Ajker Patrika

৩ মাস পর সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, প্রস্তুত জেলে ও বনজীবীরা

খুলনা প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আগামীকাল সোমবার সুন্দরবন মৎস্যজীবী, বনজীবী ও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে। এ দিন সকাল থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন মৎস্যজীবী ও বনজীবীরা। এ ছাড়া দেশি ও বিদেশি পর্যটকেরাও যেন স্বাচ্ছন্দ্যে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারেন, সে জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগ।

এর মধ্যে ১১টি পর্যটনকেন্দ্র ও অভয়ারণ্য এলাকাগুলোয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বন বিভাগ। তিন মাস পর সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারার খবরে উচ্ছ্বসিত মৎস্যজীবী ও বনজীবীরা।

জানা গেছে, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং বন্য প্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় জুন থেকে আগস্টের শেষপর্যন্ত সুন্দরবনে জেলে ও পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ রাখে বন বিভাগ। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে ওই কার্যক্রম চলছে। তিন মাস বন্ধ থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর আবার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আজ রোববার দিবাগত রাত ১২টার পর এ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে।

জানতে চাইলে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, পর্যটক ও জেলেদের নিরাপত্তায় সুন্দরবনের প্রতিটি ক্যাম্প সতর্ক রয়েছে। এ ছাড়া ইকো ট্যুরিজম স্পটগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।

হাছানুর রহমান আরও বলেন, পর্যটকেরা বনে যাওয়ার সময় যেন প্লাস্টিকের পানির বোতল, একবার ব্যবহার হয়—এমন প্লাস্টিকের খাবারের পাত্র, কোমলপানীয় বহনের বোতল ও ক্যান নিয়ে যেতে না পারেন, সেদিকে নজর রাখা হবে। প্লাস্টিক বন্ধে এবার কঠোর অবস্থানে সুন্দরবন বন বিভাগ। বনের ভেতরে পানি ও স্থলভাগে যাতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক, পলিথিন ও অপচনশীল দ্রব ফেলতে না পারেন, সে জন্য সুন্দরবনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি কেউ প্লাস্টিকের এসব সামগ্রী বনের মধ্যে নিয়ে যান, তাহলে তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে। এমনকি জরিমানাও করা হবে।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের (টোয়াস) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিড বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবন খুলে দেওয়া হলেও তাতে পর্যটন ব্যবসায়ীদের তেমন একটি লাভ হবে না। কারণ, এখন পর্যটনের মৌসুম নয়। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সুন্দরবনে পর্যটনের মৌসুম। আমাদের অ্যাসোসিয়েশনে ৭০টি ট্যুরিস্ট লঞ্চ ও জাহাজ রয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য এ পর্যন্ত পাঁচটি লঞ্চ ট্যুরিস্টরা বুকিং দিয়ে রেখেছেন। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিদিন চার-পাঁচটি ট্যুরিস্ট লঞ্চ যাতায়াত করবে। এরপর ভ্রমণের মৌসুম পুরোপুরি শুরু হবে।’

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

এদিকে আজ সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনের সামনে বনজীবী জেলেদের নৌকাগুলো বেঁধে রাখা। আনুষ্ঠানিকভাবে বনজীবীদের হাতে মাছ ও কাঁকড়া আহরণের অনুমতিপত্র (পাস) দেওয়া হচ্ছে। জেলেরা কেউ মাছ ধরার জাল টেনে নৌকায় তুলছেন। নৌকার সামনের অংশে বরফ আর প্রয়োজনীয় বাজার-সদাই রেখে তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন সুন্দরবন যাত্রার। কেউ অনুমতিপত্র (পাস) না পেয়ে বন বিভাগের কার্যালয়ের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছেন।

এ সময় শরণখোলার পানিরঘাট এলাকার জেলে রুস্তম বয়াতী, বগী গ্রামের জেলে রিয়াদুল, রাজাপুর গ্রামের রফিকুলসহ কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, গত তিন মাস মাছ ধরতে না পেরে অর্থকষ্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে তাঁদের দিন কেটেছে। সংসার চালাতে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ও মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে সংসার চালাতে হয়েছে। এখন সুন্দরবনে যাওয়ার লক্ষ্যে নৌকা ও ট্রলারে জাল ও খাদ্যসামগ্রী বোঝাইসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সময়ের অপেক্ষা করছেন বলে তাঁরা জানান।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, পর্যটকদের বরণ করে নেওয়ার জন কটকা পর্যটনকেন্দ্র সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তিন মাস পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ থাকায় কটকা অভয়ারণ্যে হরিণ, বানরসহ বন্য প্রাণীর আনাগোনা বেড়েছে।

পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করীম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ সেপ্টেম্বর থেকে মৎস্যজীবী, বনজীবী ও পর্যটকেরা সুন্দরবনে যেতে পারবেন। পর্যটকদের বরণ করে নিতে সুন্দরবন বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে।

রেজাউল করীম চৌধুরী আরও বলেন, তিন মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময় বেকার জেলেদের খাদ্যসহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো জেলেদের একটি তালিকা সংশ্লিষ্ট মৎস্য দপ্তর যাচাই-বাছাই করেছে। আগামী বছর থেকে জেলেরা মৎস্য বিভাগ থেকে খাদ্যসহায়তা পাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দীপু দাসের হত্যাকারীদের শাস্তি না দিলে ভোট বর্জনের হুঁশিয়ারি হিন্দু মহাজোটের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে হিন্দু মহাজোট। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে হিন্দু মহাজোট। ছবি: আজকের পত্রিকা

ধর্ম অবমাননার অপবাদ দিয়ে দীপু চন্দ্র দাসকে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের নির্বাচনের আগে শাস্তি না দিলে ভোট বর্জনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদসহ সর্বক্ষেত্রে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিও করে তারা।

আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকায় গার্মেন্টস কর্মী দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে আহত করে দীর্ঘ তিন কিলোমিটার রাস্তায় টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার অমৃত মণ্ডল সম্রাটকে পিটিয়ে হত্যা, ঝিনাইদহে রিকশাচালক গোবিন্দ বিশ্বাসকে ‘র’-এর এজেন্ট ট্যাগ দিয়ে পিটিয়ে জখম, চট্টগ্রামের রাউজানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন এবং জমি দখল করা হচ্ছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এসব ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হিন্দু সম্প্রদায় আশা করেছিল, ফ্যাসিবাদের বিদায়ে তারা স্বস্তি পাবে, নির্যাতন হবে না। সব প্রকার বৈষম্য দূর হবে। কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের সে আশা নিরাশায় পরিণত হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায় এখন শান্তিতে নেই, বরং আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় জীবন যাপন করছে।

মহাজোটের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রতিভা বাকচী বলেন, প্রতিটি ঘটনায় সরকার নিশ্চুপ রয়েছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও নিশ্চুপ। সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি অনেকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। সরকারের কাছে দাবি, অবিলম্বে ওইসব মব সৃষ্টিকারী ও খুনিকে ভিডিও দেখে শনাক্ত করে প্রকাশ্যে ফাঁসি কার্যকর করা হোক। নির্বাচনের আগেই দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে খুনিদের বিচার হোক, যা দেখে অন্য মব সন্ত্রাসকারী কখনো যেন এই হত্যা ও লুণ্ঠন করার সাহস না পায়।

জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সজীব কুণ্ডু তপু বলেন, ‘বর্তমানে যদি মব সন্ত্রাস ও মৌলবাদ সন্ত্রাস ঠেকানো না যায়, তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। আশা করি, সামনে নির্বাচনের পর নতুন কোনো দল রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে মব সন্ত্রাস থামবে।’

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার পাল, মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, যুগ্ম মহাসচিব হেমন্ত দাস, দপ্তর সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পরেশ চৌধুরী, হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি মধু, সিনিয়র সহসভাপতি পলাশ সরকার, সাধারণ সম্পাদক সুজন গাইন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শ্রাবণী মিত্র, ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সজিব কুণ্ডু প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৩০০ ফুট থেকে ১৪৮ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ডিএনসিসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২১
৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

৩০০ ফুটে বিএনপির সমাবেশস্থল থেকে ১৪৮ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ শুক্রবার ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জোবায়ের হোসেনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।

৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

ডিএনসিসি জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ৩০০ ফুট এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে অনুষ্ঠানস্থল থেকে ১৪৮ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ডিএনসিসি।

ডিএনসিসি থেকে আরও জানানো হয়, গতকাল রাতে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ সকাল থেকে দ্রুততার সঙ্গে ৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করার নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী আজ সকাল থেকে ডিএনসিসির উদ্যোগে সমাবেশস্থলে সৃষ্ট বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে একটি বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ কার্যক্রমে ডিএনসিসির ৩৫০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী অংশ নেন বলে জানায় ডিএনসিসি।

৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে ১৪৮টি ট্রিপে সংগৃহীত বর্জ্য রাজধানীর আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে নিরাপদভাবে ডাম্পিং করা হয়। দুপুরের মধ্যে পুরো সমাবেশস্থল পরিষ্কার করে জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলাকালে সকাল ১০টা থেকে বিএনপির স্থানীয় কিছু নেতা-কর্মী স্বেচ্ছায় ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতাকাজে সহযোগিতা করেন বলে জানায় তারা।

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সকাল থেকে এই শীতের মধ্যে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ও বিএনপির যেসব নেতা-কর্মী পরিচ্ছন্নতাকাজে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণে আমরা এই শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারব।’

প্রশাসক আরও বলেন, ‘যেকোনো উৎসব বা বড় জনসমাগমের পর নগর প্রশাসনের সঙ্গে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক কর্মীরা যদি শহর পরিচ্ছন্নতার কাজে যুক্ত হন, তাহলে আমাদের শহরকে আরও বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা এবং নাগরিক সেবা প্রদান অনেক সহজ হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নদীর কিনারে ভেসে আসা কোরাল মাছ। ছবি: সংগৃহীত
নদীর কিনারে ভেসে আসা কোরাল মাছ। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ধরা পড়েছে ২৩ কেজি ওজনের এক কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজারে নিলামের মাধ্যমে ১৭ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কেজিপ্রতি ৭৫০ টাকায় কিনে নেন স্থানীয় এক মাছ ব্যাপারী।

শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের হরিক্ষিত বাজারসংলগ্ন মেঘনা নদীতে আনোয়ার হোসেন নামের এক জেলে মাছটি পান।

জানা গেছে, মেঘনা নদীতে ওই জেলে জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন। একপর্যায়ে নদীর কিনারেই কোরাল মাছটি দেখতে পেয়ে ধরে ফেলেন তিনি। পরে মাছটি স্থানীয় বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন।

জেলে আনোয়ার জানান, মাছটি জালে বাঁধেনি। নদীর কিনারে ভাসছিল। তিনি বলেন, ‘বিনা জালেই মাছটি ধরেছি। নদীতে ভাসতে থাকা এই বিশাল কোরাল মাছ পেয়েছি। এটা নিঃসন্দেহে আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তম রিজিক।’

আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই সিরাজ বলেন, ‘এত বড় মাছ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। দুই ভাই মিলে কোরাল মাছটি কাঁধে বহন করে বাজারে নিয়ে আসলে স্থানীয় মানুষ দেখে ভিড় করেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে মাজার ভাঙচুর করে মলমূত্র ছিটিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

ময়মনসিংহ, প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ১৬
ময়মনসিংহে গভীর রাতে মাজার ভাঙচুর। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহে গভীর রাতে মাজার ভাঙচুর। ছবি: আজকের পত্রিকা

শত বছরের পুরোনো ময়মনসিংহের গৌরীপুরে শাহজাহান উদ্দিন (রহ.) আউলিয়ার মাজারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুরের পর ভেতরে মলমূত্র ও গোবর ছিটিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাটি জানাজানি হলে আজ শুক্রবার ভোর থেকে মাজারে আসতে থাকেন লোকজন। তাঁরা মাজার ভাঙচুরের এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক আহম্মেদ বলেন, এই মাজার কত বছর আগের, তা বলা মুশকিল। এখানে প্রতিদিনই ভক্তরা এসে তাঁদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে চলে যান। এই অবস্থায় মাজার ভাঙচুর কোনোভাবেই ঠিক হয়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জুয়েল মিয়া জানান, খবর পেয়ে তিনি এসে দেখতে পেয়েছেন, মাজারের মূল অংশের বাউন্ডারি ভাঙচুর করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতের কোনো এক সময় কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না। এ বিষয় নিয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

মাজারের খাদেম মো. সাইদুর রহমান (৭০) বলেন, ‘প্রায় ৪০ বছর ধরে এই মাজারে আছি। কখনো এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। বাপ-দাদাদের কাছে জানতে পেরেছি, মোগল সম্রাটের আমলে এই মাজার এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবছর হাজার হাজার ভক্তকুল এখানে আসেন। মাজারে আক্রমণ মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।’

এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মাজারের একাংশের কিছু অংশ ভাঙচুর করা হয়েছে। পলিথিনে মলমূত্র ভরে মাজারে নিক্ষেপ করেছে। ওই মাজারে ৮ থেকে ১০ বছর ধরে কোনো ওরস হয় না। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত