Ajker Patrika

সচিবালয়ে থাকতে চান তাঁরা, তাই পদোন্নতিতে আপত্তি

  • যেকোনো দপ্তরে পদায়নের সুযোগে আপত্তি
  • বিদেশে পদায়ন বন্ধে বাধাও অনীহার কারণ
  • ‘এটি অসদাচরণ, বিভাগীয় মামলা হওয়া উচিত’
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১১: ২৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সচিবালয়ের বাইরেসহ সরকারের যেকোনো দপ্তরে পোস্টিং হওয়া এড়াতে অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (এও-পিও) পদোন্নতি নিতে চাইছেন না। বিদেশে পদায়নের সুযোগ হারানোও সাধারণত তাঁদের এ মনোভাবের কারণ। প্রবণতাটি এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি পদোন্নতি গ্রহণে আপত্তি করা কর্মকর্তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে অনুশাসন জারি করেছে। জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ পদোন্নতি না নিতে চাওয়ার আবেদনকে ‘অসদাচরণ’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এমন আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হওয়া উচিত।

সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা (এও-পিও) কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ক্যাডারবহির্ভূত উপসচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পান। কোনো কর্মকর্তা এসব পদ থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী সচিব হলে সরকারের যেকোনো দপ্তরে তাঁদের পদায়ন করা যায়। স্বরাষ্ট্র, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, বাণিজ্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি সরকারি দপ্তরের কর্মীদের বিদেশে বাংলাদেশ মিশন ও দূতাবাসে পোস্টিংয়ের সুযোগ আছে। কিন্তু সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেলে বিদেশের সেই পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ জন্যও অনেক এও-পিও পদোন্নতি নিতে চান না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের বেশ কয়েকজন এও-পিও পদোন্নতি নিতে চান না জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে আবেদনগুলো গ্রহণযোগ্য নয় জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য অনুশাসন জারি করেছে।

এক অফিস আদেশে সুরক্ষা সেবা বিভাগ বলেছে, কিছুসংখ্যক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সহকারী হিসেবে পদোন্নতির জন্য নাম আসা সত্ত্বেও অনীহা জানিয়ে আবেদন করেছেন। তাঁরা পদোন্নতি গ্রহণ না করার কারণে নিচের পর্যায়ে থাকা সুরক্ষা সেবা বিভাগের সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকদের পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ কমে যাচ্ছে। আদেশে বলা হয়, ‘...পদোন্নতির ধারা গতিশীল এবং দাপ্তরিক কার্যক্রমে অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে পদোন্নতিযোগ্য কর্মচারীদের পদোন্নতি না নেওয়ার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় মর্মে নির্দেশক্রমে অনুশাসন জারি করা হলো।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার লক্ষ্য থাকে পদোন্নতি পাওয়া। পদোন্নতি হলে নিজের সম্মানও বাড়ে। যাঁরা পদোন্নতি চাচ্ছেন না, তাঁদের অন্য উদ্দেশ্য আছে।’

এ বিষয়ে সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘কেউ পদোন্নতি নেবেন না এমন আবেদন করার আর কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সবার জন্য অনুশাসন জারি করা হয়েছে।’

এও-পিওদের অনীহার ইতিবৃত্ত

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আইনসচিব থাকার সময় সাবরেজিস্ট্রাররা পদোন্নতি নেবেন না বলে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রণালয়। এরপর ওই সাবরেজিস্ট্রাররা আবেদন প্রত্যাহার করেন। তার পর থেকে পদোন্নতি না নিতে আবেদনের প্রবণতা বেশ কমে যায়।

ক্যাডারবহির্ভূত সহকারী সচিবের পদ ফাঁকা হলেই জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী এও-পিওদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। এও-পিও পদে সাত বছর হলেই সহকারী সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যায়। তবে পদ কম থাকায় সহকারী সচিব হতে এও-পিওদের ১৬-১৭ বছর চাকরি করতে হচ্ছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে সহকারী সচিব অথবা সিনিয়র সহকারী সচিবের পদ সৃষ্টির সুযোগ রেখে কৌশলে সিনিয়র সহকারী সচিবের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে ক্যাডারবহির্ভূত সহকারী সচিবের পদ বাড়ছে না।

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গত ১৪ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ নিয়ে এক আবেদন করেছেন। এতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগে সৃষ্ট পদের এক-তৃতীয়াংশ ক্যাডারবহির্ভূতদের জন্য বরাদ্দ দিয়ে সহকারী সচিবের আরও ২২৪টি, সিনিয়র সহকারী সচিবের ৫৬টি, উপসচিবের ৫৯টি এবং যুগ্ম সচিবের ৩১টি পদ সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়েছে।

পদোন্নতির বিষয়ে অনীহা নিয়ে অভিমত জানতে চাইলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে পদোন্নতি দেওয়া হয় জনস্বার্থে, ব্যক্তির স্বার্থে না। যদি কেউ পদোন্নতি না নিতে চান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হওয়া উচিত। পদোন্নতি না নেওয়ার আবেদন জানানো মানে অসদাচরণ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কর্ণফুলীতে অস্ত্রসহ যুবক আটক

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।

আটক যুবক ওই এলাকার রাজ্জাক নুর প্রকাশ রজ্জক নুরের ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ১টি এলজি এবং ৩টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না’

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর, টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা নজরুল বেশ কিছুদিন ধরে তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নজরুলসহ ৯-১০ জন চর ফাতেমায় গিয়ে ফরিদ উদ্দিনের তরমুজের ২০ হাজার চারা নষ্ট করে দেন। ফরিদ উদ্দিন চারা নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না।’ পরে হত্যার হুমকি দিয়ে নজরুল চলে যান।

এরপর গতকাল রাত ১০টার দিকে নজরুল তাঁর দলবল নিয়ে ফরিদের ঘরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফরিদকে মারধর করেন তাঁরা। ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে এলে নজরুল তাঁর বাহিনী নিয়ে চলে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়।’ তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে চিনি না। তবে যাওয়ার সময় বলেছে, ‘‘চরে তোরে খাইয়া দিমু’’।’

প্রতিবেশী আলেয়া ও সাহিনুর বলেন, ‘রাত ১০টায় ঘর পেটানোর শব্দ পাই। আমরা দৌড়ে আসি ফরিদ হাওলাদারের ঘরের সামনে। দেখি ১০-১২ জন রাম দা নিয়া দাঁড়াইয়া আছে। তাদের হাতে রাম দা দেখে কেউই সামনে যাইনি। পরে আরও লোকজন আসলে নজরুল, আল আমিনসহ তারা সবাই চলে যায়। আমরা ঘরে গিয়ে দেখি, ফরিদ হাওলাদার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।’

তরমুজ চাষি ফরিদ হাওলাদার বলেন, ‘আমি রাতে আমার ঘেরের ঘরে শুয়ে ছিলাম। রাত ১০টায় আমার ঘরে পেটানোর শব্দ পেয়ে উঠে বসি। দেখি, নজরুল, আল আমিনসহ ৮-৯ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। আমাকে চৌকির ওপর শোয়াইয়া পিটায়, পাড়ায় এবং জবাই করার জন্য গলায় রাম দা রেখে বলে ‘‘টাকা কই? টাকা না দিলে জবাই করব।’’ পরে আমার ঘরের মালামাল ভাঙচুর করে, মালপত্র এলোমেলো করে ফেলে। আমার তোশকের নিচে রাখা দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। আমার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সবাই চলে যায়। আমি থানায় জানিয়েছি। আমি আইনের আশ্রয় নিব।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমি গতকাল চর ফাতেমায় গিয়াছিলাম। তবে দিনে তরমুজের চারা নষ্ট ও রাতে ফরিদের ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যা। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।’

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে দুপুরে অবহিত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কৃষকের ঘরে ১২ ফুট লম্বা গাঁজার গাছ, আটক

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।

পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।

এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জেলে

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত