খান রফিক, বরিশাল
মা ইলিশ রক্ষায় নদী-সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে এক মাস আগে। মৎস্যজীবীদের আশা ছিল, মাছ শিকার শুরুর পর এবার ইলিশের আহরণ বাড়বে। কিন্তু নদ-নদী কিংবা সাগরে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ইলিশের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
বরিশাল পোর্ট রোড মৎস্য মোকামে ইলিশের তেমন সরবরাহ নেই। দাম চড়া। এ নিয়ে হতাশ জেলে থেকে শুরু করে সাধারণ ক্রেতারাও। গতকাল বুধবার সকালে মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, মাছের বেশ আকাল। তখন গোটা মোকামে ৫-৬ মণ ইলিশ ছিল। তা নিয়েও চলছিল কাড়াকাড়ি।
সেখানকার ব্যবসায়ীরা জানান, মোকামে এখন দিনে ২০-২৫ মণের বেশি ইলিশ ওঠে না। অথচ ১৫ দিন আগেও দৈনিক হাজার মণ ইলিশ উঠত। খোঁজ নিয়ে নগরের খুচরা বাজার চৌমাথা, বটতলা, নতুন বাজার ও বাংলাবাজার ঘুরেও ইলিশ তেমন একটা দেখা যায়নি।
সদর থানা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল সিকদার বলেন, ‘ইলিশ একেবারেই নেই। গত মঙ্গলবার মাত্র ২০ মণের বেশি ইলিশ আমদানি হয়নি মোকামে। এর দামও চড়া ছিল। এক কেজির ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার টাকায়। আর এলসি সাইজের (প্রতিটি ৯০০ গ্রাম) প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার ৭০০ টাকা এবং ৫০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বুধবার ইলিশ উঠেছে মাত্র ১০ মণ। ফলে দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকা। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ কমেছে, কিন্তু দেশীয় মাছের সরবরাহ বেড়েছে।’
জানতে চাইলে বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস জানান, বরিশাল পোর্ট রোড মোকামে ততটা ইলিশ আসছে না। কারণ, এখন আর সমুদ্রগামী বোট বরিশালে আসে না। মহিপুর, আলিপুর, ভোলা, বরগুনা থেকে সরাসরি বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। যে কারণে ইলিশের সংকট চলছে। তা ছাড়া এখন মৌসুমও নয়।
এদিকে জেলে ও ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন তোলেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতেই তো ঘটা করে এত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও কেন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের জেলে তোফায়েল হোসেন কয়েক যুগ ধরে মাছ ধরেন মেঘনা নদীতে। তিনি জানান, অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞা চলে দুই মাস। এরপর আট মাস জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞা। সবচেয়ে কঠিন নিষেধাজ্ঞা অক্টোবরের ২২ দিন। এত নিষেধাজ্ঞা শেষে তাঁরা ইলিশ পাওয়ার আশায় নদীতে নামেন। কিন্তু এবার তো ইলিশ নদীতে নেই। ইলিশ না পেলে তাঁদের পরিবার চালানো কঠিন হয়ে যাবে। একই কথা জানিয়ে সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনের জেলে আব্দুস সালাম বলেন, জালে এবার ইলিশ মিলছে না।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ইলিশ মৌসুমি মাছ। নিষেধাজ্ঞা শেষে কিছুদিন ইলিশ পাওয়া গিয়েছিল। তবে এবার সাগরে একটু সমস্যা হয়েছে। ঝড়ের কারণে মাছ নদীতে তেমন ঢুকতে পারেনি। তা ছাড়া প্রতিবছর এক রকম হয় না। প্রাকৃতিক কারণে ইলিশ কখনো কম, কখনো বেশি ধরা পড়ছে।
মা ইলিশ রক্ষায় নদী-সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে এক মাস আগে। মৎস্যজীবীদের আশা ছিল, মাছ শিকার শুরুর পর এবার ইলিশের আহরণ বাড়বে। কিন্তু নদ-নদী কিংবা সাগরে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ইলিশের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
বরিশাল পোর্ট রোড মৎস্য মোকামে ইলিশের তেমন সরবরাহ নেই। দাম চড়া। এ নিয়ে হতাশ জেলে থেকে শুরু করে সাধারণ ক্রেতারাও। গতকাল বুধবার সকালে মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, মাছের বেশ আকাল। তখন গোটা মোকামে ৫-৬ মণ ইলিশ ছিল। তা নিয়েও চলছিল কাড়াকাড়ি।
সেখানকার ব্যবসায়ীরা জানান, মোকামে এখন দিনে ২০-২৫ মণের বেশি ইলিশ ওঠে না। অথচ ১৫ দিন আগেও দৈনিক হাজার মণ ইলিশ উঠত। খোঁজ নিয়ে নগরের খুচরা বাজার চৌমাথা, বটতলা, নতুন বাজার ও বাংলাবাজার ঘুরেও ইলিশ তেমন একটা দেখা যায়নি।
সদর থানা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল সিকদার বলেন, ‘ইলিশ একেবারেই নেই। গত মঙ্গলবার মাত্র ২০ মণের বেশি ইলিশ আমদানি হয়নি মোকামে। এর দামও চড়া ছিল। এক কেজির ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার টাকায়। আর এলসি সাইজের (প্রতিটি ৯০০ গ্রাম) প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার ৭০০ টাকা এবং ৫০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বুধবার ইলিশ উঠেছে মাত্র ১০ মণ। ফলে দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকা। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ কমেছে, কিন্তু দেশীয় মাছের সরবরাহ বেড়েছে।’
জানতে চাইলে বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস জানান, বরিশাল পোর্ট রোড মোকামে ততটা ইলিশ আসছে না। কারণ, এখন আর সমুদ্রগামী বোট বরিশালে আসে না। মহিপুর, আলিপুর, ভোলা, বরগুনা থেকে সরাসরি বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। যে কারণে ইলিশের সংকট চলছে। তা ছাড়া এখন মৌসুমও নয়।
এদিকে জেলে ও ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন তোলেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতেই তো ঘটা করে এত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও কেন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের জেলে তোফায়েল হোসেন কয়েক যুগ ধরে মাছ ধরেন মেঘনা নদীতে। তিনি জানান, অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞা চলে দুই মাস। এরপর আট মাস জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞা। সবচেয়ে কঠিন নিষেধাজ্ঞা অক্টোবরের ২২ দিন। এত নিষেধাজ্ঞা শেষে তাঁরা ইলিশ পাওয়ার আশায় নদীতে নামেন। কিন্তু এবার তো ইলিশ নদীতে নেই। ইলিশ না পেলে তাঁদের পরিবার চালানো কঠিন হয়ে যাবে। একই কথা জানিয়ে সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনের জেলে আব্দুস সালাম বলেন, জালে এবার ইলিশ মিলছে না।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ইলিশ মৌসুমি মাছ। নিষেধাজ্ঞা শেষে কিছুদিন ইলিশ পাওয়া গিয়েছিল। তবে এবার সাগরে একটু সমস্যা হয়েছে। ঝড়ের কারণে মাছ নদীতে তেমন ঢুকতে পারেনি। তা ছাড়া প্রতিবছর এক রকম হয় না। প্রাকৃতিক কারণে ইলিশ কখনো কম, কখনো বেশি ধরা পড়ছে।
চেক প্রতারণার অভিযোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আইএফআইসি ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাহিবুর রহমান। আদালত সেদিন সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ঠিক করা হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি...
৪ মিনিট আগেমানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় তাঁরা আটিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
৬ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে মাছ শিকারের ঐতিহ্যবাহী পোলো বাওয়া উৎসব হয়েছে। ১৩০ জন শৌখিন শিকারি এতে অংশ নিয়ে বড় বড় রুই-কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে নেন।
১১ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের ভৈরবে একে অন্যকে ‘হাইব্রিড’ বলায় বিএনপির দুই পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় অন্তত ২০টি দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এতে আহত হয়েছেন তিনজন।
৩১ মিনিট আগে