Ajker Patrika

দুই সপ্তাহে জ্বালানিবাহী ৪ জাহাজে আগুনকে নাশকতা বলছে কর্তৃপক্ষ, তদন্তে দুই কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
দুই সপ্তাহে জ্বালানিবাহী ৪ জাহাজে আগুনকে নাশকতা বলছে কর্তৃপক্ষ, তদন্তে দুই কমিটি

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জ্বালানি তেল ও এলপিজিবাহী চারটি জাহাজে আগুন লাগার ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে মনে করছে না সংশ্লিষ্টরা। সর্বশেষ গতকাল শনিবার দিবাগত গভীর রাতে সাগরে এলপিজি বহনকারী দুটি জাহাজে আগুন লাগে। রাত ১টার দিকে লাগা এ আগুন এখনো থেমে থেমে জ্বলছে। নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও চট্টগ্রাম বন্দরের টাগবোট আগুন নিয়ন্ত্রণে সমন্বিতভাবে কাজ করছে। 

বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে এলপিজি বহনকারী লাইটার জাহাজ ‘সুফিয়া’ ও মাদার ভেসেল (বড় জাহাজ) ‘ক্যাপ্টেন নিকোলাস’–এ গতকাল আগুন লাগে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই জাহাজের নাবিকদের উদ্ধার করা হয়েছে। ক্যাপ্টেন নিকোলাসের আগুন রাতেই নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। লাইটার জাহাজে এখনো থেমে থেমে আগুন জ্বলছে। 

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, এ ঘটনায় ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে সিনিয়র নাবিক আতিক ইউ খান জানিয়েছেন, লাইটারিং অপারেশন শেষে এলপিজি ক্যারিয়ার্স সোফিয়াকে মাদার ভেসেল নিকোলাস থেকে আলাদা করার সময় আগুন লাগে। ১২ দিনের ব্যবধানে চারটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা নাশকতা কি না তা যাচাই করা উচিত। 

এর আগে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারির অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বহনকারী বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দুটি জাহাজে আগুন লাগে। পরপর পৃথক দুটি ঘটনায় বিএসসি নাশকতার আশঙ্কা করছিল। চট্টগ্রাম বন্দরে চার দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ নামের আরেকটি ট্যাংকারে আগুন লাগে। গত ৪ অক্টোবর রাতের এ ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলতে নারাজ বিএসসি। 

কর্তৃপক্ষের দাবি, দুর্ঘটনার আগে একটি নৌযান বা স্পিডবোট ট্যাংকারটির পাশ দিয়ে ছুটে যায়। এরপরই চারটি জায়গায় স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। এটি নাশকতা। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি কাজ করছে। 

গত ৪ অক্টোবর শুক্রবার ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ ট্যাংকার বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময় সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচেন ৪৭ জন। তবে ট্যাংকারের যেখানে জ্বালানি তেল রয়েছে, সেখানে আগুন লাগেনি বলে জানিয়েছে বিএসসি। 

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বন্দরের ডলফিন অয়েল জেটিতে নোঙর করে রাখা বিএসসির ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’ ট্যাংকারে বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগে। এতে পুড়ে মারা যান তিনজন। 

গত ৫ অক্টোবর বিএসসির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক জানান, জ্বালানি খাতকে হুমকিতে ফেলতে এমটি বাংলার সৌরভে আগুন লাগানো হয়েছে। দুর্ঘটনার আগে একটি নৌযান বা স্পিডবোট ট্যাংকারটির পাশ দিয়ে ছুটে যায়। এরপরই চারটি জায়গায় স্ফুলিঙ্গ হয়। আগুন লাগলে একটি পয়েন্ট দিয়ে আগুন লাগে, কিন্তু শুক্রবার ওই ট্যাংকারে চারটি পয়েন্ট দিয়ে একযোগে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতেই বোঝা যায় এটি নাশকতার অংশ।

কমোডর মাহমুদুল মালেক আরও বলেন, ঘটনা তদন্তে ৮ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। আশপাশের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে ওই স্পিডবোট শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

মাহমুদুল মালেক জানান, দুটি ট্যাংকারই জ্বালানি তেল পরিবহনের কাজ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। এমটি বাংলার সৌরভের সেটি ছিল শেষবারের মতো জ্বালানি তেল পরিবহন। দুর্ঘটনার সময় ট্যাংকারটিতে ১১ হাজার ১৫৫ টন অপরিশোধিত তেল ছিল। এটির বন্দরের ডলফিন অয়েল জেটিতে তেল খালাস করার কথা ছিল। এর আগেই ট্যাংকারটির ডেকে চারটি জায়গায় স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। এর পর আগুন লাগে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাইবান্ধায় টানা ৫ দিন পর দেখা মিলল সূর্যের

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
রেলস্টেশনে রোঁদে দাড়িয়ে আছে কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রেলস্টেশনে রোঁদে দাড়িয়ে আছে কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

টানা পাঁচ দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে গাইবান্ধায় সূর্যের আলো দেখা গেছে। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে রোদের উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাধারণ মানুষ বিশেষত কৃষক ও শ্রমজীবীরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।

গত পাঁচ দিন ধরে তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়ে গাইবান্ধার জনজীবন। বিশেষ করে, সকালে কাজে বেরিয়ে প্রচণ্ড ঠান্ডায় কষ্টে পড়েন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সূর্যের দেখা পাওয়ায় খেটে খাওয়া এসব মানুষের কাজে নামা এখন কিছুটা সহজ হয়েছে। এ ছাড়া ঠান্ডা ও কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন কৃষকেরা। গাইবান্ধা সদর উপজেলার সরকারপাড়া এলাকার কৃষক সাদেক মিয়া বলেন, ‘টানা কয়েক দিন সূর্য না থাকায় অনেকটা চিন্তায় ছিলাম। বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। আজ রোদ ওঠায় অনেকটা ভরসা পাচ্ছি।’ বোয়ালী ইউনিয়নের কৃষক হাকিম আলী বলেন, ‘সূর্য না ওঠায় গরু-ছাগলসহ ধানের বীজতলা নিয়ে চিন্তায় পড়ে ছিলাম। আবহাওয়া আজ ভালো হওয়ার কারণে খুশি লাগছে।’ আরেক কৃষক কেরামত বলেন, শীত বেশি পড়লে বোরো ধানের বীজতলা পচে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সূর্যের আলো পাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা কমে গেছে।

গাইবান্ধা শহরের রিকশাচালক হুমায়ন বলেন, কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে তেমন একটা বের হয়নি। আজ সূর্য ওঠায় রাস্তাঘাটে লোকজন বের হয়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। তবে দিনের বেলায় তাপমাত্রা বাড়লেও রাতের বেলায় তা কমবে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘টানা শৈত্যপ্রবাহে বোরোর বীজতলা নিয়ে আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলাম। সূর্যের আলো ও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় এখন ক্ষতির ঝুঁকি কমেছে।’ আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এবং মহাখালী এলাকায় বাবা-মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোরে এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

সাতরাস্তায় ট্রাকচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রী বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম (৪০) এবং মেয়ে তানজিলার (১২) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ছেলে নুর ইসলাম (১৪)। অন্যদিকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আজ ভোর ৫টার দিকে চারজনকে আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে বাবা-মেয়ে ও অজ্ঞাত যুবককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত নুর ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।

মৃত রফিকুল ইসলামের ভাতিজা আব্দুর রাকিব বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার জটিয়াবো গ্রামে। বর্তমানে তাঁরা মগবাজার ওয়্যারলেস রেলগেট এলাকায় থাকতেন। আহত নুর ইসলাম ও নিহত তানজিলা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। তাঁদের বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম ওই এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করতেন।

আব্দুর রাকিব আরও জানান, রাতে তাঁর চাচা রফিকুল ইসলাম দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। মগবাজার থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন। জানতে পারি, সাতরাস্তা এলাকায় আসলে একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। রিকশা থেকে ছিটকে পরে তিনজন আহত হয়। পরে পথচারীরা তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হামিদ জানান, বুধবার ভোরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় বাবা-মেয়ে মারা গেছে। অন্যদিকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক যুবক মারা গেছে।

এসআই আরও জানান, সাতরাস্তা এলাকায় বাবা তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাযোগে যাচ্ছিলেন। তখন একটি ট্রাক রিকশাটিকে চাপা দেয়। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসলে বাবা ও মেয়ে মারা যায়। আহত ছেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। ট্রাকটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এসআই আব্দুল হামিদ আরও জানান, মহাখালী এলাকায় মারা যাওয়া যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। যানবাহন শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, চালক নিহত

বগুড়া প্রতিনিধি
মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় আরেকটি ট্রাক।
মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় আরেকটি ট্রাক।

বগুড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিয়ে আরেক ট্রাকের চালক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে বগুড়া শহরতলির তেলিপুকুর এলাকায় ঢাকা–রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ট্রাকচালকের নাম সেলিম হোসেন (৪০)। তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার অর্জুনপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে পেছন থেকে আরেকটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ধাক্কা দেওয়া ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং চালক সেলিম গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হলেও ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জের সেই মাদ্রাসার পাশে ফের বিস্ফোরণ, আহত ১

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার পাশের জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে মাদ্রাসাটিতে আগেরবার ঘটা বিস্ফোরণের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পাশের বাড়িটি পরিষ্কার করতে গেলে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এতে রাজু (৩০) নামের এক শ্রমিক আহত হয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পাশের বাড়িটি পরিষ্কার করতে গেলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় আহত শ্রমিককে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে এ বিস্ফোরণ হয়।   

উল্লেখ্য, ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসাটির একতলা ভবনের ভেতরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনের দুটি কক্ষ ভেঙে যায়, ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পাশের একটি বিল্ডিং, গ্যারেজের ও ঘরের আসবাবপত্র ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসার পরিচালক আল আমিন, তাঁর স্ত্রী আছিয়া বেগম ও তাঁদের দুই ছেলে এবং পাশের একটি সিএনজি গ্যারেজের শ্রমিক জাকির হোসেন (৪৫) আহত হন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মাদ্রাসার পরিচালক আল আমিন পলাতক রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত