ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র নিমতলা মোড়সংলগ্ন চারতলা বিশাল ‘এল’ আকৃতির ভবনটি একসময় মানুষের পদচারণে সরগরম ছিল। সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের টানা আটবারের সংসদ সদস্য মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মালিকানাধীন এই ভবনটি ‘মন্ত্রী মার্কেট’ নামে পরিচিত। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে জমজমাট থাকত মার্কেটটি। তবে এখন সেই দৃশ্য আর নেই।
প্রায় এক যুগ আগে নির্মিত মন্ত্রী মার্কেটটি অল্প সময়েই শহরের অন্যতম জনপ্রিয় বিপণিকেন্দ্রে পরিণত হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুরের শিকার হয় ভবনটির সামনের অংশ। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মৃত্যুর পর মার্কেটটি কার্যত প্রাণহীন হয়ে পড়ে।
সরেজমিন দেখা গেছে, একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্ত্রী মার্কেটের নিচতলায় রয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও গ্যারেজ, দ্বিতীয় তলায় মার্কেট, তৃতীয় তলায় অগ্রণী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও আয়কর অফিস এবং চতুর্থ তলায় মন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবন। বর্তমানে নিচতলার দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ। দ্বিতীয় তলায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ। তৃতীয় তলার ব্যাংক ও আয়কর অফিসগুলোতে ‘শিগগিরই স্থান পরিবর্তন’ লেখা ব্যানার ঝুলছে। চতুর্থ তলার বাসভবনও জনশূন্য।
দ্বিতীয় তলায় ১৫ বাই ১০ ফুট আয়তনের ১৮টি দোকানঘর রয়েছে। একসময় সেখানে বেশির ভাগই গার্মেন্টসের দোকান ছিল। বর্তমানে ইলেকট্রনিকস, কম্পিউটার অ্যাকসেসরিজ, জুয়েলারি, বেকারি ও ফটোকপির কয়েকটি দোকান টিকে আছে। মার্কেট চালুর সময় দোকানপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নেওয়া হতো সিকিউরিটি বাবদ আর মাসিক চার হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। ৫ আগস্টের পর ভাড়া কমিয়ে তিন হাজার টাকা করা হলেও এক বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়ার নিয়ম ছিল।
ব্যবসায়ীরা জানান, কেউ সিকিউরিটির টাকা ফেরতের অপেক্ষায় আছেন, কেউ আবার কয়েক মাসের ভাড়া না দিয়ে সিকিউরিটির টাকার সঙ্গে সমন্বয় করে চলে গেছেন। প্রায় এক বছর ধরে ব্যবসার সুদিন ফেরার আশায় অপেক্ষা করেও অনেকে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রী মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকান ফাঁকা। কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই। নিচতলায় খোলা থাকা চার-পাঁচটি দোকানের অবস্থাও নাজুক।

মন্ত্রী মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ‘এক্সপোর্ট কালেকশন’-এর রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘৫ আগস্টের পর নিরাপত্তাহীনতার কারণে এই মার্কেটটি প্রায় অচল হয়ে গেছে। ক্রেতা আসে না। ব্যবসায়ীরা ছয় মাস বা এক বছর অপেক্ষা করে পুঁজি হারিয়ে চলে যাচ্ছে।’
কম্পিউটার হ্যাভেনের মালিক সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এই মার্কেট এখন পরিত্যক্ত। আগের মতো লোকজন আসে না। গার্মেন্টসের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে চলে গেছেন। আমরা কয়েকজন কোনো রকমে টিকে আছি।’
গালিব গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী হেলাল শাহ বলেন, ‘আমি প্রায় চার বছর এখানে ব্যবসা করেছি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর ক্রেতা কমে যায়। ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। আমার মতো আরও অনেক ব্যবসায়ী অন্যত্র চলে গেছেন।’
মন্ত্রী মার্কেটের তত্ত্বাবধায়ক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী ও ব্যাংক চলে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ নতুন করে আসছেন। এখন সিকিউরিটি মানি নেওয়া হয় না। এক বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়া হয়।’
মন্ত্রী মার্কেট ভবনে অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংক ফুলবাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক মকছেদ আলী বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক নেতাদের ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরাও শাখা স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকিটে দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসন থেকে টানা আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা-বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ফুলবাড়ী দোকান ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক এম এ কাইয়ুম বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের প্রভাব ব্যবসায়ও পড়েছে। মন্ত্রী মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অন্যত্র ব্যবসা করতে চাইলে বা কোনো সমস্যায় পড়লে সমিতি তাদের পাশে থাকবে।’

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র নিমতলা মোড়সংলগ্ন চারতলা বিশাল ‘এল’ আকৃতির ভবনটি একসময় মানুষের পদচারণে সরগরম ছিল। সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের টানা আটবারের সংসদ সদস্য মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মালিকানাধীন এই ভবনটি ‘মন্ত্রী মার্কেট’ নামে পরিচিত। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে জমজমাট থাকত মার্কেটটি। তবে এখন সেই দৃশ্য আর নেই।
প্রায় এক যুগ আগে নির্মিত মন্ত্রী মার্কেটটি অল্প সময়েই শহরের অন্যতম জনপ্রিয় বিপণিকেন্দ্রে পরিণত হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুরের শিকার হয় ভবনটির সামনের অংশ। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মৃত্যুর পর মার্কেটটি কার্যত প্রাণহীন হয়ে পড়ে।
সরেজমিন দেখা গেছে, একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্ত্রী মার্কেটের নিচতলায় রয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও গ্যারেজ, দ্বিতীয় তলায় মার্কেট, তৃতীয় তলায় অগ্রণী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও আয়কর অফিস এবং চতুর্থ তলায় মন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবন। বর্তমানে নিচতলার দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ। দ্বিতীয় তলায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ। তৃতীয় তলার ব্যাংক ও আয়কর অফিসগুলোতে ‘শিগগিরই স্থান পরিবর্তন’ লেখা ব্যানার ঝুলছে। চতুর্থ তলার বাসভবনও জনশূন্য।
দ্বিতীয় তলায় ১৫ বাই ১০ ফুট আয়তনের ১৮টি দোকানঘর রয়েছে। একসময় সেখানে বেশির ভাগই গার্মেন্টসের দোকান ছিল। বর্তমানে ইলেকট্রনিকস, কম্পিউটার অ্যাকসেসরিজ, জুয়েলারি, বেকারি ও ফটোকপির কয়েকটি দোকান টিকে আছে। মার্কেট চালুর সময় দোকানপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নেওয়া হতো সিকিউরিটি বাবদ আর মাসিক চার হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। ৫ আগস্টের পর ভাড়া কমিয়ে তিন হাজার টাকা করা হলেও এক বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়ার নিয়ম ছিল।
ব্যবসায়ীরা জানান, কেউ সিকিউরিটির টাকা ফেরতের অপেক্ষায় আছেন, কেউ আবার কয়েক মাসের ভাড়া না দিয়ে সিকিউরিটির টাকার সঙ্গে সমন্বয় করে চলে গেছেন। প্রায় এক বছর ধরে ব্যবসার সুদিন ফেরার আশায় অপেক্ষা করেও অনেকে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রী মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকান ফাঁকা। কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই। নিচতলায় খোলা থাকা চার-পাঁচটি দোকানের অবস্থাও নাজুক।

মন্ত্রী মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ‘এক্সপোর্ট কালেকশন’-এর রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘৫ আগস্টের পর নিরাপত্তাহীনতার কারণে এই মার্কেটটি প্রায় অচল হয়ে গেছে। ক্রেতা আসে না। ব্যবসায়ীরা ছয় মাস বা এক বছর অপেক্ষা করে পুঁজি হারিয়ে চলে যাচ্ছে।’
কম্পিউটার হ্যাভেনের মালিক সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এই মার্কেট এখন পরিত্যক্ত। আগের মতো লোকজন আসে না। গার্মেন্টসের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে চলে গেছেন। আমরা কয়েকজন কোনো রকমে টিকে আছি।’
গালিব গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী হেলাল শাহ বলেন, ‘আমি প্রায় চার বছর এখানে ব্যবসা করেছি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর ক্রেতা কমে যায়। ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। আমার মতো আরও অনেক ব্যবসায়ী অন্যত্র চলে গেছেন।’
মন্ত্রী মার্কেটের তত্ত্বাবধায়ক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী ও ব্যাংক চলে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ নতুন করে আসছেন। এখন সিকিউরিটি মানি নেওয়া হয় না। এক বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়া হয়।’
মন্ত্রী মার্কেট ভবনে অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংক ফুলবাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক মকছেদ আলী বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক নেতাদের ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরাও শাখা স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকিটে দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসন থেকে টানা আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা-বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ফুলবাড়ী দোকান ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক এম এ কাইয়ুম বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের প্রভাব ব্যবসায়ও পড়েছে। মন্ত্রী মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অন্যত্র ব্যবসা করতে চাইলে বা কোনো সমস্যায় পড়লে সমিতি তাদের পাশে থাকবে।’
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র নিমতলা মোড়সংলগ্ন চারতলা বিশাল ‘এল’ আকৃতির ভবনটি একসময় মানুষের পদচারণে সরগরম ছিল। সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের টানা আটবারের সংসদ সদস্য মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মালিকানাধীন এই ভবনটি ‘মন্ত্রী মার্কেট’ নামে পরিচিত। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে জমজমাট থাকত মার্কেটটি। তবে এখন সেই দৃশ্য আর নেই।
প্রায় এক যুগ আগে নির্মিত মন্ত্রী মার্কেটটি অল্প সময়েই শহরের অন্যতম জনপ্রিয় বিপণিকেন্দ্রে পরিণত হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুরের শিকার হয় ভবনটির সামনের অংশ। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মৃত্যুর পর মার্কেটটি কার্যত প্রাণহীন হয়ে পড়ে।
সরেজমিন দেখা গেছে, একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্ত্রী মার্কেটের নিচতলায় রয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও গ্যারেজ, দ্বিতীয় তলায় মার্কেট, তৃতীয় তলায় অগ্রণী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও আয়কর অফিস এবং চতুর্থ তলায় মন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবন। বর্তমানে নিচতলার দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ। দ্বিতীয় তলায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ। তৃতীয় তলার ব্যাংক ও আয়কর অফিসগুলোতে ‘শিগগিরই স্থান পরিবর্তন’ লেখা ব্যানার ঝুলছে। চতুর্থ তলার বাসভবনও জনশূন্য।
দ্বিতীয় তলায় ১৫ বাই ১০ ফুট আয়তনের ১৮টি দোকানঘর রয়েছে। একসময় সেখানে বেশির ভাগই গার্মেন্টসের দোকান ছিল। বর্তমানে ইলেকট্রনিকস, কম্পিউটার অ্যাকসেসরিজ, জুয়েলারি, বেকারি ও ফটোকপির কয়েকটি দোকান টিকে আছে। মার্কেট চালুর সময় দোকানপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নেওয়া হতো সিকিউরিটি বাবদ আর মাসিক চার হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। ৫ আগস্টের পর ভাড়া কমিয়ে তিন হাজার টাকা করা হলেও এক বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়ার নিয়ম ছিল।
ব্যবসায়ীরা জানান, কেউ সিকিউরিটির টাকা ফেরতের অপেক্ষায় আছেন, কেউ আবার কয়েক মাসের ভাড়া না দিয়ে সিকিউরিটির টাকার সঙ্গে সমন্বয় করে চলে গেছেন। প্রায় এক বছর ধরে ব্যবসার সুদিন ফেরার আশায় অপেক্ষা করেও অনেকে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রী মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকান ফাঁকা। কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই। নিচতলায় খোলা থাকা চার-পাঁচটি দোকানের অবস্থাও নাজুক।

মন্ত্রী মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ‘এক্সপোর্ট কালেকশন’-এর রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘৫ আগস্টের পর নিরাপত্তাহীনতার কারণে এই মার্কেটটি প্রায় অচল হয়ে গেছে। ক্রেতা আসে না। ব্যবসায়ীরা ছয় মাস বা এক বছর অপেক্ষা করে পুঁজি হারিয়ে চলে যাচ্ছে।’
কম্পিউটার হ্যাভেনের মালিক সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এই মার্কেট এখন পরিত্যক্ত। আগের মতো লোকজন আসে না। গার্মেন্টসের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে চলে গেছেন। আমরা কয়েকজন কোনো রকমে টিকে আছি।’
গালিব গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী হেলাল শাহ বলেন, ‘আমি প্রায় চার বছর এখানে ব্যবসা করেছি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর ক্রেতা কমে যায়। ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। আমার মতো আরও অনেক ব্যবসায়ী অন্যত্র চলে গেছেন।’
মন্ত্রী মার্কেটের তত্ত্বাবধায়ক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী ও ব্যাংক চলে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ নতুন করে আসছেন। এখন সিকিউরিটি মানি নেওয়া হয় না। এক বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়া হয়।’
মন্ত্রী মার্কেট ভবনে অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংক ফুলবাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক মকছেদ আলী বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক নেতাদের ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরাও শাখা স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকিটে দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসন থেকে টানা আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা-বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ফুলবাড়ী দোকান ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক এম এ কাইয়ুম বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের প্রভাব ব্যবসায়ও পড়েছে। মন্ত্রী মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অন্যত্র ব্যবসা করতে চাইলে বা কোনো সমস্যায় পড়লে সমিতি তাদের পাশে থাকবে।’

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র নিমতলা মোড়সংলগ্ন চারতলা বিশাল ‘এল’ আকৃতির ভবনটি একসময় মানুষের পদচারণে সরগরম ছিল। সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের টানা আটবারের সংসদ সদস্য মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মালিকানাধীন এই ভবনটি ‘মন্ত্রী মার্কেট’ নামে পরিচিত। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে জমজমাট থাকত মার্কেটটি। তবে এখন সেই দৃশ্য আর নেই।
প্রায় এক যুগ আগে নির্মিত মন্ত্রী মার্কেটটি অল্প সময়েই শহরের অন্যতম জনপ্রিয় বিপণিকেন্দ্রে পরিণত হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুরের শিকার হয় ভবনটির সামনের অংশ। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মৃত্যুর পর মার্কেটটি কার্যত প্রাণহীন হয়ে পড়ে।
সরেজমিন দেখা গেছে, একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্ত্রী মার্কেটের নিচতলায় রয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও গ্যারেজ, দ্বিতীয় তলায় মার্কেট, তৃতীয় তলায় অগ্রণী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও আয়কর অফিস এবং চতুর্থ তলায় মন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবন। বর্তমানে নিচতলার দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ। দ্বিতীয় তলায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ। তৃতীয় তলার ব্যাংক ও আয়কর অফিসগুলোতে ‘শিগগিরই স্থান পরিবর্তন’ লেখা ব্যানার ঝুলছে। চতুর্থ তলার বাসভবনও জনশূন্য।
দ্বিতীয় তলায় ১৫ বাই ১০ ফুট আয়তনের ১৮টি দোকানঘর রয়েছে। একসময় সেখানে বেশির ভাগই গার্মেন্টসের দোকান ছিল। বর্তমানে ইলেকট্রনিকস, কম্পিউটার অ্যাকসেসরিজ, জুয়েলারি, বেকারি ও ফটোকপির কয়েকটি দোকান টিকে আছে। মার্কেট চালুর সময় দোকানপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নেওয়া হতো সিকিউরিটি বাবদ আর মাসিক চার হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। ৫ আগস্টের পর ভাড়া কমিয়ে তিন হাজার টাকা করা হলেও এক বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়ার নিয়ম ছিল।
ব্যবসায়ীরা জানান, কেউ সিকিউরিটির টাকা ফেরতের অপেক্ষায় আছেন, কেউ আবার কয়েক মাসের ভাড়া না দিয়ে সিকিউরিটির টাকার সঙ্গে সমন্বয় করে চলে গেছেন। প্রায় এক বছর ধরে ব্যবসার সুদিন ফেরার আশায় অপেক্ষা করেও অনেকে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রী মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকান ফাঁকা। কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই। নিচতলায় খোলা থাকা চার-পাঁচটি দোকানের অবস্থাও নাজুক।

মন্ত্রী মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ‘এক্সপোর্ট কালেকশন’-এর রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘৫ আগস্টের পর নিরাপত্তাহীনতার কারণে এই মার্কেটটি প্রায় অচল হয়ে গেছে। ক্রেতা আসে না। ব্যবসায়ীরা ছয় মাস বা এক বছর অপেক্ষা করে পুঁজি হারিয়ে চলে যাচ্ছে।’
কম্পিউটার হ্যাভেনের মালিক সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এই মার্কেট এখন পরিত্যক্ত। আগের মতো লোকজন আসে না। গার্মেন্টসের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে চলে গেছেন। আমরা কয়েকজন কোনো রকমে টিকে আছি।’
গালিব গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী হেলাল শাহ বলেন, ‘আমি প্রায় চার বছর এখানে ব্যবসা করেছি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর ক্রেতা কমে যায়। ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। আমার মতো আরও অনেক ব্যবসায়ী অন্যত্র চলে গেছেন।’
মন্ত্রী মার্কেটের তত্ত্বাবধায়ক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী ও ব্যাংক চলে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ নতুন করে আসছেন। এখন সিকিউরিটি মানি নেওয়া হয় না। এক বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়া হয়।’
মন্ত্রী মার্কেট ভবনে অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংক ফুলবাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক মকছেদ আলী বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক নেতাদের ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরাও শাখা স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকিটে দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসন থেকে টানা আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা-বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ফুলবাড়ী দোকান ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক এম এ কাইয়ুম বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের প্রভাব ব্যবসায়ও পড়েছে। মন্ত্রী মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অন্যত্র ব্যবসা করতে চাইলে বা কোনো সমস্যায় পড়লে সমিতি তাদের পাশে থাকবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের প্রতীকী ঘৃণাস্তম্ভ অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিবিরের নেতারা বাধা দিয়েছে এবং জগন্নাথ হলে একটি প্রতিকৃত স্থাপন করা হয়েছিল আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের। এই প্রতিকৃতি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগ মুছে দিয়েছে।
২ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মাহাবুব আলম নামের এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বড় ভাইয়ের স্ত্রী সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সঙ্গে নিজের ছেলেকে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ছেলে দেখিয়ে ভুয়া ওয়ারিশনামাও সংগ্রহ করেছেন তিনি।
২১ মিনিট আগে
আবাসন বৃত্তি নীতিমালার পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্ট’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে...
৩৭ মিনিট আগে
যশোরের বেনাপোল বন্দরে ফেলে পালিয়ে যাওয়া ভারতীয় ট্রাক আড়াই মাস পরে তল্লাশি করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময় ট্রাকটিতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আমদানিনিষিদ্ধ মেডিসিন, শাড়ি ও কসমেটিকস পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জব্দ করা পণ্যের বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা নিয়ে বক্তব্য দেওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্যের তাঁর পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
আজ সোমবার সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল ঘোষণা করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আপনারা দেখবেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের প্রতীকী ঘৃণাস্তম্ভ অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ বাধা দিয়েছেন এবং জগন্নাথ হলে একটি প্রতিকৃত স্থাপন করা হয়েছিল চিহ্নিত যারা আত্মস্বীকৃত রাজাকার, তাদের। এই প্রতিকৃতি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগ মুছে দিয়েছে।’
নাছির বলেন, ‘আপনি যদি দেখেন, বুদ্ধিজীবী দিবস বা বিজয় দিবস পালনের যে আবহ থাকে, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে সেই আবহ কিন্তু বাংলাদেশের বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধজীবী দিবস স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন হয়নি। বিজয় দিবস পালনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যে স্বতঃস্ফূর্ততা, তা কিন্তু আমরা এখানে লক্ষ করছি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমরা দেখছি না।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চবির উপ-উপাচার্য যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর প্রতিবাদে ছাত্রদল গতকালই সেখানে মিছিল করেছে। আমরা মনে করি, উনার এই বক্তব্যের পরে এই পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। উনার বিরুদ্ধে অবশ্যই ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত।’
মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আগে নিশ্চিত পরাজয় জেনে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক–বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে পাক বাহিনী।
‘শুধু বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতেই পাক হানাদার বাহিনী এই কাজ করেছে। এটি হয়েছে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়, তা ইতিহাসের মাধ্যমে প্রমাণিত। আপনারা লক্ষ করবেন, গত কয়েক দিনের আলাপ-আলোচনায় তা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপ-উপাচার্য কীভাবে এমন একটি বক্তব্য দিয়ে থাকেন। আমরা শুনেছি, অতীতে তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করেছেন। জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। এটাই স্বাভাবিক যে, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির, তারা কখনো স্বাধীনতার স্পিরিটকে ধারণ করে নাই। তারা মুক্তিযুদ্ধের ঘোর বিরোধী ছিল।’
নাছির উদ্দীন আরও বলেন, ‘চবির উপ-উপাচার্য যে বক্তব্য দিয়েছেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ, তিনি এটা ধারণ করেন, জামায়াতে ইসলামীকে শুধু ধারণ করেন। বিগত পাঁচ দশকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেভাবে দিবসগুলো পালন করা হয়েছিল, এবার কিন্তু সেভাবে পালন করা হচ্ছে না।
‘এটির একটিই কারণ, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যাদের উপাচার্য, সহউপাচার্য অথবা রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিয়েছে, তারা একটি রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামের ম্যান্ডেটকে গ্রহণ করে। শুধু সেই ম্যান্ডেট অনুসারে তারা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে।’

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা নিয়ে বক্তব্য দেওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্যের তাঁর পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
আজ সোমবার সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল ঘোষণা করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আপনারা দেখবেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের প্রতীকী ঘৃণাস্তম্ভ অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ বাধা দিয়েছেন এবং জগন্নাথ হলে একটি প্রতিকৃত স্থাপন করা হয়েছিল চিহ্নিত যারা আত্মস্বীকৃত রাজাকার, তাদের। এই প্রতিকৃতি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগ মুছে দিয়েছে।’
নাছির বলেন, ‘আপনি যদি দেখেন, বুদ্ধিজীবী দিবস বা বিজয় দিবস পালনের যে আবহ থাকে, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে সেই আবহ কিন্তু বাংলাদেশের বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধজীবী দিবস স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন হয়নি। বিজয় দিবস পালনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যে স্বতঃস্ফূর্ততা, তা কিন্তু আমরা এখানে লক্ষ করছি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমরা দেখছি না।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চবির উপ-উপাচার্য যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর প্রতিবাদে ছাত্রদল গতকালই সেখানে মিছিল করেছে। আমরা মনে করি, উনার এই বক্তব্যের পরে এই পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। উনার বিরুদ্ধে অবশ্যই ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত।’
মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আগে নিশ্চিত পরাজয় জেনে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক–বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে পাক বাহিনী।
‘শুধু বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতেই পাক হানাদার বাহিনী এই কাজ করেছে। এটি হয়েছে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়, তা ইতিহাসের মাধ্যমে প্রমাণিত। আপনারা লক্ষ করবেন, গত কয়েক দিনের আলাপ-আলোচনায় তা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপ-উপাচার্য কীভাবে এমন একটি বক্তব্য দিয়ে থাকেন। আমরা শুনেছি, অতীতে তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করেছেন। জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। এটাই স্বাভাবিক যে, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির, তারা কখনো স্বাধীনতার স্পিরিটকে ধারণ করে নাই। তারা মুক্তিযুদ্ধের ঘোর বিরোধী ছিল।’
নাছির উদ্দীন আরও বলেন, ‘চবির উপ-উপাচার্য যে বক্তব্য দিয়েছেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ, তিনি এটা ধারণ করেন, জামায়াতে ইসলামীকে শুধু ধারণ করেন। বিগত পাঁচ দশকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেভাবে দিবসগুলো পালন করা হয়েছিল, এবার কিন্তু সেভাবে পালন করা হচ্ছে না।
‘এটির একটিই কারণ, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যাদের উপাচার্য, সহউপাচার্য অথবা রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিয়েছে, তারা একটি রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামের ম্যান্ডেটকে গ্রহণ করে। শুধু সেই ম্যান্ডেট অনুসারে তারা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে।’

একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মাহাবুব আলম নামের এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বড় ভাইয়ের স্ত্রী সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সঙ্গে নিজের ছেলেকে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ছেলে দেখিয়ে ভুয়া ওয়ারিশনামাও সংগ্রহ করেছেন তিনি।
২১ মিনিট আগে
আবাসন বৃত্তি নীতিমালার পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্ট’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে...
৩৭ মিনিট আগে
যশোরের বেনাপোল বন্দরে ফেলে পালিয়ে যাওয়া ভারতীয় ট্রাক আড়াই মাস পরে তল্লাশি করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময় ট্রাকটিতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আমদানিনিষিদ্ধ মেডিসিন, শাড়ি ও কসমেটিকস পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জব্দ করা পণ্যের বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা আগেপটিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মাহাবুব আলম নামের এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বড় ভাইয়ের স্ত্রী সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সঙ্গে নিজের ছেলেকে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ছেলে দেখিয়ে ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ সংগ্রহ করেছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ ভাতা বন্ধ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ বাতিল কিংবা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযুক্ত মাহাবুব আলম উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীমাই এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীমাই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ২০২১ সালে অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ছোট ভাই মাহাবুব আলম ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে নিজের স্ত্রী রাশু আক্তারকে বড় ভাই আবুল কালামের স্ত্রী হিসেবে দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন শুরু করেন। সে সঙ্গে তিনি নিজের ছেলে জিহাদুল আলমকে মৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দেখিয়ে ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ সংগ্রহ করেন। চলতি বছর শফি উদ্দীন নামের এক বাসিন্দা এলাকাবাসীর পক্ষে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে আত্মসাৎ করা সরকারি অর্থ ফেরত আনা এবং প্রতারণার দায়ে মাহাবুব আলম ও রাশু আক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।
পটিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেন ইউএনও। প্রাথমিক তদন্ত শেষে তিনি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ইউএনওর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউএনও ফারহানুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি তাদের এখতিয়ার।
অভিযোগকারী শফি উদ্দীন বলেন, ভাতা বন্ধ হওয়াটা স্বস্তির হলেও এখন পর্যন্ত প্রতারকদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ বাতিল না হওয়ায় তাঁরা এখনো পার পেয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মাহাবুব আলমের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মাহাবুব আলম নামের এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বড় ভাইয়ের স্ত্রী সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সঙ্গে নিজের ছেলেকে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ছেলে দেখিয়ে ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ সংগ্রহ করেছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ ভাতা বন্ধ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ বাতিল কিংবা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযুক্ত মাহাবুব আলম উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীমাই এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীমাই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ২০২১ সালে অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ছোট ভাই মাহাবুব আলম ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে নিজের স্ত্রী রাশু আক্তারকে বড় ভাই আবুল কালামের স্ত্রী হিসেবে দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন শুরু করেন। সে সঙ্গে তিনি নিজের ছেলে জিহাদুল আলমকে মৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দেখিয়ে ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ সংগ্রহ করেন। চলতি বছর শফি উদ্দীন নামের এক বাসিন্দা এলাকাবাসীর পক্ষে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে আত্মসাৎ করা সরকারি অর্থ ফেরত আনা এবং প্রতারণার দায়ে মাহাবুব আলম ও রাশু আক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।
পটিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেন ইউএনও। প্রাথমিক তদন্ত শেষে তিনি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ইউএনওর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউএনও ফারহানুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি তাদের এখতিয়ার।
অভিযোগকারী শফি উদ্দীন বলেন, ভাতা বন্ধ হওয়াটা স্বস্তির হলেও এখন পর্যন্ত প্রতারকদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ বাতিল না হওয়ায় তাঁরা এখনো পার পেয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মাহাবুব আলমের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের প্রতীকী ঘৃণাস্তম্ভ অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিবিরের নেতারা বাধা দিয়েছে এবং জগন্নাথ হলে একটি প্রতিকৃত স্থাপন করা হয়েছিল আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের। এই প্রতিকৃতি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগ মুছে দিয়েছে।
২ মিনিট আগে
আবাসন বৃত্তি নীতিমালার পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্ট’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে...
৩৭ মিনিট আগে
যশোরের বেনাপোল বন্দরে ফেলে পালিয়ে যাওয়া ভারতীয় ট্রাক আড়াই মাস পরে তল্লাশি করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময় ট্রাকটিতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আমদানিনিষিদ্ধ মেডিসিন, শাড়ি ও কসমেটিকস পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জব্দ করা পণ্যের বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

আবাসন বৃত্তি নীতিমালার পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্ট’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) আন্দোলনকারীরা ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে নানা স্লোগান দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নতুন আবাসন বৃত্তি নীতিমালায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রজেক্টে থাকা শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁরা আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না করে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ করার দাবি জানান।
বাংলা বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শফিক বলেন, ‘আমরা আস-সুন্নাহতে ফ্রিতে থাকি না, আমাদের কিছু নিদিষ্ট অর্থ দিতে হয়। আমাদের সিটটা অনিশ্চিত, যেকোনো সময় বের করে দিতে পারে। আমাদের বিশেষ বৃত্তি থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, তাই আমাদের এই আন্দোলন।’
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী বখতিয়ার ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের তিন দফা দাবি না মানলে আমরা এখান থেকে যাব না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই দাবি না মানা হবে, আমরা এখানেই অবস্থান করব।’
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিগুলো হলো— আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রজেক্টে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার্থীর ন্যায় আবাসন বৃত্তি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা; আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না করে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ রাখার লক্ষ্যে সিলেকশন মানদণ্ডে আরোপিত ৭০% উপস্থিতি ও সিজিপিএ-নির্ভর শর্ত বাতিল করা; রি-অ্যাডমিশনসংক্রান্ত শর্ত সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা।
এর আগে গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিশেষ বৃত্তি নীতিমালায় সংযোজিত অযৌক্তিক শর্তগুলোর সংশোধন ও পুনর্বিন্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন আস-সুন্নাহ প্রকল্পের শিক্ষার্থীরা। এরপর ১১ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে আজ ভিসি ভবন ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ৮ ডিসেম্বর ‘বিশেষ বৃত্তি নীতিমালা-২০২৫’ অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে নিয়মিত পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের (স্নাতক চারটি ও স্নাতকোত্তর একটি) শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য যোগ্য হবেন। বাছাইয়ের মূল মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে অসচ্ছলতা, মেধা, শ্রেণি-উপস্থিতি ও ফলাফল। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট পাওয়া, সচ্ছল পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় থাকা, শৃঙ্খলাভঙ্গ, পুনর্ভর্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অযোগ্য হবেন বলে জানানো হয় নীতিমালায়।

আবাসন বৃত্তি নীতিমালার পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্ট’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) আন্দোলনকারীরা ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে নানা স্লোগান দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নতুন আবাসন বৃত্তি নীতিমালায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রজেক্টে থাকা শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁরা আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না করে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ করার দাবি জানান।
বাংলা বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শফিক বলেন, ‘আমরা আস-সুন্নাহতে ফ্রিতে থাকি না, আমাদের কিছু নিদিষ্ট অর্থ দিতে হয়। আমাদের সিটটা অনিশ্চিত, যেকোনো সময় বের করে দিতে পারে। আমাদের বিশেষ বৃত্তি থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, তাই আমাদের এই আন্দোলন।’
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী বখতিয়ার ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের তিন দফা দাবি না মানলে আমরা এখান থেকে যাব না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই দাবি না মানা হবে, আমরা এখানেই অবস্থান করব।’
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিগুলো হলো— আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রজেক্টে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার্থীর ন্যায় আবাসন বৃত্তি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা; আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না করে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ রাখার লক্ষ্যে সিলেকশন মানদণ্ডে আরোপিত ৭০% উপস্থিতি ও সিজিপিএ-নির্ভর শর্ত বাতিল করা; রি-অ্যাডমিশনসংক্রান্ত শর্ত সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা।
এর আগে গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিশেষ বৃত্তি নীতিমালায় সংযোজিত অযৌক্তিক শর্তগুলোর সংশোধন ও পুনর্বিন্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন আস-সুন্নাহ প্রকল্পের শিক্ষার্থীরা। এরপর ১১ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে আজ ভিসি ভবন ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ৮ ডিসেম্বর ‘বিশেষ বৃত্তি নীতিমালা-২০২৫’ অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে নিয়মিত পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের (স্নাতক চারটি ও স্নাতকোত্তর একটি) শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য যোগ্য হবেন। বাছাইয়ের মূল মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে অসচ্ছলতা, মেধা, শ্রেণি-উপস্থিতি ও ফলাফল। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট পাওয়া, সচ্ছল পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় থাকা, শৃঙ্খলাভঙ্গ, পুনর্ভর্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অযোগ্য হবেন বলে জানানো হয় নীতিমালায়।

একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের প্রতীকী ঘৃণাস্তম্ভ অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিবিরের নেতারা বাধা দিয়েছে এবং জগন্নাথ হলে একটি প্রতিকৃত স্থাপন করা হয়েছিল আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের। এই প্রতিকৃতি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগ মুছে দিয়েছে।
২ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মাহাবুব আলম নামের এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বড় ভাইয়ের স্ত্রী সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সঙ্গে নিজের ছেলেকে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ছেলে দেখিয়ে ভুয়া ওয়ারিশনামাও সংগ্রহ করেছেন তিনি।
২১ মিনিট আগে
যশোরের বেনাপোল বন্দরে ফেলে পালিয়ে যাওয়া ভারতীয় ট্রাক আড়াই মাস পরে তল্লাশি করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময় ট্রাকটিতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আমদানিনিষিদ্ধ মেডিসিন, শাড়ি ও কসমেটিকস পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জব্দ করা পণ্যের বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা আগেবেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের বেনাপোল বন্দরে ফেলে যাওয়া ভারতীয় ট্রাক আড়াই মাস পরে তল্লাশি করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময় ট্রাকটিতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আমদানিনিষিদ্ধ মেডিসিন, শাড়ি ও কসমেটিকস পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জব্দ করা পণ্যের বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ট্রাকটির সিলগালা ভেঙে তল্লাশি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময় সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বন্দর কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে তারা ট্রাকটি থামতে বললে বেনাপোল বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালে ভারতীয় ট্রাকটি (নম্বর HR-3811248) ফেলে পালিয়ে যান চালক।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার সাকিবুর রহমান জানান, প্রাথমিক পরীক্ষণে গাড়ির ভেতর ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, শাড়ি, থ্রি-পিস ও বাজি (পটকা) পাওয়া গেছে।
অবৈধ পণ্যের চালানটি ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পণ্যটির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেনি। তবে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, অবৈধ পণ্যের চালানের মালিক আমদানিকারক রাইস ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল।
সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাস্টমসের এক শ্রেণি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বেড়েছে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি। অপরাধীরা পার পেয়ে যাওয়ায় কোনোভাবে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ পথে পণ্য পাচার। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।

যশোরের বেনাপোল বন্দরে ফেলে যাওয়া ভারতীয় ট্রাক আড়াই মাস পরে তল্লাশি করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময় ট্রাকটিতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আমদানিনিষিদ্ধ মেডিসিন, শাড়ি ও কসমেটিকস পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জব্দ করা পণ্যের বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ট্রাকটির সিলগালা ভেঙে তল্লাশি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময় সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বন্দর কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে তারা ট্রাকটি থামতে বললে বেনাপোল বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালে ভারতীয় ট্রাকটি (নম্বর HR-3811248) ফেলে পালিয়ে যান চালক।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার সাকিবুর রহমান জানান, প্রাথমিক পরীক্ষণে গাড়ির ভেতর ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, শাড়ি, থ্রি-পিস ও বাজি (পটকা) পাওয়া গেছে।
অবৈধ পণ্যের চালানটি ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পণ্যটির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেনি। তবে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, অবৈধ পণ্যের চালানের মালিক আমদানিকারক রাইস ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল।
সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাস্টমসের এক শ্রেণি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বেড়েছে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি। অপরাধীরা পার পেয়ে যাওয়ায় কোনোভাবে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ পথে পণ্য পাচার। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।

একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের প্রতীকী ঘৃণাস্তম্ভ অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিবিরের নেতারা বাধা দিয়েছে এবং জগন্নাথ হলে একটি প্রতিকৃত স্থাপন করা হয়েছিল আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের। এই প্রতিকৃতি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগ মুছে দিয়েছে।
২ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মাহাবুব আলম নামের এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বড় ভাইয়ের স্ত্রী সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সঙ্গে নিজের ছেলেকে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ছেলে দেখিয়ে ভুয়া ওয়ারিশনামাও সংগ্রহ করেছেন তিনি।
২১ মিনিট আগে
আবাসন বৃত্তি নীতিমালার পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্ট’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে...
৩৭ মিনিট আগে