
তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসে নারীদের ঘরের বাইরে অর্থাৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এ ধরনের নিয়মের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কয়েকজন নারী। কাবুলসহ আফগানিস্তানের বড় শহরগুলোতে যে নারীরা খাদ্য, কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন তাঁদের ওপর নেমে আসে তালেবানদের নির্মম অত্যাচার। প্রতিবাদকারী তিন আফগান নারীর কথা বলা হয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
কাবুলের রাজপথে প্রতিবাদ
গত ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবান জঙ্গিরা কাবুল দখল করলে জাকিয়ার (ছদ্মনাম) জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী জাকিয়া চাকরি হারান তালেবান ক্ষমতায় আসার পর। এক বছরেরও বেশি সময় পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিক্ষোভে অংশ নেন তিনি। কাজ এবং শিক্ষার অধিকার হারানোর পর ক্ষোভ প্রকাশ করার প্রথম সুযোগ ছিল সেটি।
বিক্ষোভকারীরা কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে মিছিল করছিলেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই তাঁদের থামিয়ে দেওয়া হয়। উচ্চ স্বরে স্লোগান দেওয়া জাকিয়াকে আটক করে তালেবান সশস্ত্র পুলিশ।
সেদিনের কথা মনে করে জাকিয়া বলেন, ‘তাদের (তালেবান পুলিশ) মধ্যে একজন তার বন্দুকটি আমার মুখের সামনে তুলে বলেছিল, আমি চুপ না করলে সেখানেই আমাকে মেরে ফেলা হবে।’
জাকিয়া সহকর্মী বিক্ষোভকারীদের একটি গাড়িতে উঠতে দেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিরোধ করেছি। তারা আমার বাহু মুচড়ে দিচ্ছিল। আমাকে তালেবানরা তাদের গাড়িতে ওঠাতে টানছিল। অন্যদিকে, আমার সঙ্গের বিক্ষোভকারীরা আমাকে ধরে রাখার চেষ্টা করছিল।’
শেষ পর্যন্ত জাকিয়া পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন তিনি যা দেখেছিল, তা তাঁকে ভবিষ্যতের জন্য আতঙ্কিত করে রেখেছিল। তিনি বলেন, ‘এই সহিংসতা বদ্ধ দরজার আড়ালে হয়নি, হয়েছিল রাজধানী কাবুলের রাস্তায় সবার সামনে।’
গ্রেপ্তার ও অত্যাচার
অনেক আফগান বিক্ষোভকারীর মধ্যে ছিলেন মরিয়ম (ছদ্মনাম) এবং ২৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী পারওয়ানা ইব্রাহিমখাইল নিজরাবি—যাঁদের তালেবানরা আটক করেছিল। বিধবা এবং সন্তানদের জন্য একমাত্র উপার্জনকারী হিসেবে মরিয়মের ভয় ছিল, চাকরি হারালে তাঁর সন্তানদের নিয়ে তিনি কী করবেন।
তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিক্ষোভে যোগ দেন। সঙ্গের বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার হতে দেখে তিনি পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সময়মতো পালিয়ে যেতে পারেননি। মরিয়ম বলেন, ‘আমাকে জোর করে ট্যাক্সি থেকে বের করে এনে তারা আমার ব্যাগ তল্লাশি করে এবং আমার ফোন খুঁজে পেয়েছিল।’
তালেবান কর্মকর্তাদের ফোনের পাসওয়ার্ড দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় মারধর করা হয় মরিয়মকে। তাঁকে এতই জোরে মারা হয় যে মরিয়মের মনে হয়েছিল তাঁর কানের পর্দা বুঝি ফেটে গেছে। তালেবানরা তখন তাঁর ফোনে ছবি ও ভিডিও দেখে আরও রেগে যায়।
মরিয়ম বলেন, ‘তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার চুল টেনে ধরেছিল। তারা আমার হাত ও পা ধরে আমাকে তাদের রেঞ্জারের পেছনে ফেলে দেয়। আমাকে অপমানজনক ভাষায় ডাকছিল। তারা আমাকে হাতকড়া পরিয়ে দেয় এবং আমার মাথা ঢেকে দেয় একটি কালো ব্যাগ দিয়ে। আমি শ্বাস নিতে পারছিলাম না।’
এক মাস পর পারওয়ানাও তালেবানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন। শিক্ষার্থীদের একটি দল নিয়ে বেশ কয়েকটি মিছিলের আয়োজন করেন তিনি। এরপর তাঁর ওপরেও নেমে আসে অত্যাচার। পারওয়ানা বলেন, ‘আমাকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই তারা আমাকে নির্যাতন শুরু করে।’
পারওয়ানাকে গাড়িতে তুলে দুই পুরুষ সশস্ত্র প্রহরীর মধ্যে বসানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘যখন আমি সেখানে বসতে অস্বীকৃতি জানাই, তারা আমাকে সামনের দিকে নিয়ে যায়, মাথা একটি কম্বলে ঢেকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে নড়াচড়া করতে নিষেধ করে।’
ভারী অস্ত্রধারীদের মধ্যে পারওয়ানা নিজেকে দুর্বল এবং মৃত ভাবতে শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘তারা আমাকে অনেকবার থাপ্পড় মারে। আমার মুখ অসাড় হয়ে গিয়েছিল। খুব ভয় পেয়েছিলাম, আমার সারা শরীর কাঁপছিল।’
জেলজীবন
তালেবানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন ছিলেন মরিয়ম, পারওয়ানা ও জাকিয়া। পারওয়ানা বলেছেন, তিনি কখনোই আশা করেননি তালেবানরা তাঁর সঙ্গে মানুষের মতো আচরণ করবে। তারপরও জেলে তাঁর প্রতি তালেবানের অপমানজনক আচরণ দেখে হতবাক হয়ে যান।
জেলে প্রথম খাবার তাঁকে বিস্মিত ও ভীত করেছিল। পারওয়ানা বলেন, ‘মুখের ওপর একটি ধারালো জিনিস অনুভব করি। দেখি একটি পেরেক। ছুড়ে ফেলেছিলাম।’
এরপর খাবারের মধ্যে তিনি চুল ও পাথর খুঁজে পান। পাথর ছুড়ে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল পারওয়ানাকে। এরপর দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকেন তিনি। ২৩ বছর বয়সী পারওয়ানার বিরুদ্ধে অনৈতিকতা, পতিতাবৃত্তি এবং পশ্চিমা সংস্কৃতি ছড়ানোর অভিযোগ এনে প্রায় এক মাস জেলে রাখা হয়।
মরিয়মকে একটি নিরাপত্তা ইউনিট জিজ্ঞাসাবাদের সময় কালো ব্যাগ দিয়ে মাথা ঢেকে রেখেছিল। মরিয়ম বলেন, ‘আমি অনেক লোকের কথা শুনতে পাচ্ছিলাম। একজন আমাকে লাথি মেরে জিজ্ঞেস করল, কে আমাকে বিক্ষোভ সংগঠিত করার জন্য অর্থ দিয়েছে। অন্যজন আমাকে ঘুষি মেরে জিজ্ঞেস করল, তুমি কার হয়ে কাজ কর।’
মরিয়ম তখন বলেছিলেন, তিনি একজন বিধবা এবং তাঁর সন্তানদের খাওয়ানোর জন্য কাজের প্রয়োজন। কিন্তু এসব বলে মরিয়মের কপালে জুটেছে আরও মারধর।
স্বীকারোক্তি ও মুক্তি
মানবাধিকার সংস্থা এবং স্থানীয় প্রবীণদের হস্তক্ষেপের পর পারওয়ানা ও মরিয়ম দুজনকেই আলাদাভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা এখন আর আফগানিস্তানে বসবাস করছেন না।
অপরাধ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছিল দুজনকেই। তালেবানের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদে অংশ না নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিতে হয়েছিল তাঁদের। তাঁদের পুরুষ আত্মীয়রাও সরকারি কাগজপত্রে সই করে অঙ্গীকার করেছিলেন যে নারীরা আর কোনো প্রতিবাদে অংশ নেবে না।
বিবিসি এই অভিযোগগুলো তালেবান সরকারের সিনিয়র মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের কাছে রেখেছিলেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন, নারী বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।
স্বাভাবিক জীবনের প্রত্যাশা
ক্ষমতা দখলের পর তালেবান বলেছিল, আফগান সংস্কৃতি এবং শরিয়া আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ উপায়ে নারীরা কাজ এবং স্কুলে যাওয়া চালিয়ে যেতে পারবেন। তারা বারবার জোর দিয়ে বলেছে, ছয় বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের স্কুলে পড়ার নিষেধাজ্ঞা অস্থায়ী। কিন্তু নারীদের মাধ্যমিক বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার কোনো দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেয়নি তালেবান সরকার।
আফগানিস্তানে ফিরে জাকিয়া অল্পবয়সী মেয়েদের পড়ালেখা শেখানোর জন্য বাসায় টিউশন সেন্টার চালু করেও ব্যর্থ হন। জাকিয়া বলেন, ‘একদল তরুণী নিয়মিতভাবে এক জায়গায় একত্রিত হওয়ায় হুমকি বোধ করছে তালেবান। তারা যা চেয়েছিল তা করতে পেরেছে। আমি আমার নিজের ঘরে বন্দী।’
এখনো তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন জাকিয়া। তবে তাঁরা কোনো প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেন না। ছদ্মনাম ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাঝেমধ্যে বিবৃতি প্রকাশ করেন।
আফগানিস্তানের জন্য তাঁর স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে কান্নায় ভেঙে পড়েন জাকিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি কিছুই করতে পারি না। আমাদের আর কোনো অস্তিত্ব নেই। নারীদের জনজীবন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা শুধু আমাদের মৌলিক অধিকার চেয়েছিলাম। এই চাওয়াটা কি খুব বেশি?’

তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসে নারীদের ঘরের বাইরে অর্থাৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এ ধরনের নিয়মের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কয়েকজন নারী। কাবুলসহ আফগানিস্তানের বড় শহরগুলোতে যে নারীরা খাদ্য, কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন তাঁদের ওপর নেমে আসে তালেবানদের নির্মম অত্যাচার। প্রতিবাদকারী তিন আফগান নারীর কথা বলা হয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
কাবুলের রাজপথে প্রতিবাদ
গত ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবান জঙ্গিরা কাবুল দখল করলে জাকিয়ার (ছদ্মনাম) জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী জাকিয়া চাকরি হারান তালেবান ক্ষমতায় আসার পর। এক বছরেরও বেশি সময় পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিক্ষোভে অংশ নেন তিনি। কাজ এবং শিক্ষার অধিকার হারানোর পর ক্ষোভ প্রকাশ করার প্রথম সুযোগ ছিল সেটি।
বিক্ষোভকারীরা কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে মিছিল করছিলেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই তাঁদের থামিয়ে দেওয়া হয়। উচ্চ স্বরে স্লোগান দেওয়া জাকিয়াকে আটক করে তালেবান সশস্ত্র পুলিশ।
সেদিনের কথা মনে করে জাকিয়া বলেন, ‘তাদের (তালেবান পুলিশ) মধ্যে একজন তার বন্দুকটি আমার মুখের সামনে তুলে বলেছিল, আমি চুপ না করলে সেখানেই আমাকে মেরে ফেলা হবে।’
জাকিয়া সহকর্মী বিক্ষোভকারীদের একটি গাড়িতে উঠতে দেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিরোধ করেছি। তারা আমার বাহু মুচড়ে দিচ্ছিল। আমাকে তালেবানরা তাদের গাড়িতে ওঠাতে টানছিল। অন্যদিকে, আমার সঙ্গের বিক্ষোভকারীরা আমাকে ধরে রাখার চেষ্টা করছিল।’
শেষ পর্যন্ত জাকিয়া পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন তিনি যা দেখেছিল, তা তাঁকে ভবিষ্যতের জন্য আতঙ্কিত করে রেখেছিল। তিনি বলেন, ‘এই সহিংসতা বদ্ধ দরজার আড়ালে হয়নি, হয়েছিল রাজধানী কাবুলের রাস্তায় সবার সামনে।’
গ্রেপ্তার ও অত্যাচার
অনেক আফগান বিক্ষোভকারীর মধ্যে ছিলেন মরিয়ম (ছদ্মনাম) এবং ২৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী পারওয়ানা ইব্রাহিমখাইল নিজরাবি—যাঁদের তালেবানরা আটক করেছিল। বিধবা এবং সন্তানদের জন্য একমাত্র উপার্জনকারী হিসেবে মরিয়মের ভয় ছিল, চাকরি হারালে তাঁর সন্তানদের নিয়ে তিনি কী করবেন।
তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিক্ষোভে যোগ দেন। সঙ্গের বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার হতে দেখে তিনি পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সময়মতো পালিয়ে যেতে পারেননি। মরিয়ম বলেন, ‘আমাকে জোর করে ট্যাক্সি থেকে বের করে এনে তারা আমার ব্যাগ তল্লাশি করে এবং আমার ফোন খুঁজে পেয়েছিল।’
তালেবান কর্মকর্তাদের ফোনের পাসওয়ার্ড দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় মারধর করা হয় মরিয়মকে। তাঁকে এতই জোরে মারা হয় যে মরিয়মের মনে হয়েছিল তাঁর কানের পর্দা বুঝি ফেটে গেছে। তালেবানরা তখন তাঁর ফোনে ছবি ও ভিডিও দেখে আরও রেগে যায়।
মরিয়ম বলেন, ‘তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার চুল টেনে ধরেছিল। তারা আমার হাত ও পা ধরে আমাকে তাদের রেঞ্জারের পেছনে ফেলে দেয়। আমাকে অপমানজনক ভাষায় ডাকছিল। তারা আমাকে হাতকড়া পরিয়ে দেয় এবং আমার মাথা ঢেকে দেয় একটি কালো ব্যাগ দিয়ে। আমি শ্বাস নিতে পারছিলাম না।’
এক মাস পর পারওয়ানাও তালেবানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন। শিক্ষার্থীদের একটি দল নিয়ে বেশ কয়েকটি মিছিলের আয়োজন করেন তিনি। এরপর তাঁর ওপরেও নেমে আসে অত্যাচার। পারওয়ানা বলেন, ‘আমাকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই তারা আমাকে নির্যাতন শুরু করে।’
পারওয়ানাকে গাড়িতে তুলে দুই পুরুষ সশস্ত্র প্রহরীর মধ্যে বসানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘যখন আমি সেখানে বসতে অস্বীকৃতি জানাই, তারা আমাকে সামনের দিকে নিয়ে যায়, মাথা একটি কম্বলে ঢেকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে নড়াচড়া করতে নিষেধ করে।’
ভারী অস্ত্রধারীদের মধ্যে পারওয়ানা নিজেকে দুর্বল এবং মৃত ভাবতে শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘তারা আমাকে অনেকবার থাপ্পড় মারে। আমার মুখ অসাড় হয়ে গিয়েছিল। খুব ভয় পেয়েছিলাম, আমার সারা শরীর কাঁপছিল।’
জেলজীবন
তালেবানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন ছিলেন মরিয়ম, পারওয়ানা ও জাকিয়া। পারওয়ানা বলেছেন, তিনি কখনোই আশা করেননি তালেবানরা তাঁর সঙ্গে মানুষের মতো আচরণ করবে। তারপরও জেলে তাঁর প্রতি তালেবানের অপমানজনক আচরণ দেখে হতবাক হয়ে যান।
জেলে প্রথম খাবার তাঁকে বিস্মিত ও ভীত করেছিল। পারওয়ানা বলেন, ‘মুখের ওপর একটি ধারালো জিনিস অনুভব করি। দেখি একটি পেরেক। ছুড়ে ফেলেছিলাম।’
এরপর খাবারের মধ্যে তিনি চুল ও পাথর খুঁজে পান। পাথর ছুড়ে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল পারওয়ানাকে। এরপর দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকেন তিনি। ২৩ বছর বয়সী পারওয়ানার বিরুদ্ধে অনৈতিকতা, পতিতাবৃত্তি এবং পশ্চিমা সংস্কৃতি ছড়ানোর অভিযোগ এনে প্রায় এক মাস জেলে রাখা হয়।
মরিয়মকে একটি নিরাপত্তা ইউনিট জিজ্ঞাসাবাদের সময় কালো ব্যাগ দিয়ে মাথা ঢেকে রেখেছিল। মরিয়ম বলেন, ‘আমি অনেক লোকের কথা শুনতে পাচ্ছিলাম। একজন আমাকে লাথি মেরে জিজ্ঞেস করল, কে আমাকে বিক্ষোভ সংগঠিত করার জন্য অর্থ দিয়েছে। অন্যজন আমাকে ঘুষি মেরে জিজ্ঞেস করল, তুমি কার হয়ে কাজ কর।’
মরিয়ম তখন বলেছিলেন, তিনি একজন বিধবা এবং তাঁর সন্তানদের খাওয়ানোর জন্য কাজের প্রয়োজন। কিন্তু এসব বলে মরিয়মের কপালে জুটেছে আরও মারধর।
স্বীকারোক্তি ও মুক্তি
মানবাধিকার সংস্থা এবং স্থানীয় প্রবীণদের হস্তক্ষেপের পর পারওয়ানা ও মরিয়ম দুজনকেই আলাদাভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা এখন আর আফগানিস্তানে বসবাস করছেন না।
অপরাধ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছিল দুজনকেই। তালেবানের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদে অংশ না নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিতে হয়েছিল তাঁদের। তাঁদের পুরুষ আত্মীয়রাও সরকারি কাগজপত্রে সই করে অঙ্গীকার করেছিলেন যে নারীরা আর কোনো প্রতিবাদে অংশ নেবে না।
বিবিসি এই অভিযোগগুলো তালেবান সরকারের সিনিয়র মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের কাছে রেখেছিলেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন, নারী বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।
স্বাভাবিক জীবনের প্রত্যাশা
ক্ষমতা দখলের পর তালেবান বলেছিল, আফগান সংস্কৃতি এবং শরিয়া আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ উপায়ে নারীরা কাজ এবং স্কুলে যাওয়া চালিয়ে যেতে পারবেন। তারা বারবার জোর দিয়ে বলেছে, ছয় বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের স্কুলে পড়ার নিষেধাজ্ঞা অস্থায়ী। কিন্তু নারীদের মাধ্যমিক বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার কোনো দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেয়নি তালেবান সরকার।
আফগানিস্তানে ফিরে জাকিয়া অল্পবয়সী মেয়েদের পড়ালেখা শেখানোর জন্য বাসায় টিউশন সেন্টার চালু করেও ব্যর্থ হন। জাকিয়া বলেন, ‘একদল তরুণী নিয়মিতভাবে এক জায়গায় একত্রিত হওয়ায় হুমকি বোধ করছে তালেবান। তারা যা চেয়েছিল তা করতে পেরেছে। আমি আমার নিজের ঘরে বন্দী।’
এখনো তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন জাকিয়া। তবে তাঁরা কোনো প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেন না। ছদ্মনাম ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাঝেমধ্যে বিবৃতি প্রকাশ করেন।
আফগানিস্তানের জন্য তাঁর স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে কান্নায় ভেঙে পড়েন জাকিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি কিছুই করতে পারি না। আমাদের আর কোনো অস্তিত্ব নেই। নারীদের জনজীবন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা শুধু আমাদের মৌলিক অধিকার চেয়েছিলাম। এই চাওয়াটা কি খুব বেশি?’

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
১ ঘণ্টা আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৩ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রিয়া বিহার প্রদেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থাই সামরিক বাহিনী একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার আন সেস এলাকায় অবস্থিত ছিল।
প্রিয়া বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের কাছে পূজনীয় প্রাচীন মন্দির ও মূর্তি ধ্বংসের এই ঘটনা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।’ তবে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সীমান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড নিয়ে দাবি যাই থাকুক না কেন, এ ধরনের অসম্মানজনক কাজ বিশ্বজুড়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়।’
ভারত আবারও উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে এবং জানমাল ও ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঔপনিবেশিক আমলের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। গত জুলাইয়ে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বুধবার থেকে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসের এই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে, সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান হবে। হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রিয়া বিহার প্রদেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থাই সামরিক বাহিনী একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার আন সেস এলাকায় অবস্থিত ছিল।
প্রিয়া বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের কাছে পূজনীয় প্রাচীন মন্দির ও মূর্তি ধ্বংসের এই ঘটনা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।’ তবে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সীমান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড নিয়ে দাবি যাই থাকুক না কেন, এ ধরনের অসম্মানজনক কাজ বিশ্বজুড়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়।’
ভারত আবারও উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে এবং জানমাল ও ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঔপনিবেশিক আমলের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। গত জুলাইয়ে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বুধবার থেকে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসের এই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে, সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান হবে। হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ।

তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসে নারীদের ঘরের বাইরে অর্থাৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এ ধরনের নিয়মের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কয়েকজন নারী। কাবুলসহ আফগানিস্তানের বড় বড় শহরগুলোতে যে নারীরা খাদ্য, কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের ওপর
১৫ জুন ২০২৪
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৩ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান করে দিয়েছে।
৭৬ বছর বয়সী আত্তাল্লাহ তরাজি সম্প্রতি বড়দিনের উপহার হিসেবে এক জোড়া মোজা আর স্কার্ফ পেয়েছেন। গাজার কনকনে শীত থেকে বাঁচতে এগুলোই এখন তাঁর বড় সম্বল। গির্জার অন্যান্য সদস্যদের সাথে তরাজি যখন গাইলেন—‘খ্রিস্টের জন্ম হয়েছে, হালেলুইয়া’ (একটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ প্রভুর প্রশংসা), তখন কিছুক্ষণের জন্য হলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিভীষিকা ঢাকা পড়েছিল বিশ্বাসের সুরে।
গাজার সেন্ট্রাল সিটি এলাকার ‘হলি ফ্যামিলি চার্চ’ কম্পাউন্ডে আশ্রয় নেওয়া তরাজি বলেন, ‘আমরা এই পবিত্র মুহূর্তে যুদ্ধ, বিপদ আর বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যেতে চাই। খ্রিস্টের জন্মের আনন্দ আমাদের সব তিক্ততাকে ছাপিয়ে যাক।’
তবে সবার জন্য উৎসবের অনুভূতি এক নয়। শাদি আবু দাউদের জন্য এবারের বড়দিনটি অত্যন্ত কষ্টের। গত জুলাই মাসে এই ক্যাথলিক চার্চ কম্পাউন্ডেই ইজরায়েলি হামলায় তাঁর মা নিহত হন ও ছেলে আহত হয়। ইজরায়েল একে ‘দুর্ঘটনা’ বলে দুঃখ প্রকাশ করলেও স্বজন হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। আবু দাউদ বলেন, জখম এখনও কাঁচা। এখানে কোনো উৎসব নেই, আমরা এখনও ‘না যুদ্ধ না শান্তি’র এক অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে বাস করছি।
গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যা এখন নগণ্য। যুদ্ধের কারণে অনেক পরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী ওয়াফা ইমাদ এলসায়েঘ জানান, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়রা না থাকায় আগের মতো আমেজ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবার নিয়ে সাজসজ্জা করছি ঠিকই, কিন্তু যাদের সাথে সব আনন্দ ভাগ করে নিতাম, তারা আজ গাজায় নেই। এই পরিবেশ আগের মতো করে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’
৩৫ বছর বয়সী মা এলিনোর আমাশ তাঁর সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘরে বড়দিনের গাছ (ক্রিসমাস ট্রি) সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা কিছু চকলেট আর মিষ্টি পেয়ে বোমার ভয় ছাড়া শ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু তাবুগুলোতে বসবাসকারী মানুষের কষ্ট দেখে চোখে জল আসে।’
গাজার খ্রিস্টানরা মনে করেন, তাঁরা সংখ্যায় যত কমই হোক না কেন, এটি এই ভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের এক অটল সাক্ষ্য। আত্তাল্লাহ তরাজি প্রার্থনা করেন যেন তাঁর জাতি শান্তি ও স্বাধীনতা পায়। তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিস্থিতির চেয়েও বড়দিনের আনন্দ এবং তাঁদের বিশ্বাস অনেক বেশি শক্তিশালী।
গত অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গাজায় হামলার তীব্রতা কমলেও মাঝেমধ্যেই প্রাণঘাতী আঘাত আসছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
অতিবৃষ্টিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের তাবুগুলো তলিয়ে গেছে, যা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান করে দিয়েছে।
৭৬ বছর বয়সী আত্তাল্লাহ তরাজি সম্প্রতি বড়দিনের উপহার হিসেবে এক জোড়া মোজা আর স্কার্ফ পেয়েছেন। গাজার কনকনে শীত থেকে বাঁচতে এগুলোই এখন তাঁর বড় সম্বল। গির্জার অন্যান্য সদস্যদের সাথে তরাজি যখন গাইলেন—‘খ্রিস্টের জন্ম হয়েছে, হালেলুইয়া’ (একটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ প্রভুর প্রশংসা), তখন কিছুক্ষণের জন্য হলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিভীষিকা ঢাকা পড়েছিল বিশ্বাসের সুরে।
গাজার সেন্ট্রাল সিটি এলাকার ‘হলি ফ্যামিলি চার্চ’ কম্পাউন্ডে আশ্রয় নেওয়া তরাজি বলেন, ‘আমরা এই পবিত্র মুহূর্তে যুদ্ধ, বিপদ আর বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যেতে চাই। খ্রিস্টের জন্মের আনন্দ আমাদের সব তিক্ততাকে ছাপিয়ে যাক।’
তবে সবার জন্য উৎসবের অনুভূতি এক নয়। শাদি আবু দাউদের জন্য এবারের বড়দিনটি অত্যন্ত কষ্টের। গত জুলাই মাসে এই ক্যাথলিক চার্চ কম্পাউন্ডেই ইজরায়েলি হামলায় তাঁর মা নিহত হন ও ছেলে আহত হয়। ইজরায়েল একে ‘দুর্ঘটনা’ বলে দুঃখ প্রকাশ করলেও স্বজন হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। আবু দাউদ বলেন, জখম এখনও কাঁচা। এখানে কোনো উৎসব নেই, আমরা এখনও ‘না যুদ্ধ না শান্তি’র এক অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে বাস করছি।
গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যা এখন নগণ্য। যুদ্ধের কারণে অনেক পরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী ওয়াফা ইমাদ এলসায়েঘ জানান, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়রা না থাকায় আগের মতো আমেজ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবার নিয়ে সাজসজ্জা করছি ঠিকই, কিন্তু যাদের সাথে সব আনন্দ ভাগ করে নিতাম, তারা আজ গাজায় নেই। এই পরিবেশ আগের মতো করে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’
৩৫ বছর বয়সী মা এলিনোর আমাশ তাঁর সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘরে বড়দিনের গাছ (ক্রিসমাস ট্রি) সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা কিছু চকলেট আর মিষ্টি পেয়ে বোমার ভয় ছাড়া শ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু তাবুগুলোতে বসবাসকারী মানুষের কষ্ট দেখে চোখে জল আসে।’
গাজার খ্রিস্টানরা মনে করেন, তাঁরা সংখ্যায় যত কমই হোক না কেন, এটি এই ভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের এক অটল সাক্ষ্য। আত্তাল্লাহ তরাজি প্রার্থনা করেন যেন তাঁর জাতি শান্তি ও স্বাধীনতা পায়। তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিস্থিতির চেয়েও বড়দিনের আনন্দ এবং তাঁদের বিশ্বাস অনেক বেশি শক্তিশালী।
গত অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গাজায় হামলার তীব্রতা কমলেও মাঝেমধ্যেই প্রাণঘাতী আঘাত আসছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
অতিবৃষ্টিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের তাবুগুলো তলিয়ে গেছে, যা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসে নারীদের ঘরের বাইরে অর্থাৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এ ধরনের নিয়মের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কয়েকজন নারী। কাবুলসহ আফগানিস্তানের বড় বড় শহরগুলোতে যে নারীরা খাদ্য, কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের ওপর
১৫ জুন ২০২৪
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৩ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে। ঘটনাস্থলটি সেই জায়গার কাছে, যেখানে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এক রুশ জেনারেল গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বিবৃতির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা যখন ওই ব্যক্তির কাছে যান, তখনই একটি বিস্ফোরক ডিভাইস সক্রিয় হয়ে যায়। বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারান। এ সময় তাঁদের পাশে থাকা আরেকজন ব্যক্তিও বিস্ফোরণে নিহত হন।
নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বয়স ছিল ২৪ ও ২৫ বছর। আল জাজিরার মস্কো প্রতিনিধি ইউলিয়া শাপোভালোভার তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি তাদের পরিবারের জন্য এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি।’ বিস্ফোরণের প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। কাছাকাছি বসবাসকারী আলেক্সান্ডার নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘একটা ভয়ংকর শব্দ হয়েছিল, কয়েক দিন আগের গাড়ি বিস্ফোরণের মতোই।’ আরেক বাসিন্দা রোজা জানান, বিস্ফোরণের সময় তাঁদের পুরো ভবনটি কেঁপে ওঠে এবং তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।
বিস্ফোরণের পরপরই এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী। রুশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এবং বিস্ফোরক পাচারের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই এলাকার কাছে, যেখানে গত সোমবার রুশ জেনারেল ফানিল সারভারভ গাড়ির নিচে পেতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের মাধ্যমে নিহত হন। সারভারভ রুশ জেনারেল স্টাফের অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের জন্য সেনাদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রাশিয়া জেনারেল সারভারভ হত্যার পেছনে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তবে ইউক্রেন এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও দখল করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় রুশ সামরিক কর্মকর্তা এবং এই যুদ্ধের সমর্থক বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে। ঘটনাস্থলটি সেই জায়গার কাছে, যেখানে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এক রুশ জেনারেল গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বিবৃতির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা যখন ওই ব্যক্তির কাছে যান, তখনই একটি বিস্ফোরক ডিভাইস সক্রিয় হয়ে যায়। বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারান। এ সময় তাঁদের পাশে থাকা আরেকজন ব্যক্তিও বিস্ফোরণে নিহত হন।
নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বয়স ছিল ২৪ ও ২৫ বছর। আল জাজিরার মস্কো প্রতিনিধি ইউলিয়া শাপোভালোভার তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি তাদের পরিবারের জন্য এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি।’ বিস্ফোরণের প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। কাছাকাছি বসবাসকারী আলেক্সান্ডার নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘একটা ভয়ংকর শব্দ হয়েছিল, কয়েক দিন আগের গাড়ি বিস্ফোরণের মতোই।’ আরেক বাসিন্দা রোজা জানান, বিস্ফোরণের সময় তাঁদের পুরো ভবনটি কেঁপে ওঠে এবং তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।
বিস্ফোরণের পরপরই এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী। রুশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এবং বিস্ফোরক পাচারের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই এলাকার কাছে, যেখানে গত সোমবার রুশ জেনারেল ফানিল সারভারভ গাড়ির নিচে পেতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের মাধ্যমে নিহত হন। সারভারভ রুশ জেনারেল স্টাফের অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের জন্য সেনাদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রাশিয়া জেনারেল সারভারভ হত্যার পেছনে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তবে ইউক্রেন এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও দখল করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় রুশ সামরিক কর্মকর্তা এবং এই যুদ্ধের সমর্থক বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসে নারীদের ঘরের বাইরে অর্থাৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এ ধরনের নিয়মের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কয়েকজন নারী। কাবুলসহ আফগানিস্তানের বড় বড় শহরগুলোতে যে নারীরা খাদ্য, কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের ওপর
১৫ জুন ২০২৪
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
১ ঘণ্টা আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
২ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, শানলিউরফার পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত নীলাভ পানির ‘বালিক্লিগোল’ বা ‘মাছের হ্রদ’। মূলত এখানে আছে দুটি পুকুর। ধর্মীয় মতে, দুটি পুকুরের বড়টিতে নবী ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করেছিলেন মেসোপটেমিয়ার রাজা নমরুদ। আল্লাহ তৎক্ষণাৎ ওই আগুনকে পানি এবং জ্বলন্ত কাঠকে মাছে রূপান্তরিত করেছিলেন। এ ছাড়া ‘আইনজেলিহা’ নামের ছোট পুকুরটির নামকরণ করা হয়েছে নমরুদের কন্যা জেলিহার নামে। ইব্রাহিম নবীর প্রতি বিশ্বাসের কারণে এই পুকুরে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জেলিহা প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস।
দুটি পুকুরই কালো দাগওয়ালা কার্প মাছে ভরা। এগুলোকে পবিত্র মনে করা হয়। তাই এই মাছগুলোকে ধরা বা এগুলোর ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই কারণেই বালিক্লিগোল শুধু একটি পর্যটনস্থল নয়, বরং গভীর ধর্মীয় আবেগ ও ইতিহাসের প্রতীক। মাছের গায়ে থাকা কালো দাগগুলোকে আগুনের ছাইয়ের চিহ্ন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে শানলিউরফা নানা নামে পরিচিত ছিল। আরামীয়রা একে ডাকত উরহাই, গ্রিক শাসনামলে নাম ছিল এডেসা, আরব বিজয়ের পর নাম হয় রোহা। অটোমানেরা ১৬০৭ সালে এই নগরীর নাম রাখে উরফা। পরে ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিরোধের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্ত হয় ‘শানলি’, অর্থাৎ ‘গৌরবময়’।
এই শহরটি ইব্রাহিম (আ.), আইয়ুব (আ.), নূহ (আ.) ও জেথ্রোর মতো নবীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত বালিক্লিগোল মুসলিম তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখানেই রয়েছে মেভলিদ-ই-হালিল গুহা। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই জন্ম হয়েছিল ইব্রাহিম নবীর। নারীরা সন্তান কামনায় ও আরোগ্য লাভের আশায় এই গুহায় আসেন।
তবে শানলিউরফার ইতিহাস শুধু ধর্মগ্রন্থেই সীমাবদ্ধ নয়। শহরটি থেকে ১৪ মাইল দূরেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা বা উপাসনালয় হিসেবে চিহ্নিত ‘গ্যোবেকলি তেপে’। প্রায় ১১-১২ হাজার বছরের পুরোনো এই স্থাপনাটি মানবসভ্যতার ধারণাকেই বদলে দিয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৯৬০০ সালের এই নিওলিথিক স্থাপনাটি কৃষি ও মৃৎশিল্পের আগেই নির্মিত—যা প্রমাণ করে, ধর্মীয় আচার হয়তো সভ্যতার সূচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে পাওয়া টি-আকৃতির স্তম্ভ ও খোদাই করা পশুর ভাস্কর্য বিশ্বব্যাপী বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

শানলিউরফা প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ১০ হাজারের বেশি নিদর্শন। এর মধ্যে ‘উরফা ম্যান’ নামের ১১ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো মানব মূর্তিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাশেই হালেপলিবাহচে মোজাইক জাদুঘর ও কিজিলকয়ুন নেক্রোপলিস শহরের রোমান যুগের ইতিহাস তুলে ধরে।
ইতিহাস ও ধর্মের পাশাপাশি শানলিউরফা খাবার ও আতিথেয়তার জন্যও বিখ্যাত। উরফা কাবাব, পাটলিজান কাবাব, চি কফতে ও শিল্লিক তাতলিসি এখানকার জনপ্রিয় খাবার। স্থানীয়দের সঙ্গে ধীরে চা পান, পুরোনো বাজারে হাঁটা আর ‘সিরা গেসেসি’ নামের সাংস্কৃতিক আড্ডায় অংশ নিলে বোঝা যায়—এই শহর শুধু দেখার নয়, অনুভব করারও।

বলা যায়—শানলিউরফা যেন এক জীবন্ত জাদুঘর; যেখানে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবসভ্যতার গল্প একসূত্রে গেঁথে পাশাপাশি হাঁটে অতীত ও বর্তমান।

দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, শানলিউরফার পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত নীলাভ পানির ‘বালিক্লিগোল’ বা ‘মাছের হ্রদ’। মূলত এখানে আছে দুটি পুকুর। ধর্মীয় মতে, দুটি পুকুরের বড়টিতে নবী ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করেছিলেন মেসোপটেমিয়ার রাজা নমরুদ। আল্লাহ তৎক্ষণাৎ ওই আগুনকে পানি এবং জ্বলন্ত কাঠকে মাছে রূপান্তরিত করেছিলেন। এ ছাড়া ‘আইনজেলিহা’ নামের ছোট পুকুরটির নামকরণ করা হয়েছে নমরুদের কন্যা জেলিহার নামে। ইব্রাহিম নবীর প্রতি বিশ্বাসের কারণে এই পুকুরে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জেলিহা প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস।
দুটি পুকুরই কালো দাগওয়ালা কার্প মাছে ভরা। এগুলোকে পবিত্র মনে করা হয়। তাই এই মাছগুলোকে ধরা বা এগুলোর ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই কারণেই বালিক্লিগোল শুধু একটি পর্যটনস্থল নয়, বরং গভীর ধর্মীয় আবেগ ও ইতিহাসের প্রতীক। মাছের গায়ে থাকা কালো দাগগুলোকে আগুনের ছাইয়ের চিহ্ন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে শানলিউরফা নানা নামে পরিচিত ছিল। আরামীয়রা একে ডাকত উরহাই, গ্রিক শাসনামলে নাম ছিল এডেসা, আরব বিজয়ের পর নাম হয় রোহা। অটোমানেরা ১৬০৭ সালে এই নগরীর নাম রাখে উরফা। পরে ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিরোধের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্ত হয় ‘শানলি’, অর্থাৎ ‘গৌরবময়’।
এই শহরটি ইব্রাহিম (আ.), আইয়ুব (আ.), নূহ (আ.) ও জেথ্রোর মতো নবীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত বালিক্লিগোল মুসলিম তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখানেই রয়েছে মেভলিদ-ই-হালিল গুহা। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই জন্ম হয়েছিল ইব্রাহিম নবীর। নারীরা সন্তান কামনায় ও আরোগ্য লাভের আশায় এই গুহায় আসেন।
তবে শানলিউরফার ইতিহাস শুধু ধর্মগ্রন্থেই সীমাবদ্ধ নয়। শহরটি থেকে ১৪ মাইল দূরেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা বা উপাসনালয় হিসেবে চিহ্নিত ‘গ্যোবেকলি তেপে’। প্রায় ১১-১২ হাজার বছরের পুরোনো এই স্থাপনাটি মানবসভ্যতার ধারণাকেই বদলে দিয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৯৬০০ সালের এই নিওলিথিক স্থাপনাটি কৃষি ও মৃৎশিল্পের আগেই নির্মিত—যা প্রমাণ করে, ধর্মীয় আচার হয়তো সভ্যতার সূচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে পাওয়া টি-আকৃতির স্তম্ভ ও খোদাই করা পশুর ভাস্কর্য বিশ্বব্যাপী বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

শানলিউরফা প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ১০ হাজারের বেশি নিদর্শন। এর মধ্যে ‘উরফা ম্যান’ নামের ১১ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো মানব মূর্তিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাশেই হালেপলিবাহচে মোজাইক জাদুঘর ও কিজিলকয়ুন নেক্রোপলিস শহরের রোমান যুগের ইতিহাস তুলে ধরে।
ইতিহাস ও ধর্মের পাশাপাশি শানলিউরফা খাবার ও আতিথেয়তার জন্যও বিখ্যাত। উরফা কাবাব, পাটলিজান কাবাব, চি কফতে ও শিল্লিক তাতলিসি এখানকার জনপ্রিয় খাবার। স্থানীয়দের সঙ্গে ধীরে চা পান, পুরোনো বাজারে হাঁটা আর ‘সিরা গেসেসি’ নামের সাংস্কৃতিক আড্ডায় অংশ নিলে বোঝা যায়—এই শহর শুধু দেখার নয়, অনুভব করারও।

বলা যায়—শানলিউরফা যেন এক জীবন্ত জাদুঘর; যেখানে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবসভ্যতার গল্প একসূত্রে গেঁথে পাশাপাশি হাঁটে অতীত ও বর্তমান।

তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসে নারীদের ঘরের বাইরে অর্থাৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এ ধরনের নিয়মের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কয়েকজন নারী। কাবুলসহ আফগানিস্তানের বড় বড় শহরগুলোতে যে নারীরা খাদ্য, কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের ওপর
১৫ জুন ২০২৪
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
১ ঘণ্টা আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৩ ঘণ্টা আগে