ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

পোশাক খাতে দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ‘ওয়েল গ্রুপ’। বেকারি পণ্য ও হোটেল ব্যবসায়ও সুনাম রয়েছে গ্রুপটির। বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয়ের রেকর্ড রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কর্ণধার আব্দুচ ছালামের শ্রম ও ঘামে তিলে তিলে শূন্য থেকে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ওয়েল গ্রুপ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ১৯৯০ এর দশকে নিজের কাঁধে ও মাথায় নিয়ে পোশাক কারখানাগুলোতে সুতা বিক্রি করেছেন আব্দুচ ছালাম। এরপর ট্রেডিং থেকে কারখানার মালিক। গত তিন দশক একটানা ছিল গ্রুপটির উত্থানের গল্প। তবে বর্তমানে ভালো নেই ওয়েল গ্রুপ। গ্রুপটির কর্ণধারদের ব্যবসায়ী থেকে নেতা হওয়ার স্বপ্ন, করোনার প্রভাব, বারবার গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ডলারের দাম বাড়া এবং দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে আজ বিপাকে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিনিয়োগকারী ব্যাংক ও ওয়েল গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ সাল পর্যন্ত ওয়েল গ্রুপের বার্ষিক রপ্তানি আয় ছিল ৯-১০ কোটি ডলার (১ হাজার ২০০ কোটি টাকা)। এর সিংহভাগ এসেছে রপ্তানি পোশাক থেকে। তখন গ্রুপটির ১৯টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২৫ হাজার কর্মী নিয়োজিত ছিলেন।
কিন্তু চার-পাঁচ বছর ধরে গ্রুপটির ব্যবসা নিম্নমুখী। পোশাক রপ্তানি করে বছরে ৫ কোটি ডলারের (৬০০ কোটি টাকা) বেশি আয় করা গ্রুপটির পোশাক খাতের উৎপাদন এখন বন্ধ। কর্মীর সংখ্যা নেমে এসেছে ৫ হাজারের মধ্যে। হোটেল, বেকারি, ট্রেডিং ও অ্যাগ্রো খাতের ব্যবসাগুলো কোনোভাবে টিকে আছে।
খরচের চেয়ে আয় কমে যাওয়ায় শোধ করতে পারছে না ব্যাংকঋণ। এতে গ্রুপটির কাছে ২৮টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করা প্রায় ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হতে শুরু করেছে।
সময়মতো ঋণ শোধ করতে না পারায় এরই মধ্যে একটি ব্যাংক গ্রুপটির বন্ধক রাখা সম্পত্তি নিলামে তুলেছে। একই ব্যাংকের দুটি চেক প্রত্যাখ্যান (এনআই অ্যাক্ট) মামলায় গ্রুপটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন চট্টগ্রামের আদালত।
পাওনাদার ব্যাংকগুলোর তথ্য বলছে, ওয়েল গ্রুপের ১৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২৮ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা পাওনা আটকে গেছে। এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫৪৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সানজি টেক্সটাইল মিলস। এ ছাড়া ওয়েল মার্ট (টেক্সটাইল) ২৬৬ কোটি, ওয়েল ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ ২১৩ কোটি, ওয়েল কম্পোজিট ১৬৬ কোটি, ওয়েল ফ্যাব্রিকস ১৪৯ কোটি, মেসার্স ওয়েল ট্রেড ৯১ কোটি, ওয়েল অ্যাকসেসরিজ ৮১ কোটি, ওয়েল মার্ট (টেক্সটাইল-২) ৬২ কোটি, ওয়েল ড্রেসেস লিমিটেড ৫০ কোটি, ওয়েল ফুডস লিমিটেড ২৭ কোটি, ওয়েল মার্ট (গার্মেন্টস) ২১ কোটি, ওয়েল ডিজাইনার্স ২০ কোটি, ওয়েল ফ্যাশন লিমিটেড ১৯ কোটি, ওয়েল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড মার্কেটিং ১৯ কোটি টাকা, ওয়েল পার্ক রেসিডেন্স ১৮ কোটি, আব্দুচ ছালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স ১১ কোটি, ওয়েল ফ্যাশন লিমিটেড (ইউনিট-২) ৬ কোটি, ওয়েল অ্যাগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ৪ কোটি এবং ওয়েল ডিজাইনার্স ওয়াশিংয়ে ঋণের পরিমাণ ৩ কোটি টাকা।
ওয়ান ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ওয়েল গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠানের কাছে ওয়ান ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ৮৩ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। এই ঋণ আদায়ে গ্রুপটির সাত কর্ণধারের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে দুটি চেক প্রত্যাখ্যান মামলা করেছে ব্যাংক। মামলা দুটিতে কর্ণধারদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট আদালত।
একই সঙ্গে এই পাওনা আদায়ে গ্রুপটির একটি নয়তলা ভবনসহ ২০ শতক জমি নিলামে তুলেছে ওয়ান ব্যাংক। ব্যাংকের কাছে বন্ধক থাকা ওয়েল ডিজাইনার্স নামের ভবনটি (কারখানা) নগরীর কালুরঘাট শিল্প এলাকায় অবস্থিত।
বেসিক ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কোম্পানি গঠনের পর অর্থাৎ ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে ওয়েল গ্রুপে প্রথম বড় বিনিয়োগ করে বেসিক ব্যাংক। ব্যাংকটির জুবিলী রোড শাখার এই বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ টাকা। এরপর ধীরে ধীরে গ্রুপটির ব্যবসার পরিসর বড় হয়। তবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংকটে তিন-চার বছরে নগদ অর্থের সংকটে ভুগছে গ্রুপটি। এতে গ্রুপটির কাছে বেসিক ব্যাংকের ১৬১ কোটি টাকা আটকে গেছে।
ব্যাংকগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ওয়েল গ্রুপের কাছে বিনিয়োগ করা ২৮ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওনা আটকে গেছে এনসিসি ব্যাংকের। গ্রুপটির ৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখার পাওনা ২৭০ কোটি টাকা। এ ছাড়া ইউসিবিএলের ২১৪ কোটি, আইএফআইসি ২০৭ কোটি, বেসিক ব্যাংক ১৬১ কোটি, পূবালী ব্যাংক ১৩৭ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক ১০৭ কোটি, ট্রাস্ট ব্যাংক ১০৭ কোটি, ওয়ান ব্যাংক ৮৩ কোটি, ঢাকা ব্যাংক ৭৪ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৩১ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ২৪ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক ২১ কোটি, সাউথইস্ট ২০ কোটি, মধুমতি ব্যাংক ২০ কোটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১৮ কোটি, মিডল্যান্ড ব্যাংক ১৮ কোটি, উত্তরা ফাইন্যান্স ১৮ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১৪ কোটি, ইসলামী ব্যাংক ১২ কোটি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১০ কোটি, এনআরবি ব্যাংক ৯ কোটি, এবি ব্যাংক ৮ কোটি, মেঘনা ব্যাংক ৮ কোটি, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ৮ কোটি, ইস্টার্ন ব্যাংক ৪ কোটি, আইডিএলসি ৪ কোটি, আইআইডিএফসি ৪ কোটি এবং উত্তরা ফাইন্যান্সের ৬৪ লাখ পাওনা আটকে গেছে।
আইএফআইসি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৬ সালে আইএফআইসি ব্যাংকে ব্যবসা শুরু করে ওয়েল গ্রুপ। গ্রুপটির কাছে ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখার বর্তমান পাওনা ২০৭ কোটি টাকা। এক বছর ধরে সময়মতো কিস্তি শোধ না করায় ঋণগুলো এরই মধ্যে শ্রেণীকৃত হয়ে পড়েছে।
ওয়েল গ্রুপের কাছে ১৩৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ আটকে গেছে পূবালী ব্যাংক সিডিএ শাখার। এ বিষয়ে ব্যাংকটির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আব্দুর রহিম বলেন, ‘রপ্তানিমুখী শিল্পগোষ্ঠী ওয়েল গ্রুপ ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে দুই ডজনের বেশি ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করা ঋণ ঝুঁকিতে পড়বে। গ্রুপটি রুগ্ণ হয়ে পড়ায় এরই মধ্যে অনেক মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত নীতিসহায়তা পেতে গ্রুপটি ব্যাংকে আবেদন করেছে। আমরা সেই আবেদন প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। নীতিসহায়তার মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের দীর্ঘ মেয়াদি সুযোগ এবং ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল পেলে দেশের অন্যতম রপ্তানিমুখী গ্রুপটি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’
ওয়েল গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যবসা ছেড়ে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়াই আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে গ্রুপের কর্ণধারদের কেউ কেউ সিডিএ চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য ও বিজিএমইএ নেতা হয়েছেন ঠিকই; এতে মানুষের সেবা করার সুযোগ হলেও ব্যবসায় সময় না দিতে পারায় গ্রুপের ক্ষতি হয়ে গেছে। এ ছাড়া করোনাকালীন পোশাক রপ্তানিতে ধস, বারবার গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ডলারের দাম বাড়ায় গত পাঁচ বছর বড় অঙ্কের লোকসান হয়েছে গ্রুপের।’
এই কর্ণধার আরও বলেন, ‘আমাদের সব কটি প্রতিষ্ঠান ওয়েল এস্টাবলিশড এবং শতভাগ কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন করে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা পেলে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
উল্লেখ্য, ওয়েল গ্রুপের প্রধান উদ্যোক্তা ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে চট্টগ্রাম নগর কমিটির কোষাধ্যক্ষ হন। এরপর ২০০৯ থেকে ১০ বছর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসন (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) থেকে সংসদ সদস্য হন।
গ্রুপটির পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম ব্যবসার পাশাপাশি ২০১১ সালে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক হন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিলুপ্ত হওয়া ২০২৩-২০২৫ কমিটির প্রথম সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অপর পরিচালক নুরুল ইসলামও ২০২০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে রয়েছেন আব্দুচ ছালাম। বাকি সহোদরেরাও সাবধানে চলাফেরা করছেন।
গত ২ জুন গ্রুপটির একটি কারখানায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) পোশাক তৈরি করা হচ্ছে সন্দেহে গ্রুপটির পরিচালক তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এতে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে গ্রুপটি। কেএনএফের পোশাক তৈরির বিষয়ে ওয়েল গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের জব্দ করা পোশাকগুলো ওয়েল গ্রুপে তৈরি করা হয়নি। অপর একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি এসব পোশাকের শুধু ডাইং ও প্রিন্টিং করা হয় ওয়েল ফ্যাব্রিকস কারখানায়।
আরও খবর পড়ুন:

পোশাক খাতে দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ‘ওয়েল গ্রুপ’। বেকারি পণ্য ও হোটেল ব্যবসায়ও সুনাম রয়েছে গ্রুপটির। বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয়ের রেকর্ড রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কর্ণধার আব্দুচ ছালামের শ্রম ও ঘামে তিলে তিলে শূন্য থেকে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ওয়েল গ্রুপ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ১৯৯০ এর দশকে নিজের কাঁধে ও মাথায় নিয়ে পোশাক কারখানাগুলোতে সুতা বিক্রি করেছেন আব্দুচ ছালাম। এরপর ট্রেডিং থেকে কারখানার মালিক। গত তিন দশক একটানা ছিল গ্রুপটির উত্থানের গল্প। তবে বর্তমানে ভালো নেই ওয়েল গ্রুপ। গ্রুপটির কর্ণধারদের ব্যবসায়ী থেকে নেতা হওয়ার স্বপ্ন, করোনার প্রভাব, বারবার গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ডলারের দাম বাড়া এবং দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে আজ বিপাকে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিনিয়োগকারী ব্যাংক ও ওয়েল গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ সাল পর্যন্ত ওয়েল গ্রুপের বার্ষিক রপ্তানি আয় ছিল ৯-১০ কোটি ডলার (১ হাজার ২০০ কোটি টাকা)। এর সিংহভাগ এসেছে রপ্তানি পোশাক থেকে। তখন গ্রুপটির ১৯টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২৫ হাজার কর্মী নিয়োজিত ছিলেন।
কিন্তু চার-পাঁচ বছর ধরে গ্রুপটির ব্যবসা নিম্নমুখী। পোশাক রপ্তানি করে বছরে ৫ কোটি ডলারের (৬০০ কোটি টাকা) বেশি আয় করা গ্রুপটির পোশাক খাতের উৎপাদন এখন বন্ধ। কর্মীর সংখ্যা নেমে এসেছে ৫ হাজারের মধ্যে। হোটেল, বেকারি, ট্রেডিং ও অ্যাগ্রো খাতের ব্যবসাগুলো কোনোভাবে টিকে আছে।
খরচের চেয়ে আয় কমে যাওয়ায় শোধ করতে পারছে না ব্যাংকঋণ। এতে গ্রুপটির কাছে ২৮টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করা প্রায় ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হতে শুরু করেছে।
সময়মতো ঋণ শোধ করতে না পারায় এরই মধ্যে একটি ব্যাংক গ্রুপটির বন্ধক রাখা সম্পত্তি নিলামে তুলেছে। একই ব্যাংকের দুটি চেক প্রত্যাখ্যান (এনআই অ্যাক্ট) মামলায় গ্রুপটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন চট্টগ্রামের আদালত।
পাওনাদার ব্যাংকগুলোর তথ্য বলছে, ওয়েল গ্রুপের ১৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২৮ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা পাওনা আটকে গেছে। এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫৪৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সানজি টেক্সটাইল মিলস। এ ছাড়া ওয়েল মার্ট (টেক্সটাইল) ২৬৬ কোটি, ওয়েল ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ ২১৩ কোটি, ওয়েল কম্পোজিট ১৬৬ কোটি, ওয়েল ফ্যাব্রিকস ১৪৯ কোটি, মেসার্স ওয়েল ট্রেড ৯১ কোটি, ওয়েল অ্যাকসেসরিজ ৮১ কোটি, ওয়েল মার্ট (টেক্সটাইল-২) ৬২ কোটি, ওয়েল ড্রেসেস লিমিটেড ৫০ কোটি, ওয়েল ফুডস লিমিটেড ২৭ কোটি, ওয়েল মার্ট (গার্মেন্টস) ২১ কোটি, ওয়েল ডিজাইনার্স ২০ কোটি, ওয়েল ফ্যাশন লিমিটেড ১৯ কোটি, ওয়েল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড মার্কেটিং ১৯ কোটি টাকা, ওয়েল পার্ক রেসিডেন্স ১৮ কোটি, আব্দুচ ছালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স ১১ কোটি, ওয়েল ফ্যাশন লিমিটেড (ইউনিট-২) ৬ কোটি, ওয়েল অ্যাগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ৪ কোটি এবং ওয়েল ডিজাইনার্স ওয়াশিংয়ে ঋণের পরিমাণ ৩ কোটি টাকা।
ওয়ান ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ওয়েল গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠানের কাছে ওয়ান ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ৮৩ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। এই ঋণ আদায়ে গ্রুপটির সাত কর্ণধারের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে দুটি চেক প্রত্যাখ্যান মামলা করেছে ব্যাংক। মামলা দুটিতে কর্ণধারদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট আদালত।
একই সঙ্গে এই পাওনা আদায়ে গ্রুপটির একটি নয়তলা ভবনসহ ২০ শতক জমি নিলামে তুলেছে ওয়ান ব্যাংক। ব্যাংকের কাছে বন্ধক থাকা ওয়েল ডিজাইনার্স নামের ভবনটি (কারখানা) নগরীর কালুরঘাট শিল্প এলাকায় অবস্থিত।
বেসিক ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কোম্পানি গঠনের পর অর্থাৎ ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে ওয়েল গ্রুপে প্রথম বড় বিনিয়োগ করে বেসিক ব্যাংক। ব্যাংকটির জুবিলী রোড শাখার এই বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ টাকা। এরপর ধীরে ধীরে গ্রুপটির ব্যবসার পরিসর বড় হয়। তবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংকটে তিন-চার বছরে নগদ অর্থের সংকটে ভুগছে গ্রুপটি। এতে গ্রুপটির কাছে বেসিক ব্যাংকের ১৬১ কোটি টাকা আটকে গেছে।
ব্যাংকগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ওয়েল গ্রুপের কাছে বিনিয়োগ করা ২৮ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওনা আটকে গেছে এনসিসি ব্যাংকের। গ্রুপটির ৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখার পাওনা ২৭০ কোটি টাকা। এ ছাড়া ইউসিবিএলের ২১৪ কোটি, আইএফআইসি ২০৭ কোটি, বেসিক ব্যাংক ১৬১ কোটি, পূবালী ব্যাংক ১৩৭ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক ১০৭ কোটি, ট্রাস্ট ব্যাংক ১০৭ কোটি, ওয়ান ব্যাংক ৮৩ কোটি, ঢাকা ব্যাংক ৭৪ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৩১ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ২৪ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক ২১ কোটি, সাউথইস্ট ২০ কোটি, মধুমতি ব্যাংক ২০ কোটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১৮ কোটি, মিডল্যান্ড ব্যাংক ১৮ কোটি, উত্তরা ফাইন্যান্স ১৮ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১৪ কোটি, ইসলামী ব্যাংক ১২ কোটি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১০ কোটি, এনআরবি ব্যাংক ৯ কোটি, এবি ব্যাংক ৮ কোটি, মেঘনা ব্যাংক ৮ কোটি, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ৮ কোটি, ইস্টার্ন ব্যাংক ৪ কোটি, আইডিএলসি ৪ কোটি, আইআইডিএফসি ৪ কোটি এবং উত্তরা ফাইন্যান্সের ৬৪ লাখ পাওনা আটকে গেছে।
আইএফআইসি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৬ সালে আইএফআইসি ব্যাংকে ব্যবসা শুরু করে ওয়েল গ্রুপ। গ্রুপটির কাছে ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখার বর্তমান পাওনা ২০৭ কোটি টাকা। এক বছর ধরে সময়মতো কিস্তি শোধ না করায় ঋণগুলো এরই মধ্যে শ্রেণীকৃত হয়ে পড়েছে।
ওয়েল গ্রুপের কাছে ১৩৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ আটকে গেছে পূবালী ব্যাংক সিডিএ শাখার। এ বিষয়ে ব্যাংকটির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আব্দুর রহিম বলেন, ‘রপ্তানিমুখী শিল্পগোষ্ঠী ওয়েল গ্রুপ ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে দুই ডজনের বেশি ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করা ঋণ ঝুঁকিতে পড়বে। গ্রুপটি রুগ্ণ হয়ে পড়ায় এরই মধ্যে অনেক মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত নীতিসহায়তা পেতে গ্রুপটি ব্যাংকে আবেদন করেছে। আমরা সেই আবেদন প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। নীতিসহায়তার মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের দীর্ঘ মেয়াদি সুযোগ এবং ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল পেলে দেশের অন্যতম রপ্তানিমুখী গ্রুপটি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’
ওয়েল গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যবসা ছেড়ে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়াই আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে গ্রুপের কর্ণধারদের কেউ কেউ সিডিএ চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য ও বিজিএমইএ নেতা হয়েছেন ঠিকই; এতে মানুষের সেবা করার সুযোগ হলেও ব্যবসায় সময় না দিতে পারায় গ্রুপের ক্ষতি হয়ে গেছে। এ ছাড়া করোনাকালীন পোশাক রপ্তানিতে ধস, বারবার গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ডলারের দাম বাড়ায় গত পাঁচ বছর বড় অঙ্কের লোকসান হয়েছে গ্রুপের।’
এই কর্ণধার আরও বলেন, ‘আমাদের সব কটি প্রতিষ্ঠান ওয়েল এস্টাবলিশড এবং শতভাগ কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন করে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা পেলে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
উল্লেখ্য, ওয়েল গ্রুপের প্রধান উদ্যোক্তা ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে চট্টগ্রাম নগর কমিটির কোষাধ্যক্ষ হন। এরপর ২০০৯ থেকে ১০ বছর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসন (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) থেকে সংসদ সদস্য হন।
গ্রুপটির পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম ব্যবসার পাশাপাশি ২০১১ সালে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক হন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিলুপ্ত হওয়া ২০২৩-২০২৫ কমিটির প্রথম সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অপর পরিচালক নুরুল ইসলামও ২০২০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে রয়েছেন আব্দুচ ছালাম। বাকি সহোদরেরাও সাবধানে চলাফেরা করছেন।
গত ২ জুন গ্রুপটির একটি কারখানায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) পোশাক তৈরি করা হচ্ছে সন্দেহে গ্রুপটির পরিচালক তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এতে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে গ্রুপটি। কেএনএফের পোশাক তৈরির বিষয়ে ওয়েল গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের জব্দ করা পোশাকগুলো ওয়েল গ্রুপে তৈরি করা হয়নি। অপর একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি এসব পোশাকের শুধু ডাইং ও প্রিন্টিং করা হয় ওয়েল ফ্যাব্রিকস কারখানায়।
আরও খবর পড়ুন:
ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

পোশাক খাতে দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ‘ওয়েল গ্রুপ’। বেকারি পণ্য ও হোটেল ব্যবসায়ও সুনাম রয়েছে গ্রুপটির। বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয়ের রেকর্ড রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কর্ণধার আব্দুচ ছালামের শ্রম ও ঘামে তিলে তিলে শূন্য থেকে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ওয়েল গ্রুপ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ১৯৯০ এর দশকে নিজের কাঁধে ও মাথায় নিয়ে পোশাক কারখানাগুলোতে সুতা বিক্রি করেছেন আব্দুচ ছালাম। এরপর ট্রেডিং থেকে কারখানার মালিক। গত তিন দশক একটানা ছিল গ্রুপটির উত্থানের গল্প। তবে বর্তমানে ভালো নেই ওয়েল গ্রুপ। গ্রুপটির কর্ণধারদের ব্যবসায়ী থেকে নেতা হওয়ার স্বপ্ন, করোনার প্রভাব, বারবার গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ডলারের দাম বাড়া এবং দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে আজ বিপাকে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিনিয়োগকারী ব্যাংক ও ওয়েল গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ সাল পর্যন্ত ওয়েল গ্রুপের বার্ষিক রপ্তানি আয় ছিল ৯-১০ কোটি ডলার (১ হাজার ২০০ কোটি টাকা)। এর সিংহভাগ এসেছে রপ্তানি পোশাক থেকে। তখন গ্রুপটির ১৯টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২৫ হাজার কর্মী নিয়োজিত ছিলেন।
কিন্তু চার-পাঁচ বছর ধরে গ্রুপটির ব্যবসা নিম্নমুখী। পোশাক রপ্তানি করে বছরে ৫ কোটি ডলারের (৬০০ কোটি টাকা) বেশি আয় করা গ্রুপটির পোশাক খাতের উৎপাদন এখন বন্ধ। কর্মীর সংখ্যা নেমে এসেছে ৫ হাজারের মধ্যে। হোটেল, বেকারি, ট্রেডিং ও অ্যাগ্রো খাতের ব্যবসাগুলো কোনোভাবে টিকে আছে।
খরচের চেয়ে আয় কমে যাওয়ায় শোধ করতে পারছে না ব্যাংকঋণ। এতে গ্রুপটির কাছে ২৮টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করা প্রায় ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হতে শুরু করেছে।
সময়মতো ঋণ শোধ করতে না পারায় এরই মধ্যে একটি ব্যাংক গ্রুপটির বন্ধক রাখা সম্পত্তি নিলামে তুলেছে। একই ব্যাংকের দুটি চেক প্রত্যাখ্যান (এনআই অ্যাক্ট) মামলায় গ্রুপটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন চট্টগ্রামের আদালত।
পাওনাদার ব্যাংকগুলোর তথ্য বলছে, ওয়েল গ্রুপের ১৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২৮ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা পাওনা আটকে গেছে। এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫৪৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সানজি টেক্সটাইল মিলস। এ ছাড়া ওয়েল মার্ট (টেক্সটাইল) ২৬৬ কোটি, ওয়েল ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ ২১৩ কোটি, ওয়েল কম্পোজিট ১৬৬ কোটি, ওয়েল ফ্যাব্রিকস ১৪৯ কোটি, মেসার্স ওয়েল ট্রেড ৯১ কোটি, ওয়েল অ্যাকসেসরিজ ৮১ কোটি, ওয়েল মার্ট (টেক্সটাইল-২) ৬২ কোটি, ওয়েল ড্রেসেস লিমিটেড ৫০ কোটি, ওয়েল ফুডস লিমিটেড ২৭ কোটি, ওয়েল মার্ট (গার্মেন্টস) ২১ কোটি, ওয়েল ডিজাইনার্স ২০ কোটি, ওয়েল ফ্যাশন লিমিটেড ১৯ কোটি, ওয়েল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড মার্কেটিং ১৯ কোটি টাকা, ওয়েল পার্ক রেসিডেন্স ১৮ কোটি, আব্দুচ ছালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স ১১ কোটি, ওয়েল ফ্যাশন লিমিটেড (ইউনিট-২) ৬ কোটি, ওয়েল অ্যাগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ৪ কোটি এবং ওয়েল ডিজাইনার্স ওয়াশিংয়ে ঋণের পরিমাণ ৩ কোটি টাকা।
ওয়ান ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ওয়েল গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠানের কাছে ওয়ান ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ৮৩ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। এই ঋণ আদায়ে গ্রুপটির সাত কর্ণধারের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে দুটি চেক প্রত্যাখ্যান মামলা করেছে ব্যাংক। মামলা দুটিতে কর্ণধারদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট আদালত।
একই সঙ্গে এই পাওনা আদায়ে গ্রুপটির একটি নয়তলা ভবনসহ ২০ শতক জমি নিলামে তুলেছে ওয়ান ব্যাংক। ব্যাংকের কাছে বন্ধক থাকা ওয়েল ডিজাইনার্স নামের ভবনটি (কারখানা) নগরীর কালুরঘাট শিল্প এলাকায় অবস্থিত।
বেসিক ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কোম্পানি গঠনের পর অর্থাৎ ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে ওয়েল গ্রুপে প্রথম বড় বিনিয়োগ করে বেসিক ব্যাংক। ব্যাংকটির জুবিলী রোড শাখার এই বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ টাকা। এরপর ধীরে ধীরে গ্রুপটির ব্যবসার পরিসর বড় হয়। তবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংকটে তিন-চার বছরে নগদ অর্থের সংকটে ভুগছে গ্রুপটি। এতে গ্রুপটির কাছে বেসিক ব্যাংকের ১৬১ কোটি টাকা আটকে গেছে।
ব্যাংকগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ওয়েল গ্রুপের কাছে বিনিয়োগ করা ২৮ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওনা আটকে গেছে এনসিসি ব্যাংকের। গ্রুপটির ৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখার পাওনা ২৭০ কোটি টাকা। এ ছাড়া ইউসিবিএলের ২১৪ কোটি, আইএফআইসি ২০৭ কোটি, বেসিক ব্যাংক ১৬১ কোটি, পূবালী ব্যাংক ১৩৭ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক ১০৭ কোটি, ট্রাস্ট ব্যাংক ১০৭ কোটি, ওয়ান ব্যাংক ৮৩ কোটি, ঢাকা ব্যাংক ৭৪ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৩১ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ২৪ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক ২১ কোটি, সাউথইস্ট ২০ কোটি, মধুমতি ব্যাংক ২০ কোটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১৮ কোটি, মিডল্যান্ড ব্যাংক ১৮ কোটি, উত্তরা ফাইন্যান্স ১৮ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১৪ কোটি, ইসলামী ব্যাংক ১২ কোটি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১০ কোটি, এনআরবি ব্যাংক ৯ কোটি, এবি ব্যাংক ৮ কোটি, মেঘনা ব্যাংক ৮ কোটি, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ৮ কোটি, ইস্টার্ন ব্যাংক ৪ কোটি, আইডিএলসি ৪ কোটি, আইআইডিএফসি ৪ কোটি এবং উত্তরা ফাইন্যান্সের ৬৪ লাখ পাওনা আটকে গেছে।
আইএফআইসি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৬ সালে আইএফআইসি ব্যাংকে ব্যবসা শুরু করে ওয়েল গ্রুপ। গ্রুপটির কাছে ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখার বর্তমান পাওনা ২০৭ কোটি টাকা। এক বছর ধরে সময়মতো কিস্তি শোধ না করায় ঋণগুলো এরই মধ্যে শ্রেণীকৃত হয়ে পড়েছে।
ওয়েল গ্রুপের কাছে ১৩৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ আটকে গেছে পূবালী ব্যাংক সিডিএ শাখার। এ বিষয়ে ব্যাংকটির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আব্দুর রহিম বলেন, ‘রপ্তানিমুখী শিল্পগোষ্ঠী ওয়েল গ্রুপ ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে দুই ডজনের বেশি ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করা ঋণ ঝুঁকিতে পড়বে। গ্রুপটি রুগ্ণ হয়ে পড়ায় এরই মধ্যে অনেক মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত নীতিসহায়তা পেতে গ্রুপটি ব্যাংকে আবেদন করেছে। আমরা সেই আবেদন প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। নীতিসহায়তার মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের দীর্ঘ মেয়াদি সুযোগ এবং ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল পেলে দেশের অন্যতম রপ্তানিমুখী গ্রুপটি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’
ওয়েল গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যবসা ছেড়ে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়াই আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে গ্রুপের কর্ণধারদের কেউ কেউ সিডিএ চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য ও বিজিএমইএ নেতা হয়েছেন ঠিকই; এতে মানুষের সেবা করার সুযোগ হলেও ব্যবসায় সময় না দিতে পারায় গ্রুপের ক্ষতি হয়ে গেছে। এ ছাড়া করোনাকালীন পোশাক রপ্তানিতে ধস, বারবার গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ডলারের দাম বাড়ায় গত পাঁচ বছর বড় অঙ্কের লোকসান হয়েছে গ্রুপের।’
এই কর্ণধার আরও বলেন, ‘আমাদের সব কটি প্রতিষ্ঠান ওয়েল এস্টাবলিশড এবং শতভাগ কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন করে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা পেলে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
উল্লেখ্য, ওয়েল গ্রুপের প্রধান উদ্যোক্তা ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে চট্টগ্রাম নগর কমিটির কোষাধ্যক্ষ হন। এরপর ২০০৯ থেকে ১০ বছর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসন (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) থেকে সংসদ সদস্য হন।
গ্রুপটির পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম ব্যবসার পাশাপাশি ২০১১ সালে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক হন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিলুপ্ত হওয়া ২০২৩-২০২৫ কমিটির প্রথম সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অপর পরিচালক নুরুল ইসলামও ২০২০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে রয়েছেন আব্দুচ ছালাম। বাকি সহোদরেরাও সাবধানে চলাফেরা করছেন।
গত ২ জুন গ্রুপটির একটি কারখানায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) পোশাক তৈরি করা হচ্ছে সন্দেহে গ্রুপটির পরিচালক তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এতে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে গ্রুপটি। কেএনএফের পোশাক তৈরির বিষয়ে ওয়েল গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের জব্দ করা পোশাকগুলো ওয়েল গ্রুপে তৈরি করা হয়নি। অপর একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি এসব পোশাকের শুধু ডাইং ও প্রিন্টিং করা হয় ওয়েল ফ্যাব্রিকস কারখানায়।
আরও খবর পড়ুন:

পোশাক খাতে দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ‘ওয়েল গ্রুপ’। বেকারি পণ্য ও হোটেল ব্যবসায়ও সুনাম রয়েছে গ্রুপটির। বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয়ের রেকর্ড রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কর্ণধার আব্দুচ ছালামের শ্রম ও ঘামে তিলে তিলে শূন্য থেকে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ওয়েল গ্রুপ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ১৯৯০ এর দশকে নিজের কাঁধে ও মাথায় নিয়ে পোশাক কারখানাগুলোতে সুতা বিক্রি করেছেন আব্দুচ ছালাম। এরপর ট্রেডিং থেকে কারখানার মালিক। গত তিন দশক একটানা ছিল গ্রুপটির উত্থানের গল্প। তবে বর্তমানে ভালো নেই ওয়েল গ্রুপ। গ্রুপটির কর্ণধারদের ব্যবসায়ী থেকে নেতা হওয়ার স্বপ্ন, করোনার প্রভাব, বারবার গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ডলারের দাম বাড়া এবং দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে আজ বিপাকে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিনিয়োগকারী ব্যাংক ও ওয়েল গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ সাল পর্যন্ত ওয়েল গ্রুপের বার্ষিক রপ্তানি আয় ছিল ৯-১০ কোটি ডলার (১ হাজার ২০০ কোটি টাকা)। এর সিংহভাগ এসেছে রপ্তানি পোশাক থেকে। তখন গ্রুপটির ১৯টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২৫ হাজার কর্মী নিয়োজিত ছিলেন।
কিন্তু চার-পাঁচ বছর ধরে গ্রুপটির ব্যবসা নিম্নমুখী। পোশাক রপ্তানি করে বছরে ৫ কোটি ডলারের (৬০০ কোটি টাকা) বেশি আয় করা গ্রুপটির পোশাক খাতের উৎপাদন এখন বন্ধ। কর্মীর সংখ্যা নেমে এসেছে ৫ হাজারের মধ্যে। হোটেল, বেকারি, ট্রেডিং ও অ্যাগ্রো খাতের ব্যবসাগুলো কোনোভাবে টিকে আছে।
খরচের চেয়ে আয় কমে যাওয়ায় শোধ করতে পারছে না ব্যাংকঋণ। এতে গ্রুপটির কাছে ২৮টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করা প্রায় ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হতে শুরু করেছে।
সময়মতো ঋণ শোধ করতে না পারায় এরই মধ্যে একটি ব্যাংক গ্রুপটির বন্ধক রাখা সম্পত্তি নিলামে তুলেছে। একই ব্যাংকের দুটি চেক প্রত্যাখ্যান (এনআই অ্যাক্ট) মামলায় গ্রুপটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন চট্টগ্রামের আদালত।
পাওনাদার ব্যাংকগুলোর তথ্য বলছে, ওয়েল গ্রুপের ১৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২৮ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা পাওনা আটকে গেছে। এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫৪৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সানজি টেক্সটাইল মিলস। এ ছাড়া ওয়েল মার্ট (টেক্সটাইল) ২৬৬ কোটি, ওয়েল ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ ২১৩ কোটি, ওয়েল কম্পোজিট ১৬৬ কোটি, ওয়েল ফ্যাব্রিকস ১৪৯ কোটি, মেসার্স ওয়েল ট্রেড ৯১ কোটি, ওয়েল অ্যাকসেসরিজ ৮১ কোটি, ওয়েল মার্ট (টেক্সটাইল-২) ৬২ কোটি, ওয়েল ড্রেসেস লিমিটেড ৫০ কোটি, ওয়েল ফুডস লিমিটেড ২৭ কোটি, ওয়েল মার্ট (গার্মেন্টস) ২১ কোটি, ওয়েল ডিজাইনার্স ২০ কোটি, ওয়েল ফ্যাশন লিমিটেড ১৯ কোটি, ওয়েল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড মার্কেটিং ১৯ কোটি টাকা, ওয়েল পার্ক রেসিডেন্স ১৮ কোটি, আব্দুচ ছালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স ১১ কোটি, ওয়েল ফ্যাশন লিমিটেড (ইউনিট-২) ৬ কোটি, ওয়েল অ্যাগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ৪ কোটি এবং ওয়েল ডিজাইনার্স ওয়াশিংয়ে ঋণের পরিমাণ ৩ কোটি টাকা।
ওয়ান ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ওয়েল গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠানের কাছে ওয়ান ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ৮৩ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। এই ঋণ আদায়ে গ্রুপটির সাত কর্ণধারের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে দুটি চেক প্রত্যাখ্যান মামলা করেছে ব্যাংক। মামলা দুটিতে কর্ণধারদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট আদালত।
একই সঙ্গে এই পাওনা আদায়ে গ্রুপটির একটি নয়তলা ভবনসহ ২০ শতক জমি নিলামে তুলেছে ওয়ান ব্যাংক। ব্যাংকের কাছে বন্ধক থাকা ওয়েল ডিজাইনার্স নামের ভবনটি (কারখানা) নগরীর কালুরঘাট শিল্প এলাকায় অবস্থিত।
বেসিক ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কোম্পানি গঠনের পর অর্থাৎ ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে ওয়েল গ্রুপে প্রথম বড় বিনিয়োগ করে বেসিক ব্যাংক। ব্যাংকটির জুবিলী রোড শাখার এই বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ টাকা। এরপর ধীরে ধীরে গ্রুপটির ব্যবসার পরিসর বড় হয়। তবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংকটে তিন-চার বছরে নগদ অর্থের সংকটে ভুগছে গ্রুপটি। এতে গ্রুপটির কাছে বেসিক ব্যাংকের ১৬১ কোটি টাকা আটকে গেছে।
ব্যাংকগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ওয়েল গ্রুপের কাছে বিনিয়োগ করা ২৮ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওনা আটকে গেছে এনসিসি ব্যাংকের। গ্রুপটির ৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখার পাওনা ২৭০ কোটি টাকা। এ ছাড়া ইউসিবিএলের ২১৪ কোটি, আইএফআইসি ২০৭ কোটি, বেসিক ব্যাংক ১৬১ কোটি, পূবালী ব্যাংক ১৩৭ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক ১০৭ কোটি, ট্রাস্ট ব্যাংক ১০৭ কোটি, ওয়ান ব্যাংক ৮৩ কোটি, ঢাকা ব্যাংক ৭৪ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৩১ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ২৪ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক ২১ কোটি, সাউথইস্ট ২০ কোটি, মধুমতি ব্যাংক ২০ কোটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১৮ কোটি, মিডল্যান্ড ব্যাংক ১৮ কোটি, উত্তরা ফাইন্যান্স ১৮ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১৪ কোটি, ইসলামী ব্যাংক ১২ কোটি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১০ কোটি, এনআরবি ব্যাংক ৯ কোটি, এবি ব্যাংক ৮ কোটি, মেঘনা ব্যাংক ৮ কোটি, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ৮ কোটি, ইস্টার্ন ব্যাংক ৪ কোটি, আইডিএলসি ৪ কোটি, আইআইডিএফসি ৪ কোটি এবং উত্তরা ফাইন্যান্সের ৬৪ লাখ পাওনা আটকে গেছে।
আইএফআইসি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৬ সালে আইএফআইসি ব্যাংকে ব্যবসা শুরু করে ওয়েল গ্রুপ। গ্রুপটির কাছে ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখার বর্তমান পাওনা ২০৭ কোটি টাকা। এক বছর ধরে সময়মতো কিস্তি শোধ না করায় ঋণগুলো এরই মধ্যে শ্রেণীকৃত হয়ে পড়েছে।
ওয়েল গ্রুপের কাছে ১৩৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ আটকে গেছে পূবালী ব্যাংক সিডিএ শাখার। এ বিষয়ে ব্যাংকটির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আব্দুর রহিম বলেন, ‘রপ্তানিমুখী শিল্পগোষ্ঠী ওয়েল গ্রুপ ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে দুই ডজনের বেশি ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করা ঋণ ঝুঁকিতে পড়বে। গ্রুপটি রুগ্ণ হয়ে পড়ায় এরই মধ্যে অনেক মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত নীতিসহায়তা পেতে গ্রুপটি ব্যাংকে আবেদন করেছে। আমরা সেই আবেদন প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। নীতিসহায়তার মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের দীর্ঘ মেয়াদি সুযোগ এবং ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল পেলে দেশের অন্যতম রপ্তানিমুখী গ্রুপটি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’
ওয়েল গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যবসা ছেড়ে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়াই আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে গ্রুপের কর্ণধারদের কেউ কেউ সিডিএ চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য ও বিজিএমইএ নেতা হয়েছেন ঠিকই; এতে মানুষের সেবা করার সুযোগ হলেও ব্যবসায় সময় না দিতে পারায় গ্রুপের ক্ষতি হয়ে গেছে। এ ছাড়া করোনাকালীন পোশাক রপ্তানিতে ধস, বারবার গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ডলারের দাম বাড়ায় গত পাঁচ বছর বড় অঙ্কের লোকসান হয়েছে গ্রুপের।’
এই কর্ণধার আরও বলেন, ‘আমাদের সব কটি প্রতিষ্ঠান ওয়েল এস্টাবলিশড এবং শতভাগ কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন করে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা পেলে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
উল্লেখ্য, ওয়েল গ্রুপের প্রধান উদ্যোক্তা ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে চট্টগ্রাম নগর কমিটির কোষাধ্যক্ষ হন। এরপর ২০০৯ থেকে ১০ বছর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসন (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) থেকে সংসদ সদস্য হন।
গ্রুপটির পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম ব্যবসার পাশাপাশি ২০১১ সালে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক হন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিলুপ্ত হওয়া ২০২৩-২০২৫ কমিটির প্রথম সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অপর পরিচালক নুরুল ইসলামও ২০২০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে রয়েছেন আব্দুচ ছালাম। বাকি সহোদরেরাও সাবধানে চলাফেরা করছেন।
গত ২ জুন গ্রুপটির একটি কারখানায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) পোশাক তৈরি করা হচ্ছে সন্দেহে গ্রুপটির পরিচালক তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এতে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে গ্রুপটি। কেএনএফের পোশাক তৈরির বিষয়ে ওয়েল গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের জব্দ করা পোশাকগুলো ওয়েল গ্রুপে তৈরি করা হয়নি। অপর একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি এসব পোশাকের শুধু ডাইং ও প্রিন্টিং করা হয় ওয়েল ফ্যাব্রিকস কারখানায়।
আরও খবর পড়ুন:

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর বেলা ৩টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ-সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে যায়।
২৪ মিনিট আগে
রাজশাহীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার গভীর রাতে র্যাব-৫-এর রাজশাহী সদর কোম্পানির একটি দল জেলার তানোর উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালায়। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি খালি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, বারোটি শটগানের গুলি, চারটি পাইপগান, ছয়টি
১ ঘণ্টা আগে
খুলনার ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দেবাশীষ চক্রবর্তী (৩৫) নামের মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার আঠারো মাইল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) গুলশানের নগর ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম শামসুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন। তাঁদের সামাজিক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের স্বাস্থ্যবিমা থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মোহাম্মদ এজাজ জানান, নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের প্রায় ৫ হাজার কর্মী ও মশকনিধন কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে কমডোর এ বি এম শামসুল আলম বলেন, গত এক বছরে ডিএনসিসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন উদ্যোগ হচ্ছে এই স্বাস্থ্যবিমা কার্যক্রম, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
স্বাস্থ্যবিমার আওতায় উপকারভোগীরা রাজধানীর ৪০০টির বেশি বেসরকারি ক্লিনিকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এ ছাড়া অসুস্থতা ও দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকিতে বিশেষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুবিধা পাবেন। কোনো কর্মী মৃত্যুবরণ করলে পরিবারকে এককালীন ৩০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।
বার্ষিক বিমা প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার কর্মীর প্রিমিয়াম বহন করছে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেকিট বাংলাদেশ (হারপিক) এবং অন্য ১ হাজার ৪৬৭ জনের ব্যয় দিচ্ছে ডিএনসিসি। চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের সহযোগিতায় এই বিমা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠান শেষে উপকারভোগী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবিমা কার্ড তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান; প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন; প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী; উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাজেদা ফাউন্ডেশন, মোহাম্মদ ফজলুল হক ও হেড অব মার্কেটিং, রেকিট বাংলাদেশ, সাবরিন মারুফ তিন্নি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) গুলশানের নগর ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম শামসুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন। তাঁদের সামাজিক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের স্বাস্থ্যবিমা থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মোহাম্মদ এজাজ জানান, নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের প্রায় ৫ হাজার কর্মী ও মশকনিধন কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে কমডোর এ বি এম শামসুল আলম বলেন, গত এক বছরে ডিএনসিসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন উদ্যোগ হচ্ছে এই স্বাস্থ্যবিমা কার্যক্রম, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
স্বাস্থ্যবিমার আওতায় উপকারভোগীরা রাজধানীর ৪০০টির বেশি বেসরকারি ক্লিনিকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এ ছাড়া অসুস্থতা ও দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকিতে বিশেষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুবিধা পাবেন। কোনো কর্মী মৃত্যুবরণ করলে পরিবারকে এককালীন ৩০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।
বার্ষিক বিমা প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার কর্মীর প্রিমিয়াম বহন করছে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেকিট বাংলাদেশ (হারপিক) এবং অন্য ১ হাজার ৪৬৭ জনের ব্যয় দিচ্ছে ডিএনসিসি। চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের সহযোগিতায় এই বিমা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠান শেষে উপকারভোগী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবিমা কার্ড তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান; প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন; প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী; উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাজেদা ফাউন্ডেশন, মোহাম্মদ ফজলুল হক ও হেড অব মার্কেটিং, রেকিট বাংলাদেশ, সাবরিন মারুফ তিন্নি।

পোশাক খাতে দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ‘ওয়েল গ্রুপ’। বেকারি পণ্য ও হোটেল ব্যবসায়ও সুনাম রয়েছে গ্রুপটির। বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয়ের রেকর্ড রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কর্ণধার আব্দুচ ছালামের শ্রম ও ঘামে তিলে তিলে শূন্য থেকে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ওয়েল গ্রুপ।
০২ জুলাই ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর বেলা ৩টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ-সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে যায়।
২৪ মিনিট আগে
রাজশাহীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার গভীর রাতে র্যাব-৫-এর রাজশাহী সদর কোম্পানির একটি দল জেলার তানোর উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালায়। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি খালি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, বারোটি শটগানের গুলি, চারটি পাইপগান, ছয়টি
১ ঘণ্টা আগে
খুলনার ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দেবাশীষ চক্রবর্তী (৩৫) নামের মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার আঠারো মাইল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর বেলা ৩টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ-সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে যায়। এতে যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়ে। এ সময় অবরোধকারীরা ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ওসমান হাদি আমাদেরই ভাই। দিনের আলোয় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এখনো প্রধান খুনিসহ অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা আর কোনো আশ্বাস চাই না, আমরা জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃশ্যমান বিচার চাই। বিচার নিশ্চিতে প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ছাত্রসমাজ নিজেরাই রাজপথে দাঁড়িয়ে বিচার আদায় করবে।’
মহাসড়কে আটকে পড়া যাত্রী পটুয়াখালীর যাত্রী ইয়াসিন মল্লিক বলেন, ‘আমি ঢাকায় অসুস্থ মাকে দেখতে যাচ্ছিলাম। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাস দাঁড়িয়ে আছে। কষ্ট হচ্ছে। তবে ওসমান হাদি হত্যার বিচারও হওয়া দরকার।’
বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মহাসড়কে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর বেলা ৩টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ-সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে যায়। এতে যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়ে। এ সময় অবরোধকারীরা ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ওসমান হাদি আমাদেরই ভাই। দিনের আলোয় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এখনো প্রধান খুনিসহ অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা আর কোনো আশ্বাস চাই না, আমরা জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃশ্যমান বিচার চাই। বিচার নিশ্চিতে প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ছাত্রসমাজ নিজেরাই রাজপথে দাঁড়িয়ে বিচার আদায় করবে।’
মহাসড়কে আটকে পড়া যাত্রী পটুয়াখালীর যাত্রী ইয়াসিন মল্লিক বলেন, ‘আমি ঢাকায় অসুস্থ মাকে দেখতে যাচ্ছিলাম। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাস দাঁড়িয়ে আছে। কষ্ট হচ্ছে। তবে ওসমান হাদি হত্যার বিচারও হওয়া দরকার।’
বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মহাসড়কে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’

পোশাক খাতে দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ‘ওয়েল গ্রুপ’। বেকারি পণ্য ও হোটেল ব্যবসায়ও সুনাম রয়েছে গ্রুপটির। বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয়ের রেকর্ড রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কর্ণধার আব্দুচ ছালামের শ্রম ও ঘামে তিলে তিলে শূন্য থেকে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ওয়েল গ্রুপ।
০২ জুলাই ২০২৫
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
রাজশাহীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার গভীর রাতে র্যাব-৫-এর রাজশাহী সদর কোম্পানির একটি দল জেলার তানোর উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালায়। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি খালি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, বারোটি শটগানের গুলি, চারটি পাইপগান, ছয়টি
১ ঘণ্টা আগে
খুলনার ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দেবাশীষ চক্রবর্তী (৩৫) নামের মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার আঠারো মাইল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার গভীর রাতে র্যাব-৫-এর রাজশাহী সদর কোম্পানির একটি দল জেলার তানোর উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালায়। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি খালি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১২টি শটগানের গুলি, চারটি পাইপগান, ছয়টি চিকন পাইপসহ অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব এসব তথ্য জানায়। র্যাব জানায়, আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে চুনিয়াপাড়া গ্রামের এন্তাজ আলীর বসতবাড়ির পশ্চিম পাশে গোয়ালঘরের পেছনে রান্নার লাকড়ির নিচে, একই এলাকার আব্দুস সোবাহানের বসতবাড়ির উত্তর পাশে খড়ি রাখার ঘরে খড়ির নিচে এবং জয়নালের বসতবাড়ির উত্তর পাশে খড়ি রাখার ঘরে খড়ির নিচে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে এসব অস্ত্র উদ্ধার হয়।
উদ্ধার করা অস্ত্র সম্পর্কে স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাঁরা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে অস্ত্রগুলোর উৎস বা মালিকানা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে র্যাব জানিয়েছে। তাই একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে অস্ত্রগুলো তানোর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।

রাজশাহীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার গভীর রাতে র্যাব-৫-এর রাজশাহী সদর কোম্পানির একটি দল জেলার তানোর উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালায়। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি খালি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১২টি শটগানের গুলি, চারটি পাইপগান, ছয়টি চিকন পাইপসহ অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব এসব তথ্য জানায়। র্যাব জানায়, আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে চুনিয়াপাড়া গ্রামের এন্তাজ আলীর বসতবাড়ির পশ্চিম পাশে গোয়ালঘরের পেছনে রান্নার লাকড়ির নিচে, একই এলাকার আব্দুস সোবাহানের বসতবাড়ির উত্তর পাশে খড়ি রাখার ঘরে খড়ির নিচে এবং জয়নালের বসতবাড়ির উত্তর পাশে খড়ি রাখার ঘরে খড়ির নিচে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে এসব অস্ত্র উদ্ধার হয়।
উদ্ধার করা অস্ত্র সম্পর্কে স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাঁরা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে অস্ত্রগুলোর উৎস বা মালিকানা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে র্যাব জানিয়েছে। তাই একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে অস্ত্রগুলো তানোর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।

পোশাক খাতে দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ‘ওয়েল গ্রুপ’। বেকারি পণ্য ও হোটেল ব্যবসায়ও সুনাম রয়েছে গ্রুপটির। বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয়ের রেকর্ড রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কর্ণধার আব্দুচ ছালামের শ্রম ও ঘামে তিলে তিলে শূন্য থেকে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ওয়েল গ্রুপ।
০২ জুলাই ২০২৫
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর বেলা ৩টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ-সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে যায়।
২৪ মিনিট আগে
খুলনার ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দেবাশীষ চক্রবর্তী (৩৫) নামের মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার আঠারো মাইল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনার ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দেবাশীষ চক্রবর্তী (৩৫) নামের মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার আঠারো মাইল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মধুসূদন চক্রবর্তীর ছেলে। এ ঘটনায় চালক মো. আতিয়ার রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ডুমুরিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু বলেন, আজ সকালে মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমান আরোহীসহ তালা থেকে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। ৮টা ২০ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলটি ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল মোড়ে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস কাউন্টারের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী গুরুতর আহত হলে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দুজনকে চিকিৎসার জন্য তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানকার চিকিৎসক দেবাশীষ চক্রবর্তীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমানকে চিকিৎসার জন্য ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মধুসূদন চক্রবর্তীর ছেলে। এ ঘটনায় চালক মো. আতিয়ার রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ডুমুরিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু বলেন, আজ সকালে মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমান আরোহীসহ তালা থেকে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। ৮টা ২০ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলটি ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল মোড়ে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস কাউন্টারের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী গুরুতর আহত হলে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দুজনকে চিকিৎসার জন্য তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানকার চিকিৎসক দেবাশীষ চক্রবর্তীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমানকে চিকিৎসার জন্য ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

খুলনার ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দেবাশীষ চক্রবর্তী (৩৫) নামের মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার আঠারো মাইল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মধুসূদন চক্রবর্তীর ছেলে। এ ঘটনায় চালক মো. আতিয়ার রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ডুমুরিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু বলেন, আজ সকালে মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমান আরোহীসহ তালা থেকে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। ৮টা ২০ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলটি ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল মোড়ে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস কাউন্টারের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী গুরুতর আহত হলে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দুজনকে চিকিৎসার জন্য তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানকার চিকিৎসক দেবাশীষ চক্রবর্তীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমানকে চিকিৎসার জন্য ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মধুসূদন চক্রবর্তীর ছেলে। এ ঘটনায় চালক মো. আতিয়ার রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ডুমুরিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু বলেন, আজ সকালে মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমান আরোহীসহ তালা থেকে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। ৮টা ২০ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলটি ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল মোড়ে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস কাউন্টারের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী গুরুতর আহত হলে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দুজনকে চিকিৎসার জন্য তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানকার চিকিৎসক দেবাশীষ চক্রবর্তীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমানকে চিকিৎসার জন্য ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

পোশাক খাতে দেশের অন্যতম রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ‘ওয়েল গ্রুপ’। বেকারি পণ্য ও হোটেল ব্যবসায়ও সুনাম রয়েছে গ্রুপটির। বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয়ের রেকর্ড রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কর্ণধার আব্দুচ ছালামের শ্রম ও ঘামে তিলে তিলে শূন্য থেকে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ওয়েল গ্রুপ।
০২ জুলাই ২০২৫
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর বেলা ৩টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ-সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে যায়।
২৪ মিনিট আগে
রাজশাহীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার গভীর রাতে র্যাব-৫-এর রাজশাহী সদর কোম্পানির একটি দল জেলার তানোর উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালায়। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি খালি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, বারোটি শটগানের গুলি, চারটি পাইপগান, ছয়টি
১ ঘণ্টা আগে