Ajker Patrika

বিদেশি কোম্পানির মতো ফ্লাইট কমাচ্ছে বিমানও

  • মদিনা-চট্টগ্রামের শুক্রবারের ফ্লাইটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
  • এ পর্যন্ত ১৪ বিদেশি এয়ারলাইনস চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়েছে।
  • পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় ফ্লাইট গুটিয়ে নেওয়া হয়েছে।
 আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২: ৪৩
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা একের পর এক গুটিয়ে নিচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইনস। বর্তমানে মাত্র দুটি এয়ারলাইনস দিয়ে যাত্রীসেবা দেওয়া হয়েছে। এতে বিপাকে আছেন সাধারণ যাত্রীরা। এর মধ্যে ওমরাহর মৌসুমে এবার চুপিসারে ফ্লাইট কমিয়ে দিল দেশীয় এয়ারলাইনস বিমান বাংলাদেশও।

আগে মদিনা-চট্টগ্রাম সোমবার ও শুক্রবার দুটি ফ্লাইট ছিল। তবে গত অক্টোবর থেকে শুক্রবারের ফ্লাইটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি বিষয়টি আলোচনায় আসে। এর আগে গত এক বছরে চার বিদেশি এয়ারলাইনস এই বিমানবন্দর ছেড়েছে। এখন সেখানে আছে মাত্র দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান। দুই যুগ আগে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর পর এ পর্যন্ত ১৪টি বিদেশি এয়ারলাইনস বিমানবন্দর ছেড়েছে।

বিমান কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে শাহ আমানত বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় এখান থেকে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো একের পর এক গুটিয়ে নিয়েছে।

সর্বশেষ গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে আমিরাতভিত্তিক ফ্লাই দুবাই শাহ আমানত বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে। এর আগে ৮ মার্চ ওমান এয়ার; ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে ভারতভিত্তিক স্পাইস জেট এবং কুয়েতভিত্তিক জাজিরা এয়ারওয়েজ ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করেছে। এর আগে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে থাই এয়ার, থাই স্মাইল এয়ার, কুয়েত এয়ার, ফুকেট এয়ার, মালিন্দো এয়ার, রোটানা এয়ার, হিমালয়ান এয়ার, রাস আল কাইমা এয়ার, টাইগার এয়ারওয়েজ, সিল্ক এয়ার, ভারতভিত্তিক স্পাইসজেট, কুয়েতভিত্তিক জাজিরা এয়ারওয়েজ ও ওমান এয়ার। তবে সিভিল এভিয়েশনের দাবি, কুয়েত এয়ার, ফুকেট এয়ার ও সিল্ক এয়ার কখনো এ বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করেনি।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট পরিচালনাকারী চারটি এয়ারলাইনসের মধ্যে দুটি বিদেশি সংস্থা হলো এয়ার অ্যারাবিয়া ও সালাম এয়ার। আর দেশি দুটি হলো বিমান বাংলাদেশ ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস।

বিমানবন্দরের তথ্য, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ২০০০ সালে বিদেশি ফ্লাইট সরাসরি চালুর পর যাত্রীর সংখ্যা বার্ষিক ৬ লাখ থেকে বেড়ে ১৬ লাখে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালে এই বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রী চলাচল বেড়েছে সাড়ে ৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে ৯ লাখ ৬৮ হাজার যাত্রী আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গন্তব্যে গেছেন। তাঁদের মধ্যে প্যাসেঞ্জার বিল্ডিংয়ের সক্ষমতা কম। ৬ লাখ যাত্রীর সক্ষমতা দিয়ে ১৬ লাখ হ্যান্ডলিং করা হচ্ছে। ফলে অনেক ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়ে দিয়ে এখন বাংলাদেশে আসা সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ ‘বোয়িং ৭৭৭’ কিংবা ‘বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার’ এবং ‘এয়ারবাস এ-৩২০’ নামতে পারে। রানওয়ের সমস্যা নেই। তবে একসঙ্গে ৩০০-৪০০ যাত্রীর ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার জন্য পর্যাপ্ত কাউন্টার নেই। ব্যাগেজ বেল্টও পর্যাপ্ত নেই। বিমানবন্দরে থাকা দুটি লাগেজ বেল্ট একসঙ্গে কাজে লাগিয়েও যাত্রী সামাল দেওয়া যায় না। বেল্টকক্ষেই যাত্রীদের জটলা লেগে যায়। আর যাত্রী বেশি হওয়ায় একেকটি লাগেজ পেতে অপেক্ষায় থাকতে হয় দেড় ঘণ্টার বেশি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এয়ারলাইনস কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এখনো দিনরাত ২৪ ঘণ্টা যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল করে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক রুটের বেশির ভাগ বিমান সংস্থাই ২৪ ঘণ্টা ফ্লাইট চলাচলের ব্যবস্থা চায়। বিদেশি বিমান সংস্থার ফ্লাইট না থাকায় চট্টগ্রামভিত্তিক যাত্রীদের হয় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে যেতে হচ্ছে; অথবা সংযুক্ত আরব আমিরাত কিংবা ওমানের মাসকাট হয়ে ইউরোপ-আমেরিকা-চীনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। এতে আকাশপথে ভ্রমণ নিরবচ্ছিন্ন না হওয়ার পাশাপাশি বাড়তি সময় ও খরচ বেশি লাগছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

এদিকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসেও চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশি-বিদেশি ছয়টি উড়োজাহাজ প্রতিদিন ওমরাহ যাত্রী পরিবহন করেছিল। অথচ চলতি বছরের একই সময়ে ওমরাহ যাত্রী পরিবহন করছে তিনটি এয়ারলাইনস। এগুলোর মধ্যে দেশীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সরাসরি সৌদি আরবে গেলেও সপ্তাহে ফ্লাইট যাচ্ছে মাত্র তিনটি। বাকি দুটি অন্য দেশের যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব। তাতে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণের পাশাপাশি যাত্রীদের ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। অবশ্য, যাত্রীদের এমন বেহাল অবস্থা নিরসনে চট্টগ্রাম থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের আরও ফ্লাইট বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।

তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সপ্তাহে চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে তিনটি নিয়মিত এবং চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে একটিসহ চারটি ফ্লাইট পরিচালনা করত রাষ্ট্রীয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বর্তমানে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার মদিনা-চট্টগ্রাম একটি ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে ওমরাহ যাত্রীদের আসনসংকটে পড়তে হয়।

অন্যদিকে, দুটি বিদেশি এয়ারলাইনস ওমরাহ যাত্রী পরিবহন করলেও ট্রানজিটের সময় একটি বিমানের ৬-৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করা এবং অন্যটির টিকিটের মূল্য বেশি হওয়ায় যাত্রীরা স্বচ্ছন্দবোধ করেন না বলে জানান এজেন্সিগুলোর মালিকেরা।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) চট্টগ্রাম জোনের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘যেহেতু চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরবের সরাসরি অন্য কোনো ফ্লাইট নেই, তাই বিমান বাংলাদেশ চাইলে রুটটিতে আরও দু-তিনটি ফ্লাইট বাড়াতে পারে। এ রুটে ফ্লাইট বাড়ানো প্রয়োজন। আগে অন্য বিমানের কানেকটিং ফ্লাইট দিয়ে যাতায়াত করলেও কয়েকটি এয়ারলাইনস তাদের ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। তাতে বিপাকে আছেন ওমরাহ যাত্রীরা। বর্তমানে যে সংকট তৈরি হয়েছে, রাষ্ট্রীয় বিমান বাংলাদেশ চাইলে তা পূরণ করতে সক্ষম।’

ফ্লাইট বন্ধের বিষয়ে বিমান বাংলাদেশের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন তাসনিম দোজা জানেন না বলে দাবি করেন। শাহ আমানত বিমানবন্দরে জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী ইব্রাহিম খলিল বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে দুটি দেশীয় এবং দুটি বিদেশি মিলিয়ে মোট চারটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযু‌ক্তি বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ে আজ ও আগামীকালের ক্লাস-পরীক্ষা স্থ‌গিত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযু‌ক্তি বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ে আজ ও আগামীকালের ক্লাস-পরীক্ষা স্থ‌গিত

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জিএসটিইউ) হঠাৎ ঘোষণায় আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবারের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকবে। গতকাল শনিবার রাতে অনলাইন আলোচনায় সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে আজ এই তথ্য জানানো হয়।

নোটিশে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ডিন ও সভাপতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তবে শিক্ষকেরা প্রয়োজনে অনলাইনে ক্লাস নিতে পারবেন। এ ছাড়া আজ রোববার সকল পরিবহন সেবা বন্ধ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, রবি ও সোমবারের স্থগিত পরীক্ষাসমূহ শুক্র ও শনিবার নেওয়া যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্বাসকষ্টে বাকৃবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

বাকৃবি প্রতিনিধি 
আবরার নোমান। ছবি: সংগৃহীত
আবরার নোমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শহীদ নাজমুল আহসান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবরার নোমান আর নেই। শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতায় শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কাজী কামরুল ইসলাম।

প্রভোস্ট জানান, দীর্ঘদিন ধরে আবরার শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। শনিবার বিকেলে তিনি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসা নিয়ে হলে ফিরে আসেন। সন্ধ্যার পর হঠাৎ অবস্থা খারাপ হয়ে যায় এবং তিনি জ্ঞান হারান। পরে সহপাঠীরা তাঁকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবরারের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আবাসিক শিক্ষার্থী ও সহপাঠীরা বলেন, আবরার ছিলেন শান্ত স্বভাবের ও ভদ্র শিক্ষার্থী। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁরা গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রলবোমা বিস্ফোরণ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৩৬
ক্ষতিগ্রস্ত সাইনবোর্ড। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্ষতিগ্রস্ত সাইনবোর্ড। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের একটি শাখায় পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত না হলেও ব্যাংকের সাইনবোর্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে গেছে। গতকাল শনিবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বারোতোপা বাজারে গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় এই ঘটনা ঘটে।

নিক্ষেপ করা পেট্রলবোমা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিক্ষেপ করা পেট্রলবোমা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গ্রামীণ ব্যাংক মাওনা বাজার শাখার ব্যবস্থাপক রেহেনা বেগম বলেন, ‘ব্যাংকের বেশির ভাগ কমকর্তা-কর্মচারী ব্যাংকেই রাত যাপন করেন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে সাত-আটজন যুবক অতর্কিতভাবে এসে পরপর তিনটি পেট্রলবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। একটি পেট্রলবোমা সীমানা প্রাচীরের ভেতর ও দুটি বোমা সীমানা ঘেঁষে বিস্ফোরিত হয়। এতে ব্যাংকের সাইনবোর্ড ও জানালায় আঘাত করে ভেতরে চলে আসে। এতে সাইনবোর্ড ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে গেছে। আমাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’ তিনি জানান, তাঁদের কেউ আহত হননি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘যেকোনো পরিবহন যোগে এসে দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকে তিনটি পেট্রলবোমা মারে। দুটি বাইরে, একটি ভেতরে। তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যেমনটি তারা করতে চেয়েছিল। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। আশা করি, অপরাধীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডে চারটি দোকান পুড়ে গেছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাকুন্দিয়া পৌরসভার ডিগ্রি কলেজ গেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল্লাহ খালিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সিদ্দিক হোসেন মাসুদ জানান, আগুনে একটি ফুচকার দোকান, পর্দার দোকান, টাইলসের দোকান ও একটি স্টুডিও ভস্মীভূত হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পাকুন্দিয়া ডিগ্রি কলেজের সামনে একটি ফুচকার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন পাশের আরও কয়েকটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল্লাহ খালিদ বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লাগার পর সাধারণ জনগণের সহায়তায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।

খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন ও পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াৎ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত