অর্ণব সান্যাল

শনিবারের দিনটাই শুরু হয়েছিল ফাহিরের ফোন দিয়ে। অফিসের কাজেই কেজো কথা। একটা সংবাদ কীভাবে দেওয়া হবে, আদৌ দেওয়া হবে কি না, তা-ই জানতে চেয়েছিলেন ফাহির। সেই কথা শেষের ঠিক ১০ মিনিট পর কর্মস্থলে ঢুকে দেখি, কাজটা হয়ে গেছে।
ফাহির এমনই ছিলেন। কাজ পেলে তাতে দায়িত্বের কোনো ঘাটতি কখনোই ঘটতে দেননি। ২৪ বছর বয়সী এই সাংবাদিকের পোশাকি নাম মো. ফখরুল ইসলাম ভূঁঞা। আমরা, তাঁর সহকর্মীরা অবশ্য তাঁকে ফাহির ফখরুল হিসেবেই চিনতাম। ছিল আরও নানা ডাকনাম, সবাই ভালোবেসেই দিয়েছিল। ভালো না বাসলে কি আর ডাকনামে ডাকা যায়?
সব ডাকনামকে অর্থহীন বানিয়ে ফাহির চলে গেছেন। শনিবার বিকেলে অকস্মাৎ হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। সেদিন সকাল ৮টায় অফিসে এসেছিলেন ফাহির। সারা দিন স্বাভাবিক নিয়মেই দায়িত্ব পালন করেন। বেলা ৩টার পর তিনি অফিস থেকে বাসায় চলে যান। মোহাম্মদপুরের বাসায় ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলেও ফাহিরকে ফেরানো যায়নি।
এই লেখাটি যখন লিখছি, তখনো ভাবছি—ফাহির কি সত্যিই চলে গেছে? এখনো একটা ঘোর চারপাশে বর্তমান। বোধ হচ্ছে, এই হয়তো কেউ বলবে—‘ফাহির কাল সকালে ডিউটিতে আছে।’ এই কথাটা শোনার আকাঙ্ক্ষা মন থেকে যাচ্ছেই না। কারণ, ফাহির ডিউটিতে থাকলেই যে, কাল সকালে অফিসে আসার সময় আমার মোবাইল ফোন বেজে ওঠার একটা ক্ষীণ আশা থেকে যায়। ফোনের সেই স্ক্রিনে আবার ভেসে উঠতে পারে ‘ফাহির’ নামটি। হয়তো বলে উঠবে, ‘ভাই, এই নিউজটা কি দিব?’
ফাহিরের মৃত্যুসংবাদ কানে এসেছিল তাঁকে শেষ দেখার ১০০ মিনিট পর। সহকর্মী সবাই ছুটে যাওয়ার পর তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো সংবাদটি লিখতে মন সায় দিচ্ছিল না। আশা ছিল, এই বুঝি কেউ ফোন করে জানাবে ফাহির আছে। কিন্তু শেষতক সম্পাদনা করতে হলো ‘সাংবাদিক ফখরুল ইসলাম ভূঁঞা মারা গেছেন’ শীর্ষক সংবাদটি। ফাহিরের ছবি বাছাইও করতে হলো। ছবি দেখতে দেখতে আবারও বুকে বাজল অবিশ্বাসের সুর। এত হাসি-খুশি একটা ছেলে এখন আর হাসবে না? অফিসে দুষ্টুমি করে বকুনি খাওয়ার ভয়ে নিজেকে লুকাবে না?
এর চেয়ে লুকানোর চেষ্টা করলেই ভালো হতো, ফাহির। অন্তত খুঁজে বের করা তো যেত!
ফাহির অফিস থেকে একটু আগে বের হয়েছিল গতকাল। হাসিমুখে অনুমতি চেয়ে বলেছিল, ‘ভাই, আমি একটু যাই? আজ একটা কাজ আছে।’ অনুমতি পেয়ে আবার এ-ও জানিয়ে আশ্বস্ত করেছিল যে অফিসের কাজের সুবিধার জন্য সংশ্লিষ্ট সহকর্মীকে সে বলে-কয়ে একটু আগেই আনিয়েছে।
কিন্তু ফাহিরের সেই ‘একটু যাই’ যে চিরদিনের তরে হবে, সেটি কি আর আমরা জানতাম! ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারলে নিশ্চয় যেতেই দিতাম না।
সেই থেকে ক্ষণে ক্ষণে ভাবনারা জানাচ্ছে, ‘ইশ্, যদি ফাহিরকে ছুটি না দিতাম!’ তবে হয়তো ফাহির অসুস্থ হলে তাঁকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টায় হাত লাগাতে পারতাম। প্রিয়জন চলে গেলে তো এমনই বোধ হয় বারবার। কত আফসোসেরা এসে ভিড় জমায় তখন!
ফাহির আর আসবেন না। কিন্তু তাঁর হাসিমুখ মনে থাকবে চিরকাল। মিথ্যে কথার এই শহরে অমন নিষ্পাপ হাসি আর কজন দিতে পারে!
ভালো থাকবেন, ফাহির। ফোন দেবেন, প্লিজ। অপেক্ষায় রইলাম।

শনিবারের দিনটাই শুরু হয়েছিল ফাহিরের ফোন দিয়ে। অফিসের কাজেই কেজো কথা। একটা সংবাদ কীভাবে দেওয়া হবে, আদৌ দেওয়া হবে কি না, তা-ই জানতে চেয়েছিলেন ফাহির। সেই কথা শেষের ঠিক ১০ মিনিট পর কর্মস্থলে ঢুকে দেখি, কাজটা হয়ে গেছে।
ফাহির এমনই ছিলেন। কাজ পেলে তাতে দায়িত্বের কোনো ঘাটতি কখনোই ঘটতে দেননি। ২৪ বছর বয়সী এই সাংবাদিকের পোশাকি নাম মো. ফখরুল ইসলাম ভূঁঞা। আমরা, তাঁর সহকর্মীরা অবশ্য তাঁকে ফাহির ফখরুল হিসেবেই চিনতাম। ছিল আরও নানা ডাকনাম, সবাই ভালোবেসেই দিয়েছিল। ভালো না বাসলে কি আর ডাকনামে ডাকা যায়?
সব ডাকনামকে অর্থহীন বানিয়ে ফাহির চলে গেছেন। শনিবার বিকেলে অকস্মাৎ হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। সেদিন সকাল ৮টায় অফিসে এসেছিলেন ফাহির। সারা দিন স্বাভাবিক নিয়মেই দায়িত্ব পালন করেন। বেলা ৩টার পর তিনি অফিস থেকে বাসায় চলে যান। মোহাম্মদপুরের বাসায় ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলেও ফাহিরকে ফেরানো যায়নি।
এই লেখাটি যখন লিখছি, তখনো ভাবছি—ফাহির কি সত্যিই চলে গেছে? এখনো একটা ঘোর চারপাশে বর্তমান। বোধ হচ্ছে, এই হয়তো কেউ বলবে—‘ফাহির কাল সকালে ডিউটিতে আছে।’ এই কথাটা শোনার আকাঙ্ক্ষা মন থেকে যাচ্ছেই না। কারণ, ফাহির ডিউটিতে থাকলেই যে, কাল সকালে অফিসে আসার সময় আমার মোবাইল ফোন বেজে ওঠার একটা ক্ষীণ আশা থেকে যায়। ফোনের সেই স্ক্রিনে আবার ভেসে উঠতে পারে ‘ফাহির’ নামটি। হয়তো বলে উঠবে, ‘ভাই, এই নিউজটা কি দিব?’
ফাহিরের মৃত্যুসংবাদ কানে এসেছিল তাঁকে শেষ দেখার ১০০ মিনিট পর। সহকর্মী সবাই ছুটে যাওয়ার পর তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো সংবাদটি লিখতে মন সায় দিচ্ছিল না। আশা ছিল, এই বুঝি কেউ ফোন করে জানাবে ফাহির আছে। কিন্তু শেষতক সম্পাদনা করতে হলো ‘সাংবাদিক ফখরুল ইসলাম ভূঁঞা মারা গেছেন’ শীর্ষক সংবাদটি। ফাহিরের ছবি বাছাইও করতে হলো। ছবি দেখতে দেখতে আবারও বুকে বাজল অবিশ্বাসের সুর। এত হাসি-খুশি একটা ছেলে এখন আর হাসবে না? অফিসে দুষ্টুমি করে বকুনি খাওয়ার ভয়ে নিজেকে লুকাবে না?
এর চেয়ে লুকানোর চেষ্টা করলেই ভালো হতো, ফাহির। অন্তত খুঁজে বের করা তো যেত!
ফাহির অফিস থেকে একটু আগে বের হয়েছিল গতকাল। হাসিমুখে অনুমতি চেয়ে বলেছিল, ‘ভাই, আমি একটু যাই? আজ একটা কাজ আছে।’ অনুমতি পেয়ে আবার এ-ও জানিয়ে আশ্বস্ত করেছিল যে অফিসের কাজের সুবিধার জন্য সংশ্লিষ্ট সহকর্মীকে সে বলে-কয়ে একটু আগেই আনিয়েছে।
কিন্তু ফাহিরের সেই ‘একটু যাই’ যে চিরদিনের তরে হবে, সেটি কি আর আমরা জানতাম! ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারলে নিশ্চয় যেতেই দিতাম না।
সেই থেকে ক্ষণে ক্ষণে ভাবনারা জানাচ্ছে, ‘ইশ্, যদি ফাহিরকে ছুটি না দিতাম!’ তবে হয়তো ফাহির অসুস্থ হলে তাঁকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টায় হাত লাগাতে পারতাম। প্রিয়জন চলে গেলে তো এমনই বোধ হয় বারবার। কত আফসোসেরা এসে ভিড় জমায় তখন!
ফাহির আর আসবেন না। কিন্তু তাঁর হাসিমুখ মনে থাকবে চিরকাল। মিথ্যে কথার এই শহরে অমন নিষ্পাপ হাসি আর কজন দিতে পারে!
ভালো থাকবেন, ফাহির। ফোন দেবেন, প্লিজ। অপেক্ষায় রইলাম।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৭ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

এই লেখাটি যখন লিখছি, তখনো ভাবছি—ফাহির কি সত্যিই চলে গেছে? এখনো একটা ঘোর চারপাশে বর্তমান। বোধ হচ্ছে, এই হয়তো কেউ বলবে—‘ফাহির কাল সকালে ডিউটিতে আছে।’ এই কথাটা শোনার আকাঙ্ক্ষা মন থেকে যাচ্ছেই না। কারণ, ফাহির ডিউটিতে থাকলেই যে কাল সকালে অফিসে আসার সময় আমার মোবাইল ফোন বেজে ওঠার একটা ক্ষীণ আশা থেকে যায়। ফ
১২ ডিসেম্বর ২০২১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

এই লেখাটি যখন লিখছি, তখনো ভাবছি—ফাহির কি সত্যিই চলে গেছে? এখনো একটা ঘোর চারপাশে বর্তমান। বোধ হচ্ছে, এই হয়তো কেউ বলবে—‘ফাহির কাল সকালে ডিউটিতে আছে।’ এই কথাটা শোনার আকাঙ্ক্ষা মন থেকে যাচ্ছেই না। কারণ, ফাহির ডিউটিতে থাকলেই যে কাল সকালে অফিসে আসার সময় আমার মোবাইল ফোন বেজে ওঠার একটা ক্ষীণ আশা থেকে যায়। ফ
১২ ডিসেম্বর ২০২১
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৭ ঘণ্টা আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

এই লেখাটি যখন লিখছি, তখনো ভাবছি—ফাহির কি সত্যিই চলে গেছে? এখনো একটা ঘোর চারপাশে বর্তমান। বোধ হচ্ছে, এই হয়তো কেউ বলবে—‘ফাহির কাল সকালে ডিউটিতে আছে।’ এই কথাটা শোনার আকাঙ্ক্ষা মন থেকে যাচ্ছেই না। কারণ, ফাহির ডিউটিতে থাকলেই যে কাল সকালে অফিসে আসার সময় আমার মোবাইল ফোন বেজে ওঠার একটা ক্ষীণ আশা থেকে যায়। ফ
১২ ডিসেম্বর ২০২১
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৭ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

এই লেখাটি যখন লিখছি, তখনো ভাবছি—ফাহির কি সত্যিই চলে গেছে? এখনো একটা ঘোর চারপাশে বর্তমান। বোধ হচ্ছে, এই হয়তো কেউ বলবে—‘ফাহির কাল সকালে ডিউটিতে আছে।’ এই কথাটা শোনার আকাঙ্ক্ষা মন থেকে যাচ্ছেই না। কারণ, ফাহির ডিউটিতে থাকলেই যে কাল সকালে অফিসে আসার সময় আমার মোবাইল ফোন বেজে ওঠার একটা ক্ষীণ আশা থেকে যায়। ফ
১২ ডিসেম্বর ২০২১
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৭ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে