Ajker Patrika

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির মা আর নেই 

চাঁদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ মে ২০২৩, ১৪: ৫২
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির মা আর নেই 

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ভাষাবীর মরহুম এম এ ওয়াদুদের সহধর্মিণী ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির মা রহিমা ওয়াদুদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানস্থ নিজ বাসায় বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর। 

শিক্ষামন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের। 

তিনি জানান, ‘শিক্ষামন্ত্রী বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তিনি রোববার সকালে দেশে ফিরবেন। তারপর মরহুমার দাফন করা হবে।’ 

শিক্ষামন্ত্রীর চাঁদপুরস্থ প্রতিনিধি আইনজীবী সাইফুদ্দিন বাবু জানান, মন্ত্রী রবিবার যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় আসবেন। ওই দিন বাদ আসর জানাজা শেষে দাফনের কথা রয়েছে। 

মরহুমা রহিমা ওয়াদুদ চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জে আর ওয়াদুদ টিপুর মা। 

রহিমা ওয়াদুদ পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন। তিনি চাঁদপুর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়েও একসময় শিক্ষকতা করেছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের রাঢ়ীরচর গ্রামের পাটওয়ারীবাড়ি। 

এদিকে শিক্ষামন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুতে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁরা মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর খালে মিলল বৃদ্ধের লাশ

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আবু সৈয়দ। ছবি: সংগৃহীত
আবু সৈয়দ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত আবু সৈয়দ উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের পীরখাইন গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক চৌকিদারের বাড়ির মালেকুজ্জামানের ছেলে। তিনি আনোয়ারা থানাধীন সদর এলাকার কেজি ভবনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি এই বৃদ্ধ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার ভোরে খালে একটি লাশ ভাসতে দেখেন মিলু আকতার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা। খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। পরে বিষয়টি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে আনোয়ারা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা লাশটি আবু সৈয়দের বলে শনাক্ত করেন।

স্বজনদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন আবু সৈয়দ। কয়েক মাস আগে ব্রেন স্ট্রোক করে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।

নিহত ব্যক্তির ছেলে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারা থানাধীন ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাইনি। পরে আমার মা আনোয়ারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বাবার পরনে লুঙ্গি ও গলার তাবিজ দেখে লাশ শনাক্ত করতে পেরেছি।’

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির প্রকৃত মালিক কে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ০৬
শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও সেটির মালিক সন্দেহে আটক হান্নান। ছবি: র‍্যাব
শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও সেটির মালিক সন্দেহে আটক হান্নান। ছবি: র‍্যাব

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সিএমএম আদালতে এই মামলার রিমান্ড শুনানিতে মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে চাঞ্চল্যকর ও পরস্পরবিরোধী তথ্য উঠে আসে। পুলিশ কবিরকে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক দাবি করলেও, কবির আদালতে দাবি করেছেন—মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধুর, যিনি কবিরের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে সেটি কিনেছিলেন।

গুরুতর আহত ওসমান হাদির অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মতিঝিল এলাকায় প্রচার চালিয়ে ফেরার পথে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনি মাথায় আঘাত পান। পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত সোমবার তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে দুই দফায় গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।

এর মধ্যে গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) একই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে প্রথম গ্রেপ্তার হন মো. আব্দুল হান্নান। রিমান্ড শুনানিতে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর নয়। হাতে সমস্যার কারণে তিনি চালাতে পারছিলেন না বলে সেটি মিরপুর মাজার রোডের একটি শোরুমে বিক্রি করে দেন। মালিকানা বদলের জন্য শোরুম থেকে ফোনকল করা হলেও অসুস্থতার কারণে তিনি যেতে পারেননি।

হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রধান আসামি ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রধান আসামি ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির। ছবি: আজকের পত্রিকা

তবে গতকাল আদালতে মো. কবিরকে হাজির করা হলে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধু মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ কিনেছিলেন এবং সেই কেনার সময় শুভ তাঁর (কবিরের) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করেছিলেন।

অন্যদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে জোর দিয়ে দাবি করেন, সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, হান্নানের বিক্রি করা মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক হলেন কবির।

র‍্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, মো. কবির ঢাকার আদাবর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক। গত রোববার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী এলাকার একটি ইটভাটার ছনের ঘর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার রাতে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. কাইয়ুম হোসেন বলেন, হত্যাচেষ্টার প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিমসহ কবির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে ওসমান হাদির কাছে গিয়েছিলেন। তাঁদের সেখানে যাওয়ার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

গতকাল আদালতে শুনানিতে কবিরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। বিচারক কবিরের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার কিছু বলার আছে?’ তখন কবির বলেন, ‘স্যার, আমি ১৮ দিন আগে ওনার (ফয়সাল করিম) গাড়ি (মোটরসাইকেলে ট্রিপ) ও পাঠাও চালাইতাম। উনি আমাকে ফোন দিলে আমি যেতাম। বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত। ১৮ দিন আগে ফয়সাল আমাকে বলেছে, আমি হাদির সঙ্গে ব্যবসা করি, তার নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করি। তার কাছে যাব। আমি যেতে চাইনি, এরপরও উনি আমাকে নিয়ে গেছেন। এই আমার অপরাধ স্যার।’

এ পর্যায়ে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘মোটরসাইকেলের মালিক কে?’ জবাবে কবির বলেন, ‘মোটরসাইকেলটা আমার এক বন্ধুর। আমি গাড়ি (মোটরসাইকেল) কিনতে গেছি। সে–ও গাড়ি কিনতে গেছে। সে আমার আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) দিয়ে গাড়ি কিনছে।’ বিচারক বলেন, ‘তার নাম কী?’ কবির বলেন, ‘স্যার, মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ।’

র‍্যাব আরও জানায়, গত ৫ ডিসেম্বরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে বাংলামোটরে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে মো. কবিরকে দেখা যায়। প্রথমে স্বীকার না করলেও ফুটেজ দেখানোর পর কবির নিশ্চিত করেন যে ফয়সাল করিমের সঙ্গে সেদিন তিনি প্রতিষ্ঠানটি দেখে আসতে সেখানে গিয়েছিলেন।

শুনানি শেষে বিচারক কবিরের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত কবির এবং প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম—উভয়েই পটুয়াখালী জেলার সদর থানার বড় বিঘাই গ্রামের বাসিন্দা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিরাপত্তা শঙ্কা : বেলা ২টায় যমুনা ফিউচার পার্কের ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ২৬
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা সেন্টার। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা সেন্টার। ছবি: সংগৃহীত

‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

আইভ্যাক বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই যে আইভ্যাক জেএফপি, ঢাকা আজ বেলা ২টায় বন্ধ থাকবে। আজ জমা দেওয়ার জন্য বুক করা সমস্ত আবেদনকারীকে পরবর্তী সময়ে একটি স্লট দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঈশ্বরদীতে প্রতিপক্ষের গুলিতে বিএনপি নেতা খুন

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি 
নিহত বিএনপি নেতা বিরু মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত
নিহত বিএনপি নেতা বিরু মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত বিরু মোল্লা উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। দীর্ঘদিনের পারিবারিক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য ও জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁর প্রতিপক্ষ আপন চাচাতো ভাই জহুরুল মোল্লার গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জহুরুল মোল্লা বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে বিরু মোল্লা নিজ বাড়ির সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় জহুরুল মোল্লা ও তাঁর লোকজন বিরু মোল্লাকে গুলি করে। কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

বিস্তারিত পরে...

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত