহসানের বড় ভাই বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক ও ছোট ভাই সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান বিপ্লব। জিয়াউল আহসান ছাড়া অন্য দুই ভাই আত্মগোপনে রয়েছেন। বর্তমানে দুটি ভবনেই ভাড়াটিয়ারা বাস করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
হামলার ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে প্রথম দফায় ১০-১৫ জন যুবক গিয়েছিল। বাড়িতে প্রবেশের প্রধান গেট তালা দেওয়া থাকায় তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরও বেশি যুবক এসে দ্বিতীয় দফায় ওই বাসায় যায়। তখন একদল যুবক দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে যায় এবং আরেক দল গেটের বাইরে ছিল। তবে ভবনের প্রধান ফটক আটকানো থাকায় যুবকেরা ভবনের মধ্যে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করতে পেরেছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভবনের ভাড়াটিয়াদের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ওই যুবকেরা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনে অভিযোগ পাওয়ার পর পরই তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। এর আগেই হামলাকারীরা চলে গেছে। তারা বাড়ির মধ্যে ইটপাটকেল এবং জানালার কাচ ভাঙচুরের আলামত পেয়েছেন। এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

মানবতাবিরোধী ও খুন-গুম হত্যা মামলায় কারাবন্দী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল যুবক এই হামলা করে। তবে তারা ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বিএম কলেজের অদূরে জিয়াউলের পৈতৃক নিবাস। সীমানা প্রাচীরঘেরা বাড়িতে তাঁর বাবার পুরোনো ভবন ছাড়াও ভাই-বোনদের যৌথ একটি বহুতল ভবন রয়েছে। এ বাড়িতে আগে থাকতেন জিয়াউল আহসানের বড় ভাই বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক ও ছোট ভাই সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান বিপ্লব। জিয়াউল আহসান ছাড়া অন্য দুই ভাই আত্মগোপনে রয়েছেন। বর্তমানে দুটি ভবনেই ভাড়াটিয়ারা বাস করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
হামলার ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে প্রথম দফায় ১০-১৫ জন যুবক গিয়েছিল। বাড়িতে প্রবেশের প্রধান গেট তালা দেওয়া থাকায় তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরও বেশি যুবক এসে দ্বিতীয় দফায় ওই বাসায় যায়। তখন একদল যুবক দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে যায় এবং আরেক দল গেটের বাইরে ছিল। তবে ভবনের প্রধান ফটক আটকানো থাকায় যুবকেরা ভবনের মধ্যে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করতে পেরেছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভবনের ভাড়াটিয়াদের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ওই যুবকেরা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনে অভিযোগ পাওয়ার পর পরই তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। এর আগেই হামলাকারীরা চলে গেছে। তারা বাড়ির মধ্যে ইটপাটকেল এবং জানালার কাচ ভাঙচুরের আলামত পেয়েছেন। এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক...
২৪ এপ্রিল ২০২৫
নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগর রেলস্টেশন থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সান্তাহার জিআরপি পুলিশকে সংবাদ দেওয়া হয়।
১৪ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় তিনটি বসতঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ঘরগুলোর বাসিন্দারা বেড়া ভেঙে বাইরে বের হয়ে রক্ষা পান। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে রাউজান পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঢেউয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ শনিবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
৪৩ মিনিট আগে
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘আমি জানি না, বাপের মতো বেটিরও কপালে “স্বতন্ত্র” (প্রার্থী) আছে কি না? বাপ স্বতন্ত্র (প্রার্থী ছিলেন), বেটিও স্বতন্ত্র কি না, সময়ই এর উত্তর দেবে।’
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘আমি জানি না, বাপের মতো বেটিরও কপালে “স্বতন্ত্র” (প্রার্থী) আছে কি না? বাপ স্বতন্ত্র (প্রার্থী ছিলেন), বেটিও স্বতন্ত্র কি না, সময়ই এর উত্তর দেবে।’
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুল্লা আবর আলী বাজার খেলার মাঠে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় করে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন। বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন এ আয়োজন করে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী দেওয়া হয়নি। আসনটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী রুমিন ফারহানা নিয়মিত সভা-সমাবেশ করে আসছেন।
দোয়া ও আলোচনা সভায় রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমার বাবা ১৯৭৩ সালে জনগণের ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্বতন্ত্র হলেও তখন জনগণ ভুল করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান আমার বাবাকে জিততে দেননি।’
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমার রাজনীতির আদর্শ ও পথপ্রদর্শক খালেদা জিয়া। তিনি এ দেশের মানুষের পালস বুঝতেন। কোনো দিন দেশ ছেড়ে যাননি। আমি সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ। এখানকার মানুষ যা বলবে, আমি তাই করব।’
জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নপত্র কেনার প্রসঙ্গে রুমিন বলেন, ‘মনোনয়নপত্র আমি কিনব না। এটি আমার এলাকার ভোটারদের মনোনয়ন। তারা চাইলে কিনবে, আমি কিনব না। আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমার মানুষ ও গণমাধ্যম। আপনাদের মোবাইল ও ক্যামেরার চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র আর কিছু নেই। অনিয়ম দেখলে সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন।’
সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিজের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘যদি এত ভাই থেকেও কেউ নিরাপত্তা দিতে না পারেন, তবে সেটাকে আল্লাহর ফয়সালা হিসেবে মেনে নেব।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন মো. মালু মিয়া। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘আমি জানি না, বাপের মতো বেটিরও কপালে “স্বতন্ত্র” (প্রার্থী) আছে কি না? বাপ স্বতন্ত্র (প্রার্থী ছিলেন), বেটিও স্বতন্ত্র কি না, সময়ই এর উত্তর দেবে।’
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুল্লা আবর আলী বাজার খেলার মাঠে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় করে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন। বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন এ আয়োজন করে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী দেওয়া হয়নি। আসনটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী রুমিন ফারহানা নিয়মিত সভা-সমাবেশ করে আসছেন।
দোয়া ও আলোচনা সভায় রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমার বাবা ১৯৭৩ সালে জনগণের ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্বতন্ত্র হলেও তখন জনগণ ভুল করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান আমার বাবাকে জিততে দেননি।’
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমার রাজনীতির আদর্শ ও পথপ্রদর্শক খালেদা জিয়া। তিনি এ দেশের মানুষের পালস বুঝতেন। কোনো দিন দেশ ছেড়ে যাননি। আমি সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ। এখানকার মানুষ যা বলবে, আমি তাই করব।’
জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নপত্র কেনার প্রসঙ্গে রুমিন বলেন, ‘মনোনয়নপত্র আমি কিনব না। এটি আমার এলাকার ভোটারদের মনোনয়ন। তারা চাইলে কিনবে, আমি কিনব না। আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমার মানুষ ও গণমাধ্যম। আপনাদের মোবাইল ও ক্যামেরার চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র আর কিছু নেই। অনিয়ম দেখলে সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন।’
সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিজের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘যদি এত ভাই থেকেও কেউ নিরাপত্তা দিতে না পারেন, তবে সেটাকে আল্লাহর ফয়সালা হিসেবে মেনে নেব।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন মো. মালু মিয়া। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক...
২৪ এপ্রিল ২০২৫
নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগর রেলস্টেশন থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সান্তাহার জিআরপি পুলিশকে সংবাদ দেওয়া হয়।
১৪ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় তিনটি বসতঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ঘরগুলোর বাসিন্দারা বেড়া ভেঙে বাইরে বের হয়ে রক্ষা পান। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে রাউজান পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঢেউয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ শনিবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
৪৩ মিনিট আগে
মানবতাবিরোধী ও খুন-গুম হত্যা মামলায় কারাবন্দী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল যুবক এই হামলা করে। তবে তারা ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে।
১ ঘণ্টা আগে