Ajker Patrika

নিয়োগ পরীক্ষার আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত, ৬০ লাখ টাকার লেনদেনের অভিযোগ

রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর (বগুড়া) 
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৪, ০৯: ২৫
নিয়োগ পরীক্ষার আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত, ৬০ লাখ টাকার লেনদেনের অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুরে ছোনকা দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষার আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত করার অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় প্রায় ৬০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন পদে আবেদনকারীদের। 

জানা গেছে, উপজেলার ছোনকা দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের চারটি পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামীকাল ২৮ জুন। কিন্তু এর আগেই প্রধান শিক্ষক পদে ১০ লাখ টাকা, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ১৬ লাখ টাকা, নিরাপত্তাকর্মী পদে ১৬ লাখ টাকা ও কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে ১৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে একাধিক আবেদনকারী অভিযোগ করেন। 

অন্য প্রার্থীদের তথ্য অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক পদে কেল্লা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে মো. দিলফুজার রহমান, নিরাপত্তা কর্মী পদে শফিনুর রহমান এবং কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে মো. নিশাত নামে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। 

কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে আবেদনকারী ফয়সাল আবির জানান, ‘আমি এই পদে নিয়োগের জন্য স্কুলের সভাপতি ফেরদৌস জামান মুকুলের কাছে ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম দুই বছর আগে। এর জন্য আমি জমি ও গরু বিক্রি করেছি। মুকুল আমাকে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং সঙ্গে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত ও ব্যাংকের চেক দিয়েছেন। কিন্তু এখন ১৮ লাখ টাকার বিনিময়ে নিশাতকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে মুকুল আমাকে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। বাকি ১০ লাখ টাকা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যেই দেওয়ার কথা আছে।’ 

প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করেছেন মশিউর রহমান। তিনি বলেন, এই পদে তিনিসহ ১০ জন আদেন করেছেন। এ বিষয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফেরদৌস জামান মুকুলের সঙ্গে কথা হয়েছে। ফেরদৌস তাঁর চাচাতো ভাই দিলফুজার রহমানকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা স্বীকারও করেছেন। মশিউর আরও বলেন, এখন যে রফিকুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হবে, তাঁর চাকরির মেয়াদ আছে তিন বছর। এরপর দিলফুজার রহমানকে সহকারী প্রধান শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা থেকেই এমনটা করা হচ্ছে। 

প্রধান শিক্ষক পদে আরেক প্রার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার সকালে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত আমাকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। আমি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে তাদের নির্ধারিত প্রার্থী নিয়োগ দিতে পারবে না। তাই কৌশলে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ 

অর্থের লেনদেন ও প্রার্থী চূড়ান্ত করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন স্কুলের ম্যানেজিং অভিভাবক সদস্য আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘নিয়োগের বিষয়ে আমাকেসহ কয়েকজনকে কিছুই জানানো হয়নি। স্কুলের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।’ 

সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে আবেদনকারী দিলফুজার রহমান অর্থ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি নিয়মমাফিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করব। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে নিয়োগ পাব। এর জন্য আমি কাউকে টাকা দেইনি।’ 

এ বিষয়ে ছোনকা দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খুরশিদা খুদা বলেন, ‘প্রার্থী নির্বাচন ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ মিথ্যা। আমি এর চেয়ে বেশি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’ 

এ বিষয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফেরদৌস জামান মুকুল বলেন, ‘গত ২২ জুন আলমগীর হোসনের বাড়িতে তাঁর প্রবেশপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রার্থী চূড়ান্ত করা ও টাকা লেনদেনের কোনো সত্যতা নেই। শুক্রবার নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আমি কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে আবেদনকারী ফয়সালের কাছ থেকে নিয়োগের জন্য কোনো টাকা নেইনি। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম। তাঁকে ৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি। বাকি টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’ 

এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষা ও প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।’

শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন জিহাদি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুক্রবারের নিয়োগ পরীক্ষায় যেন কোনো অনিয়ম না করা হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হবে। তবে নিয়োগের বিষয়ে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করে অথবা এই চারজন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত