নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনকে ধাওয়া দিয়েছেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের। এ সময় তাঁদের মধ্য ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। পরে ধাওয়া খেয়ে বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ওই অধ্যাপক। তাঁর অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে গেলে তিনি হেনস্তার শিকার হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের লাউঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের নীল দলের সমর্থক ঢাবির চার শিক্ষক। অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের আহ্বায়ক।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আ ক ম জামাল উদ্দীনসহ কয়েকজন শিক্ষক দুপুরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে যান। সেই খবর পেয়ে অনুষদ ভবনের সামনে জড়ো হন একদল শিক্ষার্থী। বেলা ১টার দিকে তাঁরা ভবন থেকে বের হতেই ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়েরের নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষার্থী আ ক ম জামালকে ধাওয়া করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক জুবায়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সিঁড়িতে অধ্যাপক জামালের পোশাক টেনে ধরে তাঁকে আটকে রাখের চেষ্টা করছেন। আ ক ম জামাল নিজেকে ছাড়াতে তাঁর হুডি খুলে ফেলেন। তিনি সিঁড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালালে তাঁর পিছু ধাওয়া করেন জুবায়ের। একপর্যায়ে অধ্যাপক জামাল একটি গাড়িতে উঠে পড়েন। জুবায়ের তখনো গাড়ির দরজা টেনে ধরে তাঁকে নামানোর চেষ্টা করছিলেন। সেখানে পুলিশ ডাকার কথাও বলেন ওই শিক্ষার্থীরা।
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের পরে এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘স্বঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ধইরা ধইরা ব্রাশফায়ার দিতে হবে’ বলা আওয়ামী লীগের কুলাঙ্গার শিক্ষক আকম জামাল, নীল দলের পোস্টেড নেতা জিনাত হুদাসহ ৫ জন ফ্যাসিস্টের দোসর শিক্ষক আজকে ক্যাম্পাসে এসে গোপন মিটিংয়ে যুক্ত হয়েছিল। খবর পেয়ে আমরা তাদেরকে পাকড়াও করে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আনফরচুনেটলি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় কুলাঙ্গারগুলো!’
এবি জুবায়ের আরও লিখেছেন, ‘এরা চিহ্নিত খুনিদের দোসর। এদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা এদের ক্লাস-পরীক্ষা সব বয়কট করেছে। তারপরও এরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সাহস কীভাবে পায়! প্রশাসনকে আরও তৎপর হতে হবে। খুনিদের সাথে কোনো সহাবস্থানের সুযোগ নেই। সবগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে শীঘ্রই।’
হেনস্তার ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নীল দলের মোট পাঁচ শিক্ষক সাত দাবি নিয়ে সাড়ে ১২টার সময় উপাচার্যের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে গেছিলাম এবং উপাচার্য না থাকায় পিএসের কাছে জমা দিয়ে আসছি। পরে দুপুর ১টার দিকে বের হয়ে এসে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের লাউঞ্জে চা খাইতে গেছিলাম, দুপুরের নাস্তাও করতেছিলাম। নাস্তা খেয়ে আমরা যখন বের হচ্ছি তখন চার পাঁচটা ছেলে আমাদের ওপর হামলা করে। বিশেষ করে তারা প্রথমে আক্রমণটা করে একজন নারী শিক্ষকের ওপর। পরে আমাকে ধরছে, আমাকে তারা যেতে দিবে না এই বলে। একপর্যায়ে আমার সঙ্গে হাতাহাতি বাকবিতন্ডা চলছিল। তারপরে সেখান থেকে আমি গাড়িতে করে স্থান ত্যাগ করি।’
এক প্রশ্নের জবাবে ড. জামাল বলেন, ‘আমরা কোনো মিটিংয়ের জন্য সেখানে যাইনি। স্মারকলিপি দিতে গেছিলাম। আমার তো মতাদর্শ থাকতেই পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোথাও মামলা হয় নাই। নীল দল শিক্ষকদের দল, আমরা কি তাহলে দল করব না? আমরা এই প্রথম ক্যাম্পাসে না, এর আগেও গেছি, প্রতি সপ্তাহে যাই; কিন্তু কখনো হামলা হয়নি। আর আজ স্মারকলিপি দিতে গেলে হামলা করেছে তারা।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমি সে সময় ক্যাম্পাসে ছিলাম না। তবে এর আগে আ ক ম জামাল স্যার ক্যাম্পাসে এলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। পরে আমরা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করি যে, তিনি আর আসবেন না। আমরা জামাল স্যারকেও বলেছিলাম না আসতে। তারপরও তিনি এসেছেন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনকে ধাওয়া দিয়েছেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের। এ সময় তাঁদের মধ্য ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। পরে ধাওয়া খেয়ে বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ওই অধ্যাপক। তাঁর অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে গেলে তিনি হেনস্তার শিকার হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের লাউঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের নীল দলের সমর্থক ঢাবির চার শিক্ষক। অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের আহ্বায়ক।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আ ক ম জামাল উদ্দীনসহ কয়েকজন শিক্ষক দুপুরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে যান। সেই খবর পেয়ে অনুষদ ভবনের সামনে জড়ো হন একদল শিক্ষার্থী। বেলা ১টার দিকে তাঁরা ভবন থেকে বের হতেই ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়েরের নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষার্থী আ ক ম জামালকে ধাওয়া করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক জুবায়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সিঁড়িতে অধ্যাপক জামালের পোশাক টেনে ধরে তাঁকে আটকে রাখের চেষ্টা করছেন। আ ক ম জামাল নিজেকে ছাড়াতে তাঁর হুডি খুলে ফেলেন। তিনি সিঁড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালালে তাঁর পিছু ধাওয়া করেন জুবায়ের। একপর্যায়ে অধ্যাপক জামাল একটি গাড়িতে উঠে পড়েন। জুবায়ের তখনো গাড়ির দরজা টেনে ধরে তাঁকে নামানোর চেষ্টা করছিলেন। সেখানে পুলিশ ডাকার কথাও বলেন ওই শিক্ষার্থীরা।
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের পরে এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘স্বঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ধইরা ধইরা ব্রাশফায়ার দিতে হবে’ বলা আওয়ামী লীগের কুলাঙ্গার শিক্ষক আকম জামাল, নীল দলের পোস্টেড নেতা জিনাত হুদাসহ ৫ জন ফ্যাসিস্টের দোসর শিক্ষক আজকে ক্যাম্পাসে এসে গোপন মিটিংয়ে যুক্ত হয়েছিল। খবর পেয়ে আমরা তাদেরকে পাকড়াও করে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আনফরচুনেটলি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় কুলাঙ্গারগুলো!’
এবি জুবায়ের আরও লিখেছেন, ‘এরা চিহ্নিত খুনিদের দোসর। এদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা এদের ক্লাস-পরীক্ষা সব বয়কট করেছে। তারপরও এরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সাহস কীভাবে পায়! প্রশাসনকে আরও তৎপর হতে হবে। খুনিদের সাথে কোনো সহাবস্থানের সুযোগ নেই। সবগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে শীঘ্রই।’
হেনস্তার ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নীল দলের মোট পাঁচ শিক্ষক সাত দাবি নিয়ে সাড়ে ১২টার সময় উপাচার্যের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে গেছিলাম এবং উপাচার্য না থাকায় পিএসের কাছে জমা দিয়ে আসছি। পরে দুপুর ১টার দিকে বের হয়ে এসে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের লাউঞ্জে চা খাইতে গেছিলাম, দুপুরের নাস্তাও করতেছিলাম। নাস্তা খেয়ে আমরা যখন বের হচ্ছি তখন চার পাঁচটা ছেলে আমাদের ওপর হামলা করে। বিশেষ করে তারা প্রথমে আক্রমণটা করে একজন নারী শিক্ষকের ওপর। পরে আমাকে ধরছে, আমাকে তারা যেতে দিবে না এই বলে। একপর্যায়ে আমার সঙ্গে হাতাহাতি বাকবিতন্ডা চলছিল। তারপরে সেখান থেকে আমি গাড়িতে করে স্থান ত্যাগ করি।’
এক প্রশ্নের জবাবে ড. জামাল বলেন, ‘আমরা কোনো মিটিংয়ের জন্য সেখানে যাইনি। স্মারকলিপি দিতে গেছিলাম। আমার তো মতাদর্শ থাকতেই পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোথাও মামলা হয় নাই। নীল দল শিক্ষকদের দল, আমরা কি তাহলে দল করব না? আমরা এই প্রথম ক্যাম্পাসে না, এর আগেও গেছি, প্রতি সপ্তাহে যাই; কিন্তু কখনো হামলা হয়নি। আর আজ স্মারকলিপি দিতে গেলে হামলা করেছে তারা।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমি সে সময় ক্যাম্পাসে ছিলাম না। তবে এর আগে আ ক ম জামাল স্যার ক্যাম্পাসে এলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। পরে আমরা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করি যে, তিনি আর আসবেন না। আমরা জামাল স্যারকেও বলেছিলাম না আসতে। তারপরও তিনি এসেছেন।’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, বাংলাদেশের সবাইকে নিয়ে যদি নির্বাচন হয়, আমি আমার গামছার দল নির্বাচন করব। আর যদি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাদ থাকে, শুধু বিএনপি, জামায়াত আর এনসিপি নিয়ে নির্বাচন হয় আমরা ভোটে যাব না।’
৭ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাটে শেখ মজিবর রহমান (৭০) নামের একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
১৮ মিনিট আগে
খুলনা নগরীর একটি বাসা থেকে শিউলী বেগম (৪৫) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, মাথায় আঘাত এবং বালিশচাপা দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। শিউলী বেগমের স্বজনদের অভিযোগ, বিদেশ থেকে ফেরা ওই নারীর প্রায় ৬ লাখ টাকা কেড়ে নেওয়ার জন্য তাঁর একমাত্র ছেলে রিয়াদ মাকে হত্যা করেন।
২৭ মিনিট আগে
তানোরে ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সরু গর্ত দিয়ে মাটির গভীরে চলে যাওয়া শিশু সাজিদের বাঁচার আশা নেই। ৩৫ ফুটের পর মাটি জমে যাওয়ায় তার নিচে অক্সিজেন পাঠানোও সম্ভব নয়। তাই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
৩৮ মিনিট আগেটাঙ্গাইল প্রতিনিধি

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সবাইকে নিয়ে যদি নির্বাচন হয়, আমি আমার গামছার দল নির্বাচন করব। আর যদি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাদ থাকে, শুধু বিএনপি, জামায়াত আর এনসিপি নিয়ে নির্বাচন হয়, আমরা ভোটে যাব না।’
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলে হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র্যালি-পরবর্তী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘শেখ হাসিনার অন্যায় শেখ মুজিবের অন্যায় না। শেখ হাসিনার অন্যায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যায় না। শেখ হাসিনার অন্যায় আওয়ামী লীগের অন্যায় না। আওয়ামী লীগ জন্ম দিয়েছেন মওলানা ভাসানী। আওয়ামী লীগ জন্ম দিয়েছেন শামসুল হক। হাসিনার বিচার করবেন বলে আপনি আওয়ামী লীগেরও বিচার করবেন, করতে পারবেন না। পারবেন না। পারবেন না। আইয়ুব খান পারে নাই, ইয়াহিয়া খান পারে নাই, আপনারাও পারবেন না।’
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমি যত দিন বেঁচে থাকব বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করে বেঁচে থাকব, আমি যত দিন বেঁচে থাকব জয়বাংলা বলে বেঁচে থাকব।’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বীর বিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙাল এবং কাদেরিয়া বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত ও বরেণ্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সবাইকে নিয়ে যদি নির্বাচন হয়, আমি আমার গামছার দল নির্বাচন করব। আর যদি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাদ থাকে, শুধু বিএনপি, জামায়াত আর এনসিপি নিয়ে নির্বাচন হয়, আমরা ভোটে যাব না।’
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলে হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র্যালি-পরবর্তী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘শেখ হাসিনার অন্যায় শেখ মুজিবের অন্যায় না। শেখ হাসিনার অন্যায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যায় না। শেখ হাসিনার অন্যায় আওয়ামী লীগের অন্যায় না। আওয়ামী লীগ জন্ম দিয়েছেন মওলানা ভাসানী। আওয়ামী লীগ জন্ম দিয়েছেন শামসুল হক। হাসিনার বিচার করবেন বলে আপনি আওয়ামী লীগেরও বিচার করবেন, করতে পারবেন না। পারবেন না। পারবেন না। আইয়ুব খান পারে নাই, ইয়াহিয়া খান পারে নাই, আপনারাও পারবেন না।’
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমি যত দিন বেঁচে থাকব বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করে বেঁচে থাকব, আমি যত দিন বেঁচে থাকব জয়বাংলা বলে বেঁচে থাকব।’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বীর বিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙাল এবং কাদেরিয়া বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত ও বরেণ্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনকে ধাওয়া দিয়েছেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের। এ সময় তাঁদের মধ্য ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। পরে ধাওয়া খেয়ে বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ওই অধ্যাপক।
৩ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাটে শেখ মজিবর রহমান (৭০) নামের একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
১৮ মিনিট আগে
খুলনা নগরীর একটি বাসা থেকে শিউলী বেগম (৪৫) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, মাথায় আঘাত এবং বালিশচাপা দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। শিউলী বেগমের স্বজনদের অভিযোগ, বিদেশ থেকে ফেরা ওই নারীর প্রায় ৬ লাখ টাকা কেড়ে নেওয়ার জন্য তাঁর একমাত্র ছেলে রিয়াদ মাকে হত্যা করেন।
২৭ মিনিট আগে
তানোরে ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সরু গর্ত দিয়ে মাটির গভীরে চলে যাওয়া শিশু সাজিদের বাঁচার আশা নেই। ৩৫ ফুটের পর মাটি জমে যাওয়ায় তার নিচে অক্সিজেন পাঠানোও সম্ভব নয়। তাই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
৩৮ মিনিট আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাটে শেখ মজিবর রহমান (৭০) নামের একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত্যুর আড়াই ঘণ্টা আগে রাত ১টার দিকে মজিবর রহমানকে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। রাত ৩টার দিকে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই মাসের সাজাপ্রাপ্ত মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনি ফকিরহাট উপজেলার ব্রাহ্মণরাকদিয়া গ্রামের মৃত শেখ ইনতাজের ছেলে। মজিবর একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ছিলেন। এক ব্যক্তির ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে জামিনদার ছিলেন তিনি। কিন্তু ঋণগ্রহীতা তা পরিশোধ না করার মামলায় জামিনদার মজিবরকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা শাওন কুমার দাশ জানান, মজিবর রহমানকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
মৃতের স্বজনেরা জানান, মজিবর দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তিনি এনজিও থেকে এক ব্যক্তির ঋণ গ্রহণের জামিনদার ছিলেন। সেই ঋণগ্রহীতা টাকা পরিশোধ না করায় তাঁর বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হয়। ওই মামলায় তাঁর দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ফকিরহাট মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামি মজিবর গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে পেড়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বাগেরহাটের ফকিরহাটে শেখ মজিবর রহমান (৭০) নামের একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত্যুর আড়াই ঘণ্টা আগে রাত ১টার দিকে মজিবর রহমানকে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। রাত ৩টার দিকে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই মাসের সাজাপ্রাপ্ত মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনি ফকিরহাট উপজেলার ব্রাহ্মণরাকদিয়া গ্রামের মৃত শেখ ইনতাজের ছেলে। মজিবর একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ছিলেন। এক ব্যক্তির ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে জামিনদার ছিলেন তিনি। কিন্তু ঋণগ্রহীতা তা পরিশোধ না করার মামলায় জামিনদার মজিবরকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা শাওন কুমার দাশ জানান, মজিবর রহমানকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
মৃতের স্বজনেরা জানান, মজিবর দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তিনি এনজিও থেকে এক ব্যক্তির ঋণ গ্রহণের জামিনদার ছিলেন। সেই ঋণগ্রহীতা টাকা পরিশোধ না করায় তাঁর বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হয়। ওই মামলায় তাঁর দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ফকিরহাট মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামি মজিবর গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে পেড়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনকে ধাওয়া দিয়েছেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের। এ সময় তাঁদের মধ্য ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। পরে ধাওয়া খেয়ে বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ওই অধ্যাপক।
৩ ঘণ্টা আগে
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, বাংলাদেশের সবাইকে নিয়ে যদি নির্বাচন হয়, আমি আমার গামছার দল নির্বাচন করব। আর যদি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাদ থাকে, শুধু বিএনপি, জামায়াত আর এনসিপি নিয়ে নির্বাচন হয় আমরা ভোটে যাব না।’
৭ মিনিট আগে
খুলনা নগরীর একটি বাসা থেকে শিউলী বেগম (৪৫) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, মাথায় আঘাত এবং বালিশচাপা দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। শিউলী বেগমের স্বজনদের অভিযোগ, বিদেশ থেকে ফেরা ওই নারীর প্রায় ৬ লাখ টাকা কেড়ে নেওয়ার জন্য তাঁর একমাত্র ছেলে রিয়াদ মাকে হত্যা করেন।
২৭ মিনিট আগে
তানোরে ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সরু গর্ত দিয়ে মাটির গভীরে চলে যাওয়া শিশু সাজিদের বাঁচার আশা নেই। ৩৫ ফুটের পর মাটি জমে যাওয়ায় তার নিচে অক্সিজেন পাঠানোও সম্ভব নয়। তাই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
৩৮ মিনিট আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা নগরীর একটি বাসা থেকে শিউলী বেগম (৪৫) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, মাথায় আঘাত এবং বালিশচাপা দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
শিউলী বেগমের স্বজনদের অভিযোগ, বিদেশ থেকে ফেরা ওই নারীর প্রায় ৬ লাখ টাকা কেড়ে নেওয়ার জন্য তাঁর একমাত্র ছেলে রিয়াদ মাকে হত্যা করেন। ঘটনাস্থলের আশপাশের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও দেখে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছেন।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর ট্যাংক রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে শিউলী বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর লাশ খাটের ওপর পড়ে ছিল। গত রাতে শিউলীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শিউলী বেগমের মেয়ে কেয়া জানান, কাজের জন্য দুই বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান শিউলী বেগম। দেশে ফিরে স্বামীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পাঁচ-ছয় দিন আগে বিদেশে অর্জিত পৌনে ৬ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে বাড়িতে নিয়ে আসেন শিউলী। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে তাঁর মায়ের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
কেয়া আরও জানান, তিনি মায়ের খোঁজে জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় নানার বাড়িতে চলে যান, কিন্তু সেখানে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে পুনরায় মায়ের সন্ধান করতে থাকেন। একপর্যায়ে মায়ের বসবাস করা ওই ভাড়া বাসার সামনে স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখেন। একপর্যায়ে পুলিশ এসে বাসার তালা কেটে খাটের ওপর শিউলীর লাশ দেখতে পায়।
শিউলীর মেয়ে কেয়া বলেন, ‘আমার ছোট ভাই রিয়াদ পেশায় একজন টাইলসের মিস্ত্রি। প্রতিদিন ভোর ৬টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সিসি ক্যামেরা ভিডিওতে দেখা যায়, সে বুধবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে বাসা থেকে বের হয়। এ সময় তাঁর কাছে একটি ব্যাগ ছিল। তাঁর আচরণও সন্দেহজনক দেখা গেছে। তা ছাড়া, ব্যাংক থেকে তোলা পৌনে ৬ লাখ টাকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরের সবকিছু এলোমেলো পাওয়া গেছে। ভাই রিয়াদ ঘরের বাইরে থেকে বের হওয়ার পর ওই ঘরে আর কেউ প্রবেশ বা বের হয়নি। ছোট ভাই রিয়াদই মাকে খুন করেছে।’
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিউলীকে ঘরে থাকা পুতা দিয়ে মাথা আঘাত এবং পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বালিশচাপা দেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, শিউলী বেগমের কাছে থাকা পৌনে ৬ লাখ টাকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাঁর স্বজনেরা অভিযোগ তুলেছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর ছেলে রিয়াদকে পরিবারের পক্ষ থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে। আমরা ঘটনাটির তদন্ত করছি।’
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, ‘শিউলীর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ছেলে রিয়াদকে দোষারোপ করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই আমরা তাঁকে খুঁজে পেয়ে যাব এবং ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।’

খুলনা নগরীর একটি বাসা থেকে শিউলী বেগম (৪৫) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, মাথায় আঘাত এবং বালিশচাপা দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
শিউলী বেগমের স্বজনদের অভিযোগ, বিদেশ থেকে ফেরা ওই নারীর প্রায় ৬ লাখ টাকা কেড়ে নেওয়ার জন্য তাঁর একমাত্র ছেলে রিয়াদ মাকে হত্যা করেন। ঘটনাস্থলের আশপাশের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও দেখে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছেন।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর ট্যাংক রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে শিউলী বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর লাশ খাটের ওপর পড়ে ছিল। গত রাতে শিউলীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শিউলী বেগমের মেয়ে কেয়া জানান, কাজের জন্য দুই বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান শিউলী বেগম। দেশে ফিরে স্বামীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পাঁচ-ছয় দিন আগে বিদেশে অর্জিত পৌনে ৬ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে বাড়িতে নিয়ে আসেন শিউলী। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে তাঁর মায়ের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
কেয়া আরও জানান, তিনি মায়ের খোঁজে জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় নানার বাড়িতে চলে যান, কিন্তু সেখানে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে পুনরায় মায়ের সন্ধান করতে থাকেন। একপর্যায়ে মায়ের বসবাস করা ওই ভাড়া বাসার সামনে স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখেন। একপর্যায়ে পুলিশ এসে বাসার তালা কেটে খাটের ওপর শিউলীর লাশ দেখতে পায়।
শিউলীর মেয়ে কেয়া বলেন, ‘আমার ছোট ভাই রিয়াদ পেশায় একজন টাইলসের মিস্ত্রি। প্রতিদিন ভোর ৬টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সিসি ক্যামেরা ভিডিওতে দেখা যায়, সে বুধবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে বাসা থেকে বের হয়। এ সময় তাঁর কাছে একটি ব্যাগ ছিল। তাঁর আচরণও সন্দেহজনক দেখা গেছে। তা ছাড়া, ব্যাংক থেকে তোলা পৌনে ৬ লাখ টাকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরের সবকিছু এলোমেলো পাওয়া গেছে। ভাই রিয়াদ ঘরের বাইরে থেকে বের হওয়ার পর ওই ঘরে আর কেউ প্রবেশ বা বের হয়নি। ছোট ভাই রিয়াদই মাকে খুন করেছে।’
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিউলীকে ঘরে থাকা পুতা দিয়ে মাথা আঘাত এবং পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বালিশচাপা দেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, শিউলী বেগমের কাছে থাকা পৌনে ৬ লাখ টাকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাঁর স্বজনেরা অভিযোগ তুলেছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর ছেলে রিয়াদকে পরিবারের পক্ষ থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে। আমরা ঘটনাটির তদন্ত করছি।’
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, ‘শিউলীর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ছেলে রিয়াদকে দোষারোপ করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই আমরা তাঁকে খুঁজে পেয়ে যাব এবং ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনকে ধাওয়া দিয়েছেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের। এ সময় তাঁদের মধ্য ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। পরে ধাওয়া খেয়ে বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ওই অধ্যাপক।
৩ ঘণ্টা আগে
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, বাংলাদেশের সবাইকে নিয়ে যদি নির্বাচন হয়, আমি আমার গামছার দল নির্বাচন করব। আর যদি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাদ থাকে, শুধু বিএনপি, জামায়াত আর এনসিপি নিয়ে নির্বাচন হয় আমরা ভোটে যাব না।’
৭ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাটে শেখ মজিবর রহমান (৭০) নামের একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
১৮ মিনিট আগে
তানোরে ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সরু গর্ত দিয়ে মাটির গভীরে চলে যাওয়া শিশু সাজিদের বাঁচার আশা নেই। ৩৫ ফুটের পর মাটি জমে যাওয়ায় তার নিচে অক্সিজেন পাঠানোও সম্ভব নয়। তাই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
৩৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর তানোরে ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সরু গর্ত দিয়ে মাটির গভীরে চলে যাওয়া শিশু সাজিদের বাঁচার আশা নেই। ৩৫ ফুটের পর মাটি জমে যাওয়ায় তার নিচে অক্সিজেন পাঠানোও সম্ভব নয়। তাই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
গতকাল বুধবার উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ওই গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। এরপর বেলা ২টা ৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অভিযানে একে একে যোগ দেয় আটটি ইউনিট।
অভিযানের ২৭ ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, তাঁরা ক্যামেরা নামিয়ে দেখেছি ৩০ ফুটের পর মাটি ও খড় জমে গেছে। তাঁরা আসার আগেই স্থানীয়রা বাচ্চাটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তখন এসব ঢুকে যায়। তাঁরা ধারণা করেছিলেন, ৩০ ফুটের পর শিশুটিকে পাওয়া যাবে।
কিন্তু ৪২ ফুট পর্যন্ত মাটি খনন করে গিয়েও পাওয়া যায়নি। মাটি ও খড় আটকে থাকায় এ অবস্থায় অক্সিজেন পাঠিয়ে লাভ নেই। তাই অক্সিজেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শিশুটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনারা যা ধারণা করছেন, আমরাও সেটিই ধারণা করছি। এখন অলমাইটি আল্লাহ চাইলে সবকিছুই হতে পারে।’
লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তাঁরা জেনেছেন যে গর্তটি ৯০ ফুট গভীর করে খনন করা হয়েছিল। তাঁরা সে পর্যন্তই যেতে চান। এ জন্য ওই গর্তের পাশে তিনটি এক্সকাভেটর দিয়ে খনন করা হচ্ছে। তাঁরা ১০ ফুট পরপর সুড়ঙ্গ কেটে গর্তটি দেখবেন। এ ছাড়া ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও তাঁরা চেষ্টা করবেন। উদ্ধার না হওয়া অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

রাজশাহীর তানোরে ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সরু গর্ত দিয়ে মাটির গভীরে চলে যাওয়া শিশু সাজিদের বাঁচার আশা নেই। ৩৫ ফুটের পর মাটি জমে যাওয়ায় তার নিচে অক্সিজেন পাঠানোও সম্ভব নয়। তাই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
গতকাল বুধবার উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ওই গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। এরপর বেলা ২টা ৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অভিযানে একে একে যোগ দেয় আটটি ইউনিট।
অভিযানের ২৭ ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, তাঁরা ক্যামেরা নামিয়ে দেখেছি ৩০ ফুটের পর মাটি ও খড় জমে গেছে। তাঁরা আসার আগেই স্থানীয়রা বাচ্চাটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তখন এসব ঢুকে যায়। তাঁরা ধারণা করেছিলেন, ৩০ ফুটের পর শিশুটিকে পাওয়া যাবে।
কিন্তু ৪২ ফুট পর্যন্ত মাটি খনন করে গিয়েও পাওয়া যায়নি। মাটি ও খড় আটকে থাকায় এ অবস্থায় অক্সিজেন পাঠিয়ে লাভ নেই। তাই অক্সিজেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শিশুটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনারা যা ধারণা করছেন, আমরাও সেটিই ধারণা করছি। এখন অলমাইটি আল্লাহ চাইলে সবকিছুই হতে পারে।’
লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তাঁরা জেনেছেন যে গর্তটি ৯০ ফুট গভীর করে খনন করা হয়েছিল। তাঁরা সে পর্যন্তই যেতে চান। এ জন্য ওই গর্তের পাশে তিনটি এক্সকাভেটর দিয়ে খনন করা হচ্ছে। তাঁরা ১০ ফুট পরপর সুড়ঙ্গ কেটে গর্তটি দেখবেন। এ ছাড়া ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও তাঁরা চেষ্টা করবেন। উদ্ধার না হওয়া অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনকে ধাওয়া দিয়েছেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের। এ সময় তাঁদের মধ্য ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। পরে ধাওয়া খেয়ে বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ওই অধ্যাপক।
৩ ঘণ্টা আগে
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, বাংলাদেশের সবাইকে নিয়ে যদি নির্বাচন হয়, আমি আমার গামছার দল নির্বাচন করব। আর যদি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাদ থাকে, শুধু বিএনপি, জামায়াত আর এনসিপি নিয়ে নির্বাচন হয় আমরা ভোটে যাব না।’
৭ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ফকিরহাটে শেখ মজিবর রহমান (৭০) নামের একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
১৮ মিনিট আগে
খুলনা নগরীর একটি বাসা থেকে শিউলী বেগম (৪৫) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, মাথায় আঘাত এবং বালিশচাপা দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। শিউলী বেগমের স্বজনদের অভিযোগ, বিদেশ থেকে ফেরা ওই নারীর প্রায় ৬ লাখ টাকা কেড়ে নেওয়ার জন্য তাঁর একমাত্র ছেলে রিয়াদ মাকে হত্যা করেন।
২৭ মিনিট আগে