Ajker Patrika

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

  • ৫ আগস্ট হামলা চালিয়ে ফাঁড়ি দখল করেন সন্ত্রাসী নুরু।
  • ২৫ মামলা রয়েছে, পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী তিনি।
  • সরকার পতনের আগে ছিলেন আওয়ামী লীগে।
  • এখন বিএনপির কর্মসূচিতে দেখা যায় এই সন্ত্রাসীকে।
সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০: ৫৬
নুরু আলম নুরু। ছবি: সংগৃহীত
নুরু আলম নুরু। ছবি: সংগৃহীত

সন্ত্রাস দমন, এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থাপন করা হয়েছিল পুলিশ ফাঁড়ি। সেই ফাঁড়িই এখন সন্ত্রাসীর দখলে। পুলিশ ফাঁড়িতে বসে চালানো হচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এমন ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ থানাধীন নাছিয়াঘোনা এলাকায়।

সেখানকার আলোচিত সন্ত্রাসী নুরু আলম নুরু ও তাঁর বাহিনী এই পুলিশ ফাঁড়ি দখল করেছে। একসময় আওয়ামী লীগের ছত্রচ্ছায়ায় বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসী নুরু এখন যুবদল কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। দলের কর্মসূচিতেও তাঁকে দেখা যায়। পুলিশ বলছে, তাদের অবস্থা এখন দুর্বল এবং সেখানে যাতায়াতের অসুবিধার কারণে ওই ফাঁড়ি উদ্ধার করতে পারছে না তারা।

পাহাড় কাটা, সরকারি পাহাড় কেটে প্লট বিক্রি, অস্ত্রবাজি, মাদক কারবার, জুয়া, জায়গা দখল, অস্ত্রের ব্যবসা, অপহরণসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এক দশক ধরে আলোচিত নুরু। পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি তিনি। ২৫টি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক দশক আগে সাবেক কাউন্সিলর ও পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের নেতা জহিরুল আলম জসিমের হাত ধরে নুরু পাহাড় কাটার মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। এরপর জহিরুল আলমের সঙ্গ ছেড়ে হয়ে ওঠেন আকবরশাহ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আলতাফ হোসেনের অনুসারী।

পুলিশ নাস্তানাবুদ নুরুর হাতে

নুরুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠার পর ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর নাছিয়াঘোনা এলাকায় একটি বড় অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। গোয়েন্দা ও পুলিশের শতাধিক সদস্য দুই দিন ধরে সেখানে অভিযান চালান। ওই সময় আস্তানা ধ্বংসসহ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। ওই অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছিলেন। ওই সময় গা ঢাকা দেন নুরু। এরপর ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি নুরুকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জামিনে বেরিয়ে আবারও অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

এলাকাটি অপরাধপ্রবণ

চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ থানার পাহাড়বেষ্টিত পূর্ব ফিরোজশাহ ১ নম্বর ঝিল, বেলতলীঘোনা ও নাছিয়াঘোনা এলাকায় অপেক্ষাকৃত নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস। এলাকায় কয়েক শ বাড়িঘর রয়েছে। নাছিয়াঘোনায় নুরুর রয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। পাহাড় কেটে বিভিন্ন স্থপনাও নির্মাণ করেছেন তিনি। এলাকাটি সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। পাহাড়বেষ্টিত এলাকায় নুরুর ‘রাজত্ব’ চলে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

পুলিশ সূত্র বলছে, তাদের ছোট কোনো দলের পক্ষে সেখানে গিয়ে অভিযান চালানো দুরূহ ও নিরাপত্তাহীনতা—দুটোই রয়েছে। তবে এরপরও ২০২১ সালে ওই এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে ফাঁড়ি স্থাপন করেছিল পুলিশ। তবে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। এলাকাবাসী বলছেন, ওই সময় নুরু ও তাঁর সন্ত্রাসীরা ওই ফাঁড়িতে হামলা চালান। এর পর থেকে ফাঁড়িতে পুলিশ নেই। ফাঁড়ি দখল করে সেখানে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন নুরু। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পাহাড়তলী জোনের সহকারী কমিশনার মো. মাঈনুর রহমান বলেন, ‘এলাকাটিতে নিরাপত্তার জন্য আমরা সেখানে একটি ফাঁড়ি স্থাপন করেছিলাম। কিন্তু সেখানে পুলিশের যাতায়াত, নিরাপত্তাসহ নানা সমস্যা ছিল। সম্প্রতি সরকারের পটপরিবর্তনের সময় নিরাপত্তার কারণে পুলিশ সদস্যরা ফাঁড়ি থেকে চলে আসেন। পরে শুনেছি নুরুর লোকজন নাকি সেখানে থাকা পুলিশ ফাঁড়ি ভেঙে দিয়েছে।’

আর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার হোছাইন মোহাম্মদ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপাতত সেখানে আমাদের কোনো ফাঁড়ি নেই।’

এলাকাবাসীর অভিযোগ, আকবরশাহ থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. হাসান মাহমুদের ছত্রচ্ছায়ায় নুরু তাঁর অপরাধের সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন। এই অভিযোগের বিষয়ে হাসান মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সন্ত্রাসীকে আমি কিংবা আমার দল কেন, কোনো সংগঠনই আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে না। তাঁকে (নুরু) আমি চিনলেও এ ধরনের অভিযোগ মিথ্যা।’

দুর্গম পাহাড় পেরিয়ে নাছিয়াঘোনা এলাকায় অভিযান চালানো কঠিন এ কথা স্বীকার করেছেন পুলিশের পাহাড়তলী জোনের সহকারী কমিশনার মো. মাঈনুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সন্ত্রাসী নুরু যতই রাজত্ব করুক পুলিশের জালে তাকে পড়তে হবেই। এখন সময় খারাপ হওয়ার কারণে পুলিশ সেখানে অভিযান চালাতে পারছে না। নুরুর আস্তানায় যেতে হলে পাহাড়ি দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়। বড় বড় তিনটি পাহাড় পেরিয়ে তারপর তার আস্তানায় পৌঁছা যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সোনারগাঁয়ে লরি বিকল: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫১
যানজটে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। আজ দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
যানজটে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। আজ দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ অংশে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি মালবাহী লরি বিকল হয়ে পড়ায় যান চলাচল ধীরগতির হয়। এর জেরে বুধবার দুপুর পর্যন্ত যানজট অব্যাহত আছে।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজট দেখা গেছে। মেঘনা ঘাট থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। কোথাও কোথাও যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে রয়েছে।

এতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে রোগী ও শিশুদের নিয়ে চলাচলকারীরা বিপাকে পড়েছেন।

চাঁদপুরগামী যাত্রী শামশুল আলম বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টায় রওনা হয়ে এখন পর্যন্ত মদনপুর পর্যন্ত আসতে পেরেছি। যেখানে দুই ঘণ্টায় পৌঁছানোর কথা, সেখানে পাঁচ ঘণ্টাতেও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব কি না, জানি না।’

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদির জিলানী বলেন, ‘গত রাতে মদনপুর এলাকায় একটি বড় লরি বিকল হয়ে পড়েছিল। কিছুক্ষণ আগে সেটি মহাসড়ক থেকে সরানো হয়েছে। লরি বিকলের কারণেই যানবাহন চলাচল ধীর হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে যানজট ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে ককটেল-বিয়ারসহ ৩ জন আটক

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আটক করা তিনজন। ছবি: সংগৃহীত
আটক করা তিনজন। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দিতে সহিংসতা ও নাশকতামূলক কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ককটেল, বিয়ার, দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের নতুন আমঘাটা গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন আবুল কালাম দেওয়ান (৫৮), মামুন দেওয়ান (৪৮) ও রিয়াদ হোসাইন (২৫)।

অভিযানকালে তাঁদের কাছ থেকে দুটি ককটেল, একটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, দুটি গ্যাস মাস্ক, একটি চায়নিজ কুড়াল, চারটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র এবং চার ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়।

মুন্সিগঞ্জ সদর আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. তানজিমুল হাসান হাউলিদারের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সদর দপ্তর ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেডের অধীন মুন্সিগঞ্জ সদর আর্মি ক্যাম্পের নেতৃত্বে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত নতুন আমঘাটা গ্রামে তল্লাশি চালানো হয়।

সেনাবাহিনী জানায়, আটক মামুন দেওয়ান মোল্লাকান্দিতে সংঘটিত একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামি। এ ছাড়া আটক ব্যক্তিরা শীর্ষ সন্ত্রাসী আতিক মল্লিক গ্রুপের সদস্য এবং এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আটক ব্যক্তিদের এবং উদ্ধার করা আলামত মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বগুড়াজুড়ে শোক, বন্ধ মার্কেট ও দোকানপাট

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া শহরের অনেক মার্কেটের প্রধান ফটকে আজ তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়া শহরের অনেক মার্কেটের প্রধান ফটকে আজ তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বগুড়াজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শোক প্রকাশের অংশ হিসেবে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।

সকালে শহরের কালীতলা, থানা রোড, কবি নজরুল ইসলাম সড়ক ও কাঁঠালতলা এলাকার নিউমার্কেট, ছহির উদ্দিন মার্কেট, পুকুরপাড় নিউমার্কেট, বিআরটিসি শপিং কমপ্লেক্সসহ অধিকাংশ মার্কেট বন্ধ থাকতে দেখা যায়। শহরের প্রধান কাঁচাবাজার রাজাবাজার ও ফতেহ আলী বাজারেও দোকানপাট বন্ধ ছিল। অনেক মার্কেটের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া বিআরটিসি শপিং কমপ্লেক্সের সভাপতি আসাদুল হক কাজল জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশের অংশ হিসেবে এই মার্কেটের তিন শতাধিক দোকান বুধবার সারা দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

একই চিত্র দেখা গেছে শহরতলির ছোট-বড় মার্কেটগুলোতে। বিভিন্ন মার্কেটের প্রবেশমুখে কালো পতাকা ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। ব্যবসায়ী নেতারা জানান, খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁরা স্বেচ্ছায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন।

এদিকে সরকারিভাবে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে। এ কারণে শহরের রাস্তাঘাটে জনসমাগম তুলনামূলক কম দেখা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

থানা কমপ্লেক্সের ভেতরে গরু চরাতে নিষেধ করায় পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৪
আটক করা অভিযুক্ত যুবক বাহাদুর হোসেন বাদল। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক করা অভিযুক্ত যুবক বাহাদুর হোসেন বাদল। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম মডেল থানা কমপ্লেক্সের ভেতরে গরু চরাতে বাধা দেওয়ায় এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে যুবকের বিরুদ্ধে।

এই অভিযোগে অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক বাহাদুর হোসেন বাদল পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। আহত পুলিশ সদস্যের নাম শরীফুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে থানা কমপ্লেক্সের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে।

থানা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত বাদলের বাড়ি থানা কমপ্লেক্সের পাশেই। তিনি প্রায়ই গৃহপালিত গরু নিয়ে থানা কমপ্লেক্সের ভেতরে প্রবেশ করে ঘাস খাওয়াতেন। এতে থানার ভেতরের ফুলবাগান ও ফলদ গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। বিষয়টি নজরে এলে পুলিশ সদস্য শরীফুল ইসলাম তাঁকে একাধিকবার নিষেধ করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে নিষেধ অমান্য করে বাদল আবারও গরু নিয়ে থানা কমপ্লেক্সে ঢুকলে শরীফুল ইসলাম বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদল দা দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। পুলিশ সদস্যের চিৎকার শুনে অন্য পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গুলজার আলম বলেন, অভিযুক্ত যুবক দীর্ঘদিন ধরে থানার ভেতরে গরু চরাতেন। আগেও তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে সতর্ক করা হয়েছিল। মঙ্গলবার ফের একই ঘটনা ঘটালে বাধা দেওয়ায় তিনি হামলা করেন। আহত পুলিশ সদস্য শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে আজ বুধবার সকালে মামলা করেছেন। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত