চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনকে (২৩) একাধিক ছুরিকাঘাত করে তিনজন ডাকাত। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফুসফুসও ক্ষতবিক্ষত করা হয়।
গতকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) চকরিয়া জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী এই অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের বাড়িতে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে মেজর উজ্জ্বল মিয়ার নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। যৌথ বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।
অভিযানে আসা দলটির সম্মুখ সদস্য লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নিজের পরিচয় দিয়ে অগ্রসর হয়ে তাঁদের দাঁড়ানোর জন্য বলেন। একটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। অভিযানে আসা দলের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে এ সময় অস্ত্রধারী ডাকাত হেলাল উদ্দিন, নুরুল আমিন, আব্দুল করিম, মোর্শেদ আলম, নাছির ও মিনহাজ উদ্দিন গুলি করতে করতে দৌড়ে যান। লেফটেন্যান্ট তানজিম ডাকাত দলকে ধাওয়া করলে একটি বাড়ির উঠানের তারের বেড়ায় লেগে ডাকাত মোর্শেদ আলম পড়ে গেলে তাঁকে তিনি (তানজিম) ধরে ফেলেন।
এরপর তিন ডাকাত নুরুল আমিন, নাছির উদ্দিন ও মোর্শেদ আলম মিলে সেনা কর্মকর্তা তানজিমকে জাপটে ধরেন। নুরুল, নাছির ও মোর্শেদ ছুরি দিয়ে তানজিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকেন। ডাকাতেরা হত্যা নিশ্চিত করতে গলার ডানপাশে ছুরি ঢুকিয়ে তানজিমের ফুসফুস পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত করেন। গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট থাকলেও তিনজনের ছুরিকাঘাতে তানজিম প্রাণে রক্ষা পাননি।
এ সময় অভিযানকারী দলের সদস্য ও ঘটনাস্থলের পাশ থেকে লোকজন আসতে দেখে তানজিমকে ফেলে ডাকাতেরা উত্তর-পূর্ব দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। মারাত্মক জখম অবস্থায় তানজিম ছারোয়ারকে উদ্ধার করে প্রথমে মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রামু ক্যান্টনমেন্টের সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাঁকে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার ৩-৪ দিন আগে থেকে ডাকাত জালাল উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, মো. আরিফ উল্লাহ, আনোয়ার হাকিম, জিয়াবুল করিম, মো. ইসমাইল হোসেন, নুরুল আমিন, নাছির উদ্দিন, আবদুল করিম, মোহাম্মদ সাদেক, আনোয়ারুল ইসলাম, মোর্শেদ আলম, শাহ আলম, আবু হানিফ, এনামুল হক, মো. এনাম, মো. কামাল ও মিনহাজ উদ্দিন একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। এরপর পূর্ব মাইজপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন তাঁরা।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে গিয়ে ডাকাতদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে নিহত হন সেনা কর্মকর্তা তানজিম ছারোয়ার। এ ঘটনার পর ২৫ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবদুল্লাহ আল হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে ১৭ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ হত্যা মামলা করেন।
ওই দিন চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে একই আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করেন। মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্ব পান চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী।
চার মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাম-ঠিকানা সঠিক না থাকা ও সম্পৃক্ততা না পেয়ে এজাহারভুক্ত ছয় আসামিকে বাদ দেন। গ্রেপ্তার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে প্রাপ্ত তথ্যে ৭ জনকে যুক্ত করে দুটি মামলায় মোট ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে নাম আসা আসামিদের মধ্যে আব্দুল করিম, মোর্শেদ আলম, আনোয়ারুল ইসলাম, মিনহাজ উদ্দিন, শাহ আলম ও আবু হানিফ এখনো পলাতক। বাকি আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘সেনা কর্মকর্তা তানজিম ছারোয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১৮ ডাকাত জড়িত। গ্রেপ্তার আসামিদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, আসামিদের কললিস্ট ঘেঁটে ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে তাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।’
অরূপ কুমার চৌধুরী আরও বলেন, ‘মামলার এজাহারে ১৭ জন থেকে ৬ আসামিকে বাদ দিয়ে নতুন ৭ জনকে যুক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। নতুন ৭ জনের মধ্যে একজন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিলে আদালত তা গ্রহণ করে পলাতক বাকি ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও মালপত্র ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি ১২ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।’

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনকে (২৩) একাধিক ছুরিকাঘাত করে তিনজন ডাকাত। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফুসফুসও ক্ষতবিক্ষত করা হয়।
গতকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) চকরিয়া জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী এই অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের বাড়িতে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে মেজর উজ্জ্বল মিয়ার নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। যৌথ বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।
অভিযানে আসা দলটির সম্মুখ সদস্য লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নিজের পরিচয় দিয়ে অগ্রসর হয়ে তাঁদের দাঁড়ানোর জন্য বলেন। একটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। অভিযানে আসা দলের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে এ সময় অস্ত্রধারী ডাকাত হেলাল উদ্দিন, নুরুল আমিন, আব্দুল করিম, মোর্শেদ আলম, নাছির ও মিনহাজ উদ্দিন গুলি করতে করতে দৌড়ে যান। লেফটেন্যান্ট তানজিম ডাকাত দলকে ধাওয়া করলে একটি বাড়ির উঠানের তারের বেড়ায় লেগে ডাকাত মোর্শেদ আলম পড়ে গেলে তাঁকে তিনি (তানজিম) ধরে ফেলেন।
এরপর তিন ডাকাত নুরুল আমিন, নাছির উদ্দিন ও মোর্শেদ আলম মিলে সেনা কর্মকর্তা তানজিমকে জাপটে ধরেন। নুরুল, নাছির ও মোর্শেদ ছুরি দিয়ে তানজিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকেন। ডাকাতেরা হত্যা নিশ্চিত করতে গলার ডানপাশে ছুরি ঢুকিয়ে তানজিমের ফুসফুস পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত করেন। গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট থাকলেও তিনজনের ছুরিকাঘাতে তানজিম প্রাণে রক্ষা পাননি।
এ সময় অভিযানকারী দলের সদস্য ও ঘটনাস্থলের পাশ থেকে লোকজন আসতে দেখে তানজিমকে ফেলে ডাকাতেরা উত্তর-পূর্ব দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। মারাত্মক জখম অবস্থায় তানজিম ছারোয়ারকে উদ্ধার করে প্রথমে মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রামু ক্যান্টনমেন্টের সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাঁকে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার ৩-৪ দিন আগে থেকে ডাকাত জালাল উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, মো. আরিফ উল্লাহ, আনোয়ার হাকিম, জিয়াবুল করিম, মো. ইসমাইল হোসেন, নুরুল আমিন, নাছির উদ্দিন, আবদুল করিম, মোহাম্মদ সাদেক, আনোয়ারুল ইসলাম, মোর্শেদ আলম, শাহ আলম, আবু হানিফ, এনামুল হক, মো. এনাম, মো. কামাল ও মিনহাজ উদ্দিন একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। এরপর পূর্ব মাইজপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন তাঁরা।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে গিয়ে ডাকাতদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে নিহত হন সেনা কর্মকর্তা তানজিম ছারোয়ার। এ ঘটনার পর ২৫ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবদুল্লাহ আল হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে ১৭ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ হত্যা মামলা করেন।
ওই দিন চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে একই আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করেন। মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্ব পান চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী।
চার মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাম-ঠিকানা সঠিক না থাকা ও সম্পৃক্ততা না পেয়ে এজাহারভুক্ত ছয় আসামিকে বাদ দেন। গ্রেপ্তার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে প্রাপ্ত তথ্যে ৭ জনকে যুক্ত করে দুটি মামলায় মোট ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে নাম আসা আসামিদের মধ্যে আব্দুল করিম, মোর্শেদ আলম, আনোয়ারুল ইসলাম, মিনহাজ উদ্দিন, শাহ আলম ও আবু হানিফ এখনো পলাতক। বাকি আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘সেনা কর্মকর্তা তানজিম ছারোয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১৮ ডাকাত জড়িত। গ্রেপ্তার আসামিদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, আসামিদের কললিস্ট ঘেঁটে ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে তাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।’
অরূপ কুমার চৌধুরী আরও বলেন, ‘মামলার এজাহারে ১৭ জন থেকে ৬ আসামিকে বাদ দিয়ে নতুন ৭ জনকে যুক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। নতুন ৭ জনের মধ্যে একজন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিলে আদালত তা গ্রহণ করে পলাতক বাকি ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও মালপত্র ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি ১২ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।’
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনকে (২৩) একাধিক ছুরিকাঘাত করে তিনজন ডাকাত। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফুসফুসও ক্ষতবিক্ষত করা হয়।
গতকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) চকরিয়া জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী এই অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের বাড়িতে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে মেজর উজ্জ্বল মিয়ার নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। যৌথ বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।
অভিযানে আসা দলটির সম্মুখ সদস্য লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নিজের পরিচয় দিয়ে অগ্রসর হয়ে তাঁদের দাঁড়ানোর জন্য বলেন। একটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। অভিযানে আসা দলের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে এ সময় অস্ত্রধারী ডাকাত হেলাল উদ্দিন, নুরুল আমিন, আব্দুল করিম, মোর্শেদ আলম, নাছির ও মিনহাজ উদ্দিন গুলি করতে করতে দৌড়ে যান। লেফটেন্যান্ট তানজিম ডাকাত দলকে ধাওয়া করলে একটি বাড়ির উঠানের তারের বেড়ায় লেগে ডাকাত মোর্শেদ আলম পড়ে গেলে তাঁকে তিনি (তানজিম) ধরে ফেলেন।
এরপর তিন ডাকাত নুরুল আমিন, নাছির উদ্দিন ও মোর্শেদ আলম মিলে সেনা কর্মকর্তা তানজিমকে জাপটে ধরেন। নুরুল, নাছির ও মোর্শেদ ছুরি দিয়ে তানজিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকেন। ডাকাতেরা হত্যা নিশ্চিত করতে গলার ডানপাশে ছুরি ঢুকিয়ে তানজিমের ফুসফুস পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত করেন। গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট থাকলেও তিনজনের ছুরিকাঘাতে তানজিম প্রাণে রক্ষা পাননি।
এ সময় অভিযানকারী দলের সদস্য ও ঘটনাস্থলের পাশ থেকে লোকজন আসতে দেখে তানজিমকে ফেলে ডাকাতেরা উত্তর-পূর্ব দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। মারাত্মক জখম অবস্থায় তানজিম ছারোয়ারকে উদ্ধার করে প্রথমে মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রামু ক্যান্টনমেন্টের সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাঁকে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার ৩-৪ দিন আগে থেকে ডাকাত জালাল উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, মো. আরিফ উল্লাহ, আনোয়ার হাকিম, জিয়াবুল করিম, মো. ইসমাইল হোসেন, নুরুল আমিন, নাছির উদ্দিন, আবদুল করিম, মোহাম্মদ সাদেক, আনোয়ারুল ইসলাম, মোর্শেদ আলম, শাহ আলম, আবু হানিফ, এনামুল হক, মো. এনাম, মো. কামাল ও মিনহাজ উদ্দিন একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। এরপর পূর্ব মাইজপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন তাঁরা।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে গিয়ে ডাকাতদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে নিহত হন সেনা কর্মকর্তা তানজিম ছারোয়ার। এ ঘটনার পর ২৫ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবদুল্লাহ আল হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে ১৭ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ হত্যা মামলা করেন।
ওই দিন চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে একই আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করেন। মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্ব পান চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী।
চার মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাম-ঠিকানা সঠিক না থাকা ও সম্পৃক্ততা না পেয়ে এজাহারভুক্ত ছয় আসামিকে বাদ দেন। গ্রেপ্তার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে প্রাপ্ত তথ্যে ৭ জনকে যুক্ত করে দুটি মামলায় মোট ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে নাম আসা আসামিদের মধ্যে আব্দুল করিম, মোর্শেদ আলম, আনোয়ারুল ইসলাম, মিনহাজ উদ্দিন, শাহ আলম ও আবু হানিফ এখনো পলাতক। বাকি আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘সেনা কর্মকর্তা তানজিম ছারোয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১৮ ডাকাত জড়িত। গ্রেপ্তার আসামিদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, আসামিদের কললিস্ট ঘেঁটে ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে তাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।’
অরূপ কুমার চৌধুরী আরও বলেন, ‘মামলার এজাহারে ১৭ জন থেকে ৬ আসামিকে বাদ দিয়ে নতুন ৭ জনকে যুক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। নতুন ৭ জনের মধ্যে একজন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিলে আদালত তা গ্রহণ করে পলাতক বাকি ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও মালপত্র ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি ১২ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।’

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনকে (২৩) একাধিক ছুরিকাঘাত করে তিনজন ডাকাত। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফুসফুসও ক্ষতবিক্ষত করা হয়।
গতকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) চকরিয়া জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী এই অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের বাড়িতে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে মেজর উজ্জ্বল মিয়ার নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। যৌথ বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।
অভিযানে আসা দলটির সম্মুখ সদস্য লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নিজের পরিচয় দিয়ে অগ্রসর হয়ে তাঁদের দাঁড়ানোর জন্য বলেন। একটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। অভিযানে আসা দলের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে এ সময় অস্ত্রধারী ডাকাত হেলাল উদ্দিন, নুরুল আমিন, আব্দুল করিম, মোর্শেদ আলম, নাছির ও মিনহাজ উদ্দিন গুলি করতে করতে দৌড়ে যান। লেফটেন্যান্ট তানজিম ডাকাত দলকে ধাওয়া করলে একটি বাড়ির উঠানের তারের বেড়ায় লেগে ডাকাত মোর্শেদ আলম পড়ে গেলে তাঁকে তিনি (তানজিম) ধরে ফেলেন।
এরপর তিন ডাকাত নুরুল আমিন, নাছির উদ্দিন ও মোর্শেদ আলম মিলে সেনা কর্মকর্তা তানজিমকে জাপটে ধরেন। নুরুল, নাছির ও মোর্শেদ ছুরি দিয়ে তানজিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকেন। ডাকাতেরা হত্যা নিশ্চিত করতে গলার ডানপাশে ছুরি ঢুকিয়ে তানজিমের ফুসফুস পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত করেন। গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট থাকলেও তিনজনের ছুরিকাঘাতে তানজিম প্রাণে রক্ষা পাননি।
এ সময় অভিযানকারী দলের সদস্য ও ঘটনাস্থলের পাশ থেকে লোকজন আসতে দেখে তানজিমকে ফেলে ডাকাতেরা উত্তর-পূর্ব দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। মারাত্মক জখম অবস্থায় তানজিম ছারোয়ারকে উদ্ধার করে প্রথমে মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রামু ক্যান্টনমেন্টের সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাঁকে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার ৩-৪ দিন আগে থেকে ডাকাত জালাল উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, মো. আরিফ উল্লাহ, আনোয়ার হাকিম, জিয়াবুল করিম, মো. ইসমাইল হোসেন, নুরুল আমিন, নাছির উদ্দিন, আবদুল করিম, মোহাম্মদ সাদেক, আনোয়ারুল ইসলাম, মোর্শেদ আলম, শাহ আলম, আবু হানিফ, এনামুল হক, মো. এনাম, মো. কামাল ও মিনহাজ উদ্দিন একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। এরপর পূর্ব মাইজপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন তাঁরা।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে গিয়ে ডাকাতদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে নিহত হন সেনা কর্মকর্তা তানজিম ছারোয়ার। এ ঘটনার পর ২৫ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবদুল্লাহ আল হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে ১৭ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ হত্যা মামলা করেন।
ওই দিন চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে একই আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করেন। মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্ব পান চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী।
চার মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাম-ঠিকানা সঠিক না থাকা ও সম্পৃক্ততা না পেয়ে এজাহারভুক্ত ছয় আসামিকে বাদ দেন। গ্রেপ্তার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে প্রাপ্ত তথ্যে ৭ জনকে যুক্ত করে দুটি মামলায় মোট ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে নাম আসা আসামিদের মধ্যে আব্দুল করিম, মোর্শেদ আলম, আনোয়ারুল ইসলাম, মিনহাজ উদ্দিন, শাহ আলম ও আবু হানিফ এখনো পলাতক। বাকি আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘সেনা কর্মকর্তা তানজিম ছারোয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১৮ ডাকাত জড়িত। গ্রেপ্তার আসামিদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, আসামিদের কললিস্ট ঘেঁটে ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে তাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।’
অরূপ কুমার চৌধুরী আরও বলেন, ‘মামলার এজাহারে ১৭ জন থেকে ৬ আসামিকে বাদ দিয়ে নতুন ৭ জনকে যুক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। নতুন ৭ জনের মধ্যে একজন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিলে আদালত তা গ্রহণ করে পলাতক বাকি ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও মালপত্র ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি ১২ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।’

রাতে আরও একটি সভা হবে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেছি, তারা তাদের কথা জানিয়েছে। কিন্তু সেখানে সকলের সম্মতিতে এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিষয়ে ৭টার দিকে আরেকটা সভা ডাকা হয়েছে।’
১১ মিনিট আগে
রাজধানীর তোপখানা রোডে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সংগঠনটির এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
১৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফ দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সাহায্যকারী দুই ব্যক্তিকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
২২ মিনিট আগে
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবু বক্কর (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হয়েছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া এলাকার ঝিনাইগাতী-গজনী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগেপ্রতিনিধি রাবি

ছয় ডিনের পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ সব দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সভা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে তালাবদ্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ এ সভায় বসেন।
তবে রাতে আরও একটি সভা হবে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেছি, তারা তাদের কথা জানিয়েছে। কিন্তু সেখানে সকলের সম্মতিতে এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিষয়ে ৭টার দিকে আরেকটা সভা ডাকা হয়েছে।’
সূত্রে জানা গেছে, সময়সীমা অনুযায়ী ১৭ ডিসেম্বর ডিনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ড. ইফতেখারুল আলম মাসুদ ও উপাচার্য ড. সালেহ হাসান নকীবের সিদ্ধান্তে তাঁদের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে তাঁদের পদত্যাগের দাবি তোলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার।
সকাল ১০টার দিকে এই দাবিতে ডিনস কমপ্লেক্সে যায় শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত ওই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা। যদিও এ দিন ডিনদের কেউ বিভাগের ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন না।
বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে এসে তাঁদের দাবি জানান। এ সময় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল দাবি আদায়ের আগে রেজিস্ট্রার ভবন ত্যাগ না করার ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেন।
একপর্যায়ে উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) সঙ্গে শিক্ষার্থীরা বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এবং তালা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় উপ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘এটা কি নতুন বাংলাদেশ! আমরা কি আন্দোলন করিনি, শুধু তোমরাই করেছ? কী পেয়েছ?’
প্রায় আধা ঘণ্টা তালাবদ্ধ থাকার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে খুলে দেওয়া হয়। পরে উপাচার্য কনফারেন্স কক্ষে এক সভায় বসেন তাঁরা।
সভায় রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আপনারা আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। আমরা প্রতিদিন তালা দিতে আসতে পারব না। আপনারা যেটাকে মব বলেন, অবশ্যই এটা আমাদের কাছে আন্দোলন। ডিনদের তো অপসারণ করতেই হবে। এই ১৭ তারিখের পর দায়িত্বে বহাল থাকার সাহস তারা প্রশাসন থেকেই পেয়েছে।’
উপ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন (শিক্ষা) বলেন, ‘তাদের এখনো দায়িত্বে রাখা হয়েছে, কারণ, সমাবর্তনের কারণে আমরা নির্বাচন করতে পারি নাই। আবার একই সঙ্গে ভর্তি পরীক্ষাও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে বিষয়টা এত দূর না নিয়ে আসলেও পারত। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আগেই ডেকেছি, সুতরাং, সিদ্ধান্ত হয়েই আছে তাদের বিষয়ে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপ-উপাচার্য বলেন, ‘তোমরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সুতরাং, দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক। তোমাদের শব্দ চয়ন ও কার্যক্রমও তেমন হওয়া উচিত।’
উপ-উপাচার্য মাঈন উদ্দিন (প্রশাসন) বলেন, ‘বিপ্লবীদের ঐক্য জাতির জন্য সুফল বয়ে নিয়ে আসবে, একইভাবে বিপ্লবীদের বিভাজন জাতিকে অনিরাপদ করে তুলবে। আমাদের ক্যাম্পাসের বিপ্লবীরাও নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেও আমরা দেখেছি, নির্বাচন না হওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা সময় শেষের পরেও দায়িত্বে পূর্ণ বহাল ছিল। এটা অনেক আগে থেকেই ঘটে আসছে। আমাদেরও ব্যর্থতা আছে।’

ছয় ডিনের পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ সব দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সভা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে তালাবদ্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ এ সভায় বসেন।
তবে রাতে আরও একটি সভা হবে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেছি, তারা তাদের কথা জানিয়েছে। কিন্তু সেখানে সকলের সম্মতিতে এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিষয়ে ৭টার দিকে আরেকটা সভা ডাকা হয়েছে।’
সূত্রে জানা গেছে, সময়সীমা অনুযায়ী ১৭ ডিসেম্বর ডিনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ড. ইফতেখারুল আলম মাসুদ ও উপাচার্য ড. সালেহ হাসান নকীবের সিদ্ধান্তে তাঁদের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে তাঁদের পদত্যাগের দাবি তোলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার।
সকাল ১০টার দিকে এই দাবিতে ডিনস কমপ্লেক্সে যায় শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত ওই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা। যদিও এ দিন ডিনদের কেউ বিভাগের ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন না।
বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে এসে তাঁদের দাবি জানান। এ সময় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল দাবি আদায়ের আগে রেজিস্ট্রার ভবন ত্যাগ না করার ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেন।
একপর্যায়ে উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) সঙ্গে শিক্ষার্থীরা বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এবং তালা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় উপ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘এটা কি নতুন বাংলাদেশ! আমরা কি আন্দোলন করিনি, শুধু তোমরাই করেছ? কী পেয়েছ?’
প্রায় আধা ঘণ্টা তালাবদ্ধ থাকার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে খুলে দেওয়া হয়। পরে উপাচার্য কনফারেন্স কক্ষে এক সভায় বসেন তাঁরা।
সভায় রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আপনারা আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। আমরা প্রতিদিন তালা দিতে আসতে পারব না। আপনারা যেটাকে মব বলেন, অবশ্যই এটা আমাদের কাছে আন্দোলন। ডিনদের তো অপসারণ করতেই হবে। এই ১৭ তারিখের পর দায়িত্বে বহাল থাকার সাহস তারা প্রশাসন থেকেই পেয়েছে।’
উপ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন (শিক্ষা) বলেন, ‘তাদের এখনো দায়িত্বে রাখা হয়েছে, কারণ, সমাবর্তনের কারণে আমরা নির্বাচন করতে পারি নাই। আবার একই সঙ্গে ভর্তি পরীক্ষাও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে বিষয়টা এত দূর না নিয়ে আসলেও পারত। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আগেই ডেকেছি, সুতরাং, সিদ্ধান্ত হয়েই আছে তাদের বিষয়ে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপ-উপাচার্য বলেন, ‘তোমরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সুতরাং, দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক। তোমাদের শব্দ চয়ন ও কার্যক্রমও তেমন হওয়া উচিত।’
উপ-উপাচার্য মাঈন উদ্দিন (প্রশাসন) বলেন, ‘বিপ্লবীদের ঐক্য জাতির জন্য সুফল বয়ে নিয়ে আসবে, একইভাবে বিপ্লবীদের বিভাজন জাতিকে অনিরাপদ করে তুলবে। আমাদের ক্যাম্পাসের বিপ্লবীরাও নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেও আমরা দেখেছি, নির্বাচন না হওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা সময় শেষের পরেও দায়িত্বে পূর্ণ বহাল ছিল। এটা অনেক আগে থেকেই ঘটে আসছে। আমাদেরও ব্যর্থতা আছে।’

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনকে (২৩) একাধিক ছুরিকাঘাত করে তিনজন ডাকাত। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফুসফুসও ক্ষতবিক্ষত করা হয়।
২০ জানুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর তোপখানা রোডে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সংগঠনটির এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
১৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফ দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সাহায্যকারী দুই ব্যক্তিকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
২২ মিনিট আগে
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবু বক্কর (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হয়েছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া এলাকার ঝিনাইগাতী-গজনী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর তোপখানা রোডে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সংগঠনটির এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। রোববার বিকেলে সংগঠনটির এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে একদল বিক্ষুব্ধ মানুষ। বিক্ষোভের মধ্যে ছায়ানট ভবনে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে তারা। পরদিন শুক্রবার রাতে রাজধানীর তোপখানা রোডে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

রাজধানীর তোপখানা রোডে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সংগঠনটির এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। রোববার বিকেলে সংগঠনটির এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে একদল বিক্ষুব্ধ মানুষ। বিক্ষোভের মধ্যে ছায়ানট ভবনে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে তারা। পরদিন শুক্রবার রাতে রাজধানীর তোপখানা রোডে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনকে (২৩) একাধিক ছুরিকাঘাত করে তিনজন ডাকাত। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফুসফুসও ক্ষতবিক্ষত করা হয়।
২০ জানুয়ারি ২০২৫
রাতে আরও একটি সভা হবে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেছি, তারা তাদের কথা জানিয়েছে। কিন্তু সেখানে সকলের সম্মতিতে এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিষয়ে ৭টার দিকে আরেকটা সভা ডাকা হয়েছে।’
১১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফ দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সাহায্যকারী দুই ব্যক্তিকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
২২ মিনিট আগে
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবু বক্কর (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হয়েছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া এলাকার ঝিনাইগাতী-গজনী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফ দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সাহায্যকারী দুই ব্যক্তিকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। দুই ব্যক্তি হলেন সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম।
আজ বিকেলে সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ পুনরায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ১৮ ডিসেম্বর দুজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট থেকে দুজনকে আটক করেছিল ডিবি পুলিশ।
১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছে। সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান হাদি।
১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফ দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সাহায্যকারী দুই ব্যক্তিকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। দুই ব্যক্তি হলেন সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম।
আজ বিকেলে সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ পুনরায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ১৮ ডিসেম্বর দুজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট থেকে দুজনকে আটক করেছিল ডিবি পুলিশ।
১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছে। সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান হাদি।
১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনকে (২৩) একাধিক ছুরিকাঘাত করে তিনজন ডাকাত। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফুসফুসও ক্ষতবিক্ষত করা হয়।
২০ জানুয়ারি ২০২৫
রাতে আরও একটি সভা হবে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেছি, তারা তাদের কথা জানিয়েছে। কিন্তু সেখানে সকলের সম্মতিতে এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিষয়ে ৭টার দিকে আরেকটা সভা ডাকা হয়েছে।’
১১ মিনিট আগে
রাজধানীর তোপখানা রোডে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সংগঠনটির এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
১৬ মিনিট আগে
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবু বক্কর (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হয়েছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া এলাকার ঝিনাইগাতী-গজনী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগেশেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবু বক্কর (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া এলাকার ঝিনাইগাতী-গজনী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু বক্কর রাংটিয়া এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন তিনি। আহত ব্যক্তিরা হচ্ছে সিফাত (২০), কবিতা খাতুন (১৫) ও সিনহা খাতুন (১০)। তারা মোটরসাইকেল দুটির আরোহী ছিল। আহত ব্যক্তিদের শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৯টার দিকে দুই দিক থেকে আসা দুটি মোটরসাইকেলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু বক্করকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত তিনজনকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। দুর্ঘটনার পরপরই অন্য মোটরসাইকেলের চালক সিজন (২১) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান জানান, খবর পেয়ে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবু বক্কর (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া এলাকার ঝিনাইগাতী-গজনী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু বক্কর রাংটিয়া এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন তিনি। আহত ব্যক্তিরা হচ্ছে সিফাত (২০), কবিতা খাতুন (১৫) ও সিনহা খাতুন (১০)। তারা মোটরসাইকেল দুটির আরোহী ছিল। আহত ব্যক্তিদের শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৯টার দিকে দুই দিক থেকে আসা দুটি মোটরসাইকেলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু বক্করকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত তিনজনকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। দুর্ঘটনার পরপরই অন্য মোটরসাইকেলের চালক সিজন (২১) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান জানান, খবর পেয়ে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনকে (২৩) একাধিক ছুরিকাঘাত করে তিনজন ডাকাত। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফুসফুসও ক্ষতবিক্ষত করা হয়।
২০ জানুয়ারি ২০২৫
রাতে আরও একটি সভা হবে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেছি, তারা তাদের কথা জানিয়েছে। কিন্তু সেখানে সকলের সম্মতিতে এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিষয়ে ৭টার দিকে আরেকটা সভা ডাকা হয়েছে।’
১১ মিনিট আগে
রাজধানীর তোপখানা রোডে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সংগঠনটির এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
১৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফ দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সাহায্যকারী দুই ব্যক্তিকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
২২ মিনিট আগে