প্রতিনিধি, বরগুনা

উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ায় দুর্যোগপ্রবণ জেলা বরগুনা। বিপুল সংখ্যক মানুষের পেশা মাছ শিকার। তাঁদের বসবাসও নদী তীরবর্তী এলাকায়। অনিশ্চয়তার জীবনে আরেক বিপর্যয় হয়ে হানা দিয়ে কোভিড মহামারি। এক দিকে দারিদ্র্য, অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কেউ আর মেয়েকে ঘরে রাখাটা ‘নিরাপদ’ মনে করছেন না। মোটামুটি পছন্দ মতো পাত্র পেলেই স্কুলপড়ুয়া কিশোরী মেয়েকে গোপনে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন।
সম্প্রতি মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, করোনা কালে বরগুনায় রেকর্ড সংখ্যক বাল্যবিবাহ হয়েছে। ২১ জেলার ৮৪ উপজেলায় ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত জরিপে দেখা গেছে, এ সময় বরগুনা জেলায় ১ হাজার ৫১২ টি বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ২১ জেলার মধ্যে এটিই সর্বাধিক। এরপরই যথাক্রমে কুড়িগ্রাম (১ হাজার ২৭২ টি), নীলফামারী (১ হাজার ২২২ টি), লক্ষ্মীপুর (১ হাজার ৪১ টি) এবং কুষ্টিয়া (৮৮৪ টি) জেলার অবস্থান।
করোনাকালীন অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক সুরক্ষা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম বন্ধ থাকা, তথ্যের আদান প্রদানে ঘাটতি সৃষ্টি হওয়া ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টানা বন্ধ থাকার কারণে বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো–অর্ডিনেটর অর্পিতা দাস জানান, উপকূলীয় জেলা বরগুনার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিম্নআয়ের মানুষেরা কন্যাশিশুটিকে ঝুঁকি মনে করে দ্রুত বিয়ে দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে মহামারি কালে রোজগারের সমস্যা, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাসহ নানা সামাজিক প্রতিকূলতার কারণে তাঁরা বাল্য বিয়ের দিকে বেশি ঝুঁকছেন।
কিশোরী কন্যাকে বিয়ে দেওয়া কয়েকজন অভিভাবকের বক্তব্যেও এই বিষয়গুলো উঠে এসেছে। সম্প্রতি মেয়েকে বাল্যবিয়ে দিয়েছেন বরগুনার সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালী গ্রামের এক বাসিন্দা। দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে পার্শ্ববর্তী গ্রামে বিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভাই, মোরা অইলাম জাইল্লা (জেলে) মানুষ, গাঙ্গে মাছ ধইর্যা খাই। মাইয়া ইশকুলে পড়াইতাম, দুইডা বচ্ছর ইশকুল বন্ধ। মাইয়া ডাঙ্গর (বড়) অইছে, হেই চিন্তায় ঘুম আয়না। পোলাপানে জ্বালায়, মাইয়া মানু কতকুন মন ঠিক রাকতে পারে (মেয়ে মানুষ কতোক্ষণ মন ঠিক রাখতে পারে)। একটা বিপদ ঘটাইয়া হালাইলে, ইজ্জাত থাকপে না। হের চাইতে পোলা পাইছি, বিয়া দিয়া দিছি।’
নদী তীরবর্তী জেলেপাড়াগুলোর বাসিন্দা তো বটেই, অন্য এলাকার নিম্নআয়ের মানুষগুলোও একই রকম যুক্তি দিচ্ছেন। সদরের নলটোনা ইউনিয়নের নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকেও সম্প্রতি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক একজন অটোরিকশা চালক। তিনি বলেন, ‘করোনায় গুরাগারা (বাচ্চাকাচ্চা) লইয়া খাইয়া পইরা থাকনই দায়। এইয়ার মইদ্দে ইশকুল বন্ধ থাহনে মাইয়া জিবুইত (মানুষ) ঠিক রাহন দায়। চিন্তা হরলাম, বিয়া দেওনই ভালো। হেই কারণে মোর মাইয়া বিয়া দিয়া নিশ্চন্ত অইছি।’
১০৭টি বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে ২০১৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন পিস প্রাইজের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনয়িনের মাইঠা লবণগোলা এলাকার সাজেদা আক্তার। তিনি বর্তমানে বরগুনা সরকারি কলেজে স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বরগুনায় বাল্যবিয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি বিষয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সাজেদা বলেন, অভিজ্ঞতা থেকে আমি মনে করি, বাল্যবিয়ে রোধে সামাজিক সচেতনতার বিকল্প নেই। কিন্তু করোনার কারণে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ রয়েছে। অপেক্ষাকৃত দরিদ্র পরিবারের মধ্যে বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেশি। এসব পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত না হওয়ার কারণে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। এছাড়াও করোনার কারণে বাল্যবিয়ে সম্পর্কিত তথ্য আদান প্রদানেও ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণেই বাল্যবিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমি মনে করি।
বরগুনায় বাল্যবিয়ের রেকর্ড নিয়ে কথা হয় সামাজিক সংগঠন নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটি বরগুনা জেলার সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামালের সঙ্গে। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতা ছাড়া বাল্যবিয়ে সংঘটিত হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ কাজিদের কাছে বিয়ের জন্য গেলেই বয়স প্রমাণ করতে জন্ম নিবন্ধন সনদ দরকার হয়। টাকার বিনিময়ে ইউপি সচিবেরা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে থাকেন। ফলে আইনগত কোনো জটিলতায় পড়তে হয় না। জন্ম নিবন্ধন জোগার করতে না পারলে বিয়ে হওয়া সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
তবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের জরিপে পাওয়া পরিসংখ্যান মানছেন না জেলা মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মেহেরুন মুন্নি। তিনি বলছেন, তাদের তথ্যের সঙ্গে আমাদের কাছে থাকা তথ্যের কোনো মিল নেই। বরগুনায় বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেড়েছে তবে এত বেশি না। আমরা করোনার মধ্যে শতাধিক বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছি। অবশ্য করোনার কারণে সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষকেরা ছাত্র–ছাত্রীদের খোঁজখবর নিতে পারছেন না, ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বাল্যবিয়ের তথ্য আসে না বলে স্বীকার করেছেন এ কর্মকর্তারা। এ ছাড়া মহামারিতে নিম্নআয়ের মানুষেরা বেকার হয়ে পড়েছেন। তাঁরা কন্যাশিশুকে বোঝা মনে করছেন। এসব কারণে বাল্যবিয়ে বাড়ছে বলেও একমত তিনি।

উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ায় দুর্যোগপ্রবণ জেলা বরগুনা। বিপুল সংখ্যক মানুষের পেশা মাছ শিকার। তাঁদের বসবাসও নদী তীরবর্তী এলাকায়। অনিশ্চয়তার জীবনে আরেক বিপর্যয় হয়ে হানা দিয়ে কোভিড মহামারি। এক দিকে দারিদ্র্য, অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কেউ আর মেয়েকে ঘরে রাখাটা ‘নিরাপদ’ মনে করছেন না। মোটামুটি পছন্দ মতো পাত্র পেলেই স্কুলপড়ুয়া কিশোরী মেয়েকে গোপনে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন।
সম্প্রতি মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, করোনা কালে বরগুনায় রেকর্ড সংখ্যক বাল্যবিবাহ হয়েছে। ২১ জেলার ৮৪ উপজেলায় ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত জরিপে দেখা গেছে, এ সময় বরগুনা জেলায় ১ হাজার ৫১২ টি বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ২১ জেলার মধ্যে এটিই সর্বাধিক। এরপরই যথাক্রমে কুড়িগ্রাম (১ হাজার ২৭২ টি), নীলফামারী (১ হাজার ২২২ টি), লক্ষ্মীপুর (১ হাজার ৪১ টি) এবং কুষ্টিয়া (৮৮৪ টি) জেলার অবস্থান।
করোনাকালীন অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক সুরক্ষা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম বন্ধ থাকা, তথ্যের আদান প্রদানে ঘাটতি সৃষ্টি হওয়া ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টানা বন্ধ থাকার কারণে বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো–অর্ডিনেটর অর্পিতা দাস জানান, উপকূলীয় জেলা বরগুনার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিম্নআয়ের মানুষেরা কন্যাশিশুটিকে ঝুঁকি মনে করে দ্রুত বিয়ে দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে মহামারি কালে রোজগারের সমস্যা, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাসহ নানা সামাজিক প্রতিকূলতার কারণে তাঁরা বাল্য বিয়ের দিকে বেশি ঝুঁকছেন।
কিশোরী কন্যাকে বিয়ে দেওয়া কয়েকজন অভিভাবকের বক্তব্যেও এই বিষয়গুলো উঠে এসেছে। সম্প্রতি মেয়েকে বাল্যবিয়ে দিয়েছেন বরগুনার সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালী গ্রামের এক বাসিন্দা। দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে পার্শ্ববর্তী গ্রামে বিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভাই, মোরা অইলাম জাইল্লা (জেলে) মানুষ, গাঙ্গে মাছ ধইর্যা খাই। মাইয়া ইশকুলে পড়াইতাম, দুইডা বচ্ছর ইশকুল বন্ধ। মাইয়া ডাঙ্গর (বড়) অইছে, হেই চিন্তায় ঘুম আয়না। পোলাপানে জ্বালায়, মাইয়া মানু কতকুন মন ঠিক রাকতে পারে (মেয়ে মানুষ কতোক্ষণ মন ঠিক রাখতে পারে)। একটা বিপদ ঘটাইয়া হালাইলে, ইজ্জাত থাকপে না। হের চাইতে পোলা পাইছি, বিয়া দিয়া দিছি।’
নদী তীরবর্তী জেলেপাড়াগুলোর বাসিন্দা তো বটেই, অন্য এলাকার নিম্নআয়ের মানুষগুলোও একই রকম যুক্তি দিচ্ছেন। সদরের নলটোনা ইউনিয়নের নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকেও সম্প্রতি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক একজন অটোরিকশা চালক। তিনি বলেন, ‘করোনায় গুরাগারা (বাচ্চাকাচ্চা) লইয়া খাইয়া পইরা থাকনই দায়। এইয়ার মইদ্দে ইশকুল বন্ধ থাহনে মাইয়া জিবুইত (মানুষ) ঠিক রাহন দায়। চিন্তা হরলাম, বিয়া দেওনই ভালো। হেই কারণে মোর মাইয়া বিয়া দিয়া নিশ্চন্ত অইছি।’
১০৭টি বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে ২০১৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন পিস প্রাইজের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনয়িনের মাইঠা লবণগোলা এলাকার সাজেদা আক্তার। তিনি বর্তমানে বরগুনা সরকারি কলেজে স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বরগুনায় বাল্যবিয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি বিষয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সাজেদা বলেন, অভিজ্ঞতা থেকে আমি মনে করি, বাল্যবিয়ে রোধে সামাজিক সচেতনতার বিকল্প নেই। কিন্তু করোনার কারণে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ রয়েছে। অপেক্ষাকৃত দরিদ্র পরিবারের মধ্যে বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেশি। এসব পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত না হওয়ার কারণে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। এছাড়াও করোনার কারণে বাল্যবিয়ে সম্পর্কিত তথ্য আদান প্রদানেও ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণেই বাল্যবিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমি মনে করি।
বরগুনায় বাল্যবিয়ের রেকর্ড নিয়ে কথা হয় সামাজিক সংগঠন নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটি বরগুনা জেলার সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামালের সঙ্গে। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতা ছাড়া বাল্যবিয়ে সংঘটিত হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ কাজিদের কাছে বিয়ের জন্য গেলেই বয়স প্রমাণ করতে জন্ম নিবন্ধন সনদ দরকার হয়। টাকার বিনিময়ে ইউপি সচিবেরা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে থাকেন। ফলে আইনগত কোনো জটিলতায় পড়তে হয় না। জন্ম নিবন্ধন জোগার করতে না পারলে বিয়ে হওয়া সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
তবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের জরিপে পাওয়া পরিসংখ্যান মানছেন না জেলা মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মেহেরুন মুন্নি। তিনি বলছেন, তাদের তথ্যের সঙ্গে আমাদের কাছে থাকা তথ্যের কোনো মিল নেই। বরগুনায় বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেড়েছে তবে এত বেশি না। আমরা করোনার মধ্যে শতাধিক বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছি। অবশ্য করোনার কারণে সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষকেরা ছাত্র–ছাত্রীদের খোঁজখবর নিতে পারছেন না, ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বাল্যবিয়ের তথ্য আসে না বলে স্বীকার করেছেন এ কর্মকর্তারা। এ ছাড়া মহামারিতে নিম্নআয়ের মানুষেরা বেকার হয়ে পড়েছেন। তাঁরা কন্যাশিশুকে বোঝা মনে করছেন। এসব কারণে বাল্যবিয়ে বাড়ছে বলেও একমত তিনি।

উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
১৮ মিনিট আগে
আহত সেনা কর্মকর্তার বড় বোন শামীমা আক্তার মোবাইল ফোনে জানান, সন্ত্রাসী হামলায় স্প্লিন্টারের আঘাতে খালেকুজ্জামানের বাঁ হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা গুরুতর নয়। ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টারে করে তাঁকে আবি শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
২০ মিনিট আগে
ভিটেবাড়ি ও ফসলি জমি একে একে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এখন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি কার্যত আশ্রয়হীন। একসময় যাঁর নিজের জমি ছিল, আজ তিনি অন্যের দেওয়া সামান্য জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন।
২৩ মিনিট আগে
খুলনার পূর্ব রূপসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাগর শেখ (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা চৌরাস্তা সিএনজি স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক গ্রিন বাংলা আবাসিকের পেছনের বাসিন্দা ফয়েক শেখের ছেলে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ।
২৬ মিনিট আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশাহীন ভোরে সূর্যের ঝলমলে আলোয় প্রকৃতি স্নিগ্ধ হয়ে উঠেছে। রোদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্যও লক্ষ্য করা গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের তথ্যে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রায় ওঠানামা দেখা গেছে। আজ সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার ও শনিবার ৯ দশমিক ৩, শুক্রবার ৯ দশমিক ৫, বৃহস্পতিবার ৮ দশমিক ৯, বুধবার ও মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭ এবং আগের সোমবার ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গতকাল রোববার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে বর্তমানে তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, কয়েক দিনে জেলার তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। রাত ও ভোরে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের দাপট বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশাহীন ভোরে সূর্যের ঝলমলে আলোয় প্রকৃতি স্নিগ্ধ হয়ে উঠেছে। রোদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্যও লক্ষ্য করা গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের তথ্যে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রায় ওঠানামা দেখা গেছে। আজ সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার ও শনিবার ৯ দশমিক ৩, শুক্রবার ৯ দশমিক ৫, বৃহস্পতিবার ৮ দশমিক ৯, বুধবার ও মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭ এবং আগের সোমবার ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গতকাল রোববার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে বর্তমানে তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, কয়েক দিনে জেলার তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। রাত ও ভোরে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের দাপট বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

নদী তীরবর্তী জেলেপাড়াগুলোর বাসিন্দা তো বটেই, অন্য এলাকার নিম্নআয়ের মানুষগুলোও একই রকম যুক্তি দিচ্ছেন। সদরের নলটোনা ইউনিয়নের নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকেও সম্প্রতি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক একজন অটোরিকশা চালক।
০৬ আগস্ট ২০২১
আহত সেনা কর্মকর্তার বড় বোন শামীমা আক্তার মোবাইল ফোনে জানান, সন্ত্রাসী হামলায় স্প্লিন্টারের আঘাতে খালেকুজ্জামানের বাঁ হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা গুরুতর নয়। ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টারে করে তাঁকে আবি শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
২০ মিনিট আগে
ভিটেবাড়ি ও ফসলি জমি একে একে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এখন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি কার্যত আশ্রয়হীন। একসময় যাঁর নিজের জমি ছিল, আজ তিনি অন্যের দেওয়া সামান্য জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন।
২৩ মিনিট আগে
খুলনার পূর্ব রূপসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাগর শেখ (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা চৌরাস্তা সিএনজি স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক গ্রিন বাংলা আবাসিকের পেছনের বাসিন্দা ফয়েক শেখের ছেলে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ।
২৬ মিনিট আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সন্ত্রাসী হামলায় আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল খালেকুজ্জামানের পরিবার দিন কাটাচ্ছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায়। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের ঈদগাহ পাড়ায়।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেন। এর আগে তিনি বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার (সিও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ছবি প্রকাশের পর বিষয়টি জানতে পারে পরিবার। এর পর থেকেই স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে।
আহত সেনা কর্মকর্তার বড় বোন শামীমা আক্তার মোবাইল ফোনে জানান, সন্ত্রাসী হামলায় স্প্লিন্টারের আঘাতে খালেকুজ্জামানের বাঁ হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা গুরুতর নয়। ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টারে করে তাঁকে আবি শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। পরিবারের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল খালেকুজ্জামান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তাঁর বাবা খন্দকার আক্তারুজ্জামান (মৃত)। পরিবারের সদস্যরা বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বসবাস করেন।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের ঈদগাহ পাড়ায় খালেকুজ্জামানের বাড়িতে গিয়ে মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়। এ সময় পাশের বাড়িতে বসবাসরত তাঁর চাচা ও খালাতো বোনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানান, খালেকুজ্জামানের মা বর্তমানে শহরের গোশালা রোড এলাকায় থাকেন। তবে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি। মোবাইল ফোনে শুধু জানান, ছেলের আহত হওয়ার খবর তিনি পেয়েছেন।
খালেকুজ্জামানের খালাতো বোন গুলশান আরা হাসান বলেন, ‘খালেকুজ্জামান আমাদের সামনে মানুষ হয়েছে। খুব ভালো ছেলে। শুনেছি শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। দোয়া করি, সে যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।’
চাচা খন্দকার আসাদুজ্জামান খোকন অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, ‘খালেকুজ্জামান আমার মেজো ভাইয়ের ছেলে। শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। সেখানে তার কয়েকজন সহকর্মী নিহত হয়েছেন বলে শুনেছি। সে নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, খালেকুজ্জামান বিবাহিত এবং তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সন্ত্রাসী হামলায় আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল খালেকুজ্জামানের পরিবার দিন কাটাচ্ছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায়। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের ঈদগাহ পাড়ায়।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেন। এর আগে তিনি বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার (সিও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ছবি প্রকাশের পর বিষয়টি জানতে পারে পরিবার। এর পর থেকেই স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে।
আহত সেনা কর্মকর্তার বড় বোন শামীমা আক্তার মোবাইল ফোনে জানান, সন্ত্রাসী হামলায় স্প্লিন্টারের আঘাতে খালেকুজ্জামানের বাঁ হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা গুরুতর নয়। ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টারে করে তাঁকে আবি শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। পরিবারের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল খালেকুজ্জামান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তাঁর বাবা খন্দকার আক্তারুজ্জামান (মৃত)। পরিবারের সদস্যরা বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বসবাস করেন।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের ঈদগাহ পাড়ায় খালেকুজ্জামানের বাড়িতে গিয়ে মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়। এ সময় পাশের বাড়িতে বসবাসরত তাঁর চাচা ও খালাতো বোনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানান, খালেকুজ্জামানের মা বর্তমানে শহরের গোশালা রোড এলাকায় থাকেন। তবে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি। মোবাইল ফোনে শুধু জানান, ছেলের আহত হওয়ার খবর তিনি পেয়েছেন।
খালেকুজ্জামানের খালাতো বোন গুলশান আরা হাসান বলেন, ‘খালেকুজ্জামান আমাদের সামনে মানুষ হয়েছে। খুব ভালো ছেলে। শুনেছি শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। দোয়া করি, সে যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।’
চাচা খন্দকার আসাদুজ্জামান খোকন অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, ‘খালেকুজ্জামান আমার মেজো ভাইয়ের ছেলে। শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। সেখানে তার কয়েকজন সহকর্মী নিহত হয়েছেন বলে শুনেছি। সে নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, খালেকুজ্জামান বিবাহিত এবং তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

নদী তীরবর্তী জেলেপাড়াগুলোর বাসিন্দা তো বটেই, অন্য এলাকার নিম্নআয়ের মানুষগুলোও একই রকম যুক্তি দিচ্ছেন। সদরের নলটোনা ইউনিয়নের নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকেও সম্প্রতি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক একজন অটোরিকশা চালক।
০৬ আগস্ট ২০২১
উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
১৮ মিনিট আগে
ভিটেবাড়ি ও ফসলি জমি একে একে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এখন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি কার্যত আশ্রয়হীন। একসময় যাঁর নিজের জমি ছিল, আজ তিনি অন্যের দেওয়া সামান্য জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন।
২৩ মিনিট আগে
খুলনার পূর্ব রূপসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাগর শেখ (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা চৌরাস্তা সিএনজি স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক গ্রিন বাংলা আবাসিকের পেছনের বাসিন্দা ফয়েক শেখের ছেলে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ।
২৬ মিনিট আগেআব্দুল্লাহ আল মারুফ, সিরাজগঞ্জ

সাদা দাড়িতে অর্ধেক মেহেদি, কপালে গভীর চিন্তার ভাঁজ। ডান পায়ে ফোঁড়ার// কারণে বাঁধা ব্যান্ডেজ। কাঠের টুলে বসে থাকা মানুষটির দিকে তাকালে বোঝার উপায় নেই—মাত্র এক বছর আগেও তিনি ছিলেন সাড়ে চার বিঘা আবাদি জমির মালিক।
৬৬ বছর বয়সী এই বৃদ্ধের নাম আব্দুল রাজ্জাক। স্ত্রী মর্জিনা বেগমের বয়স ৫৫। চার ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে একসময় ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। জমিতে বছরে বিভিন্ন সময়ে গম, ভুট্টা, খেসারি, কালাই ও বাদামের চাষ হতো। পরিশ্রম করেই চলত জীবন। তবে হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে দেয় যমুনা নদীর ভাঙন।
ভিটেবাড়ি ও ফসলি জমি একে একে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এখন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি কার্যত আশ্রয়হীন। একসময় যাঁর নিজের জমি ছিল, আজ তিনি অন্যের দেওয়া সামান্য জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন। বন, বস্তার চাটাই আর পলিথিনে মোড়ানো ছোট একটি ঘরই তাঁদের বর্তমান ঠিকানা। আব্দুল রাজ্জাক সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াখোলা ইউনিয়নের দোরতা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার মৃত রহিজ তালুকদারের ছেলে।
শনিবার দুপুর গড়িয়ে বিকেলে সিরাজগঞ্জ ক্রসবার এলাকায় প্লাস্টিকের টুলে বসে কথা বলছিলেন আব্দুল রাজ্জাক। তিনি জানান, তাঁর দাদার প্রায় ২৪ বিঘা জমি ছিল। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি পান সাড়ে চার বিঘা। গত বছরেও সেই জমিতে গম, ভুট্টা, কালাইসহ নানা ফসল আবাদ করেছিলেন। ‘বুড়া-বুড়ির ভালোই চলছিল,’ বলেন তিনি।
সন্তানদের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কিছুক্ষণ নীরব থাকেন আব্দুল রাজ্জাক। এরপর ধীর কণ্ঠে বলেন, ‘ওদের নিজেদেরই খুব কষ্ট। আমাদের দেখবে কীভাবে?’
বর্তমানে ফুফাতো ভাইয়ের জমির ওপর কোনোমতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। শীত এলে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। আয়ের একমাত্র সম্বল পাঁচটি গরু। তবে বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারেন না তিনি।
আব্দুল রাজ্জাক বলেন, ‘তোমার চাচি যমুনার চরে গিয়ে গরুর জন্য ঘাস কেটে আনে। আর অন্যদের সামান্য সহযোগিতা আর মেয়েরা মাঝে মাঝে যা দেয়, তা দিয়েই কোনোমতে সংসার চলে।’
কথার একপর্যায়ে তাঁর কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে। শেষবারের মতো বলেন, ‘আমাকে যদি কেউ একটা ঘর আর মাসে মাসে একটু খাবার বা কিছু টাকার ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে সারা জীবন দোয়া করতাম।’
যমুনার ভাঙনে হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য জীবনের ভিড়ে আব্দুল রাজ্জাক ও মর্জিনা বেগমের গল্পটি শুধু একটি উদাহরণ—নদীভাঙনে সর্বস্ব হারানো মানুষের নীরব দীর্ঘশ্বাসের গল্প।

সাদা দাড়িতে অর্ধেক মেহেদি, কপালে গভীর চিন্তার ভাঁজ। ডান পায়ে ফোঁড়ার// কারণে বাঁধা ব্যান্ডেজ। কাঠের টুলে বসে থাকা মানুষটির দিকে তাকালে বোঝার উপায় নেই—মাত্র এক বছর আগেও তিনি ছিলেন সাড়ে চার বিঘা আবাদি জমির মালিক।
৬৬ বছর বয়সী এই বৃদ্ধের নাম আব্দুল রাজ্জাক। স্ত্রী মর্জিনা বেগমের বয়স ৫৫। চার ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে একসময় ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। জমিতে বছরে বিভিন্ন সময়ে গম, ভুট্টা, খেসারি, কালাই ও বাদামের চাষ হতো। পরিশ্রম করেই চলত জীবন। তবে হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে দেয় যমুনা নদীর ভাঙন।
ভিটেবাড়ি ও ফসলি জমি একে একে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এখন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি কার্যত আশ্রয়হীন। একসময় যাঁর নিজের জমি ছিল, আজ তিনি অন্যের দেওয়া সামান্য জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন। বন, বস্তার চাটাই আর পলিথিনে মোড়ানো ছোট একটি ঘরই তাঁদের বর্তমান ঠিকানা। আব্দুল রাজ্জাক সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াখোলা ইউনিয়নের দোরতা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার মৃত রহিজ তালুকদারের ছেলে।
শনিবার দুপুর গড়িয়ে বিকেলে সিরাজগঞ্জ ক্রসবার এলাকায় প্লাস্টিকের টুলে বসে কথা বলছিলেন আব্দুল রাজ্জাক। তিনি জানান, তাঁর দাদার প্রায় ২৪ বিঘা জমি ছিল। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি পান সাড়ে চার বিঘা। গত বছরেও সেই জমিতে গম, ভুট্টা, কালাইসহ নানা ফসল আবাদ করেছিলেন। ‘বুড়া-বুড়ির ভালোই চলছিল,’ বলেন তিনি।
সন্তানদের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কিছুক্ষণ নীরব থাকেন আব্দুল রাজ্জাক। এরপর ধীর কণ্ঠে বলেন, ‘ওদের নিজেদেরই খুব কষ্ট। আমাদের দেখবে কীভাবে?’
বর্তমানে ফুফাতো ভাইয়ের জমির ওপর কোনোমতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। শীত এলে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। আয়ের একমাত্র সম্বল পাঁচটি গরু। তবে বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারেন না তিনি।
আব্দুল রাজ্জাক বলেন, ‘তোমার চাচি যমুনার চরে গিয়ে গরুর জন্য ঘাস কেটে আনে। আর অন্যদের সামান্য সহযোগিতা আর মেয়েরা মাঝে মাঝে যা দেয়, তা দিয়েই কোনোমতে সংসার চলে।’
কথার একপর্যায়ে তাঁর কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে। শেষবারের মতো বলেন, ‘আমাকে যদি কেউ একটা ঘর আর মাসে মাসে একটু খাবার বা কিছু টাকার ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে সারা জীবন দোয়া করতাম।’
যমুনার ভাঙনে হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য জীবনের ভিড়ে আব্দুল রাজ্জাক ও মর্জিনা বেগমের গল্পটি শুধু একটি উদাহরণ—নদীভাঙনে সর্বস্ব হারানো মানুষের নীরব দীর্ঘশ্বাসের গল্প।

নদী তীরবর্তী জেলেপাড়াগুলোর বাসিন্দা তো বটেই, অন্য এলাকার নিম্নআয়ের মানুষগুলোও একই রকম যুক্তি দিচ্ছেন। সদরের নলটোনা ইউনিয়নের নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকেও সম্প্রতি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক একজন অটোরিকশা চালক।
০৬ আগস্ট ২০২১
উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
১৮ মিনিট আগে
আহত সেনা কর্মকর্তার বড় বোন শামীমা আক্তার মোবাইল ফোনে জানান, সন্ত্রাসী হামলায় স্প্লিন্টারের আঘাতে খালেকুজ্জামানের বাঁ হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা গুরুতর নয়। ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টারে করে তাঁকে আবি শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
২০ মিনিট আগে
খুলনার পূর্ব রূপসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাগর শেখ (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা চৌরাস্তা সিএনজি স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক গ্রিন বাংলা আবাসিকের পেছনের বাসিন্দা ফয়েক শেখের ছেলে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ।
২৬ মিনিট আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনার পূর্ব রূপসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাগর শেখ (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা চৌরাস্তা সিএনজি স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক গ্রিন বাংলা আবাসিকের পেছনের বাসিন্দা ফয়েক শেখের ছেলে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সাগর বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে রাত ১১টায় কয়েকজন যুবক তার গতি রোধ করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। একটি গুলি তার মাথায় এবং অপরটি তার হাঁটুতে লাগে। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তী সময়ে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রূপসা থানার এএসআই গৌতম বলেন, গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা আ. রহমান রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। পরে ৯৯৯ থেকে আমাদের ফোন দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়।
রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ বলেন, ‘রাতে জাপুসা এলাকায় ডিউটি করছিলাম। থানা থেকে ফোন আসলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। পরে জানতে পারলাম তারা এখানে জায়গা কিনে নতুন বাড়ি করেছে।’ তবে কারা এবং কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তার প্রকৃত কারণ তিনি বলতে পারেনি।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. রাজ্জাক মীর বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। খুনিদের গ্রেপ্তারে আশপাশের এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।’

খুলনার পূর্ব রূপসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাগর শেখ (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা চৌরাস্তা সিএনজি স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক গ্রিন বাংলা আবাসিকের পেছনের বাসিন্দা ফয়েক শেখের ছেলে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সাগর বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে রাত ১১টায় কয়েকজন যুবক তার গতি রোধ করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। একটি গুলি তার মাথায় এবং অপরটি তার হাঁটুতে লাগে। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তী সময়ে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রূপসা থানার এএসআই গৌতম বলেন, গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা আ. রহমান রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। পরে ৯৯৯ থেকে আমাদের ফোন দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়।
রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ বলেন, ‘রাতে জাপুসা এলাকায় ডিউটি করছিলাম। থানা থেকে ফোন আসলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। পরে জানতে পারলাম তারা এখানে জায়গা কিনে নতুন বাড়ি করেছে।’ তবে কারা এবং কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তার প্রকৃত কারণ তিনি বলতে পারেনি।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. রাজ্জাক মীর বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। খুনিদের গ্রেপ্তারে আশপাশের এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।’

নদী তীরবর্তী জেলেপাড়াগুলোর বাসিন্দা তো বটেই, অন্য এলাকার নিম্নআয়ের মানুষগুলোও একই রকম যুক্তি দিচ্ছেন। সদরের নলটোনা ইউনিয়নের নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকেও সম্প্রতি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক একজন অটোরিকশা চালক।
০৬ আগস্ট ২০২১
উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
১৮ মিনিট আগে
আহত সেনা কর্মকর্তার বড় বোন শামীমা আক্তার মোবাইল ফোনে জানান, সন্ত্রাসী হামলায় স্প্লিন্টারের আঘাতে খালেকুজ্জামানের বাঁ হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা গুরুতর নয়। ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টারে করে তাঁকে আবি শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
২০ মিনিট আগে
ভিটেবাড়ি ও ফসলি জমি একে একে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এখন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি কার্যত আশ্রয়হীন। একসময় যাঁর নিজের জমি ছিল, আজ তিনি অন্যের দেওয়া সামান্য জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন।
২৩ মিনিট আগে