মিরাজ হোসাইন

দৌলতখান(ভোলা): মেঘনার বুক চিরে বয়ে যাওয়া জলরাশির মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একটি সবুজ দ্বীপ। সেখানে হাজারো লোকের বসবাস এবং ওই দ্বীপই তাদের জীবিকার উৎস। বলছি ভোলার দৌলতখান উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাজিপুর চরের কথা। যেখানে নেই কোন উন্নত মানের স্কুল, বেড়ি বাঁধ, স্বাস্থ্য কেন্দ্র। শীতকালে থাকে বিশুদ্ধ পানির সংকট এবং বর্ষাকালে জোয়ারের পানি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই চলে এ চরের মানুষের জীবন।
নদীতে মাছ শিকার ও কৃষিকাজ করে এখানকার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। আধুনিক এ সভ্যতার যুগেও এসব এলাকার মানুষ বেঁচে আছে চরম অবহেলায় মধ্যে। সরকারি সাহায্য সহযোগীতাও তেমন পৌঁছায় না তাদের কাছে।
হাজিপুর চর ঘুরে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘কয়েক বছর আগে মেঘনায় জেগে ওঠে হাজিপুর চর। উঁচু স্থানে ঘর তৈরি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করছেন চরের মানুষজন। একটি মাত্র কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করছেন এখানকার বাসিন্দারা। রাস্তাটি কোথাও ফসলি জমির ওপর দিয়ে, কোথায় খালের পাড় দিয়ে, আবার কোথায় বাড়ির আঙিনা দিয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে পুরো চর পানিতে থৈ থৈ করে। আধুনিকতা থেকে বঞ্চিত এ চরে নানা সংকটের কারণে বাল্য বিয়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে।
প্রায় প্রত্যেকটি পরিবারেই ১২-১৩ বছর বয়সেই মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়। মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পেরে বাধ্য হয়েই বিয়ে দেন বলে জানান অভিভাবকেরা।
এখানে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। কিন্তু কোনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ চরের বাসিন্দাদের। সেখানে নেই পর্যাপ্ত ওষুধ ও চিকিৎসক। লাইলি বেগম নামে এক গৃহবধূ বলেন, ক্লিনিক আছে কিন্তু চিকিৎসক নেই, ওষুধ চাইলেও আমরা ওষুধ পাই না। একই অভিযোগ করেন আরও অনেকে।
শাহাবুদ্দিন নামে এক বাসিন্দা বলেন, চিকিৎসার অভাবে প্রতি বছরই গর্ভবতী অনেক নারী নানা সমস্যায় পরেন। নদী পাড়ি দিয়ে জেলা-উপজেলায় নিতে গিয়ে অনেকেই মারা যান। এসবের বাইরেও চরে নতুন সমস্যা যোগ হয়েছে, আর তা হলো ভাঙন। ব্যাপক হারে ভাঙছে নদী। এতে চরের অনেক পরিবার গৃহহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাচ্ছেন। কেউ আবার দৌলতখানের বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন।
অন্যদিকে নদীতে মাছ না থাকায় জেলেরাও আছে কষ্টে। গত মৌসুমে নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লে সে চিত্র এখন আর নেই। দেনার দায়ে দিশেহারা তারা। পুরো চরে ফসলের উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকলেও জোয়ার আর লবণাক্ত পানি কৃষকদের মুখে হাসি ফুটাতে পারে না। চরে শিক্ষার ব্যবস্থা নেই বললেই চরে। ছোট ছোট শিশুরা তাদের বাব-মায়ের সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছে। অল্প বয়সেই বই খাতার পরিবর্তে নৌকা-বৈঠা তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে। বাবার সঙ্গে মাছ শিকার করেই দিন কেটে যায় কোমলমতি এসব শিশুদের।
চারদিকে জলরাশি বেষ্টিত হাজিপুর চরে কোথায় নেই বাঁধ, শুধু বাঁধ না থাকায় সারা বর্ষায় তাদের জলোচ্ছ্বাসে কাটাতে হয়। ঝড়ের পূর্বাভাস পৌঁছায় না এসব মানুষের কাছে। সিডর,আইলা ও মহাসেনের মতো ছোট ছোট ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এসব এলাকার মানুষ।
সরকারি সহায়তার অভাবে এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি তারা। চরে বিদ্যুতের সেবা পৌঁছায়নি, তবে পৌঁছেছে সৌর বিদ্যুৎ। বেশ কিছু ঘর সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। সংবাদ কর্মী কাছে পেয়ে তাঁদের অভিযোগের শেষ নেই। শুধু নেই আর নেই।
হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান টিপু বলেন, চরে নানা সমস্যা থাকলেও বর্তমানে প্রধান সমস্যা নদী ভাঙন। গত মৌসুম থেকে এ মৌসুম পর্যন্ত কয়েক ওয়ার্ডের বেশির ভাগ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে মানুষ নিঃস্ব। অবহেলিত জনপদ চরের বাসিন্দারা চান স্থায়ী বেড়ি বাঁধ। তিনি আরও বলেন, ঝড় বাতাস হলে জোয়ারের পানিতে পুরো চর প্লাবিত হলে মানুষজন চরম কষ্টে দিন পার করতে হয়। সরকারের কাছে চরের এসব সমস্যা সমাধানের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু তেমন কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

দৌলতখান(ভোলা): মেঘনার বুক চিরে বয়ে যাওয়া জলরাশির মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একটি সবুজ দ্বীপ। সেখানে হাজারো লোকের বসবাস এবং ওই দ্বীপই তাদের জীবিকার উৎস। বলছি ভোলার দৌলতখান উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাজিপুর চরের কথা। যেখানে নেই কোন উন্নত মানের স্কুল, বেড়ি বাঁধ, স্বাস্থ্য কেন্দ্র। শীতকালে থাকে বিশুদ্ধ পানির সংকট এবং বর্ষাকালে জোয়ারের পানি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই চলে এ চরের মানুষের জীবন।
নদীতে মাছ শিকার ও কৃষিকাজ করে এখানকার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। আধুনিক এ সভ্যতার যুগেও এসব এলাকার মানুষ বেঁচে আছে চরম অবহেলায় মধ্যে। সরকারি সাহায্য সহযোগীতাও তেমন পৌঁছায় না তাদের কাছে।
হাজিপুর চর ঘুরে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘কয়েক বছর আগে মেঘনায় জেগে ওঠে হাজিপুর চর। উঁচু স্থানে ঘর তৈরি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করছেন চরের মানুষজন। একটি মাত্র কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করছেন এখানকার বাসিন্দারা। রাস্তাটি কোথাও ফসলি জমির ওপর দিয়ে, কোথায় খালের পাড় দিয়ে, আবার কোথায় বাড়ির আঙিনা দিয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে পুরো চর পানিতে থৈ থৈ করে। আধুনিকতা থেকে বঞ্চিত এ চরে নানা সংকটের কারণে বাল্য বিয়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে।
প্রায় প্রত্যেকটি পরিবারেই ১২-১৩ বছর বয়সেই মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়। মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পেরে বাধ্য হয়েই বিয়ে দেন বলে জানান অভিভাবকেরা।
এখানে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। কিন্তু কোনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ চরের বাসিন্দাদের। সেখানে নেই পর্যাপ্ত ওষুধ ও চিকিৎসক। লাইলি বেগম নামে এক গৃহবধূ বলেন, ক্লিনিক আছে কিন্তু চিকিৎসক নেই, ওষুধ চাইলেও আমরা ওষুধ পাই না। একই অভিযোগ করেন আরও অনেকে।
শাহাবুদ্দিন নামে এক বাসিন্দা বলেন, চিকিৎসার অভাবে প্রতি বছরই গর্ভবতী অনেক নারী নানা সমস্যায় পরেন। নদী পাড়ি দিয়ে জেলা-উপজেলায় নিতে গিয়ে অনেকেই মারা যান। এসবের বাইরেও চরে নতুন সমস্যা যোগ হয়েছে, আর তা হলো ভাঙন। ব্যাপক হারে ভাঙছে নদী। এতে চরের অনেক পরিবার গৃহহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাচ্ছেন। কেউ আবার দৌলতখানের বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন।
অন্যদিকে নদীতে মাছ না থাকায় জেলেরাও আছে কষ্টে। গত মৌসুমে নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লে সে চিত্র এখন আর নেই। দেনার দায়ে দিশেহারা তারা। পুরো চরে ফসলের উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকলেও জোয়ার আর লবণাক্ত পানি কৃষকদের মুখে হাসি ফুটাতে পারে না। চরে শিক্ষার ব্যবস্থা নেই বললেই চরে। ছোট ছোট শিশুরা তাদের বাব-মায়ের সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছে। অল্প বয়সেই বই খাতার পরিবর্তে নৌকা-বৈঠা তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে। বাবার সঙ্গে মাছ শিকার করেই দিন কেটে যায় কোমলমতি এসব শিশুদের।
চারদিকে জলরাশি বেষ্টিত হাজিপুর চরে কোথায় নেই বাঁধ, শুধু বাঁধ না থাকায় সারা বর্ষায় তাদের জলোচ্ছ্বাসে কাটাতে হয়। ঝড়ের পূর্বাভাস পৌঁছায় না এসব মানুষের কাছে। সিডর,আইলা ও মহাসেনের মতো ছোট ছোট ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এসব এলাকার মানুষ।
সরকারি সহায়তার অভাবে এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি তারা। চরে বিদ্যুতের সেবা পৌঁছায়নি, তবে পৌঁছেছে সৌর বিদ্যুৎ। বেশ কিছু ঘর সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। সংবাদ কর্মী কাছে পেয়ে তাঁদের অভিযোগের শেষ নেই। শুধু নেই আর নেই।
হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান টিপু বলেন, চরে নানা সমস্যা থাকলেও বর্তমানে প্রধান সমস্যা নদী ভাঙন। গত মৌসুম থেকে এ মৌসুম পর্যন্ত কয়েক ওয়ার্ডের বেশির ভাগ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে মানুষ নিঃস্ব। অবহেলিত জনপদ চরের বাসিন্দারা চান স্থায়ী বেড়ি বাঁধ। তিনি আরও বলেন, ঝড় বাতাস হলে জোয়ারের পানিতে পুরো চর প্লাবিত হলে মানুষজন চরম কষ্টে দিন পার করতে হয়। সরকারের কাছে চরের এসব সমস্যা সমাধানের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু তেমন কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
২ ঘণ্টা আগে