Ajker Patrika

দারিদ্র্যকে জয় করে এসএসসিতে জিপিএ-৫, কলেজে ভর্তি নিয়ে শঙ্কা 

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ২২: ৪৩
দারিদ্র্যকে জয় করে এসএসসিতে জিপিএ-৫, কলেজে ভর্তি নিয়ে শঙ্কা 

অভাবের সংসারে অর্ধাহারে-অনাহারে কাটে পরিবারের ৫ সদস্যর জীবন। চিকিৎসা ও পেটের দায়ে ভিটেমাটি বিক্রি করে ঠাঁই নিতে হয়েছে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে। দুবেলা ভাত জোটাও অসম্ভব হয়ে পড়লে মেধাবী আরাফাতের লেখাপড়া বন্ধ করে দেন বাবা-মা। এ অবস্থায় একান্ত নিজের ইচ্ছায় পড়াশোনা করে এবার সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে হাফিজুর রহমান ওরফে আরাফাত। 

এই ফল অর্জন করতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার উত্তর বিজয়পুর গ্রামের আরাফাতকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। এর মাঝে উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন আরাফাত ও তার পরিবারের। এর বাইরে দেখা দিয়েছে আরেক সমস্যা। অভাবে না খাওয়ার অভ্যাস থেকে আরাফাত ভাত না খাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। সে এখন আর ভাত খেতে চায় না। 

আরাফাতের বাবা মনিরুজ্জামান সরদার (৫৫) জানান, এক সময় রেডিও মেরামত করে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোই ছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে রেডিওর প্রচলন উঠে যাওয়ায় তাঁর জীবিকার পথ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৫ সালে স্ত্রী রোজিনা আক্তার (৪৫) অসুস্থ হলে তাঁর চিকিৎসা ও পেটের দায়ে ভিটেমাটি বিক্রি করে সর্বস্ব খুইয়েছেন। ছেলেদের নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল; তারা পড়াশোনা করে অনেক বড় হবে। তবে অর্থের অভাবে সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। ভিটেমাটি বিক্রির পরে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের লিজ নেওয়া সামান্য জমিতে মাথা গোঁজার আশ্রয় ছিল। ২০১৬ সালে তাও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেই অবস্থা কেটে উঠতে না উঠতেই ২০১৯ সালে দেশে শুরু হয় মহামারি করোনা। বাধ্য হয়ে বড় ছেলের লেখাপড়া বন্ধ করে দিতে হয়।

 ২০১৬ সালে অর্থের অভাবে ছেলের লেখাপড়া বন্ধ করতে হয়। কিন্তু জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ার পরে আরাফাতের মনোবল বেড়ে যায়। সে নিজের চেষ্টাতে লেখাপড়া করতে চায়। সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. বাদশা সিকদার বলেন, আরাফাত খুবই মেধাবী। ২০১৫ সালে ৫ম ও ২০১৮ সালে জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করে। জেএসসির ফল দেখে তার লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার বিষয়টি আমরা মেনে নিতে পারছিলাম না। তাই স্কুলে পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে স্কুলে ফিরিয়ে আনি। আরাফাতের পড়াশোনার প্রতি প্রবল আগ্রহ ও তার কঠোর পরিশ্রমে সে সফল হয়েছে। সে এবারে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

আরাফাত জানায়, বাবা লেখাপড়া বন্ধ করতে চাইলে আমি বিষয়টি মানতে পারি নাই। আমি নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাইভেট পরিয়ে পড়ার খরচ জোগাড় করব বলে বাবাকে নিজের ইচ্ছার কথা জানাই। কিন্তু তাতেও বাবা রাজি হননি। পরে স্কুলের স্যারেরা বাবাকে বুঝিয়ে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিলে বাবা লেখাপড়া করার অনুমতি দেন। তখন থেকে আমি দিনে প্রাইভেট পড়িয়ে রাতে নিজের পড়াশোনা করেছি। ঠিকমতো বই খাতা কলমও কিনতে পারি নাই। সহপাঠীদের কাছ থেকে বই এনে নোট করে পড়াশোনা করেছি।

ভাত খাওয়ার অনভ্যাস বিষয়ে আরাফাত জানায়, ছোট বেলা থেকে ঘরে খাবার থাকত না বলে না খাইয়ে স্কুলে যেত হয়েছে। সেই অভ্যাস থেকে ভাত না খাওয়ায় আমি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। লক্ষ্য পূরণের জন্য এই কষ্ট আমার কাছে কষ্ট মনে হয়নি। আজ সব কষ্ট ভুলে গেছি। 

জিপিএ-৫ পাওয়ার আনন্দের কথা জানাতেই মুহূর্তেই তার চেহারা বিষণ্নতায় ভরে যায়। এর কারণ জানতে চাইলে আরাফাত জানান, এসএসসিতে সফল হয়েছি কিন্তু কলেজে কী করে ভর্তি হবো। আর কী করেইবা খরচ যুগিয়ে পড়াশোনা করবো। একজন প্রকৌশলী হওয়ার সাধ আছে কিন্তু সাধ্য কোথায়? মনে হয় প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না। পড়াশোনার সুযোগ পেলে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশের জন্য কাজ করব এবং বাবা-মায়ের দুঃখ ঘুচাবে। একই সঙ্গে অর্থের অভাবে যাদের পড়াশোনা বন্ধ হবে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে পড়াশোনায় সহায়তা করব। তবে অভাবের কারণে সে আশা পূরণ হওয়া নিয়েও তাঁর শঙ্কা রয়েছে।

আরাফাতের মা রোজিনা আক্তার (৪৫) বলেন, ‘এত কষ্টের মধ্যেও মোর বাজানে যে পরীক্ষার ভালো পাস করছে, এইয়া আল্লার দয়া ছাড়া আর কিছুই না। কলেজে লেহাপড়ার লাইগ্যা মুই সকলের কাছে সাহায্য চাই।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. অলি উল্লাহ বলেন, আরাফাত খুবই মেধাবী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও তার ভালো পারফরমেন্স রয়েছে। তাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিলে ভবিষ্যতে অনেক ভালো করতে পারবে। তাকে সহযোগিতার জন্য তিনি সমাজের বৃত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভৈরবে গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুন, ১০ শিশুসহ দগ্ধ ১৫

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।

আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যুবকের

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি 
দুলাল মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
দুলাল মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।

মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।

জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মামলা ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
পাবনার চাটমোহরে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনার চাটমোহরে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।

জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।

সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।

সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুলশানে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেপ্তার ১

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
র‍্যাবের হাতে জব্দ হওয়া ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ। ছবি: র‍্যাব
র‍্যাবের হাতে জব্দ হওয়া ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ। ছবি: র‍্যাব

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।

আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত