Ajker Patrika

সিএমপিতে ৬ মাসে অর্ধশতাধিক বদলি

সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২১, ০৯: ০৮
সিএমপিতে ৬ মাসে অর্ধশতাধিক বদলি

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপিতে গত ছয় মাসে বিভিন্ন পদমর্যাদার অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য বদলি হয়েছেন। অল্প সময়ে এতগুলো বদলির ব্যাপারে পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, এটা স্বাভাবিক বদলির একটা অংশ।

এ বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, পুলিশ সার্ভিসে একটি বিধান আছে, যার বাড়ি যে জেলায়, তিনি সেখানে চাকরি করতে পারেন না। আরেকটি নীতিমালা হচ্ছে, যে জেলার বাসিন্দা, সে জেলার মেট্রোপলিটন ইউনিটেও চাকরি করা যাবে না। যুক্তি হচ্ছে, নিজ জেলায় বা মেট্রোপলিটনে চাকরি করলে তাঁদের ওপর তদবিরের চাপ থাকে।

সিএমপি কমিশনার বলেন, সে বিবেচনায় প্রথম ধাপে যাঁরা চট্টগ্রামের বাসিন্দা, তাঁদের বদলি করা হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সিএমপি ইউনিটে চাকরি করছেন, তাঁদেরও বদলি করা হবে। এটি একেবারেই স্বাভাবিক বদলির অংশ। অবশ্য সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরকে গতকাল বিকেলে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর নতুন মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বদলি আদেশের পর্যালোচনায় জানা গেছে, সিএমপির বদলিকৃত সদস্যদের অধিকাংশই চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার বাসিন্দা। আবার অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে ঘুরে–ফিরে সিএমপিতে কর্মরত ছিলেন। আবার কারও বিরুদ্ধে বিতর্কে জড়ানোরও অভিযোগ রয়েছে।

সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপকমিশনার আরাফাতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, যতগুলো বদলির আদেশ হয়েছে, সেখানে জনস্বার্থে বদলির বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এটা নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে পড়ে। যদি শাস্তিমূলক বা অন্য কোনো কারণ থাকলে তা আদেশেই উল্লেখ থাকত।

পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশের কাজে স্বচ্ছতা আনা, সিএমপিতে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকা এবং চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এসব বদলি হচ্ছে। এতে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে থাকার কারণে স্বজনপ্রীতিও দূর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এটা নিয়ে সিএমপি চট্টগ্রামের সদস্যদের একটা অংশের ক্ষোভ রয়েছে।

গণবদলির শিকার চট্টগ্রামের বাসিন্দা বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের অন্যান্য ইউনিটে এ নীতিমালা সেভাবে কার্যকর নয়। কেবল চট্টগ্রামেই এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাঁরা বলছেন, মূলত সিএমপিতে কর্মরত চট্টগ্রামবিদ্বেষী একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী রয়েছে। যারা চায় না চট্টগ্রামের বাসিন্দা পুলিশ সদস্যরা চট্টগ্রামে চাকরি করুক। সিএমপি সূত্র জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিএমপির ৩৬ জন পুলিশ কনস্টেবলকে একযোগে বদলি করে আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়নে পাঠানো হয়। তাঁদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে। এরপর ২৭ মে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সিএমপিতে কর্মরত আটজন অতিরিক্ত উপকমিশনার ও তিনজন সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার ১১ জন কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের বাইরে বদলির আদেশ আসে। এর মধ্যে ৯ জনের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলায়। বাকি দুজনের পার্বত্য জেলাতে। ৭ জুলাই বাকলিয়া ও চকবাজার থানার দুই ওসিকে রংপুর ও রাজশাহী রেঞ্জে বদলির আদেশ দেওয়া হয়।

গত ৩ আগস্ট পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপনে আরও ১০ জন পুলিশ পরিদর্শকের বদলির আদেশ হয়। ৮ আগস্ট হালিশহর থানার ওসি ও পতেঙ্গা থানার ওসিকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়।

৯ আগস্ট চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপির বিশেষ শাখায় কর্মরত থাকা অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফকে চট্টগ্রাম পিবিআইতে বদলি করা হয়। সর্বশেষ ১৮ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরে পৃথক আদেশে সিএমপিতে ঘুরেফিরে দীর্ঘদিন কর্মরত ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীনকে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষ দিকে সিএমপিতে কর্মরত চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। পরে ১৩ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলির একটি আদেশ আসে, তাঁদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে। এ নিয়ে বদলি–আতঙ্ক তৈরি হয় সিএমপি সদস্যদের মাঝে।

২০২০ সালেও শতাধিক পুলিশ সদস্যকে সিএমপি থেকে বদলি হয়। জানা যায়, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর সিএমপির ৩০তম পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। যোগদানের পর সিএমপিকে ঢেলে সাজানোর বিভিন্ন উদ্যোগ নেন তিনি।

সিএমপির অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে ২০১৯ সাল থেকে সিএমপিতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তালিকা করা শুরু হয়। সিএমপিতে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার পাশাপাশি বিতর্কিতদের নিয়েও এ তালিকার তৈরির কাজ চলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত মেহেরপুরের জনজীবন, তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
গাংনীতে ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাংনীতে ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুর জেলায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর সঙ্গে বইছে ঝিরি ঝিরি বাতাস। সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থায় পড়েছে মানুষ।

কুয়াশা উপেক্ষা করেই মানুষ নিজ নিজ কাজে বের হচ্ছে। যানবাহনগুলো ধীরগতিতে কুয়াশা ভেদ করে চলাচল করছে। দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ জীবিকার তাগিদে কাজে ছুটছেন। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ সকালে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চারদিক এত কুয়াশায় ঢাকা যে অনেক সময় রাস্তা স্পষ্ট দেখা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে রাস্তায় বের হতে ভয় লাগছে। এর সঙ্গে তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাসে হাত-পা ঝিনঝিন করছে।

মাঠে কাজ করতে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, চরম শীত আর কুয়াশার মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বইছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।

আরেক শ্রমিক শিপন আলী বলেন, ‘আমরা দিনমজুর। কাজ না করলে পরিবার নিয়ে চলা কঠিন। আজ শীত খুব বেশি। হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে, কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে।’

অটোচালক বকুল হোসেন জানান, ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় মাঠ ও রাস্তা ঢেকে গেছে। পেটের তাগিদে বের হতে হলেও ধীরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি।

ঝিরি ঝিরি বাতাস আর ঘন কুয়াশার মধ্যেই জমিতে কাজ করছেন এক কৃষক। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিরি ঝিরি বাতাস আর ঘন কুয়াশার মধ্যেই জমিতে কাজ করছেন এক কৃষক। ছবি: আজকের পত্রিকা

নছিমনচালক হিরোক ইসলাম বলেন, ‘ভোরে মাছ আনতে বের হতে হয়। কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার ভয় বেশি। ধীরে চালালেও ভয় কাটে না। শীত আর বাতাসে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামিনুর রহমান জানান, আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। এমন আবহাওয়া আরও দু-এক দিন থাকতে পারে। তবে দুপুরের পর আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হতে পারে।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশা ও শীত থাকলেও এখন পর্যন্ত মাঠের ফসলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় পাশের জেলা চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অফিসের তথ্যই মেহেরপুর জেলার তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকা আজ বুধবার সকালে সূর্য উঁকি দিলেও সারা দেশে শীতের দাপট চলছেই। তাপমাত্রাও গতকালের তুলনায় বেশ কমেছে। এর মধ্যে আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল গোপালগঞ্জ জেলায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলাসহ খুলনা, বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধানের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই শৈত্যপ্রবাহ কোথাও কোথাও অব্যাহত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের অনেক জায়গায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সারা দেশে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে শীতের অনুভূতি বেশি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে ৮ দশমিক ৪, রংপুর ও ময়মনসিংহ, সিলেটে ১২ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৩ দশমিক ২, খুলনায় ৮ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফার্মগেট নামার র‍্যাম্প বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হওয়ায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ইন্দিরা রোডের ফার্মগেট নামার র‍্যাম্প সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ বুধবার সকাল থেকে র‍্যাম্পটি বন্ধ রাখা হয়েছে এবং বেলা আনুমানিক ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে। জানাজা উপলক্ষে ওই এলাকায় যানবাহন ও মানুষের চাপ বাড়বে; তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেডের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অব.) হাসিব হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই এই এলাকায় ভিড় বেড়েছে। র‍্যাম্পের নিচে যানবাহন চলাচলের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এবং তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ায় আমরা সকাল থেকেই ফার্মগেট নামার র‍্যাম্পটি বন্ধ করে দিয়েছি।’

হাসিব হাসান আরও বলেন, বিকল্প হিসেবে যাত্রীদের এফডিসি নামার র‍্যাম্প ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপরেও চালকদের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফার্মগেট নামার র‍্যাম্প বন্ধ থাকার তথ্য জানিয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারজিসের নগদ টাকা আছে ৩ লাখ ১১ হাজার, পেশায় ব্যবসায়ী

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ২৮
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: ফেসবুক
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: ফেসবুক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পঞ্চগড়-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, সারজিস আলমের হাতে নগদ অর্থ রয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার ১২৮ টাকা। পাশাপাশি তাঁর একটি ব্যাংক হিসাবে জমা আছে ১ লাখ টাকা। হলফনামায় তিনি তাঁর বর্তমান পেশা হিসেবে ব্যবসা এবং পূর্বতন পেশা হিসেবে ছাত্র উল্লেখ করেছেন। তাঁর নামে দানকৃত কৃষিজমির পরিমাণ ১৬ দশমিক ৫০ শতক। অর্জনকালে ওই জমির আর্থিক মূল্য ছিল ৭ হাজার ৫০০ টাকা, যা বর্তমানে আনুমানিক ৫ লাখ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যবসা থেকে বছরে তাঁর আয় ৯ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে তিনি স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) উল্লেখ করেছেন।

হলফনামার তথ্যে আরও দেখা যায়, সারজিস আলমের নামে একটি মামলা রয়েছে, যা বর্তমানে তদন্তাধীন। তাঁর নামে কোনো বন্ড, ঋণপত্র বা স্টক এক্সচেঞ্জভুক্ত শেয়ার নেই। আসবাবপত্রের মূল্য দেখানো হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা এবং ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মূল্য ৭৫ হাজার টাকা। তাঁর কোনো আগ্নেয়াস্ত্র নেই। এ ছাড়া তাঁর নামে কোনো বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বা ভবনও নেই।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর রিটার্নে সারজিস আলম তাঁর মোট আয় দেখিয়েছেন ২৮ লাখ ৫ হাজার টাকা। আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬২৮ টাকা। এই খাতে তিনি ৫২ হাজার ৫০০ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন।

এদিকে পঞ্চগড়-১ আসনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও জমে উঠেছে। এই আসনে সারজিস আলম ছাড়াও আরও সাত প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

অন্য প্রার্থীরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নওশাদ জমির, বাংলাদেশ জাসদের নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মুখপাত্র আল রাশেদ প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের মো. মাহাফুজুর রহমান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মো. ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো. সিরাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. আব্দুল ওয়াদুদ বাদশা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত