নাজমুল হাসান সাগর, বগুড়া থেকে

জনপ্রতিনিধিদের কাছে চাওয়া-পাওয়ার হিসাবের নিষ্পত্তি না হতেই নতুন করে বারবার নেতৃত্ব বাছাইয়ের পরীক্ষায় পড়তে হচ্ছে বগুড়া সদরবাসীদের। যেন ভোট দিতে দিতেই ‘ক্লান্ত’ দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দখলে থাকা এই আসনের ভোটাররা। তাঁদের অভিযোগ, দলীয় রাজনীতির বাইরে সদ্য পদত্যাগী বিএনপির সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ বগুড়া সদরের মানুষের চাওয়া তেমন পূরণ করেননি।
রাত পোহালেই একাদশ জাতীয় সংসদে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য তৃতীয়বারের মতো ভোট দেবেন বগুড়া-৬ সদর আসনের ভোটাররা। পাঁচ বছর না গড়াতেই তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন, উপনির্বাচন নিয়ে অনেকটা বিরক্তই তাঁরা। একের পর এক ভোটাররা ভোট দিয়ে যাচ্ছেন; কিন্তু ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদ পর্যন্ত যেতে পারছেন না শুধু দলীয় রাজনীতি চিন্তা করে। দলীয় রাজনীতির মারপ্যাঁচে নেতৃত্বশূন্য হয়ে অনেকটাই শোকাতুর, ক্ষুব্ধ ও হতাশ এই আসনের মানুষ। সংসদে গিয়ে তাঁদের চাওয়া-পাওয়া ও দাবি-দাওয়ার কথা বলার মতো কেউ নেই বলে আক্ষেপও জানিয়েছেন বগুড়া সদরের মানুষ।
বগুড়া শহরের ব্যস্ততম এলাকা সাতমাথা। কাছেই বগুড়া জেলা স্কুলের মূল ফটক। এই ফটকের পাশেই বেশ কিছু চায়ের দোকান। সেখানে নির্বাচন নিয়ে তুমুল আলাপে মজেছেন নানা বয়সী মানুষ। তবে তাঁদের আলোচনায় আগামীকালের ভোটের থেকে বিগত কয়েকবার ভোট দিয়ে তাঁরা কী পেলেন এসব নিয়েই আলোচনা হচ্ছিল বেশি।
এই এলাকাতেই ছোটখাটো ব্যবসা করেন এমদাদুল হক। বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় তিনি বললেন, ‘এইবারের মেয়াদে (বর্তমান সংসদ) আমরা তিনবার ভোট দেব এমপি নির্বাচনের জন্য। কিন্তু আমাদের লাভটা কী? প্রথম যে নির্বাচিত হলো সে তো শপথই নিল না। তারপর যে নির্বাচিত হলো, কিন্তু সে সংসদে গেছে কয় দিন? এখন আবার দলের রাজনীতির জন্য পদত্যাগ করছে। আমরা ভোট দেব। আবার কেউ নির্বাচিত হবে। কিন্তু তাঁরা নির্বাচিত হলেইবা কী হবে! এক বছরও সময় নাই। এই ভোট দিয়েইবা কী হবে!’
অপেক্ষাকৃত বয়সে ছোট এক যুবক এমদাদুলের কথার পরিপ্রেক্ষিতে বললেন, ‘আপনি আছেন গত চার বছরের আলাপ নিয়ে। গত ১২-১৩ বছরে এই এলাকায় কী হয়েছে? এখন থেকে ১৫ বছর আগে বগুড়া উন্নত ছিল এইটা ঠিক। কিন্তু তখন অন্যান্য যে জেলা শহর বগুড়ার থেকে অনুন্নত ছিল, সেগুলো এখন বগুড়ার থেকে অনেক অনেক বেশি উন্নত। আমরা এক জায়গায় দাঁড়ায় আছি। তাই শুধু গত চার বছরে না, আমরা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বঞ্চিত। আমাদের জন্য কথা বলার মানুষ নাই। আমরা ভোট দিয়ে যাঁদের নির্বাচিত করি তাঁরা আমাদের কথা বলেন না।’
এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গ তোলেন কিনা উল্লাহ নামে বয়োজ্যেষ্ঠ এক ব্যক্তি। উদ্দেশ্যহীনভাবে তিনি বলছিলেন, ‘এবার ভোট দিলে আমরা এমপি পাব বড়জোর সাত মাসের জন্য। শপথ নিতে নিতেই তাঁদের সময় শেষ হয়ে যাবে। তাঁরা আমাদের নিয়ে ভাবারই সময় পাবেন না। আমরা যেই হতভাগা সেই হতভাগাই থাকব।’ এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে এমদাদুল হক আবার বললেন, কেউ কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না। খালি ভোট চাচ্ছে। কোনো প্রার্থীর কোনো ম্যান্ডেট নাই। নিয়ম রক্ষার নির্বাচন এইটা। এসব কথাই যেন বগুড়া-৬ আসনের প্রতিটি সাধারণ ভোটারের মনের কথা।
এবারের উপনির্বাচনে বগুড়া-৬ আসনে মোট প্রার্থী ১১ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঁচজন। আলোচনায় আছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী নূরুল ইসলাম ওমর, স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল মান্নান আকন্দ এবং একতারা প্রতীক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত আশরাফুল আলম (হিরো আলম)।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় টানানো পোস্টারেও উল্লেখিত প্রার্থীদের কোনো প্রতিশ্রুতি দেখা যায়নি। সাধারণ ভোটারদের এসব ক্ষোভ, হতাশা, প্রত্যাশা ও প্রশ্ন নিয়ে আলোচনায় থাকা প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নূরুল ইসলাম ওমর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বগুড়া সদরের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত এটা সত্য কথা। তবে ভোট দিতে দিতে তাঁরা বিরক্ত এটার সঙ্গে আমি একমত নই। বরং মানুষ তাঁদের ভোটটা দিতে পারবেন কি না। এটা নিয়েই মনে হয় তাঁরা বেশি শঙ্কিত। কাল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হবে কি না এটা নিয়ে আমাদের কথা বলা উচিত।’
জনগণের জন্য কী প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচন করছেন? এমন প্রশ্নে তাঁর কৌশলী উত্তর, ‘আমি আগেও পার্লামেন্টে ছিলাম। এবার যেতে পারলে পুরোনো কাজগুলো সম্পন্ন করব। নতুন করে কিছু ভাবিনি।’ তবে তাঁর নির্বাচনী পোস্টারে ‘আধুনিক সদর উপজেলা গড়ার’ কথা লেখা আছে।
একই প্রশ্ন নিয়ে কথা হয় একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের (হিরো আলম) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবার বঞ্চিত বগুড়াবাসীর সঙ্গে কথা বলার জন্য সংসদে হিরো আলম যাবে। আমি নির্বাচিত হলে যথাসাধ্য কাজের চেষ্টা করব।’
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে হিরো আলম বলেন, ‘আমার কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। এই সাত মাসে আমি নির্বাচিত হলে জনগণের জন্য কিছুই করতে পারব না। অযথা জনগণকে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিছু করতে না পারলে সেটা বেইমানি হবে। তবে, এই এলাকায় যদি বড় বড় ১০টা সমস্যা থাকে, তাহলে সেখান থেকে একটা আমি বেছে নেব এবং সেটা সমাধানের চেষ্টা করব।’
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রাগেবুল আহসানের সঙ্গে সকালে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে পরে কথা বলার অনুরোধ করেন, দুই ঘণ্টা পরে কল দিতে বলেন। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সার্বিক অবস্থা নিয়ে কথা হয় বগুড়ার সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম তুহিনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বগুড়া বিএনপির ঘাঁটি হওয়ায় বর্তমান ক্ষমতাসীনদের এই এলাকা নিয়ে এক ধরনের অ্যালার্জি রয়েছে। আমাদের বগুড়া সদরের হয়ে কোনো সংসদ সদস্য, মন্ত্রী বা নেতা নেই যাঁরা এই এলাকার জনগণের হয়ে কথা বলবেন, সমস্যাগুলো সংসদে তুলে ধরবেন। নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আমরা বগুড়া সদরবাসী নিদারুণ কষ্টে আছি।’
বারবার সংসদ নির্বাচন ও উপনির্বাচন নিয়ে মানুষের হতাশা ও বিরক্তি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ধরেন, একটা ধারণা বলি। এটা হবে কি হবে না, সেটা পরের ব্যাপার। এই যে হিরো আলম, দুই আসনে নির্বাচন করছেন। যদি দুই আসনেই হিরো আলম নির্বাচিত হন, নির্বাচিত হওয়ার পর যদি সদর আসন ছেড়ে দেন, তাহলে তো এখানে আবার নির্বাচন হবে। হবে না? আসলে বর্তমানে বগুড়া সদর আসন হাসির খোরাক হয়ে গেছে। আসলে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দলের পক্ষ থেকে ভোট বর্জন, পদত্যাগ বা শপথ না নেওয়ার মতো কাজ করেন নেতারা। কিন্তু এগুলো জনগণ ভালোভাবে নেয় না।’
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকেই যে কয়টি সাধারণ নির্বাচন হয়েছে, সব সময় বিএনপির দখলে ছিল এই আসন। বেশির ভাগ সময় নির্বাচিত হয়েছেন দলটির প্রধান খালেদা জিয়া। এবার বগুড়া-৬ আসনে মোট ১৪৩টি ভোটকেন্দ্র। প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। সেই লক্ষ্যে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে সকাল থেকেই। এখন শুধু দিন গড়িয়ে রাত পোহানোর অপেক্ষা।

জনপ্রতিনিধিদের কাছে চাওয়া-পাওয়ার হিসাবের নিষ্পত্তি না হতেই নতুন করে বারবার নেতৃত্ব বাছাইয়ের পরীক্ষায় পড়তে হচ্ছে বগুড়া সদরবাসীদের। যেন ভোট দিতে দিতেই ‘ক্লান্ত’ দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দখলে থাকা এই আসনের ভোটাররা। তাঁদের অভিযোগ, দলীয় রাজনীতির বাইরে সদ্য পদত্যাগী বিএনপির সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ বগুড়া সদরের মানুষের চাওয়া তেমন পূরণ করেননি।
রাত পোহালেই একাদশ জাতীয় সংসদে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য তৃতীয়বারের মতো ভোট দেবেন বগুড়া-৬ সদর আসনের ভোটাররা। পাঁচ বছর না গড়াতেই তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন, উপনির্বাচন নিয়ে অনেকটা বিরক্তই তাঁরা। একের পর এক ভোটাররা ভোট দিয়ে যাচ্ছেন; কিন্তু ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদ পর্যন্ত যেতে পারছেন না শুধু দলীয় রাজনীতি চিন্তা করে। দলীয় রাজনীতির মারপ্যাঁচে নেতৃত্বশূন্য হয়ে অনেকটাই শোকাতুর, ক্ষুব্ধ ও হতাশ এই আসনের মানুষ। সংসদে গিয়ে তাঁদের চাওয়া-পাওয়া ও দাবি-দাওয়ার কথা বলার মতো কেউ নেই বলে আক্ষেপও জানিয়েছেন বগুড়া সদরের মানুষ।
বগুড়া শহরের ব্যস্ততম এলাকা সাতমাথা। কাছেই বগুড়া জেলা স্কুলের মূল ফটক। এই ফটকের পাশেই বেশ কিছু চায়ের দোকান। সেখানে নির্বাচন নিয়ে তুমুল আলাপে মজেছেন নানা বয়সী মানুষ। তবে তাঁদের আলোচনায় আগামীকালের ভোটের থেকে বিগত কয়েকবার ভোট দিয়ে তাঁরা কী পেলেন এসব নিয়েই আলোচনা হচ্ছিল বেশি।
এই এলাকাতেই ছোটখাটো ব্যবসা করেন এমদাদুল হক। বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় তিনি বললেন, ‘এইবারের মেয়াদে (বর্তমান সংসদ) আমরা তিনবার ভোট দেব এমপি নির্বাচনের জন্য। কিন্তু আমাদের লাভটা কী? প্রথম যে নির্বাচিত হলো সে তো শপথই নিল না। তারপর যে নির্বাচিত হলো, কিন্তু সে সংসদে গেছে কয় দিন? এখন আবার দলের রাজনীতির জন্য পদত্যাগ করছে। আমরা ভোট দেব। আবার কেউ নির্বাচিত হবে। কিন্তু তাঁরা নির্বাচিত হলেইবা কী হবে! এক বছরও সময় নাই। এই ভোট দিয়েইবা কী হবে!’
অপেক্ষাকৃত বয়সে ছোট এক যুবক এমদাদুলের কথার পরিপ্রেক্ষিতে বললেন, ‘আপনি আছেন গত চার বছরের আলাপ নিয়ে। গত ১২-১৩ বছরে এই এলাকায় কী হয়েছে? এখন থেকে ১৫ বছর আগে বগুড়া উন্নত ছিল এইটা ঠিক। কিন্তু তখন অন্যান্য যে জেলা শহর বগুড়ার থেকে অনুন্নত ছিল, সেগুলো এখন বগুড়ার থেকে অনেক অনেক বেশি উন্নত। আমরা এক জায়গায় দাঁড়ায় আছি। তাই শুধু গত চার বছরে না, আমরা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বঞ্চিত। আমাদের জন্য কথা বলার মানুষ নাই। আমরা ভোট দিয়ে যাঁদের নির্বাচিত করি তাঁরা আমাদের কথা বলেন না।’
এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গ তোলেন কিনা উল্লাহ নামে বয়োজ্যেষ্ঠ এক ব্যক্তি। উদ্দেশ্যহীনভাবে তিনি বলছিলেন, ‘এবার ভোট দিলে আমরা এমপি পাব বড়জোর সাত মাসের জন্য। শপথ নিতে নিতেই তাঁদের সময় শেষ হয়ে যাবে। তাঁরা আমাদের নিয়ে ভাবারই সময় পাবেন না। আমরা যেই হতভাগা সেই হতভাগাই থাকব।’ এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে এমদাদুল হক আবার বললেন, কেউ কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না। খালি ভোট চাচ্ছে। কোনো প্রার্থীর কোনো ম্যান্ডেট নাই। নিয়ম রক্ষার নির্বাচন এইটা। এসব কথাই যেন বগুড়া-৬ আসনের প্রতিটি সাধারণ ভোটারের মনের কথা।
এবারের উপনির্বাচনে বগুড়া-৬ আসনে মোট প্রার্থী ১১ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঁচজন। আলোচনায় আছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী নূরুল ইসলাম ওমর, স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল মান্নান আকন্দ এবং একতারা প্রতীক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত আশরাফুল আলম (হিরো আলম)।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় টানানো পোস্টারেও উল্লেখিত প্রার্থীদের কোনো প্রতিশ্রুতি দেখা যায়নি। সাধারণ ভোটারদের এসব ক্ষোভ, হতাশা, প্রত্যাশা ও প্রশ্ন নিয়ে আলোচনায় থাকা প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নূরুল ইসলাম ওমর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বগুড়া সদরের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত এটা সত্য কথা। তবে ভোট দিতে দিতে তাঁরা বিরক্ত এটার সঙ্গে আমি একমত নই। বরং মানুষ তাঁদের ভোটটা দিতে পারবেন কি না। এটা নিয়েই মনে হয় তাঁরা বেশি শঙ্কিত। কাল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হবে কি না এটা নিয়ে আমাদের কথা বলা উচিত।’
জনগণের জন্য কী প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচন করছেন? এমন প্রশ্নে তাঁর কৌশলী উত্তর, ‘আমি আগেও পার্লামেন্টে ছিলাম। এবার যেতে পারলে পুরোনো কাজগুলো সম্পন্ন করব। নতুন করে কিছু ভাবিনি।’ তবে তাঁর নির্বাচনী পোস্টারে ‘আধুনিক সদর উপজেলা গড়ার’ কথা লেখা আছে।
একই প্রশ্ন নিয়ে কথা হয় একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের (হিরো আলম) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবার বঞ্চিত বগুড়াবাসীর সঙ্গে কথা বলার জন্য সংসদে হিরো আলম যাবে। আমি নির্বাচিত হলে যথাসাধ্য কাজের চেষ্টা করব।’
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে হিরো আলম বলেন, ‘আমার কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। এই সাত মাসে আমি নির্বাচিত হলে জনগণের জন্য কিছুই করতে পারব না। অযথা জনগণকে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিছু করতে না পারলে সেটা বেইমানি হবে। তবে, এই এলাকায় যদি বড় বড় ১০টা সমস্যা থাকে, তাহলে সেখান থেকে একটা আমি বেছে নেব এবং সেটা সমাধানের চেষ্টা করব।’
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রাগেবুল আহসানের সঙ্গে সকালে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে পরে কথা বলার অনুরোধ করেন, দুই ঘণ্টা পরে কল দিতে বলেন। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সার্বিক অবস্থা নিয়ে কথা হয় বগুড়ার সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম তুহিনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বগুড়া বিএনপির ঘাঁটি হওয়ায় বর্তমান ক্ষমতাসীনদের এই এলাকা নিয়ে এক ধরনের অ্যালার্জি রয়েছে। আমাদের বগুড়া সদরের হয়ে কোনো সংসদ সদস্য, মন্ত্রী বা নেতা নেই যাঁরা এই এলাকার জনগণের হয়ে কথা বলবেন, সমস্যাগুলো সংসদে তুলে ধরবেন। নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আমরা বগুড়া সদরবাসী নিদারুণ কষ্টে আছি।’
বারবার সংসদ নির্বাচন ও উপনির্বাচন নিয়ে মানুষের হতাশা ও বিরক্তি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ধরেন, একটা ধারণা বলি। এটা হবে কি হবে না, সেটা পরের ব্যাপার। এই যে হিরো আলম, দুই আসনে নির্বাচন করছেন। যদি দুই আসনেই হিরো আলম নির্বাচিত হন, নির্বাচিত হওয়ার পর যদি সদর আসন ছেড়ে দেন, তাহলে তো এখানে আবার নির্বাচন হবে। হবে না? আসলে বর্তমানে বগুড়া সদর আসন হাসির খোরাক হয়ে গেছে। আসলে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দলের পক্ষ থেকে ভোট বর্জন, পদত্যাগ বা শপথ না নেওয়ার মতো কাজ করেন নেতারা। কিন্তু এগুলো জনগণ ভালোভাবে নেয় না।’
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকেই যে কয়টি সাধারণ নির্বাচন হয়েছে, সব সময় বিএনপির দখলে ছিল এই আসন। বেশির ভাগ সময় নির্বাচিত হয়েছেন দলটির প্রধান খালেদা জিয়া। এবার বগুড়া-৬ আসনে মোট ১৪৩টি ভোটকেন্দ্র। প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। সেই লক্ষ্যে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে সকাল থেকেই। এখন শুধু দিন গড়িয়ে রাত পোহানোর অপেক্ষা।

বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
৪ ঘণ্টা আগে
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন।
৪ ঘণ্টা আগেজিল্লুর রহমান, মান্দা (নওগাঁ)

বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা। শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা ও অসুস্থতায় ভুগেও ক্লাসে বসতে হচ্ছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে। নিরাপদ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের বদলে কালো ধোঁয়ার নিচে বড় হচ্ছে তাদের শৈশব—যা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য এক গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে উপজেলার সাবাইহাট এলাকার ঝাঁঝরের মোড়ে ‘যমুনা ব্রিকস’ নামে ইটভাটাটি স্থাপন করা হয়েছে। ভাটার মাত্র ২৫০ মিটার দূরে রয়েছে একরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একরুখী উচ্চবিদ্যালয়। আশপাশে রয়েছে আবাসিক এলাকা ও দুটি আমবাগান। গোসাইপুর গ্রামের কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি ভাটাটি পরিচালনা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ফিক্সড চিমনির মাধ্যমে ইট পোড়ানো হচ্ছে। কয়লার পাশাপাশি কাঠের খড়ি ব্যবহার করায় ধোঁয়ার মাত্রা আরও বেড়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে বসে পড়াশোনা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১৩ সালের সংশোধনী) অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা ও বাগানের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা নিষিদ্ধ। তবে এই আইন অমান্য করেই প্রায় ২০ বছর ভাটাটি পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
একরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, গত বছর ভাটা চালু হওয়ার পর তার এক সহপাঠী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং চিকিৎসা নিতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী শ্বাসকষ্টে ভোগে বলেও জানায় সে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুল বলেন, ইটভাটাটি নিয়ে তেমন কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কিছুদিন আগে ভাটামালিক ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন।
জানতে চাইলে ভাটামালিক কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়েই ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আগামী বছর থেকে আর ব্যবসা করব না।’
এ বিষয়ে ইউএনও আখতার জাহান সাথী বলেন, যমুনা ব্রিকসের পরিবেশ ছাড়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে লাইসেন্সবিহীন সব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা। শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা ও অসুস্থতায় ভুগেও ক্লাসে বসতে হচ্ছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে। নিরাপদ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের বদলে কালো ধোঁয়ার নিচে বড় হচ্ছে তাদের শৈশব—যা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য এক গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে উপজেলার সাবাইহাট এলাকার ঝাঁঝরের মোড়ে ‘যমুনা ব্রিকস’ নামে ইটভাটাটি স্থাপন করা হয়েছে। ভাটার মাত্র ২৫০ মিটার দূরে রয়েছে একরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একরুখী উচ্চবিদ্যালয়। আশপাশে রয়েছে আবাসিক এলাকা ও দুটি আমবাগান। গোসাইপুর গ্রামের কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি ভাটাটি পরিচালনা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ফিক্সড চিমনির মাধ্যমে ইট পোড়ানো হচ্ছে। কয়লার পাশাপাশি কাঠের খড়ি ব্যবহার করায় ধোঁয়ার মাত্রা আরও বেড়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে বসে পড়াশোনা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১৩ সালের সংশোধনী) অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা ও বাগানের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা নিষিদ্ধ। তবে এই আইন অমান্য করেই প্রায় ২০ বছর ভাটাটি পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
একরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, গত বছর ভাটা চালু হওয়ার পর তার এক সহপাঠী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং চিকিৎসা নিতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী শ্বাসকষ্টে ভোগে বলেও জানায় সে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুল বলেন, ইটভাটাটি নিয়ে তেমন কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কিছুদিন আগে ভাটামালিক ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন।
জানতে চাইলে ভাটামালিক কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়েই ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আগামী বছর থেকে আর ব্যবসা করব না।’
এ বিষয়ে ইউএনও আখতার জাহান সাথী বলেন, যমুনা ব্রিকসের পরিবেশ ছাড়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে লাইসেন্সবিহীন সব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

‘এইবারের মেয়াদে (বর্তমান সংসদ) আমরা তিনবার ভোট দেব এমপি নির্বাচনের জন্য। কিন্তু আমাদের লাভটা কী? প্রথম যে নির্বাচিত হলো সে তো শপথই নিল না। তারপর যে নির্বাচিত হলো, কিন্তু সে সংসদে গেছে কয় দিন?
৩১ জানুয়ারি ২০২৩
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন।
৪ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির ১ আসন
নীরব চৌধুরী বিটন, খাগড়াছড়ি

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সবুজ পাহাড়ের রাজনীতির হিসাবনিকাশ বুঝতে মূল রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক দলগুলোর ভোটের অঙ্ক কষতে হয় বিশ্লেষকদের। ভোটের সময় সেই অঙ্কে যুক্ত হয় পাহাড়ি-বাঙালি সমীকরণ। এবার জয়ের সমীকরণ পাল্টে দিতে পারে পাহাড়ি ভোটাররা।
২৯৮ নম্বর খাগড়াছড়ি আসনে বিএনপি, জামায়াত, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৬ জন। তাঁরা হলেন বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, জামায়াতের এয়াকুব আলী, ইসলামী আন্দোলনের মো. কাউসার, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের নুর ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সমীরণ দেওয়ান, সন্তোষিত চাকমা, লাব্রিচাই মারমা, ধর্ম জ্যোতি চাকমা, সোনা রতন চাকমা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিরুনা ত্রিপুরা, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা, খেলাফতে মজলিস মনোনীত আনোয়ার হোসাইন মিয়াজী, গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত দীনময় রোয়াজা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মনোনীত মো. মোস্তাফা, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি মনোনীত উশোপ্রু মারমা। এদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনজিলা সুলতানা ঝুমা।
জানা গেছে, বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি দল প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও বেশ কৌশলী এবং শক্তিশালী। কারণ পাহাড়ি ভোটার। স্থানীয় আঞ্চলিক দল ও আঞ্চলিকতার প্রশ্নে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটের বাক্সে বেশ এককাট্টা স্থানীয় ভোটাররা।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নির্বাচনের ব্যাপারে আগে নীরব থাকলেও এখন তারা অনেকটা সরব। পাহাড়ের আরেক শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি জেএসএস (এমএন লারমা) সরাসরি ভোটে না এলেও পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়ার কথা বলছে। ফলে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য জয়ে আশার বাতিঘরে কিছুটা হতাশাও বেশ প্রকাশ্যে। এ ছাড়া প্রার্থীর যোগ্যতা, ভোটারদের বিগত দিনের বিশ্লেষণ এবং হিসাবনিকাশে জয়ে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে পারে আশাবাদী দলগুলো।
আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার আগপর্যন্ত পাহাড়ের ভোটের যে সমীকরণ ছিল; এখন সেটা পাল্টে গেছে। কারণ আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনে না এলে ভোটের মাঠ অনেকটা বিএনপি ও জামায়াতের দখলেই থাকত। কিন্তু ইউপিডিএফ ও জেএসএসের নির্বাচনে থাকার ঘোষণা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন মাত্রা দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী নির্বাচন সরল-দ্বিমুখী লড়াইয়ের বদলে কোথাও কোথাও কঠিন-ত্রিমুখী লড়াইয়ে পরিণত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বিএনপি। যদিও আওয়ামী লীগহীন এই নির্বাচনে বিএনপি সারা দেশেই বড় জয়ের আশা করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ভোট কোন বাক্সে পড়বে, সেটিও দেখার পালা এবার।
পাল্টে যাওয়া সমীকরণ
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য খাগড়াছড়িতে জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া প্রার্থী ঘোষণার আগ থেকেই গণসংযোগে রয়েছেন। প্রার্থিতা ও তফসিল ঘোষণার পর প্রচারে আরও সরব হয়ে উঠেছেন তিনি। ইউপিডিএফ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার আগপর্যন্ত এখানে ওয়াদুদ ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এয়াকুব আলীকে ধরা হলেও এখন সমীকরণ পাল্টে গেছে।
বিএনপির প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি আগেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণ আমাকে চিনে। জেলার বেশির ভাগ সড়ক, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, বিহার আমার সময়ে নির্মিত হয়েছে। পাহাড়ি-বাঙালি উভয় জনগোষ্ঠীর মানুষ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। এরই মধ্যে চাকমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ স্বতন্ত্রভাবে আমার সমর্থনে সমাবেশও করেছে।’
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এয়াকুব আলী বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ তৈরি করব, যেখানে নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে, নিরাপত্তা নিয়ে ভয়হীন দেশে ইনসাফের সঙ্গে বসবাস করবে। পাহাড়ি-বাঙালি মিলেমিশে তৈরি হবে এক সম্প্রীতির বাংলাদেশ।’
জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনমুখী দল। তবে এই নির্বাচনে আমরা সরাসরি কোনো প্রার্থী না দিলেও কোনো না কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেব। তবে কোনো দলকে নয়। খাগড়াছড়ির এবার পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন।’
পাহাড়িদের দীর্ঘদিনের ভূমি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অধিকারসংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানে জাতীয় দলগুলোর আন্তরিকতা নিয়ে অভিযোগও বেশ পুরোনো। এই প্রেক্ষাপটে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী থেকে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়টিকে বেশ গুরুত্বসহকারে দেখছেন স্থানীয় পাহাড়ি ভোটাররা। এখানেই তাঁরা এককাট্টা।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সবুজ পাহাড়ের রাজনীতির হিসাবনিকাশ বুঝতে মূল রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক দলগুলোর ভোটের অঙ্ক কষতে হয় বিশ্লেষকদের। ভোটের সময় সেই অঙ্কে যুক্ত হয় পাহাড়ি-বাঙালি সমীকরণ। এবার জয়ের সমীকরণ পাল্টে দিতে পারে পাহাড়ি ভোটাররা।
২৯৮ নম্বর খাগড়াছড়ি আসনে বিএনপি, জামায়াত, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৬ জন। তাঁরা হলেন বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, জামায়াতের এয়াকুব আলী, ইসলামী আন্দোলনের মো. কাউসার, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের নুর ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সমীরণ দেওয়ান, সন্তোষিত চাকমা, লাব্রিচাই মারমা, ধর্ম জ্যোতি চাকমা, সোনা রতন চাকমা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিরুনা ত্রিপুরা, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা, খেলাফতে মজলিস মনোনীত আনোয়ার হোসাইন মিয়াজী, গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত দীনময় রোয়াজা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মনোনীত মো. মোস্তাফা, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি মনোনীত উশোপ্রু মারমা। এদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনজিলা সুলতানা ঝুমা।
জানা গেছে, বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি দল প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও বেশ কৌশলী এবং শক্তিশালী। কারণ পাহাড়ি ভোটার। স্থানীয় আঞ্চলিক দল ও আঞ্চলিকতার প্রশ্নে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটের বাক্সে বেশ এককাট্টা স্থানীয় ভোটাররা।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নির্বাচনের ব্যাপারে আগে নীরব থাকলেও এখন তারা অনেকটা সরব। পাহাড়ের আরেক শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি জেএসএস (এমএন লারমা) সরাসরি ভোটে না এলেও পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়ার কথা বলছে। ফলে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য জয়ে আশার বাতিঘরে কিছুটা হতাশাও বেশ প্রকাশ্যে। এ ছাড়া প্রার্থীর যোগ্যতা, ভোটারদের বিগত দিনের বিশ্লেষণ এবং হিসাবনিকাশে জয়ে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে পারে আশাবাদী দলগুলো।
আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার আগপর্যন্ত পাহাড়ের ভোটের যে সমীকরণ ছিল; এখন সেটা পাল্টে গেছে। কারণ আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনে না এলে ভোটের মাঠ অনেকটা বিএনপি ও জামায়াতের দখলেই থাকত। কিন্তু ইউপিডিএফ ও জেএসএসের নির্বাচনে থাকার ঘোষণা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন মাত্রা দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী নির্বাচন সরল-দ্বিমুখী লড়াইয়ের বদলে কোথাও কোথাও কঠিন-ত্রিমুখী লড়াইয়ে পরিণত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বিএনপি। যদিও আওয়ামী লীগহীন এই নির্বাচনে বিএনপি সারা দেশেই বড় জয়ের আশা করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ভোট কোন বাক্সে পড়বে, সেটিও দেখার পালা এবার।
পাল্টে যাওয়া সমীকরণ
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য খাগড়াছড়িতে জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া প্রার্থী ঘোষণার আগ থেকেই গণসংযোগে রয়েছেন। প্রার্থিতা ও তফসিল ঘোষণার পর প্রচারে আরও সরব হয়ে উঠেছেন তিনি। ইউপিডিএফ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার আগপর্যন্ত এখানে ওয়াদুদ ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এয়াকুব আলীকে ধরা হলেও এখন সমীকরণ পাল্টে গেছে।
বিএনপির প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি আগেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণ আমাকে চিনে। জেলার বেশির ভাগ সড়ক, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, বিহার আমার সময়ে নির্মিত হয়েছে। পাহাড়ি-বাঙালি উভয় জনগোষ্ঠীর মানুষ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। এরই মধ্যে চাকমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ স্বতন্ত্রভাবে আমার সমর্থনে সমাবেশও করেছে।’
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এয়াকুব আলী বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ তৈরি করব, যেখানে নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে, নিরাপত্তা নিয়ে ভয়হীন দেশে ইনসাফের সঙ্গে বসবাস করবে। পাহাড়ি-বাঙালি মিলেমিশে তৈরি হবে এক সম্প্রীতির বাংলাদেশ।’
জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনমুখী দল। তবে এই নির্বাচনে আমরা সরাসরি কোনো প্রার্থী না দিলেও কোনো না কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেব। তবে কোনো দলকে নয়। খাগড়াছড়ির এবার পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন।’
পাহাড়িদের দীর্ঘদিনের ভূমি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অধিকারসংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানে জাতীয় দলগুলোর আন্তরিকতা নিয়ে অভিযোগও বেশ পুরোনো। এই প্রেক্ষাপটে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী থেকে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়টিকে বেশ গুরুত্বসহকারে দেখছেন স্থানীয় পাহাড়ি ভোটাররা। এখানেই তাঁরা এককাট্টা।

‘এইবারের মেয়াদে (বর্তমান সংসদ) আমরা তিনবার ভোট দেব এমপি নির্বাচনের জন্য। কিন্তু আমাদের লাভটা কী? প্রথম যে নির্বাচিত হলো সে তো শপথই নিল না। তারপর যে নির্বাচিত হলো, কিন্তু সে সংসদে গেছে কয় দিন?
৩১ জানুয়ারি ২০২৩
বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
৪ ঘণ্টা আগে
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন।
৪ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কারের আগেই তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ-সংক্রান্ত দুটি ছবি তিনি পোস্ট করেন, যেখানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট সংযুক্ত ছিল। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ২৮ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পরে সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিটে দেওয়া আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত। আমি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে দেওয়া পৃথক এক পোস্টে হাসান মামুন প্রশ্ন তোলেন, ‘ময়মনসিংহের ফখরুদ্দিন বাচ্চুকে বহিষ্কার, তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে মামলা করার কত দিন পরে ডেকে এনে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও সঙ্গে মনোনয়ন দেওয়া হলো?’
এরপর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সকল সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন হাসান মামুন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসনটি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। এরপরও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই সঙ্গে তিনি নিজ উদ্যোগে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব কর্মকাণ্ড বিএনপির গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে হাসান মামুনকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কারের আগেই তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ-সংক্রান্ত দুটি ছবি তিনি পোস্ট করেন, যেখানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট সংযুক্ত ছিল। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ২৮ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পরে সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিটে দেওয়া আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত। আমি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে দেওয়া পৃথক এক পোস্টে হাসান মামুন প্রশ্ন তোলেন, ‘ময়মনসিংহের ফখরুদ্দিন বাচ্চুকে বহিষ্কার, তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে মামলা করার কত দিন পরে ডেকে এনে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও সঙ্গে মনোনয়ন দেওয়া হলো?’
এরপর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সকল সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন হাসান মামুন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসনটি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। এরপরও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই সঙ্গে তিনি নিজ উদ্যোগে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব কর্মকাণ্ড বিএনপির গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে হাসান মামুনকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

‘এইবারের মেয়াদে (বর্তমান সংসদ) আমরা তিনবার ভোট দেব এমপি নির্বাচনের জন্য। কিন্তু আমাদের লাভটা কী? প্রথম যে নির্বাচিত হলো সে তো শপথই নিল না। তারপর যে নির্বাচিত হলো, কিন্তু সে সংসদে গেছে কয় দিন?
৩১ জানুয়ারি ২০২৩
বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
৪ ঘণ্টা আগে
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন।
৪ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন। তিনি গাজীপুরের গেজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা। হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে উত্তরা আজমপুরে ডান পায়ের ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হন শফিকুল। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সরকার তাঁকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে সব কাগজপত্র ব্যবস্থা করলে তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি তাঁর জ্বর ও অন্যান্য শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল সোমবার গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুল ইসলাম মারা যান।
এদিকে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজন, সহযোদ্ধা ও এলাকাবাসী তাঁকে একজন সাহসী জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্মরণ করছে।
হালুয়াঘাট জুলাই শহীদ ও আহত সেলের প্রতিনিধি রিদওয়ান সিদ্দিকী জানান, শহীদ শফিকের জানাজা নামাজ বুধবার সকাল ১০টায় হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় মামা পাগলা মাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে হালুয়াঘাটে নিজ এলাকায় দাফন করা হবে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আজ হলুয়াঘাটের এক আহত জুলাই যোদ্ধা শফিকুল ইন্তেকাল করেছেন। তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রায় দেড় বছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।
নিহত শফিকুলের ছোট বোনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরদেহ হালুয়াঘাটে নেওয়ার জন্য একটি ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা গাজীপুরে শফিকের জানাজা শেষে হালুয়াঘাটের উদ্দেশে রওনা হই। বুধবার জানাজা শেষে তাঁর দাফন করা হবে।’
শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া আরও বলেন, সরকার থেকে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবে জুলাই যোদ্ধা শফিক বিদেশ যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি গুলির স্থানে ইনফেকশন হয়, যে কারণে জ্বর আসে। পরে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিক মারা যান। চিকিৎসক জানিয়েছেন, নিউমোনিয়া ও গুলির স্থানে ইনফেকশনের কারণে তিনি মারা গেছেন।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম বলেন, জুলাই যোদ্ধা শফিক গাজীপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলিনুর খান বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহে হালুয়াঘাটে আনার জন্য ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় তাঁর জানাজা হবে। সেখানে উপস্থিত থেকে যথাযথ মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হবে। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন। তিনি গাজীপুরের গেজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা। হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে উত্তরা আজমপুরে ডান পায়ের ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হন শফিকুল। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সরকার তাঁকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে সব কাগজপত্র ব্যবস্থা করলে তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি তাঁর জ্বর ও অন্যান্য শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল সোমবার গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুল ইসলাম মারা যান।
এদিকে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজন, সহযোদ্ধা ও এলাকাবাসী তাঁকে একজন সাহসী জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্মরণ করছে।
হালুয়াঘাট জুলাই শহীদ ও আহত সেলের প্রতিনিধি রিদওয়ান সিদ্দিকী জানান, শহীদ শফিকের জানাজা নামাজ বুধবার সকাল ১০টায় হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় মামা পাগলা মাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে হালুয়াঘাটে নিজ এলাকায় দাফন করা হবে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আজ হলুয়াঘাটের এক আহত জুলাই যোদ্ধা শফিকুল ইন্তেকাল করেছেন। তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রায় দেড় বছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।
নিহত শফিকুলের ছোট বোনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরদেহ হালুয়াঘাটে নেওয়ার জন্য একটি ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা গাজীপুরে শফিকের জানাজা শেষে হালুয়াঘাটের উদ্দেশে রওনা হই। বুধবার জানাজা শেষে তাঁর দাফন করা হবে।’
শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া আরও বলেন, সরকার থেকে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবে জুলাই যোদ্ধা শফিক বিদেশ যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি গুলির স্থানে ইনফেকশন হয়, যে কারণে জ্বর আসে। পরে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিক মারা যান। চিকিৎসক জানিয়েছেন, নিউমোনিয়া ও গুলির স্থানে ইনফেকশনের কারণে তিনি মারা গেছেন।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম বলেন, জুলাই যোদ্ধা শফিক গাজীপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলিনুর খান বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহে হালুয়াঘাটে আনার জন্য ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় তাঁর জানাজা হবে। সেখানে উপস্থিত থেকে যথাযথ মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হবে। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘এইবারের মেয়াদে (বর্তমান সংসদ) আমরা তিনবার ভোট দেব এমপি নির্বাচনের জন্য। কিন্তু আমাদের লাভটা কী? প্রথম যে নির্বাচিত হলো সে তো শপথই নিল না। তারপর যে নির্বাচিত হলো, কিন্তু সে সংসদে গেছে কয় দিন?
৩১ জানুয়ারি ২০২৩
বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
৪ ঘণ্টা আগে
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
৪ ঘণ্টা আগে