Ajker Patrika

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন

আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২: ৪৫
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ বুধবার ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর, মাদারীপুর, সাতক্ষীরা, লক্ষ্মীপুর, মৌলভীবাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: 

চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফসহ জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে আজ বুধবার ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করা হয়। দরবার শরিফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাকীবিল্লাহ মিশকাত বলেন, ‘শুধু সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করে থাকি।’ আজ বুধবার সকাল ৯টায় সাদ্রা মাজার কমপ্লেক্স মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। এই নামাজে তিনিই ইমামতি করেন। 

বাকীবিল্লাহ মিশকাত আরও বলেন, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদ্‌যাপনের নিয়ম চালু করেন। 

সাদ্রা দরবার শরিফের পীর শাইখ আরীফ চৌধুরী বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৯টায় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ঈদগা ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত হয়। এই জামাতে তিনিই ইমামতি করেন। 

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শফিকুর রহমান বলেন, সমেশপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় মসজিদের ইমাম সেখানে ইমামতি করেন। ফরিদগঞ্জের টোরা মুন্সিরহাট জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়। তাতে ইমামতি করেন মাওলানা আকরাম হোসেন। 

যেসব গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হয়: হাজীগঞ্জের সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা; ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর; মতলব উপজেলার পাঁচানী, বাহেরচর পাঁচানী, আইটাদি পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি, লতুর্দী, সাতানী ও দক্ষিণ মাথাভাঙ্গা, আমিয়াপুর, মধ্য ইসলামবাদ, গাজীপুর, মধ্য এখলাছপুর (বড়ইকান্দি), ফরাজীকান্দি, রামদাশপুর, চরমাছুয়া, হাজিপুর, দক্ষিণ রামপুর এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রাম। 

মাদারীপুর: মাদারীপুরে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত পড়ান তাল্লুক গ্রামের মৌলভী বাড়ির মসজিদের ইমাম মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান। 

সুরেশ্বর দরবার শরিফের মুরিদ মো. ইকবাল সরদার, মোসলেম খাঁ, রকিব হাসান, আরিফসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রায় দেড় শ বছর ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা ও ঈদ উদ্‌যাপন করা হয়।

যেসব গ্রামে আজ ঈদের জামাত হয় সেগুলো হলো, মাদারীপুর সদরের চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা বাহেরচর, তাল্লুক, চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, দৌলতপুর, কালিকাপুর, হোসনাবাদ, রঘুরামপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ি; শিবচরের বাহেরচর; কালকিনির কেরানীরবাট, রমজানপুর, কয়ারিয়া, রামারপুল, সাহেবরামপুর, আণ্ডারচর, খাসেরহাটসহ জেলার প্রায় ৩০টি গ্রাম। 

মাদারীপুরের ৩০ গ্রামে ঈদের জামাত। ছবি: আজকের পত্রিকালক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারোঘরিয়া, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১০টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ আজ ঈদ উদ্‌যাপন করছে। 

সকাল ৮টায় রামগঞ্জ উপজেলার খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তাতে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এ ছাড়া এসব গ্রামের মুসল্লিরা নিজেদের ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন। 

মাওলানা ইসহাক (রহ.)-এর অনুসারী হিসেবে এসব এলাকার মানুষ পবিত্র মক্কা ও মদিনার সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। এসব গ্রামের মুসল্লিরা গত ৪৪ বছর ধরে এভাবে এক দিন আগে ঈদ উদ্‌যাপন করছে। 

খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতের ইমাম মাওলানা মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করছি। বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। পাশাপাশি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য এই রোজা। প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করা হয়।’ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের রাধানগর ও ৭৬ বিঘি গ্রামে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মোজাম্মেল হক। একই সময়ে রাধানগরেও ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়। এ সময় নিরাপত্তা দিতে সেখানে পুলিশ উপস্থিত ছিল।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের অনেক স্থানে রোজা ও ঈদের নামাজ আদায় করেন কিছু মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় শিবগঞ্জে এবারও ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করা হয়েছে। তবে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল একেবারে সামান্য।

মৌলভীবাজারে ঈদের জামাত। ছবি: আজকের পত্রিকাশিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিনোদপুর ইউনিয়নের দুটি গ্রামে আজ ঈদের জামাত হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে শান্তিপূর্ণভাবে দুই গ্রামে ঈদের জামাত সম্পন্ন হয়েছে।

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদরের ভাড়ুখালী পাঞ্জেগানা মসজিদে আজ সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা মাহবুবুর রহমান ঈদের জামাতে ইমামতি করেন। এ ছাড়া সাতক্ষীরা সদরের বাউকোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাতে ইমাম ছিলেন মাওলানা মহব্বত আলী। 

এ প্রসঙ্গে মাওলানা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা ঈদ করি। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনা যেহেতু আমরা মুহূর্তে জানতে পারি, তাই সৌদি আরবে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আমরা আজ ঈদ পালন করছি।’ 

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শতাধিক পরিবার আজ সকাল ৭টায় শহরের সার্কিট হাউস এলাকার একটি বাসায় ঈদের নামাজ আদায় করে। ঈদের নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত করা হয়। নামাজে ইমামতি করেন আব্দুল মাওফিক চৌধুরী (পীর সাহেব উজান্ডি)। 

ঈদের নামাজের ইমাম আব্দুল মাওফিক চৌধুরী বলেন, ‘কোরআন ও হাদিস অনুসারে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় চাঁদ দেখা গেলে রোজা ও ঈদ করতে হয়। সেই অনুসারে আমরা আজ ঈদের নামাজ আদায় করলাম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খাগড়াছড়ির ১ আসন

ভোটের মাঠে: জয়ের সমীকরণ পাল্টেদেবে পাহাড়ি ভোটার

  • স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরা হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে।
  • পাহাড়ি-বাঙালি উভয় জনগোষ্ঠীর মানুষ আমাকে সমর্থন দিয়েছে: বিএনপির প্রার্থী
নীরব চৌধুরী বিটন, খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সবুজ পাহাড়ের রাজনীতির হিসাবনিকাশ বুঝতে মূল রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক দলগুলোর ভোটের অঙ্ক কষতে হয় বিশ্লেষকদের। ভোটের সময় সেই অঙ্কে যুক্ত হয় পাহাড়ি-বাঙালি সমীকরণ। এবার জয়ের সমীকরণ পাল্টে দিতে পারে পাহাড়ি ভোটাররা।

২৯৮ নম্বর খাগড়াছড়ি আসনে বিএনপি, জামায়াত, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৬ জন। তাঁরা হলেন বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, জামায়াতের এয়াকুব আলী, ইসলামী আন্দোলনের মো. কাউসার, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের নুর ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সমীরণ দেওয়ান, সন্তোষিত চাকমা, লাব্রিচাই মারমা, ধর্ম জ্যোতি চাকমা, সোনা রতন চাকমা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিরুনা ত্রিপুরা, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা, খেলাফতে মজলিস মনোনীত আনোয়ার হোসাইন মিয়াজী, গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত দীনময় রোয়াজা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মনোনীত মো. মোস্তাফা, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি মনোনীত উশোপ্রু মারমা। এদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনজিলা সুলতানা ঝুমা।

জানা গেছে, বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি দল প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও বেশ কৌশলী এবং শক্তিশালী। কারণ পাহাড়ি ভোটার। স্থানীয় আঞ্চলিক দল ও আঞ্চলিকতার প্রশ্নে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটের বাক্সে বেশ এককাট্টা স্থানীয় ভোটাররা।

এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নির্বাচনের ব্যাপারে আগে নীরব থাকলেও এখন তারা অনেকটা সরব। পাহাড়ের আরেক শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি জেএসএস (এমএন লারমা) সরাসরি ভোটে না এলেও পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়ার কথা বলছে। ফলে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য জয়ে আশার বাতিঘরে কিছুটা হতাশাও বেশ প্রকাশ্যে। এ ছাড়া প্রার্থীর যোগ্যতা, ভোটারদের বিগত দিনের বিশ্লেষণ এবং হিসাবনিকাশে জয়ে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে পারে আশাবাদী দলগুলো।

আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার আগপর্যন্ত পাহাড়ের ভোটের যে সমীকরণ ছিল; এখন সেটা পাল্টে গেছে। কারণ আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনে না এলে ভোটের মাঠ অনেকটা বিএনপি ও জামায়াতের দখলেই থাকত। কিন্তু ইউপিডিএফ ও জেএসএসের নির্বাচনে থাকার ঘোষণা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন মাত্রা দিয়েছে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী নির্বাচন সরল-দ্বিমুখী লড়াইয়ের বদলে কোথাও কোথাও কঠিন-ত্রিমুখী লড়াইয়ে পরিণত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বিএনপি। যদিও আওয়ামী লীগহীন এই নির্বাচনে বিএনপি সারা দেশেই বড় জয়ের আশা করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ভোট কোন বাক্সে পড়বে, সেটিও দেখার পালা এবার।

পাল্টে যাওয়া সমীকরণ

এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য খাগড়াছড়িতে জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া প্রার্থী ঘোষণার আগ থেকেই গণসংযোগে রয়েছেন। প্রার্থিতা ও তফসিল ঘোষণার পর প্রচারে আরও সরব হয়ে উঠেছেন তিনি। ইউপিডিএফ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার আগপর্যন্ত এখানে ওয়াদুদ ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এয়াকুব আলীকে ধরা হলেও এখন সমীকরণ পাল্টে গেছে।

বিএনপির প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি আগেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণ আমাকে চিনে। জেলার বেশির ভাগ সড়ক, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, বিহার আমার সময়ে নির্মিত হয়েছে। পাহাড়ি-বাঙালি উভয় জনগোষ্ঠীর মানুষ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। এরই মধ্যে চাকমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ স্বতন্ত্রভাবে আমার সমর্থনে সমাবেশও করেছে।’

জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এয়াকুব আলী বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ তৈরি করব, যেখানে নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে, নিরাপত্তা নিয়ে ভয়হীন দেশে ইনসাফের সঙ্গে বসবাস করবে। পাহাড়ি-বাঙালি মিলেমিশে তৈরি হবে এক সম্প্রীতির বাংলাদেশ।’

জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনমুখী দল। তবে এই নির্বাচনে আমরা সরাসরি কোনো প্রার্থী না দিলেও কোনো না কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেব। তবে কোনো দলকে নয়। খাগড়াছড়ির এবার পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন।’

পাহাড়িদের দীর্ঘদিনের ভূমি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অধিকারসংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানে জাতীয় দলগুলোর আন্তরিকতা নিয়ে অভিযোগও বেশ পুরোনো। এই প্রেক্ষাপটে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী থেকে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়টিকে বেশ গুরুত্বসহকারে দেখছেন স্থানীয় পাহাড়ি ভোটাররা। এখানেই তাঁরা এককাট্টা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
হাসান মামুন। ছবি: সংগৃহীত
হাসান মামুন। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’

এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কারের আগেই তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ-সংক্রান্ত দুটি ছবি তিনি পোস্ট করেন, যেখানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট সংযুক্ত ছিল। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ২৮ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

পরে সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিটে দেওয়া আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত। আমি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে দেওয়া পৃথক এক পোস্টে হাসান মামুন প্রশ্ন তোলেন, ‘ময়মনসিংহের ফখরুদ্দিন বাচ্চুকে বহিষ্কার, তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে মামলা করার কত দিন পরে ডেকে এনে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও সঙ্গে মনোনয়ন দেওয়া হলো?’

এরপর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সকল সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন হাসান মামুন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসনটি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। এরপরও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই সঙ্গে তিনি নিজ উদ্যোগে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব কর্মকাণ্ড বিএনপির গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে হাসান মামুনকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল মারা গেছেন

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন। তিনি গাজীপুরের গেজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা। হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে উত্তরা আজমপুরে ডান পায়ের ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হন শফিকুল। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সরকার তাঁকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে সব কাগজপত্র ব্যবস্থা করলে তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি তাঁর জ্বর ও অন্যান্য শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল সোমবার গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুল ইসলাম মারা যান।

এদিকে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজন, সহযোদ্ধা ও এলাকাবাসী তাঁকে একজন সাহসী জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্মরণ করছে।

হালুয়াঘাট জুলাই শহীদ ও আহত সেলের প্রতিনিধি রিদওয়ান সিদ্দিকী জানান, শহীদ শফিকের জানাজা নামাজ বুধবার সকাল ১০টায় হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় মামা পাগলা মাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে হালুয়াঘাটে নিজ এলাকায় দাফন করা হবে।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আজ হলুয়াঘাটের এক আহত জুলাই যোদ্ধা শফিকুল ইন্তেকাল করেছেন। তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রায় দেড় বছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।

নিহত শফিকুলের ছোট বোনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরদেহ হালুয়াঘাটে নেওয়ার জন্য একটি ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা গাজীপুরে শফিকের জানাজা শেষে হালুয়াঘাটের উদ্দেশে রওনা হই। বুধবার জানাজা শেষে তাঁর দাফন করা হবে।’

শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া আরও বলেন, সরকার থেকে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবে জুলাই যোদ্ধা শফিক বিদেশ যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি গুলির স্থানে ইনফেকশন হয়, যে কারণে জ্বর আসে। পরে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিক মারা যান। চিকিৎসক জানিয়েছেন, নিউমোনিয়া ও গুলির স্থানে ইনফেকশনের কারণে তিনি মারা গেছেন।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম বলেন, জুলাই যোদ্ধা শফিক গাজীপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলিনুর খান বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহে হালুয়াঘাটে আনার জন্য ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় তাঁর জানাজা হবে। সেখানে উপস্থিত থেকে যথাযথ মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হবে। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

বাসস, ঢাকা  
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ০৬
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর। ছবি: বাসস
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর। ছবি: বাসস

রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানে অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পূর্ব পাশে ৪ ফুট বাই ৭ ফুট নতুন কবর খোঁড়া হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী।

প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জমান চৌধুরী বলেন, যে স্থাপত্য প্রকৌশল সংস্থা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে আর্কিটেক্টের কাজ করেছিল, সে সংস্থাকে দিয়েই এবার বেগম খালেদা জিয়ার কবর খোঁড়ানো ও বাঁধাই করা হচ্ছে, যাতে মূল নকশায় কোনো ধরনের পরিবর্তন না আসে।

বসত আর্কিটেক্ট প্রকৌশল সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, তাঁরা ২০০২ সালে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানের এই মাজার নতুনভাবে সংস্কার করেন। যেখানে একটি অতি সুন্দর ব্রিজ নির্মাণসহ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার ও মাজার প্রাঙ্গণ ফুটিয়ে তোলা হয়। আজ সেই সুন্দর স্থাপনার অবয়ব ঠিক রেখেই শহীদ জিয়ার কবরের ঠিক পূর্ব পাশে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য নতুন করে খবর খোঁড়া হচ্ছে।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পূর্ব পার্শ্বে ৪ ফুট বাই ৭ ফুট নতুন কবর খোঁড়া হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পূর্ব পার্শ্বে ৪ ফুট বাই ৭ ফুট নতুন কবর খোঁড়া হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জমান চৌধুরী জানান, আজ মঙ্গলবার রাতেই তাঁরা কবর খোঁড়া ও তাতে মার্বেল পাথর স্থাপন করাসহ আনুষঙ্গিক কাজ সেরে ফেলতে চান। কাল সকাল নাগাদ হয়তো কিছু কাজ করা হতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে বসত আর্কিটেক্ট প্রকৌশল সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, ২০০২ সালে যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার সংস্কার করা হয়, তখন সেভাবে কোনো নির্দেশনা তাঁরা পাননি। নাহয় তখনই বেগম খালেদা জিয়ার কবরের জন্য সেভাবে জায়গা রেখে দুটি কবরের জায়গা করে রাখতে পারতেন।

এখন কেন করছেন, এর জবাবে মাসুদুর রহমান জানান, আগে সেভাবে নির্দেশনা ছিল না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের আজ সকালে শহীদ জিয়ার কবরের পাশে বেগম খালেদা জিয়ার কবর খোঁড়ার জন্য অনুরোধ করা হলে তাঁরা সেভাবে কাজ শুরু করেন।

প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান আরও জানান, তাঁর সৌভাগ্য হয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ডিজাইনসহ স্থাপত্যশৈলী নির্মাণের। সেই সৌভাগ্যক্রমে এবার বেগম খালেদা জিয়ার কবরের স্থাপত্যশৈলীর কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে।

মাসুদুর রহমান জানান, শহীদ জিয়ার মতো বেগম খালেদা জিয়ার কবরেও সেই সাধারণ মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হবে এবং একই ডিজাইনে থাকবে সবুজ ঘাস। তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়ার নতুন কবরের জন্য শহীদ জিয়ার মাজারের মূল নকশায় কোনো পরিবর্তন হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত