Ajker Patrika

পুলিশ কমিশনারের অপসারণ দাবিতে ছাত্র-জনতার ঘেরাও কর্মসূচি শুরু

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার পুলিশ কমিশনারের অপসারণ দাবিতে ছাত্র-জনতার ঘেরাও কর্মসূচি শুরু। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনার পুলিশ কমিশনারের অপসারণ দাবিতে ছাত্র-জনতার ঘেরাও কর্মসূচি শুরু। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনার পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণ দাবিতে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করেছে ছাত্র-জনতা। আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে কেএমপির সদর দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি শুরু হয়।

প্রচণ্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে নগরীর খানজাহান আলী সড়ক ব্লক করে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ।

জানতে চাইলে সংগঠনের মুখপাত্র সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, ‘কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণের দাবিতে আজ কেএমপির সদর দপ্তর, ডিসি সাউথের সোনাডাঙ্গা ও ডিসি নর্থের খালিশপুর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ছিল।

আমরা তিন জায়গায় কর্মসূচি শুরু করার পর প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হলে সোনাডাঙ্গা ও খালিশপুর থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে নিয়ে আসি। আমাদের আজকের কর্মসূচি রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। এরপর ব্রিফিং করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

এদিকে বিক্ষোভ চলাকালে খানজাহান আলী সড়কের সুন্দরবন কলেজ থেকে রূপসা ট্রাফিক মোড় পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ‘সুকান্তের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘পুলিশ কমিশনারের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘পুলিশ কমিশনার জুলফিকার, আস্ত একটা স্বৈরাচার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার মামলার আসামি পুলিশের এসআই সুকান্তকে আটক করে খানজাহান আলী থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করে ছাত্র-জনতা। কিন্তু রাতেই থানা থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গত বুধ ও বৃহস্পতিবার কেএমপির সদর দপ্তর ঘেরাও করে পুলিশ কমিশনারসহ অন্য কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।

তাঁরা পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণ দাবি করেন। এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভকারীরা কর্মসূচি স্থগিত রেখে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। পরে আবার গত শনিবার থেকে ‘ব্লকেড কর্মসূচি’ শুরু হয়।

ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (একাংশ) মুখপাত্র সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি ফের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। কিন্তু তাঁদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আজ বিকেল থেকে বৃষ্টির মধ্যে কর্মসূচি পালন করছে ছাত্র-জনতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনল ডিএনসিসি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪১
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) গুলশানের নগর ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম শামসুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন। তাঁদের সামাজিক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের স্বাস্থ্যবিমা থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মোহাম্মদ এজাজ জানান, নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের প্রায় ৫ হাজার কর্মী ও মশকনিধন কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে কমডোর এ বি এম শামসুল আলম বলেন, গত এক বছরে ডিএনসিসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন উদ্যোগ হচ্ছে এই স্বাস্থ্যবিমা কার্যক্রম, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

স্বাস্থ্যবিমার আওতায় উপকারভোগীরা রাজধানীর ৪০০টির বেশি বেসরকারি ক্লিনিকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এ ছাড়া অসুস্থতা ও দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকিতে বিশেষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুবিধা পাবেন। কোনো কর্মী মৃত্যুবরণ করলে পরিবারকে এককালীন ৩০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।

বার্ষিক বিমা প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার কর্মীর প্রিমিয়াম বহন করছে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেকিট বাংলাদেশ (হারপিক) এবং অন্য ১ হাজার ৪৬৭ জনের ব্যয় দিচ্ছে ডিএনসিসি। চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের সহযোগিতায় এই বিমা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠান শেষে উপকারভোগী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবিমা কার্ড তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান; প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন; প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী; উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাজেদা ফাউন্ডেশন, মোহাম্মদ ফজলুল হক ও হেড অব মার্কেটিং, রেকিট বাংলাদেশ, সাবরিন মারুফ তিন্নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর বেলা ৩টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ-সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।

অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে যায়। এতে যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়ে। এ সময় অবরোধকারীরা ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ওসমান হাদি আমাদেরই ভাই। দিনের আলোয় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এখনো প্রধান খুনিসহ অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা আর কোনো আশ্বাস চাই না, আমরা জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃশ্যমান বিচার চাই। বিচার নিশ্চিতে প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ছাত্রসমাজ নিজেরাই রাজপথে দাঁড়িয়ে বিচার আদায় করবে।’

মহাসড়কে আটকে পড়া যাত্রী পটুয়াখালীর যাত্রী ইয়াসিন মল্লিক বলেন, ‘আমি ঢাকায় অসুস্থ মাকে দেখতে যাচ্ছিলাম। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাস দাঁড়িয়ে আছে। কষ্ট হচ্ছে। তবে ওসমান হাদি হত্যার বিচারও হওয়া দরকার।’

বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মহাসড়কে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী    
উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র‍্যাব। গতকাল শনিবার গভীর রাতে র‍্যাব-৫-এর রাজশাহী সদর কোম্পানির একটি দল জেলার তানোর উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালায়। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি খালি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১২টি শটগানের গুলি, চারটি পাইপগান, ছয়টি চিকন পাইপসহ অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।

আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব এসব তথ্য জানায়। র‍্যাব জানায়, আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে চুনিয়াপাড়া গ্রামের এন্তাজ আলীর বসতবাড়ির পশ্চিম পাশে গোয়ালঘরের পেছনে রান্নার লাকড়ির নিচে, একই এলাকার আব্দুস সোবাহানের বসতবাড়ির উত্তর পাশে খড়ি রাখার ঘরে খড়ির নিচে এবং জয়নালের বসতবাড়ির উত্তর পাশে খড়ি রাখার ঘরে খড়ির নিচে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে এসব অস্ত্র উদ্ধার হয়।

উদ্ধার করা অস্ত্র সম্পর্কে স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাঁরা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে অস্ত্রগুলোর উৎস বা মালিকানা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে র‍্যাব জানিয়েছে। তাই একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে অস্ত্রগুলো তানোর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে র‍্যাব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দেবাশীষ চক্রবর্তী (৩৫) নামের মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার আঠারো মাইল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মধুসূদন চক্রবর্তীর ছেলে। এ ঘটনায় চালক মো. আতিয়ার রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ডুমুরিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু বলেন, আজ সকালে মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমান আরোহীসহ তালা থেকে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। ৮টা ২০ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলটি ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল মোড়ে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস কাউন্টারের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়।

এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী গুরুতর আহত হলে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দুজনকে চিকিৎসার জন্য তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানকার চিকিৎসক দেবাশীষ চক্রবর্তীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমানকে চিকিৎসার জন্য ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মধুসূদন চক্রবর্তীর ছেলে। এ ঘটনায় চালক মো. আতিয়ার রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ডুমুরিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু বলেন, আজ সকালে মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমান আরোহীসহ তালা থেকে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। ৮টা ২০ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলটি ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল মোড়ে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস কাউন্টারের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়।

এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী গুরুতর আহত হলে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দুজনকে চিকিৎসার জন্য তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানকার চিকিৎসক দেবাশীষ চক্রবর্তীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমানকে চিকিৎসার জন্য ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত