মো. সাহাব উদ্দিন, ফেনী

নিজাম হাজারী। ফেনীর রাজনীতিতে এক যুগের বেশি সময়ের দাপুটে চরিত্র। রাজনৈতিক প্রভাব আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে হয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক। এসব সম্পদ করেছেন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বালুমহাল, জমি দখলসহ নানা উপায়ে। তবে রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ বলতে কাউকেই দাঁড়াতে দেননি; এমনকি নিজ দলের নেতাদেরও হত্যা করেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, একসময় ফেনীর ‘গডফাদার’খ্যাত জয়নাল হাজারীর হাত ধরে রাজনীতিতে এলেও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছিরের মাধ্যমে উত্থান হয় নিজাম হাজারীর। ২০০১ সালে যৌথ বাহিনীর অভিযানের মুখে জয়নাল হাজারী সাম্রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে আওয়ামী রাজনীতির হাল ধরতে চট্টগ্রাম থেকে ফেনীতে আসেন নিজাম হাজারী। তৈরি করেন নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। কোণঠাসা করে ফেনীতে ঢুকতে দেননি জয়নাল হাজারীকেও।
নিজাম হাজারী ২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারির পৌরসভা নির্বাচনে কারচুপির মধ্য দিয়ে ফেনী পৌর মেয়র হন বলে অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের। আর দলের নেতা-কর্মীরা জানান, ২০১২ সালে জেলা রাজনীতির অঘোষিত অভিভাবক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের হাত ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে যান নিজাম। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম সংসদ সদস্য হন তিনি। পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের হাত ধরে পরপর দুবার (২০১৮ ও ২০২৪) সংসদ সদস্য হন নিজাম।
হাজার কোটি টাকার সম্পদ
বিলাসবহুল বাগানবাড়ি, খামারবাড়ি ছাড়াও নিজাম হাজারীর অনেক জায়গাজমি ও বাড়ি রয়েছে মাস্টারপাড়ায়। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে,৬টি সাততলা এবং ১০টি একতলা বাড়ির পাশাপাশি ২০০ বিঘা জমি রয়েছে তাঁর। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রামে তাঁর নামে-বেনামে মার্কেট ও ফ্ল্যাট রয়েছে বলে শোনা যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাস্টারপাড়ার বাড়ি থেকে ৬০০ মিটার দক্ষিণে অন্যদের প্রায় ৩৫০ শতাংশ জায়গা দখল করে বিলাসবহুল বাগানবাড়ি গড়ে তোলেন নিজাম হাজারী। বাগানবাড়িতে ছিল হেলিপ্যাড, টেনিস কোর্ট, লেক, পুল, থিয়েটার, সুইমিংপুল। আঙিনায় সুসজ্জিত বাগানের গাছ ও ঘাস এবং বাসার আসবাব বিভিন্ন দেশ থেকে আনা হয় বলে প্রচার ছিল। এই বাগানবাড়ির বাজারমূল্য হিসাব করলে প্রায় হাজার কোটি টাকা।
বিলাসবহুল বাগানবাড়ির উত্তর পাশে ৭৮ শতাংশ জমিতে গড়ে তোলেন খামারবাড়ি। সেখানে একটি পুকুরের চারপাশে গরু, ছাগল, মহিষ ও মুরগির খামার। খামারবাড়িতে প্রবেশের দক্ষিণ পাশে একটি ঘরে লেখা রয়েছে ‘তালতলা বাগান বাড়ী’। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হাজার কোটি টাকার বিলাসবহুল সাম্রাজ্য পুড়িয়ে দেয় ছাত্র-জনতা।
‘১০ খলিফা’ ও ক্যাডার বাহিনী
নিজাম হাজারী মূলত ফেনীর ৬ উপজেলায় অপরাধের সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন বিশ্বস্ত ১০ সহযোগী ও নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে। স্থানীয়দের কাছে ওই ১০ সহযোগী নিজাম হাজারীর ‘১০ খলিফা’ নামে পরিচিত ছিল।
জেলার একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই খলিফাদের কারণে সব সময় দলে কোণঠাসা হয়ে থাকতেন তাঁরা। ওই ১০ সহযোগীকে দিয়ে বালুমহাল দখল, টেন্ডার-বাণিজ্য, সম্পত্তি দখল, অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন নিজাম। এ ছাড়া বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়নের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদেরও নির্যাতন; এমনকি হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে নিজামের বিরুদ্ধে।
দখল, টেন্ডারবাজি
একাধিক ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য, গণপূর্ত, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন নিজাম হাজারীর খলিফারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন, নিজাম হাজারী কাজের বরাদ্দভেদে ৭ শতাংশ, ১০ শতাংশ ও ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ধরে অগ্রিম টাকা নিতেন খলিফাদের মাধ্যমে।
স্থানীয় ও ঠিকাদার সূত্রে জানা গেছে, নিজাম হাজারীর বিশ্বস্ত ‘ডান হাত’ হিসেবে পরিচিত ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল। তাঁর মাধ্যমে গত ১৫ বছর এলজিইডির সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন। এ ছাড়া জেলার কোন দপ্তরের কাজ কে করবে, সেটিও তিনি শুসেনের মাধ্যমে বণ্টন করতেন।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীকে দিয়ে ফেনী পৌর এলাকার ১৮টি ওয়ার্ডের রাজনীতি ও কাউন্সিলরদের নিয়ন্ত্রণ করতেন নিজাম হাজারী। জমি দখল, উচ্ছেদ ও চাঁদাবাজির দায়িত্ব ছিল তাঁর চাচাতো ভাই হিসেবে পরিচিত জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান খোকন হাজারীর। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের টেন্ডারের ভাগ, পরিবহন ও শহরের চাঁদার টাকা সংগ্রহ করতেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ উল্যাহ ওরফে শরীফ হাজারী। আদায় করা টাকা প্রতিদিন শহরের ট্রাংক রোডের একটি ব্যাংকের শাখায় জমা করতেন শরিফ হাজারী। সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্বাস্থ্য বিভাগের টেন্ডার-বাণিজ্য, দরপত্র দাখিলসহ কাজের নির্দিষ্ট কমিশনের টাকা আদায় করতেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল জলিল আদর। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও গণপূর্ত বিভাগের সব ঠিকাদারি কাজ ভাগ-বাঁটোয়ারা ও চাঁদা তুলতেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শম্ভু বৈষ্ণব। আর সীমান্তে চোরাচালানি পণ্য, অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বৈধ-অবৈধ বালুমহাল দখলবাজির দায়িত্ব ছিল ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী ওরফে সোহেল চৌধুরীর।
সোনাগাজী উপজেলায় চরাঞ্চলের জমি দখল করে অবৈধভাবে মাছ চাষ করে নিজাম হাজারীকে ভাগ দেওয়া এবং উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের টেন্ডার-বাণিজ্যের টাকা পৌঁছে দিতেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন।
ফুলগাজী সীমান্তের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করে চাঁদা নিজাম হাজারীর কাছে জমা দিতেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার ওরফে লাল হারুন। দাগনভূঞা উপজেলায় টেন্ডার-বাণিজ্য, হাটবাজারের চাঁদা তুলে হাজারীর কাছে পৌঁছে দিতেন জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন।
এ ছাড়া জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক হুমায়ুন কবীর ভূইয়ার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য বিভাগের সব টেন্ডার-বাণিজ্য নিজাম হাজারী নিয়ন্ত্রণ করতেন। ফাজিলপুরে বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ করতেন ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক রিপনের মাধ্যমে। জেলখানা থেকে সোনাগাজী উপজেলার বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ করতেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুসরাত হত্যাকাণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি রুহুল আমিনের মাধ্যমে।
জেলার মাদক ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করতেন জেলা যুবলীগের সহসভাপতি জিয়াউল আলম মিস্টার। জেলা পরিষদের সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আফসারের মাধ্যমে। বিলোনিয়া সীমান্তের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করতেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল।
ফারুক হোসেন নামের এক ঠিকাদার জানান, সড়কের ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকার একটি কাজের জন্য নিজাম হাজারীকে অগ্রিম ৪০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। সরকার পতনের পর এখন তিনিও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেনী পৌরসভার ডাক্তার পাড়ার এক বাসিন্দা জানান, পৌরসভার মাধ্যমে চাঁদা নেওয়ার বুথ খুলেছিলেন নিজাম হাজারী।
শহরের রাজাজি দিঘির পাড়ে অবৈধভাবে প্রায় ৩০০ দোকান নির্মাণ করে প্রতিদিন লাখ টাকা চাঁদা তুলতেন পৌর যুবলীগ নেতা রুবেল হাজারী।
দলের নেতাদেরও খুন, নির্যাতন
নিজাম হাজারীর সিদ্ধান্তের বাইরে যাঁরা গেছেন, তাঁরাই হামলা, মামলাসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নিজের প্রভাব বিস্তারে বাধা হওয়ায় ২০১৪ সালের ২০ মে প্রকাশ্যে ফেনী শহরের একাডেমি রোডে ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরামকে গুলি করে, কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
একরামের স্বজনেরা জানান, হত্যার হুকুমদাতা হিসেবে নিজামের নাম উঠে এলেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় সেই মামলা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়।
শুধু একরাম নন, ধর্মপুরের যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম, বালিগাঁওয়ের জয়নাল মেম্বার, দাগনভূঞা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফখরুল, ফেনী পৌর ছাত্রলীগ নেতা ইফতি, ফেনী পৌর এলাকায় শাহ জালাল নামের এক গরু ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যাসহ দলের ১৪ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে নিজাম হাজারীর ক্যাডারদের বিরুদ্ধে।
নামকরণ
ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের ডোমরা ও সুন্দরপুর মৌজার প্রায় ২৫ একর জায়গা দখল করে নিজ নামে প্রস্তাবিত কারিগরি মহাবিদ্যালয়, স্ত্রী নুরজাহান বেগমের নামে মসজিদ ও প্রয়াত বাবা কমিশনার জয়নাল আবেদীন এবং মা দেল আফরোজ বেগমের নামে একটি নূরানী মাদরাসা কমপ্লেক্স স্থাপনের কাজ শুরু করেন নিজাম হাজারী।
এসব ভূমির মালিকদের অভিযোগ, ওই দখলে নেতৃত্ব দিয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, বালিগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিম মুহুরি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি জিয়া উদ্দিন বাবলু।
১০ মামলার আসামি
গত ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালায় নিজাম হাজারীর ক্যাডার বাহিনী। এতে ৭ জন নিহত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর আওয়ামী লীগের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, ‘নিজাম হাজারীকে বারবার বলেছি, মহিপালে আন্দোলনরতরা কিছুক্ষণ পর চলে যাবে। হামলা করার দরকার নেই। কথা অগ্রাহ্য করে শুসেনকে দায়িত্ব দেন নিজাম হাজারী।’
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৮টি হত্যা মামলাসহ ১০টি মামলা হয়েছে। তাঁকে ধরতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

নিজাম হাজারী। ফেনীর রাজনীতিতে এক যুগের বেশি সময়ের দাপুটে চরিত্র। রাজনৈতিক প্রভাব আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে হয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক। এসব সম্পদ করেছেন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বালুমহাল, জমি দখলসহ নানা উপায়ে। তবে রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ বলতে কাউকেই দাঁড়াতে দেননি; এমনকি নিজ দলের নেতাদেরও হত্যা করেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, একসময় ফেনীর ‘গডফাদার’খ্যাত জয়নাল হাজারীর হাত ধরে রাজনীতিতে এলেও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছিরের মাধ্যমে উত্থান হয় নিজাম হাজারীর। ২০০১ সালে যৌথ বাহিনীর অভিযানের মুখে জয়নাল হাজারী সাম্রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে আওয়ামী রাজনীতির হাল ধরতে চট্টগ্রাম থেকে ফেনীতে আসেন নিজাম হাজারী। তৈরি করেন নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। কোণঠাসা করে ফেনীতে ঢুকতে দেননি জয়নাল হাজারীকেও।
নিজাম হাজারী ২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারির পৌরসভা নির্বাচনে কারচুপির মধ্য দিয়ে ফেনী পৌর মেয়র হন বলে অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের। আর দলের নেতা-কর্মীরা জানান, ২০১২ সালে জেলা রাজনীতির অঘোষিত অভিভাবক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের হাত ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে যান নিজাম। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম সংসদ সদস্য হন তিনি। পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের হাত ধরে পরপর দুবার (২০১৮ ও ২০২৪) সংসদ সদস্য হন নিজাম।
হাজার কোটি টাকার সম্পদ
বিলাসবহুল বাগানবাড়ি, খামারবাড়ি ছাড়াও নিজাম হাজারীর অনেক জায়গাজমি ও বাড়ি রয়েছে মাস্টারপাড়ায়। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে,৬টি সাততলা এবং ১০টি একতলা বাড়ির পাশাপাশি ২০০ বিঘা জমি রয়েছে তাঁর। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রামে তাঁর নামে-বেনামে মার্কেট ও ফ্ল্যাট রয়েছে বলে শোনা যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাস্টারপাড়ার বাড়ি থেকে ৬০০ মিটার দক্ষিণে অন্যদের প্রায় ৩৫০ শতাংশ জায়গা দখল করে বিলাসবহুল বাগানবাড়ি গড়ে তোলেন নিজাম হাজারী। বাগানবাড়িতে ছিল হেলিপ্যাড, টেনিস কোর্ট, লেক, পুল, থিয়েটার, সুইমিংপুল। আঙিনায় সুসজ্জিত বাগানের গাছ ও ঘাস এবং বাসার আসবাব বিভিন্ন দেশ থেকে আনা হয় বলে প্রচার ছিল। এই বাগানবাড়ির বাজারমূল্য হিসাব করলে প্রায় হাজার কোটি টাকা।
বিলাসবহুল বাগানবাড়ির উত্তর পাশে ৭৮ শতাংশ জমিতে গড়ে তোলেন খামারবাড়ি। সেখানে একটি পুকুরের চারপাশে গরু, ছাগল, মহিষ ও মুরগির খামার। খামারবাড়িতে প্রবেশের দক্ষিণ পাশে একটি ঘরে লেখা রয়েছে ‘তালতলা বাগান বাড়ী’। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হাজার কোটি টাকার বিলাসবহুল সাম্রাজ্য পুড়িয়ে দেয় ছাত্র-জনতা।
‘১০ খলিফা’ ও ক্যাডার বাহিনী
নিজাম হাজারী মূলত ফেনীর ৬ উপজেলায় অপরাধের সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন বিশ্বস্ত ১০ সহযোগী ও নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে। স্থানীয়দের কাছে ওই ১০ সহযোগী নিজাম হাজারীর ‘১০ খলিফা’ নামে পরিচিত ছিল।
জেলার একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই খলিফাদের কারণে সব সময় দলে কোণঠাসা হয়ে থাকতেন তাঁরা। ওই ১০ সহযোগীকে দিয়ে বালুমহাল দখল, টেন্ডার-বাণিজ্য, সম্পত্তি দখল, অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন নিজাম। এ ছাড়া বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়নের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদেরও নির্যাতন; এমনকি হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে নিজামের বিরুদ্ধে।
দখল, টেন্ডারবাজি
একাধিক ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য, গণপূর্ত, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন নিজাম হাজারীর খলিফারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন, নিজাম হাজারী কাজের বরাদ্দভেদে ৭ শতাংশ, ১০ শতাংশ ও ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ধরে অগ্রিম টাকা নিতেন খলিফাদের মাধ্যমে।
স্থানীয় ও ঠিকাদার সূত্রে জানা গেছে, নিজাম হাজারীর বিশ্বস্ত ‘ডান হাত’ হিসেবে পরিচিত ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল। তাঁর মাধ্যমে গত ১৫ বছর এলজিইডির সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন। এ ছাড়া জেলার কোন দপ্তরের কাজ কে করবে, সেটিও তিনি শুসেনের মাধ্যমে বণ্টন করতেন।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীকে দিয়ে ফেনী পৌর এলাকার ১৮টি ওয়ার্ডের রাজনীতি ও কাউন্সিলরদের নিয়ন্ত্রণ করতেন নিজাম হাজারী। জমি দখল, উচ্ছেদ ও চাঁদাবাজির দায়িত্ব ছিল তাঁর চাচাতো ভাই হিসেবে পরিচিত জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান খোকন হাজারীর। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের টেন্ডারের ভাগ, পরিবহন ও শহরের চাঁদার টাকা সংগ্রহ করতেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ উল্যাহ ওরফে শরীফ হাজারী। আদায় করা টাকা প্রতিদিন শহরের ট্রাংক রোডের একটি ব্যাংকের শাখায় জমা করতেন শরিফ হাজারী। সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্বাস্থ্য বিভাগের টেন্ডার-বাণিজ্য, দরপত্র দাখিলসহ কাজের নির্দিষ্ট কমিশনের টাকা আদায় করতেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল জলিল আদর। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও গণপূর্ত বিভাগের সব ঠিকাদারি কাজ ভাগ-বাঁটোয়ারা ও চাঁদা তুলতেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শম্ভু বৈষ্ণব। আর সীমান্তে চোরাচালানি পণ্য, অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বৈধ-অবৈধ বালুমহাল দখলবাজির দায়িত্ব ছিল ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী ওরফে সোহেল চৌধুরীর।
সোনাগাজী উপজেলায় চরাঞ্চলের জমি দখল করে অবৈধভাবে মাছ চাষ করে নিজাম হাজারীকে ভাগ দেওয়া এবং উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের টেন্ডার-বাণিজ্যের টাকা পৌঁছে দিতেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন।
ফুলগাজী সীমান্তের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করে চাঁদা নিজাম হাজারীর কাছে জমা দিতেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার ওরফে লাল হারুন। দাগনভূঞা উপজেলায় টেন্ডার-বাণিজ্য, হাটবাজারের চাঁদা তুলে হাজারীর কাছে পৌঁছে দিতেন জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন।
এ ছাড়া জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক হুমায়ুন কবীর ভূইয়ার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য বিভাগের সব টেন্ডার-বাণিজ্য নিজাম হাজারী নিয়ন্ত্রণ করতেন। ফাজিলপুরে বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ করতেন ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক রিপনের মাধ্যমে। জেলখানা থেকে সোনাগাজী উপজেলার বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ করতেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুসরাত হত্যাকাণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি রুহুল আমিনের মাধ্যমে।
জেলার মাদক ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করতেন জেলা যুবলীগের সহসভাপতি জিয়াউল আলম মিস্টার। জেলা পরিষদের সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আফসারের মাধ্যমে। বিলোনিয়া সীমান্তের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করতেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল।
ফারুক হোসেন নামের এক ঠিকাদার জানান, সড়কের ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকার একটি কাজের জন্য নিজাম হাজারীকে অগ্রিম ৪০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। সরকার পতনের পর এখন তিনিও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেনী পৌরসভার ডাক্তার পাড়ার এক বাসিন্দা জানান, পৌরসভার মাধ্যমে চাঁদা নেওয়ার বুথ খুলেছিলেন নিজাম হাজারী।
শহরের রাজাজি দিঘির পাড়ে অবৈধভাবে প্রায় ৩০০ দোকান নির্মাণ করে প্রতিদিন লাখ টাকা চাঁদা তুলতেন পৌর যুবলীগ নেতা রুবেল হাজারী।
দলের নেতাদেরও খুন, নির্যাতন
নিজাম হাজারীর সিদ্ধান্তের বাইরে যাঁরা গেছেন, তাঁরাই হামলা, মামলাসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নিজের প্রভাব বিস্তারে বাধা হওয়ায় ২০১৪ সালের ২০ মে প্রকাশ্যে ফেনী শহরের একাডেমি রোডে ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরামকে গুলি করে, কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
একরামের স্বজনেরা জানান, হত্যার হুকুমদাতা হিসেবে নিজামের নাম উঠে এলেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় সেই মামলা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়।
শুধু একরাম নন, ধর্মপুরের যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম, বালিগাঁওয়ের জয়নাল মেম্বার, দাগনভূঞা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফখরুল, ফেনী পৌর ছাত্রলীগ নেতা ইফতি, ফেনী পৌর এলাকায় শাহ জালাল নামের এক গরু ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যাসহ দলের ১৪ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে নিজাম হাজারীর ক্যাডারদের বিরুদ্ধে।
নামকরণ
ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের ডোমরা ও সুন্দরপুর মৌজার প্রায় ২৫ একর জায়গা দখল করে নিজ নামে প্রস্তাবিত কারিগরি মহাবিদ্যালয়, স্ত্রী নুরজাহান বেগমের নামে মসজিদ ও প্রয়াত বাবা কমিশনার জয়নাল আবেদীন এবং মা দেল আফরোজ বেগমের নামে একটি নূরানী মাদরাসা কমপ্লেক্স স্থাপনের কাজ শুরু করেন নিজাম হাজারী।
এসব ভূমির মালিকদের অভিযোগ, ওই দখলে নেতৃত্ব দিয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, বালিগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিম মুহুরি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি জিয়া উদ্দিন বাবলু।
১০ মামলার আসামি
গত ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালায় নিজাম হাজারীর ক্যাডার বাহিনী। এতে ৭ জন নিহত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর আওয়ামী লীগের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, ‘নিজাম হাজারীকে বারবার বলেছি, মহিপালে আন্দোলনরতরা কিছুক্ষণ পর চলে যাবে। হামলা করার দরকার নেই। কথা অগ্রাহ্য করে শুসেনকে দায়িত্ব দেন নিজাম হাজারী।’
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৮টি হত্যা মামলাসহ ১০টি মামলা হয়েছে। তাঁকে ধরতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

খেলাধুলায় উৎসাহ ও অনুশীলনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় নারী কাবাডি খেলোয়াড়দের মধ্যে কাবাডি জুতা বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাঙামাটি জেলা প্রশাসক নাজমা আশরাফীর আর্থিক সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ নারী কাবাডি দলের ১৯ জন সদস্যের হাতে এস
৮ মিনিট আগে
নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসন থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তাঁর পক্ষে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) সানাউল্লাহ রায়পুরা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে সহকারী
৩২ মিনিট আগে
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে ষাটোর্ধ্ব প্রাক্তন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ১০ বছরের বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জমে উঠেছে এক আবেগঘন নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা। যেন সবাই ফিরে গেছেন শৈশবের স্কুলজীবনে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। ফলে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেজুরাছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

খেলাধুলায় উৎসাহ ও অনুশীলনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় নারী খেলোয়াড়দের মধ্যে কাবাডি জুতা বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাঙামাটি জেলা প্রশাসক নাজমা আশরাফীর আর্থিক সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ নারী কাবাডি দলের ১৯ জন সদস্যের হাতে এসব জুতা তুলে দেন।
জুতা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমন চাকমা, ভুবন জয় সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিব ত্রিপুরা এবং রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর মো. মরশেদুল আলম।
জুতা পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে নারী কাবাডি খেলোয়াড় প্রভি চাকমা ও রিতা চাকমা জানান, প্রয়োজনীয় ক্রীড়াসামগ্রীর অভাবে অনুশীলনে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হতো। কাবাডি জুতা পাওয়ায় তাঁরা আরও উৎসাহিত হয়েছেন এবং খেলায় মনোযোগ বাড়বে বলে জানান।
ভুবন জয় সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিব ত্রিপুরা জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, পার্বত্য এলাকার মেয়েদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ বাড়াতে এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এতে নারী খেলোয়াড়েরা সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ বলেন, নারী কাবাডি দলের খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে জেলা প্রশাসকের বিশেষ উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই জুতা বিতরণ করা হয়েছে। খেলাধুলার উন্নয়নে উপজেলা প্রশাসন সব সময় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে জুরাছড়ির নারী কাবাডি খেলোয়াড়েরা ভবিষ্যতে জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

খেলাধুলায় উৎসাহ ও অনুশীলনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় নারী খেলোয়াড়দের মধ্যে কাবাডি জুতা বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাঙামাটি জেলা প্রশাসক নাজমা আশরাফীর আর্থিক সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ নারী কাবাডি দলের ১৯ জন সদস্যের হাতে এসব জুতা তুলে দেন।
জুতা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমন চাকমা, ভুবন জয় সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিব ত্রিপুরা এবং রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর মো. মরশেদুল আলম।
জুতা পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে নারী কাবাডি খেলোয়াড় প্রভি চাকমা ও রিতা চাকমা জানান, প্রয়োজনীয় ক্রীড়াসামগ্রীর অভাবে অনুশীলনে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হতো। কাবাডি জুতা পাওয়ায় তাঁরা আরও উৎসাহিত হয়েছেন এবং খেলায় মনোযোগ বাড়বে বলে জানান।
ভুবন জয় সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিব ত্রিপুরা জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, পার্বত্য এলাকার মেয়েদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ বাড়াতে এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এতে নারী খেলোয়াড়েরা সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ বলেন, নারী কাবাডি দলের খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে জেলা প্রশাসকের বিশেষ উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই জুতা বিতরণ করা হয়েছে। খেলাধুলার উন্নয়নে উপজেলা প্রশাসন সব সময় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে জুরাছড়ির নারী কাবাডি খেলোয়াড়েরা ভবিষ্যতে জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

নিজাম হাজারী। ফেনীর রাজনীতিতে এক যুগের বেশি সময়ের দাপুটে চরিত্র। রাজনৈতিক প্রভাব আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে হয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক। এসব সম্পদ করেছেন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বালুমহাল, জমি দখলসহ নানা উপায়ে। তবে রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ বলতে কাউকেই দাঁড়াতে দেননি; এমনকি নিজ দলের ন
১২ নভেম্বর ২০২৪
নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসন থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তাঁর পক্ষে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) সানাউল্লাহ রায়পুরা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে সহকারী
৩২ মিনিট আগে
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে ষাটোর্ধ্ব প্রাক্তন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ১০ বছরের বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জমে উঠেছে এক আবেগঘন নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা। যেন সবাই ফিরে গেছেন শৈশবের স্কুলজীবনে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। ফলে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসন থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তাঁর পক্ষে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) সানাউল্লাহ রায়পুরা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানার কাছ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের একজন কেন্দ্রীয় নেতার মনোনয়নপত্র সংগ্রহের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সৎ বোন আমেনা বেগম এবং শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাতের নাতি। তাঁর পারিবারিক পরিচয়ের কারণে স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে তিনি একটি আলোচিত নাম।
এ বিষয়ে জানতে ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন না ধরায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘তৌফিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী তাঁকে মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়েছে।’

নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসন থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তাঁর পক্ষে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) সানাউল্লাহ রায়পুরা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানার কাছ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের একজন কেন্দ্রীয় নেতার মনোনয়নপত্র সংগ্রহের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সৎ বোন আমেনা বেগম এবং শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাতের নাতি। তাঁর পারিবারিক পরিচয়ের কারণে স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে তিনি একটি আলোচিত নাম।
এ বিষয়ে জানতে ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন না ধরায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘তৌফিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী তাঁকে মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়েছে।’

নিজাম হাজারী। ফেনীর রাজনীতিতে এক যুগের বেশি সময়ের দাপুটে চরিত্র। রাজনৈতিক প্রভাব আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে হয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক। এসব সম্পদ করেছেন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বালুমহাল, জমি দখলসহ নানা উপায়ে। তবে রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ বলতে কাউকেই দাঁড়াতে দেননি; এমনকি নিজ দলের ন
১২ নভেম্বর ২০২৪
খেলাধুলায় উৎসাহ ও অনুশীলনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় নারী কাবাডি খেলোয়াড়দের মধ্যে কাবাডি জুতা বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাঙামাটি জেলা প্রশাসক নাজমা আশরাফীর আর্থিক সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ নারী কাবাডি দলের ১৯ জন সদস্যের হাতে এস
৮ মিনিট আগে
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে ষাটোর্ধ্ব প্রাক্তন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ১০ বছরের বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জমে উঠেছে এক আবেগঘন নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা। যেন সবাই ফিরে গেছেন শৈশবের স্কুলজীবনে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। ফলে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে ষাটোর্ধ্ব প্রাক্তন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ১০ বছরের বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জমে উঠেছে এক আবেগঘন নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা। যেন সবাই ফিরে গেছেন শৈশবের স্কুলজীবনে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বেলুন উড়িয়ে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম।
এর আগে তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে ভোর থেকেই স্কুল প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কোরআন তেলাওয়াত, গীতাপাঠ, সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শপথপাঠ ও শারীরিক ব্যায়ামের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়।
বেলা ১১টায় প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে জনতা ব্যাংক মোড়, থানা রোড, কাঠপট্টি, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ সড়ক ও কোর্ট চত্বর হয়ে পুনরায় স্কুল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
প্রথম দিনের কর্মসূচিতে স্মৃতিচারণা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজন রাখা হয়েছে।
ব্রিটিশ-ভারতের সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হাতে গোনা যে কয়েকটি বিদ্যালয় রয়েছে, ফরিদপুর জিলা স্কুল তার অন্যতম। ১৮৪০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি এই অঞ্চলের শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও নানা সামাজিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় আজও ফরিদপুর জিলা স্কুল একটি সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজস্ব মর্যাদা ও ভাবমূর্তি অটুট রেখেছে।
অনুষ্ঠানকে সফল করতে গঠন করা হয়েছে ‘গৌরবময় ১৮৫ বর্ষ উদ্যাপন ও পুনর্মিলনী উদ্যাপন কমিটি’। ২১ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির আহ্বায়ক ফরিদপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান শামীম এবং সদস্যসচিব ওয়াহিদ মিয়া কুটি। এ ছাড়া বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে ১৮টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।
উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য আমাদের প্রিয় স্কুলের সমৃদ্ধ অতীত ও ঐতিহ্য সবার সামনে তুলে ধরা এবং নতুন প্রজন্মকে তাদের ইতিহাস ও শিকড়ের সঙ্গে পরিচিত করা।’
আয়োজক কমিটি জানায়, অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের সাংস্কৃতিক পর্বে জনপ্রিয় নগরবাউল জেমস সংগীত পরিবেশন করবেন।

জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে ষাটোর্ধ্ব প্রাক্তন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ১০ বছরের বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জমে উঠেছে এক আবেগঘন নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা। যেন সবাই ফিরে গেছেন শৈশবের স্কুলজীবনে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বেলুন উড়িয়ে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম।
এর আগে তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে ভোর থেকেই স্কুল প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কোরআন তেলাওয়াত, গীতাপাঠ, সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শপথপাঠ ও শারীরিক ব্যায়ামের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়।
বেলা ১১টায় প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে জনতা ব্যাংক মোড়, থানা রোড, কাঠপট্টি, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ সড়ক ও কোর্ট চত্বর হয়ে পুনরায় স্কুল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
প্রথম দিনের কর্মসূচিতে স্মৃতিচারণা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজন রাখা হয়েছে।
ব্রিটিশ-ভারতের সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হাতে গোনা যে কয়েকটি বিদ্যালয় রয়েছে, ফরিদপুর জিলা স্কুল তার অন্যতম। ১৮৪০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি এই অঞ্চলের শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও নানা সামাজিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় আজও ফরিদপুর জিলা স্কুল একটি সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজস্ব মর্যাদা ও ভাবমূর্তি অটুট রেখেছে।
অনুষ্ঠানকে সফল করতে গঠন করা হয়েছে ‘গৌরবময় ১৮৫ বর্ষ উদ্যাপন ও পুনর্মিলনী উদ্যাপন কমিটি’। ২১ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির আহ্বায়ক ফরিদপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান শামীম এবং সদস্যসচিব ওয়াহিদ মিয়া কুটি। এ ছাড়া বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে ১৮টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।
উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য আমাদের প্রিয় স্কুলের সমৃদ্ধ অতীত ও ঐতিহ্য সবার সামনে তুলে ধরা এবং নতুন প্রজন্মকে তাদের ইতিহাস ও শিকড়ের সঙ্গে পরিচিত করা।’
আয়োজক কমিটি জানায়, অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের সাংস্কৃতিক পর্বে জনপ্রিয় নগরবাউল জেমস সংগীত পরিবেশন করবেন।

নিজাম হাজারী। ফেনীর রাজনীতিতে এক যুগের বেশি সময়ের দাপুটে চরিত্র। রাজনৈতিক প্রভাব আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে হয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক। এসব সম্পদ করেছেন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বালুমহাল, জমি দখলসহ নানা উপায়ে। তবে রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ বলতে কাউকেই দাঁড়াতে দেননি; এমনকি নিজ দলের ন
১২ নভেম্বর ২০২৪
খেলাধুলায় উৎসাহ ও অনুশীলনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় নারী কাবাডি খেলোয়াড়দের মধ্যে কাবাডি জুতা বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাঙামাটি জেলা প্রশাসক নাজমা আশরাফীর আর্থিক সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ নারী কাবাডি দলের ১৯ জন সদস্যের হাতে এস
৮ মিনিট আগে
নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসন থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তাঁর পক্ষে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) সানাউল্লাহ রায়পুরা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে সহকারী
৩২ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। ফলে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। ফলে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
সকাল থেকে ঢাকার প্রধান সড়কগুলো— ফার্মগেট, শাহবাগ, কাকরাইল, মতিঝিল, তেজগাঁও, গুলিস্তান এলাকায় বাস, মিনিবাস, সিএনজি অটোরিকশা ও রাইড শেয়ারিং যানবাহন চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও কিছু কিছু এলাকায় সাময়িক ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে রামপুরা বাড্ডা, মহাখালী, বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন এলাকায় বিএনপির নেতা–কর্মীদের আগমনের কারণে যাত্রীচাপ তুলনামূলক বেশি ছিল।

যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, দূরপাল্লার বাসের পাশাপাশি নগর পরিবহনের বাসগুলো চলাচল করছে। যদিও কিছু রুটে যানবাহনের সংখ্যা কম ছিল, তবু কোথাও গণপরিবহন পুরোপুরি বন্ধ থাকার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিএনপির কর্মসূচি ও সরকারি ছুটি থাকায় প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ বের হননি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে অতিরিক্ত ট্রাফিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী যানবাহন ডাইভারশনও দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে যান চলাচলে।
এদিকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল ফ্রি থাকায় ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। এর ফলে নিচের সড়কগুলোতে যানজট তুলনামূলক কম দেখা গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সার্বিকভাবে, রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বাড়তি মানুষ ও যানবাহনের উপস্থিতি থাকলেও এখন পর্যন্ত গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের ভোগান্তির খবর পাওয়া যায়নি।
কয়েকজন রিক্সা চালক জানান, সকাল থেকে এই এলাকা ফাঁকা ও যানবাহন জ্যাম ছাড়ায় স্বাভাবিক চলাচল রয়েছে।
কয়েকজন দোকানদার জানান, অন্যদিনের তুলনায় আজ শাহবাগ এলাকা জনশূন্য ও ফাঁকা। তারেক রহমানের দেশে এসেছেন এজন্য অনেকে হয়তো অন্য এলাকাতে (৩০০ ফিট) অবস্থান নিয়েছেন।
আব্দুল্লাহ নামের এক যাত্রী বলেন, এদিকে আজ জ্যাম নেই বললেই চলে। নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছি আমরা। তবে তারেক রহমান দেশে আসায় রাজধানীর পূর্বাচল এলাকা ও তৎপার্শ্ববর্তী এলাকাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল রয়েছে। ওইসব এলাকায় জ্যাম থাকবে।
দূরপাল্লার বাস চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল ছুটির আগের দিন ছিল এবং বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে ঢাকা থেকে যাওয়ার ও ঢাকার বাইরে থেকেও যাত্রী আসার চাপ ছিল। ফলে আজকে যাত্রীর চাপ তেমন নেই। ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে ও কিছু জায়গায় যানজট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপির অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে বিকেলের দিকে যাত্রী চাপ এবং যানজট দুটোই বাড়তে পারে ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। ফলে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
সকাল থেকে ঢাকার প্রধান সড়কগুলো— ফার্মগেট, শাহবাগ, কাকরাইল, মতিঝিল, তেজগাঁও, গুলিস্তান এলাকায় বাস, মিনিবাস, সিএনজি অটোরিকশা ও রাইড শেয়ারিং যানবাহন চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও কিছু কিছু এলাকায় সাময়িক ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে রামপুরা বাড্ডা, মহাখালী, বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন এলাকায় বিএনপির নেতা–কর্মীদের আগমনের কারণে যাত্রীচাপ তুলনামূলক বেশি ছিল।

যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, দূরপাল্লার বাসের পাশাপাশি নগর পরিবহনের বাসগুলো চলাচল করছে। যদিও কিছু রুটে যানবাহনের সংখ্যা কম ছিল, তবু কোথাও গণপরিবহন পুরোপুরি বন্ধ থাকার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিএনপির কর্মসূচি ও সরকারি ছুটি থাকায় প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ বের হননি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে অতিরিক্ত ট্রাফিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী যানবাহন ডাইভারশনও দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে যান চলাচলে।
এদিকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল ফ্রি থাকায় ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। এর ফলে নিচের সড়কগুলোতে যানজট তুলনামূলক কম দেখা গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সার্বিকভাবে, রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বাড়তি মানুষ ও যানবাহনের উপস্থিতি থাকলেও এখন পর্যন্ত গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের ভোগান্তির খবর পাওয়া যায়নি।
কয়েকজন রিক্সা চালক জানান, সকাল থেকে এই এলাকা ফাঁকা ও যানবাহন জ্যাম ছাড়ায় স্বাভাবিক চলাচল রয়েছে।
কয়েকজন দোকানদার জানান, অন্যদিনের তুলনায় আজ শাহবাগ এলাকা জনশূন্য ও ফাঁকা। তারেক রহমানের দেশে এসেছেন এজন্য অনেকে হয়তো অন্য এলাকাতে (৩০০ ফিট) অবস্থান নিয়েছেন।
আব্দুল্লাহ নামের এক যাত্রী বলেন, এদিকে আজ জ্যাম নেই বললেই চলে। নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছি আমরা। তবে তারেক রহমান দেশে আসায় রাজধানীর পূর্বাচল এলাকা ও তৎপার্শ্ববর্তী এলাকাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল রয়েছে। ওইসব এলাকায় জ্যাম থাকবে।
দূরপাল্লার বাস চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল ছুটির আগের দিন ছিল এবং বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে ঢাকা থেকে যাওয়ার ও ঢাকার বাইরে থেকেও যাত্রী আসার চাপ ছিল। ফলে আজকে যাত্রীর চাপ তেমন নেই। ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে ও কিছু জায়গায় যানজট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপির অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে বিকেলের দিকে যাত্রী চাপ এবং যানজট দুটোই বাড়তে পারে ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে।’

নিজাম হাজারী। ফেনীর রাজনীতিতে এক যুগের বেশি সময়ের দাপুটে চরিত্র। রাজনৈতিক প্রভাব আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে হয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক। এসব সম্পদ করেছেন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বালুমহাল, জমি দখলসহ নানা উপায়ে। তবে রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ বলতে কাউকেই দাঁড়াতে দেননি; এমনকি নিজ দলের ন
১২ নভেম্বর ২০২৪
খেলাধুলায় উৎসাহ ও অনুশীলনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় নারী কাবাডি খেলোয়াড়দের মধ্যে কাবাডি জুতা বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাঙামাটি জেলা প্রশাসক নাজমা আশরাফীর আর্থিক সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বায়েজীদ-বিন-আখন্দ নারী কাবাডি দলের ১৯ জন সদস্যের হাতে এস
৮ মিনিট আগে
নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসন থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তাঁর পক্ষে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) সানাউল্লাহ রায়পুরা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে সহকারী
৩২ মিনিট আগে
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে ষাটোর্ধ্ব প্রাক্তন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ১০ বছরের বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জমে উঠেছে এক আবেগঘন নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা। যেন সবাই ফিরে গেছেন শৈশবের স্কুলজীবনে।
১ ঘণ্টা আগে