৩ মাস পর অধ্যক্ষের ফেরা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
Thumbnail image
সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে একটি কলেজের অধ্যক্ষ তিন মাস পর কর্মস্থলে যোগদান করা নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন।

আজ মঙ্গলবার উপজেলার বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা গৌরীপুর রাবেয়া সিএনজিস্টেশন-সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিনকে অপসারণ করা হয় বলে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দাবি।

তিন মাস পর তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অনুমতি নিয়ে আজ কলেজে যোগদান করতে গেলে শিক্ষার্থীদের দুটি পক্ষ সৃষ্টি হয়। পরে তারা সংঘর্ষে জড়ান। এতে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামকে সমর্থন দেন স্কুলের শিক্ষক, স্থানীয় অভিভাবক ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন।

দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর রাবেয়া সিএনজি স্টেশনে এসে গাছের গুঁড়ি ফেলেন। এতে উভয় পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ এসে তাদের অবরোধ তুলে নিতে বললে তারা উল্টো মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে স্লোগান দেয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘তিন মাস ছুটি শেষ করে প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে গেলে শিক্ষার্থীরা আমাকে গ্রহণ করতে আসে। তবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বহিরাগত লোক দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করায় আমি যোগদান করতে পারিনি।’

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কেন হামলা করব? বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী, স্কুলের শিক্ষার্থী ও ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা দুর্নীতির কারণে জসিম সাহেবকে অপসারণ করেছেন।’

শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

অভিভাবক ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন বলেন, ‘আগস্টে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা তাকে অপসারণ করে নতুন অধ্যক্ষকে দায়িত্ব দিয়েছে। আগের অধ্যক্ষ ইচ্ছা করে আজকে এ সংঘাত ঘটিয়েছেন।’

ইউএনও নাঈমা ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষের যোগদান নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তা কারা করেছেন, তদন্ত করে দেখা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত