আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন শিল্পপতি ও স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা জন ডি রকফেলার। আধুনিক ব্যবসা ও শিল্পায়নের এই পথিকৃৎ ১৮৩৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জন্মেছিলেন। রকফেলার ছিলেন ছয় ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় এবং পরিবারের বড় ছেলে। তাঁর বাবা ছিলেন ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসক ও তথাকথিত ‘সাপের তেল’ বিক্রেতা উইলিয়াম বিগ বিল অ্যাভেরি রকফেলার এবং মা এলিজা ডেভিডসন রকফেলার।
রকফেলার শৈশবে পরিবারসহ নিউইয়র্কের মোরাভিয়া এবং পরে ১৮৫১ সালে ওয়েগো শহরে যান। সেখানে ওয়েগো একাডেমিতে পড়াশোনা করেন। ১৮৫৩ সালে পুরো পরিবার ওহাইওর ক্লিভল্যান্ডের কাছে স্ট্রংসভিল শহরে স্থায়ী হয়।
সেখানেই রকফেলার ক্লিভল্যান্ড সেন্ট্রাল হাইস্কুলে ভর্তি হন, যদিও পরে পড়াশোনা ছেড়ে ফোলসাম মার্কেন্টাইল কলেজে ব্যবসার একটি কোর্স করেন। পাশাপাশি হিসাবরক্ষক হিসেবেও কাজ করতেন তিনি। ১৮৫৯ সালে প্রথম ব্যবসা শুরু করেন। তাঁর ব্যবসা ছিল ঘাস, শস্য, মাংস এবং অন্যান্য পণ্য বেচাকেনা সংক্রান্ত। ওই সময় পশ্চিম পেনসিলভানিয়ায় খনিজ তেলের উৎপাদন বাড়তে থাকায় রকফেলার এতে বড় সম্ভাবনা দেখতে পান।
১৮৭০ সালে রকফেলার ও আরও কয়েকজন মিলে স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি গঠন করেন। কোম্পানির অংশীদারদের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট মার্কিন অর্থনীতিবিদ হেনরি এম. ফ্ল্যাগলার। রকফেলারের দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও খরচ কমানোর নীতির কারণে কোম্পানিটি দ্রুত সফলতা পায়। দ্রুতই ক্লিভল্যান্ডের প্রায় সব তেল শোধনাগার কিনে ফেলে স্ট্যান্ডার্ড অয়েল। এর ফলে কোম্পানিটি রেলপথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পরিবহন মাশুলে বিশেষ সুবিধা আদায় করতে সক্ষম হয়। এরপর তারা পাইপলাইন, টার্মিনাল এবং অন্যান্য শহরের প্রতিদ্বন্দ্বী শোধনাগারও কিনে নেয়। ধীরে ধীরে বিদেশে বাজার সম্প্রসারণে সচেষ্ট হন রকফেলার ও অংশীদাররা।
রকফেলার ও অংশীদারেরা ১৮৮১ সালে একটি ৯ সদস্যবিশিষ্ট ট্রাস্টির হাতে স্ট্যান্ডার্ড অয়েলের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের শেয়ার তুলে দেন। বোর্ডের প্রধান ছিলেন রকফেলার নিজে। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বড় ‘ট্রাস্ট’ বা করপোরেটের উপকারভোগী ও অংশীদারদের মধ্যে সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান। এটিই পরে বৃহৎ করপোরেশনের মডেল হয়ে ওঠে। ১৮৮২ সালের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অয়েল যুক্তরাষ্ট্রে তেল ব্যবসায় একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে।
কিন্তু বাজারে স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির একাধিপত্যের কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিরক্ত হয়ে ওঠে। একচেটিয়া আধিপত্যের বিরুদ্ধে জনমত বাড়তে থাকে। এর ফলে কিছু অঙ্গরাজ্যে মনোপলি বা একচেটিয়া ব্যবসার বিরুদ্ধে আইন তৈরি হয়। ১৮৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ‘শার্মান অ্যান্টিট্রাস্ট আইন’ পাস করে। ১৮৯২ সালে ওহাইও সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত দেয়, স্ট্যান্ডার্ড অয়েল একটি অবৈধ মনোপলি। রকফেলার সেই রায় এড়াতে ট্রাস্ট ভেঙে বিভিন্ন কোম্পানির কার্যক্রম বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ভাগ করে দেন। কিন্তু বাস্তবে ওই নয়জন পরিচালকই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। ১৮৯৯ সালে এই কোম্পানিগুলো আবার একীভূত হয়ে স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি নামে একটি হোল্ডিং কোম্পানি গঠন করা হয়। ১৯১১ সাল পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটি কার্যকর ছিল। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট কোম্পানিটি ভেঙে দেয়।
এই সময়ে ম্যাকক্ল্যুর’স ম্যাগাজিনে ১৯ পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ‘দ্য হিস্ট্রি অব দ্য স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি (১৯০২-১৯০৪) ’ প্রকাশ করেন সাংবাদিক ইডা টারবেল। ওই প্রতিবেদনে স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির সর্বগ্রাসী কৌশল ও একচেটিয়া আচরণের নমুনা উঠে আসে।
একজন ধর্মপরায়ণ ব্যাপটিস্ট হিসেবে রকফেলার ১৮৯০-এর দশক থেকে দান ও জনকল্যাণমূলক কাজে মনোনিবেশ করেন। ১৮৯৭ সালের পর তিনি পুরোপুরিভাবে জনহিতকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। ১৮৯২ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এতে ৩৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন। ছেলে জন ডি. রকফেলার জুনিয়রের সঙ্গে যৌথভাবে নিউইয়র্কে রকফেলার ইনস্টিটিউট ফর মেডিকেল রিসার্চ (পরবর্তীতে রকফেলার ইউনিভার্সিটি) এবং ১৯১৩ সালে রকফেলার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
তাঁর জীবদ্দশায় দানের মোট পরিমাণ ছিল ৫০ কোটি ডলারেরও বেশি, যা তাঁকে বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ দানবীর হিসেবে খ্যাতি দিয়েছে। ১৯৩৭ সালের ২৩ মে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ৯৮ বছর বয়সে ফ্লোরিডায় মারা যান তিনি।
রকফেলার স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বৃহৎ করপোরেট ট্রাস্ট। তিনি বিশ্বের প্রথম বিলিয়নিয়ার।

মার্কিন শিল্পপতি ও স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা জন ডি রকফেলার। আধুনিক ব্যবসা ও শিল্পায়নের এই পথিকৃৎ ১৮৩৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জন্মেছিলেন। রকফেলার ছিলেন ছয় ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় এবং পরিবারের বড় ছেলে। তাঁর বাবা ছিলেন ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসক ও তথাকথিত ‘সাপের তেল’ বিক্রেতা উইলিয়াম বিগ বিল অ্যাভেরি রকফেলার এবং মা এলিজা ডেভিডসন রকফেলার।
রকফেলার শৈশবে পরিবারসহ নিউইয়র্কের মোরাভিয়া এবং পরে ১৮৫১ সালে ওয়েগো শহরে যান। সেখানে ওয়েগো একাডেমিতে পড়াশোনা করেন। ১৮৫৩ সালে পুরো পরিবার ওহাইওর ক্লিভল্যান্ডের কাছে স্ট্রংসভিল শহরে স্থায়ী হয়।
সেখানেই রকফেলার ক্লিভল্যান্ড সেন্ট্রাল হাইস্কুলে ভর্তি হন, যদিও পরে পড়াশোনা ছেড়ে ফোলসাম মার্কেন্টাইল কলেজে ব্যবসার একটি কোর্স করেন। পাশাপাশি হিসাবরক্ষক হিসেবেও কাজ করতেন তিনি। ১৮৫৯ সালে প্রথম ব্যবসা শুরু করেন। তাঁর ব্যবসা ছিল ঘাস, শস্য, মাংস এবং অন্যান্য পণ্য বেচাকেনা সংক্রান্ত। ওই সময় পশ্চিম পেনসিলভানিয়ায় খনিজ তেলের উৎপাদন বাড়তে থাকায় রকফেলার এতে বড় সম্ভাবনা দেখতে পান।
১৮৭০ সালে রকফেলার ও আরও কয়েকজন মিলে স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি গঠন করেন। কোম্পানির অংশীদারদের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট মার্কিন অর্থনীতিবিদ হেনরি এম. ফ্ল্যাগলার। রকফেলারের দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও খরচ কমানোর নীতির কারণে কোম্পানিটি দ্রুত সফলতা পায়। দ্রুতই ক্লিভল্যান্ডের প্রায় সব তেল শোধনাগার কিনে ফেলে স্ট্যান্ডার্ড অয়েল। এর ফলে কোম্পানিটি রেলপথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পরিবহন মাশুলে বিশেষ সুবিধা আদায় করতে সক্ষম হয়। এরপর তারা পাইপলাইন, টার্মিনাল এবং অন্যান্য শহরের প্রতিদ্বন্দ্বী শোধনাগারও কিনে নেয়। ধীরে ধীরে বিদেশে বাজার সম্প্রসারণে সচেষ্ট হন রকফেলার ও অংশীদাররা।
রকফেলার ও অংশীদারেরা ১৮৮১ সালে একটি ৯ সদস্যবিশিষ্ট ট্রাস্টির হাতে স্ট্যান্ডার্ড অয়েলের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের শেয়ার তুলে দেন। বোর্ডের প্রধান ছিলেন রকফেলার নিজে। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বড় ‘ট্রাস্ট’ বা করপোরেটের উপকারভোগী ও অংশীদারদের মধ্যে সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান। এটিই পরে বৃহৎ করপোরেশনের মডেল হয়ে ওঠে। ১৮৮২ সালের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অয়েল যুক্তরাষ্ট্রে তেল ব্যবসায় একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে।
কিন্তু বাজারে স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির একাধিপত্যের কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিরক্ত হয়ে ওঠে। একচেটিয়া আধিপত্যের বিরুদ্ধে জনমত বাড়তে থাকে। এর ফলে কিছু অঙ্গরাজ্যে মনোপলি বা একচেটিয়া ব্যবসার বিরুদ্ধে আইন তৈরি হয়। ১৮৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ‘শার্মান অ্যান্টিট্রাস্ট আইন’ পাস করে। ১৮৯২ সালে ওহাইও সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত দেয়, স্ট্যান্ডার্ড অয়েল একটি অবৈধ মনোপলি। রকফেলার সেই রায় এড়াতে ট্রাস্ট ভেঙে বিভিন্ন কোম্পানির কার্যক্রম বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ভাগ করে দেন। কিন্তু বাস্তবে ওই নয়জন পরিচালকই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। ১৮৯৯ সালে এই কোম্পানিগুলো আবার একীভূত হয়ে স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি নামে একটি হোল্ডিং কোম্পানি গঠন করা হয়। ১৯১১ সাল পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটি কার্যকর ছিল। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট কোম্পানিটি ভেঙে দেয়।
এই সময়ে ম্যাকক্ল্যুর’স ম্যাগাজিনে ১৯ পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ‘দ্য হিস্ট্রি অব দ্য স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি (১৯০২-১৯০৪) ’ প্রকাশ করেন সাংবাদিক ইডা টারবেল। ওই প্রতিবেদনে স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির সর্বগ্রাসী কৌশল ও একচেটিয়া আচরণের নমুনা উঠে আসে।
একজন ধর্মপরায়ণ ব্যাপটিস্ট হিসেবে রকফেলার ১৮৯০-এর দশক থেকে দান ও জনকল্যাণমূলক কাজে মনোনিবেশ করেন। ১৮৯৭ সালের পর তিনি পুরোপুরিভাবে জনহিতকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। ১৮৯২ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এতে ৩৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন। ছেলে জন ডি. রকফেলার জুনিয়রের সঙ্গে যৌথভাবে নিউইয়র্কে রকফেলার ইনস্টিটিউট ফর মেডিকেল রিসার্চ (পরবর্তীতে রকফেলার ইউনিভার্সিটি) এবং ১৯১৩ সালে রকফেলার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
তাঁর জীবদ্দশায় দানের মোট পরিমাণ ছিল ৫০ কোটি ডলারেরও বেশি, যা তাঁকে বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ দানবীর হিসেবে খ্যাতি দিয়েছে। ১৯৩৭ সালের ২৩ মে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ৯৮ বছর বয়সে ফ্লোরিডায় মারা যান তিনি।
রকফেলার স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বৃহৎ করপোরেট ট্রাস্ট। তিনি বিশ্বের প্রথম বিলিয়নিয়ার।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৯ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন শিল্পপতি ও স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা জন ডি রকফেলার। আধুনিক ব্যবসা ও শিল্পায়নের এই পথিকৃৎ ১৮৩৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জন্মেছিলেন। রকফেলার ছিলেন ছয় ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় এবং পরিবারের বড় ছেলে। তাঁর বাবা ছিলেন ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসক ও তথাকথিত ‘সাপের তেল’ বিক্রেতা
২৩ মে ২০২৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন শিল্পপতি ও স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা জন ডি রকফেলার। আধুনিক ব্যবসা ও শিল্পায়নের এই পথিকৃৎ ১৮৩৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জন্মেছিলেন। রকফেলার ছিলেন ছয় ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় এবং পরিবারের বড় ছেলে। তাঁর বাবা ছিলেন ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসক ও তথাকথিত ‘সাপের তেল’ বিক্রেতা
২৩ মে ২০২৫
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৯ ঘণ্টা আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

মার্কিন শিল্পপতি ও স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা জন ডি রকফেলার। আধুনিক ব্যবসা ও শিল্পায়নের এই পথিকৃৎ ১৮৩৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জন্মেছিলেন। রকফেলার ছিলেন ছয় ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় এবং পরিবারের বড় ছেলে। তাঁর বাবা ছিলেন ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসক ও তথাকথিত ‘সাপের তেল’ বিক্রেতা
২৩ মে ২০২৫
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৯ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

মার্কিন শিল্পপতি ও স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা জন ডি রকফেলার। আধুনিক ব্যবসা ও শিল্পায়নের এই পথিকৃৎ ১৮৩৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জন্মেছিলেন। রকফেলার ছিলেন ছয় ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় এবং পরিবারের বড় ছেলে। তাঁর বাবা ছিলেন ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসক ও তথাকথিত ‘সাপের তেল’ বিক্রেতা
২৩ মে ২০২৫
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৯ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে