জবি সংবাদদাতা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ আগস্ট আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের লড়াকু বীর ইকরামুল হক সাজিদ দীর্ঘ যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষার পর শহীদ হন। আমরা তাঁর মহান আত্মত্যাগকে স্মরণ করছি। একই সঙ্গে স্মরণ করছি আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, তানভিন, ফাহাদসহ সব শহীদকে। যাঁদের তাজা রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি কাঙ্ক্ষিত বিজয়। আমরা সকলের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা এই আত্মত্যাগকে অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে দেবেন না।
কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বুঝতে পারি, শুধু কোটার সংস্কারই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন রাষ্ট্র সংস্কার। দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকারত্বের যে সংকট, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোটা পদ্ধতিতে সামান্যতম সংস্কার চেয়েছিলাম। কিন্তু এই সামান্য চাওয়া পূরণ করতে শত শত জীবন দিতে হলো, হাজারো মানুষ আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করল। হাসিনা রেজিম এই সামান্য চাওয়া দমন করতে গুলি ছুড়ল স্নাইপার ও হেলিকপ্টার থেকে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিল, কারফিউ জারি করল ও রাস্তায় সেনাবাহিনী নামিয়ে দিল। শেষ পর্যন্ত কোটা আন্দোলন পরিণত হলো ছাত্র-জনতার অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনে। হয় হাসিনা নয় ছাত্র-জনতা। দেশের মানুষের মধ্যে এক গণ-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হলো—এই দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য। অবশেষে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিশাল আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালায়। আমরা হলাম জুলাই অভ্যুত্থানের সাক্ষী।
সারা দেশে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’–এর নেতৃত্বে যে সংগ্রাম সংগঠিত হলো, তার অংশীদার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। এই সংগ্রামে ১৫ জুলাই আমাদের অনেকেই গুরুতর আহত হয়, ১৬ জুলাই সন্ত্রাসীদের দ্বারা অনিক-ফেরদৌসসহ ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়, ১৯ জুলাই আটক হয় আমাদের সহযোদ্ধা নুর নবী, ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হওয়া সাজিদ সবশেষ শহীদী পরিচয় বরণ করে নেন। গুলিতে অনিকের খাদ্যনালি ছিঁড়েছে, নুর নবীকে ডিবি হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, লক্ষ্মীবাজারে শিক্ষার্থীদের ওপর ছোড়া হয়েছে লাইভ বুলেট। আমরা যেন এসব গল্প ভুলে না যাই।
এসব নিপীড়ন প্রতিরোধ করতে যে রক্তক্ষয় হয়েছে, তার যথার্থ মূল্যায়ন হবে আন্দোলনের যে গণ-আকাঙ্ক্ষা তার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে। গত ১৬ বছরে সৃষ্ট ত্রাসের রাজত্বকে ধূলিসাৎ করে রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের মধ্য দিয়ে একমাত্র এর মূল্যায়ন সম্ভব। যে ফ্যাসিস্টের হুকুমে এত প্রাণ ঝরে গেল, তার বিচার নিশ্চিত করার গুরুদায়িত্ব এখনো বাকি। এর মধ্যেই সারা দেশে একটা সূক্ষ্ম অস্থিরতা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা এখনো রাস্তায়, দেশজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা অকার্যকর। দেশ স্থিতিশীল হতে আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে। এ সময় এমন কিছু করা উচিত হবে না, যা আমাদের আন্দোলনের স্পিরিটকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এ রকম সময়ে আমরা লক্ষ করছি, সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অথবা আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও এর ব্যতিক্রম নয়। ৫ আগস্টের পর থেকেই অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে, যার দায় এসে পড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে এমন অনেক কাজ করা হয়েছে, যার সঙ্গে আন্দোলনকারী ‘সমন্বয়ক‘ হিসেবে পরিচিত অনেকেরই কোনো প্রকারের সম্পৃক্ততা নেই। আমরা এসব কর্মকাণ্ডকে প্রত্যাখ্যান করছি। কিছু ঘটনা আমরা উল্লেখ করছি—
বিজয় অর্জনের পর এখন পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ২৭ জন সমন্বয়কের অধিকাংশের উপস্থিতিতে কোনো প্রকার সভায় বসা সম্ভব হয়নি। যখনই বসার চেষ্টা করা হয়েছে, সেটা নানাভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন মাসুদ রানা ও নূর নবী। অথচ কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়াই একের পর এক কর্মসূচি আর দাবি এই ব্যানার থেকে উত্থাপন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নূর নবীর স্বেচ্ছাচারিতা অনেক বেশি লক্ষণীয়। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ‘আমি যা বলব তা-ই হবে’ এমন বচনভঙ্গি অনেককেই মনঃক্ষুণ্ন করেছে।
মতবিনিময় সভার নামে ১১ আগস্ট যে ‘মব ট্রায়াল’–এর আয়োজন করা হয়েছে। আমরা তা সমর্থন করি না। ‘গোপন নথি গায়েব করা হচ্ছে’ বলে যেভাবে শিক্ষার্থীদের উসকে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নাসির উদ্দীন আহমদ স্যারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। এরপর যখন আমরা সবাই একমত হই, তিনজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে শিক্ষকেরা নথিগুলো যাচাই করবে—তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু বকর, নূর নবীর নির্দেশে ভিসি ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। অথচ, আপনাদের মনে আছে, সেই নথিগুলোর মধ্যে নাসির স্যারের ‘জয়েনিং লেটার’ ছিল। যাতে দ্রুত ভিসির স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল। তাহলে, নূর নবী-আবু বকরদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে এ রকম হঠকারী পদক্ষেপের উদ্দেশ্য কী?
আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রেজিমের পক্ষ নিয়ে যেই প্রশাসন আমাদের আন্দোলনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল, সেই প্রশাসনের পদত্যাগ ছিল ছাত্রদের দাবি। তার পরিপ্রেক্ষিতে ভিসি, রেজিস্ট্রারসহ সম্পূর্ণ প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করে। কিন্তু সন্দেহের উদ্রেক হয় তখনই, যখন ট্রেজারারের পদত্যাগের প্রশ্নে এই সমন্বয়কেরা ভিন্ন সুরে কথা বলে। তাঁরা ট্রেজারারকে বহাল তবিয়ত রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট হয়। এমনকি কনফারেন্স রুমে সব ডিপার্টমেন্টের চেয়ারপারসনদের উপস্থিতিতে গুটিকয়েক সমন্বয়ক ট্রেজারারের গুণকীর্তন শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু বকর এবং ১৪ ব্যাচের রিয়াজুল ইসলামের বক্তব্যগুলো লক্ষ্য করলে সবাই বুঝতে পারবেন, তাঁরা বিভিন্ন কৌশলে কতিপয় শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে নানা ধরনের চাটুকারিতার আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা স্পষ্ট করতে চাই, এই ব্যক্তিদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
সমন্বয়কদের মধ্যে কোনো রকমে আলোচনা ছাড়াই মব ট্রায়ালের মাধ্যমে একটা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে, যার নজির সারা দেশে আর কোনো ইউনিটে নেই। সমন্বয়কদের আবার উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের প্রয়োজন পড়ল কেন? আর কাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে এই উপদেষ্টা পরিষদ? মুন্না, জসীম, শাহিন আলম শানসহ যেসব ব্যক্তি উপদেষ্টা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন, আন্দোলনে তাঁদের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত। ১১ জুলাইয়ের কথা মনে আছে তো? সেদিন কুমিল্লায় গুলি ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি হামলা চলে। ওই দিন প্রক্টরিয়াল বডির সামান্য হুমকির মুখে এই ব্যক্তিরাই মিছিল স্থগিতের ঘোষণা দেন। তারপর জুনিয়র শিক্ষার্থীরা তাঁদের নেতৃত্ব অমান্য করে ক্যাম্পাসের গেট ভেঙে মিছিল নিয়ে শাহবাগে যান। ফলে এই সুযোগ সন্ধানী শক্তির উপদেষ্টা পরিষদ আমরা কখনোই সমর্থন করিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও অন্যতম সমন্বয়ক মাসুদ রানার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ও স্বেচ্ছাচারিতা লক্ষ করা যায়। তাঁকে এমন কথা বলতে শোনা গেছে, ‘জকসু নির্বাচনে আমি ভিপি পদে দাঁড়াব। সমন্বয়কদের মধ্যে যাদের শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে। ওরা থাকলে আমি ভোট পাব? আমি ১০-১২ দিনের মধ্যেই এই সমন্বয়ক কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি দিয়ে ওদের বের করে দেব।’ সমন্বয়কদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই ছাত্রলীগের অনুগতদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও নতুন কমিটি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত মাসুদ রানার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে কি না আমরা সেই প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি।
দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জবির ‘হল উদ্ধার আন্দোলন’ একটা আত্মঘাতী কর্মসূচি বলেই আমরা মনে করি। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার স্থানীয় ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে, যা মোটেই কাম্য নয়। অথচ নূর নবীর পরিচালনায় সমন্বয়কদের একাংশ, আবু বকর, রিয়াজসহ বিতর্কিত উপদেষ্টা পরিষদ মিলে এই অযৌক্তিক কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। পরবর্তীকালে এর পেছনে কিছু শিক্ষকের দুরভিসন্ধিমূলক আচরণ আমাদের সবার সামনে উন্মোচিত হয়। এ ছাড়া নিয়মবহির্ভূতভাবে রেজিস্ট্রার নিয়োগের বিষয়েও এসব ব্যক্তি ও কিছু শিক্ষকদের দুরভিসন্ধি কারোরই চোখ এড়ায়নি। এসব ঘটনার পরও এই মানুষগুলোর ওপর আস্থা রাখা যায় কীভাবে?
১৫ আগস্ট রাতে ক্যাম্পাসে সমন্বয়ক নূর নবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলেন। ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে ক্যাম্পাসে ঢুকিয়েছেন। একই সঙ্গে সেই ছাত্রলীগ কর্মীকেও বেধড়ক পেটানো হয়। আমরা বলতে চাই, এই আচরণের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের গত ১৬ বছরের কর্মকাণ্ডের কোনো পার্থক্য আছে কি? যেখানে সারা দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান করা হয়েছে কোনো প্রকারের সহিংসতায় না জড়াতে, সেখানে একজন সমন্বয়কের এমন আচরণ কোনোভাবেই আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না বলে আমরা মনে করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহিন আলম শান বর্তমানে বেশ সক্রিয়ভাবে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছেন। এই শাহিন আলম শান আন্দোলন চলাকালে আমাদের মাঝপথে রেখে চলে গিয়েছিল এবং নূর নবীর আটকের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সে নূর নবীর প্রতি শিবির সন্দেহ পোষণ করে অনাস্থা জানায়। নূর নবী জেল থেকে বেরিয়ে অভিযোগ তুলেছিল, শাহিন আলম শানই ডিবির কাছে আমাদের সব ম্যাসেজ ও তথ্য ফাঁস করেন। শাহিন আলম শান আন্দোলনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল মুহূর্তে আন্দোলন ছেড়ে চলে যান। এমনকি বিজয় অর্জনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে জায়গা না পেয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’ নামক ভুঁইফোড় প্ল্যাটফর্ম খুলে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে। এত কিছুর পর কী করে শিক্ষার্থীরা তাঁর ওপর আস্থা রাখবে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফরহাদ ভূঁইয়াকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে পুরান ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মামলা-মোকদ্দমা, জমিসংক্রান্ত বিষয়ে বিচার-সালিস করতে দেখা গেছে। আমরা এ ধরনের অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ড সমর্থন করি না। আমরা মনে করি, দেশ গঠন প্রক্রিয়ায় নতুন প্রশাসনই সব দায়িত্ব নেবে, এগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের এখতিয়ার বহির্ভূত। বরং এসব কর্মকাণ্ডে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
সমন্বয়কদের কোনো প্রকার পরামর্শ ছাড়াই ডিসি অফিসে বসে আবু বকরের মধ্যস্থতায় একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই লিয়াজোঁ কমিটির প্রয়োজনীয়তা কী? ডিসি অফিসে এ রকম লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের নজির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে অন্য কোথাও নেই। গঠনকৃত এই লিয়াজোঁ কমিটির উদ্দেশ্য ও স্বার্থ কী? আমরা মনে করি, এর মাধ্যমে কতিপয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সুবিধাভোগ ছাড়া ফলপ্রসূ কোনো কর্মকাণ্ড সম্পাদন সম্ভব নয়।
এ ঘটনাগুলো সবাইকে ভালো করে লক্ষ করার অনুরোধ করছি। ৫ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে কোনো কর্মসূচি কি আদৌ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে গ্রহণ করা হয়েছে না কি শুধু কতিপয় গোষ্ঠীর স্বার্থে এবং প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে করা হয়েছে—সেই প্রশ্ন উত্থাপন করতে সবাইকে আহ্বান করছি।
সবশেষে বলতে চাই, মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় প্রশ্নবিদ্ধ হোক, এটা আমরা কখনো চাইনি। ১৬ বছরের ভয়ের সংস্কৃতি ভেঙে সবাই যখন ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে দাঁড়াতে পারছি, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সংকট দূরীকরণে সম্মিলিতভাবে কাজ করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। যেসব ঘটনা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাধা হয়ে এসেছে, তা সবার সামনে আমরা উত্থাপন করছি। বিচার করার দায়িত্ব সবার। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাপর সব বৈষম্যের, নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা সোচ্চার ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।
এ বিষয়ে সমন্বয়ক কিশোর সাম্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করা হয়েছে, আমরা মনে করি, এই প্ল্যাটফর্ম এসব সমর্থন করে না। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে প্ল্যাটফর্মটি গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। তাই আমরা মনে করছি, এই সময়ে এসে এই প্ল্যাটফর্মের আর প্রয়োজনীয়তা থাকছে না। আমরা আসলে কী ঘটেছে, ঘটছে—সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহির জায়গা থাকে। আর আমরা এই প্ল্যাটফর্মে থাকছি না—এটা ক্লিয়ার। কারণ, এখানে এখন পেশিশক্তির ব্যবহার হচ্ছে। যে পেশিশক্তির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছিলাম।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ আগস্ট আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের লড়াকু বীর ইকরামুল হক সাজিদ দীর্ঘ যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষার পর শহীদ হন। আমরা তাঁর মহান আত্মত্যাগকে স্মরণ করছি। একই সঙ্গে স্মরণ করছি আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, তানভিন, ফাহাদসহ সব শহীদকে। যাঁদের তাজা রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি কাঙ্ক্ষিত বিজয়। আমরা সকলের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা এই আত্মত্যাগকে অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে দেবেন না।
কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বুঝতে পারি, শুধু কোটার সংস্কারই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন রাষ্ট্র সংস্কার। দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকারত্বের যে সংকট, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোটা পদ্ধতিতে সামান্যতম সংস্কার চেয়েছিলাম। কিন্তু এই সামান্য চাওয়া পূরণ করতে শত শত জীবন দিতে হলো, হাজারো মানুষ আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করল। হাসিনা রেজিম এই সামান্য চাওয়া দমন করতে গুলি ছুড়ল স্নাইপার ও হেলিকপ্টার থেকে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিল, কারফিউ জারি করল ও রাস্তায় সেনাবাহিনী নামিয়ে দিল। শেষ পর্যন্ত কোটা আন্দোলন পরিণত হলো ছাত্র-জনতার অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনে। হয় হাসিনা নয় ছাত্র-জনতা। দেশের মানুষের মধ্যে এক গণ-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হলো—এই দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য। অবশেষে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিশাল আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালায়। আমরা হলাম জুলাই অভ্যুত্থানের সাক্ষী।
সারা দেশে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’–এর নেতৃত্বে যে সংগ্রাম সংগঠিত হলো, তার অংশীদার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। এই সংগ্রামে ১৫ জুলাই আমাদের অনেকেই গুরুতর আহত হয়, ১৬ জুলাই সন্ত্রাসীদের দ্বারা অনিক-ফেরদৌসসহ ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়, ১৯ জুলাই আটক হয় আমাদের সহযোদ্ধা নুর নবী, ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হওয়া সাজিদ সবশেষ শহীদী পরিচয় বরণ করে নেন। গুলিতে অনিকের খাদ্যনালি ছিঁড়েছে, নুর নবীকে ডিবি হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, লক্ষ্মীবাজারে শিক্ষার্থীদের ওপর ছোড়া হয়েছে লাইভ বুলেট। আমরা যেন এসব গল্প ভুলে না যাই।
এসব নিপীড়ন প্রতিরোধ করতে যে রক্তক্ষয় হয়েছে, তার যথার্থ মূল্যায়ন হবে আন্দোলনের যে গণ-আকাঙ্ক্ষা তার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে। গত ১৬ বছরে সৃষ্ট ত্রাসের রাজত্বকে ধূলিসাৎ করে রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের মধ্য দিয়ে একমাত্র এর মূল্যায়ন সম্ভব। যে ফ্যাসিস্টের হুকুমে এত প্রাণ ঝরে গেল, তার বিচার নিশ্চিত করার গুরুদায়িত্ব এখনো বাকি। এর মধ্যেই সারা দেশে একটা সূক্ষ্ম অস্থিরতা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা এখনো রাস্তায়, দেশজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা অকার্যকর। দেশ স্থিতিশীল হতে আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে। এ সময় এমন কিছু করা উচিত হবে না, যা আমাদের আন্দোলনের স্পিরিটকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এ রকম সময়ে আমরা লক্ষ করছি, সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অথবা আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও এর ব্যতিক্রম নয়। ৫ আগস্টের পর থেকেই অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে, যার দায় এসে পড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে এমন অনেক কাজ করা হয়েছে, যার সঙ্গে আন্দোলনকারী ‘সমন্বয়ক‘ হিসেবে পরিচিত অনেকেরই কোনো প্রকারের সম্পৃক্ততা নেই। আমরা এসব কর্মকাণ্ডকে প্রত্যাখ্যান করছি। কিছু ঘটনা আমরা উল্লেখ করছি—
বিজয় অর্জনের পর এখন পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ২৭ জন সমন্বয়কের অধিকাংশের উপস্থিতিতে কোনো প্রকার সভায় বসা সম্ভব হয়নি। যখনই বসার চেষ্টা করা হয়েছে, সেটা নানাভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন মাসুদ রানা ও নূর নবী। অথচ কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়াই একের পর এক কর্মসূচি আর দাবি এই ব্যানার থেকে উত্থাপন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নূর নবীর স্বেচ্ছাচারিতা অনেক বেশি লক্ষণীয়। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ‘আমি যা বলব তা-ই হবে’ এমন বচনভঙ্গি অনেককেই মনঃক্ষুণ্ন করেছে।
মতবিনিময় সভার নামে ১১ আগস্ট যে ‘মব ট্রায়াল’–এর আয়োজন করা হয়েছে। আমরা তা সমর্থন করি না। ‘গোপন নথি গায়েব করা হচ্ছে’ বলে যেভাবে শিক্ষার্থীদের উসকে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নাসির উদ্দীন আহমদ স্যারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। এরপর যখন আমরা সবাই একমত হই, তিনজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে শিক্ষকেরা নথিগুলো যাচাই করবে—তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু বকর, নূর নবীর নির্দেশে ভিসি ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। অথচ, আপনাদের মনে আছে, সেই নথিগুলোর মধ্যে নাসির স্যারের ‘জয়েনিং লেটার’ ছিল। যাতে দ্রুত ভিসির স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল। তাহলে, নূর নবী-আবু বকরদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে এ রকম হঠকারী পদক্ষেপের উদ্দেশ্য কী?
আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রেজিমের পক্ষ নিয়ে যেই প্রশাসন আমাদের আন্দোলনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল, সেই প্রশাসনের পদত্যাগ ছিল ছাত্রদের দাবি। তার পরিপ্রেক্ষিতে ভিসি, রেজিস্ট্রারসহ সম্পূর্ণ প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করে। কিন্তু সন্দেহের উদ্রেক হয় তখনই, যখন ট্রেজারারের পদত্যাগের প্রশ্নে এই সমন্বয়কেরা ভিন্ন সুরে কথা বলে। তাঁরা ট্রেজারারকে বহাল তবিয়ত রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট হয়। এমনকি কনফারেন্স রুমে সব ডিপার্টমেন্টের চেয়ারপারসনদের উপস্থিতিতে গুটিকয়েক সমন্বয়ক ট্রেজারারের গুণকীর্তন শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু বকর এবং ১৪ ব্যাচের রিয়াজুল ইসলামের বক্তব্যগুলো লক্ষ্য করলে সবাই বুঝতে পারবেন, তাঁরা বিভিন্ন কৌশলে কতিপয় শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে নানা ধরনের চাটুকারিতার আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা স্পষ্ট করতে চাই, এই ব্যক্তিদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
সমন্বয়কদের মধ্যে কোনো রকমে আলোচনা ছাড়াই মব ট্রায়ালের মাধ্যমে একটা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে, যার নজির সারা দেশে আর কোনো ইউনিটে নেই। সমন্বয়কদের আবার উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের প্রয়োজন পড়ল কেন? আর কাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে এই উপদেষ্টা পরিষদ? মুন্না, জসীম, শাহিন আলম শানসহ যেসব ব্যক্তি উপদেষ্টা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন, আন্দোলনে তাঁদের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত। ১১ জুলাইয়ের কথা মনে আছে তো? সেদিন কুমিল্লায় গুলি ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি হামলা চলে। ওই দিন প্রক্টরিয়াল বডির সামান্য হুমকির মুখে এই ব্যক্তিরাই মিছিল স্থগিতের ঘোষণা দেন। তারপর জুনিয়র শিক্ষার্থীরা তাঁদের নেতৃত্ব অমান্য করে ক্যাম্পাসের গেট ভেঙে মিছিল নিয়ে শাহবাগে যান। ফলে এই সুযোগ সন্ধানী শক্তির উপদেষ্টা পরিষদ আমরা কখনোই সমর্থন করিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও অন্যতম সমন্বয়ক মাসুদ রানার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ও স্বেচ্ছাচারিতা লক্ষ করা যায়। তাঁকে এমন কথা বলতে শোনা গেছে, ‘জকসু নির্বাচনে আমি ভিপি পদে দাঁড়াব। সমন্বয়কদের মধ্যে যাদের শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে। ওরা থাকলে আমি ভোট পাব? আমি ১০-১২ দিনের মধ্যেই এই সমন্বয়ক কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি দিয়ে ওদের বের করে দেব।’ সমন্বয়কদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই ছাত্রলীগের অনুগতদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও নতুন কমিটি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত মাসুদ রানার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে কি না আমরা সেই প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি।
দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জবির ‘হল উদ্ধার আন্দোলন’ একটা আত্মঘাতী কর্মসূচি বলেই আমরা মনে করি। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার স্থানীয় ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে, যা মোটেই কাম্য নয়। অথচ নূর নবীর পরিচালনায় সমন্বয়কদের একাংশ, আবু বকর, রিয়াজসহ বিতর্কিত উপদেষ্টা পরিষদ মিলে এই অযৌক্তিক কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। পরবর্তীকালে এর পেছনে কিছু শিক্ষকের দুরভিসন্ধিমূলক আচরণ আমাদের সবার সামনে উন্মোচিত হয়। এ ছাড়া নিয়মবহির্ভূতভাবে রেজিস্ট্রার নিয়োগের বিষয়েও এসব ব্যক্তি ও কিছু শিক্ষকদের দুরভিসন্ধি কারোরই চোখ এড়ায়নি। এসব ঘটনার পরও এই মানুষগুলোর ওপর আস্থা রাখা যায় কীভাবে?
১৫ আগস্ট রাতে ক্যাম্পাসে সমন্বয়ক নূর নবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলেন। ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে ক্যাম্পাসে ঢুকিয়েছেন। একই সঙ্গে সেই ছাত্রলীগ কর্মীকেও বেধড়ক পেটানো হয়। আমরা বলতে চাই, এই আচরণের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের গত ১৬ বছরের কর্মকাণ্ডের কোনো পার্থক্য আছে কি? যেখানে সারা দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান করা হয়েছে কোনো প্রকারের সহিংসতায় না জড়াতে, সেখানে একজন সমন্বয়কের এমন আচরণ কোনোভাবেই আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না বলে আমরা মনে করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহিন আলম শান বর্তমানে বেশ সক্রিয়ভাবে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছেন। এই শাহিন আলম শান আন্দোলন চলাকালে আমাদের মাঝপথে রেখে চলে গিয়েছিল এবং নূর নবীর আটকের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সে নূর নবীর প্রতি শিবির সন্দেহ পোষণ করে অনাস্থা জানায়। নূর নবী জেল থেকে বেরিয়ে অভিযোগ তুলেছিল, শাহিন আলম শানই ডিবির কাছে আমাদের সব ম্যাসেজ ও তথ্য ফাঁস করেন। শাহিন আলম শান আন্দোলনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল মুহূর্তে আন্দোলন ছেড়ে চলে যান। এমনকি বিজয় অর্জনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে জায়গা না পেয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’ নামক ভুঁইফোড় প্ল্যাটফর্ম খুলে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে। এত কিছুর পর কী করে শিক্ষার্থীরা তাঁর ওপর আস্থা রাখবে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফরহাদ ভূঁইয়াকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে পুরান ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মামলা-মোকদ্দমা, জমিসংক্রান্ত বিষয়ে বিচার-সালিস করতে দেখা গেছে। আমরা এ ধরনের অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ড সমর্থন করি না। আমরা মনে করি, দেশ গঠন প্রক্রিয়ায় নতুন প্রশাসনই সব দায়িত্ব নেবে, এগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের এখতিয়ার বহির্ভূত। বরং এসব কর্মকাণ্ডে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
সমন্বয়কদের কোনো প্রকার পরামর্শ ছাড়াই ডিসি অফিসে বসে আবু বকরের মধ্যস্থতায় একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই লিয়াজোঁ কমিটির প্রয়োজনীয়তা কী? ডিসি অফিসে এ রকম লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের নজির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে অন্য কোথাও নেই। গঠনকৃত এই লিয়াজোঁ কমিটির উদ্দেশ্য ও স্বার্থ কী? আমরা মনে করি, এর মাধ্যমে কতিপয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সুবিধাভোগ ছাড়া ফলপ্রসূ কোনো কর্মকাণ্ড সম্পাদন সম্ভব নয়।
এ ঘটনাগুলো সবাইকে ভালো করে লক্ষ করার অনুরোধ করছি। ৫ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে কোনো কর্মসূচি কি আদৌ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে গ্রহণ করা হয়েছে না কি শুধু কতিপয় গোষ্ঠীর স্বার্থে এবং প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে করা হয়েছে—সেই প্রশ্ন উত্থাপন করতে সবাইকে আহ্বান করছি।
সবশেষে বলতে চাই, মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় প্রশ্নবিদ্ধ হোক, এটা আমরা কখনো চাইনি। ১৬ বছরের ভয়ের সংস্কৃতি ভেঙে সবাই যখন ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে দাঁড়াতে পারছি, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সংকট দূরীকরণে সম্মিলিতভাবে কাজ করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। যেসব ঘটনা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাধা হয়ে এসেছে, তা সবার সামনে আমরা উত্থাপন করছি। বিচার করার দায়িত্ব সবার। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাপর সব বৈষম্যের, নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা সোচ্চার ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।
এ বিষয়ে সমন্বয়ক কিশোর সাম্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করা হয়েছে, আমরা মনে করি, এই প্ল্যাটফর্ম এসব সমর্থন করে না। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে প্ল্যাটফর্মটি গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। তাই আমরা মনে করছি, এই সময়ে এসে এই প্ল্যাটফর্মের আর প্রয়োজনীয়তা থাকছে না। আমরা আসলে কী ঘটেছে, ঘটছে—সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহির জায়গা থাকে। আর আমরা এই প্ল্যাটফর্মে থাকছি না—এটা ক্লিয়ার। কারণ, এখানে এখন পেশিশক্তির ব্যবহার হচ্ছে। যে পেশিশক্তির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছিলাম।

পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে ময়মনসিংহ নগরীর নিজ বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর বাঘমারা ওই আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
২৪ মিনিট আগে
চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
৪১ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে ময়মনসিংহ নগরীর নিজ বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর বাঘমারা ওই আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজু। তিনি ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
নিহতের ভাই কাজী শিপলু বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ আমার ভাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। পুলিশ আমাদের বাসার এসে গেট খুলতে বলে। পরে আমার ভাই রাজু বিষয়টি টের পেয়ে গ্রেপ্তার এড়াতে দোতলা বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার সময় বেলকনির সঙ্গে মাথায় আঘাত লাগে।
‘এতে রাজু গুরুতর আহত হন। পুলিশ চলে গেলে আশপাশের লোকজন রাজুকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজনকে খবর দেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
‘সেখান থেকে পরিবারের লোকজন স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা রাজুকে আইসিইউতে রাখেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’
রাজুর স্ত্রী সাথী জানান, ৮-১০ বছর ধরে রাজু রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি রাজনীতি থেকে সরে আসেন। তাঁর নামে কোনো মামলাও নেই। বিগত ৫ আগস্টের পর তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিলেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজুর বাসায় অভিযান পরিচালনা করে। ওই বাসার কলাপসিবল গেটে পুলিশ নক করে। তবে, কেউ গেট না খোলায় পুলিশ ফিরে আসে। পরে সেখানে কী হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’

পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে ময়মনসিংহ নগরীর নিজ বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর বাঘমারা ওই আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজু। তিনি ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
নিহতের ভাই কাজী শিপলু বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ আমার ভাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। পুলিশ আমাদের বাসার এসে গেট খুলতে বলে। পরে আমার ভাই রাজু বিষয়টি টের পেয়ে গ্রেপ্তার এড়াতে দোতলা বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার সময় বেলকনির সঙ্গে মাথায় আঘাত লাগে।
‘এতে রাজু গুরুতর আহত হন। পুলিশ চলে গেলে আশপাশের লোকজন রাজুকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজনকে খবর দেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
‘সেখান থেকে পরিবারের লোকজন স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা রাজুকে আইসিইউতে রাখেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’
রাজুর স্ত্রী সাথী জানান, ৮-১০ বছর ধরে রাজু রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি রাজনীতি থেকে সরে আসেন। তাঁর নামে কোনো মামলাও নেই। বিগত ৫ আগস্টের পর তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিলেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজুর বাসায় অভিযান পরিচালনা করে। ওই বাসার কলাপসিবল গেটে পুলিশ নক করে। তবে, কেউ গেট না খোলায় পুলিশ ফিরে আসে। পরে সেখানে কী হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
১৭ আগস্ট ২০২৪
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
২৪ মিনিট আগে
চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
৪১ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের কংশপুরা গ্রামে মো. জহির ও খলিলুর রহমানের লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
টেঁটাবিদ্ধ সিরাজদিখান থানার এসআই হাফিজুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকি আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাটি কাটা নিয়ে কংশপুরা গ্রামের খলিলুর রহমান ও পূর্ব রামকৃষ্ণদি গ্রামের মো. জহিরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কংশপুরা গ্রামে দুই পক্ষের লোকজন টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় উভয় পক্ষের কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। সংঘর্ষ থামাতে সিরাজদিখান থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে এসআই হাফিজুর হাতে টেঁটাবিদ্ধ হন। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জাহানারা আক্তার বলেন, পুলিশের এসআইয়ের ডান হাতে টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢামেকে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘জহিরের অবৈধ মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়ায় লোকজন নিয়ে আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করা হয়েছে। আমার কয়েকজন লোক টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।’
এদিকে মো. জহির বলেন, ‘খলিলের সঙ্গে আমার বিরোধ অনেক আগের। আজকের ঘটনায় আমি জড়িত নই।’
লতব্দী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন খান খোকন বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কাটা ও ভরাটকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আজকের ঘটনায় কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে মামলা দায়ের করা হবে।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের কংশপুরা গ্রামে মো. জহির ও খলিলুর রহমানের লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
টেঁটাবিদ্ধ সিরাজদিখান থানার এসআই হাফিজুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকি আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাটি কাটা নিয়ে কংশপুরা গ্রামের খলিলুর রহমান ও পূর্ব রামকৃষ্ণদি গ্রামের মো. জহিরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কংশপুরা গ্রামে দুই পক্ষের লোকজন টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় উভয় পক্ষের কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। সংঘর্ষ থামাতে সিরাজদিখান থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে এসআই হাফিজুর হাতে টেঁটাবিদ্ধ হন। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জাহানারা আক্তার বলেন, পুলিশের এসআইয়ের ডান হাতে টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢামেকে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘জহিরের অবৈধ মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়ায় লোকজন নিয়ে আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করা হয়েছে। আমার কয়েকজন লোক টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।’
এদিকে মো. জহির বলেন, ‘খলিলের সঙ্গে আমার বিরোধ অনেক আগের। আজকের ঘটনায় আমি জড়িত নই।’
লতব্দী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন খান খোকন বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কাটা ও ভরাটকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আজকের ঘটনায় কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে মামলা দায়ের করা হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
১৭ আগস্ট ২০২৪
পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে ময়মনসিংহ নগরীর নিজ বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর বাঘমারা ওই আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগে
চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
৪১ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি
১ ঘণ্টা আগেচৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (শুক্রবার রাত ৬টা ১৫ মিনিট) পরিবারের সদস্যদের পঞ্চগড়ের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা জানান নিহত আক্তারুজ্জামানের স্ত্রীর ভাই মামুনুর রশীদ মামুন। মোবাইল ফোনে তিনি জানান, পরনের প্যান্ট, শার্ট ও জুতা দেখে তাঁরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন লাশটি তাঁর বোনের স্বামীর।
জানতে চাইলে পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য থানায় রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা থানায় পৌঁছালে সেটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে। এরপর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আক্তারুজ্জামান চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের জামলতা গ্রামের মৃত আনিচুর বিশ্বাসের ছেলে। তিনি খুলনা রেঞ্জের বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, লাশটির দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। তবে লাশটির কোনো তথ্য না থাকায় জানার জন্য চেষ্টা করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা। ক্লুলেস লাশটির পরিচয় শনাক্তে একমাত্র সূত্র হয় উদ্ধার করা লাশের আন্ডারওয়্যার।
যা ছিল পুলিশের লোগো-সংবলিত। পরে সেটি একজন পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর হলে তাঁর পরনের প্যান্ট, শার্ট ও জুতার ছবি নিহত আক্তারুজ্জামানের স্ত্রীকে নিয়ে দেখালে তিনি তাঁর স্বামীর পোশাক বলে শনাক্ত করেন।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর নিহত পুলিশ সদস্যের স্ত্রী শাহিনা আক্তার শিমা চৌগাছা থানায় নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডি ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী-সন্তানসহ চৌগাছা শহরের ইছাপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আক্তারুজ্জামান। গত ২৬ নভেম্বর পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে তিনি বাড়িতে আসেন। পরদিন ২৭ নভেম্বর সকালে মহেশপুর যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান।
এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি।
জিডিতে শাহিনা আক্তার শিমা বলেন, ‘তিন দিন ধরে কোথাও স্বামীর সন্ধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।’ তিনি জানান, আক্তারুজ্জামান তাঁর ব্যবহৃত দুটি ফোন বাসায় রেখে গিয়েছেন। ফলে কোনোভাবেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।

যশোরের চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (শুক্রবার রাত ৬টা ১৫ মিনিট) পরিবারের সদস্যদের পঞ্চগড়ের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা জানান নিহত আক্তারুজ্জামানের স্ত্রীর ভাই মামুনুর রশীদ মামুন। মোবাইল ফোনে তিনি জানান, পরনের প্যান্ট, শার্ট ও জুতা দেখে তাঁরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন লাশটি তাঁর বোনের স্বামীর।
জানতে চাইলে পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য থানায় রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা থানায় পৌঁছালে সেটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে। এরপর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আক্তারুজ্জামান চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের জামলতা গ্রামের মৃত আনিচুর বিশ্বাসের ছেলে। তিনি খুলনা রেঞ্জের বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, লাশটির দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। তবে লাশটির কোনো তথ্য না থাকায় জানার জন্য চেষ্টা করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা। ক্লুলেস লাশটির পরিচয় শনাক্তে একমাত্র সূত্র হয় উদ্ধার করা লাশের আন্ডারওয়্যার।
যা ছিল পুলিশের লোগো-সংবলিত। পরে সেটি একজন পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর হলে তাঁর পরনের প্যান্ট, শার্ট ও জুতার ছবি নিহত আক্তারুজ্জামানের স্ত্রীকে নিয়ে দেখালে তিনি তাঁর স্বামীর পোশাক বলে শনাক্ত করেন।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর নিহত পুলিশ সদস্যের স্ত্রী শাহিনা আক্তার শিমা চৌগাছা থানায় নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডি ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী-সন্তানসহ চৌগাছা শহরের ইছাপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আক্তারুজ্জামান। গত ২৬ নভেম্বর পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে তিনি বাড়িতে আসেন। পরদিন ২৭ নভেম্বর সকালে মহেশপুর যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান।
এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি।
জিডিতে শাহিনা আক্তার শিমা বলেন, ‘তিন দিন ধরে কোথাও স্বামীর সন্ধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।’ তিনি জানান, আক্তারুজ্জামান তাঁর ব্যবহৃত দুটি ফোন বাসায় রেখে গিয়েছেন। ফলে কোনোভাবেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
১৭ আগস্ট ২০২৪
পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে ময়মনসিংহ নগরীর নিজ বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর বাঘমারা ওই আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
২৪ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি
১ ঘণ্টা আগেপাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৬৮ নম্বরের ৩ নম্বর উপপিলারের একপাশে ভারতীয় কোচবিহার রাজ্যের মাথাভাঙ্গা থানার বালারহাট এলাকা এবং অন্যপাশে বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগৎবেড় ও জোংড়া ইউনিয়ন সীমান্তের মোহাম্মদপুর ককোয়াবাড়ী এলাকা। কাঁটাতারবিহীন ওই সীমান্ত এলাকার ভারতের প্রায় ৪০০ গজ অভ্যন্তরে বালারহাট এলাকায় পার্শ্ববর্তী বন থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে একটি বাঘ লোকালয়ে চলে আসে। এ সময় ভারতের স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা বাঘটিকে ধাওয়া দিলে বাঘটি পালিয়ে যায়। সীমান্তে বাঘ আসায় এই শোরগোলের খবর ভারতের ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের শ্রীমুখ ক্যাম্পের বিএসএফের টহল দলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) নাজিরগোমানী ক্যাম্পের টহল দল জানতে পারে। এ ঘটনায় রাতে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে সীমান্তবাসীদের সতর্ক থাকতে বলে বিজিবি।
এক সপ্তাহ আগেও ভারতের ওই গ্রামে দুটি বাঘ এসেছিল। স্থানীয় বন বিভাগের লোকজনের সহায়তায় একটি বাঘ আটক করা হয় এবং অপর বাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ককোয়াবাড়ী এলাকার আবেদা বেগম (৫৫) বলেন, ‘বিজিবি মাইকে বলেছে এটা শুনেছি। বাঘ দেখিনি, তবে এতে ভয় লাগে।’
একই এলাকার ওয়াদুদ হোসেন বলেন, ‘রাতের বেলা ভারতে চিল্লাচিল্লিতে আমরা খবর পাই বাঘ নাকি বের হয়েছে, পিটাপিটি (ধাওয়া) করেছে। ওই সময় শুনি বাঘ বাংলাদেশেও ঢুকতে পাড়ে। এতে এলাকাবাসী ভয় পেয়ে সতর্ক হয়।’
এ ব্যাপারে নাজিরগোমানী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের (সিও) মোবাইল নম্বরে কল দিলে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে বিজিবির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, ‘বাঘ তো বাংলাদেশে আসেনি। কেউ দেখেওনি। সীমান্তে এ ব্যাপারে জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঘটনাটি তিলকে তাল বানানো হয়েছে।’

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাঘ আসার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছে বিজিবি।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৬৮ নম্বরের ৩ নম্বর উপপিলারের একপাশে ভারতীয় কোচবিহার রাজ্যের মাথাভাঙ্গা থানার বালারহাট এলাকা এবং অন্যপাশে বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগৎবেড় ও জোংড়া ইউনিয়ন সীমান্তের মোহাম্মদপুর ককোয়াবাড়ী এলাকা। কাঁটাতারবিহীন ওই সীমান্ত এলাকার ভারতের প্রায় ৪০০ গজ অভ্যন্তরে বালারহাট এলাকায় পার্শ্ববর্তী বন থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে একটি বাঘ লোকালয়ে চলে আসে। এ সময় ভারতের স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা বাঘটিকে ধাওয়া দিলে বাঘটি পালিয়ে যায়। সীমান্তে বাঘ আসায় এই শোরগোলের খবর ভারতের ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের শ্রীমুখ ক্যাম্পের বিএসএফের টহল দলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) নাজিরগোমানী ক্যাম্পের টহল দল জানতে পারে। এ ঘটনায় রাতে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে সীমান্তবাসীদের সতর্ক থাকতে বলে বিজিবি।
এক সপ্তাহ আগেও ভারতের ওই গ্রামে দুটি বাঘ এসেছিল। স্থানীয় বন বিভাগের লোকজনের সহায়তায় একটি বাঘ আটক করা হয় এবং অপর বাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ককোয়াবাড়ী এলাকার আবেদা বেগম (৫৫) বলেন, ‘বিজিবি মাইকে বলেছে এটা শুনেছি। বাঘ দেখিনি, তবে এতে ভয় লাগে।’
একই এলাকার ওয়াদুদ হোসেন বলেন, ‘রাতের বেলা ভারতে চিল্লাচিল্লিতে আমরা খবর পাই বাঘ নাকি বের হয়েছে, পিটাপিটি (ধাওয়া) করেছে। ওই সময় শুনি বাঘ বাংলাদেশেও ঢুকতে পাড়ে। এতে এলাকাবাসী ভয় পেয়ে সতর্ক হয়।’
এ ব্যাপারে নাজিরগোমানী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের (সিও) মোবাইল নম্বরে কল দিলে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে বিজিবির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, ‘বাঘ তো বাংলাদেশে আসেনি। কেউ দেখেওনি। সীমান্তে এ ব্যাপারে জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঘটনাটি তিলকে তাল বানানো হয়েছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
১৭ আগস্ট ২০২৪
পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে ময়মনসিংহ নগরীর নিজ বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর বাঘমারা ওই আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
২৪ মিনিট আগে
চৌগাছায় নিখোঁজের ২২ দিন পর আক্তারুজ্জামান (৪৬) নামের এক পুলিশ সদস্যের অর্ধগলিত লাশ পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরের ৬ নম্বর সাতমোড়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার একটি আখখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার নিহত আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়।
৪১ মিনিট আগে