বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের মরদেহ ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। নিহত হাদিসুরের মরদেহ বাড়িতে আসবে কি না, তা নিয়ে এখন শঙ্কা তাঁদের।
নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে। তিনি ওই এলাকায় নাদেরিয়া মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। চার ভাইবোনের মধ্যে হাদিসুর মেজো।
আরিফের বাবা আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, ‘আমার ছেলে তো আর নেই। বাবারে শেষ দেখা দেখতেও পারলাম না। আমাদের বাঁচার অবলম্বনটুকু শেষ। এখন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি, আমরা যেন আমাগো আরিফের লাশটা পাইতে পারি। ক্ষতি যা হওয়ার হইছে, এহন পোলার লাশটা আইন্না দ্যান আমনেরা।’
গত বুধবার মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেন হাদিস। বাড়িতে এসেছিলেন মাস ছয়েক আগে। তবে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ ছিল তাঁর। জানিয়েছিলেন, আটকে থাকা জাহাজ ছাড়া পেলে শিগগিরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ওই দিন বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ রাশিয়ার সৈন্যদের রকেট হামলার শিকার হলে নিহত হন হাদিসুর রহমান আরিফ।
আরিফ উত্তর করুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিকের পড়াশোনা শেষ করে বেতাগী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। ২০১০ সালে জিপিএ-৪.৬০ নিয়ে বেতাগী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন চট্টগ্রামের বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে। ২০১২ সালে সেখান থেকে সিজিপিএ ২.৬৮ নিয়ে বিএমএস পাস করে ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরের একটি জাহাজে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন।
বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আরিফ ২০১৮ সাল থেকে ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে ছিল। শ্রীলঙ্কা থেকে গত ১২ ডিসেম্বর সে ইউক্রেনের উদ্দেশে গিয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, আরিফের মরদেহটি যেন দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয় এবং তাঁর পরিবার যেন আর্থিক সহযোগিতা পায়।’
স্বজনেরা জানান, আট বছর ধরে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিভিন্ন জাহাজে কর্মরত ছিলেন আরিফ। বুধবার জাহাজ থেকে ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্সকে ফোন করেন তিনি। নেটওয়ার্ক না থাকায় জাহাজের ওপরে উঠে প্রিন্সের সঙ্গে কথা বলার সময় জাহাজে একটি বিকট শব্দ হওয়ার পর আরিফের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরিফের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টায় সর্বশেষ ভাইয়ার সঙ্গে কথা হয়। রাশিয়ান সৈন্যদের হামলার সময় ভাইয়া বাইরে এসে আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। কথা বলার সময় হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হয়। পরে কিছুই শুনতে পাইনি। আমার ভাই ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে মারা যান। আমার ভাইকে তো আর ফিরে পাব না, এখন আমরা শুধু লাশটা ফিরে পেতে চাই।’
নিহত আরিফের সেজো ভাই তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন, ‘আমার ভাই মারা গেছে দেশের জন্য। এবার বাড়ি ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল তার। আমরা মেয়েও দেখে রেখেছিলাম। কিন্তু এখন সব শেষ। সরকারের কাছে এখন একটাই দাবি, আমার ভাইয়ের লাশটা আমাদের কাছে ফিরিয়ে এনে দিন।’
হাদিসুর রহমানের মা রাশিদা বেগম বলেন, ‘বাবায় কইছিলে আমারে বিদেশ নিয়া যাইবে, জাহাজ ঘুরাইয়া দেখাইবে। কিন্তু তা আর হইল না, আল্লাহ তারে নিয়া গেল। আমার ছেলে তো আর বাইচ্চা নাই। এহন লাশটা যাতে পাইতে পারি সে জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ রইল। লাশ না পাইলে আমার বাবার চিহ্নটাই থাকবে না।’
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ‘আমরা নিহতের পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়েছি। যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা দেশের বাইরে। তাই তাঁর মরদেহ ফেরত আনার বিষয়ে যে প্রক্রিয়া, সেটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। আপনারা একটু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় হাদিসুর রহমান আরিফের গ্রামের বাড়ি পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন। এ সময় তিনি হাদিসের শোকার্ত পিতামাতাকে সান্ত্বনা দেন এবং মরদেহ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যে নৌপরিবহনমন্ত্রীকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। আরিফের মরদেহ দেশে আনার এবং সেখানে আটকে থাকাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী, মরদেহটি চলে আসবে এবং সেখানে যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হবে।

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের মরদেহ ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। নিহত হাদিসুরের মরদেহ বাড়িতে আসবে কি না, তা নিয়ে এখন শঙ্কা তাঁদের।
নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে। তিনি ওই এলাকায় নাদেরিয়া মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। চার ভাইবোনের মধ্যে হাদিসুর মেজো।
আরিফের বাবা আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, ‘আমার ছেলে তো আর নেই। বাবারে শেষ দেখা দেখতেও পারলাম না। আমাদের বাঁচার অবলম্বনটুকু শেষ। এখন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি, আমরা যেন আমাগো আরিফের লাশটা পাইতে পারি। ক্ষতি যা হওয়ার হইছে, এহন পোলার লাশটা আইন্না দ্যান আমনেরা।’
গত বুধবার মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেন হাদিস। বাড়িতে এসেছিলেন মাস ছয়েক আগে। তবে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ ছিল তাঁর। জানিয়েছিলেন, আটকে থাকা জাহাজ ছাড়া পেলে শিগগিরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ওই দিন বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ রাশিয়ার সৈন্যদের রকেট হামলার শিকার হলে নিহত হন হাদিসুর রহমান আরিফ।
আরিফ উত্তর করুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিকের পড়াশোনা শেষ করে বেতাগী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। ২০১০ সালে জিপিএ-৪.৬০ নিয়ে বেতাগী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন চট্টগ্রামের বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে। ২০১২ সালে সেখান থেকে সিজিপিএ ২.৬৮ নিয়ে বিএমএস পাস করে ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরের একটি জাহাজে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন।
বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আরিফ ২০১৮ সাল থেকে ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে ছিল। শ্রীলঙ্কা থেকে গত ১২ ডিসেম্বর সে ইউক্রেনের উদ্দেশে গিয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, আরিফের মরদেহটি যেন দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয় এবং তাঁর পরিবার যেন আর্থিক সহযোগিতা পায়।’
স্বজনেরা জানান, আট বছর ধরে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিভিন্ন জাহাজে কর্মরত ছিলেন আরিফ। বুধবার জাহাজ থেকে ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্সকে ফোন করেন তিনি। নেটওয়ার্ক না থাকায় জাহাজের ওপরে উঠে প্রিন্সের সঙ্গে কথা বলার সময় জাহাজে একটি বিকট শব্দ হওয়ার পর আরিফের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরিফের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টায় সর্বশেষ ভাইয়ার সঙ্গে কথা হয়। রাশিয়ান সৈন্যদের হামলার সময় ভাইয়া বাইরে এসে আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। কথা বলার সময় হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হয়। পরে কিছুই শুনতে পাইনি। আমার ভাই ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে মারা যান। আমার ভাইকে তো আর ফিরে পাব না, এখন আমরা শুধু লাশটা ফিরে পেতে চাই।’
নিহত আরিফের সেজো ভাই তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন, ‘আমার ভাই মারা গেছে দেশের জন্য। এবার বাড়ি ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল তার। আমরা মেয়েও দেখে রেখেছিলাম। কিন্তু এখন সব শেষ। সরকারের কাছে এখন একটাই দাবি, আমার ভাইয়ের লাশটা আমাদের কাছে ফিরিয়ে এনে দিন।’
হাদিসুর রহমানের মা রাশিদা বেগম বলেন, ‘বাবায় কইছিলে আমারে বিদেশ নিয়া যাইবে, জাহাজ ঘুরাইয়া দেখাইবে। কিন্তু তা আর হইল না, আল্লাহ তারে নিয়া গেল। আমার ছেলে তো আর বাইচ্চা নাই। এহন লাশটা যাতে পাইতে পারি সে জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ রইল। লাশ না পাইলে আমার বাবার চিহ্নটাই থাকবে না।’
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ‘আমরা নিহতের পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়েছি। যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা দেশের বাইরে। তাই তাঁর মরদেহ ফেরত আনার বিষয়ে যে প্রক্রিয়া, সেটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। আপনারা একটু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় হাদিসুর রহমান আরিফের গ্রামের বাড়ি পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন। এ সময় তিনি হাদিসের শোকার্ত পিতামাতাকে সান্ত্বনা দেন এবং মরদেহ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যে নৌপরিবহনমন্ত্রীকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। আরিফের মরদেহ দেশে আনার এবং সেখানে আটকে থাকাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী, মরদেহটি চলে আসবে এবং সেখানে যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হবে।
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের মরদেহ ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। নিহত হাদিসুরের মরদেহ বাড়িতে আসবে কি না, তা নিয়ে এখন শঙ্কা তাঁদের।
নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে। তিনি ওই এলাকায় নাদেরিয়া মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। চার ভাইবোনের মধ্যে হাদিসুর মেজো।
আরিফের বাবা আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, ‘আমার ছেলে তো আর নেই। বাবারে শেষ দেখা দেখতেও পারলাম না। আমাদের বাঁচার অবলম্বনটুকু শেষ। এখন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি, আমরা যেন আমাগো আরিফের লাশটা পাইতে পারি। ক্ষতি যা হওয়ার হইছে, এহন পোলার লাশটা আইন্না দ্যান আমনেরা।’
গত বুধবার মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেন হাদিস। বাড়িতে এসেছিলেন মাস ছয়েক আগে। তবে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ ছিল তাঁর। জানিয়েছিলেন, আটকে থাকা জাহাজ ছাড়া পেলে শিগগিরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ওই দিন বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ রাশিয়ার সৈন্যদের রকেট হামলার শিকার হলে নিহত হন হাদিসুর রহমান আরিফ।
আরিফ উত্তর করুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিকের পড়াশোনা শেষ করে বেতাগী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। ২০১০ সালে জিপিএ-৪.৬০ নিয়ে বেতাগী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন চট্টগ্রামের বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে। ২০১২ সালে সেখান থেকে সিজিপিএ ২.৬৮ নিয়ে বিএমএস পাস করে ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরের একটি জাহাজে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন।
বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আরিফ ২০১৮ সাল থেকে ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে ছিল। শ্রীলঙ্কা থেকে গত ১২ ডিসেম্বর সে ইউক্রেনের উদ্দেশে গিয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, আরিফের মরদেহটি যেন দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয় এবং তাঁর পরিবার যেন আর্থিক সহযোগিতা পায়।’
স্বজনেরা জানান, আট বছর ধরে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিভিন্ন জাহাজে কর্মরত ছিলেন আরিফ। বুধবার জাহাজ থেকে ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্সকে ফোন করেন তিনি। নেটওয়ার্ক না থাকায় জাহাজের ওপরে উঠে প্রিন্সের সঙ্গে কথা বলার সময় জাহাজে একটি বিকট শব্দ হওয়ার পর আরিফের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরিফের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টায় সর্বশেষ ভাইয়ার সঙ্গে কথা হয়। রাশিয়ান সৈন্যদের হামলার সময় ভাইয়া বাইরে এসে আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। কথা বলার সময় হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হয়। পরে কিছুই শুনতে পাইনি। আমার ভাই ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে মারা যান। আমার ভাইকে তো আর ফিরে পাব না, এখন আমরা শুধু লাশটা ফিরে পেতে চাই।’
নিহত আরিফের সেজো ভাই তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন, ‘আমার ভাই মারা গেছে দেশের জন্য। এবার বাড়ি ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল তার। আমরা মেয়েও দেখে রেখেছিলাম। কিন্তু এখন সব শেষ। সরকারের কাছে এখন একটাই দাবি, আমার ভাইয়ের লাশটা আমাদের কাছে ফিরিয়ে এনে দিন।’
হাদিসুর রহমানের মা রাশিদা বেগম বলেন, ‘বাবায় কইছিলে আমারে বিদেশ নিয়া যাইবে, জাহাজ ঘুরাইয়া দেখাইবে। কিন্তু তা আর হইল না, আল্লাহ তারে নিয়া গেল। আমার ছেলে তো আর বাইচ্চা নাই। এহন লাশটা যাতে পাইতে পারি সে জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ রইল। লাশ না পাইলে আমার বাবার চিহ্নটাই থাকবে না।’
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ‘আমরা নিহতের পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়েছি। যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা দেশের বাইরে। তাই তাঁর মরদেহ ফেরত আনার বিষয়ে যে প্রক্রিয়া, সেটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। আপনারা একটু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় হাদিসুর রহমান আরিফের গ্রামের বাড়ি পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন। এ সময় তিনি হাদিসের শোকার্ত পিতামাতাকে সান্ত্বনা দেন এবং মরদেহ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যে নৌপরিবহনমন্ত্রীকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। আরিফের মরদেহ দেশে আনার এবং সেখানে আটকে থাকাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী, মরদেহটি চলে আসবে এবং সেখানে যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হবে।

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের মরদেহ ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। নিহত হাদিসুরের মরদেহ বাড়িতে আসবে কি না, তা নিয়ে এখন শঙ্কা তাঁদের।
নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে। তিনি ওই এলাকায় নাদেরিয়া মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। চার ভাইবোনের মধ্যে হাদিসুর মেজো।
আরিফের বাবা আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, ‘আমার ছেলে তো আর নেই। বাবারে শেষ দেখা দেখতেও পারলাম না। আমাদের বাঁচার অবলম্বনটুকু শেষ। এখন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি, আমরা যেন আমাগো আরিফের লাশটা পাইতে পারি। ক্ষতি যা হওয়ার হইছে, এহন পোলার লাশটা আইন্না দ্যান আমনেরা।’
গত বুধবার মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেন হাদিস। বাড়িতে এসেছিলেন মাস ছয়েক আগে। তবে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ ছিল তাঁর। জানিয়েছিলেন, আটকে থাকা জাহাজ ছাড়া পেলে শিগগিরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ওই দিন বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ রাশিয়ার সৈন্যদের রকেট হামলার শিকার হলে নিহত হন হাদিসুর রহমান আরিফ।
আরিফ উত্তর করুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিকের পড়াশোনা শেষ করে বেতাগী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। ২০১০ সালে জিপিএ-৪.৬০ নিয়ে বেতাগী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন চট্টগ্রামের বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে। ২০১২ সালে সেখান থেকে সিজিপিএ ২.৬৮ নিয়ে বিএমএস পাস করে ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরের একটি জাহাজে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন।
বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আরিফ ২০১৮ সাল থেকে ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে ছিল। শ্রীলঙ্কা থেকে গত ১২ ডিসেম্বর সে ইউক্রেনের উদ্দেশে গিয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, আরিফের মরদেহটি যেন দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয় এবং তাঁর পরিবার যেন আর্থিক সহযোগিতা পায়।’
স্বজনেরা জানান, আট বছর ধরে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিভিন্ন জাহাজে কর্মরত ছিলেন আরিফ। বুধবার জাহাজ থেকে ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্সকে ফোন করেন তিনি। নেটওয়ার্ক না থাকায় জাহাজের ওপরে উঠে প্রিন্সের সঙ্গে কথা বলার সময় জাহাজে একটি বিকট শব্দ হওয়ার পর আরিফের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরিফের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টায় সর্বশেষ ভাইয়ার সঙ্গে কথা হয়। রাশিয়ান সৈন্যদের হামলার সময় ভাইয়া বাইরে এসে আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। কথা বলার সময় হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হয়। পরে কিছুই শুনতে পাইনি। আমার ভাই ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে মারা যান। আমার ভাইকে তো আর ফিরে পাব না, এখন আমরা শুধু লাশটা ফিরে পেতে চাই।’
নিহত আরিফের সেজো ভাই তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন, ‘আমার ভাই মারা গেছে দেশের জন্য। এবার বাড়ি ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল তার। আমরা মেয়েও দেখে রেখেছিলাম। কিন্তু এখন সব শেষ। সরকারের কাছে এখন একটাই দাবি, আমার ভাইয়ের লাশটা আমাদের কাছে ফিরিয়ে এনে দিন।’
হাদিসুর রহমানের মা রাশিদা বেগম বলেন, ‘বাবায় কইছিলে আমারে বিদেশ নিয়া যাইবে, জাহাজ ঘুরাইয়া দেখাইবে। কিন্তু তা আর হইল না, আল্লাহ তারে নিয়া গেল। আমার ছেলে তো আর বাইচ্চা নাই। এহন লাশটা যাতে পাইতে পারি সে জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ রইল। লাশ না পাইলে আমার বাবার চিহ্নটাই থাকবে না।’
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ‘আমরা নিহতের পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়েছি। যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা দেশের বাইরে। তাই তাঁর মরদেহ ফেরত আনার বিষয়ে যে প্রক্রিয়া, সেটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। আপনারা একটু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় হাদিসুর রহমান আরিফের গ্রামের বাড়ি পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন। এ সময় তিনি হাদিসের শোকার্ত পিতামাতাকে সান্ত্বনা দেন এবং মরদেহ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যে নৌপরিবহনমন্ত্রীকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। আরিফের মরদেহ দেশে আনার এবং সেখানে আটকে থাকাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী, মরদেহটি চলে আসবে এবং সেখানে যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হবে।

নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতিও কমানো যাবে না। কিন্তু অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিবিড় নজরদারি করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) উভয়ের তরফে অবহেলা হচ্ছে।
৪৪ মিনিট আগে
ফেনী পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব সমাধানের আশায় স্থাপিত জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রটি এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এখন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
জয়পুরহাটের দুটি আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর দলটির তীব্র অন্তঃকোন্দল সামনে আসে। দুই আসনেই প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা।
১ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতিও কমানো যাবে না। কিন্তু অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিবিড় নজরদারি করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) উভয়ের তরফে অবহেলা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের গণতন্ত্রায়ণ, আর্থিক স্বচ্ছতা ও দলের সদস্যদের দায়বদ্ধতা, নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা ইত্যাদি বিষয় নিয়েও কিছু সুপারিশ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) গ্রহণ করা হয়নি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার: অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাদের কাছ থেকে এসব কথা উঠে আসে। বেসরকারি সংগঠন ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’ এ বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং সরকার ও ইসির প্রস্তাবের মাধ্যমে আরপিওর বিভিন্ন অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আবার অনেক বিষয়ই উপেক্ষা করা হয়েছে। কোনো আসনে মোট ভোটের ৪০ শতাংশ না পড়লে আবার ভোট গ্রহণের বিধান, পর পর দুটি নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান বাতিল করা এবং প্রতি পাঁচ বছর পর দলের নিবন্ধন নবায়ন বাধ্যতামূলক করা, কোনো ব্যক্তির একাধিক আসনে প্রার্থী হওয়ার বিধান বাতিল করা, ২০২৩ সালে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ নিবন্ধন দেওয়া দলের নিবন্ধন বাতিল করাসহ অনেক সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে।
নির্বাচনী ব্যয়ের অর্থ পরে জনগণের কাছ থেকে আদায়ের চেষ্টা করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি মনে করেন, ইতিমধ্যে ‘মনোনয়ন-বাণিজ্যের মাধ্যমে’ নির্বাচনী ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের আশঙ্কা রয়েছে।
নির্বাচনে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শুধু নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা থেকেও সুরক্ষা প্রয়োজন। জাতীয় ঐক্য ছাড়া একটি গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
সুজনের সম্পাদক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, ভোট গণনা এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণ হিসেবে দেখা উচিত। নির্বাচন কমিশন এবং সরকার নির্বাচনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করতে যে সংস্কারগুলো করেছে, তা সন্তোষজনক নয়।
বিচারপতি এম এ মতিন বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত সুপারিশগুলোর মধ্যে মাত্র ৫০ শতাংশ গৃহীত হয়েছে। বাকি সুপারিশগুলো যাতে গ্রহণ করা হয়, সে জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া এবং কমিশনকে চাপের মুখে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
ইসির সাবেক অতিরিক্তি সচিব জেসমিন টুলি বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা নির্বাচনী আচরণবিধির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এর অপব্যবহার বা ভোটারদের বিভ্রান্তি রোধে প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ বা সীমাবদ্ধতাগুলো স্পষ্টভাবে থাকা উচিত ছিল। তা করা হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য সংস্কার কমিশনের তুলনায় নির্বাচনবিষয়ক কমিশনের অর্জন কিছুটা বেশি হতে পারে, তবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বাদ পড়েছে বা গৃহীত হয়নি।
বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, অধ্যাপক ওয়ারেসুল করিম, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য মীর নাদিয়া নিভিন প্রমুখ।

নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতিও কমানো যাবে না। কিন্তু অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিবিড় নজরদারি করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) উভয়ের তরফে অবহেলা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের গণতন্ত্রায়ণ, আর্থিক স্বচ্ছতা ও দলের সদস্যদের দায়বদ্ধতা, নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা ইত্যাদি বিষয় নিয়েও কিছু সুপারিশ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) গ্রহণ করা হয়নি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার: অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাদের কাছ থেকে এসব কথা উঠে আসে। বেসরকারি সংগঠন ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’ এ বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং সরকার ও ইসির প্রস্তাবের মাধ্যমে আরপিওর বিভিন্ন অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আবার অনেক বিষয়ই উপেক্ষা করা হয়েছে। কোনো আসনে মোট ভোটের ৪০ শতাংশ না পড়লে আবার ভোট গ্রহণের বিধান, পর পর দুটি নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান বাতিল করা এবং প্রতি পাঁচ বছর পর দলের নিবন্ধন নবায়ন বাধ্যতামূলক করা, কোনো ব্যক্তির একাধিক আসনে প্রার্থী হওয়ার বিধান বাতিল করা, ২০২৩ সালে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ নিবন্ধন দেওয়া দলের নিবন্ধন বাতিল করাসহ অনেক সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে।
নির্বাচনী ব্যয়ের অর্থ পরে জনগণের কাছ থেকে আদায়ের চেষ্টা করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি মনে করেন, ইতিমধ্যে ‘মনোনয়ন-বাণিজ্যের মাধ্যমে’ নির্বাচনী ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের আশঙ্কা রয়েছে।
নির্বাচনে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শুধু নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা থেকেও সুরক্ষা প্রয়োজন। জাতীয় ঐক্য ছাড়া একটি গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
সুজনের সম্পাদক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, ভোট গণনা এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণ হিসেবে দেখা উচিত। নির্বাচন কমিশন এবং সরকার নির্বাচনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করতে যে সংস্কারগুলো করেছে, তা সন্তোষজনক নয়।
বিচারপতি এম এ মতিন বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত সুপারিশগুলোর মধ্যে মাত্র ৫০ শতাংশ গৃহীত হয়েছে। বাকি সুপারিশগুলো যাতে গ্রহণ করা হয়, সে জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া এবং কমিশনকে চাপের মুখে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
ইসির সাবেক অতিরিক্তি সচিব জেসমিন টুলি বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা নির্বাচনী আচরণবিধির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এর অপব্যবহার বা ভোটারদের বিভ্রান্তি রোধে প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ বা সীমাবদ্ধতাগুলো স্পষ্টভাবে থাকা উচিত ছিল। তা করা হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য সংস্কার কমিশনের তুলনায় নির্বাচনবিষয়ক কমিশনের অর্জন কিছুটা বেশি হতে পারে, তবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বাদ পড়েছে বা গৃহীত হয়নি।
বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, অধ্যাপক ওয়ারেসুল করিম, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য মীর নাদিয়া নিভিন প্রমুখ।

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের মরদেহ ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁর পরিবার। নিহত হাদিসুরের মরদেহ বাড়িতে আসবে কিনা তা নিয়ে এখন শঙ্কা তাঁদের
০৪ মার্চ ২০২২
ফেনী পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব সমাধানের আশায় স্থাপিত জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রটি এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এখন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
জয়পুরহাটের দুটি আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর দলটির তীব্র অন্তঃকোন্দল সামনে আসে। দুই আসনেই প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা।
১ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
৩ ঘণ্টা আগেফেনী প্রতিনিধি

ফেনী পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব সমাধানের আশায় স্থাপিত জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রটি এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এখন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। নিয়মিত তদারকি ও নিরাপত্তা না থাকায় প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো চুরি হয়ে গেছে।
ফেনী পৌরসভার সুলতানপুরে প্রায় ৭০ শতক জমির ওপর স্থাপিত প্রকল্প এলাকাটি ঘুরে দেখা গেছে, উৎপাদন শেডগুলো ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে। কোথাও দরজা নেই, কোথাও ছাউনি খুলে নেওয়া হয়েছে। যন্ত্রপাতির কোনো অস্তিত্ব নেই। ভেতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা কংক্রিট, মরিচা ধরা লোহার অংশ। আগাছায় ঢেকে পুরো এলাকাজুড়ে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২১ সালে পরীক্ষামূলকভাবে সার উৎপাদন শুরু হয়। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ছিল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেবক এগ্রোভেট লিমিটেড।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যাশিত আয় না হওয়ায় ২০২৩ সালেই সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় এগ্রোভেট লিমিটেড। পরে সেখানে কিছুদিন প্লাস্টিক পুড়িয়ে ফার্নেস অয়েল উৎপাদনের চেষ্টা চালানো হয়। ২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পর প্রকল্পটির সব কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন কোনো তদারকি বা নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় একে একে যন্ত্রপাতিসহ অবকাঠামো চুরি হয়ে যায়।
প্রকল্প চলাকালে কেন্দ্রটির পাহারাদার হিসেবে কাজ করা ফরিদ আহমদ বলেন, ‘যখন এখানে সার উৎপাদন হতো, তখন আমি ছয় হাজার টাকা বেতনে পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতাম। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে আর কেউ এখানে আসেনি। আমিও পাহারা দেওয়া বন্ধ করে দিই। এখন এখানে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। সব ভেঙে নিয়ে গেছে চোরেরা।’ তিনি বলেন, ‘পৌরসভার কোনো পদক্ষেপ না থাকায় যে যেভাবে পেরেছে নিয়ে গেছে।’
পাশের পৌর কবরস্থানে দাফনকাজে নিয়োজিত ইমাম মোহাম্মদ আলী বলেন, কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত জায়গাটি মোটামুটি ভালো অবস্থায় ছিল। সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই চুরি শুরু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘কারখানা স্থাপনের শুরু থেকেই আমরা আপত্তি জানিয়েছিলাম। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে আশপাশে বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। লাভ না হওয়ায় যারা চালু করেছিল, তারাই আবার বন্ধ করে পালিয়েছে। ৫ আগস্টের পর এলাকার কিছু মাদকসেবী, চোর ও বহিরাগতরা মিলে ফ্যান, আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতিসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। কয়েকবার পৌরসভাকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির উদ্দিন বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না দাবি করে পৌর স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
পৌর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কৃষ্ণপদ সাহা বলেন, ‘২০১৮ সালে সুলতানপুরে বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন কেন্দ্রটি চালু করা হয়। চট্টগ্রামের একটি এনজিও পৌরসভার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এটি পরিচালনা করছিল। সম্ভবত লাভ না হওয়ায় তারা বন্ধ করে দেয়। তবে তারা প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করেনি। বর্তমানে প্রকল্পটির অবস্থা সম্পর্কে আমার জানা নেই।’
কেন পৌরসভার আওতাধীন কোটি টাকার প্রকল্পটি অচল হয়ে পড়েছে এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির উদ্দিন। একপর্যায়ে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সেবক এগ্রোভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খালেদ আমিনকে ফোন করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রকল্পটি পৌরসভার কাছে হস্তান্তরের জন্য বলেন। তবে প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণে পৌরসভা কেন কোনো উদ্যোগ নেয়নি এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে সেবক এগ্রোভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খালেদ আমিনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ফেনী পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব সমাধানের আশায় স্থাপিত জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রটি এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এখন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। নিয়মিত তদারকি ও নিরাপত্তা না থাকায় প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো চুরি হয়ে গেছে।
ফেনী পৌরসভার সুলতানপুরে প্রায় ৭০ শতক জমির ওপর স্থাপিত প্রকল্প এলাকাটি ঘুরে দেখা গেছে, উৎপাদন শেডগুলো ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে। কোথাও দরজা নেই, কোথাও ছাউনি খুলে নেওয়া হয়েছে। যন্ত্রপাতির কোনো অস্তিত্ব নেই। ভেতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা কংক্রিট, মরিচা ধরা লোহার অংশ। আগাছায় ঢেকে পুরো এলাকাজুড়ে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২১ সালে পরীক্ষামূলকভাবে সার উৎপাদন শুরু হয়। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ছিল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেবক এগ্রোভেট লিমিটেড।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যাশিত আয় না হওয়ায় ২০২৩ সালেই সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় এগ্রোভেট লিমিটেড। পরে সেখানে কিছুদিন প্লাস্টিক পুড়িয়ে ফার্নেস অয়েল উৎপাদনের চেষ্টা চালানো হয়। ২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পর প্রকল্পটির সব কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন কোনো তদারকি বা নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় একে একে যন্ত্রপাতিসহ অবকাঠামো চুরি হয়ে যায়।
প্রকল্প চলাকালে কেন্দ্রটির পাহারাদার হিসেবে কাজ করা ফরিদ আহমদ বলেন, ‘যখন এখানে সার উৎপাদন হতো, তখন আমি ছয় হাজার টাকা বেতনে পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতাম। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে আর কেউ এখানে আসেনি। আমিও পাহারা দেওয়া বন্ধ করে দিই। এখন এখানে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। সব ভেঙে নিয়ে গেছে চোরেরা।’ তিনি বলেন, ‘পৌরসভার কোনো পদক্ষেপ না থাকায় যে যেভাবে পেরেছে নিয়ে গেছে।’
পাশের পৌর কবরস্থানে দাফনকাজে নিয়োজিত ইমাম মোহাম্মদ আলী বলেন, কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত জায়গাটি মোটামুটি ভালো অবস্থায় ছিল। সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই চুরি শুরু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘কারখানা স্থাপনের শুরু থেকেই আমরা আপত্তি জানিয়েছিলাম। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে আশপাশে বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। লাভ না হওয়ায় যারা চালু করেছিল, তারাই আবার বন্ধ করে পালিয়েছে। ৫ আগস্টের পর এলাকার কিছু মাদকসেবী, চোর ও বহিরাগতরা মিলে ফ্যান, আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতিসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। কয়েকবার পৌরসভাকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির উদ্দিন বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না দাবি করে পৌর স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
পৌর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কৃষ্ণপদ সাহা বলেন, ‘২০১৮ সালে সুলতানপুরে বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন কেন্দ্রটি চালু করা হয়। চট্টগ্রামের একটি এনজিও পৌরসভার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এটি পরিচালনা করছিল। সম্ভবত লাভ না হওয়ায় তারা বন্ধ করে দেয়। তবে তারা প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করেনি। বর্তমানে প্রকল্পটির অবস্থা সম্পর্কে আমার জানা নেই।’
কেন পৌরসভার আওতাধীন কোটি টাকার প্রকল্পটি অচল হয়ে পড়েছে এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির উদ্দিন। একপর্যায়ে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সেবক এগ্রোভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খালেদ আমিনকে ফোন করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রকল্পটি পৌরসভার কাছে হস্তান্তরের জন্য বলেন। তবে প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণে পৌরসভা কেন কোনো উদ্যোগ নেয়নি এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে সেবক এগ্রোভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খালেদ আমিনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের মরদেহ ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁর পরিবার। নিহত হাদিসুরের মরদেহ বাড়িতে আসবে কিনা তা নিয়ে এখন শঙ্কা তাঁদের
০৪ মার্চ ২০২২
নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতিও কমানো যাবে না। কিন্তু অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিবিড় নজরদারি করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) উভয়ের তরফে অবহেলা হচ্ছে।
৪৪ মিনিট আগে
জয়পুরহাটের দুটি আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর দলটির তীব্র অন্তঃকোন্দল সামনে আসে। দুই আসনেই প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা।
১ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
৩ ঘণ্টা আগেমো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট

জয়পুরহাটের দুটি আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর দলটির তীব্র অন্তঃকোন্দল সামনে আসে। দুই আসনেই প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা। সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে সড়ক অবরোধ, রাস্তায় শুয়ে পড়া, টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ কিংবা মশাল মিছিল—কিছুই বাদ যায়নি। বিএনপির এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে সুযোগ হিসেবে দেখছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগেভাগেই মাঠে নেমে গণসংযোগ শুরু করেছেন। তৎপর এনসিপি ও এবি পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও।
জয়পুরহাট-১ (জেলা সদর ও পাঁচবিবি) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান। তবে এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সাল আলীম এবং কুসুম্বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল গফুর মণ্ডলের অনুসারীরা। তাঁরা বলছেন, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে প্রার্থী নির্ধারণ করলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফয়সাল আলীম বলেন, ‘তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সম্পর্ক আমার। অবহেলিত এ এলাকার উন্নয়ন এবং দলে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেওয়ার সবচেয়ে বেশি যোগ্যতা আমি রাখি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সব দিক বিশ্লেষণ করে দল আমাকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে।’
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা আমির মো. ফজলুর রহমান সাঈদ। তিনি বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার। বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ভোটের মাঠে আমাদের জন্য ইতিবাচক।’ এনসিপির প্রার্থী হতে পারেন দলের জেলা শাখার আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া।
জয়পুরহাট-২ (কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সচিব আবদুল বারী। তাঁর প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা এবং সাবেক ছাত্রনেতা আব্বাস আলীর অনুসারীরা। আবদুল বারী বলেন, ‘সরকারি চাকরি করা সত্ত্বেও বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে দলের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার আগে-পরে এলাকাবাসীর ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। নির্বাচিত হলে কৃষিভিত্তিক কারখানা গড়ে তুলব। কৃষিসংশ্লিষ্ট উপাদানের দাম সহনশীল রাখতে কাজ করব। এলাকা আলুপ্রধান। তাই আলুভিত্তিক চিপস ইন্ডাস্ট্রি করে তোলা হবে।’ প্রাথমিক মনোনয়নবঞ্চিত গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যাঁকে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নাই। সাধারণ ভোটাররা তাঁকে অতিথি পাখি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর তিনি নেতা-কর্মীদের কোনো খোঁজ রাখেননি। এখন পর্যন্ত দলের প্রাথমিক সদস্যও নন। আমি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য। তৃণমূলের ৩ লাখ ৫১ হাজার নেতা-কর্মী ও ভোটাররা আমার সঙ্গে আছেন।’
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সহকারী সেক্রেটারি এস এম রাশেদুল আলম সবুজ। তিনি বলেন, ‘ভোটাররা বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়। তাঁদের বিশ্বাস, জামায়াতে ইসলামীর দ্বারাই এর বাস্তবায়ন সম্ভব। নির্বাচিত হলে দুর্নীতিমুক্ত জনবান্ধব প্রশাসন, মাদক, বৈষম্য ও চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ তৈরির জন্য কাজ করব। কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে কাজ করব ইনশা আল্লাহ।’ এনসিপির মনোনয়ন পেতে পারেন জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওহাব দেওয়ান কাজল। এবি পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী এস এম জাহিদ সরকার। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবাই গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

জয়পুরহাটের দুটি আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর দলটির তীব্র অন্তঃকোন্দল সামনে আসে। দুই আসনেই প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা। সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে সড়ক অবরোধ, রাস্তায় শুয়ে পড়া, টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ কিংবা মশাল মিছিল—কিছুই বাদ যায়নি। বিএনপির এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে সুযোগ হিসেবে দেখছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগেভাগেই মাঠে নেমে গণসংযোগ শুরু করেছেন। তৎপর এনসিপি ও এবি পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও।
জয়পুরহাট-১ (জেলা সদর ও পাঁচবিবি) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান। তবে এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সাল আলীম এবং কুসুম্বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল গফুর মণ্ডলের অনুসারীরা। তাঁরা বলছেন, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে প্রার্থী নির্ধারণ করলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফয়সাল আলীম বলেন, ‘তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সম্পর্ক আমার। অবহেলিত এ এলাকার উন্নয়ন এবং দলে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেওয়ার সবচেয়ে বেশি যোগ্যতা আমি রাখি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সব দিক বিশ্লেষণ করে দল আমাকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে।’
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা আমির মো. ফজলুর রহমান সাঈদ। তিনি বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার। বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ভোটের মাঠে আমাদের জন্য ইতিবাচক।’ এনসিপির প্রার্থী হতে পারেন দলের জেলা শাখার আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া।
জয়পুরহাট-২ (কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সচিব আবদুল বারী। তাঁর প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা এবং সাবেক ছাত্রনেতা আব্বাস আলীর অনুসারীরা। আবদুল বারী বলেন, ‘সরকারি চাকরি করা সত্ত্বেও বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে দলের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার আগে-পরে এলাকাবাসীর ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। নির্বাচিত হলে কৃষিভিত্তিক কারখানা গড়ে তুলব। কৃষিসংশ্লিষ্ট উপাদানের দাম সহনশীল রাখতে কাজ করব। এলাকা আলুপ্রধান। তাই আলুভিত্তিক চিপস ইন্ডাস্ট্রি করে তোলা হবে।’ প্রাথমিক মনোনয়নবঞ্চিত গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যাঁকে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নাই। সাধারণ ভোটাররা তাঁকে অতিথি পাখি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর তিনি নেতা-কর্মীদের কোনো খোঁজ রাখেননি। এখন পর্যন্ত দলের প্রাথমিক সদস্যও নন। আমি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য। তৃণমূলের ৩ লাখ ৫১ হাজার নেতা-কর্মী ও ভোটাররা আমার সঙ্গে আছেন।’
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সহকারী সেক্রেটারি এস এম রাশেদুল আলম সবুজ। তিনি বলেন, ‘ভোটাররা বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়। তাঁদের বিশ্বাস, জামায়াতে ইসলামীর দ্বারাই এর বাস্তবায়ন সম্ভব। নির্বাচিত হলে দুর্নীতিমুক্ত জনবান্ধব প্রশাসন, মাদক, বৈষম্য ও চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ তৈরির জন্য কাজ করব। কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে কাজ করব ইনশা আল্লাহ।’ এনসিপির মনোনয়ন পেতে পারেন জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওহাব দেওয়ান কাজল। এবি পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী এস এম জাহিদ সরকার। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবাই গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের মরদেহ ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁর পরিবার। নিহত হাদিসুরের মরদেহ বাড়িতে আসবে কিনা তা নিয়ে এখন শঙ্কা তাঁদের
০৪ মার্চ ২০২২
নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতিও কমানো যাবে না। কিন্তু অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিবিড় নজরদারি করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) উভয়ের তরফে অবহেলা হচ্ছে।
৪৪ মিনিট আগে
ফেনী পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব সমাধানের আশায় স্থাপিত জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রটি এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এখন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
৩ ঘণ্টা আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
সালাহউদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত সাড়ে ১০টার সময় নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। সে সময় নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন আটকা পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আরও বলেন, কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
সালাহউদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত সাড়ে ১০টার সময় নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। সে সময় নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন আটকা পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আরও বলেন, কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের মরদেহ ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁর পরিবার। নিহত হাদিসুরের মরদেহ বাড়িতে আসবে কিনা তা নিয়ে এখন শঙ্কা তাঁদের
০৪ মার্চ ২০২২
নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতিও কমানো যাবে না। কিন্তু অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিবিড় নজরদারি করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) উভয়ের তরফে অবহেলা হচ্ছে।
৪৪ মিনিট আগে
ফেনী পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব সমাধানের আশায় স্থাপিত জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রটি এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এখন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
জয়পুরহাটের দুটি আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর দলটির তীব্র অন্তঃকোন্দল সামনে আসে। দুই আসনেই প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা।
১ ঘণ্টা আগে