নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলমান পরিস্থিতি থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার—এমনটিই মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এটিকে সরকারের একটি প্রকল্প হিসেবেই দেখছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘সরকার একটা ইস্যু তৈরি করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিয়ে যায়। এটা (জামায়াত নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত) তাদের আরেকটি প্রজেক্ট।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করতে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে সাংবাদিকেরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যারা স্বৈরাচারী, যাদের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে না, তাদের এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয় বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্নভাবে। আমরা বিশ্বাস করি, বহুদলীয় গণতন্ত্রে, আমরা বিশ্বাস করি। যারা যারা এখানে রাজনীতি করে তাদের অধিকার আছে রাজনীতি করার। এখন জনগণের দায়িত্ব হচ্ছে কার রাজনীতি সে গ্রহণ করবে, কার রাজনীতি সে গ্রহণ করবে না।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এখন এখানে দরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচন, অবাধ নির্বাচন। আজকে যে এত সংকট, এর মূলে হচ্ছে যে, এ দেশে কোনো প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার নাই। প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার না হলে তো এই সমস্যার সমাধান হবে না। জনগণের প্রতিনিধি দরকার এবং জনগণের কাছে যাদের দায়-দায়িত্ব থাকবে, একটা জবাবদিহি থাকবে। সেই জবাবদিহি যদি না থাকে তাহলে এটা সম্ভব না।’
কোটা আন্দোলনে হতাহতের দায় নিয়ে সরকার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে চলমান সংকটের অবসান চান মির্জা ফখরুল। সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন এবং এই দায় আপনাদের। এই দায় অবশ্যই নিতে হবে। যে কথাটা আমরা বলেছি যে, দায় স্বীকার করে তাদের চলে যাওয়াটাই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি সমাধান করবে। রাজনৈতিক সংকট রাজনৈতিকভাবেই শেষ করতে হবে। তাদের (সরকার) অবশ্যই যেতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ দেশে জঙ্গিবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে আওয়ামী লীগ। পরিকল্পিতভাবে এ দেশে জঙ্গিবাদের তারা পৃষ্ঠপোষকতা করে।’
কোটা আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, এই গণহত্যার তদন্ত অবশ্যই জাতিসংঘের তদন্তে হওয়া উচিত। কারণ এই সরকারের কোনো তদন্তে আমরা বিশ্বাস করি না।’
কোটা আন্দোলনে সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমস্ত আন্দোলনে আমাদের সমর্থন রয়েছে। আন্দোলনকারীদের প্রতি আমাদের একটা আহ্বান, এই আন্দোলনকে তারা চূড়ান্ত পর্যায় নিয়ে যাবে। আর জনগণের যে আন্দোলন এই সরকারের চলে যাওয়া। তাদের আন্দোলন একটা সেটা হচ্ছে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। এই সরকারকে চলে যেতে হবে।’
এ সময় কারফিউ প্রত্যাহার এবং সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব।
কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পাঁচ সমন্বয়ককে ডিবি অফিসে হেফাজতে নিয়ে তাদের ওপর প্রচণ্ড চাপ দিয়ে একটা বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। ডাইনিং টেবিলে বসিয়ে একটা খাবার নাটক তৈরি করা হয়েছে। এটা ডিবি অফিসে একটা নামই হয়ে গেছে—ভাতের হোটেল হিসেবে।’
তিনি বলেন, ‘ডিবি সরকারেরে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের একমাত্র দায়িত্ব কি শুধু যারা আন্দোলন করছে, যারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছে, তাদের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছে তাদের গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা এবং এই নাটক তৈরি করা। এখানে এই ধরনের নাটক, একটা তামাশা তৈরি করে তারা গোটা জাতিকে ছোট করেছে।’
কোটা আন্দোলনের পুরো ইস্যুটাকে সরকার সমাধান করতে পারত বলেও মনে করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘সরকারের যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকত, উদ্দেশ্য থাকত, অতি অল্প সময়ের মধ্যে এটা সমাধান করতে পারত।’
একটা অদৃশ্য শক্তি দেশ চালাচ্ছে—এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ খুঁজে পাই না। এখন পুরোপুরিভাবে একটা অদৃশ্য শক্তি যে শক্তি এ দেশকে পরিচালনা করার চেষ্টা করছে। এ দেশে প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগের কোনো সরকার নেই। এখানে যে সরকারটা আছে সেটা হচ্ছে যারা এ দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং দেশে একটা অরাজনৈতিক সরকার পরিচালনা করছে তাদেরই সরকার এটা পরিচালনা করছে।’
নতুন প্রজন্মকে সাধুবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে জনগণের আন্দোলন কেউ কোনো দিন রুখে দিতে পারেনি। ন্যায়সংগত কোনো আন্দোলনকে কেউ পরাজিত করতে পারেনি। এবারের আন্দোলন নতুন প্রজন্মের। আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই যে, তারা আজকে অধিকার রক্ষায় বেরিয়ে এসেছে। তারা রাস্তায় নেমেছ, প্রাণ দিয়েছে। এই ত্যাগ কখনো ব্যর্থ হতে পারে না।’

চলমান পরিস্থিতি থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার—এমনটিই মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এটিকে সরকারের একটি প্রকল্প হিসেবেই দেখছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘সরকার একটা ইস্যু তৈরি করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিয়ে যায়। এটা (জামায়াত নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত) তাদের আরেকটি প্রজেক্ট।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করতে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে সাংবাদিকেরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যারা স্বৈরাচারী, যাদের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে না, তাদের এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয় বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্নভাবে। আমরা বিশ্বাস করি, বহুদলীয় গণতন্ত্রে, আমরা বিশ্বাস করি। যারা যারা এখানে রাজনীতি করে তাদের অধিকার আছে রাজনীতি করার। এখন জনগণের দায়িত্ব হচ্ছে কার রাজনীতি সে গ্রহণ করবে, কার রাজনীতি সে গ্রহণ করবে না।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এখন এখানে দরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচন, অবাধ নির্বাচন। আজকে যে এত সংকট, এর মূলে হচ্ছে যে, এ দেশে কোনো প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার নাই। প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার না হলে তো এই সমস্যার সমাধান হবে না। জনগণের প্রতিনিধি দরকার এবং জনগণের কাছে যাদের দায়-দায়িত্ব থাকবে, একটা জবাবদিহি থাকবে। সেই জবাবদিহি যদি না থাকে তাহলে এটা সম্ভব না।’
কোটা আন্দোলনে হতাহতের দায় নিয়ে সরকার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে চলমান সংকটের অবসান চান মির্জা ফখরুল। সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন এবং এই দায় আপনাদের। এই দায় অবশ্যই নিতে হবে। যে কথাটা আমরা বলেছি যে, দায় স্বীকার করে তাদের চলে যাওয়াটাই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি সমাধান করবে। রাজনৈতিক সংকট রাজনৈতিকভাবেই শেষ করতে হবে। তাদের (সরকার) অবশ্যই যেতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ দেশে জঙ্গিবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে আওয়ামী লীগ। পরিকল্পিতভাবে এ দেশে জঙ্গিবাদের তারা পৃষ্ঠপোষকতা করে।’
কোটা আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, এই গণহত্যার তদন্ত অবশ্যই জাতিসংঘের তদন্তে হওয়া উচিত। কারণ এই সরকারের কোনো তদন্তে আমরা বিশ্বাস করি না।’
কোটা আন্দোলনে সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমস্ত আন্দোলনে আমাদের সমর্থন রয়েছে। আন্দোলনকারীদের প্রতি আমাদের একটা আহ্বান, এই আন্দোলনকে তারা চূড়ান্ত পর্যায় নিয়ে যাবে। আর জনগণের যে আন্দোলন এই সরকারের চলে যাওয়া। তাদের আন্দোলন একটা সেটা হচ্ছে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। এই সরকারকে চলে যেতে হবে।’
এ সময় কারফিউ প্রত্যাহার এবং সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব।
কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পাঁচ সমন্বয়ককে ডিবি অফিসে হেফাজতে নিয়ে তাদের ওপর প্রচণ্ড চাপ দিয়ে একটা বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। ডাইনিং টেবিলে বসিয়ে একটা খাবার নাটক তৈরি করা হয়েছে। এটা ডিবি অফিসে একটা নামই হয়ে গেছে—ভাতের হোটেল হিসেবে।’
তিনি বলেন, ‘ডিবি সরকারেরে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের একমাত্র দায়িত্ব কি শুধু যারা আন্দোলন করছে, যারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছে, তাদের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছে তাদের গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা এবং এই নাটক তৈরি করা। এখানে এই ধরনের নাটক, একটা তামাশা তৈরি করে তারা গোটা জাতিকে ছোট করেছে।’
কোটা আন্দোলনের পুরো ইস্যুটাকে সরকার সমাধান করতে পারত বলেও মনে করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘সরকারের যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকত, উদ্দেশ্য থাকত, অতি অল্প সময়ের মধ্যে এটা সমাধান করতে পারত।’
একটা অদৃশ্য শক্তি দেশ চালাচ্ছে—এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ খুঁজে পাই না। এখন পুরোপুরিভাবে একটা অদৃশ্য শক্তি যে শক্তি এ দেশকে পরিচালনা করার চেষ্টা করছে। এ দেশে প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগের কোনো সরকার নেই। এখানে যে সরকারটা আছে সেটা হচ্ছে যারা এ দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং দেশে একটা অরাজনৈতিক সরকার পরিচালনা করছে তাদেরই সরকার এটা পরিচালনা করছে।’
নতুন প্রজন্মকে সাধুবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে জনগণের আন্দোলন কেউ কোনো দিন রুখে দিতে পারেনি। ন্যায়সংগত কোনো আন্দোলনকে কেউ পরাজিত করতে পারেনি। এবারের আন্দোলন নতুন প্রজন্মের। আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই যে, তারা আজকে অধিকার রক্ষায় বেরিয়ে এসেছে। তারা রাস্তায় নেমেছ, প্রাণ দিয়েছে। এই ত্যাগ কখনো ব্যর্থ হতে পারে না।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত লন্ডন-ঢাকা রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট থেকে দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভিআইপি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করে যাব। মূল কথা হলো নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে যেন অন্য কিছু চিন্তা না করা হয়।’
২ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সোহেল মিয়া নামে এক বিএনপি সমর্থককে সরাসরি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করিয়ে তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। অভিযুক্ত নেতা আবুল কাশেম মিয়াজী, বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
৩ ঘণ্টা আগে
১৭ বছরের বেশি সময় পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই দিন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য তাঁর নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে।
১০ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত লন্ডন-ঢাকা রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট থেকে দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভিআইপি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রত্যাহার করা কেবিন ক্রুরা হলেন জুনিয়র পার্সার মো. সওগাতুল আলম সওগাত এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস জিনিয়া ইসলাম। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্যের ভিত্তিতেই তাঁদের ফ্লাইট দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে ওই দুই কেবিন ক্রুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে, যা নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা নিয়মিত সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সেলিমের ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে যুক্ত ছিলেন। এসব বিষয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত থাকায় ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়।
বিমান সূত্র জানায়, তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি আগামী বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই ফ্লাইটে তারেক রহমানের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতাও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ পরে ওই ফ্লাইটে জুনিয়র পার্সার মোস্তফা এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আয়াতকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ ধরনের ব্যবস্থা আগে নেওয়ার নজির রয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ২ মে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একটি ফ্লাইট থেকেও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুই কেবিন ক্রুকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে সময়ও ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত লন্ডন-ঢাকা রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট থেকে দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভিআইপি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রত্যাহার করা কেবিন ক্রুরা হলেন জুনিয়র পার্সার মো. সওগাতুল আলম সওগাত এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস জিনিয়া ইসলাম। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্যের ভিত্তিতেই তাঁদের ফ্লাইট দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে ওই দুই কেবিন ক্রুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে, যা নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা নিয়মিত সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সেলিমের ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে যুক্ত ছিলেন। এসব বিষয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত থাকায় ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়।
বিমান সূত্র জানায়, তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি আগামী বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই ফ্লাইটে তারেক রহমানের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতাও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ পরে ওই ফ্লাইটে জুনিয়র পার্সার মোস্তফা এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আয়াতকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ ধরনের ব্যবস্থা আগে নেওয়ার নজির রয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ২ মে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একটি ফ্লাইট থেকেও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুই কেবিন ক্রুকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে সময়ও ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

চলমান পরিস্থিতি থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার—এমনটিই মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এটিকে সরকারের একটি প্রকল্প হিসেবেই দেখছেন তিনি।
৩০ জুলাই ২০২৪
জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করে যাব। মূল কথা হলো নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে যেন অন্য কিছু চিন্তা না করা হয়।’
২ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সোহেল মিয়া নামে এক বিএনপি সমর্থককে সরাসরি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করিয়ে তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। অভিযুক্ত নেতা আবুল কাশেম মিয়াজী, বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
৩ ঘণ্টা আগে
১৭ বছরের বেশি সময় পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই দিন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য তাঁর নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে বলে দৃঢ় আশাবাদী জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ রোববার ফজরের নামাজ শেষে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করে যাব। মূল কথা হলো নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে যেন অন্য কিছু চিন্তা না করা হয়।’
আজকের এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর অনেক বড় দায়িত্ব উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগোতে হবে। আদর্শ ও কৌশলে দলগুলোর ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু লড়াই হতে হবে মুক্তির লড়াই, মানবতার লড়াই। ব্যক্তি নয়, দল নয়—জাতিই বড়। এই আদর্শের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে পথ চলতে হবে।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘গতকালকের জানাজায় বারবার উচ্চারিত হয়েছে—আমরা খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই। সরকারের কর্মকাণ্ডে জনগণ সন্তুষ্ট নয়। গতকালের জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা অংশ নিয়েছেন, আশা করি তিনি জনগণের পালস বুঝতে পেরেছেন। অতি দ্রুত সমস্ত সন্দেহ-সংশয়ের ঊর্ধ্বে উঠে খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
যদি খুনিরা পার পেয়ে যায়, তবে আমাদের কারও নিরাপত্তা থাকবে না—মন্তব্য করে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যিনি আসমান-জমিনের মালিক, তিনিই আমাদের জীবন ও নিরাপত্তার মালিক। তাই আমাদের জীবন আল্লাহর হাতে সঁপে দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আমরা কাজ করে যাব।’
যারা বিপ্লবী, তাঁদের খুন করে বিপ্লবের চেতনাকে কখনো স্তব্ধ করা যায় না; বরং সেই চেতনা আরও ছড়িয়ে পড়ে বলেও মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান। আরও বলেন, ‘গতকালকের জানাজা সারা দুনিয়াকে সেই বার্তা দিয়েছে। আমরা আজ শপথ নিতে চাই, আল্লাহ তাআলা যে দেশে আমাদের পয়দা করেছেন, সেই দেশ ও জাতির জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে লড়ে যাব ইনশা আল্লাহ।’

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে বলে দৃঢ় আশাবাদী জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ রোববার ফজরের নামাজ শেষে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করে যাব। মূল কথা হলো নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে যেন অন্য কিছু চিন্তা না করা হয়।’
আজকের এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর অনেক বড় দায়িত্ব উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগোতে হবে। আদর্শ ও কৌশলে দলগুলোর ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু লড়াই হতে হবে মুক্তির লড়াই, মানবতার লড়াই। ব্যক্তি নয়, দল নয়—জাতিই বড়। এই আদর্শের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে পথ চলতে হবে।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘গতকালকের জানাজায় বারবার উচ্চারিত হয়েছে—আমরা খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই। সরকারের কর্মকাণ্ডে জনগণ সন্তুষ্ট নয়। গতকালের জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা অংশ নিয়েছেন, আশা করি তিনি জনগণের পালস বুঝতে পেরেছেন। অতি দ্রুত সমস্ত সন্দেহ-সংশয়ের ঊর্ধ্বে উঠে খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
যদি খুনিরা পার পেয়ে যায়, তবে আমাদের কারও নিরাপত্তা থাকবে না—মন্তব্য করে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যিনি আসমান-জমিনের মালিক, তিনিই আমাদের জীবন ও নিরাপত্তার মালিক। তাই আমাদের জীবন আল্লাহর হাতে সঁপে দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আমরা কাজ করে যাব।’
যারা বিপ্লবী, তাঁদের খুন করে বিপ্লবের চেতনাকে কখনো স্তব্ধ করা যায় না; বরং সেই চেতনা আরও ছড়িয়ে পড়ে বলেও মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান। আরও বলেন, ‘গতকালকের জানাজা সারা দুনিয়াকে সেই বার্তা দিয়েছে। আমরা আজ শপথ নিতে চাই, আল্লাহ তাআলা যে দেশে আমাদের পয়দা করেছেন, সেই দেশ ও জাতির জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে লড়ে যাব ইনশা আল্লাহ।’

চলমান পরিস্থিতি থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার—এমনটিই মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এটিকে সরকারের একটি প্রকল্প হিসেবেই দেখছেন তিনি।
৩০ জুলাই ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত লন্ডন-ঢাকা রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট থেকে দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভিআইপি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সোহেল মিয়া নামে এক বিএনপি সমর্থককে সরাসরি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করিয়ে তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। অভিযুক্ত নেতা আবুল কাশেম মিয়াজী, বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
৩ ঘণ্টা আগে
১৭ বছরের বেশি সময় পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই দিন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য তাঁর নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সোহেল মিয়া নামে এক বিএনপি সমর্থককে সরাসরি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করিয়ে তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। অভিযুক্ত নেতা আবুল কাশেম মিয়াজী, বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তাঁদের কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর জেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত থেকে ৩৫ সেকেন্ডের ওই অডিও রেকর্ডটি ছড়িয়ে পড়ে। ভুক্তভোগী সোহেল বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ইন্দ্রবতী এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ টি এম মিজানুর রহমানের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে অভিযুক্ত আবুল কাশেম মিয়াজী কুমিল্লা-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হাজী জসীম উদ্দিনের অনুসারী।
ভাইরাল হওয়া অডিওর শুরুতে সোহেলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমারে মামলা-ছামলার ভয় দেহাইয়েন না। আমনেরা এমপি না অইতেই ডিক্লেয়ার দেন ৮-১০টা মামলার লাইগা রেডি অইতাম! ইতা সোহেলে ভয় করে না।’
জবাবে বিএনপি নেতা আবুল কাশেম মিয়াজীকে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘আমি তো মামলা করি না, ওয়ারেন্ট এ না করি, ডাইরেক্ট।’ একপর্যায়ে তিনি সোহেলকে কোথায় আছেন জিজ্ঞাসা করে ধরে নিয়ে আসার হুমকি দিয়ে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সোহেল তাঁর নিজ বাড়িতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। সেখানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ টি এম মিজানুর রহমানের অনুসারীদের দাওয়াত দিলেও আবুল কাশেম মিয়াজীকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি মোবাইল ফোনে সোহেলকে এই হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী সোহেল মিয়া বলেন, ‘দোয়া অনুষ্ঠানে উনাকে দাওয়াত না দেওয়ায় তিনি আমাকে ১০ থেকে ১২টি মামলার ভয় দেখান এবং সরাসরি ওয়ারেন্ট করার হুমকি দেন। এমনকি আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
অভিযোগের বিষয়ে আবুল কাশেম মিয়াজী বলেন, ‘সোহেল একজন চোর। একটা চোরের সঙ্গে যেভাবে ব্যবহার করতে হয়, আমি সেভাবে করেছি।’ তবে চুরির অভিযোগ বা মামলার কোনো প্রমাণ তিনি দেননি।
এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন জানান, অডিও রেকর্ডটি তিনি শুনেছেন। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। দলের প্রার্থী হাজী জসীম উদ্দিন বর্তমানে ঢাকায় আছেন, তিনি এলাকায় ফিরলে এ বিষয়ে আলোচনা করে সাংগঠনিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সোহেল মিয়া নামে এক বিএনপি সমর্থককে সরাসরি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করিয়ে তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। অভিযুক্ত নেতা আবুল কাশেম মিয়াজী, বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তাঁদের কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর জেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত থেকে ৩৫ সেকেন্ডের ওই অডিও রেকর্ডটি ছড়িয়ে পড়ে। ভুক্তভোগী সোহেল বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ইন্দ্রবতী এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ টি এম মিজানুর রহমানের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে অভিযুক্ত আবুল কাশেম মিয়াজী কুমিল্লা-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হাজী জসীম উদ্দিনের অনুসারী।
ভাইরাল হওয়া অডিওর শুরুতে সোহেলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমারে মামলা-ছামলার ভয় দেহাইয়েন না। আমনেরা এমপি না অইতেই ডিক্লেয়ার দেন ৮-১০টা মামলার লাইগা রেডি অইতাম! ইতা সোহেলে ভয় করে না।’
জবাবে বিএনপি নেতা আবুল কাশেম মিয়াজীকে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘আমি তো মামলা করি না, ওয়ারেন্ট এ না করি, ডাইরেক্ট।’ একপর্যায়ে তিনি সোহেলকে কোথায় আছেন জিজ্ঞাসা করে ধরে নিয়ে আসার হুমকি দিয়ে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সোহেল তাঁর নিজ বাড়িতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। সেখানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ টি এম মিজানুর রহমানের অনুসারীদের দাওয়াত দিলেও আবুল কাশেম মিয়াজীকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি মোবাইল ফোনে সোহেলকে এই হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী সোহেল মিয়া বলেন, ‘দোয়া অনুষ্ঠানে উনাকে দাওয়াত না দেওয়ায় তিনি আমাকে ১০ থেকে ১২টি মামলার ভয় দেখান এবং সরাসরি ওয়ারেন্ট করার হুমকি দেন। এমনকি আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
অভিযোগের বিষয়ে আবুল কাশেম মিয়াজী বলেন, ‘সোহেল একজন চোর। একটা চোরের সঙ্গে যেভাবে ব্যবহার করতে হয়, আমি সেভাবে করেছি।’ তবে চুরির অভিযোগ বা মামলার কোনো প্রমাণ তিনি দেননি।
এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন জানান, অডিও রেকর্ডটি তিনি শুনেছেন। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। দলের প্রার্থী হাজী জসীম উদ্দিন বর্তমানে ঢাকায় আছেন, তিনি এলাকায় ফিরলে এ বিষয়ে আলোচনা করে সাংগঠনিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

চলমান পরিস্থিতি থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার—এমনটিই মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এটিকে সরকারের একটি প্রকল্প হিসেবেই দেখছেন তিনি।
৩০ জুলাই ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত লন্ডন-ঢাকা রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট থেকে দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভিআইপি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করে যাব। মূল কথা হলো নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে যেন অন্য কিছু চিন্তা না করা হয়।’
২ ঘণ্টা আগে
১৭ বছরের বেশি সময় পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই দিন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য তাঁর নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে।
১০ ঘণ্টা আগেরাসেল মাহমুদ, ঢাকা

১৭ বছরের বেশি সময় পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই দিন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য তাঁর নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া বিএনপির নিজস্ব ব্যবস্থায় দলের চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) মাধ্যমে সমন্বিত নিরাপত্তা পাবেন তারেক রহমান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল ও গুলশান অ্যাভিনিউর বাসভবন পর্যন্ত এই নিরাপত্তারব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া বাসা, অফিস এলাকা ও চলাচলের পথ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা-ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে এরই মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজি) গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রাথমিকভাবে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তাব্যবস্থার চূড়ান্ত নির্দেশনা এখনো ঠিক হয়নি। আগামীকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত চূড়ান্ত নির্দেশনা আসতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশেষ ব্যক্তি হিসেবে তারেক রহমানের নিরাপত্তায় ঢাকা মহানগর পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে সার্বিক নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে থাকছে বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)। তাঁরা পুলিশ ও বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়ে কাজ করছেন।
বিএনপির সূত্র জানায়, গুলশান অ্যাভিনিউয়ের বাড়িটি তারেক রহমানের জন্য প্রায় প্রস্তুত। কোনো কারণে সেটি পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে তিনি পাশে মা খালেদা জিয়ার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় উঠবেন। গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকেই তিনি দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’ ও তারেক রহমানের বাসভবন দেয়ালঘেঁষা হওয়ায় দুটি বাসা ও তাঁর অফিসকে একই নিরাপত্তা পরিকল্পনার আওতায় আনা হচ্ছে। বিশেষ করে বাসা ও অফিসের মধ্যকার দূরত্ব এবং চলাচলের পথকে নিরাপত্তা পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে পুলিশের পাহারা শুরু হতে পারে। গোয়েন্দা পুলিশ, সাদাপোশাকে ও পোশাকধারী পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান দেশে ফেরার দিন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিন শ ফিট হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল এবং গুলশান অ্যাভিনিউর বাসভবন পর্যন্ত পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থার প্রায় দুই হাজার সদস্য মোতায়েন করা হবে। বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত প্রতিটি থানা এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে। সঙ্গে থাকবে পুলিশের ‘স্পেশাল এস্কর্ট’। এ ছাড়া বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশি চেকপোস্ট (তল্লাশিচৌকি) রাখা হবে।
বর্তমানে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় অন্তত নয়টি চেকপোস্ট রয়েছে। এসব চেকপোস্টে ২৪ ঘণ্টায় দেড় শতাধিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে আরও তিনটি চেকপোস্ট বাড়ানো হতে পারে গুলশান এলাকায়। বাসা ও আশপাশের এলাকায় প্রতিদিন দেড় শতাধিক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। বাসভবন থেকে কোথাও যাতায়াত করলে ও পুলিশি নিরাপত্তা চাইলে বাড়বে নিরাপত্তাব্যবস্থা। তখন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার তিন শতাধিক সদস্য নিরাপত্তায় যুক্ত থাকবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। ঢাকার নিরাপত্তায় বর্তমানে প্রতিদিন সাড়ে পাঁচ শ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকে। সে সংখ্যাও বাড়তে পারে।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, গুলশান অ্যাভিনিউয়ের বাড়ির গেটে পুলিশ ও চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরা রয়েছেন। ভেতরে পুরোদমে চলছে বাসা প্রস্তুত করার কাজ। বাড়িটির দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’। ফিরোজার গেটের সামনেও পুলিশ ও সিএসএফের সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
নতুন প্রস্তুত হওয়া বাড়িটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যরা জানান, বাসার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ চলছে। ভেতরে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। নিরাপত্তার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তারেক রহমানের বাসভবন এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রওনক আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন ইউনিট সমন্বিতভাবে নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে। তবে এখনো চূড়ান্ত নির্দেশনা ঠিক হয়নি। আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) ঘোষণা করার পর তাঁর নিরাপত্তায় স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) দায়িত্ব পালন শুরু করেছে। বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নতুন বাসা প্রস্তুত না হলে তারেক রহমান ফিরোজায় উঠতে পারেন। এর মধ্যে খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলে বাসাটিতে এসএসএফের নিরাপত্তা পাবেন। তখন এসএসএফ, সিএসএফ ও পুলিশের সমন্বিত নিরাপত্তা কাঠামো হবে।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে তাঁর নিরাপত্তার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
জানা যায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে তারেক রহমানের ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, দেশে ফেরার জন্য তিনি ট্রাভেল পাস পেয়েছেন। বিমানের টিকিটও কাটা হয়েছে।
তারেক রহমানের আগমন ঘিরে বিএনপি ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এই প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখতে দলীয় নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে এবং বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন ও এভারকেয়ার হাসপাতাল পর্যন্ত যাতায়াত, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভ্যর্থনার স্থান যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।

১৭ বছরের বেশি সময় পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই দিন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য তাঁর নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া বিএনপির নিজস্ব ব্যবস্থায় দলের চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) মাধ্যমে সমন্বিত নিরাপত্তা পাবেন তারেক রহমান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল ও গুলশান অ্যাভিনিউর বাসভবন পর্যন্ত এই নিরাপত্তারব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া বাসা, অফিস এলাকা ও চলাচলের পথ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা-ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে এরই মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজি) গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রাথমিকভাবে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তাব্যবস্থার চূড়ান্ত নির্দেশনা এখনো ঠিক হয়নি। আগামীকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত চূড়ান্ত নির্দেশনা আসতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশেষ ব্যক্তি হিসেবে তারেক রহমানের নিরাপত্তায় ঢাকা মহানগর পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে সার্বিক নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে থাকছে বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)। তাঁরা পুলিশ ও বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়ে কাজ করছেন।
বিএনপির সূত্র জানায়, গুলশান অ্যাভিনিউয়ের বাড়িটি তারেক রহমানের জন্য প্রায় প্রস্তুত। কোনো কারণে সেটি পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে তিনি পাশে মা খালেদা জিয়ার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় উঠবেন। গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকেই তিনি দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’ ও তারেক রহমানের বাসভবন দেয়ালঘেঁষা হওয়ায় দুটি বাসা ও তাঁর অফিসকে একই নিরাপত্তা পরিকল্পনার আওতায় আনা হচ্ছে। বিশেষ করে বাসা ও অফিসের মধ্যকার দূরত্ব এবং চলাচলের পথকে নিরাপত্তা পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে পুলিশের পাহারা শুরু হতে পারে। গোয়েন্দা পুলিশ, সাদাপোশাকে ও পোশাকধারী পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান দেশে ফেরার দিন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিন শ ফিট হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল এবং গুলশান অ্যাভিনিউর বাসভবন পর্যন্ত পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থার প্রায় দুই হাজার সদস্য মোতায়েন করা হবে। বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত প্রতিটি থানা এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে। সঙ্গে থাকবে পুলিশের ‘স্পেশাল এস্কর্ট’। এ ছাড়া বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশি চেকপোস্ট (তল্লাশিচৌকি) রাখা হবে।
বর্তমানে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় অন্তত নয়টি চেকপোস্ট রয়েছে। এসব চেকপোস্টে ২৪ ঘণ্টায় দেড় শতাধিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে আরও তিনটি চেকপোস্ট বাড়ানো হতে পারে গুলশান এলাকায়। বাসা ও আশপাশের এলাকায় প্রতিদিন দেড় শতাধিক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। বাসভবন থেকে কোথাও যাতায়াত করলে ও পুলিশি নিরাপত্তা চাইলে বাড়বে নিরাপত্তাব্যবস্থা। তখন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার তিন শতাধিক সদস্য নিরাপত্তায় যুক্ত থাকবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। ঢাকার নিরাপত্তায় বর্তমানে প্রতিদিন সাড়ে পাঁচ শ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকে। সে সংখ্যাও বাড়তে পারে।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, গুলশান অ্যাভিনিউয়ের বাড়ির গেটে পুলিশ ও চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরা রয়েছেন। ভেতরে পুরোদমে চলছে বাসা প্রস্তুত করার কাজ। বাড়িটির দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’। ফিরোজার গেটের সামনেও পুলিশ ও সিএসএফের সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
নতুন প্রস্তুত হওয়া বাড়িটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যরা জানান, বাসার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ চলছে। ভেতরে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। নিরাপত্তার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তারেক রহমানের বাসভবন এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রওনক আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন ইউনিট সমন্বিতভাবে নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে। তবে এখনো চূড়ান্ত নির্দেশনা ঠিক হয়নি। আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) ঘোষণা করার পর তাঁর নিরাপত্তায় স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) দায়িত্ব পালন শুরু করেছে। বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নতুন বাসা প্রস্তুত না হলে তারেক রহমান ফিরোজায় উঠতে পারেন। এর মধ্যে খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলে বাসাটিতে এসএসএফের নিরাপত্তা পাবেন। তখন এসএসএফ, সিএসএফ ও পুলিশের সমন্বিত নিরাপত্তা কাঠামো হবে।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে তাঁর নিরাপত্তার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
জানা যায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে তারেক রহমানের ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, দেশে ফেরার জন্য তিনি ট্রাভেল পাস পেয়েছেন। বিমানের টিকিটও কাটা হয়েছে।
তারেক রহমানের আগমন ঘিরে বিএনপি ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এই প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখতে দলীয় নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে এবং বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন ও এভারকেয়ার হাসপাতাল পর্যন্ত যাতায়াত, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভ্যর্থনার স্থান যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।

চলমান পরিস্থিতি থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার—এমনটিই মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এটিকে সরকারের একটি প্রকল্প হিসেবেই দেখছেন তিনি।
৩০ জুলাই ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত লন্ডন-ঢাকা রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট থেকে দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভিআইপি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করে যাব। মূল কথা হলো নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে যেন অন্য কিছু চিন্তা না করা হয়।’
২ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সোহেল মিয়া নামে এক বিএনপি সমর্থককে সরাসরি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করিয়ে তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। অভিযুক্ত নেতা আবুল কাশেম মিয়াজী, বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
৩ ঘণ্টা আগে