নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
সরকার পতনের পর স্থানীয় লোকজন ও দলের নেতা-কর্মীরাই বলছেন, সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করত এই দুই বাহিনী। গত ৫ আগস্টের পর মায়া চৌধুরীসহ তাঁর বাহিনীর লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন এখনো চলছে।
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে জানা গেছে, মতলব উত্তরের মায়ার বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মামুন ওরফে কুত্তা মামুন, রিয়াদ, রিয়াজুল ইসলাম, শরীফ ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। দক্ষিণের নেতৃত্বে ছিলেন মতলব পৌরসভার সাবেক মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী বাদল এবং জেলা পরিষদ সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন ফরাজি।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারেরা এই দুই বাহিনীর নাম বললেও কেউ নিজে টাকা দেওয়ার কথা সরাসরি স্বীকার না করে অন্যকে দেখিয়ে দেন।
উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন
মতলব উত্তর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লক বসানোর কাজ থেকে মায়া চৌধুরী ১০ শতাংশ কমিশন নিয়েছেন বলে প্রকল্পের একটি সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয় আলাউদ্দিন সরকার, বাতেন চেয়ারম্যান, লধুয়া গ্রামের রিপন পাটওয়ারী যৌথভাবে এই কাজের ঠিকাদার ছিলেন।
ঠিকাদার আলাউদ্দিন সরকার জানান, তিনি ব্লকের কাজ করেছেন সংস্কারমূলক। তাঁর কাজ ছিল ছোট। তাঁকে এমপির লোকজন তেমন বিরক্ত করেননি। তবে মতলব দক্ষিণের আওয়ামী লীগ সভাপতি এইচ এম কবিরের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়েছেন।
পরে এইচ এম কবিরকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি সরাসরি কাজ করি নাই। আমার ছোট ভাইসহ কয়েকজন ব্লকের কাজের ঠিকাদার।’ এমপির লোকজন কমিশন নিয়েছেন সরাসরি স্বীকার না করলেও তিনি বলেন, কাজ করলে লাভ-লোকসান হবেই।
এদিকে স্থানীয় সরকারের অধীন দুই উপজেলার গ্রামীণ উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ৭০০ কোটি টাকার কাজ এবং মতলব উত্তরে নির্মাণাধীন হাই-টেক পার্কের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কমিশন নিয়েছেন মায়া চৌধুরী। তবে এই বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীসহ কেউ নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
টাকার বিনিময়ে দলীয় মনোনয়ন
২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন এবং সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রত্যেক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন ও সমর্থন দিতে টাকা নেওয়া হয়েছে। মায়া চৌধুরীর পক্ষে এ কাজে যুক্ত ছিলেন তাঁর প্রয়াত ছেলে দীপু চৌধুরী।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন হাফিজ মাস্টার। তিনি নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেন। তবে টাকা দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আপনি আমার সামনে আসেন, তখন বলব।’
মতলব দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম কবির বলেন, ‘সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মায়া চৌধুরী আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন করেননি। বরং উল্টো তাঁর লোকজন দিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। এ বিষয়ে ওই সময় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমি যাকে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি, সেই সিরাজুল মোস্তফা তালুকদারকে তিনি মনোনয়ন নিয়ে দিয়েছেন।’
একই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রিপন মীর বলেন, ‘আমি কখনো টাকা দিয়ে নৌকার মনোনয়ন পাইনি। দল থেকেই আমাকে দিয়েছে। তবে আমাদের ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন টাকা দিয়ে নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছেন।’
অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণ
২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মায়া চৌধুরী ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী। ওই সময় মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে তাঁর ছেলে দীপু চৌধুরী, স্ত্রীসহ পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে প্রতিদিন ২০ লাখ টাকা ওঠানো হতো। এলাকাভিত্তিক এই কাজ করতেন তাঁর আত্মীয় আহার খালাসি, বোরহান খালাসি ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। আর ওই টাকা ঢাকায় পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করতেন মোহনপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান বালু মিজান, ছ্যাঙ্গারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম জজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টার।
এই বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল মৃধা বলেন, মায়া চৌধুরী যতবারই এমপি এবং মন্ত্রী হয়েছেন, তিনি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছেন।
দলের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন
মায়ার প্রতিহিংসার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল মৃধা বলেন, ‘তাঁর অত্যাচারের কারণে ৫ মাস বিভিন্ন জায়গায় থেকে ৫ আগস্টের পরে বাড়িতে এসেছি।’
মায়া চৌধুরীর নিজ ইউনিয়ন মোহনপুর। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই বাবুল চৌধুরী। তিনি মারা যাওয়ার পর ২০২৩ সালে উপনির্বাচন হয়। সেখানে নৌকা প্রতীক পান কাজী মিজানুর রহমান। তিনি মায়া চৌধুরীর মতের বিরুদ্ধের লোক হওয়ায় তাঁর পরিবর্তে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইকে নৌকা এনে দেন। এরপর শুরু হয় কাজী মিজানের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও হামলা-মামলা।
কাজী মিজান বলেন, ‘আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্র ভেঙে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে তার লোকজন। আমার ২০ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। এসব ঘটনায় আমি তার লোকজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা দিয়েছি।’
বিরোধী দমন
চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা বলেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় নেতা-কর্মীরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বহু গায়েবি মামলার আসামি হয়েছেন আমাদের নেতা-কর্মীরা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিক ফোন দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। আর দুই উপজেলায় তাঁর বাহিনীর লোকজনও সরকার পতনের পর আত্মগোপনে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
সরকার পতনের পর স্থানীয় লোকজন ও দলের নেতা-কর্মীরাই বলছেন, সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করত এই দুই বাহিনী। গত ৫ আগস্টের পর মায়া চৌধুরীসহ তাঁর বাহিনীর লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন এখনো চলছে।
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে জানা গেছে, মতলব উত্তরের মায়ার বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মামুন ওরফে কুত্তা মামুন, রিয়াদ, রিয়াজুল ইসলাম, শরীফ ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। দক্ষিণের নেতৃত্বে ছিলেন মতলব পৌরসভার সাবেক মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী বাদল এবং জেলা পরিষদ সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন ফরাজি।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারেরা এই দুই বাহিনীর নাম বললেও কেউ নিজে টাকা দেওয়ার কথা সরাসরি স্বীকার না করে অন্যকে দেখিয়ে দেন।
উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন
মতলব উত্তর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লক বসানোর কাজ থেকে মায়া চৌধুরী ১০ শতাংশ কমিশন নিয়েছেন বলে প্রকল্পের একটি সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয় আলাউদ্দিন সরকার, বাতেন চেয়ারম্যান, লধুয়া গ্রামের রিপন পাটওয়ারী যৌথভাবে এই কাজের ঠিকাদার ছিলেন।
ঠিকাদার আলাউদ্দিন সরকার জানান, তিনি ব্লকের কাজ করেছেন সংস্কারমূলক। তাঁর কাজ ছিল ছোট। তাঁকে এমপির লোকজন তেমন বিরক্ত করেননি। তবে মতলব দক্ষিণের আওয়ামী লীগ সভাপতি এইচ এম কবিরের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়েছেন।
পরে এইচ এম কবিরকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি সরাসরি কাজ করি নাই। আমার ছোট ভাইসহ কয়েকজন ব্লকের কাজের ঠিকাদার।’ এমপির লোকজন কমিশন নিয়েছেন সরাসরি স্বীকার না করলেও তিনি বলেন, কাজ করলে লাভ-লোকসান হবেই।
এদিকে স্থানীয় সরকারের অধীন দুই উপজেলার গ্রামীণ উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ৭০০ কোটি টাকার কাজ এবং মতলব উত্তরে নির্মাণাধীন হাই-টেক পার্কের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কমিশন নিয়েছেন মায়া চৌধুরী। তবে এই বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীসহ কেউ নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
টাকার বিনিময়ে দলীয় মনোনয়ন
২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন এবং সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রত্যেক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন ও সমর্থন দিতে টাকা নেওয়া হয়েছে। মায়া চৌধুরীর পক্ষে এ কাজে যুক্ত ছিলেন তাঁর প্রয়াত ছেলে দীপু চৌধুরী।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন হাফিজ মাস্টার। তিনি নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেন। তবে টাকা দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আপনি আমার সামনে আসেন, তখন বলব।’
মতলব দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম কবির বলেন, ‘সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মায়া চৌধুরী আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন করেননি। বরং উল্টো তাঁর লোকজন দিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। এ বিষয়ে ওই সময় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমি যাকে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি, সেই সিরাজুল মোস্তফা তালুকদারকে তিনি মনোনয়ন নিয়ে দিয়েছেন।’
একই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রিপন মীর বলেন, ‘আমি কখনো টাকা দিয়ে নৌকার মনোনয়ন পাইনি। দল থেকেই আমাকে দিয়েছে। তবে আমাদের ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন টাকা দিয়ে নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছেন।’
অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণ
২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মায়া চৌধুরী ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী। ওই সময় মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে তাঁর ছেলে দীপু চৌধুরী, স্ত্রীসহ পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে প্রতিদিন ২০ লাখ টাকা ওঠানো হতো। এলাকাভিত্তিক এই কাজ করতেন তাঁর আত্মীয় আহার খালাসি, বোরহান খালাসি ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। আর ওই টাকা ঢাকায় পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করতেন মোহনপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান বালু মিজান, ছ্যাঙ্গারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম জজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টার।
এই বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল মৃধা বলেন, মায়া চৌধুরী যতবারই এমপি এবং মন্ত্রী হয়েছেন, তিনি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছেন।
দলের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন
মায়ার প্রতিহিংসার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল মৃধা বলেন, ‘তাঁর অত্যাচারের কারণে ৫ মাস বিভিন্ন জায়গায় থেকে ৫ আগস্টের পরে বাড়িতে এসেছি।’
মায়া চৌধুরীর নিজ ইউনিয়ন মোহনপুর। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই বাবুল চৌধুরী। তিনি মারা যাওয়ার পর ২০২৩ সালে উপনির্বাচন হয়। সেখানে নৌকা প্রতীক পান কাজী মিজানুর রহমান। তিনি মায়া চৌধুরীর মতের বিরুদ্ধের লোক হওয়ায় তাঁর পরিবর্তে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইকে নৌকা এনে দেন। এরপর শুরু হয় কাজী মিজানের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও হামলা-মামলা।
কাজী মিজান বলেন, ‘আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্র ভেঙে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে তার লোকজন। আমার ২০ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। এসব ঘটনায় আমি তার লোকজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা দিয়েছি।’
বিরোধী দমন
চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা বলেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় নেতা-কর্মীরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বহু গায়েবি মামলার আসামি হয়েছেন আমাদের নেতা-কর্মীরা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিক ফোন দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। আর দুই উপজেলায় তাঁর বাহিনীর লোকজনও সরকার পতনের পর আত্মগোপনে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
সরকার পতনের পর স্থানীয় লোকজন ও দলের নেতা-কর্মীরাই বলছেন, সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করত এই দুই বাহিনী। গত ৫ আগস্টের পর মায়া চৌধুরীসহ তাঁর বাহিনীর লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন এখনো চলছে।
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে জানা গেছে, মতলব উত্তরের মায়ার বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মামুন ওরফে কুত্তা মামুন, রিয়াদ, রিয়াজুল ইসলাম, শরীফ ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। দক্ষিণের নেতৃত্বে ছিলেন মতলব পৌরসভার সাবেক মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী বাদল এবং জেলা পরিষদ সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন ফরাজি।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারেরা এই দুই বাহিনীর নাম বললেও কেউ নিজে টাকা দেওয়ার কথা সরাসরি স্বীকার না করে অন্যকে দেখিয়ে দেন।
উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন
মতলব উত্তর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লক বসানোর কাজ থেকে মায়া চৌধুরী ১০ শতাংশ কমিশন নিয়েছেন বলে প্রকল্পের একটি সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয় আলাউদ্দিন সরকার, বাতেন চেয়ারম্যান, লধুয়া গ্রামের রিপন পাটওয়ারী যৌথভাবে এই কাজের ঠিকাদার ছিলেন।
ঠিকাদার আলাউদ্দিন সরকার জানান, তিনি ব্লকের কাজ করেছেন সংস্কারমূলক। তাঁর কাজ ছিল ছোট। তাঁকে এমপির লোকজন তেমন বিরক্ত করেননি। তবে মতলব দক্ষিণের আওয়ামী লীগ সভাপতি এইচ এম কবিরের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়েছেন।
পরে এইচ এম কবিরকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি সরাসরি কাজ করি নাই। আমার ছোট ভাইসহ কয়েকজন ব্লকের কাজের ঠিকাদার।’ এমপির লোকজন কমিশন নিয়েছেন সরাসরি স্বীকার না করলেও তিনি বলেন, কাজ করলে লাভ-লোকসান হবেই।
এদিকে স্থানীয় সরকারের অধীন দুই উপজেলার গ্রামীণ উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ৭০০ কোটি টাকার কাজ এবং মতলব উত্তরে নির্মাণাধীন হাই-টেক পার্কের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কমিশন নিয়েছেন মায়া চৌধুরী। তবে এই বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীসহ কেউ নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
টাকার বিনিময়ে দলীয় মনোনয়ন
২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন এবং সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রত্যেক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন ও সমর্থন দিতে টাকা নেওয়া হয়েছে। মায়া চৌধুরীর পক্ষে এ কাজে যুক্ত ছিলেন তাঁর প্রয়াত ছেলে দীপু চৌধুরী।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন হাফিজ মাস্টার। তিনি নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেন। তবে টাকা দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আপনি আমার সামনে আসেন, তখন বলব।’
মতলব দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম কবির বলেন, ‘সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মায়া চৌধুরী আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন করেননি। বরং উল্টো তাঁর লোকজন দিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। এ বিষয়ে ওই সময় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমি যাকে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি, সেই সিরাজুল মোস্তফা তালুকদারকে তিনি মনোনয়ন নিয়ে দিয়েছেন।’
একই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রিপন মীর বলেন, ‘আমি কখনো টাকা দিয়ে নৌকার মনোনয়ন পাইনি। দল থেকেই আমাকে দিয়েছে। তবে আমাদের ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন টাকা দিয়ে নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছেন।’
অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণ
২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মায়া চৌধুরী ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী। ওই সময় মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে তাঁর ছেলে দীপু চৌধুরী, স্ত্রীসহ পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে প্রতিদিন ২০ লাখ টাকা ওঠানো হতো। এলাকাভিত্তিক এই কাজ করতেন তাঁর আত্মীয় আহার খালাসি, বোরহান খালাসি ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। আর ওই টাকা ঢাকায় পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করতেন মোহনপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান বালু মিজান, ছ্যাঙ্গারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম জজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টার।
এই বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল মৃধা বলেন, মায়া চৌধুরী যতবারই এমপি এবং মন্ত্রী হয়েছেন, তিনি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছেন।
দলের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন
মায়ার প্রতিহিংসার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল মৃধা বলেন, ‘তাঁর অত্যাচারের কারণে ৫ মাস বিভিন্ন জায়গায় থেকে ৫ আগস্টের পরে বাড়িতে এসেছি।’
মায়া চৌধুরীর নিজ ইউনিয়ন মোহনপুর। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই বাবুল চৌধুরী। তিনি মারা যাওয়ার পর ২০২৩ সালে উপনির্বাচন হয়। সেখানে নৌকা প্রতীক পান কাজী মিজানুর রহমান। তিনি মায়া চৌধুরীর মতের বিরুদ্ধের লোক হওয়ায় তাঁর পরিবর্তে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইকে নৌকা এনে দেন। এরপর শুরু হয় কাজী মিজানের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও হামলা-মামলা।
কাজী মিজান বলেন, ‘আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্র ভেঙে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে তার লোকজন। আমার ২০ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। এসব ঘটনায় আমি তার লোকজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা দিয়েছি।’
বিরোধী দমন
চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা বলেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় নেতা-কর্মীরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বহু গায়েবি মামলার আসামি হয়েছেন আমাদের নেতা-কর্মীরা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিক ফোন দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। আর দুই উপজেলায় তাঁর বাহিনীর লোকজনও সরকার পতনের পর আত্মগোপনে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
সরকার পতনের পর স্থানীয় লোকজন ও দলের নেতা-কর্মীরাই বলছেন, সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করত এই দুই বাহিনী। গত ৫ আগস্টের পর মায়া চৌধুরীসহ তাঁর বাহিনীর লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন এখনো চলছে।
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে জানা গেছে, মতলব উত্তরের মায়ার বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মামুন ওরফে কুত্তা মামুন, রিয়াদ, রিয়াজুল ইসলাম, শরীফ ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। দক্ষিণের নেতৃত্বে ছিলেন মতলব পৌরসভার সাবেক মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী বাদল এবং জেলা পরিষদ সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন ফরাজি।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারেরা এই দুই বাহিনীর নাম বললেও কেউ নিজে টাকা দেওয়ার কথা সরাসরি স্বীকার না করে অন্যকে দেখিয়ে দেন।
উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন
মতলব উত্তর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লক বসানোর কাজ থেকে মায়া চৌধুরী ১০ শতাংশ কমিশন নিয়েছেন বলে প্রকল্পের একটি সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয় আলাউদ্দিন সরকার, বাতেন চেয়ারম্যান, লধুয়া গ্রামের রিপন পাটওয়ারী যৌথভাবে এই কাজের ঠিকাদার ছিলেন।
ঠিকাদার আলাউদ্দিন সরকার জানান, তিনি ব্লকের কাজ করেছেন সংস্কারমূলক। তাঁর কাজ ছিল ছোট। তাঁকে এমপির লোকজন তেমন বিরক্ত করেননি। তবে মতলব দক্ষিণের আওয়ামী লীগ সভাপতি এইচ এম কবিরের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়েছেন।
পরে এইচ এম কবিরকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি সরাসরি কাজ করি নাই। আমার ছোট ভাইসহ কয়েকজন ব্লকের কাজের ঠিকাদার।’ এমপির লোকজন কমিশন নিয়েছেন সরাসরি স্বীকার না করলেও তিনি বলেন, কাজ করলে লাভ-লোকসান হবেই।
এদিকে স্থানীয় সরকারের অধীন দুই উপজেলার গ্রামীণ উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ৭০০ কোটি টাকার কাজ এবং মতলব উত্তরে নির্মাণাধীন হাই-টেক পার্কের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কমিশন নিয়েছেন মায়া চৌধুরী। তবে এই বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীসহ কেউ নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
টাকার বিনিময়ে দলীয় মনোনয়ন
২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন এবং সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রত্যেক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন ও সমর্থন দিতে টাকা নেওয়া হয়েছে। মায়া চৌধুরীর পক্ষে এ কাজে যুক্ত ছিলেন তাঁর প্রয়াত ছেলে দীপু চৌধুরী।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন হাফিজ মাস্টার। তিনি নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেন। তবে টাকা দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আপনি আমার সামনে আসেন, তখন বলব।’
মতলব দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম কবির বলেন, ‘সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মায়া চৌধুরী আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন করেননি। বরং উল্টো তাঁর লোকজন দিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। এ বিষয়ে ওই সময় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমি যাকে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি, সেই সিরাজুল মোস্তফা তালুকদারকে তিনি মনোনয়ন নিয়ে দিয়েছেন।’
একই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রিপন মীর বলেন, ‘আমি কখনো টাকা দিয়ে নৌকার মনোনয়ন পাইনি। দল থেকেই আমাকে দিয়েছে। তবে আমাদের ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন টাকা দিয়ে নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছেন।’
অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণ
২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মায়া চৌধুরী ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী। ওই সময় মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে তাঁর ছেলে দীপু চৌধুরী, স্ত্রীসহ পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে প্রতিদিন ২০ লাখ টাকা ওঠানো হতো। এলাকাভিত্তিক এই কাজ করতেন তাঁর আত্মীয় আহার খালাসি, বোরহান খালাসি ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। আর ওই টাকা ঢাকায় পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করতেন মোহনপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান বালু মিজান, ছ্যাঙ্গারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম জজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টার।
এই বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল মৃধা বলেন, মায়া চৌধুরী যতবারই এমপি এবং মন্ত্রী হয়েছেন, তিনি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছেন।
দলের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন
মায়ার প্রতিহিংসার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল মৃধা বলেন, ‘তাঁর অত্যাচারের কারণে ৫ মাস বিভিন্ন জায়গায় থেকে ৫ আগস্টের পরে বাড়িতে এসেছি।’
মায়া চৌধুরীর নিজ ইউনিয়ন মোহনপুর। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই বাবুল চৌধুরী। তিনি মারা যাওয়ার পর ২০২৩ সালে উপনির্বাচন হয়। সেখানে নৌকা প্রতীক পান কাজী মিজানুর রহমান। তিনি মায়া চৌধুরীর মতের বিরুদ্ধের লোক হওয়ায় তাঁর পরিবর্তে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইকে নৌকা এনে দেন। এরপর শুরু হয় কাজী মিজানের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও হামলা-মামলা।
কাজী মিজান বলেন, ‘আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্র ভেঙে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে তার লোকজন। আমার ২০ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। এসব ঘটনায় আমি তার লোকজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা দিয়েছি।’
বিরোধী দমন
চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা বলেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় নেতা-কর্মীরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বহু গায়েবি মামলার আসামি হয়েছেন আমাদের নেতা-কর্মীরা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিক ফোন দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। আর দুই উপজেলায় তাঁর বাহিনীর লোকজনও সরকার পতনের পর আত্মগোপনে।

ফরিদপুরে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ করার সময় পাশের আরেকটি দ্বিতল ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে। এতে ভবনটিসহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনে অবস্থিত আরএফএল কোম্পানির বেস্ট বাই শোরুম। তবে প্রাণে বেঁচে গেছেন সেখানে কর্মরতরা। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনমালিকের অভিযোগ, নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য নির্মাণাধীন
৮ মিনিট আগে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ না
৩৩ মিনিট আগে
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ করার সময় পাশের আরেকটি দ্বিতল ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে। এতে ভবনটিসহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনে অবস্থিত আরএফএল কোম্পানির বেস্ট বাই শোরুম। তবে প্রাণে বেঁচে গেছেন সেখানে কর্মরতরা। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনমালিকের অভিযোগ, নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য নির্মাণাধীন ভবনমালিকদের বলা হলেও কর্ণপাত না করে নিয়মবহির্ভূতভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র নিলটুলি স্বর্ণকারপট্টির মুজিব সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের একাধিক টিম।
সরেজমিন দেখা গেছে, একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ চলছিল। নির্মাণাধীন এই ভবনের মালিক স্থানীয় সঞ্জয় কর্মকার, অজয় কর্মকার ও সেলিম নামে আরেক ব্যক্তি। পাইলিংয়ের কাজ করার সময় পার্শ্ববর্তী ভবনসংলগ্ন কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা বা প্যারাসাইলিং ব্যবস্থা ছিল না। এই অবস্থায় পাইলিংয়ের (নিচের অংশ) কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন নির্মাণশ্রমিকেরা। হঠাৎ করেই ভবনটির একাংশ ধসে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে দৌড়ে সরে পড়েন নির্মাণশ্রমিক ও শোরুমটির কর্মচারীরা।
বেস্ট বাইয়ের কর্মীরা জানান, তারা সকালে এসে ফ্লোরের টাইলসে ফাটল দেখতে পান। ফাটল ধীরে ধীরে বড় হতে থাকলে ক্যাশ কাউন্টার টেবিলটা সরিয়ে ফেলেন, এর মধ্যেই ধসে পড়ে ভবনের এক পাশ।
ধসে পড়া ভবন ও বেস্ট বাই ফ্রাঞ্চাইজের মালিক মনিরা খাতুনের দাবি, এ ঘটনায় তাঁর ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং তিনি এর বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘বারবার নির্মাণাধীন ভবনমালিকদের সতর্ক করা হয়েছে এবং নিয়ম মেনে কাজ করতে বলেছি। কিন্তু তাঁরা রাতের আঁধারে আমার ভবনের নিচের মাটি সরিয়ে ফেলেছে, যার কারণে আজকের এই দুর্ঘটনা। পৌরসভার নিয়ম অনুযায়ী ৩ ফুট দূরত্ব রেখে কাজ করার কথা থাকলেও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আজ সকালে উল্টো আমার কর্মচারীদের হুমকি-ধমকিও দেওয়া হয়।’

ঘটনাস্থলে ছুটে আসা শহরের বাসিন্দা ও জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোজাফফর আলী মুসা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘ভবন নির্মাণ করতে হলে পৌরসভার অনুমোদনের প্রয়োজন হয় এবং তা সঠিকভাবে তদারকির দায়িত্ব তাদের। যদি সঠিকভাবে তদারকি হতো তাহলে এমন দুর্ঘটনা না-ও ঘটতে পারত।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ভবনমালিকদের একজন সঞ্জয় সাহার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে আসা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মাসুদ আলম জানান, খবর পেয়ে তাঁরা এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। তবে কোনো অভিযোগ পায়নি পুলিশ। অভিযোগ পেলে সেটা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে পৌরসভার প্রশাসক ও ফরিদপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. সোহরাব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে বলা যাবে।’

ফরিদপুরে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ করার সময় পাশের আরেকটি দ্বিতল ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে। এতে ভবনটিসহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনে অবস্থিত আরএফএল কোম্পানির বেস্ট বাই শোরুম। তবে প্রাণে বেঁচে গেছেন সেখানে কর্মরতরা। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনমালিকের অভিযোগ, নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য নির্মাণাধীন ভবনমালিকদের বলা হলেও কর্ণপাত না করে নিয়মবহির্ভূতভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র নিলটুলি স্বর্ণকারপট্টির মুজিব সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের একাধিক টিম।
সরেজমিন দেখা গেছে, একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ চলছিল। নির্মাণাধীন এই ভবনের মালিক স্থানীয় সঞ্জয় কর্মকার, অজয় কর্মকার ও সেলিম নামে আরেক ব্যক্তি। পাইলিংয়ের কাজ করার সময় পার্শ্ববর্তী ভবনসংলগ্ন কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা বা প্যারাসাইলিং ব্যবস্থা ছিল না। এই অবস্থায় পাইলিংয়ের (নিচের অংশ) কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন নির্মাণশ্রমিকেরা। হঠাৎ করেই ভবনটির একাংশ ধসে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে দৌড়ে সরে পড়েন নির্মাণশ্রমিক ও শোরুমটির কর্মচারীরা।
বেস্ট বাইয়ের কর্মীরা জানান, তারা সকালে এসে ফ্লোরের টাইলসে ফাটল দেখতে পান। ফাটল ধীরে ধীরে বড় হতে থাকলে ক্যাশ কাউন্টার টেবিলটা সরিয়ে ফেলেন, এর মধ্যেই ধসে পড়ে ভবনের এক পাশ।
ধসে পড়া ভবন ও বেস্ট বাই ফ্রাঞ্চাইজের মালিক মনিরা খাতুনের দাবি, এ ঘটনায় তাঁর ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং তিনি এর বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘বারবার নির্মাণাধীন ভবনমালিকদের সতর্ক করা হয়েছে এবং নিয়ম মেনে কাজ করতে বলেছি। কিন্তু তাঁরা রাতের আঁধারে আমার ভবনের নিচের মাটি সরিয়ে ফেলেছে, যার কারণে আজকের এই দুর্ঘটনা। পৌরসভার নিয়ম অনুযায়ী ৩ ফুট দূরত্ব রেখে কাজ করার কথা থাকলেও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আজ সকালে উল্টো আমার কর্মচারীদের হুমকি-ধমকিও দেওয়া হয়।’

ঘটনাস্থলে ছুটে আসা শহরের বাসিন্দা ও জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোজাফফর আলী মুসা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘ভবন নির্মাণ করতে হলে পৌরসভার অনুমোদনের প্রয়োজন হয় এবং তা সঠিকভাবে তদারকির দায়িত্ব তাদের। যদি সঠিকভাবে তদারকি হতো তাহলে এমন দুর্ঘটনা না-ও ঘটতে পারত।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ভবনমালিকদের একজন সঞ্জয় সাহার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে আসা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মাসুদ আলম জানান, খবর পেয়ে তাঁরা এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। তবে কোনো অভিযোগ পায়নি পুলিশ। অভিযোগ পেলে সেটা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে পৌরসভার প্রশাসক ও ফরিদপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. সোহরাব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে বলা যাবে।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
১৮ অক্টোবর ২০২৪
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ না
৩৩ মিনিট আগে
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেজাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শেখ হাসিনা ও তাঁর স্বজনদের নামে থাকা চারটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আজিজুর রহমান বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শেখ পরিবারের নামে থাকা চারটি হলের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এসব হলের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ নাম রাখা হয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শেখ হাসিনা ও তাঁর স্বজনদের নামে থাকা চারটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আজিজুর রহমান বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শেখ পরিবারের নামে থাকা চারটি হলের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এসব হলের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ নাম রাখা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
১৮ অক্টোবর ২০২৪
ফরিদপুরে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ করার সময় পাশের আরেকটি দ্বিতল ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে। এতে ভবনটিসহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনে অবস্থিত আরএফএল কোম্পানির বেস্ট বাই শোরুম। তবে প্রাণে বেঁচে গেছেন সেখানে কর্মরতরা। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনমালিকের অভিযোগ, নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য নির্মাণাধীন
৮ মিনিট আগে
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জাফলং থেকে ছেড়ে আসা বানিয়াচংগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ব্রিজের ওপর ওঠামাত্রই ব্রিজের দুটি পাটাতন ভেঙে যায়। মুহূর্তেই ট্রাকের পেছনের দুটি চাকা ধসে পড়ে এবং পুরো ট্রাকটি ব্রিজে আটকে যায়।
এতে দীর্ঘ লাইনে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টমটম, প্রাইভেট কারসহ অসংখ্য যানবাহন। বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবসায়ীরা।
দুর্ঘটনার পর ব্রিজের একপাশ থেকে অন্যপাশে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে ভাঙা অংশ অতিক্রম করছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ট্রাকটি ব্রিজে উঠতেই জোরে শব্দ হয়। একটু পরই দেখি পাটাতন নিচে ধসে গেছে। ভাগ্য ভালো যে ট্রাকটি পুরোপুরি নিচে পড়ে যায়নি। তবে এখন তো ও পথে চলাচলকারীরা আটকা পড়ে আছে।’
যাত্রীরা জানান, রত্না বেইলি ব্রিজটি বহুদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভারী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—এমন আশঙ্কা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। এদিকে যাত্রীদের দাবি, এখানে যেন বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়, যাতে প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করার কাজ চলছে। পাথরবোঝাই ট্রাকটিতে বেশি লোড থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জাফলং থেকে ছেড়ে আসা বানিয়াচংগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ব্রিজের ওপর ওঠামাত্রই ব্রিজের দুটি পাটাতন ভেঙে যায়। মুহূর্তেই ট্রাকের পেছনের দুটি চাকা ধসে পড়ে এবং পুরো ট্রাকটি ব্রিজে আটকে যায়।
এতে দীর্ঘ লাইনে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টমটম, প্রাইভেট কারসহ অসংখ্য যানবাহন। বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবসায়ীরা।
দুর্ঘটনার পর ব্রিজের একপাশ থেকে অন্যপাশে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে ভাঙা অংশ অতিক্রম করছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ট্রাকটি ব্রিজে উঠতেই জোরে শব্দ হয়। একটু পরই দেখি পাটাতন নিচে ধসে গেছে। ভাগ্য ভালো যে ট্রাকটি পুরোপুরি নিচে পড়ে যায়নি। তবে এখন তো ও পথে চলাচলকারীরা আটকা পড়ে আছে।’
যাত্রীরা জানান, রত্না বেইলি ব্রিজটি বহুদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভারী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—এমন আশঙ্কা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। এদিকে যাত্রীদের দাবি, এখানে যেন বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়, যাতে প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করার কাজ চলছে। পাথরবোঝাই ট্রাকটিতে বেশি লোড থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
১৮ অক্টোবর ২০২৪
ফরিদপুরে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ করার সময় পাশের আরেকটি দ্বিতল ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে। এতে ভবনটিসহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনে অবস্থিত আরএফএল কোম্পানির বেস্ট বাই শোরুম। তবে প্রাণে বেঁচে গেছেন সেখানে কর্মরতরা। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনমালিকের অভিযোগ, নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য নির্মাণাধীন
৮ মিনিট আগে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ না
৩৩ মিনিট আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
১৮ অক্টোবর ২০২৪
ফরিদপুরে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ করার সময় পাশের আরেকটি দ্বিতল ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে। এতে ভবনটিসহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনে অবস্থিত আরএফএল কোম্পানির বেস্ট বাই শোরুম। তবে প্রাণে বেঁচে গেছেন সেখানে কর্মরতরা। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনমালিকের অভিযোগ, নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য নির্মাণাধীন
৮ মিনিট আগে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ না
৩৩ মিনিট আগে
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে