Ajker Patrika

সিলেটে ব্যবসায়ী ও অটোচালকদের সংঘর্ষে গাড়ি-দোকান ভাঙচুর, আহত ২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ০৫
সিলেটে ব্যবসায়ী ও অটোচালকদের সংঘর্ষে গাড়ি-দোকান ভাঙচুর, আহত ২০

সিলেট নগরের বন্দরবাজারে ব্যবসায়ী ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের মাঝে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ আহত হয়েছেন।

সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ৩০-৩৫টি গাড়ি ও পাঁচটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রায় ঘণ্টা তিনেক সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর বেলা ৩টার দিকে পুলিশের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষকে বৈঠকে বসানো হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া বেলা ৩টা পর্যন্ত চলে। যত্রতত্র পার্কিং নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বেলা পৌনে ৩টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে থামিয়ে বৈঠকে বসানোর উদ্যোগ নেয়।

ঘটনার পর বন্দরবাজার এলাকা অবরোধ করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকেরা। বৈঠক শেষে বিকেল ৪টার দিকে তাঁরা রাস্তার অবরোধ তুলে নিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) উপকমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আলম।

বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি বলেন, ‘যত্রতত্র পার্কিং নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। আমাদের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষ বৈঠক করেছেন। ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। রাত ৮টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে আবার বৈঠক হবে। আশা করি, সেখানে সুন্দর সমাধান হবে। চালকেরা রাস্তার অবরোধ তুলে নিয়েছেন। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক। জনগণের যাতে কোনো ধরনের ভোগান্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে পুলিশ।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্দরবাজার এলাকার সিটি সুপার মার্কেটের সামনে রাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা পার্কিং ও যাত্রী ওঠানো-নামানো নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আজ বেলা ১টার দিকে মার্কেটের সামনে একটি অটোরিকশা যাত্রী নামিয়ে ভাড়া নিতে গেলে ব্যবসায়ীরা গাড়ি সরাতে বলেন।

এ সময় ওই অটোচালক ও ব্যবসায়ীদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হলে কয়েকজন অটোচালক জড়ো হয়ে ব্যবসায়ীদের দিকে মারমুখী হন এবং দুপক্ষের মাঝে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জের ধরে কিছুক্ষণ পর দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয় এবং অটোচালকেরা পিছু হটেন। এর কিছুক্ষণ পর ফের তাঁদের ধাওয়া করে বন্দরবাজার ছাড়া করেন ব্যবসায়ীরা।

সে সময় অজস্র ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন ব্যবসায়ীরা। হাতাহাতি, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় সিটি মার্কেটের পাঁচটি দোকান, প্রাইভেট কার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ৩০-৩৫টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে উভয় পক্ষের ১৫-২০ জন আহত হন।

ব্যবসায়ী ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের সংঘর্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা ব্যবসায়ী সাঈদ বলেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সিটি মার্কেটের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা পার্কিং ও যাত্রী ওঠানো-নামানো না করতে নিষেধ করছেন। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষও দিয়েছে এমন নির্দেশনা।

তিনি বলেন, কোনো নির্দেশনা না মেনে চালকেরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সিটি মার্কেট, সিটি করপোরেশন, কুদরত উল্লাহ মসজিদ মার্কেট ও পোস্ট অফিসের সামনে সড়ক দখল করে পার্কিং করে রাখে, করে যাত্রী ওঠানামা। প্রথমে সবজিওয়ালারা, তারপর সিএনজিওয়ালা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে এসব করে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আজ কথা বলতে গেলে চালকেরা মারমুখী আচরণ করে এবং ব্যবসায়ীকে মারধর করে সিটি মার্কেটের পাঁচটি দোকান ভাঙচুর করেন।

ব্যবসায়ী ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের সংঘর্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা অপর দিকে চালক মো. জুয়েল আহমদ বলেন, ‘সিটি মার্কেটের একটি দোকানের সামনে গাড়ি দাঁড় করলে দোকানদার সরাতে বলেন। তখন সামনের গাড়ি সরলে তিনি সরে যাবেন বলে জানান। এ সময় হঠাৎ এই ব্যবসায়ী গাড়ির ওপর ময়লা পানি ফেলে দেন। তখন কথা-কাটাকাটি, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, মারামারি শুরু হয়। আমরা বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়েছিলাম। এরই মাঝে ব্যবসায়ীরা তাঁদের ওপর হামলা করেছেন। এর সঠিক বিচার চাই আমরা।’

এসএমপির উপকমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সংঘর্ষ পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় উভয় পক্ষের ৮–১০ জন আহত হয়েছেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ৩০-৩৫টি গাড়ি ও ৫টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

খুলনা প্রতিনিধি
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।

এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।

এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেইলি স্টারে লুটপাট-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৩৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) তেজগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। দ্য ডেইলি স্টারের হেড অব অপারেশনস মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ২০২৫ সালের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অধীনে এ মামলা দাখিল করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টা ২৫ মিনিট থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দ্য ডেইলি স্টার ভবনের সামনে বিপুলসংখ্যক লোক দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে সমবেত হয়। তারা পত্রিকাটির বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী স্লোগান দিতে থাকে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্টের মাধ্যমে হামলার আহ্বান জানায়।

রাত আনুমানিক ১২টা ৩৫ মিনিটে হামলাকারীরা সাংবাদিক ও কর্মচারীদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে ভবনের মূল গেট ও কাচের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। ভবনের বিভিন্ন তলা পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বহু আসবাব নিচে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এজাহারে বলা হয়, হামলায় ভবনের ভেতরে থাকা দুই শতাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, সার্ভার, প্রিন্টার, স্টুডিও সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নষ্ট হয়, যার আনুমানিক মূল্য পাঁচ কোটি টাকা। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের লকারে থাকা প্রায় ৩৫ লাখ টাকা লুট করা হয়। ভবনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, লিফট, সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম ও বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনেও ক্ষতি করা হয়।

আসামিদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ফলে ‘দ্য ডেইলি স্টার ভবনে’ সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের আনুমানিক মূল্য ৪০,০০,০০,০০০ (চল্লিশ কোটি টাকা)। যাচাই-বাছাই শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের হিসাব আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

সন্ত্রাসীদের হামলা ও অগ্নিসংযোগে দ্য ডেইলি স্টারের তৃতীয় তলায় স্টোরে সংরক্ষিত হিসাব বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নথি, জাতীয় রাজস্ব বিভাগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর-সম্পর্কিত যাবতীয় নথি এবং নিউজ পেপার আর্কাইভস পুড়িয়ে ভস্মীভূত করা হয় বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

হামলার সময় প্রমাণ নষ্টের উদ্দেশ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয় এবং ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে বাধা দেওয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ অভিযানে ভবনের ভেতর থেকে অন্তত ৩০ জন কর্মীকে উদ্ধার করা হয়।

সন্ত্রাসীদের হামলার কারণে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায় এবং ১৯ ডিসেম্বর পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। অনলাইন কার্যক্রম ১৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল।

মামলার এজাহারে ডেইলি স্টার জানিয়েছে, এই হামলার সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন মিডিয়ার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈনু মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডফোন কানে রেললাইনে যুবক, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত

ফেনী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল্লাহ আল নাহিদ (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাহিদ সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ এলাকার দেবীপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।  

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামগামী সাগরিকা ট্রেনটি উত্তর শিবপুর এলাকা অতিক্রম করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপক দেওয়ান বলেন, নিহত যুবক হেডফোন কানে রেললাইনে হাঁটছিলেন। পরে চট্টগ্রামগামী ট্রেনটি তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে রেললাইনের এক পাশে ছিটকে পড়েন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গণঅধিকার পরিষদ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত
হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড়ে একটি ড্রেজার থেকে হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৩০) নামের গণঅধিকার পরিষদের এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাড়ামোহনপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নিহত হাফিজুল ইসলাম ওই উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামের মৃত কমল মুন্সীর ছেলে। তিনি গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর আড়কান্দি ও পাড়ামোহনপুরসহ আশপাশের এলাকায় নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধের পাশে বালুর ব্যবসা চলছিল। হাফিজুল ইসলামও ওই কাজে যুক্ত ছিলেন। রোববার রাতে একটি ড্রেজারের বাল্কহেডের ইঞ্জিন অংশে চার সহযোগীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হলে এনায়েতপুর থানা-পুলিশ ও চৌহালী নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল প্রামাণিক জানান, নদীভাঙনে বসতভিটা হারানোর পর হাফিজুল ইসলাম ঢাকায় চাকরি করতেন। কয়েক মাস আগে এলাকায় ফিরে এসে তিনি বালুর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি নিজেকে গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন।

এ বিষয়ে চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফিরোজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত