Ajker Patrika

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০৮: ২৯
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পটিয়ার বাসিন্দা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। শিক্ষাগত যোগ্যতার যে জাল সনদের কারণে তাঁর ব্যাংকের চাকরি গিয়েছিল, তা ব্যবহার করেই তিনি স্থানীয় আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতির পদ বাগিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় ২০২৩ সালে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসভিপি) জাহাঙ্গীরকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর আগে তিনি বিভিন্ন ব্যাংক মিলিয়ে ২০ বছর চাকরি করেন। চলতি বছরের এপ্রিলে তাঁকে বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেয় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতে হলে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো ফাইলে জাহাঙ্গীরের শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করা হয়েছে এমবিএম (মাস্টার্স অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট)। এর পক্ষে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাংয়ের (ইউএসটিসি) সনদ জমা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ওমর গণি এমইএস কলেজ থেকে বিএ (পাস), বারইয়াহাট কলেজ থেকে এইচএসসি ও আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাসের সনদ জমা করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জাহাঙ্গীর ১৯৯৬ সালে পটিয়া সরকারি কলেজ থেকে (মানবিক বিভাগ) এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হন। একই সালে তিনি বারইয়াহাট কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের যে সনদটি বোর্ডে জমা দিয়েছেন, সেটি জাল বলে ২০২৩ সালেই শিক্ষা বোর্ড আল-আরাফাহ্‌ ব্যাংককে নিশ্চিত করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক তাঁকে চাকরিচ্যুত করে। এ ছাড়া ইউএসটিসি থেকে ২০১৬ সালে এমবিএম ডিগ্রি নেওয়ার যে সনদ দেখানো হচ্ছে, সেটিও জাল। কারণ ইউএসটিসিতে ডিপার্টমেন্ট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধীনে এ নামে কোনো ডিগ্রি নেই বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট একজন শিক্ষক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আল-আরাফাহ্‌ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘২০২৩ সালের দিকে আমরা জানতে পারি, জাহাঙ্গীর আলম যে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দিয়ে চাকরি করছেন, তা জাল। এরপর ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর তাঁকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।’

জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আল-আরাফাহ্‌ ব্যাংক কারওয়ান বাজার শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় এক আওয়ামী লীগ নেতা বড় অঙ্কের ঋণ চেয়েছিলেন। নিয়মবহির্ভূতভাবে ওই ঋণ প্রদানে আমি সম্মত না হওয়ায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আমাকে চাকরিচ্যুত করে। তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের কিছু লোক এখনো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।’

জাহাঙ্গীরের বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘স্কুলের সভাপতি মনোনয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক তিনজন ব্যক্তির একটি প্যানেল কাগজপত্রসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠান। প্যানেল নিয়ে কোনো অভিযোগ না থাকলে তা শিক্ষা বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়। শিক্ষা বোর্ড পরবর্তী সময়ে সভাপতি মনোনয়ন দিয়ে থাকে। সার্টিফিকেট নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে তা আমাদের অবহিত করা হলে সেটা শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করা যাবে।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক হয়ে মনোনীত ফাইলটি শিক্ষা বোর্ডে আসে। কোনো অভিযোগ না থাকলে শিক্ষা বোর্ড কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। এতগুলো ধাপ পার হয়ে আসার পর কেউ জাল সনদ জমা দিয়েছেন কি না, তা আর দেখা হয় না। তবে অভিযোগের সত্যতা পেলে কমিটির পদ বাতিল করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত