Ajker Patrika

‘অশনি’র অশনিসংকেত, উপকূলে বাড়ছে উদ্বেগ

খান রফিক, বরিশাল
আপডেট : ০৮ মে ২০২২, ১৯: ০১
‘অশনি’র অশনিসংকেত, উপকূলে বাড়ছে উদ্বেগ

দুর্যোগ মৌসুম এলেই চিন্তায় পড়েন উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ। এর মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। চোখ রাঙাচ্ছে নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের প্রতি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড় অশনি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১ হাজার ২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার বন্দর থেকে ১ হাজার ১২৫ কিলোমিটার, মোংলা বন্দর থেকে ১ হাজার ১১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে ১ হাজার ১৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হওয়ার সময় ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তি সঞ্চয় করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। 

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ১০ মে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। 

আশ্রয়কেন্দ্রের সংকট এখনই উপকূলের মানুষদের ভাবাচ্ছে। বরিশালের মেঘনা ঘেরা হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জের মতো প্রত্যন্ত উপজেলার অনেক আশ্রয়কেন্দ্র নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি ঝুঁকিতে। এ ধরনের চরবেষ্টিত নতুন বসতিতে ঝড়ঝঞ্ঝা থেকে রক্ষায় আশ্রয়ের কোনো ব্যবস্থাই নেই। 

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বরিশালের উপপরিচালকের কার্যালয়ের তথ্যমতে, জেলায় ২২৯টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং ৬টি মাটির কেল্লা রয়েছে। কিন্তু আশ্রয় কেন্দ্রের এই সংখ্যা পর্যাপ্ত নয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। 

হিজলা উপজেলার দক্ষিণ বাউশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার যে কোনো সময় মেঘনায় হারিয়ে যেতে পারে। এমন অনেক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারই নদী ভাঙনের মুখে রয়েছে হিজলার। আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ে এখানে সাধারণ মানুষের আশ্রয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অপরদিকে এখানকার চারটি বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার আগেই নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় সেখানে ঝড়ঝঞ্ঝায় আশ্রয়স্থলের সংকট দেখা দিয়েছে। এ চারটি হচ্ছে—উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের চর আবুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার, বড়জালিয়া ইউনিয়নের হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার, একই ইউনিয়নের মধ্য বড়জালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার এবং ধুলখোলা ইউপির হোগোলটুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার। 

হিজলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গফফার বলেন, তাঁর উপজেলায় ২৬টি বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের খবরে স্কুলগুলোর তালিকা করে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এরই মধ্যে যেসব ভবন নদীতে চলে গেছে সেখানে বিকল্প ব্যবস্থা হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলেও আশ্রয় নেওয়া সম্ভব নয়। 

একই অবস্থা মেহেন্দীগঞ্জর। সেখানকার অনেক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘গত বছরের শেষে মধ্য দড়িরচর খাজুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার নদী গর্ভে চলে গেছে। কিছু কিছু ঝুঁকির মুখে রয়েছে।’ 

উপজেলার চরগোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামশুল আলম মনির বলেন, ‘কাজিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার এবং পশ্চিম কাজীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার এক বছর আগে তেঁতুলিয়া নদীতে তলিয়ে গেছে। নদীর পূর্বপারের ৪টি ওয়ার্ড ভেঙে নতুন বসতি হয়েছে। সেখানে ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষের বসতি। কিন্তু কোন পাকা বিদ্যালয় কিংবা সাইক্লোন শেল্টার নেই। ওই বসতিতে থাকা একমাত্র উত্তর পশ্চিম কাজিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি টিনের ঘর। এখানে ঝড় এলে আশ্রয় নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ 

এ ব্যাপারে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুন্নবী বলেন, ‘গোটা মেহেন্দীগঞ্জ নদীভাঙন প্রবণ। আগামী তিন মাস দুর্যোগ মৌসুমে যে কোনো ওয়ার্ড বিলীন হয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড় অশনি থেকে জনগণকে রক্ষায় বুলেটিন জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে চলছে প্রস্তুতি।’ ইউএনও বলেন, ‘কোনো কোনো সাইক্লোন শেল্টার নদীতে ঝুঁকিপূর্ণ। রুকন্দিতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী ভাঙনের কবলে পড়লে দ্রুত টেন্ডার দিয়ে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু গোপালপুরের মতো যেখানে নেই সেখানে রাতারাতি সাইক্লোন শেল্টার করা সম্ভব নয়।’ 

একইভাবে নদী ভাঙন কিংবা জরাজীর্ণ পড়ে আছে জেলার মুলাদী, বাবুগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, বানারীপাড়া, উজিরপুরের অনেক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার। ঈদের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকায় সাইক্লোন শেল্টারগুলো ব্যবহার উপযোগী করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বরিশালের মাস্ট ক্লাইম্বার (টাওয়ার কর্মী) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বরিশাল জেলায় ২২৯টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং ছয়টি মাটির কেল্লা রয়েছে। এর মধ্যে বাকেরগঞ্জে আশ্রয় কেন্দ্র সর্বোচ্চ ৬৪ টি, মেহেন্দীগঞ্জে ৪৩ টি, হিজলায় ২৬ টি, সদর উপজেলায় ১১ টি, উজিরপুর ১২ টি, বানারীপাড়ায় ১৮ টি, বাবুগঞ্জ ১৩ টি, মুলাদী ১১ টি, গৌরনদী ১৫টি এবং আগৈলঝাড়ায় ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সিটি এলাকায় তাঁদের ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। তবে জেলার ১০ উপজেলায় কোনো স্বেচ্ছাসেবক নেই। 

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে পায়রাসহ অন্যান্য সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এটি পায়রা থেকে ১ হাজার ১৪৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। আগামী ১১ মে রাতে ঘূর্ণিঝড় অশনি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’

এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভৈরবে গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুন, ১০ শিশুসহ দগ্ধ ১৫

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।

আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যুবকের

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি 
দুলাল মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
দুলাল মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।

মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।

জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মামলা ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
পাবনার চাটমোহরে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনার চাটমোহরে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।

জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।

সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।

সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুলশানে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেপ্তার ১

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
র‍্যাবের হাতে জব্দ হওয়া ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ। ছবি: র‍্যাব
র‍্যাবের হাতে জব্দ হওয়া ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ। ছবি: র‍্যাব

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।

আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত