সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপিতে গত ছয় মাসে বিভিন্ন পদমর্যাদার অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য বদলি হয়েছেন। অল্প সময়ে এতগুলো বদলির ব্যাপারে পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, এটা স্বাভাবিক বদলির একটা অংশ।
এ বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, পুলিশ সার্ভিসে একটি বিধান আছে, যার বাড়ি যে জেলায়, তিনি সেখানে চাকরি করতে পারেন না। আরেকটি নীতিমালা হচ্ছে, যে জেলার বাসিন্দা, সে জেলার মেট্রোপলিটন ইউনিটেও চাকরি করা যাবে না। যুক্তি হচ্ছে, নিজ জেলায় বা মেট্রোপলিটনে চাকরি করলে তাঁদের ওপর তদবিরের চাপ থাকে।
সিএমপি কমিশনার বলেন, সে বিবেচনায় প্রথম ধাপে যাঁরা চট্টগ্রামের বাসিন্দা, তাঁদের বদলি করা হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সিএমপি ইউনিটে চাকরি করছেন, তাঁদেরও বদলি করা হবে। এটি একেবারেই স্বাভাবিক বদলির অংশ। অবশ্য সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরকে গতকাল বিকেলে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর নতুন মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বদলি আদেশের পর্যালোচনায় জানা গেছে, সিএমপির বদলিকৃত সদস্যদের অধিকাংশই চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার বাসিন্দা। আবার অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে ঘুরে–ফিরে সিএমপিতে কর্মরত ছিলেন। আবার কারও বিরুদ্ধে বিতর্কে জড়ানোরও অভিযোগ রয়েছে।
সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপকমিশনার আরাফাতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, যতগুলো বদলির আদেশ হয়েছে, সেখানে জনস্বার্থে বদলির বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এটা নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে পড়ে। যদি শাস্তিমূলক বা অন্য কোনো কারণ থাকলে তা আদেশেই উল্লেখ থাকত।
পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশের কাজে স্বচ্ছতা আনা, সিএমপিতে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকা এবং চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এসব বদলি হচ্ছে। এতে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে থাকার কারণে স্বজনপ্রীতিও দূর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এটা নিয়ে সিএমপি চট্টগ্রামের সদস্যদের একটা অংশের ক্ষোভ রয়েছে।
গণবদলির শিকার চট্টগ্রামের বাসিন্দা বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের অন্যান্য ইউনিটে এ নীতিমালা সেভাবে কার্যকর নয়। কেবল চট্টগ্রামেই এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাঁরা বলছেন, মূলত সিএমপিতে কর্মরত চট্টগ্রামবিদ্বেষী একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী রয়েছে। যারা চায় না চট্টগ্রামের বাসিন্দা পুলিশ সদস্যরা চট্টগ্রামে চাকরি করুক। সিএমপি সূত্র জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিএমপির ৩৬ জন পুলিশ কনস্টেবলকে একযোগে বদলি করে আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়নে পাঠানো হয়। তাঁদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে। এরপর ২৭ মে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সিএমপিতে কর্মরত আটজন অতিরিক্ত উপকমিশনার ও তিনজন সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার ১১ জন কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের বাইরে বদলির আদেশ আসে। এর মধ্যে ৯ জনের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলায়। বাকি দুজনের পার্বত্য জেলাতে। ৭ জুলাই বাকলিয়া ও চকবাজার থানার দুই ওসিকে রংপুর ও রাজশাহী রেঞ্জে বদলির আদেশ দেওয়া হয়।
গত ৩ আগস্ট পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপনে আরও ১০ জন পুলিশ পরিদর্শকের বদলির আদেশ হয়। ৮ আগস্ট হালিশহর থানার ওসি ও পতেঙ্গা থানার ওসিকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়।
৯ আগস্ট চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপির বিশেষ শাখায় কর্মরত থাকা অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফকে চট্টগ্রাম পিবিআইতে বদলি করা হয়। সর্বশেষ ১৮ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরে পৃথক আদেশে সিএমপিতে ঘুরেফিরে দীর্ঘদিন কর্মরত ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীনকে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষ দিকে সিএমপিতে কর্মরত চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। পরে ১৩ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলির একটি আদেশ আসে, তাঁদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে। এ নিয়ে বদলি–আতঙ্ক তৈরি হয় সিএমপি সদস্যদের মাঝে।
২০২০ সালেও শতাধিক পুলিশ সদস্যকে সিএমপি থেকে বদলি হয়। জানা যায়, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর সিএমপির ৩০তম পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। যোগদানের পর সিএমপিকে ঢেলে সাজানোর বিভিন্ন উদ্যোগ নেন তিনি।
সিএমপির অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে ২০১৯ সাল থেকে সিএমপিতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তালিকা করা শুরু হয়। সিএমপিতে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার পাশাপাশি বিতর্কিতদের নিয়েও এ তালিকার তৈরির কাজ চলে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপিতে গত ছয় মাসে বিভিন্ন পদমর্যাদার অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য বদলি হয়েছেন। অল্প সময়ে এতগুলো বদলির ব্যাপারে পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, এটা স্বাভাবিক বদলির একটা অংশ।
এ বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, পুলিশ সার্ভিসে একটি বিধান আছে, যার বাড়ি যে জেলায়, তিনি সেখানে চাকরি করতে পারেন না। আরেকটি নীতিমালা হচ্ছে, যে জেলার বাসিন্দা, সে জেলার মেট্রোপলিটন ইউনিটেও চাকরি করা যাবে না। যুক্তি হচ্ছে, নিজ জেলায় বা মেট্রোপলিটনে চাকরি করলে তাঁদের ওপর তদবিরের চাপ থাকে।
সিএমপি কমিশনার বলেন, সে বিবেচনায় প্রথম ধাপে যাঁরা চট্টগ্রামের বাসিন্দা, তাঁদের বদলি করা হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সিএমপি ইউনিটে চাকরি করছেন, তাঁদেরও বদলি করা হবে। এটি একেবারেই স্বাভাবিক বদলির অংশ। অবশ্য সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরকে গতকাল বিকেলে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর নতুন মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বদলি আদেশের পর্যালোচনায় জানা গেছে, সিএমপির বদলিকৃত সদস্যদের অধিকাংশই চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার বাসিন্দা। আবার অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে ঘুরে–ফিরে সিএমপিতে কর্মরত ছিলেন। আবার কারও বিরুদ্ধে বিতর্কে জড়ানোরও অভিযোগ রয়েছে।
সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপকমিশনার আরাফাতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, যতগুলো বদলির আদেশ হয়েছে, সেখানে জনস্বার্থে বদলির বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এটা নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে পড়ে। যদি শাস্তিমূলক বা অন্য কোনো কারণ থাকলে তা আদেশেই উল্লেখ থাকত।
পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশের কাজে স্বচ্ছতা আনা, সিএমপিতে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকা এবং চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এসব বদলি হচ্ছে। এতে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে থাকার কারণে স্বজনপ্রীতিও দূর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এটা নিয়ে সিএমপি চট্টগ্রামের সদস্যদের একটা অংশের ক্ষোভ রয়েছে।
গণবদলির শিকার চট্টগ্রামের বাসিন্দা বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের অন্যান্য ইউনিটে এ নীতিমালা সেভাবে কার্যকর নয়। কেবল চট্টগ্রামেই এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাঁরা বলছেন, মূলত সিএমপিতে কর্মরত চট্টগ্রামবিদ্বেষী একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী রয়েছে। যারা চায় না চট্টগ্রামের বাসিন্দা পুলিশ সদস্যরা চট্টগ্রামে চাকরি করুক। সিএমপি সূত্র জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিএমপির ৩৬ জন পুলিশ কনস্টেবলকে একযোগে বদলি করে আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়নে পাঠানো হয়। তাঁদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে। এরপর ২৭ মে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সিএমপিতে কর্মরত আটজন অতিরিক্ত উপকমিশনার ও তিনজন সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার ১১ জন কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের বাইরে বদলির আদেশ আসে। এর মধ্যে ৯ জনের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলায়। বাকি দুজনের পার্বত্য জেলাতে। ৭ জুলাই বাকলিয়া ও চকবাজার থানার দুই ওসিকে রংপুর ও রাজশাহী রেঞ্জে বদলির আদেশ দেওয়া হয়।
গত ৩ আগস্ট পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপনে আরও ১০ জন পুলিশ পরিদর্শকের বদলির আদেশ হয়। ৮ আগস্ট হালিশহর থানার ওসি ও পতেঙ্গা থানার ওসিকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়।
৯ আগস্ট চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপির বিশেষ শাখায় কর্মরত থাকা অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফকে চট্টগ্রাম পিবিআইতে বদলি করা হয়। সর্বশেষ ১৮ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরে পৃথক আদেশে সিএমপিতে ঘুরেফিরে দীর্ঘদিন কর্মরত ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীনকে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষ দিকে সিএমপিতে কর্মরত চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। পরে ১৩ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলির একটি আদেশ আসে, তাঁদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে। এ নিয়ে বদলি–আতঙ্ক তৈরি হয় সিএমপি সদস্যদের মাঝে।
২০২০ সালেও শতাধিক পুলিশ সদস্যকে সিএমপি থেকে বদলি হয়। জানা যায়, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর সিএমপির ৩০তম পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। যোগদানের পর সিএমপিকে ঢেলে সাজানোর বিভিন্ন উদ্যোগ নেন তিনি।
সিএমপির অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে ২০১৯ সাল থেকে সিএমপিতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তালিকা করা শুরু হয়। সিএমপিতে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার পাশাপাশি বিতর্কিতদের নিয়েও এ তালিকার তৈরির কাজ চলে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামালপুরে অন্তঃকোন্দলে ভুগছে বিএনপি। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচার শুরু করা জামায়াতে ইসলামী রয়েছে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে। এ ছাড়া প্রচারে রয়েছে ইসলামী আন্দোলনও।
৩০ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস এবং লক্ষ্মীপুরে শিশু আয়েশা আক্তারকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এনসিপির অঙ্গসংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তি। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশে শ্রমিকনেতারা অবিলম্বে দোষীদের...
১ ঘণ্টা আগে
উপজেলা প্রশাসন জানায়, আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হেলিকপ্টারে করে পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আনা হয় জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি একই উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি হয়।
২ ঘণ্টা আগেজামালপুরের ৫টি আসন
জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামালপুরে অন্তঃকোন্দলে ভুগছে বিএনপি। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচার শুরু করা জামায়াতে ইসলামী রয়েছে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে। এ ছাড়া প্রচারে রয়েছে ইসলামী আন্দোলনও। আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলার সব কটি আসনে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বললেও মাঠে দৃশ্যমান তৎপরতা নেই।
আয়তনে ২ হাজার ৩২ বর্গকিলোমিটার ও ৭ উপজেলা, ৮টি পৌরসভা এবং ৬৮ ইউনিয়ন নিয়ে জামালপুর জেলার আসনসংখ্যা ৫। জেলার মোট ভোটার ২১ লাখ ৩৫ হাজার ১১৬ জন। এই জেলায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) তিনটি আসনে এবং গণঅধিকার পরিষদ তিনটি আসনে প্রার্থী দিলেও প্রচারে নেই কেউ। আর নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতা নেই জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা জাপার আহ্বায়ক জাকির হোসেন খান। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশ পেলে প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামবেন, এমন প্রস্তুতি আছে।
জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ)
দুটি উপজেলা, ২টি পৌরসভা এবং ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জামালপুর-১ আসন। এই আসনে ২০০১ সালে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মিল্লাতকে (কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ) দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির শুরা সদস্য নাজমুল হক সাইদীকে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার আগে থেকে আসনটিতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা কোমর বেঁধে মাঠে প্রচারে নেমেছেন।
জামালপুর-২ (ইসলামপুর)
জেলার ১ উপজেলা, ১ পৌরসভা আর ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসন। এবার নির্বাচনে আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবুকে। তিনি ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে তাঁর দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, মিছিল সমাবেশ করছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আবদুল হালিমের অনুসারীরা। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের ছোট ভাই শরিফুল ইসলাম খানও দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন।
আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সামিউল হক ফারুকীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ সিরাজী, আর গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী মো. ইসমাঈল হোসেন। আসনটিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর পক্ষে জোরালো প্রচার চলছে।
জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ)
২টি উপজেলা, ৩টি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আসনটিতে ১৯৯১ সাল থেকে ৭ বার নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের র্মিজা আজম। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সহসম্পাদক ও মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে মাঠে নেমেছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩ প্রার্থী। তাঁরা হচ্ছেন সাবেক সচিব এ কে এম ইহসানুল হক, মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জ এবং মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান শুভ। তাঁরা মনোনয়ন পরিবর্তন চেয়ে মিছিল, সমাবেশসহ গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যাপক মজিবুর রহমান আজাদী প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী)
এই আসনে ১৯৯১ সালে আসনটিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাঁর ভাতিজা এবং জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমকে।
এ ছাড়া আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী করা হয়েছে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল আওয়ালকে। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. আলী আকবর সিদ্দিক। এ ছাড়া গণপরিষদের মো. ইকবাল হোসেন এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মাহবুব জামানকে প্রার্থী করা হয়েছে।
জামালপুর-৫ (সদর)
আগামী নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক এবং জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনকে। জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন জেলা আমির মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মোস্তফা কামাল, গণঅধিকার পরিষদের জাকির হোসেন এবং কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাসকে।
সব মিলিয়ে জামালপুরের ৫ আসনেই নির্বাচনের আমেজ বইতে শুরু করেছে। প্রার্থীরা তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ভোটাররাও তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে মুখিয়ে আছেন। তবে নতুন ভোটাররা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁদের প্রথম ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামালপুরে অন্তঃকোন্দলে ভুগছে বিএনপি। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচার শুরু করা জামায়াতে ইসলামী রয়েছে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে। এ ছাড়া প্রচারে রয়েছে ইসলামী আন্দোলনও। আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলার সব কটি আসনে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বললেও মাঠে দৃশ্যমান তৎপরতা নেই।
আয়তনে ২ হাজার ৩২ বর্গকিলোমিটার ও ৭ উপজেলা, ৮টি পৌরসভা এবং ৬৮ ইউনিয়ন নিয়ে জামালপুর জেলার আসনসংখ্যা ৫। জেলার মোট ভোটার ২১ লাখ ৩৫ হাজার ১১৬ জন। এই জেলায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) তিনটি আসনে এবং গণঅধিকার পরিষদ তিনটি আসনে প্রার্থী দিলেও প্রচারে নেই কেউ। আর নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতা নেই জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা জাপার আহ্বায়ক জাকির হোসেন খান। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশ পেলে প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামবেন, এমন প্রস্তুতি আছে।
জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ)
দুটি উপজেলা, ২টি পৌরসভা এবং ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জামালপুর-১ আসন। এই আসনে ২০০১ সালে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মিল্লাতকে (কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ) দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির শুরা সদস্য নাজমুল হক সাইদীকে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার আগে থেকে আসনটিতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা কোমর বেঁধে মাঠে প্রচারে নেমেছেন।
জামালপুর-২ (ইসলামপুর)
জেলার ১ উপজেলা, ১ পৌরসভা আর ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসন। এবার নির্বাচনে আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবুকে। তিনি ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে তাঁর দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, মিছিল সমাবেশ করছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আবদুল হালিমের অনুসারীরা। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের ছোট ভাই শরিফুল ইসলাম খানও দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন।
আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সামিউল হক ফারুকীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ সিরাজী, আর গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী মো. ইসমাঈল হোসেন। আসনটিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর পক্ষে জোরালো প্রচার চলছে।
জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ)
২টি উপজেলা, ৩টি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আসনটিতে ১৯৯১ সাল থেকে ৭ বার নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের র্মিজা আজম। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সহসম্পাদক ও মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে মাঠে নেমেছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩ প্রার্থী। তাঁরা হচ্ছেন সাবেক সচিব এ কে এম ইহসানুল হক, মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জ এবং মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান শুভ। তাঁরা মনোনয়ন পরিবর্তন চেয়ে মিছিল, সমাবেশসহ গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যাপক মজিবুর রহমান আজাদী প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী)
এই আসনে ১৯৯১ সালে আসনটিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাঁর ভাতিজা এবং জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমকে।
এ ছাড়া আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী করা হয়েছে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল আওয়ালকে। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. আলী আকবর সিদ্দিক। এ ছাড়া গণপরিষদের মো. ইকবাল হোসেন এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মাহবুব জামানকে প্রার্থী করা হয়েছে।
জামালপুর-৫ (সদর)
আগামী নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক এবং জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনকে। জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন জেলা আমির মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মোস্তফা কামাল, গণঅধিকার পরিষদের জাকির হোসেন এবং কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাসকে।
সব মিলিয়ে জামালপুরের ৫ আসনেই নির্বাচনের আমেজ বইতে শুরু করেছে। প্রার্থীরা তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ভোটাররাও তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে মুখিয়ে আছেন। তবে নতুন ভোটাররা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁদের প্রথম ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপিতে গত ছয় মাসে বিভিন্ন পদমর্যাদার অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য বদলি হয়েছেন। অল্প সময়ে এতগুলো বদলির ব্যাপারে পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, এটা স্বাভাবিক বদলির একটা অংশ।
২০ আগস্ট ২০২১
ময়মনসিংহে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস এবং লক্ষ্মীপুরে শিশু আয়েশা আক্তারকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এনসিপির অঙ্গসংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তি। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশে শ্রমিকনেতারা অবিলম্বে দোষীদের...
১ ঘণ্টা আগে
উপজেলা প্রশাসন জানায়, আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হেলিকপ্টারে করে পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আনা হয় জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি একই উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ময়মনসিংহে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস এবং লক্ষ্মীপুরে শিশু আয়েশা আক্তারকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এনসিপির অঙ্গসংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তি। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশে শ্রমিকনেতারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি জানান।
রোববার বেলা ৩টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম ফকির, সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব ঋআজ মোর্শেদ।
বক্তারা বলেন, শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস বা শিশু আয়েশার ওপর যে পাশবিকতা চালানো হয়েছে, তা কোনো সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না। কর্মক্ষেত্রে ও নিজ জনপদে সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকদের জানমালের নিরাপত্তা আজ চরম সংকটে। যদি অনতিবিলম্বে খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হয়, তবে মেহনতি মানুষ রাজপথে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
বক্তারা আরও বলেন, ‘শ্রমিকেরাই এই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে, অথচ তাদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। শিশু আয়েশার মতো নিষ্পাপ প্রাণের এই মৃত্যু আমাদের বিচারব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি ভাঙতে চাই।’
সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফ মোস্তাফিজ, মুশফিক উস সালেহীন মোল্লা ফারুক এহসান, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ভেমপালী ডেভিড রাজু ও কৈলাস চন্দ্র রবিদাস প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক শক্তির মুখ্য সংগঠক আরমান হোসাইন, যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব সৌরভ খান সুজন, যুগ্ম সদস্যসচিব তৌফিকুজ্জামান পীরাচাসহ অন্যান্য নেতা।
শ্রমিকশক্তি নেতারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানান। তাঁরা আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং একই সঙ্গে সারা দেশে শ্রমিক ও সাধারণ নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

ময়মনসিংহে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস এবং লক্ষ্মীপুরে শিশু আয়েশা আক্তারকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এনসিপির অঙ্গসংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তি। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশে শ্রমিকনেতারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি জানান।
রোববার বেলা ৩টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম ফকির, সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব ঋআজ মোর্শেদ।
বক্তারা বলেন, শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস বা শিশু আয়েশার ওপর যে পাশবিকতা চালানো হয়েছে, তা কোনো সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না। কর্মক্ষেত্রে ও নিজ জনপদে সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকদের জানমালের নিরাপত্তা আজ চরম সংকটে। যদি অনতিবিলম্বে খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হয়, তবে মেহনতি মানুষ রাজপথে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
বক্তারা আরও বলেন, ‘শ্রমিকেরাই এই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে, অথচ তাদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। শিশু আয়েশার মতো নিষ্পাপ প্রাণের এই মৃত্যু আমাদের বিচারব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি ভাঙতে চাই।’
সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফ মোস্তাফিজ, মুশফিক উস সালেহীন মোল্লা ফারুক এহসান, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ভেমপালী ডেভিড রাজু ও কৈলাস চন্দ্র রবিদাস প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক শক্তির মুখ্য সংগঠক আরমান হোসাইন, যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব সৌরভ খান সুজন, যুগ্ম সদস্যসচিব তৌফিকুজ্জামান পীরাচাসহ অন্যান্য নেতা।
শ্রমিকশক্তি নেতারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানান। তাঁরা আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং একই সঙ্গে সারা দেশে শ্রমিক ও সাধারণ নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপিতে গত ছয় মাসে বিভিন্ন পদমর্যাদার অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য বদলি হয়েছেন। অল্প সময়ে এতগুলো বদলির ব্যাপারে পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, এটা স্বাভাবিক বদলির একটা অংশ।
২০ আগস্ট ২০২১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামালপুরে অন্তঃকোন্দলে ভুগছে বিএনপি। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচার শুরু করা জামায়াতে ইসলামী রয়েছে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে। এ ছাড়া প্রচারে রয়েছে ইসলামী আন্দোলনও।
৩০ মিনিট আগে
উপজেলা প্রশাসন জানায়, আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হেলিকপ্টারে করে পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আনা হয় জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি একই উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি হয়।
২ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেজে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় শহীদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের (৩০) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্তব্ধ হয়ে গেছে পরিবারের সদস্যরা। জাহাঙ্গীর আলম কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের মো. হযরত আলীর ছেলে। ১১ বছরের বেশি সময় ধরে জাহাঙ্গীর আলম সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হেলিকপ্টারে করে পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আনা হয় জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নেওয়া হয় একই উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে তাঁর বাড়িতে। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির সামনে ফসলের মাঠে তাঁর জানাজা হয়। পরে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাঁকে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর বড় ভাই মো. ওয়ালী উল্লাহ বলেন, জাহাঙ্গীর শাহাদাতবরণ করেছেন। তাঁর জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন জাহাঙ্গীরকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন।
জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রুবাইয়া আক্তার স্বামীর ছবি ও তিন বছরের ছেলে ইফরানকে বুকে আঁকড়ে ধরে স্তব্ধ হয়ে বসে থাকছেন। মাঝেমধ্যে চিৎকার করে কেঁদে উঠছেন।
নিহত জাহাঙ্গীরের বাবা হযরত আলী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার ছেলে আমাদের সব চালাত। ঋণ করে ঘর বানাচ্ছিল, আশা ছিল, এই ঘরেই থাকবে। সেই আশা আর পূরণ হলো না।’
বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন শহীদ জাহাঙ্গীর আলমের মা পালিমা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে কই? কেউ আমার ছেলেরে আইনা দেও। আল্লাহ তুমি আমার ছেলেরে আইন্না দেও। সে কারও ক্ষতি করে নাই। তবু কেন আমার ছেলেটারে মারল?’
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুপম দাস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান বলেন, সেনাসদস্য জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গর্বিত করেছেন।

সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেজে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় শহীদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের (৩০) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্তব্ধ হয়ে গেছে পরিবারের সদস্যরা। জাহাঙ্গীর আলম কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের মো. হযরত আলীর ছেলে। ১১ বছরের বেশি সময় ধরে জাহাঙ্গীর আলম সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হেলিকপ্টারে করে পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আনা হয় জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নেওয়া হয় একই উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে তাঁর বাড়িতে। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির সামনে ফসলের মাঠে তাঁর জানাজা হয়। পরে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাঁকে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর বড় ভাই মো. ওয়ালী উল্লাহ বলেন, জাহাঙ্গীর শাহাদাতবরণ করেছেন। তাঁর জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন জাহাঙ্গীরকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন।
জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রুবাইয়া আক্তার স্বামীর ছবি ও তিন বছরের ছেলে ইফরানকে বুকে আঁকড়ে ধরে স্তব্ধ হয়ে বসে থাকছেন। মাঝেমধ্যে চিৎকার করে কেঁদে উঠছেন।
নিহত জাহাঙ্গীরের বাবা হযরত আলী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার ছেলে আমাদের সব চালাত। ঋণ করে ঘর বানাচ্ছিল, আশা ছিল, এই ঘরেই থাকবে। সেই আশা আর পূরণ হলো না।’
বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন শহীদ জাহাঙ্গীর আলমের মা পালিমা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে কই? কেউ আমার ছেলেরে আইনা দেও। আল্লাহ তুমি আমার ছেলেরে আইন্না দেও। সে কারও ক্ষতি করে নাই। তবু কেন আমার ছেলেটারে মারল?’
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুপম দাস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান বলেন, সেনাসদস্য জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গর্বিত করেছেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপিতে গত ছয় মাসে বিভিন্ন পদমর্যাদার অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য বদলি হয়েছেন। অল্প সময়ে এতগুলো বদলির ব্যাপারে পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, এটা স্বাভাবিক বদলির একটা অংশ।
২০ আগস্ট ২০২১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামালপুরে অন্তঃকোন্দলে ভুগছে বিএনপি। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচার শুরু করা জামায়াতে ইসলামী রয়েছে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে। এ ছাড়া প্রচারে রয়েছে ইসলামী আন্দোলনও।
৩০ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস এবং লক্ষ্মীপুরে শিশু আয়েশা আক্তারকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এনসিপির অঙ্গসংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তি। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশে শ্রমিকনেতারা অবিলম্বে দোষীদের...
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি হয়।
‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আধিপত্যবাদবিরোধী শিক্ষক ঐক্য’-এর ব্যানারে এটি আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সমন্বয়কারী ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসান।
মানববন্ধনে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের পরিণতি যেন হায়দরাবাদ, ফিলিস্তিন ও সিকিমের মতো না হয়, সে জন্য সব ধরনের আধিপত্যবাদী শক্তির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে অধ্যাপক জামাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা যদি আধিপত্যবাদবিরোধী শক্তির ঐক্যের প্রতীক শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার না পাই, তাহলে লাখ লাখ মানুষ জানাজায় গিয়ে লাভ নেই। আমাদের ওসমান হাদি হত্যার বিচার নিশ্চিত করতেই হবে।’
ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. নেসারুল করিম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধা ওসমান হাদিকে হত্যার মাধ্যমে বিপ্লবের চেতনা দমিয়ে রাখা যাবে না। কেউ যদি মনে করে, জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটকে দমিয়ে রাখতে পারবে, তাদের চিন্তাভাবনা ভুল। তারা একজন হাদিকে হত্যা করে বাংলায় লাখো হাদির জন্ম দিয়েছে।’
মানববন্ধন থেকে চার দফা দাবি ঘোষণা করেন ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ। সেগুলো হলো—শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে; শুধু প্রত্যক্ষ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার করলেই হবে না, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যেসব মাস্টারমাইন্ড রাজনীতিবিদ অথবা অন্য কুশীলব জড়িত বা ষড়যন্ত্র করেছে বলে প্রতীয়মান হয়, তাদেরও জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে।
হাদির মতো দ্বিতীয় আর কাউকে যেন জীবন দিতে না হয়, সে জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে। যেসব ষড়যন্ত্রকারী ও ফ্যাসিস্টের দোসর এখনো দেশের ভেতরে থেকে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে; অধিকন্তু, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও পূরণ না হওয়া যে আকাঙ্ক্ষা অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত হয়েছে, বাংলাদেশে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি ছিল, সেটির চিরকবর দিয়ে ইনসাফের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোছাইন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি সালেহ নোমান, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ড. শহীদুল হক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. এনায়েত উল্লাহ পাটওয়ারী।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি হয়।
‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আধিপত্যবাদবিরোধী শিক্ষক ঐক্য’-এর ব্যানারে এটি আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সমন্বয়কারী ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসান।
মানববন্ধনে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের পরিণতি যেন হায়দরাবাদ, ফিলিস্তিন ও সিকিমের মতো না হয়, সে জন্য সব ধরনের আধিপত্যবাদী শক্তির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে অধ্যাপক জামাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা যদি আধিপত্যবাদবিরোধী শক্তির ঐক্যের প্রতীক শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার না পাই, তাহলে লাখ লাখ মানুষ জানাজায় গিয়ে লাভ নেই। আমাদের ওসমান হাদি হত্যার বিচার নিশ্চিত করতেই হবে।’
ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. নেসারুল করিম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধা ওসমান হাদিকে হত্যার মাধ্যমে বিপ্লবের চেতনা দমিয়ে রাখা যাবে না। কেউ যদি মনে করে, জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটকে দমিয়ে রাখতে পারবে, তাদের চিন্তাভাবনা ভুল। তারা একজন হাদিকে হত্যা করে বাংলায় লাখো হাদির জন্ম দিয়েছে।’
মানববন্ধন থেকে চার দফা দাবি ঘোষণা করেন ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ। সেগুলো হলো—শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে; শুধু প্রত্যক্ষ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার করলেই হবে না, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যেসব মাস্টারমাইন্ড রাজনীতিবিদ অথবা অন্য কুশীলব জড়িত বা ষড়যন্ত্র করেছে বলে প্রতীয়মান হয়, তাদেরও জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে।
হাদির মতো দ্বিতীয় আর কাউকে যেন জীবন দিতে না হয়, সে জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে। যেসব ষড়যন্ত্রকারী ও ফ্যাসিস্টের দোসর এখনো দেশের ভেতরে থেকে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে; অধিকন্তু, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও পূরণ না হওয়া যে আকাঙ্ক্ষা অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত হয়েছে, বাংলাদেশে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি ছিল, সেটির চিরকবর দিয়ে ইনসাফের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোছাইন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি সালেহ নোমান, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ড. শহীদুল হক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. এনায়েত উল্লাহ পাটওয়ারী।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপিতে গত ছয় মাসে বিভিন্ন পদমর্যাদার অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য বদলি হয়েছেন। অল্প সময়ে এতগুলো বদলির ব্যাপারে পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, এটা স্বাভাবিক বদলির একটা অংশ।
২০ আগস্ট ২০২১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামালপুরে অন্তঃকোন্দলে ভুগছে বিএনপি। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচার শুরু করা জামায়াতে ইসলামী রয়েছে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে। এ ছাড়া প্রচারে রয়েছে ইসলামী আন্দোলনও।
৩০ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস এবং লক্ষ্মীপুরে শিশু আয়েশা আক্তারকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এনসিপির অঙ্গসংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তি। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশে শ্রমিকনেতারা অবিলম্বে দোষীদের...
১ ঘণ্টা আগে
উপজেলা প্রশাসন জানায়, আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হেলিকপ্টারে করে পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আনা হয় জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি একই উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে।
১ ঘণ্টা আগে