Ajker Patrika

ফরিদপুরে শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বন্দ্ব, হামলার প্রতিবাদে বাস বন্ধ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, ২২: ২০
ফরিদপুরে মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়ন অবৈধভাবে দখলের অভিযোগে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় অন্য পক্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুরে মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়ন অবৈধভাবে দখলের অভিযোগে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় অন্য পক্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরে মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়ন অবৈধভাবে দখলের অভিযোগে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় ফরিদপুর পৌর বাস টার্মিনাল। এ ছাড়া সাধারণ শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে বাস চলাচল বন্ধ করে রাখেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের গোয়ালচামটে পৌর বাস টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স (১০৫৫) শ্রমিক ইউনিয়ন অবৈধভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে দখলের অভিযোগ এনে ও কমিটি বাতিলের দাবিতে ‘সব শ্রমিকের ব্যানারে’ মানববন্ধন করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানববন্ধন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে অন্য পক্ষের দাবি করা নির্বাচিত সভাপতি ইয়াছিন মোল্যার (৪০) নেতৃত্বে অর্ধশত লোক লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এ সময় তাঁদের ব্যানারও কেড়ে নেওয়া হয় এবং শ্রমিকদের এলোপাতাড়ি পেটানো হয়। হামলাকারীদের মানববন্ধনে থাকা শ্রমিকদের আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে স্লোগানও দিতে দেখা যায়। এ সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন।

এ ঘটনার পর সাধারণ শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে দুপুর ১২টা থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে রাখেন। তাঁরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে বাস টার্মিনালে অবস্থান নেন। পরে বেলা ২টার দিকে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে রূপ নেয় পুরো এলাকা। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। আহত হন অন্তত ১০ শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ছাড়া দিনভর উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করে।

ফরিদপুরে মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়ন অবৈধভাবে দখলের অভিযোগে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় অন্য পক্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুরে মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়ন অবৈধভাবে দখলের অভিযোগে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় অন্য পক্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ছয় ঘণ্টা পর শ্রমিকেরা বাস অবরোধ তুলে নিয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। তবে সন্ধ্যায় শ্রমিকনেতা জাকারিয়া হোসেন জানান, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মানা না হবে, ততক্ষণ বাস চলবে না।’

জানা যায়, শ্রমিক সংগঠনটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ করেন বর্তমান সভাপতি (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত) ইয়াসিন মোল্লা এবং অন্য গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ করেন সাবেক সহসভাপতি ইসমাইল হোসেন লাভলু।

সাধারণ শ্রমিক ও সংগঠনটির সাবেক একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শ্রমিক ইউনিয়নটিতে ৭ হাজার ২০০ জন সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ২ জন শ্রমিককে সদস্য দেখিয়ে একপাক্ষিকভাবে ২৫ জুলাই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ না থাকায় ১৭ জুলাই সবাইকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকেরা।

ইসমাইল হোসেন লাভলু অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের অধিকাংশ শ্রমিককে না জানিয়ে গোপনে নির্বাচন করা হয়। কোনো তফসিল ঘোষণা না করে ও খসড়া ভোটার তালিকা না টানিয়েই অবৈধভাবে নির্বাচন দেখিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নটি দখল করা হয়। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হলে সেখানেও ইয়াছিন মোল্যার নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এরপর সাধারণ শ্রমিকেরা বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। আমরা এই অবৈধ নির্বাচন মানি না। আমরা সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু একটি নির্বাচনের দাবি জানাই এবং শ্রমিকদের ওপর হামলার বিচার চাই।’

অন্যদিকে ইয়াছিন মোল্যা মানববন্ধনকারীদের আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগের দোসরেরা এখনো চাঁদাবাজি করছে। আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে আজ এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। আজ আওয়ামী লীগের দোসরেরা একত্র হয়েছিল, তখন আমরা সাধারণ শ্রমিকেরা বাধা দিয়েছিলাম।’

এদিকে শ্রমিকদের দ্বন্দ্বে বাস চলাচল বন্ধ করায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রীদের ফিরে যেতে দেখা যায়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শ্রমিকদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের উত্তেজনা হলে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চেসকোড বিজয় দিবস আন্তর্জাতিক দাবায় চ্যাম্পিয়ন রবিউল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চেসকোড বিজয় দিবস আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা প্রতিযোগিতায় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন মো. রবিউল হোসেন। সাত খেলায় ৬ পয়েন্ট পেয়ে তিনি এ শিরোপা জয় করেন। প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে নগদ অর্থ ও ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক দাবা সংস্থা (ফিদে) অনুমোদিত এ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে তিনজন ভারতীয় খেলোয়াড়সহ দেশের মোট ৪০ জন রেটেড দাবাড়ু অংশ নেন।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই টুর্নামেন্টে টাইব্রেকিং পদ্ধতির মাধ্যমে শীর্ষস্থানগুলো নির্ধারিত হয়। ৬ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন মো. রবিউল হোসেন। প্রথম রানারআপ হন ইফতেখার আলম (৫.৫ পয়েন্ট) ও দ্বিতীয় রানারআপ হন আসিফ মাহমুদ (৫.৫ পয়েন্ট)।

৫ পয়েন্ট পেয়ে ভারতীয় দাবাড়ু আরমান সিদ্দিকী চতুর্থ, সফিউল মুসনাবিন পঞ্চম এবং অনিন্দ্য রিক দিগ্বিজয় ষষ্ঠ হয়েছেন। ৪.৫ পয়েন্ট পেয়ে সপ্তম হয়েছেন মোহাম্মদ সুলতান।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যাঁরা শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন তাঁদের মধ্যে আছেন—অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে সুহৃদ দে, মহিলা বিভাগে তাওহীদা বেগম, ৫০ ঊর্ধ্ব বিভাগে আবু মহসিন।

অনূর্ধ্ব ৮-এ আইলান তাজওয়ার, অনূর্ধ্ব ১০-এ আফরাজ আহমেদ এবং অনূর্ধ্ব ১২ বিভাগে আইলান দীপ দাস। এ ছাড়া চেসকোড একাডেমি আন্তদাবায় স্বর্ণাভ বিশ্বাস প্রথম, জায়ান উর রহমান দ্বিতীয় ও দীপায়ন ঘোষ তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন।

চেসকোড একাডেমির পরিচালক ও পদ্মা অয়েল পিএলসির কোম্পানি সচিব আলী আবছারের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান আরমিটার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তানজিলা তুর নুর।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার দাবা কমিটির সম্পাদক প্রকৌশলী এস এম তারেক, চবি সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলমসহ চেসকোড একাডেমির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মতলবে কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২৮ জন আটক

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) জাবীর হুসনাইন সানীব।

সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) জাবীর হুসনাইন সানীব বলেন, গতকাল বুধবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এই অভিযান চলেছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার কাজলি বালুর মাঠ, নিউ হোস্টেল মাঠ, ছেংগারচর কলেজমাঠসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে আটক করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে আটক ২৭ জনকে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে অভিভাবকের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সন্ধ্যার পর পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

এ ছাড়া অভিযানে আটক আরেকজনের কাছ থেকে ২৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) জাবীর হুসনাইন সানীব বলেন, কিশোর অপরাধ ও মাদক নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় গোলাগুলির দুই দিন পর সামছুর লাশের সন্ধান, নিহত বেড়ে ৬

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
সামছু। ছবি: সংগৃহীত
সামছু। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ও সুখচর ইউনিয়নসংলগ্ন মেঘনা নদীর জাগলার চরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার দুই দিন পর সামছুর লাশ খুঁজে পেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জাগলার চরে কেউড়া বনের মধ্যে লাশটি খুঁজে পান তাঁরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, সন্ধ্যার একটু আগে পরিবারের সদস্যরা সামছুর লাশ খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি তাঁকে জানান।

এ বিষয়ে সামছুর বড় ছেলে ফখরুল ইসলাম জানান, কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে তাঁরা জাগলার চরে যান বাবাকে খোঁজ করার জন্য। সারা দিন খোঁজ করে বিকেলে কেউড়া বনের মধ্যে তাঁর বাবার লাশ দেখতে পান। তবে লাশের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় সামছুর ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে মামলা করেন।

হাতিয়া থানার ওসি বলেন, নিখোঁজ সামছুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতে পালানোর সময় বেনাপোল সীমান্তে ময়মনসিংহের যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি  ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
রাসেল পাঠান। ছবি: সংগৃহীত
রাসেল পাঠান। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে পালানোর সময় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন ময়মনসিংহের যুবলীগ নেতা রাসেল পাঠান (৩৭)। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। রাসেল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ময়মনসিংহের সাগর হত্যা মামলার আসামি।

গ্রেপ্তার রাসেল ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি নগরীর সানকিপাড়া শেষ মোড় এলাকার আব্দুর রাজ্জাক পাঠানের ছেলে।

ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, রাসেল পাঠান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাগর হত্যা মামলার আসামি। তাঁকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালানোর সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেপ্তার করে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করেছে।

এ বিষয়ে বেনাপোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালানোর সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ রাসেল পাঠানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে থানায় হস্তান্তর করে। হস্তান্তরের পর ৫৪ ধারায় তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৯ জুলাই ময়মনসিংহ নগরীর মিন্টু কলেজ এলাকায় ছাত্রদের বিক্ষোভ-মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা ও গুলি করলে রেদোয়ান হোসেন ওরফে সাগর (২৪) নিহত হন। তিনি নগরীর আকুয়া চৌরঙ্গী মোড় এলাকার বাসিন্দা আসাদুজ্জামানের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত