Ajker Patrika

মিয়ানমার সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলি, এপারে আতঙ্ক

বান্দরবান ও নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭: ৪৮
মিয়ানমার সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলি, এপারে আতঙ্ক

মিয়ানমার সীমান্তের ৪০ পিলার এলাকাজুড়ে বিদ্রোহীদের আস্তানা লক্ষ্য করে দুটি হেলিকপ্টার ও একটি জেট বিমান থেকে মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ করছে মিয়ানমার সেনারা। আজ শনিবার সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৩টায় এ সংবাদ লেখার সময়ও সীমান্তের ১৩ কিলোমিটার এলাকায় গোলাবর্ষণ চলছে। আতঙ্কে রাবার বাগানসহ বিভিন্ন বাগানে নিয়োজিত শ্রমিকেরা কাজ ছেড়ে নিরাপদে সরে গেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ, স্থানীয় গ্রামবাসী ও সীমান্ত সড়কে কাজ করেন এমন একাধিক শ্রমিক।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম সংবাদমাধ‍্যকে জানান,  নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলী এলাকায় শনিবার সকালে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে দুটি যুদ্ধ বিমান ও দুটি হেলিকপ্টার এসে ব‍্যাপক গোলাবর্ষণ করে। মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ৩০/৩৫টি ফায়ার করতে দেখা যায়।

পুলিশ সুপার বলেন, আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, ‘নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডর রেজু আমতলী বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সীমান্ত চৌকির (বিওপি) আওতাধীন ৪০ ও ৪১ নং পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় মিয়ানমারের জেট বিমান ও হেলিকপ্টার এসে ফায়ার করে। এ সময় যুদ্ধবিমান থেকে দুটি গোলা বাংলাদেশের ঘুমধুমের অভ‍্যন্তরে পড়ে। তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘুমধুমের ১নং ওয়ার্ডের তুমব্রু বিজিবি বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫-এর মাঝামাঝি মিয়ানমারের বিজিপির তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে চার রাউন্ড ভারী গোলা বর্ষণ করা হয়। গোলাবর্ষণ এখনো চলছে। রিঙ্গাঝিরি ক্যাম্প ও তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে থেমে থেমে মর্টার শেলের ফায়ার চলছে।

এর আগে গত রোববার (২৮ আগস্ট) সীমান্তের তুমরু গ্রামে মর্টার শেলের গোলা এসে পড়ায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

সূত্র জানান, মিয়ানমার সেনারা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে এ হামলা চালাচ্ছে বলে মিয়ানমারের নানা সূত্র থেকে তাঁরা জানতে পারছেন। আরকান রাজ্যে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ওপরও শুরু হয়েছে নতুন করে নিপীড়ন। প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সীমান্তের নানাস্থানে জড়ো হচ্ছেন বলে জানিয়েছে একটি গোয়েন্দা সংস্থার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে। 

এ ছাড়া একাধিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, মিয়ানমার বাহিনীর অত্যাচারে শত শত রোহিঙ্গা ভারতের মিজোরাম রাজ্যের দিকে পালিয়ে গেছেন। সেখানে বাধাগ্রস্ত হয়ে তাঁরা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। আরাকানজুড়ে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়েছে। তাঁরা বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি ও তুমরু সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করছেন।

অপর একটি সূত্র জানায়, মিয়ানমার সীমান্ত সড়কের কাজ বন্ধ আছে এক মাস ধরে। বাগানের কাজও বন্ধ। যেখানে শ্রমিকের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। সম্প্রতি তাঁরা তিন দফা কাজ বন্ধ রেখে এলাকা ছেড়েছেন। প্রথম দফা এক মাস আগে, দ্বিতীয় দফায় গত বুধবার আর তৃতীয় দফা আজ শনিবার কাজ বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ে গেছেন।

সিরাজুল, রফিক, শহীদুল্লাহ ও লাবে তঞ্চঙ্গ্যা নামে নির্মাণ শ্রমিকেরা বলেন, তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে এ সড়কে কাজ করছেন। এখানে তাঁরা কয়েক মাস ধরে কাজ করছেন। হঠাৎ মিয়ানমার বাহিনীর ভারী অস্ত্রের গোলা বর্ষণ ও মর্টার শেলের আওয়াজে তাঁরা আতঙ্কিত। মাথার ওপর ঘুরছে হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টার থেকেও গুলি ছোড়া হচ্ছে। গোলা এসে পড়ার ভয়ে ২০ / ২৫ দিন আগে মিয়ানমার সীমান্ত সড়কের কাজ বন্ধ রেখে নিরাপদে চলে এসেছেন। 

দ্বিতীয় দফায় মর্টারের গোলা এসে পড়ার ঘটনায় তুমরু এলাকার একাধিক শ্রমিক এ প্রতিবেদককে জানান, বুধবার (৩১ আগস্ট) তাঁদের ফিরে যেতে বলে কর্তৃপক্ষ। তাঁরাও আতঙ্কিত। কাজ বন্ধ রেখে নিরাপদে সরে গেছেন।

অপর একটি সূত্র জানায়, ঘুমধুমের তুমরু, রেজু আমতলী, বাইশফাঁড়ি, তুইঙ্গাঝিরি, গর্জনবুনিয়া ও রেজু পাড়াসহ ঘুমধুমের ১৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এক মাস ধরে মিয়ানমারের ভেতরে সীমান্ত এলাকায় গোলাবর্ষণ চলছে। সম্প্রতি হেলিকপ্টার থেকেও গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২০ থেকে ৩০টি মর্টার শেষ ছোড়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মর্টার শেল উত্তর তুমরু গ্রামের মসজিদের আঙিনা ও বসতবাড়িতে পড়ে। 

সূত্রগুলো জানাচ্ছে, সীমান্তের এ পয়েন্টে হেলিকপ্টার থেকে গোলাবর্ষণের পাশাপাশি বিদ্রোহীদের আস্তানা শনাক্তে ড্রোন ব্যবহার করছে মিয়ানমার বাহিনী। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে আস্তানা শনাক্ত করতে না পেরে পুরো ১৬ কিলোমিটার এলাকায় এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণ ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, গতকাল শুক্রবার সকালেও মিয়ানমার বাহিনী দফায় দফায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তাদের সীমান্তের জিরো পয়েন্টে গোলাগুলি চলেছে।

ঘুমধুম ইউপি মেম্বার আবুল কালাম জানান, গোলাগুলির শব্দে সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, সব কাজকর্ম বন্ধ। শ্রমিকেরা ভয়ে কাজে যাচ্ছেন না। মালিকপক্ষও ঝুঁকি নিচ্ছে না। এর আগেও গোলাগুলির শব্দে ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলার এলাকার বাসিন্দারা রাতে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন।

ইউপি মেম্বার আরও জানান, গত মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে জেট বিমান এবং ড্রোন উড়তে দেখেন তাঁর এলাকার মানুষ। এ ছাড়া মিয়ানমারের তুমরু সীমান্ত রক্ষীর ঘাঁটি থেকে গত বৃহস্পতিবার কয়েক দফা মর্টার শেল এসে পড়ে সাত কিলোমিটার দূরের বাইশফাঁড়ি-আমতলী সীমান্ত পয়েন্টে। এতে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, রেজু আমতলী ফাত্রাঝিরি বাইশফাড়ি সীমান্তে নতুন করে গোলাগুলির আওয়াজ শুনেছেন তার এলাকার মানুষ। গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ পর্যন্ত ৩৮ নম্বর পিলার থেকে ৪০ নম্বর পিলার এলাকাসহ ঘুমধুম সীমান্তের সর্বত্র মিয়ানমারের সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় গোলা বর্ষণের আওয়াজ পাওয়া গেছে।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, কিছু গোলা বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি বা ভেতরে এসে পড়েছে। সীমান্ত সড়কের শ্রমিক ও তাঁর নিজের বাগানের শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে নিরাপদে অবস্থান করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিএনপির বিক্ষোভ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আজ দুপুরে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির অফিসের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ দুপুরে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির অফিসের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই বিক্ষোভ করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা বিএনপির অফিস থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে আবার সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম সরকারবিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান বাবু, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মইনুল হাসান সাদিক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেন বাবু, জেলা যুবদলের সভাপতি রাগীব হাসান চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার জাকারিয়া আলম জীম।

বক্তারা বলেন, নিবার্চনকে বানচাল করতে হাদির ওপর গুলি করা হয়েছে। হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীত নিবারণের আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত বৃদ্ধার মৃত্যু

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
পুড়ে যাওয়া ঘর। ছবি: আজকের পত্রিকা
পুড়ে যাওয়া ঘর। ছবি: আজকের পত্রিকা

শীত নিবারণের জন্য একটি মাটির পাত্রে কয়লার আগুন পোহাতেন বিধবা কামরুন নাহার (৭৫)। আর সেই আগুনেই একা ঘরে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যান তিনি। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ঢালীকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া কামরুন নাহার ওই গ্রামের মৃত মোসলেম সরদারের স্ত্রী।

আজ সকালে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কামরুন নাহারের স্বামী মোসলেম সরদার অনেক আগেই মারা গেছেন। তাঁর একমাত্র কন্যাসন্তান বিবাহিত ও অন্যত্র বসবাস করেন। ফলে তিনি একাই স্বামীর বসতভিটায় একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে বসবাস করতেন এবং আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের দানে নিজেই রান্না করে খেতেন।

শীত নিবারণের জন্য কামরুন নাহার প্রায় সময় বিছানার পাশে মাটির তৈরি একটি পাত্রে জ্বালানো কয়লা রাখতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পাত্র থেকে আগুন বিছানায় পড়ে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এতে বিছানার ওপরে পুড়ে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে এর আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিছানার ওপর আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা ফরহাদ ঢালী বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর শুনে আমরা ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। স্থানীয় জনগণ ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে পুরো ঘর পুড়ে যায়।’

পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিহত ব্যক্তির মেয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমরা প্রাইম টার্গেটকে খুঁজছি: ডিএমপি কমিশনার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৩
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ফাইল ছবি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় প্রাথমিক সন্দেহভাজনকে দ্রুতই ধরা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

আজ শনিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।

কমিশনার বলেন, ‘আমরা প্রাইম টার্গেটকে খুঁজছি। এখনো ২৪ ঘণ্টা পার হয়নি। হোপফুলি এটা আমরা ডিটেক্ট করতে পারব।’

কতজন এই চক্রের সঙ্গে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা টার্গেটকে খুঁজছি।’

আসামির নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নাম এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা তাকে খুঁজছি। জনগণের সহযোগিতা চেয়েছি। হোপফুলি আমরা এটা ডিটেক্ট করে ফেলব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মতিঝিলে ছিনতাইকারীর কবলে ইডেনের ছাত্রী

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪৬
এআই দিয়ে তৈরি প্রতীকী ছবি
এআই দিয়ে তৈরি প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে অর্পিতা মুখার্জি (২৪) নামের ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

অর্পিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠী প্রবিতা রায় ও ভুক্তভোগী নিজে জানান, ইডেন কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। বর্তমানে আজিমপুরে সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে থাকেন। সকালে গ্রামের বাড়ি রংপুর যাওয়ার উদ্দেশে রিকশায় কমলাপুর স্টেশনে যাচ্ছিলেন। রিকশাটি মতিঝিল মেট্রোরেল রেলস্টেশনের নিচে এলে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আসা ছিনতাইকারীরা তাঁর হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান দেয়। এতে রিকশা থেকে ছিটকে পড়েন অর্পিতা। গুরুতর আঘাত পান তিনি।

পরে সহপাঠীদের ফোনকল করে খবর দিলে তাঁরা অর্পিতাকে উদ্ধার করে প্রথমে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁর কাছ থেকে ছিনতাইকারীরা কিছু নিতে পারেনি বলে জানান অর্পিতা।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, মতিঝিলে ছিনতাইকারীর কবলে পড়া ওই শিক্ষার্থীকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত