মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য জেদ ধরেছিলেন মকবুল (১৭)। বাবা কোনোমতেই রাজি হচ্ছিলেন না। ক্ষোভে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। বাবার সামনেই হাত কাটার চেষ্টা করেছিলেন। ছেলের এমন পাগলামি দেখে বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে একটি অ্যাপাচি আরটিআর মোটরসাইকেল কিনে দেন তিনি। সেই মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে গিয়ে দুই বন্ধুসহ প্রাণ হারাল মকবুল।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার রুহলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে গেছে।
মকবুল হোসেন উপজেলার চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের বাছেদের ছেলে। নিহত অন্য দুজন একই উপজেলার মাটিকাটা এলাকার ইলিয়াসের ছেলে রাকিব (১৬) ও একই এলাকার মৃত রশিদের ছেলে আসাদুল (১৬)। তিন বন্ধুই পরিবহন শ্রমিক ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মকবুলকে বৃহস্পতিবার নতুন মোটরসাইকেল কিনে দেয় পরিবার। সেই মোটরসাইকেলে বন্ধুদের নিয়ে শুক্রবার ঘুরতে বের হয় মকবুল। নতুন মোটরসাইকেল চালাতে নিষেধ করলেও শোনেনি সে। আজ দুপুরে মকবুল তার দুই বন্ধু রাকিব ও আসাদুলকে নিয়ে ঘুরতে যায়। কষ্টাপাড়া-রুহলী সড়কের রুহলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বালুতে পিছলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি দেয়ালে সজোরে আছড়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
মকবুলের স্বজনেরা জানান, মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় হাত কেটে ফেলতে চেয়েছিল সে। বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার তাকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেওয়া হয়। মোটরসাইকেল নেওয়ার আগে তাকে বারবার নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু কারও কথা না শুনে দুই বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে লাশ হয়ে ফিরল মকবুল।
ভূঞাপুর থানার ওসি আব্দুল ওহাব মিয়া বলেন, ওই তিন কিশোর একটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিল। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দেয়ালে ধাক্কা লেগে তিনজনই নিহত হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে